Ven S Priyaratna Bhikkhu

দেখে মনেপুত হলো ছবি আর বিষয়টা
05/10/2023

দেখে মনেপুত হলো ছবি আর বিষয়টা

28/09/2023
আগামীকাল
27/09/2023

আগামীকাল

08/09/2023

অষ্ঠবিংশতি বুদ্ধ পুজা,সিবলী,উপগুপ্ত ভান্তের পূজা ও এস প্রিয়রত্ন ভিক্ষুর ৩২ তম জম্মদিন উপলক্ষে সংঘদান অষ্টপরিস্কার দান এবং লাভলী বড়ুয়ার একক সদ্ধর্ম দেশনা শুরু

নমো ত্রিরত্নায়তাং- ০৫ সেপ্টেম্বব ২৩এতদ্বারা ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির  সম্মানিত কার্যনির্বাহী পরিষদ, ...
07/09/2023

নমো ত্রিরত্নায়

তাং- ০৫ সেপ্টেম্বব ২৩

এতদ্বারা ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সম্মানিত কার্যনির্বাহী পরিষদ, মহিলা পরিষদ, যুব পরিষদ সকল সদস্য/সদস্যা, দায়ক/দায়িকা উপাসক/উপাসিকা ও সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ০৮ সেপ্টেম্বর '২৩, ২৪ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ, শুক্রবার, "বিহারের ধারাবাহিকতায় নির্ধারিত ২য় শুক্রবারে অনুষ্ঠিতব্য পবিত্র অষ্টবিংশতি বুদ্ধ পূজা, সীবনী মহাস্থবির পূজা, মারবিজয়ী জীবন্ত অর্হৎ উপগুপ্ত মহাস্থবির পূজা; নগরীর সুপরিচিত বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র বোধিপাল আন্তজার্তিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালিকা স্বনামধন্য সাধিকা শ্রদ্ধেয়া লাভলী বড়ুয়ার বিদর্শন ভাবনা সম্বন্ধে একক সদ্ধর্ম দেশনা ও সংশ্লিষ্ট পূণ্যানুষ্ঠান দিবসে" দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আজীবন বিহারাধ্যক্ষ জ্ঞান সারথি অধ্যাপক ভদন্ত জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির মহোদয়ের সভাপতিত্বে বিহার পরিচালনা কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ, মহিলা পরিষদ, যুব পরিষদ, দায়ক/দায়িকা, উপাসক/উপাসিকা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে এক বর্ধিত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সকল সম্মানিত কর্মকর্তা, সদস্য /সদস্যা, দায়ক/দায়িকা, উপাসক/উপাসিকা এবং সংশ্লিষ্ট ধর্মপ্রাণ সূধী সজ্জন মন্ডলী সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে সকাল বেলার পূণ্যানুষ্ঠান সমাপনান্তে বিহার পরিচালনা কমিটি ও উপস্থিত সবার জন্য মধ্যাহ্ন ভোজ হিসেবে শাকান্নভোজনের আয়োজন করা হচ্ছে এবং এর পরপরই বিহার কমিটির নির্ধারিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচ্য সূচীঃ

১। বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন।
২। আসন্ন দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব '২৩ যথাযথ ভাবে পালন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত।
৩। বিহার পরিচালনা কমিটির সহ সম্পাদক সম্প্রতি প্রয়াত বাবু জয়সেন বড়ুয়া'র স্মরণে স্মৃতিচারণ ও পূণ্যদান অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত।
৪। বিবিধ।

বিনীত নিবেদক-

ডাঃ সুমেধ কুমার বড়ুয়া
মহাসচিব
ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি।

সব্বে সত্তা সুখিতা হোন্তু।

❝ শ্রাবণী পূর্ণিমা'র তাৎপর্য ❞✍️ ভদন্ত সত্যানন্দ থেরো।তথাগত বুদ্ধের পরিনির্বাণের ৩ মাস পরে মগধরাজ অজাতাশত্র“র পৃষ্ঠপোষকত...
29/08/2023

❝ শ্রাবণী পূর্ণিমা'র তাৎপর্য ❞

✍️ ভদন্ত সত্যানন্দ থেরো।

তথাগত বুদ্ধের পরিনির্বাণের ৩ মাস পরে মগধরাজ অজাতাশত্র“র পৃষ্ঠপোষকতায় অরহত মহাকশ্যপ স্থবিরের সভাপতিত্বে রাজগৃহের বেভার পর্বতের সপ্তপর্ণী গুহায় ৫০০শত অহরত ভিক্ষু উপস্থিতিতে প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি বা ভিক্ষু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই শ্রাবণী পূর্ণিমায় তিথিতে। তথাগত বুদ্ধের পরিনির্বাণের এত অল্প সময়ে কেন সম্মেলন আহ্বান করা হল অরহত মহাকশ্যপ এর বর্ণনায় আমরা সহজেই বুঝে নিতে পারি।

কুশীনারায় মল্ল রাজাদের যুগ্ম শাল বৃক্ষ তলে তথাগত বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণে নিবৃত্ত হলে মল্লরাজ ও অমাত্যবৃন্দ ভিক্ষুসংঘের অনুমতিক্রমে ভগবানের দেহ সূক্ষ্ম নতুজ বস্ত্রদ্বারা আবেষ্টন করত তৎপর সুধুনিত কার্পাস দ্বারা ৫০০ যুগবার বেষ্টন করে স্বর্ণময় তৈলপূর্ণ পাত্রে স্থাপন করতঃ নানাবিধ সুগন্ধি দ্রব্য দ্বারা পূর্ণ করে অপর স্বর্ণময় পাত্র দ্বারা আবৃত করলেন। অতপরঃ উত্তর দক্ষিণ ১২০ হাত পূর্ব পশ্চিম ১২০ হাত শ্মশান রচনা করতঃ মল্লা রাজাদের নগরের পূর্ব পার্শ্বে বন্ধন নামক মঙ্গলশালায় তৈলপূর্ণ স্বর্ণময় চিতার উপর ভগবানের দেহ আরোপিত করলেন।

সেই সময়ে ভগবান বুদ্ধের অশীতি মহাশ্রাবক অরহত মহাকশ্যপ তাঁর ৫০০ জন ভিক্ষু সংঘ সহ পাবা নগর হতে কুশীনারার দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে তিনি এক বৃক্ষমূলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তেমন সময়ে আজীবক সম্প্রদায় ভূক্ত এক সন্ন্যাসী রৌদ্রের তাপ নিবারণার্থে এক দিব্য মন্দার পুষ্প মাথায় উপর ধরে সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। অরহত মহাকশ্যপ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন যে, সপ্তাহ খানেক আগে শ্রামণ গৌতম পরিনির্বাণ প্রাপ্ত হয়েছেন। সেই পরিনির্বাণ স্থানে অনেক স্বর্গীয় পুষ্প পতিত হয়েছে। এই মন্দার পুষ্প সেখান থেকে সংগৃহীত। অরহত মহাকশ্যপ ধ্যানস্থ হয়ে তথাগতের পরিনির্বাণ সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হলেন।

তথাগতের পরিনিবার্ণ সংবাদ শুনার সঙ্গে সঙ্গে তার সাথে থাকা আরও ৫০০ জন ভিক্ষু যারা অনেকেই বুদ্ধকে দেখেনি তাঁরা শোকাবেগ সংবরণ করতে না পেরে কেউ বুক চাপরিয়ে, কেউ মাথায় হাত দিয়ে, কেউ কেউ ছিন্নবৎ ভূতলে পতিত হয়ে ইতস্ততঃ এই বলে ক্রন্দন করছিলেন যে, অতিশীঘ্রই ভগবান নির্বাপিত হলেন। অতিশীঘ্রই চক্ষুস্মান পৃথিবী হতে অন্তর্হিত হবেন।

সেই ভিক্ষুদের মধ্যে বৃদ্ধকালে প্রব্রাজিত সুভদ্র নামে একজন ভিক্ষু ছিলেন। তিনি শোকাহত ভিক্ষগণকে বললেন তোমরা শোক করিও না। বিলাপও করিও না। আমরা এখন সেই মহাশ্রামন হতে মুক্তি পেয়েছি। তিনি সবসময় আমাদেরকে শাসন করতেন। ইহা তোমাদের উপযুক্ত, ইহা অনুপযুক্ত, ইহা করতে পারবে, ইহা করতে পারবে না ইত্যাদি বাক্যবানে এতদিন আমরা জর্জরিত ছিলাম। এখন আমরা যা ইচ্ছা তা করতে পারব। মহাকশ্যপ ভিক্ষুদের সান্ত্বনা দিয়ে বললেন বন্ধুগণ তথাগত বুদ্ধ সুভদ্রের উক্তিতে হৃদয়ে বড়ই ব্যাথা পাইলেন। মাথায় ব্জ্র পতনের ন্যায় বোধ হইল। ভগবান পরিনিবার্ণ হয়েছেন মাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে। এখন ও তার সুবর্ণময় দেহ ধরণীপৃষ্টে বিদ্যমান। ভগবান কর্তৃক অতি কষ্ঠে স্থাপিত এই শাসনে কোন পাপ ময়লা উৎপন্ন হতে দেওয়া যাবে না। এই পাক বর্ধিত হয়ে আরও পাপ সহায় বৃদ্ধি পাইলে শাসন বিনষ্ট হবে। তাঁর সমস্ত শাসন তিন বার আমার উপর ন্যাস্ত করেছিলেন সুতরাং আমি বেঁচে থাকতে অধর্ম ও অবিনয়বাদীর বিস্তার না ঘটতেই অবশ্যই এই ধর্ম বিনয় সংগ্রহ এবং ভিক্ষু সম্মেলন করব। তবে বিষয়টি তিনি আপাতত গোপন রাখলেন।

অতঃপর মহাকশ্যপ স্থবির তিনি সশিষ্য কুশীনারার দিকে অগ্রসর হলেন। ঐ সময় মল্লরাজের মধ্যে ৪ জন প্রধান মল্ল নতুন বস্ত্র পরিধান করে ভগবানের চিতায় বার বার চেষ্টা করেও অগ্নিসংযোগ করতে ব্যর্থ হলেন। অরহত অনুরুদ্ধ স্থবিরকে এর কারণ ও হেতু জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন যে, যতক্ষন অরহত মহাকশ্যপ স্থবির তাঁর শিষ্য সহ এসে ভগবানের চরণ বন্দনা না করবেন ততক্ষণ চিতায় আগুন প্রজ্জলিত হবে না। তিনি এখন কুশীনারার পথে রয়েছেন। সবাই আশ্চর্য্য হয়ে চেয়ে রইলেন তিনি কেমন ভিক্ষু, যিনি এসে ভগবানের চরণ বন্দনা না নিবেদন করলে চিতা জ্বলবে না। সকলে উদ্গ্রীব হয়ে তাঁর পথপাণে তাকিয়ে রইলেন। অতঃপর অরহত মহাকশ্যপ চিতার স্থলে এসে চতুর্থ ধ্যান মগ্ন হয়ে অধিষ্ঠান করলেন, তথাগতের পাদদ্বয় আমার মস্তকে এসে স্থিত হোক অধিষ্ঠান সঙ্গে সঙ্গে মহাকারুণিক বুদ্ধের সুবর্ণ বর্ণ পাদদ্বয় স্বর্ণময় তৈল পূর্ণাধার চন্দন চিতা ভেদ করে মহাকশ্যপের কপালে স্থিত হল। তিনি ভগবানের পাদদ্বয় জড়িয়ে ধরে মস্তকে স্থাপন করলেন। উপস্থিত জনতা এই আশ্চর্য্য ব্যাপার দেখে মহাধ্বনি দিতে লাগলেন, তারপর সেই ৫০০ ভিক্ষু যাঁরা আগে অনেকেই বুদ্ধকে দেখেননি তারা ও বুদ্ধের পাদদ্বয় বন্দনা করলেন। বন্দনা করা শেষ হলে ভগবানের চিতা আপনা আপনি জ্বলে উঠল। অতঃপর দাহক্রিয়া শেষ হলে অরহত মহাকশ্যপ সেখান উপস্থিত ৭ লক্ষ ভিক্ষুর সামনে সুভদ্রের অন্যায় উক্তির কথা প্রকাশ করলেন।

উপস্থিত ভিক্ষুগন সুভদ্রের ভাষিত উক্তি শুনে ভীষণভাবে মর্মাহত হলেন। অরহত মহাকশ্যপ ধর্ম বিনয় পরিশুদ্ধ করার প্রস্তাব করলে সকলে তা সমর্থন করেন। উপস্থিত ভিক্ষুগণের অনুরোধে অরহত মহাকশ্যপ বুদ্ধ প্রশংসিত ত্রিপিটক বিশারদ ধর্ম বিনয়ে গভীর জ্ঞানে প্রদিসম্বিদাপ্রাপ্ত এরূপ ৫০০ অহরত ভিক্ষু নির্বাচন করলেন। আনন্দ তখনও অরহত হতে পারেননি তাঁর নাম উল্লেখ করলেন না, ভদন্ত আনন্দের নাম তালিকা অন্তভূর্ক্ত করার জন্য উপস্থিত ভিক্ষুসংঘ বিনীতভাবে অনুরোধ জানালে অরহত মহাকশ্যপ তাঁকেও তালিকাভূক্ত করলেন। মগধরাজ অজাতশত্র“র সাথে মহাকশ্যপ স্থবির আলাপ করে স্থান টিক করলেন। সপ্তপনী গুহাদ্বারে পঞ্চশত ধর্মমন্ডপ প্রস্তুত করলেন। দক্ষিণ দিকে উত্তরমুখী করে স্থবিরগণের আসন সুসজ্জিত করলেন। মন্ডপের পূর্বমুখী করে ভগবানের আসন তুল্য ধর্মাসন নির্মাণ করে দন্ডখচিত ব্যজনী স্থাপন পূর্বক দেবতুল্য চমৎকার এক মন্ডপ তৈরী করলেন।

ভদন্ত আনন্দ স্থবিরের অরহত্ব প্রাপ্তি ও সম্মেলনে যোগদানঃ

শ্রাবণী পুর্ণিমার পূর্বদিন ভিক্ষু সংঘ আনন্দ স্থবিরকে উৎসাহ দিতে লাগলেন। অরহত না হয়ে সম্মেলনে যোগদান করা আপনার উচিত হবে কি? আমাদের অনুরোধে আপনাকে তালিকাভুক্ত করেছেন কিন্তু বীর্যবানের পক্ষে ইহা শোভনীয় নয়। ধর্ম ভান্ডারাধ্যক্ষ হিসাবে খ্যাত, তথাগথের সঙ্গ

19/08/2023

ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারে খন্ডকালীন বিমুক্তি মার্গ বিদর্শন ভাবনা একাংশ

বৌদ্ধ ধম্ম হল বাস্তববাদী ও অদ্বিতীয়ড. বরসম্বোধি ভিক্ষু২০১৪ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর ভারতে ‘PK’ নামে একটি হিন্দি চলচিত্র বা স...
18/08/2023

বৌদ্ধ ধম্ম হল বাস্তববাদী ও অদ্বিতীয়

ড. বরসম্বোধি ভিক্ষু

২০১৪ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর ভারতে ‘PK’ নামে একটি হিন্দি চলচিত্র বা সিনেমা প্রকাশ পায়। তাতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন প্রখ্যাত চলচিত্র অভিনেতা আমির খান।

PK ফিল্মে একমাত্র বৌদ্ধ ধম্মকে বাদ দিয়ে অন্যান্য সমস্ত ধর্মের প্রতারণা, ঠকবাজ ও ভণ্ডামির বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হয়েছে। পাঠকগণ! আপনারা ভাবতে পারেন যে, পৃথিবীতে কোটি কোটি লোকের অনুসৃত অন্যতম একটি ধম্মকে চলচিত্রে কিভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে? আজ এখানে সে সম্পর্কে আলোকপাত করব।

বৌদ্ধ ধম্মকে চলচিত্র হতে বাদ দেওয়ার কারণ ইহাই ছিল যে, বৌদ্ধ ধম্মে ধম্মের নামে কোন ভণ্ডামি, প্রতারণা, কপটতা, ধোঁকাবাজী, আর্থিক লুঠতরাজ, দৈববাদ ইত্যাদির স্থান নাই। অর্থাৎ মিথ্যার কোন আশ্রয় নাই। যা সত্য, বাস্তব, বিজ্ঞান সম্মত ও প্রত্যক্ষ তাহাই প্রকাশ করা হয়েছে।

কিন্তু PK চলচিত্রে এমন এক অধ্যায় তৈরী করা হয়েছিল, যা দেখে অন্যান্য সমস্ত ধর্মের অনুসারীরা একত্র হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছিল যে, বাকী ধর্মকে বাদ দিয়ে কেবল বৌদ্ধ ধম্মকে কেন শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো হয়েছে? এ বিষয়টি নিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা শুরু হয়েছিল। দিন দিন আক্রোশ বেড়ে যাচ্ছিল। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা বাড়ছিল। অবশেষে চলচিত্র সেন্সর বোর্ড অধ্যায়টি বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিল। সে অংশটি বাদ না দিলে কেবল ভারতে নয়, অন্যান্য দেশেও বৌদ্ধ ধম্ম প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখত।

PK চলচিত্রের নায়ক আমির খান এক বৌদ্ধ ভিক্ষু বা ভন্তের কাছে গিয়ে বসলেন। এতটুকু পর্যন্ত চলচিত্রে দেখানো হয়েছে। এর পরের অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া অংশটুকু ছিল নিম্নরূপ-

‘ভিক্ষুর নিকটে গিয়ে বসার পর মনে মনে তিনি চিন্তা করছিলেন, ভিন্ন বস্ত্র পরিধানে মুণ্ডিত মস্তক এ লোকটি কে? তিনি এরকম বস্ত্র কেন পরিধান করেছেন? ইত্যাদি চিন্তা করে তিনি ভিক্ষুর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন-আপনি কি ঈশ্বর বা ভগবানকে জানেন? আপনার ঈশ্বর বা ভগবানও কি অন্যদের চেয়ে ভিন্ন?’

এর উত্তরে ভিক্ষুটি উত্তর দিলেন-‘বুদ্ধ কোন ভগবান বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেননি। তিনি নিজেও ঈশ্বর বা ভগবান নন। তিনি তাঁকে এরূপ বলেছেন যে-‘পুত্র! পৃথক পৃথক ধর্মের ভগবান বলে থাকেন যে, কেবল আমার উপর বিশ্বাস করো। আমিই মোক্ষ প্রদান করব। কিন্তু বুদ্ধ বলেছেন যে, আমি ঈশ্বর কিংবা ভগবান নই। আমি মনুষ্য মাত্র। আমি মোক্ষদাতা নই, আমি হলাম কেবল মার্গদাতা।’

PK আবার প্রশ্ন করছেন-‘আমার রিমোর্টটি হারিয়ে গেছে। তা কিভাবে পাব?’ তিনি আরও বলছেন-‘আমি মোক্ষ চাইনা। আমি কেবল রিমোর্টই চাই।’

এর উত্তরে ভিক্ষু বলছেন-‘আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা করো। খুঁজে দেখো। মানবগণ মোহের বশবর্তী হয়ে ফেঁসে রয়েছে। পয়সার জন্য সব কিছু করতে পারে। সত্য, ক্ষমা, ক্ষান্তির কখনও হার হয়না। চেষ্টা করতে থাকো। অবশ্যই পাওয়া যাবে।’

এ আশ্বাসে PK’র সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি মনে মনে ভাবতে লাগলেন যে, অন্যান্য লোক আশ্বাস দিয়েছেন, ভগবানের উপর ভরসা রেখো। ভগবানই রিমোর্ট এনে দিবেন এরূপ আশ্বাস দিয়েছেন। আর এ বৌদ্ধ ভিক্ষু বলছেন যে-‘তোমাকেই রিমোর্ট খুঁজতে হবে।’ মনে হচ্ছে ভিক্ষুটি পাগল। এরকম বলে তিনি চলে গেলেন।

পাঠগণ! চলচিত্রের এ অংশটি শেষ পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়েছে। চলচিত্রের অন্তিমে গিয়ে যখন PK সরফরাজ চলচিত্রকে সঠিক প্রমাণিত করে মিলিয়ে দিয়েছে, তখন PK বলেছেন- একজন লোকের কথাই আমার সঠিক মনে হয়েছে, তিনি হলেন বুদ্ধের অনুসারী ভিক্ষু, যিনি বলেছেন-‘খোঁজ করো।অনুসন্ধান করলেই তুমি রিমোর্ট পাবে। ভগবান বা ঈশ্বরের ভরসায় বসে থেকোনা।’

যদি PK চলচিত্রের এ অংশটি বাদ দেওয়া না হত, তাহলে আপনারাই চিন্তা করুন, বৌদ্ধ ধম্ম প্রসারের ক্ষেত্রে তা কিরূপ প্রভাব বিস্তার করত। এরূপ মন্তব্য করেছেন চলচিত্রের লেখক অভিজিত যোশী।

অনুরূপভাবে ভারতে অঙ্গুলিমাল চলচিত্র সিনেমা হলে প্রদর্শনের পর যে হারে লোকেরা বুদ্ধের প্রতি প্রভাবিত হচ্ছিল, তা দেখে ভয়ে হিন্দুত্ববাদীরা অঙ্গুলিমাল চলচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছিল। এভাবে দেখতে গেলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা সব সময় বুদ্ধ এবং বুদ্ধের শিক্ষাকেই ভয় করে থাকে। তারা জানে যতই বুদ্ধের শিক্ষা প্রসারিত হবে, ততই তাদের কাল্পনিক ও ভণ্ডামি মূলক ঐশ্বরীয় ধর্ম সমূহ অচল হয়ে যাবে। ইহাই হল বাস্তব। এজন্য তারা সবাই কোমর বেঁধে বৌদ্ধ ধম্মকেই দাবিয়ে রাখতে চায় সবসময়।

Address

Patenga

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ven S Priyaratna Bhikkhu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ven S Priyaratna Bhikkhu:

Share

Category