14/04/2024
বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা কি ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক?
সাংঘর্ষিক এর হিসেব পরে। তার আগে আপনার কিছু সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। যেমন ধরেন—
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এসব ছবি নির্মাতাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে। তখন তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হবে তোমরা যা বানিয়েছ ,তা জীবিত কর। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৫৫৭)
তো আল্লাহ যখন বলবেন "তোমরা যা বানিয়েছ ,তা জীবিত কর" ঠিক তার পরের মূহুর্তের সক্ষমতাটির কথা উপরে বলেছি।
"যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কোন প্রাণীর ছবি তৈরি করে, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে কঠোরভাবে হুকুম দেয়া হবে ঐ ছবির মধ্যে জীবন দান করার জন্যে। কিন্তু সে জীবন দান করতে পারবে না।(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৯৬৩)
এবার আসি এর পরের প্রসঙ্গে —
ইসলামের বিশ্বাসে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মহান ব্যবস্থাপক, নিরঙ্কুশ স্বত্তাধীকারী। জীবন-মৃত্যু, রিযিক ও সৃষ্টিজগতের কল্যাণ অকল্যাণ তাঁরই ইচ্ছাধীন।
সুতরাং কেউ যদি তার অন্তরে এরকম ধারণা পোষণ করে, নববর্ষের এই শোভাযাত্রার সাথে কল্যাণের কোন সম্পর্ক রয়েছে, তবে সে শিরকে লিপ্ত হল । যদি সে মনে করে যে, আল্লাহ এই উপলক্ষ্য দ্বারা মানবজীবনে কল্যাণ বর্ষণ করেন, তবে সে ছোট শিরকে লিপ্ত হল। আর কেউ যদি মনে করে যে নববর্ষের আগমনের এই ক্ষণটি নিজে থেকেই কোন কল্যাণের অধিকারী, তবে সে বড় শিরকে লিপ্ত হল। এর কারণ-
“তিনি যদি তোমার কোন ক্ষতি করেন তবে তিনি ব্যতীত তা অপসরণকারী আর কেউ নেই। পক্ষান্তরে যদি তিনি তোমার মঙ্গল করেন তবে তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান” (সূরা আন‘আম, আয়াত: ১৭)।
সুতরাং, যেখানে আল্লাহ স্বয়ং সব কিছুর নিয়ন্ত্রক সেখানে এর বাইরে অন্য কোনোভাবে এর বিকল্প সব কিছুই শিরকের অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন ধরনের মুর্তি পুতুল নিয়ে মঙ্গলের আশায় যাত্রা/মিছিল করাই হল শিরক।
“নিশ্চয়ই যে কেউই আল্লাহর সাথে শিরক করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিবেন, আর তার বাসস্থান হবে অগ্নি।” (আল-মায়িদাহ:৭২)।
আর এই আধুনিক যুগে এসে পেঁচা, হাতি, কাকপক্ষী বা জীবজন্তুর প্রতিমূর্তি বানিয়ে সেগুলো মঙ্গল এনে দেবে বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার অভিনব উদ্ভাবন সত্যিই হাস্যকর।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক, আমিন,,।