আমাদের পুজো

আমাদের পুজো ॐ জয় মা দূর্গা ॐ

আমাদের মাতৃভুবনে আপনাকে স্বাগতম।। জয় মা ।।

'আমাদের পুজো' নামটি বললেই অনেক কিছু বলা হয়ে যায়।।
বলা হয়ে থাকে আমাদের হিন্দুদের বার মাসে তের পার্বণ। অনেকই এটা ব্যাঙ্গাÍক
ভাবেও বলে থাকে, কিন্তু এই সব উৎসব,পুজো পার্বণ গুলোর পেছনে লুকিয়ে আছে
অনেক ইতিহাস।। কালের পরিক্রমায় ও এসব উৎসব পুজো পার্বণ এর পরিসর অনেক
ছোট হয়ে আসছে এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় আমাদের গর্বের সনাতন ধর্ম
পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।।তাই আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী গর্বের সনাতন ধর্মের


ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে আপনাদের সাথে নিয়ে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমরা চেষ্টা করি
আমাদের প্রতিটি উৎসবের খবর পেছনের ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরতে।
এছাড়াও আমাদের যে সব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দির কালের পরিক্রমায় আজ বিলুপ্ত প্রায়
তার না জানা ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরতে।এছাড়া আমাদের ধর্মের ভেতরেই
আছে নানা মতবিরোধ, আমরা চেষ্টা করি সবকিছুকে একই সুতোয় গাঁথতে।।

আমরা সবাই মায়ের সন্তান এবং আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজো।। 'মা' এর কৃপা নিয়ের আমরা সামনে এগুনোর চেষ্টা করছি সাথে আপনাদের সহযোগীতা
পেলে আমরা আমাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতিগুলোকে আবার তার হারানো জৌলুশ ফিরিয়ে দিতে পারবো।।

পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই 'মা' আমাদের সকলের সাথেই থাকেন কোন সন্তানকেই মা ফেলে
দেন না, মার চোখে তাঁর সকল সন্তান ই সমান। কিন্তূ আমরা কজন পারি মা কে সাথে রাখতে?
তাই আমরা সবসময় বলিঃ
আমাদের পুজো পরিবারের সাথে থাকুন , মায়ের সাথে থাকুন ।

অপেক্ষার ৮৫ দিন ...🌼মা আসছেন 🌺ছবি :- Raj Biswas Sunny || রাজ বিশ্বাস সানি আমাদের পুজো
04/07/2025

অপেক্ষার ৮৫ দিন ...🌼

মা আসছেন 🌺
ছবি :- Raj Biswas Sunny || রাজ বিশ্বাস সানি
আমাদের পুজো

মৎস্য বারাহী ভগবতী বারাহী স্বয়ং অনুগ্রহ এবং নিগ্রহ নায়িকা। তিঁনি একাধারে দুষ্টের দমন এবং অন্যভাবে শিষ্টের পালনকত্রী। সাধ...
04/07/2025

মৎস্য বারাহী

ভগবতী বারাহী স্বয়ং অনুগ্রহ এবং নিগ্রহ নায়িকা। তিঁনি একাধারে দুষ্টের দমন এবং অন্যভাবে শিষ্টের পালনকত্রী। সাধকের যেকোনো বাধা তিঁনি ভীষণ ভাবে দূর করেন। সেক্ষেত্রে তাঁর ক্ষিপ্রতার জুড়ি মেলা ভার।

আষাঢ় মাসের শুক্লাপ্রতিপদ থেকে নবমী তাঁর শ্রীচরণে সমর্পিত। এই সময়ে মহাবারাহী রূপে তিঁনি মুখ্যত সেবা গ্রহণ করেন এবং সেইসঙ্গে নানারুপের উপাসনা হয়। তিঁনি যেমন ভগবান যজ্ঞবরাহের কর্মশক্তিরূপে প্রকাশিতা তেমন অস্ত্রবারাহী বশ্যবারাহী রূপেও প্রকাশিতা হন।

এই ক্রম এই ভগবতী মৎস্যবারাহী রূপেও তিঁনি সেবা গ্রহণ করেন।

মহিষবাহনা কৃষ্ণবর্ণা এই দেবী মদ্য এবং মৎস্যপ্রিয়া রূপে প্রকাশিতা। তিঁনি নিয়মিত সুধা এবং মীন সেবন তৎপরা।স্থূল এবং সুক্ষ দুইরূপেই তিঁনি আরাধ্যা। স্থূল রূপে তিঁনি স্থূল পঞ্চমকার দ্বারা পূজিতা। আবার সূক্ষভাবে তিঁনি চরমভাবে যোগমার্গ তৎপরা।

কিরকম সেই ভাব???

১) বাহ্যিক এবং স্থূল ভাবে তাঁর পুজায় সুধা বা শোধিত কারণ, বলিদানসংস্কৃত মাংস,বিহিত মৎস্য ইত্যাদি দ্বারা পূজিতা হন। প্রতিটি উপাচারই অবশ্যক ভাবে অধিকারী সাধক কতৃক উপযুক্তভাবে মন্ত্রশোধিত হয়েই দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন যোগ্য অন্যথা নয়।

২) দ্বিতীয় ভাবটি যোগমার্গ বা তন্ত্র র দিব্যসাধক দ্বারা আচরিত।
তন্ত্র শাস্ত্রই বলে যে "গঙ্গা যমুন্যোর্মধ্যে মৎস্যৌ দ্বৈ চরতঃ সদা।
তৌ মৎস্যৌ ভক্ষয়েদ যস্তু স ভবেৎ মৎস্য সাধকঃ।।
অর্থাৎ ইড়া ও পিঙ্গলা নাড়ি মধ্যে শ্বাসবায়ুর চলাচল যিনি প্রাণায়াম দ্বারা নিজের ইচ্ছায় সঞ্চালিত করার শক্তি অর্জন করেছেন তিঁনিই মৎস্যভক্ষনকারী সাধক।

তাই সাধকের কর্তব্য নিজের প্রতিটি শ্বাসে নজর রাখা। সর্বদা শ্বাসে শ্বাসে ইস্টবীজকে জপের অভ্যাস করা। তান্ত্রিক মন্ত্রযোগ শুধু পাতঞ্জলযোগের মতো না। তান্ত্রিক যোগে মন্ত্রশক্তিকে প্রবল ভাবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। গুরুপ্রদত্ত মন্ত্র এমনি শক্তিশালী যা সাধককে পরব্রহ্মতে স্থির করে।
কথায় বলে শ্বাসে বিশ্বাস নেই। কখনো আছে আবার পর মুহূর্তেই নেই। আর শ্বাস নেই মানেই প্রাণ নেই কিন্তু যখন ব্রহ্মানন্দ এমনভাবে শ্বাসের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারবে তখন কোথায় মৃত্যু কোথায় যম আর কোথায় কাল। তখন তো সাধক মহাকালের দেশে। সেদেশে কালের ভয় নেই তাই শ্বাসের ভয়ও নেই।

এইভাবে সাধক যখন শ্বাসে নিয়ন্ত্রণ এনে মৎস্যসিদ্ধ হবে তখনই তার সত্ত্বা তার চেতনা ব্রহ্মরন্ধ্রের অভিমুখী হবে।
তন্ত্র বলে "সোমধারা ক্ষরেদ্‌ যা তু ব্রহ্মরন্ধ্রাদ্‌ বরাননে।
পীত্বা আনন্দময় স্ত্বাং যঃ স এব মদ্য সাধক;।।

অর্থাৎ, হে বরাননে পার্বতী, সাধক যখন গাঢ় ধ্যানে অথবা সমাধি অবস্থায় অবস্থান করে, চিত্রার্পিতের ন্যায় তার অবস্থা হয়, তখন তার সহস্রার পদ্মের ব্রহ্মরন্ধ্র থেকে যে অমৃত ধারা ক্ষরিত হয়, তাকেই তন্ত্রে সোমরস বা সুরা বলা হছে, সেই অমৃত ধারা সাধক পান করে নিজের ইষ্টসানিধ্য উপলব্ধি করে। এই প্রকার সাধককেই তুমি মদ্যসাধক বলে জেনো। এরই নাম মদ্য সাধন।

"যদুক্তং পরমং ব্রহ্ম নির্বিকারং নিরঞ্জনং।
তস্মিন প্রমদন জ্ঞানং তৎ মদ্য পরিকীর্তিতম্‌।।"
নির্বিকার নিরঞ্জন পরমব্রহ্মের যোগ সাধন দ্বারা যে প্রমদন জ্ঞান লাভ হয়, তার নামই মদ্য।
এইপ্রকার মদ্যসিদ্ধ হলে সাধকের মন আর বাইরের দিকে আসবে না। সে হবে সম্পূর্ণ অন্তরমুখী এবং আত্মারাম অবস্থা প্রাপ্ত হবে।

ভগবতী মৎস্যবারাহী এই শ্বাসযোগের প্রত্যক্ষ মূর্তি।তাঁর কৃপায় তাঁর মন্ত্রে সাধক মন্ত্রযোগে আরূঢ় হয়ে অমৃতত্ব লাভ করুন।

নবরাত্রির উদ্দেশ্য সিদ্ধ হোক।

লিখা ও ছবি পাঠিয়েছেন: প্রেমানন্দ দাদা ❤️

পূজোর শুভ প্রারম্ভকাঠামো পূজোর মধ্য দিয়ে শুরু হোক দেবীর আগমন আয়োজনেঃ- শ্রীশ্রী শ্মশানেশ্বর শিব বিগ্রহ মন্দির। © আমাদের প...
04/07/2025

পূজোর শুভ প্রারম্ভ
কাঠামো পূজোর মধ্য দিয়ে শুরু হোক দেবীর আগমন
আয়োজনেঃ- শ্রীশ্রী শ্মশানেশ্বর শিব বিগ্রহ মন্দির।

© আমাদের পুজো

04/07/2025

শুভ সূচনা...
শ্রী শ্রী শ্মশানেশ্বর শিব মন্দির,ফিরিংগীবাজার, চট্টগ্রাম।

© আমাদের পুজো

04/07/2025

কাঠামো পূজো ২০২৫ ইং
স্থান : শ্রী শ্রী শ্মানেশ্বরী শিব বিগ্রহ মন্দির ফিরিংগিবাজার,

 #আমন্ত্রণপত্র গণেশ চতুর্থী ১৪৩২ " ঠাকুরবাড়িতে একদন্তের আরাধনা "আয়োজনে : সুরেশ্বরম একতা সংঘমৃৎশিল্পী : বাবুল ভট্টাচার্য...
03/07/2025

#আমন্ত্রণপত্র
গণেশ চতুর্থী ১৪৩২

" ঠাকুরবাড়িতে একদন্তের আরাধনা "

আয়োজনে : সুরেশ্বরম একতা সংঘ
মৃৎশিল্পী : বাবুল ভট্টাচার্য
ভাবনায় : শান্তনু চৌধুরী
মন্ডপ সজ্জায় : লিজা ডেকোরেটার্স
আলোকসজ্জায় : আর. এ. লাইটিং
প্রচ্ছদ সম্পাদনায় : রাজেশ দাশ

স্থান : শংকর মঠ ও মিশন প্রাঙ্গন, ঘোনারপাড়া, কক্সবাজার

আলিপুরদুয়ারের শ্রী শ্রী মা ছিন্নমস্তা দেবী ও সংলগ্ন মহাদেবের মন্দির।   by rahul moitra
03/07/2025

আলিপুরদুয়ারের শ্রী শ্রী মা ছিন্নমস্তা দেবী ও সংলগ্ন মহাদেবের মন্দির।

by rahul moitra

Rath's assembly on the land of SylhetRath Yatra is a traditional festival of the Hindu community. Every year this festiv...
03/07/2025

Rath's assembly on the land of Sylhet

Rath Yatra is a traditional festival of the Hindu community. Every year this festival is celebrated. Lord Jagannath Dev, Subhadra Devi and Baldev Maharaj came to visit Masi's house from their home. This festival is known as Rath Yatra. God himself descended into this world to give darshan to the devotee. The festival begins with the Chandan Yatra, the festival ends with the Sanan Yatra, the Rath Yatra and finally the Ulto Rath Yatra.
However, some differences are seen in this Rath festival in Sylhet. Especially the people of Manipuri community present this Rath festival in a slightly different way. The rath of all the temples of Sylhet city gather at one place and this special place is reserved for the Rath festival. This place is located in Rikabibazar Gol Chatwar More. Every year on the day of Rath Yatra and Ulto Rath Yatra, all the chariots gather in this area. And the main puja begins with the collective prayers of their own language. Then the ceremony concludes with Bhog offering, Aarti and Pranaam Mantra. This gathering prayer is not seen in any other area or place. This is the specialty here. They call upon God through assembled prayers and they also believe in hearts that all calamities can be dealt with if they are united.

Photography - Kishoresh Bhattacharjee

゚viralfbreelsfypシ゚viral

|| বিপদনাশিনী পুজো ২০২৫ ||“গল্প নয় সত্যি”In Search Of Shambalaএকটি পুরানো কিংবদন্তি বলে, হিমালয়ের কোন এক গোপন উপত্যাকায় ...
03/07/2025

|| বিপদনাশিনী পুজো ২০২৫ ||

“গল্প নয় সত্যি”
In Search Of Shambala

একটি পুরানো কিংবদন্তি বলে, হিমালয়ের কোন এক গোপন উপত্যাকায় আছে এক পবিত্র নগরী সাম্ভালা। বৌদ্ধ কালচক্র তন্ত্র মতে, ভবিষ্যতে ওই শহরের রাজা রুদ্র চক্রিন যিনি অন্ধকার যুগে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করবেন এবং হিন্দু পুরান মতে, যে স্থান হবে কল্কি অবতারের আবির্ভাবের স্থান এবং সাত চিরঞ্জীবীর আবাসস্থল। হিটলার, নিকোলাস, হেলেনা ব্লাভাটস্কি এবং প্রমূখ ব্যক্তিদ্বয়ের গবেষণায় সাম্ভালা উদ্ভাবনের সম্ভাবনার আলো দেখতে পাওয়া যায়। যদিও এটির অস্তিত্ব বাস্তবে কাল্পনিক, কিন্তু মানুষের বিশ্বাসে এটি বিশাল স্থান দখল করে আছে। সাম্ভালা এমন একটি রাজ্য যার দরজা খোলে না মানচিত্রে, খোলে আত্মজ্ঞান ও ধ্যানের পথে।
হয়তো দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে আমরা অনুভব করতে পারবো পৌরাণিক সবটাই গল্প নয়, কিছুটা সত্যি।

সৃজনেঃ অপটিমিষ্ট দে
মাতৃরূপায়ণেঃ দেবদিত্য ভট্টাচার্য্য
মাতৃ অলংকরণেঃ নিলয় নন্দী
পুজাঙ্গনঃ রিতা ভট্টাচার্য্য বিল্ডিং, কালী চক্রবর্তী কলোনী, আলকরণ, সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
পিয়াল দত্ত | আমাদের পুজো

জয় মা বিপদনাশিনী❤️🙏🌺© আমাদের পুজো 📷 Sajib chowdhury
03/07/2025

জয় মা বিপদনাশিনী❤️🙏🌺

© আমাদের পুজো
📷 Sajib chowdhury

03/07/2025

#আমন্ত্রণ_পত্র
শ্রী শ্রী শ্মানেশ্বর শিব বিগ্রহ মন্দির(শিব বাড়ি)
অতি নির্মল, অতি নির্মল, অতি নির্মল উজ্জ্বল সাজে ভুবনে,
নব শারদলক্ষী আগমনে 🌸
🌼পূজোর শুভ প্রারম্ভ 🌼
কাঠামো পূজোর মধ্য দিয়ে শুরু হোক দেবীর আগমন ☺️
আগামী ৪টা জুলাই ২০২৫ ইং,শুক্রবার, শ্রীশ্রী শারদীয় দূর্গাপুজোর শুভারম্ভ কাঠামো পূজো ও পুজোর ব্যানার উন্মোচন করা হবে।
উক্ত আয়োজনে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত 🙏

🚩শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রা ২০২৫ইং।বিশ্বাস করা হয় স্বয়ং চৈতন্য মহাপ্রভু মাহেশের মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ স্পর্শ করে...
03/07/2025

🚩শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রা ২০২৫ইং।

বিশ্বাস করা হয় স্বয়ং চৈতন্য মহাপ্রভু মাহেশের মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ স্পর্শ করেন। মাহেশকে "নব নীলাচল" বলে অভিহিত করেন।
তথ্যসূত্র অনুযায়ী এই বছর ৬২৯ বছরে পা দিল মাহেশের রথযাত্রা। ভারতের দ্বিতীয় ও বাংলার সবচেয়ে পুরনো মাহেশের রথ। এমনটাই অনুমান ইতিহাসবিদদের। এখানের বিগ্রহ বহু প্রাচীন।
মাহেশের মন্দির এবং বিগ্রহ তৈরি করেছিলেন ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী। কিন্তু, রথযাত্রা উৎসব শুরু করেন শ্রীচৈতন্যর শিষ্য কমলাকর পিপলাই। যিনি পরে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হন। পিপলাই পরিবারের উত্তরসূরীরাই রয়েছেন মন্দিরের তত্ত্বাবধানে। পুরীর জগন্নাথের ১২ বছর অন্তর হয় নবকলেবর। কিন্তু মাহেশে ৬২৮ বছর ধরে একই বিগ্রহে পুজো হয়ে আসছে। আগে কাঠের রথ থাকলেও, এখন লোহার রথ।
শ্রীরামপুরের মাহেশ জগন্নাথ দেবের মূল মন্দির ১৭৫৫ সালে নির্মাণ করা হয়। কলকাতা নিবাসী নয়নচাঁদ মল্লিক এর খরচ দেন। প্রথম রথের ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়না, যদিও লোকশ্রুতি অনুযায়ী, ১৩৯৬ সাল থেকে মাহেশের রথযাত্রা শুরু। প্রামানিক তথ্যানুযায়ী ১৭৯৭ সালে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের স্বনামধন্য শিষ্য বলরাম বসুর পিতামহ কৃষ্ণরাম বসু একটি রথ দান করেছিলেন। সময়ের সঙ্গে সেই রথ জীর্ণ হয়ে পড়ে। কৃষ্ণরামের ছেলে গুরুপ্রসাদ ১৮৩৫ সালে নয় চূড়াবিশিষ্ট নতুন রথ বানিয়ে দেন। ১৮৫২ সালে কালাচাঁদ বসু আরেকটি রথ নির্মান করিয়ে দেন। সেই রথের ভিতরে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করায় সেটি অশুভ বিচারে পরিত্যক্ত হয়। অতঃপর ১৮৫৭ সালে বিশ্বম্বর বসু আরেকটি রথ দান করেন। ১৮৮৪ সালে রথযাত্রার দিন বল্লভপুরে গুন্ডিচাবাটিতে সেই রথটি আগুনে পুড়ে যায়। তখন বসু পরিবারেরই কর্তা কৃষ্ণচন্দ্রবাবু বর্তমান লোহার রথটি তৈরি করিয়ে দেন। মার্টিন বার্ন কোম্পানি রথটি তৈরি করে। রথটি নয়টি শিখর সমৃদ্ধ নবরত্ন মন্দিরের ধাঁচে তৈরী। চারতল বিশিষ্ট পঞ্চাশ ফুট উচ্চ এই রথে বারোটি লোহার চাকা আছে। সুঅলংকৃত প্রতিটি তলা। প্রথমতলায় চৈতন্য লীলা, দ্বিতীয় তলায় কৃষ্ণলীলা, তৃতীয় তলায় রামলীলা ও চতুর্থ তলায় জগন্নাথ দেবের আসন....বৈভব আর ঐতিহ্যে পুরীর রথের পড়েই মাহেশের স্থান। ১৮৮৫ সাল থেকে ওই রথটানা শুরু হয় যা এখনও প্রবহমান। সেই সময় এর দাম পড়েছিল কুড়ি হাজার টাকা।
মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের কাহিনী খুবই আকর্ষনীয়। চতুর্দশ শতাব্দীতে এক কিংবদন্তি সাধু ধ্রুবানন্দ বা দুর্বানন্দ ব্রম্মচারী একদা পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ দেবকে ভোগ প্রদানে মন্দির কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রত্যাখাত হয়েছিলেন। বিমর্ষ হয়ে তিনি আমরণ অনশনে ব্রতী হন। তৃতীয় দিনে জগন্নাথদেব তাকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং তাকে দারু-ব্রম্ম (নিম কাঠ) দিয়ে বলরাম, জগন্নাথ ও সুভদ্রার মূর্তি গড়তে বলেন। দেবতা সাধুর নিকট ভোগ গ্রহণেরও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তারপর সাধু স্বপ্নাদেশে মাহেশে ফিরে আসেন। এক রাতে দেবতার আশীর্বাদে দারুব্রম্ম খুঁজে পান ও তাঁর আদেশক্রমে তিনটি মূর্তি তৈরী করেন ও একটি মন্দির স্থাপন করেন। কথিত আছে, চৈতন্যদেব সন্ন্যাস গ্রহনের পর পুরী গমনের পথে মাহেশের মন্দির দর্শন করেন এবং দেবদর্শনকালে সমাধিস্থ হন। তিনি সেখানে নয় দিবস অবস্থান করেছিলেন। তিনি মাহেশ’কে “নব নীলাচল” নামে অভিহিত করেন। মন্দিরের দেবতা ‘গোপীনাথ’ নামে সম্ভাষিত হন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, মা সারদাদেবী প্রভৃতি বহু মনীষীদের পদধুলি পড়েছে এখানে।
প্রাচীনতর হিসেবে পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পর মাহেশের রথযাত্রা দেশের মধ্যে দ্বিতীয়তম।
জয় জগন্নাথ 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
তথ্য সৌজন্যে - বাংলা উইকিপিডিয়া।

ছবি : সংগৃহীত।

Address

19 K. C. Dey Road
Chittagong
4000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমাদের পুজো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category

Our Story

আমাদের পুজো। ছোট্ট একটি নাম। কিন্তু নামটি বললেই অনেক কিছু বলা হয়ে যায়। বলা হয়ে থাকে হিন্দুদের বার মাসে তের পার্বণ। অনেকেই এটা ব্যাঙ্গাত্তক ভাবেও বলে থাকে,কিন্তু এই সব উৎসব, পুজো-পার্বণগুলোর পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক ইতিহাস। কালের পরিক্রমায় এসব উৎসব পুজো-পার্বণ এর পরিসর অনেক ছোট হয়ে আসছে। সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য রক্ষার্থে তেমন একটা প্রয়াস "আমাদের পুজো" ফেইসবুক পেইজটির। এই পেইজটিতে প্রতিটি উৎসবের পেছনের ইতিহাস সবার সামনে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও যেসব প্রচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দির কালের পরিক্রমায় আজ বিলুপ্তপ্রায়-তার না জানা ইতিহাস তুলে ধরা হয়।

আমাদের পুজো একটি সনামধন্য নন-প্রফিটেবল বা অলাভজনক ধর্মমুখী অনলাইন সংগঠন। সংগঠনটি অনলাইন ভিত্তিক হলেও এটি অত্যন্ত— জনপ্রিয় একটি পরিবারের নাম, যার সদস্যদের নিজেদের এবং শুভানুধ্যায়ীদের সাথেও বন্ধন অটুট রয়েছে শুর“ থেকেই আমাদের পুজো কোনো আর্থিক সংগঠন নয়।এটি একদল তরুণ ফটোগ্রাফারের ধর্মীয় অনুভুতি ভালবাসা ও ভক্তি থেকে তৈরি। আজকের এই অবস্থানে আসতে সময় লেগেছে ৬টি বছরের অসীম ধৈর্য, ভালবাসা, অধ্যবসায় এবং নিঃস্বার্থ পরিশ্রম।প্রতিটি পুজোর সাথে থেকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে মানুষের মাঝে ভক্তি ভাব জাগানোর, আর এই লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা ও ভালবাসা পেয়েছি প্রতিমাশিল্পীদের, যাদের অক্লান্ত — পরিশ্রমে তৈরি হয় এক একটি অসাধারণ দেব-দেবীর প্রতিমা।

আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপুজো।আমাদের পুজো শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় এছাড়াও কোলকাতার পুজো মন্ডপ গুলোকে, এই ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে সবাই যাতে ঘরে বসে দেখতে পারে সেই চেস্টা করে থাকে। দুর্গাপুজো ছাড়াওঅন্যান্য সকল পুজো সবার সামনে তুলে ধরার আপ্রান চেস্টা করা হয়।

Amader pujo - these two words, means a lot of activities which have enormous impacts in our society. It has been said that, “Hindu people have 13 festivities within 12 seasons” basically it means Hindu festivals happen all over a year. Though it may sounds sarcastic to many people, there are lots of mystic histories behind those festivals. However, with the passage of time, the rituals of the Hindu religion festivals have been narrowed down. Amader pujo aims to preserve those traditions through a page, as it tries to bring up those mystic histories behind the Hindu festivals to people. Moreover, it discloses the history of ancient temples which are about to extinct.