22/08/2025
তানিয়া খুব ভালোবেসে প্রিয় মানুষটির হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলো। শুধু একটাই স্বপ্ন— সেই মানুষটির সাথে সংসার করবে, সুখের দিন কাটাবে। পরিবার, আপনজন সবকিছু পেছনে ফেলে দিয়ে ভালোবাসার টানে বিয়ে করেছিলো তারা। 💔
কিন্তু বিয়ের দুই মাসও পার হলো না, তানিয়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হতে শুরু করলো। স্বামী বদলে গেলেন। নেশার জগতে হারিয়ে গেলেন তিনি। রাত গভীরে দরজায় এসে গলা তুলে ডাকেন— “এই ছেরি! দরজা খোল!” 😢
তানিয়ার বুকের ভেতর হাহাকার জাগে। যে মানুষটার জন্য সব ছেড়েছিলো, সেই মানুষটাই আজ এমন কেনো হলো? 💔
তানিয়ার সমস্ত অভিযোগ আল্লাহর দরবারে। তবুও আশা ছাড়তে পারেনি। একদিন খবর এলো— সে মা হতে চলেছে। আনন্দের বদলে ভয় পেয়ে যায় তানিয়া। স্বামী কি পাশে থাকবে? আদৌ কোনো দায়িত্ব নেবে? 😟
দিন যায়। সময়ের সাথে সাথে স্বামীর কোনো খোঁজ মেলে না। বরং সে একেবারেই উধাও হয়ে যায়। একা তানিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সন্তান জন্মের সময় এলো। হাসপাতালে সিজার হলো। কোলজুড়ে এলো এক ফুটফুটে মেয়ে সন্তান— বাবার মতোই চেহারা। 👶
বাচ্চাটাকে দেখে চোখে পানি চলে এলো তানিয়ার। কিন্তু সেই সুখও অল্পক্ষণের, কারণ পাশে কেউ নেই। 😢
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর শুরু হলো তানিয়ার সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ। নিজের কাটা ঘায়ের ব্যথা, ওষুধের খরচ, নবজাতকের দুধ— সব কিছুর দায়িত্ব তার একার কাঁধে। স্বামী নেই, কারো সহযোগিতা নেই। একটি ছোট ভাড়া ঘরে বাচ্চাটাকে নিয়ে দিন কাটাতে থাকে সে। কিন্তু যখন দেখলো ঘরে কিছু নেই, বাচ্চার দুধের টাকা পর্যন্ত নেই— তখন সে ভেঙে পড়লো। 😔
শেষ পর্যন্ত তানিয়া সিদ্ধান্ত নিলো— রাস্তার পাশে গিয়ে মানুষের কাছে হাত পাতবে। কোলের বাচ্চাটাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার এক কোণে। গলা কাঁপিয়ে বলে—
“আমাকে সাহায্য করুন, আমার বাচ্চার দুধ খাওয়ানোর টাকা নেই।” 🥺
কেউ ৫ টাকা দেয়, কেউ ১০ টাকা। সেই টাকা দিয়ে বাচ্চার জন্য দুধ কিনে আনে। নিজের জন্য ওষুধ কেনার মতো টাকা পায় না সবসময়। যখনই বাচ্চার দুধ ফুরিয়ে যায়, আবার রাস্তায় বের হতে হয়। অসুস্থ শরীর, কোলের শিশু নিয়ে ভিক্ষা করে দিন কাটাতে হয়। 😞
তানিয়া ভাবে— এ জীবনের জন্য কি সে ঘর ছেড়েছিলো? এ কষ্টের জন্যই কি ভালোবেসেছিলো? চোখ ভিজে ওঠে, আর মনে মনে বলে— আল্লাহ আমার ভাগ্যটা এমনই লিখেছেন। কথা গুলো গল্প নয়, আয়নার মত সত্যি। 😭
#তানিয়ারকাহিনী #মায়ারশক্তি