17/10/2025
মেয়েদের ফেসবুক টাইমলাইন - অসুস্থ টাইমলাইন🏃♀️
দুনিয়ার গারবেজ, সস্তা ইমোশনাল পোস্ট, জামা কাপড়ের বিজ্ঞাপন, জামাই-বউ ঘুরতে গেছে, খাইতে গেছে এগুলোর পোস্ট।
সাথে আছে কামড়াকামড়ি পোস্ট। পঁচা গোশত (গীবত) খাওয়ার পোস্ট।
আবার অন্য মেয়েদের জামাই নিয়ে কোথায় ঘুরার পোস্ট দেখা মানেই, নিজের জামাই ভালো না। রোমান্টিক না। অন্যরা কতো সুখী, খালি আমার কপালটাই খারাপ।
আরো আছে হিস্ট্রিরিয়া সমস্যা। একপাক্ষিক দোষারোপ পোস্ট। ওদের লেখা পড়ে মনে হয় দুনিয়ার সব পুরুষ ***।
এই ধরনের অনলাইন পরিবেশে মেয়েদের মনে যে মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন তৈরি হয় তা গভীর ও বহুমাত্রিক। নিয়মিত অন্যদের “সুখী জীবন”, “রোমান্টিক সম্পর্ক” বা “আকর্ষণীয় বাহ্যিকতা” দেখার ফলে অনেক মেয়ের মধ্যে সামাজিক তুলনা (social comparison) এবং অপ্রাপ্তির বোধ (inadequacy feeling) তৈরি হয়।
তারা নিজের বাস্তব জীবনের সুখ, স্বামী, পরিবার বা রূপ নিয়ে অজান্তেই নেতিবাচক তুলনা শুরু করে, যার ফলাফল হয় self-esteem হ্রাস, insecurity, ও হিংসা বা resentment। অন্যদিকে, ফেসবুকের গীবত ও একপাক্ষিক অভিযোগের পোস্টগুলো collective victim mentality ও histrionic behavior বাড়ায়, যেখানে কেউ নিজের আবেগের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সহানুভূতি বা মনোযোগ পাওয়ার জন্য নাটকীয়তা তৈরি করে।
সময়ের সাথে এটি তাদের মধ্যে emotional dysregulation, anxiety, ও depression-এর প্রবণতা তৈরি করে। সংক্ষেপে, ভার্চুয়াল সুখ আর বাস্তব জীবনের ব্যবধান যত বাড়ে, ততই মনের ভিতরে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা, হতাশা, ও আত্মতাড়িত শূন্যতা।
সিরিয়াস পরামর্শঃ মেয়েরা ফেসবুক, টিকটক, ইন্সটা'কে যতোটা সত্যি ও সিরিয়াস মনে করো, তা ততোটা সত্যি, সিরিয়াস না। অনলাইনের রাণী👸 খোঁজ নিলে দেখা যাবে ঠিকানাহীন ফকি*👽।
অনলাইনের সুখী দম্পতি আইডল যারা তারাই ৭ দিন, ২৪ ঘন্টা ঝগড়াঝাটি করে। মাসে ১বার ঘুরতে গিয়ে, বাইরে খেতে গিয়ে তার ২০০-৩০০ ছবি পোস্ট করে মানুষকে দেখাতে যে কতো রিচ, রোমান্টিক, সুখী আমরা।
সুতরাং সুখী হতে চাইলে অনলাইনে সময় কমিয়ে বাস্তবে বসবাস করুন। পড়াশোনায় মন দিন, বই পড়ুন, সিরিয়াসলি দ্বীন চর্চা করুন, নিকটতম মানুষদেরকে সময় দিন।
- Khandaker Ariful Haque