গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা

  • Home
  • Bangladesh
  • Chittagong
  • গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার একটি অঙ্গসংগঠন

🔴 ১৯শে মহররম সিরিকোটি হুজুর কিবলা (র) এর মুরীদ ও খলীফা শায়খ নূর মুহাম্মদ আল কাদেরী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা এর ওরস উপলক্ষ্য...
15/07/2025

🔴 ১৯শে মহররম সিরিকোটি হুজুর কিবলা (র) এর মুরীদ ও খলীফা শায়খ নূর মুহাম্মদ আল কাদেরী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা এর ওরস উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ

🔸জন্ম ও পরিচয়ঃ

ফানাফিশ শাইখ নুর মুহাম্মাদ আলক্বাদেরি (র) ছিলেন সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়ার একজন একনিষ্ঠ সেবক এবং যুগশ্রেষ্ঠ বুজুর্গ কুতুবুল আউলিয়া সৈয়দ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (র)'র অত্যন্ত প্রিয় ভাজন ও স্নেহধন্য মুরিদ। এই ক্ষণজন্মা পুরুষ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ ১৩৭৪ হিজরির ১১ই মুহররম চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার বাকলিয়াস্থ এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হলো হাজী মুহাম্মাদ হোসেন।

🔸কর্মক্ষেত্রঃ

নুর মুহাম্মাদ আলকাদেরি (র) অতি সাধারণ পরিবেশে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর অবিচল কর্মক্ষেত্র তাঁকে একজন মহত্ত্বের রূপ লাবণ্যে সুদর্শন করেছিল। তিনি শৈশবে মক্তব শিক্ষা শেষ করে পার্থিব শিক্ষিত হয়ে উঠলেন এবং যৌবনে তিনি পৈত্রিক পেশা ব্যবসাতে নিজেকে নিয়োগ করেন। ব্যবসায়িক অঙ্গণ ছাড়াও ইসলামিক বিভিন্ন সংগঠন, সমাজ-দেশের প্রত্যেকটি অঙ্গনেই তাঁর পদচারণা দেখা যায়। নিম্নে তার আংশিক আলোচনা করা হলো-

♦️ধর্মীয় অঙ্গণেঃ

🔷তিনি আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজীবন সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

🔷জামিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের তিনি ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠাতা গভর্নর।

🔷আঞ্জুমানে খাদেমুল হজ্ব ও বাংলাদেশ হজ্ব কমিটির তিনি একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন।

♦️পার্থিব অঙ্গণেঃ-

🔷চট্টগ্রাম রিলিফ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

🔷চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

🔷১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি বক্সিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাবেক চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার হিসেবে জনগণের সেবা করে গেছেন।

🔷চন্দনপুরা গুল-এজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চর চাক্তাই বালক উচ্চ বিদ্যালয়, লামাবাজার সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রাখেন।

🔷ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতি গঠনে তিনি উল্লেখযােগ্য অবদান রাখেন।

🔷তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাস্টি বাের্ড সদস্য ছিলেন।

🔷এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম জেলা মুসলিম লীগের সহ সভাপতি ও প্রাদেশিক কাউন্সিলর এর দায়িত্ব পালন করেন গভীর নিষ্ঠার সাথে।

🔸দেশপ্রেমঃ

রাজনৈতিকভাবেও তিনি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন নিরলস কর্মী ছিলেন। তিনি একজন তুখােড়, সংগ্রামী, আপােষহীন, সচেতন ও সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তৎকালীন মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক ইত্যাদি কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশগুলােতে সফর ও করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানবাসীর উপর সরকারী বিমাতাসূলভ আচরণকে বন্ধ করার লক্ষ্যে আলােচনার জন্যে তাঁর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মুহাম্মদ আইয়ুব খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এতে অনেকাংশে সফলতা লাভ করেন।

🔸বায়'আত গ্রহণঃ

ইহজাগতিক সকল স্তরে সফলকাম হলেও মনে স্বস্তি ছিল না তাঁর, কি এক অজানা অতৃপ্তের হাহাকার হৃদয়-চিত্তকে অবিরাম নাড়া দিত। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু ও প্রিয় নবী রাহমাতুল্লিল আলামিন যখন কোন বান্দার প্রতি সদয় হন, তখন সে বান্দার জন্য কোন না কোন নেক উসিলার ব্যবস্থা করে দেন এভাবেই পঞ্চাশ দশকের শেষভাগে তাঁর জীবনে এলাে এক সুবর্ণ সুযােগ। এ সময় চট্টগ্রামের কৃতিপুরুষ আলােকিত সন্তান কোহিনূর ইলেক্ট্রিক প্রেস, কোহিনূর লাইব্রেরী ও দৈনিক আজাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক, কুতুবুল আউলিয়া আওলাদে রাসূল হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (র)-কে রেঙ্গুন হতে চট্টগ্রাম নিয়ে আসেন অন্যান্য পীরভাইদের সহায়তায়। এই সুযোগেই তিনি কুতুবুল আউলিয়া হযরত সৈয়দ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (র)'র পবিত্র দাস্ত মুবারকে হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করে এক নতুন জীবন লাভ করেন। এতদিনের অতৃপ্ত আত্মা যেন কিসের স্নিগ্ধ পরশে প্রশান্তি লাভ করে। শুরু হয় জীবনের আরেক অধ্যায়। আপন পীরের প্রতি তিনি নিজের অজান্তেই আসক্ত হয়ে পড়েন। কোন মতেই চেহারা মুবারকটি ভুলতে পারছিলেন না। ভুলতে পারলেননা তাঁর মুখ নিঃসৃত বাণীসমূহ। তাঁর কর্মকান্ড ও কথাবার্তা শুনে অভিভূত হয়ে পড়েন। কিছুই তাঁর ভাল লাগছিল না। তাই সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র সাথে প্রায়ই দেখা ও সাক্ষাত করতে ছুটে যেতেন। তরীকতে দাখিল হতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে লাগলেন। সাথে সাথে তিনি চাটগাঁয় এক পা দুই পা করে এগিয়ে যাওয়ার সময় হযরত সিরিকোটী (র)কে অনুভব করলেন। আপন পীরকে স্মরণে রেখে খেদমতের নাযরানা পেশ করতে লাগলেন।

🔸ফানাফিশ শায়খঃ

মুর্শিদ-মুরিদের সম্পর্ক কি রকম হওয়া প্রয়ােজন, এ সম্পর্কে কোন রকম পূর্ব ধারণা না থাকলেও আপন পীরের অলৌকিক ক্ষমতা (তাওয়াজ্জুহ) তাঁর মনে গভীর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অন্তরে অন্তরে বেজে উঠে বিনা তারের ঝংকার।আপন পীরের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, মন-মেজাজ সম্পর্কে তিনি বিশেষভাবে অবগত ছিলেন। মুর্শিদের তাওয়াজ্জুহ'র কারণে এটা সম্ভব হয়েছিল।
আল্লাহ রাসূল প্রেমের সুর মুৰ্ছনায় অবগাহন করে স্নিগ্ধতায় শুভ্রতায় পরিশুদ্ধ হয় দেহ-মন-আত্মা। এভাবেই অর্জিত হয় ফানাফিশ শায়খ, ফানাফির রাসূল হয়ে ফানাফিল্লাহর মাকাম। মুর্শিদের ইচ্ছাতে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করাই একজন মুরিদের প্রথম ও প্রধান কাজ। এ কথা সওদাগর ছাহেবের অবচেতন মনে গেঁথে যায়। মুরিদের আত্মার উন্নতির সােপান পীরের প্রতি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। এ কথা মনে রেখেই তিনি পীরের খেদমতে সমর্পিত হন।

🔸অন্যান্য খেদমতঃ

নিজের বাসভবনে মুর্শিদের খানকাহ্ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য একটি সম্পূর্ণ তলা ওয়াকফ করে দেন। আওলাদে রাসূল (৩৯তম) হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ ছিরিকোটি সফরসঙ্গী হয়ে তিনি পবিত্র হজ্ব সমাপন ও প্রাণপ্রিয় নবী রাহমাতুল্লিল আলামীন’র রওজা মুবারক যিয়ারত করেন। পাশাপাশি হুযুর কেবলা (র)'র সাথে বাগদাদ শরিফ, আজমীর শরিফ ও যিয়ারত করেন। ১৯৫৮ সালের পর হুজুরে আর বাংলাদেশে তাশরীফ রাখেননি। তাঁর ছাহেবজাদা ও প্রধান খলিফা আওলাদে রাসূল (৪০তম) হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (র) দরবারে আলিয়া কাদেরিয়ার সাজ্জাদানশীন হয়ে এদেশে শুভাগমন করেন সিলসিলার মহান দায়িত্ব নিয়ে। আমৃত্যু আলহাজ্ব নুর মুহাম্মাদ আল-কাদেরি (র) কায়িক ও আর্থিকভাবে সিলসিলার খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। পীরের সাহেবজাদার প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধা ছিল প্রশংসনীয়।

🔸জামেয়া নির্মাণে তাঁর অগ্রণী ভুমিকাঃ

১৯৫৪ সালে মুর্শিদে বরহক কুতবুল আউলিয়া হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ ছিরিকোটি রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলায়হি মসলক-এ আ'লা হযরত-এর নীতির উপর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলে পীরভাইদের অনেকেই সেমিপাকা, কাঁচাবাশের দ্বারা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এতে হুজুর কিবলা মত দেননি। আলহাজ্ব নুর মােহাম্মদ সওদাগর এতক্ষণ কোন পরামর্শ না দেয়ায় হুজুর তাঁর মতামত জানতে চাইলে তিনি (সওদাগর সাহেব) সরাসরি পাকা দালান করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন (হুজুর! মাদরাসা ভবন পাক্কা হোগা, ইনশাআল্লাহ।) হুজুর এ কথা শুনে আনন্দাপ্লুত হয়ে সওদাগর সাহেবের পিঠ চাপড়ে দিলেন। তিনি এও বলেন যে, "জামেয়ামে যেতনী লোহেকা জরুরত হোগা হাম দেঙ্গে ইনশাআল্লাহ।"

সওদাগর সাহেবের এ প্রস্তাব শুনে হুজুর উৎফুল্ল হয়ে উঠেন। মুর্শিদের মন-মেজাজ, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল ছিলেন আলহাজ্ব নুর মােহাম্মদ আল-কাদেরী। এসবই তিনি মুর্শিদের অনুগ্রহে লাভ করেছিলেন।

🔸জশনে জুলুসে ঈদ-এ মিলাদুন্নাবি (ﷺ)-এ নেতৃত্ব দানঃ

কুতুবুল এরশাদ আওলাদে রাসুল হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (র)'র খেদমতে তিনি আমৃত্যু নিবেদিত ছিলেন। ১৯৭৪ সালে হুজুরের জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) পালনের নির্দেশ প্রদান করলে তাঁরই নেতৃত্বে সর্বপ্রথম বলুয়ারদীঘি পাড়স্থ খানকায়ে কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া হতে জুলুছ বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ময়দানে গিয়ে সমাপ্ত হয়।

🔸আলক্বাদেরি উপাধি লাভঃ

তিনি আপন পীরের কাছে নিজেকে পুরােপুরি সমর্পন করেছিলেন। তিনি যেদিন পীরের বায়'আত গ্রহণ করেন সে দিন থেকে নিজেকে পীরের কাছে ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। নিজের বলতে কিছুই দাবী করতেননা। পীরের সাহেবজাদার প্রতিও তিনি যথেষ্ট নিবেদিত। তাই তো তিনি সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ হুজুর কেবলা (র)কে সন্তুষ্ট করে “আলক্বাদেরী” খেতাবে ভূষিত হন এবং ১৯৭৬ সালে হুযুর কেবলা (র)'র প্রধান খলীফা হিসেবে খেলাফত প্রাপ্ত হন। এটা কোন সাধারণ ব্যাপার নয়। ত্বরিকতের এ প্রাপ্তি মুক্তির সােপান। মুর্শিদ রাজী হলে আল্লাহ্ রাসুল সন্তুষ্ট হবেন এ কথা যেমন অবধারিত সত্য, তেমনি মুর্শিদের রেজামন্দি হাসিলের জন্য প্রয়ােজন নিঃস্বার্থ ও নিরহংকার মনের নিঃশর্ত আত্ম সমর্পণ।

🔸 সন্তান সন্ততিঃ

হযরত নূর মোহাম্মদ আল-কাদেরী (র)'র এক সুযোগ্য পুত্র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন সাহেব আঞ্জুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে থেকে পিতার আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করে চলেছেন নিষ্ঠার সাথে। তাঁর অপর এক পুত্র সাবের আহমদ গাউসিয়া কমিটির সাথে ওতপ্রোতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তাঁর অপরাপর সন্তান সন্ততিগণও নিষ্ঠার সাথে এ দরবারের খেদমতে নিয়োজিত আছেন।

🔸ওফাতঃ

অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী তাঁর ইন্তিকালের মুহূর্ত। এ সময় তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন যে, “আমার মুর্শিদে বরহক্ব আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও গাউসুল আজম আবদুল কাদের জিলানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ফুলেরমালা হাতে বরণ করে নিতে অপেক্ষা করছেন। এ বলে তিনি ১৯৭৯ সালে ১৪০০ হিজরীর ১৯শে মুহররম সােমবার প্রিয়নবী রসূলে, আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিতে দিতে জান্নাতের চির আতিথ্য গ্রহণ করলেন।

♦️তথ্যসূত্র:
তরজুমান-এ আহলে সুন্নত ওয়াল জাম'আত, মহররম সংখ্যা।

12/07/2025

শোহদায়ে কারবালা ও হযরত মোল্লা মিসকিন শাহ (রহ:)'র ওরশ মোবারক
তারিখ: ১০ই জুলাই ২০২৫ইং, শুক্রবার, বাদে মাগরিব
স্থান: হযরত মোল্লা মিসকিন শাহ্ (রহ:) মাজার প্রাঙ্গণ
আয়োজনে : গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা

Group: গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা

এস.এস.সি/দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তসহ কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থীকে জানাই গাউসিয়তের শুভেচছা ও অভিনন্দন 💚 #এসএসসি...
10/07/2025

এস.এস.সি/দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তসহ কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থীকে জানাই গাউসিয়তের শুভেচছা ও অভিনন্দন 💚

#এসএসসি২০২৫ #দাখিল২০২৫ #পরীক্ষার্থী_শুভেচ্ছা #গাউসিয়া_কমিটি_বাংলাদেশ_চকবাজার_শাখা_১৬_নং_ওয়ার্ড #আলহামদুলিল্লাহ #গাউসিয়া_কমিটি #গাউসিয়া_কমিটি_বাংলাদেশ #চন্দনপুরা_শাখা #চট্টগ্রাম

আজকের দিনের আমল:    গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা
06/07/2025

আজকের দিনের আমল:


গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা

❝ইসলাম জিন্দা হোতা                    হ্যায় হার কারবালা কি বাদ❞ "সুলতানে কারবালা কো হামারা সালাম হো" 🧡🖤"জানে মুস্তফা কো ...
04/07/2025

❝ইসলাম জিন্দা হোতা
হ্যায় হার কারবালা কি বাদ❞

"সুলতানে কারবালা কো হামারা সালাম হো" 🧡🖤

"জানে মুস্তফা কো হামারা সালাম হো"

🌹"কারবালাতে আমি যা দেখেছি-🌿🌿
তা যদি কেউ দেখতো.......
তবে সে হাসি কি, তা ভুলে যেত।"🌿🌿
_ইমাম জয়নুল আবেদীন রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহু।

ওই কপাল মোবারকের উপর সালাম ইয়া হুসাইন (আঃ)
যে কপালে আমার নবী মোস্তফা (ﷺ) চুমু দিয়েছেন।

🌹শাহ আস্ত হোসাঈন, বাদশাহ আস্ত হোসাঈন। 💝
💝 সুলতানে কারবালা কো হামারা সালাম হো,,। 💝

"আসসালাম ইয়া হুসাইন"🌿🌿
"মেরে বাদশা হুসাইন হে"🌿🌿

««❝ ওস হুসাইন ইবনে হায়দার পে লাখো সালাম❞ »»

🥀🥀ফিদাকা আবি ওয়া উম্মি ওয়া নাফছি ইয়া মওলা হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু 🥀🥀

আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনায় ঐতিহ্যবাহী আলমগীর খানকা - এ - কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবি...
02/07/2025

আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনায় ঐতিহ্যবাহী আলমগীর খানকা - এ - কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া চট্টগ্রাম এ আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী শোহাদায়ে কারবালা মাহফিল আরম্ভ হতে যাচ্ছে।
সফলতা কামনা করছি - গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা

Gausia Committee Bangladesh Anjuman-E Rahmania Ahmadia Sunnia Trust গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা

01/07/2025

হুজুর কেবলা (ম.জি.আ)'র নূরানী জবানে তাওবা পাঠ

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা

তিরমিজি: হাদিস - ৩৭৩১, ৩৮৫৮প্রচারেঃ গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা
28/06/2025

তিরমিজি: হাদিস - ৩৭৩১, ৩৮৫৮
প্রচারেঃ গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা

🕌 “ইন্নামা আল-উসরি ইউসরা” – নিশ্চয়ই কষ্টের পরেই আছে স্বস্তি (সূরা আশ-শারহঃ ৬) চলমান এইচ এস সি/ আলিম ও সমমান পরীক্ষা ২০২...
27/06/2025

🕌 “ইন্নামা আল-উসরি ইউসরা” – নিশ্চয়ই কষ্টের পরেই আছে স্বস্তি (সূরা আশ-শারহঃ ৬)
চলমান এইচ এস সি/ আলিম ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫ এ অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক দোয়া ও শুভকামনা
📚 ইলমের এই সফরে তোমার প্রতিটি পরিশ্রম হোক কবুল,
🖋️ প্রতিটি উত্তর হোক সৎ নিয়ত ও আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ।
🤲 আল্লাহ তাআলা যেন তোমাদের কলমে বরকত দেন,
আর ফলাফল করেন উত্তম ও মর্যাদাময় – আমিন।

#এইচএসসি২০২৫ #আলিম২০২৫ #পরীক্ষার্থী_শুভেচ্ছা #গাউসিয়া_কমিটি_বাংলাদেশ_চকবাজার_শাখা_১৬_নং_ওয়ার্ড #আলহামদুলিল্লাহ #গাউসিয়া_কমিটি #গাউসিয়া_কমিটি_বাংলাদেশ #চন্দনপুরা_শাখা #চট্টগ্রাম

⭐🌙 ১৪৪৭ হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা। ⭐🌙 পবিত্র মহররম মাসের আমল ও ফযিলত। 💚১লা মহররমের আমল: ♣️১লা মুহাররম দুই রাকাত নামায আদায...
26/06/2025

⭐🌙 ১৪৪৭ হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা।
⭐🌙 পবিত্র মহররম মাসের আমল ও ফযিলত।

💚১লা মহররমের আমল:

♣️১লা মুহাররম দুই রাকাত নামায আদায় করা যায়। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর তিনবার করে সূরা ইখলাস পড়বেন। এরপর নিম্নোক্ত দো'আটি পাঠ করলে সারা বৎসর শয়তানের প্ররােচনা থেকে রক্ষা পাবে, এবাদতের একনিষ্ঠতা হাসিল হবে এবং সকল বিপদ থেকে রক্ষিত থাকবে ইনশাআল্লাহ। দোয়াটি এই-
اللَّهُمَّ أَنْتَ الْأَبَدِيُّ الْقَدِيمُ وَهَذِهِ سَنَةٌ جَدِيدَةٌ أَسْىىَٔلُكَ فِيهَا الْعِصْمَةَ مِنَ الشَّيٰطِينِ وَأَوْلِيَاءِهِ وَالْعَوْنِ عَلَى هَذِهِ النَّفْسِ الْأَمَّارَةِ بِالسُّوْءِ وَالإِشْتِغَالِ بِمَا يُقِرُّ صَلَّي اللّٰه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِي إِلَيْكَ يَا كَرِيمُ.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আন্তাল্‌ আবাদিইউল ক্বদীমু, ওয়া হাজিহী ছানাতুন্‌ জাদীদাতুন্‌ আছআলুকা ফী-হাল ই'সমাতা মিনাশ্ শায়াত্বীনি ওয়া আউলিয়াইহী ওয়াল 'আউনি আ'লা হাজীহিন নাফসিল আম্মারাতি বিছু-য়ী ওয়াল ইশতিগ্ব-লি বিমা ইউকিররু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুনিয়া ইলাইকা ইয়া কারীমু।

♣️ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, মুহররমের ১ম তারিখে ছয় রাকাত নামায নিম্ন লিখিত নিয়মে আদায় করলে আল্লাহ তা'আলা তাকে বেহেশতে ইমারত দান করবেন এবং ছয় হাজার বালা মুসিবত দূর করে দিয়ে সমপরিমাণ নেক আমলের সওয়াব দান করবেন।
উক্ত নামায দুই রাকাত করে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে ১০ বার সূরা ইখলাস দিয়ে আদায় করবেন।

♣️ইমামুত্ তরীক্বত হযরত বাহাউদ্দীন নকশবন্দী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহার সাথে ১১ বার সূরা ইখলাস দিয়ে চার রাকাত নামায আদায় করে নিম্নের দোয়াটি একবার পাঠ করে তাকে বেশুমার সওয়াব প্রদান করা হবে।
দোয়া: সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।

💚 মুহাররম ও আশুরার রোযার ফযিলতঃ

মহররম মাস অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ সম্মানিত মাস। এ মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ কলহ বিবাদ নিষিদ্ধ। কুরআনের ভাষায় ‘আরবাআতুন হুরুম’-অর্থাৎ চার সম্মানিত মাসের অন্যতম এই মাস। এ মাসে রোযা রাখার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

১। মায়মুন ইবনে মেহরান হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বলেন, হুযুরে পাক (দ) এরশাদ করেন, কোন ব্যক্তি যদি মহররম মাসের আশুরার দশটি রোযা রাখে, তবে তাকে দশ হাজার ফেরেশতার ইবাদাতের পরিমাণ পুণ্য দান করা হয়। তা ছাড়া দশ হাজার হাজী এবং ওমরাকারীদের ন্যায় পুণ্য ও দান করা হয়। (গুনিয়াতুত্ব ত্বালেবীন)

২। আবু নসর সনদ পরম্পরায় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণনা করেন যে, হুযুরে পাক (দ) এরশাদ করেন, মহররম মাসে যদি কেউ রােযা রাখে তবে প্রতিটি রােযার বদলে
ত্রিশটি রোযার পুণ্য লাভ করে।
(গুনিয়াতুত্ব ত্বালেবীন)

৩। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
أفضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم
‘রমযান মাসের ফরয রোযার পর সম্মানিত মাস মুহাররমের রোযাই হল সর্বশ্রেষ্ঠ রোযা।’
[সহীহ মুসলিম ২/৩৬৮; জামে তিরমিযী ১/১৫৭]

👉এর মধ্যে আশুরার রোযার ফযীলত আরও বেশি।

৪। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি। [সহীহ বুখারী হাদিসনং-১/২১৮]

৫। অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
صيام يوم عاشوراء احتسب على الله أن يكفر السنة التى قبله
‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোযার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।[সহীহ মুসলিম ১/৩৬৭; জামে তিরমিযী ১/১৫৮]

৬। আশুরার রোযা সম্পর্কে এক হাদীসে এসেছে যে, ‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ। [মুসনাদে আহমদ ১/২৪১]

৭। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যদি আমি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে ৯ তারিখ সহ আশুরার দিনও অবশ্যই রোযা রাখব।
[সহীহ মুসলিম ১/৩৫৯]

৮। হযরত আবু হােরায়রা (রাঃ) বলেন, হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেন, বনি ইস্রাইলদের উপর সারা বৎসরের মহররম মাসের দশ তারিখের আশুরার রােযা ফরজ ছিল। তাই মুসলমানদেরও উচিত আশুরার দিন রােযা রাখা এবং পরিবার-পরিজনদের জন্য তৃপ্তিজনক ইফতারী ও আহারের ব্যবস্থা করা। কেননা, এই দিনের বরকতে আল্লাহ তায়ালা সারা বৎসর সুখ-শান্তিতে রাখেন। এই দিনের রােযার বরকতে আল্লাহ তায়ালা চল্লিশ বৎসরের গুনাহ মাফ করেন।
(গুনিয়াতুত্ব ত্বালেবীন)

৯। হযরত আব্বাস (রা) বলেন, হযরত রাসূলে কারীম (দ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের শেষ দিন এবং মহররম মাসের প্রথম দিন রােযা রাখে, সে যেন বিগত বৎসরের রােযা রাখা আরম্ভ করল। ইহার ফলে আল্লাহ তায়ালা তার পঞ্চাশ বৎসরের পাপ মার্জনা করে দেন। (গুনিয়াতুত্ব ত্বালেবীন)

১০. হযরত উরওয়াহ (রহ) হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণনা করেন, আইয়্যামে জাহেলিয়াতে কোরায়েশ সম্প্রদায়ের লােকেরা আশুরার দিন রােযা রাখত। হিজরতের পূর্বে মক্কায় অবস্থান কালে হযরত রাসূলে কারীম (দ) ও তাঁর সাহাবীগণও আশুরার দিন রােযা রাখতেন। হুযুরে পাক (দ) হিজরত করে মদীনায় তাশরীফ আনার পর ইয়াহুদিগণের কাছে আশুরার দিনটির কথা জিজ্ঞাসা করলেন। তারা জবাবে বলল যে, ঐদিন আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা (আ) এবং তাঁর কাউম বনি ইস্রাইলগণকে ফিরআউনের হাত হতে মুক্তি প্রদান করেন।

অতএব ঐ গৌরবময় দিনটির সম্মান জ্ঞাপনার্থে আমরা ঐদিনে রােযা রাখি। তাদের কথা শ্ৰবণপূর্বক হযরত রাসূলে কারীম (দ) বলেন, তােমরা আল্লাহর নবী হযরত মূসা (আ) এর যতখানি হকদার, আমরা তার সম্পর্কে তদপেক্ষাও অধিক হকদার। অতঃপর হুযুরে পাক (দ) তাঁর উম্মতগণকে নির্দেশ করলেন যে, তােমরাও আশুরার দিন রােযা রাখ।
(গুনিয়াতুত্ব ত্বালেবীন)

আল্লাহ পাক এই পবিত্র মহররম মাসে আমাদের সবাইকে বেশী বেশী ইবাদত বান্দেগী করার তৌফিক দান করুক, আমিন।🤲

📚তথ্যসূত্রঃ
১. গুনিয়াতুত তালেবিন.(হযরত আবদুল কাদের জিলানী কৃত)।
২. গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব।
৩. তরজুমানে আহলে সুন্নত ওয়াল জাম'আত।
৪. বারো মাসের নফল ইবাদত।

সালামান্তে,,
মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম রফিক





Group: গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা

জামেয়া শরীফ...বাণী: শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মাদ আকিব শাহ (ম.জি.আ)  Group: গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা Page: গাউসিয়া...
24/06/2025

জামেয়া শরীফ...
বাণী: শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মাদ আকিব শাহ (ম.জি.আ)


Group: গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,চন্দনপুরা শাখা
Page: গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা

Address

Chittagong

Telephone

+8801830069995

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনপুরা শাখা:

Share