
21/12/2024
ফ্রিজ কেনার আগে জানা দরকার:
(ক) ফ্রিজের আকার ও ক্ষমতা:
আপনার পরিবারের সদস্যসংখ্যা এবং খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের আকার নির্বাচন করুন।
পরিবারের সদস্যসংখ্যাফ্রিজের ধারণক্ষমতা
১-২ জন৫০-২০০ লিটার
৩-৪ জন২০০-৩০০ লিটার
৫ বা ততোধিক৩০০-৫০০ লিটার
(খ) ইনভার্টার এবং নন-ইনভার্টার প্রযুক্তি:
• ইনভার্টার ফ্রিজ: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, কম শব্দ করে এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর।
• নন-ইনভার্টার ফ্রিজ: তুলনামূলক সস্তা তবে বিদ্যুৎ খরচ বেশি।
(গ) এনার্জি রেটিং:
• উচ্চ এনার্জি রেটিং (৫-স্টার) ফ্রিজ বিদ্যুৎ খরচ কমায়।
(ঘ) দরজার ধরন:
• সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ: ছোট পরিবারের জন্য উপযুক্ত।
• ডাবল ডোর ফ্রিজ: বড় পরিবার বা বেশি খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ভালো।
• সাইড-বাই-সাইড: বড় ক্ষমতার ফ্রিজ, আধুনিক ফিচারসহ।
(ঙ) ফ্রিজের বিশেষ ফিচার:
• ডিফ্রস্ট সিস্টেম (ফ্রস্ট বা নন-ফ্রস্ট)।
• ইনবিল্ট স্ট্যাবিলাইজার।
• কুল প্যাক সিস্টেম (বিদ্যুৎ না থাকলেও ঠান্ডা বজায় রাখে)।
• স্মার্ট কন্ট্রোল বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা।
২. ফ্রস্ট ফ্রিজ এবং নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ:
(ক) ফ্রস্ট ফ্রিজ:
• ম্যানুয়াল ডিফ্রস্টিং প্রয়োজন।
• ভেতরের দেয়ালে বরফ জমে।
• দাম তুলনামূলক কম।
• ছোট ফ্রিজ বা কম ব্যবহারের জন্য ভালো।
(খ) নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ:
• স্বয়ংক্রিয় ডিফ্রস্টিং প্রযুক্তি।
• ভেতরে কোনো বরফ জমে না।
• খাবারের তাজা অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে রাখে।
• বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক বেশি।
• আধুনিক এবং বড় পরিবারের জন্য উপযুক্ত।
৩. ফ্রিজ কিভাবে সেটআপ করবেন:
(ক) সঠিক স্থানে রাখুন:
• ফ্রিজ এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল থাকে।
• সরাসরি সূর্যের আলো বা তাপ উৎস (যেমন ওভেন) থেকে দূরে রাখুন।
• দেয়াল এবং ফ্রিজের পেছনে অন্তত ৬-৮ ইঞ্চি ফাঁকা রাখুন।
(খ) বৈদ্যুতিক সংযোগ:
• নির্দিষ্ট ভোল্টেজ নিশ্চিত করতে ফ্রিজের জন্য আলাদা সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করুন।
• স্ট্যাবিলাইজার যুক্ত করুন, যদি বিদ্যুৎ সমস্যাপ্রবণ এলাকায় থাকেন।
(গ) ফ্রিজ চালু করার আগে:
• প্রথমে ফ্রিজ ৪-৬ ঘণ্টা স্থির রেখে দিন।
• এরপরে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিন এবং ফ্রিজ চালু করুন।
• ফ্রিজ প্রথম চালুর পর ২-৩ ঘণ্টা খালি অবস্থায় চলতে দিন।
৪. ফ্রিজের ব্যবহারের টিপস:
(ক) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:
• রেফ্রিজারেটরের অংশে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ফ্রিজারে -১৫ থেকে -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রাখুন।
(খ) খাদ্য সংরক্ষণ:
• খাবার ঢাকনা দিয়ে রাখুন, যাতে গন্ধ না ছড়ায়।
• গরম খাবার ঠান্ডা না করে ফ্রিজে রাখবেন না।
(গ) দরজা সঠিকভাবে বন্ধ রাখুন:
• দরজা খুলে রাখলে বিদ্যুৎ অপচয় হয় এবং ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে যায়।
(ঘ) রক্ষণাবেক্ষণ:
• প্রতি ২-৩ মাসে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
• দরজার রাবার সিল ভালো অবস্থায় আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
৫. সংক্ষেপে টিপস:
• ফ্রিজ কেনার সময় পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী আকার এবং ফিচার নির্বাচন করুন।
• নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ দীর্ঘমেয়াদে সুবিধাজনক।
• পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্যে ফ্রিজ সেটআপ করুন।
• নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন এবং সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখুন।
এই তথ্যগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা ফ্রিজ কিনতে পারবেন এবং সেটআপ ও ব্যবহারে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হবেন না।
ইলেকট্রনিকস সব রকম প্রোডক্ট নিয়ে জানতে আমাদের AC WASHING MACHINE & HOME APPLIANCE USER OF BANGLADESH গ্রুপে জয়েন করুন।