08/05/2024
ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আফসোসের ছড়াছড়ি দুই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের ভিডিয়ো দেখে। অনেকে তো পড়াশোনা করাটাকেই ব্যর্থ মনে করছেন।
একটা ব্যাপার উপলব্ধি করলাম। এইক্ষেত্রে সমস্যাটা না আছে শিক্ষাব্যবস্থায়, না আছে তাদের সফলতায়। সবচেয়ে বড়ো সমস্যা আমাদের চিন্তাভাবনায়। কারণ আমরাই বাবা মাকে খুশি করার ব্যাপারটাকে জটিল করে ফেলছি। তাদের খুশি কীসে সেটা বুঝার আগেই নিজেরা হা হুতাশ করে একাকার হয়ে যাচ্ছি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ট্রেন্ড বারবার যখন চোখের সামনে আসছিলো তখন আমার মাথায় একটা প্রশ্নই ঘুরছিল, “আমার বাবা-মাকে যদি আমি খুশি করতে যাই তাহলে কী করতে হবে? দামি গাড়ি, দামি বাড়ি নাকি অন্য কিছু?”
অনেক চিন্তার পর একটাই উত্তর পেলাম। আর সেটা হলো, “তাদের প্রয়োজনীয়তা।”
মা-বাবাকে খুশি করতে কখনো কোটি টাকার বাড়ি গাড়ির প্রয়োজন হয় না। নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে তাঁদের কোনো কিছু দিলে তাঁরা কখনোই খুশি হবেন না। বরং হতাশই হবেন।
আমি কখনো স্বেচ্ছায় আব্বুকে একটু দামি কিছু দিলেই আব্বু বকাঝকা করেন। তবে আমি সবসময়ই তাঁদেরকে কিছু দেওয়ার আগে ভেবে দেখি সেই মুহুর্তে তাদের প্রয়োজনটা কী যা আমার সামর্থ্যের মধ্যে আছে। তিনি বকাঝকা করলেও পরে খুশি হতেন ঠিকই। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি। আর তাঁর কাছেও।
দেখুন, এতো বেশি হা-হুতাশ না করে নিজের ইনকামের কিছু টাকা জমিয়ে মা-বাবার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটা কিনে দিন। (হতে পারে শাড়ি, পাঞ্জাবী, জুতো, চুড়ি, একটা ফোন ইত্যাদি)
দেখবেন তাদের চোখ মুখে কী শান্তির ছাপটাই না লেগে থাকবে।
~ নাফিজা সুলতানা অমি