21/07/2025
আমি একজন মায়ের জায়গা থেকে লিখছি।
আমার ছেলে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে যখন ভাবি ঐ নিষ্পাপ শিশুদের কথা, বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠে। আজ আমার ছেলের তিন দিন ধরে জ্বর কাশি নিয়ে অনেক কষ্ট পাচ্ছে বিছানা থেকে পর্যন্ত উঠতে পারছে না কত আদর যত্ন করে রাখছি শুধু একটু সুস্থ করে তোলার জন্য বাচ্চারা একটু অসুস্থ হলে আমরা মায়েরা কত অধৈর্য হয়ে যায় আর এদিকে দুপুর থেকে নিউজ ফিডে শুধু হাহাকার না জানি, তাদের মা-বাবারা কীভাবে সহ্য করছেন এই অমানবিক যন্ত্রণা!
সকালবেলা যারা আদর, স্নেহ, ভালোবাসায় স্কুলে রওনা দিলো
দুপুরে ফিরলো নীরব, নিস্তব্ধ লাশ হয়ে।
যারা ছিল প্রাণের ধন, আজ তারা শুধুই শোকের ছায়া।
কতজনের তো লাশটুকুও পাওয়া যাবে না।
আর কেউ ডাকবে না “মা” বলে, আর কোনোদিন বাড়িটা মুখরিত হবে না তাদের হাসি-কোলাহলে।
এ এক জীবনের মতো পোড়া ক্ষত —
যেটা কেউ ভুলতে পারবে না, মুছতে পারবে না।
হে ঈশ্বর, তুমি ধৈর্য্য দিও সেইসব মা-বাবাকে,
যারা এখনো খুঁজে ফিরছে তাদের নয়নের মণিকে।এই রাত, এই নিঃসীম অন্ধকার কেমন করে কাটবে তাদের?
এই দায়ভার কার?
কেন উড়ল আজ যুদ্ধবিমান?
কেন এই নিরাপরাধ সন্তানদের ঝরে যেতে হলো?
আজ শুভরাত্রি নয় —
আজ গোটা দেশের বুকজোড়া কান্না,
আজ বাংলাদেশের কালরাত্রি😰😥