11/08/2025
ইংরেজি নামের যে ভাষাটা আমরা স্কুল থেকে শিখছি, সেটা কিন্তু আসলে একটাই “ইংরেজি” নয়। এটা যেন এক বিশাল পরিবার—যেখানে আছে ব্রিটিশ ইংরেজি, আমেরিকান ইংরেজি, অস্ট্রেলিয়ান ইংরেজি, স্কটিশ ইংরেজি, আইরিশ ইংরেজি, কানাডিয়ান ইংরেজি, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকান ইংরেজি পর্যন্ত! একেক ভাই-বোনের একেক রকম উচ্চারণ, বানান, এমনকি শব্দের অর্থও আলাদা। ভাবুন তো, একই পরিবারের মানুষ হয়েও যদি চায়ের কাপকে কেউ বলে cup of tea, কেউ বলে cuppa, আর কেউ বলে brew, তখন অতিথি হিসাবে বসে থাকা আমাদের মতো শেখা-শেখা মানুষদের অবস্থা কি দাঁড়াবে!
বিভেদের শুরুর গল্প আসলে খুব সহজ—ঔপনিবেশিক আমল থেকে ইংরেজরা তাদের ভাষা কাঁধে নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিল পৃথিবীর নানা প্রান্তে। যেখানে গিয়েছে, সেখানকার আবহাওয়া, খাবার, সংস্কৃতি আর মানুষের মুখের বুলি মিশে গিয়ে ইংরেজিকে বদলে দিয়েছে। যেমন—আমেরিকানরা বানানে অনেক কিছু “ছোট” করে দিয়েছে: ব্রিটিশরা লিখবে colour, তারা লিখবে color। ব্রিটিশরা লিখবে centre, তারা লিখবে center। আমেরিকান ইংরেজি হলো যেন ফাস্টফুডের মতো—ছোট, তাড়াতাড়ি, সহজ; আর ব্রিটিশ ইংরেজি একটু রাজকীয়, ফরমাল, চা-বাস্কুটের মতো।
অস্ট্রেলিয়ানরা আবার মজার মানুষ—তারা কথা বলার সময় শব্দ ছোট করে দেয়, এমনকি নামও। Breakfast হয়ে যাবে brekkie, afternoon হয়ে যাবে arvo। স্কটিশরা তো সরাসরি আমাদের কানে ঝড় তোলে—তাদের উচ্চারণ এমন যে অনেক সময় নেটিভ ইংরেজও কষ্টে বোঝে। উদাহরণস্বরূপ, স্কটিশে “I’m going to the store” শোনাতে পারে “Ah’m gaun tae the shop”—শুনে মনে হবে কেউ ইংরেজির সাথে গোপন কোনো পাহাড়ি ভাষা মিশিয়েছে। আর আইরিশদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও রঙিন—তাদের শব্দ, টোন আর হাস্যরস এমন যে শুনতে শুনতে মনে হবে গল্প শুনছেন, ভাষা নয়।
এই বিভেদের ফলে মজার মজার ভুল বোঝাবুঝিও হয়। এক দেশে “pants” মানে প্যান্ট, অন্য দেশে “pants” মানে অন্তর্বাস! তাই ভুল জায়গায় ভুল শব্দ বললে হাসির পাত্র হওয়া নিশ্চিত। আবার biscuit ব্রিটেনে মানে আমাদের বিস্কুট, কিন্তু আমেরিকায় সেটা নাকি এক ধরনের নরম পাউরুটি! কল্পনা করুন, “I’ll have biscuits for breakfast” শুনে আমরা বিস্কুট ভাবছি, ওরা পাউরুটি খাচ্ছে।
সব মিলিয়ে, ইংরেজি একটাই নয়—এ যেন বিশ্বভ্রমণ করা এক ভাষা, যেটা যেখানে গেছে, সেখানকার রঙে রঙিন হয়েছে। তাই ইংরেজি শেখা মানে শুধু ব্যাকরণ জানা নয়—বরং এ হলো এক মজার সাংস্কৃতিক অভিযানে যাওয়া, যেখানে একেক দেশের ইংরেজি একেক রকম খাবারের মতো—সবই ইংরেজি, কিন্তু স্বাদ একেক রকম!