24/05/2025
সে এক মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। না খুব বেশি অভাব, না খুব বেশি প্রাচুর্য—কিন্তু স্বপ্ন দেখার আগেই যে স্বপ্নগুলোকে গিলতে হয়, সে তাদেরই একজন। ছোটবেলায় খেলনার দোকানে দাঁড়িয়ে থেকে শিখেছে—সব কিছু চাওয়া যায় না, কিছু জিনিস শুধু দেখেই চলে যেতে হয়।
সে চেয়েছিল ভালো একটা ফোন, কিন্তু বাবার মুখের চিন্তার রেখা দেখে থেমে গেছে। ইচ্ছা ছিল বিদেশে পড়বে, কিন্তু মায়ের ওষুধ আর ভাইয়ের কোচিং ফিতে নিজের ভর্তি ফর্ম জমা দেয়নি। একবার ভালোবেসেছিল, বলতেও চেয়েছিল, কিন্তু নিজের অবস্থান মনে করে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিল।
তার জীবনের প্রতিটি ইচ্ছা যেন লুকানো আছে পরিবারের প্রয়োজনে, ভাই-বোনের স্বপ্নে, মায়ের হাসিতে। সে কখনো কাউকে বোঝাতে পারে না, তারও ভালো লাগা আছে, তারও ক্লান্তি আসে। সে শুধু শুনে যায়—“তুই তো বড়, তুই না বললে কে বলবে?”
তার ইচ্ছেগুলো আজও জীবিত, শুধু মুখ ফুটে বের হয় না। কখনো পুরনো ডায়েরির পাতায়, কখনো রাতের নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাসে তারা ফিরে আসে। কিন্তু তবুও সে হেরে যায় না। কারণ সে জানে—তার স্বপ্নগুলো পূর্ণ না হলেও, তার ত্যাগে অন্য কারো স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।
এই ত্যাগ, এই চুপ থাকা, এই অপূর্ণতা—সবই যেন মধ্যবিত্ত ছেলের জীবনের অনিবার্য গল্প।