Voice of Chittagong

Voice of Chittagong কমিউনিটি নিউজের জন্য ইমেইল করুন:
[email protected]

07/09/2025

যুবদলের বহিষ্কৃত সাবেক নেতা এমদাদুল হক বাদশা'র ব্যাপারে শুনুন ভুক্তভোগীর বক্তব্য।

এরা কিভাবে পায় এতো সাফল্য? ছবিগুলো দেখুন 🤣 পাকিস্তান, ইউক্রেন, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চায়না...😍🔥
06/09/2025

এরা কিভাবে পায় এতো সাফল্য?

ছবিগুলো দেখুন 🤣 পাকিস্তান, ইউক্রেন, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চায়না...😍🔥

27/08/2025

🇸🇪 পরিবারসহ উচ্চশিক্ষার জন্য সুইডেনে নতুন জীবনের সূচনা 🇸🇪

সুইডেন আজ পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত ও মানবিক দেশগুলোর একটি। তাদের উন্নতির মূল রহস্য হলো উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা এবং কল্যাণমুখী নীতি। এখানকার নাগরিকরা বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা পান, যা জীবনযাত্রাকে করেছে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত।

বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে সুইডেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ২০০-এর মধ্যে রয়েছে—যেমন Lund University, Uppsala University, KTH Royal Institute of Technology এবং Stockholm University। এগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত।

🌍 বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডেন সত্যিই এক অনন্য সুযোগের দেশ। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী গড়ে মাসে ৮০০ থেকে ১২০০ ইউরো পর্যন্ত আয় করতে পারেন, যা সহজেই নিজের খরচ সামলানোর জন্য যথেষ্ট।

💡 সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সুইডেনে গেলে আপনি শুধু পড়াশোনার জন্যই নন, বরং পরিবারসহ নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ পাবেন। আর পড়াশোনা শেষে যদি সুইডিশ পাসপোর্ট পান, তবে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্টের সুবিধায় অতিরিক্ত ১২৬টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারবেন।

তাই বলা যায়, মানসম্মত শিক্ষা, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, পরিবার নিয়ে নিরাপদ জীবন এবং বৈশ্বিক সুযোগের এক অসাধারণ সমন্বয় হলো সুইডেন।

📞 উচ্চশিক্ষার জন্য পরিবারসহ সুইডেনে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। আমরা দিচ্ছি সঠিক দিকনির্দেশনা ও পূর্ণাঙ্গ সহায়তা।

👉 যেকোন তথ্যের জন্য মেসেজ করুন: +880 1774-455553

ডিজিটাল যুগে আমরা প্রায় সবাই প্রতিদিন দেড় ঘন্টা বা তারও বেশি সময় মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি। কি...
26/08/2025

ডিজিটাল যুগে আমরা প্রায় সবাই প্রতিদিন দেড় ঘন্টা বা তারও বেশি সময় মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু এ অভ্যাস আমাদের চোখ, ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ভয়ংকর হুমকি হয়ে উঠছে।

আমেরিকান অপ্টোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে মাত্র ২ ঘন্টা স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে ৬০% মানুষের মধ্যে চোখের শুষ্কতা, ঝাপসা দেখা ও মাথাব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, যাকে “ভিশন সিন্ড্রোম” বলা হয়।

অন্যদিকে, হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক গবেষণা প্রমাণ করে যে, ব্লু-লাইট মেলাটোনিন হরমোনকে দমন করে, ফলে ঘুমের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য জানাই এবার। Journal of Andrology-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত স্ক্রিন এক্সপোজার পুরুষদের টেস্টোস্টেরন লেভেল কমিয়ে যৌন সমস্যা, যেমন ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বা লিবিডো হ্রাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ, প্রতিদিন মাত্র দেড় ঘন্টার স্ক্রিন-টাইমও যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখা যায়, তবে চোখের ক্ষতি থেকে শুরু করে ব্রেইন ও যৌন স্বাস্থ্যের উপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।

22/08/2025

সম্প্রতি আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নগরীর ইস্টার্ন রিফাইনারি গেটের সন্নিকটে “মুন্না এন্ড সন্স” নামের এক তেলের ডিলার প্রতিষ্ঠানের মালিক মুন্না সরাসরি সরকারি তেলের ট্যাংক থেকে বালতি দিয়ে দোকানে তেল নিচ্ছেন। এসময় তাকে হাস্যোজ্জ্বলভাবে এ কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা যায়।

প্রতিবেদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে কৌশলে চা-পানির অফার দেন এবং একপর্যায়ে জানান, তার কিছু বড়ভাই আছেন—তাদের সাথে কথা বলে সমঝোতার প্রস্তাবও দেন।

এ ধরনের চুরির ফলে রাষ্ট্রীয় বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। প্রশ্ন উঠেছে—যখন দিনের আলোতে এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া হয়, তখন প্রশাসন কেন নির্লিপ্ত থাকে?

ওয়াটার পোলো একটি পানিভিত্তিক দলীয় খেলা, যেখানে দুইটি দল পানির মধ্যে ভেসে থেকে বল ছিনিয়ে গোল করার চেষ্টা করে। প্রতিটি দলে...
22/08/2025

ওয়াটার পোলো একটি পানিভিত্তিক দলীয় খেলা, যেখানে দুইটি দল পানির মধ্যে ভেসে থেকে বল ছিনিয়ে গোল করার চেষ্টা করে। প্রতিটি দলে সাধারণত ৭ জন খেলোয়াড় থাকে—৬ জন ফিল্ড প্লেয়ার ও ১ জন গোলকিপার। খেলোয়াড়দের পানিতে দাঁড়ানো বা ভর দেওয়ার অনুমতি নেই; তারা কেবল সাঁতরে, ভেসে ও হাত-পায়ের নড়াচড়া ব্যবহার করে বল নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি ম্যাচ চারটি ভাগে বিভক্ত হয় এবং প্রতিটি ভাগ নির্দিষ্ট সময়ের হয়ে থাকে। খেলার লক্ষ্য ফুটবল বা হ্যান্ডবলের মতোই প্রতিপক্ষের গোলে যত বেশি সম্ভব বল ঢোকানো। শক্তিশালী শরীর, দ্রুত সাঁতার কাটা, দীর্ঘক্ষণ পানিতে ভেসে থাকার ক্ষমতা এবং কৌশলী পাস দেওয়ার দক্ষতা ওয়াটার পোলোতে খুব জরুরি।

অলিম্পিকে ওয়াটার পোলো খুবই জনপ্রিয় যার মূল কারণ হলো এর উত্তেজনা, গতি এবং শারীরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। পানির ভেতরে খেলা হওয়ায় এটি আলাদা রকম আকর্ষণ তৈরি করে এবং দর্শকদের কাছে রোমাঞ্চকর মনে হয়। এই খেলাটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রিসের মতো দেশে। হাঙ্গেরিকে ওয়াটার পোলো ইভেন্টের সবচেয়ে সফল দেশ বলা হয়; কারণ তারা অলিম্পিক ও বিশ্বকাপে বহুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খেলাটির বিখ্যাত খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন হাঙ্গেরির ডেনেস ভার্গা (Dénes Varga), সার্বিয়ার ফিলিপ ফিলিপোভিচ (Filip Filipović), ক্রোয়েশিয়ার সান্ড্রো সুকনো (Sandro Sukno) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেরি শ্রোডার (Terry Schroeder)—যারা বিশ্বজুড়ে এই খেলাটির জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন।

একটা মজার এবং আফসোসের কথা বলি। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, যেখানে অসংখ্য খাল, নদী, হাওড়, পুকুর ও দিঘী রয়েছে। পানির সাথে মানুষের সম্পর্ক প্রাচীনকাল থেকেই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা এই প্রাকৃতিক সম্পদকে খেলাধুলায় কাজে লাগাতে পারিনি। সাঁতার এবং ওয়াটার পোলো জাতীয় খেলাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়নি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষ কোচ, আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খেলোয়াড়দের দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি—এসবের অভাবের কারণে বাংলাদেশ এ ধরনের খেলায় অংশ নিতে পারে না। অথচ সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ থাকলে নদীভিত্তিক এই দেশ সহজেই ওয়াটার পোলোতে বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতা করতে পারত।

টাইলস আজকাল শুধু বাড়িঘরেই নয়, বরং অফিস, শপিংমল কিংবা বিভিন্ন স্থাপনায় নান্দনিকতা ও টেকসই সৌন্দর্য যোগ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে...
18/08/2025

টাইলস আজকাল শুধু বাড়িঘরেই নয়, বরং অফিস, শপিংমল কিংবা বিভিন্ন স্থাপনায় নান্দনিকতা ও টেকসই সৌন্দর্য যোগ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এই টাইলস আসলে কিভাবে তৈরি হয়? বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে, টাইলস মূলত সিরামিক (Ceramic) বা পোরসেলিন (Porcelain) ভিত্তিক এক ধরনের নির্মাণ উপাদান, যা খনিজ ও অজৈব পদার্থের সংমিশ্রণে প্রস্তুত হয়। এর প্রধান কাঁচামাল হলো মাটি (Clay), সিলিকা (Silica), ফেল্ডস্পার (Feldspar), কোয়ার্টজ (Quartz) এবং কখনও কখনও ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (Calcium Carbonate)।

প্রথমে এই কাঁচামালগুলো নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে সূক্ষ্মভাবে গুঁড়া করা হয়। এরপর পানি মিশিয়ে "Slurry" আকারে তৈরি করা হয় এবং স্প্রে ড্রায়ারের মাধ্যমে শুকিয়ে দানা আকারে পরিণত করা হয়। পরবর্তী ধাপে উচ্চচাপ (High pressure) মেশিনের সাহায্যে এই দানাগুলোকে নির্দিষ্ট আকার ও নকশার টাইলস ব্ল্যাঙ্কে রূপ দেওয়া হয়। তারপর ব্ল্যাঙ্কগুলোকে উচ্চতাপে (প্রায় 1100°C–1250°C) ফায়ারিং বা পুড়িয়ে শক্ত করা হয়, যাতে এগুলোতে স্থায়িত্ব ও দৃঢ়তা আসে।

টাইলসকে আরও আকর্ষণীয় ও চকচকে করার জন্য এর উপরে গ্লেজ (Glaze) নামে এক ধরনের কাচসদৃশ আবরণ দেওয়া হয়। এই গ্লেজ আসলে সিলিকা, অ্যালুমিনা, বিভিন্ন খনিজ রঙ (Pigments) এবং অন্যান্য কেমিক্যাল দ্বারা প্রস্তুত, যা ফায়ারিং প্রক্রিয়ার সময় গলে গিয়ে টাইলসের ওপর একেবারে মসৃণ ও চকচকে স্তর তৈরি করে। এই স্তর শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং টাইলসকে জলরোধী (Waterproof), দাগরোধী (Stain resistant) এবং টেকসই করে তোলে।

সবশেষে, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টাইলসে ডিজিটাল প্রিন্টিং করা হয়, যেখানে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রিন্টার দিয়ে পাথর, কাঠ বা মার্বেলের মতো প্রাকৃতিক নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। এভাবেই কাঁচামাল থেকে শুরু করে উচ্চতাপ, গ্লেজিং এবং প্রিন্টিংয়ের জটিল ধাপ অতিক্রম করে আমাদের বাড়িঘর ও স্থাপনাগুলোকে শোভিত করা আকর্ষণীয় টাইলস তৈরি হয়।

গরম পানি দিয়ে গোসল করা শুধু আরামদায়ক নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক নানা উপকারিতা। গরম পানি শরীরের রক্তনালীগুলোকে প্রস...
18/08/2025

গরম পানি দিয়ে গোসল করা শুধু আরামদায়ক নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক নানা উপকারিতা। গরম পানি শরীরের রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত (Vasodilation) করে, ফলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হয়। এর ফলে শরীরের টিস্যু ও পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি দ্রুত দূর হয়। নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মাংসপেশীর টান (Muscle tension) কমে যায়, জয়েন্টের ব্যথা লাঘব হয় এবং শরীর অনেকটা হালকা অনুভূত হয়। এছাড়া গরম পানির বাষ্প শ্বাসনালীর ভেতর জমে থাকা শ্লেষ্মা (Mucus) নরম করে, ফলে সর্দি-কাশি বা সাইনাস সমস্যার রোগীদের স্বস্তি দেয়।

মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকেও গরম পানি দিয়ে গোসল মানসিক চাপ (Stress) ও উদ্বেগ (Anxiety) কমাতে কার্যকর। গরম পানির স্পর্শ আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে (Nervous system) শান্ত করে এবং ‘Endorphins’ নামক সুখ হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে। এতে ঘুমের মানও উন্নত হয়। অনেক সময় ঘুমানোর আগে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং শরীর সহজে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ফলে অনিদ্রা সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়।

তবে অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝারি গরম পানি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। সব মিলিয়ে, সঠিকভাবে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে এটি শরীর ও মনের জন্য এক প্রাকৃতিক থেরাপি হিসেবে কাজ করে।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ফোনের ডায়ালিং কোড আসলে একধরনের আন্তর্জাতিক ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন নম্বর—যেনো গ্লোবাল টেলিফোন বইয়...
13/08/2025

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ফোনের ডায়ালিং কোড আসলে একধরনের আন্তর্জাতিক ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন নম্বর—যেনো গ্লোবাল টেলিফোন বইয়ের সিরিয়াল। এগুলো নির্ধারণ করে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU), আর মূলত ভৌগোলিক অঞ্চল, দেশগুলোর ঐতিহাসিক টেলিফোন নেটওয়ার্ক এবং জনসংখ্যা অনুযায়ী ভাগ করা হয়। যেমন, ইউরোপের অনেক দেশের কোড এক অঙ্ক বা দুই অঙ্কের (যেমন +44 ব্রিটেন, +33 ফ্রান্স), কারণ তারা প্রাচীনকালে ফোন ব্যবস্থার ‘ভিআইপি’ তালিকায় ছিল। আফ্রিকা বা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অনেক ছোট দেশ আবার তিন অঙ্ক বা লম্বা কোড পেয়েছে, যেন ফোন ডায়াল করার সময়ই আপনি মনে করেন, “আহা, আমি তো অনেক দূরের জায়গায় ফোন করছি।”

মজার বিষয় হলো, কিছু দেশের কোড শোনামাত্রই মনে হয় এগুলো নাকি কারো জন্মদিন বা পাসওয়ার্ড দিয়ে বানানো হয়েছে—যেমন +977 নেপাল, বা +355 আলবেনিয়া। কেউ কেউ মজা করে বলে, যদি বাংলাদেশ (+880) এর কোড বদলে +007 করে দেওয়া যেত, তাহলে অন্তত কল করার সময় আমরা জেমস বন্ড ফিলিং পেতাম। আবার, যুক্তরাষ্ট্রের +1 কোড দেখে মনে হয়, ওরা যেন সবার আগে ফোন ধরবে—“আমরাই নম্বর ওয়ান!”

ভাবুন তো, যদি ডায়ালিং কোড জনপ্রিয়তা বা দেশের স্বভাব অনুযায়ী হতো, তাহলে ইতালির কোডে পিজ্জা ইমোজি থাকত, জাপানের কোডে ছোট্ট রোবট চিহ্ন, আর বাংলাদেশের কোডে হয়তো ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত লাইন সিম্বল, কারণ এখানে সবসময় কেউ না কেউ কারো সাথে ফোনে কথা বলছে। তাই এই কোডগুলো শুধু প্রযুক্তিগত পরিচয় নয়, বরং এক ধরনের দেশভিত্তিক হাস্যরসেরও খনি।

পৃথিবীর দেশে দেশে শুধু রাজনীতি, খাবার আর সংস্কৃতিই আলাদা নয়—পরীক্ষার ধরনও একেকটা একেক রকম অদ্ভুত! জাপানে একসময় প্রাইমারি...
11/08/2025

পৃথিবীর দেশে দেশে শুধু রাজনীতি, খাবার আর সংস্কৃতিই আলাদা নয়—পরীক্ষার ধরনও একেকটা একেক রকম অদ্ভুত! জাপানে একসময় প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় এমন কিছু প্রশ্ন থাকত যা সমাধান করতে নাকি শিশুদের শুধু বুদ্ধি নয়, ধৈর্য, হাতের কাজ আর মনোযোগও প্রমাণ করতে হতো—যেমন, কাঠের ব্লক দিয়ে নির্দিষ্ট নকশা তৈরি করা বা ধাঁধা সমাধান। ফিনল্যান্ডে আবার পরীক্ষার চাপ প্রায় নেই বললেই চলে; ওরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা যাচাই করতে গ্রুপ প্রজেক্ট বা রিয়েল-লাইফ সমস্যা সমাধানকে পরীক্ষার অংশ বানায়।

চীনের “গাওকাও” পরীক্ষা তো কিংবদন্তি—৯ ঘণ্টার সেই ম্যারাথন পরীক্ষা পাশ করলেই তবেই মিলবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টিকিট। সেখানে পরীক্ষার্থীদের এমন সব জটিল প্রবন্ধ লিখতে হয়, যা দেখে মনে হয় তারা রাষ্ট্রপতির ভাষণ লিখছে। আইসল্যান্ডে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার অংশ হিসেবে শীতকালীন বরফঢাকা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হয়—অর্থাৎ, স্লিপ করলে লাইসেন্স উড়ে যাবে!

কিন্তু হাস্যকর মজাটা হলো—এত বৈচিত্র্য, এত আইডিয়া থাকা সত্ত্বেও, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ পরীক্ষার ক্ষেত্রে এমন এক চ্যাম্পিয়ন যে, হয়তো গিনেস বুকে নাম উঠিয়ে ফেলতে পারে। এখানে জীবনটাই এক ধরনের পরীক্ষা। এসএসসি, এইচএসসি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, সরকারি চাকরি, বেসরকারি চাকরি, ব্যাংক, বিসিএস—গুনে শেষ করা যাবে না। পড়াশোনার জন্য আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা কোচিং সেন্টারে কাটাই, একসাথে ৩-৪টা টিউটরের কাছে পড়ি, নোট, গাইড, সাজেশন—সবই আমাদের হাতের নাগালে। পরীক্ষার সময় মানসিক চাপ, আত্মীয়স্বজনের প্রত্যাশা, আর "তুমি যদি ফার্স্ট না হও" টাইপ উপদেশ সব মিলিয়ে আমরা হয়ে যাই এক ধরনের পরীক্ষাযোদ্ধা।

কিন্তু মজার ব্যাপার—এত পরীক্ষা দিয়েও আমরা বিশ্বখ্যাত কোনো বিজ্ঞানী, নোবেলজয়ী গবেষক বা বিশ্বমানের উদ্ভাবক তৈরি করতে পারি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও রহস্যজনকভাবে কখনো QS Ranking বা Times Higher Education Ranking-এর প্রথম সারিতে আসে না। যেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আসল লক্ষ্য জ্ঞান সৃষ্টি নয়—বরং পরীক্ষা পাস করার কৌশল আয়ত্ত করা। তাই হয়তো একদিন আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের নতুন পরিচয় হবে: "The Republic of Endless Exams"—যেখানে জন্ম থেকেই মৃত্যু পর্যন্ত আপনি কোনো না কোনো পরীক্ষার হলে বসে থাকবেন।

ইংরেজি নামের যে ভাষাটা আমরা স্কুল থেকে শিখছি, সেটা কিন্তু আসলে একটাই “ইংরেজি” নয়। এটা যেন এক বিশাল পরিবার—যেখানে আছে ব্র...
11/08/2025

ইংরেজি নামের যে ভাষাটা আমরা স্কুল থেকে শিখছি, সেটা কিন্তু আসলে একটাই “ইংরেজি” নয়। এটা যেন এক বিশাল পরিবার—যেখানে আছে ব্রিটিশ ইংরেজি, আমেরিকান ইংরেজি, অস্ট্রেলিয়ান ইংরেজি, স্কটিশ ইংরেজি, আইরিশ ইংরেজি, কানাডিয়ান ইংরেজি, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকান ইংরেজি পর্যন্ত! একেক ভাই-বোনের একেক রকম উচ্চারণ, বানান, এমনকি শব্দের অর্থও আলাদা। ভাবুন তো, একই পরিবারের মানুষ হয়েও যদি চায়ের কাপকে কেউ বলে cup of tea, কেউ বলে cuppa, আর কেউ বলে brew, তখন অতিথি হিসাবে বসে থাকা আমাদের মতো শেখা-শেখা মানুষদের অবস্থা কি দাঁড়াবে!

বিভেদের শুরুর গল্প আসলে খুব সহজ—ঔপনিবেশিক আমল থেকে ইংরেজরা তাদের ভাষা কাঁধে নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিল পৃথিবীর নানা প্রান্তে। যেখানে গিয়েছে, সেখানকার আবহাওয়া, খাবার, সংস্কৃতি আর মানুষের মুখের বুলি মিশে গিয়ে ইংরেজিকে বদলে দিয়েছে। যেমন—আমেরিকানরা বানানে অনেক কিছু “ছোট” করে দিয়েছে: ব্রিটিশরা লিখবে colour, তারা লিখবে color। ব্রিটিশরা লিখবে centre, তারা লিখবে center। আমেরিকান ইংরেজি হলো যেন ফাস্টফুডের মতো—ছোট, তাড়াতাড়ি, সহজ; আর ব্রিটিশ ইংরেজি একটু রাজকীয়, ফরমাল, চা-বাস্কুটের মতো।

অস্ট্রেলিয়ানরা আবার মজার মানুষ—তারা কথা বলার সময় শব্দ ছোট করে দেয়, এমনকি নামও। Breakfast হয়ে যাবে brekkie, afternoon হয়ে যাবে arvo। স্কটিশরা তো সরাসরি আমাদের কানে ঝড় তোলে—তাদের উচ্চারণ এমন যে অনেক সময় নেটিভ ইংরেজও কষ্টে বোঝে। উদাহরণস্বরূপ, স্কটিশে “I’m going to the store” শোনাতে পারে “Ah’m gaun tae the shop”—শুনে মনে হবে কেউ ইংরেজির সাথে গোপন কোনো পাহাড়ি ভাষা মিশিয়েছে। আর আইরিশদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও রঙিন—তাদের শব্দ, টোন আর হাস্যরস এমন যে শুনতে শুনতে মনে হবে গল্প শুনছেন, ভাষা নয়।

এই বিভেদের ফলে মজার মজার ভুল বোঝাবুঝিও হয়। এক দেশে “pants” মানে প্যান্ট, অন্য দেশে “pants” মানে অন্তর্বাস! তাই ভুল জায়গায় ভুল শব্দ বললে হাসির পাত্র হওয়া নিশ্চিত। আবার biscuit ব্রিটেনে মানে আমাদের বিস্কুট, কিন্তু আমেরিকায় সেটা নাকি এক ধরনের নরম পাউরুটি! কল্পনা করুন, “I’ll have biscuits for breakfast” শুনে আমরা বিস্কুট ভাবছি, ওরা পাউরুটি খাচ্ছে।

সব মিলিয়ে, ইংরেজি একটাই নয়—এ যেন বিশ্বভ্রমণ করা এক ভাষা, যেটা যেখানে গেছে, সেখানকার রঙে রঙিন হয়েছে। তাই ইংরেজি শেখা মানে শুধু ব্যাকরণ জানা নয়—বরং এ হলো এক মজার সাংস্কৃতিক অভিযানে যাওয়া, যেখানে একেক দেশের ইংরেজি একেক রকম খাবারের মতো—সবই ইংরেজি, কিন্তু স্বাদ একেক রকম!

মানবসভ্যতার আদিম যুগে ছিল না জাতিসংঘ বা ন্যাটোর মতো জোট বা সংগঠন, যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার মতো শক্তিধর রাষ্ট্র, ছিল না সে...
11/08/2025

মানবসভ্যতার আদিম যুগে ছিল না জাতিসংঘ বা ন্যাটোর মতো জোট বা সংগঠন, যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার মতো শক্তিধর রাষ্ট্র, ছিল না সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কিংবা সীমান্তরক্ষী বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এফবিআই বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থা ছিল না। অথচ আশ্চর্যের বিষয়, সেই সময়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, বাণিজ্যিক বিরোধ, খুন, চুরি, দুর্নীতি, নারীর প্রতি সহিংসতা বা খাদ্যে ভেজাল প্রায় ছিলই না।

এর রহস্য লুকিয়ে আছে মানুষের জীবনধারা ও সামাজিক কাঠামোয়। তখন মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিল, আর্থিক লোভ বা অতিরিক্ত ভোগবাদী মানসিকতা গড়ে ওঠেনি। সম্পদের মালিকানা ছিল সমষ্টিগত, ফলে কারও কাছে অতিরিক্ত কিছু জমা হতো না এবং লোভ জন্মানোর সুযোগ কম ছিল।

মানুষ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল ছিল বেঁচে থাকার জন্য, তাই প্রতারণা বা শত্রুতা করার মানসিকতা স্বাভাবিকভাবেই দমন হতো। যোগাযোগ ছিল মুখোমুখি, ফলে বিশ্বাস ও আস্থা ছিল সম্পর্কের মূলভিত্তি। প্রযুক্তির অভাব যেমন জটিল অস্ত্র বা ধ্বংসাত্মক শক্তি তৈরি হতে দেয়নি, তেমনি মানুষের চাহিদা সীমিত রেখেছিল।

খাদ্য ছিল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ, কারণ উৎপাদন ছিল ব্যক্তিগত বা ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে, যেখানে সবার স্বার্থ ছিল স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করা। বলা যায়, আদিম সমাজে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম ছিল প্রকৃতির সাথে সঙ্গতি রেখে, আর এ কারণেই নৈতিকতা, সততা ও পারস্পরিক সহমর্মিতা তখন টিকে ছিল সবচেয়ে দৃঢ় অবস্থানে।

আধুনিক সভ্যতার আইনি কাঠামো ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি যতই হোক, সেই সময়ের সহজ-সরল মানবিক বন্ধন আজও আমাদের জন্য এক অনুকরণীয় শিক্ষা হয়ে আছে।

Address

Chatteshwari Road
Chittagong
4203

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voice of Chittagong posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category