চাটগাইয়া ভক্ত /Chittagong Devotees

চাটগাইয়া ভক্ত /Chittagong Devotees অক্কল্যে কৃষ্ণভাবনামৃতর লগে একখান অই যাই।

==========================কৃষ্ণপূজা এবং দুর্গাপূজা কি এক?===========================অল্প-বুদ্ধিসম্পন্ন কিছু লোক "অল্পমেধ...
28/09/2025

==========================
কৃষ্ণপূজা এবং দুর্গাপূজা কি এক?
===========================

অল্প-বুদ্ধিসম্পন্ন কিছু লোক "অল্পমেধসাম"(গী.৭/২৩) -যারা নিজেদের মহাপন্ডিত বলে লোক ঠকায়, তারা সমস্ত দেবদেবীকে ভগবানের বিভিন্ন রূপ বলে মনে করে এবং তাদের ভ্রান্ত প্রচারের ফলে জনসাধারণও সেকথা সত্য বলে মনে করে। প্রকৃতপক্ষে, এসমস্ত দেবদেবী ভগবানের বিভিন্ন রূপ নন, তাঁরা হচ্ছেন ভগবানের বিভিন্ন অংশবিশেষ। ভগবান হচ্ছেন এক, আর অবিচ্ছেদ্য অংশেরা হচ্ছেন বহু। বেদে বলা হয়েছে, নিত্যনিত্যানাম ভগবান হচ্ছেন এক ও অদ্বিতীয়। ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ “ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর।” বিভিন্ন দেবদেবীও হচ্ছেন শক্তিপ্রাপ্ত যাতে তাঁরা এই জড় জগৎকে পরিচালনা করতে পারেন। এসমস্ত দেবদেবী হচ্ছেন জড়জগতের বিভিন্ন শক্তিসম্পন্ন জীব (নিত্যানাম্), তাই কোনো অবস্থাতেই তাঁরা ভগবানের সমকক্ষ হতে পারেন না। শুক্লযজুর্বেদ (৩২/৩) ও শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে (৪/১৯) তাই বলা হয়েছে, ন তস্য প্রতিমা অস্তি অর্থাৎ তাঁর (পরমেশ্বর ভগবানের) সমান বা তুল্য কেউ নেই। যে মনে করে যে, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীবিষ্ণু বা শ্রীনারায়ণ ও বিভিন্ন দেবদেবী একই পর্যায়ভুক্ত, তার কোনোরকম শাস্ত্রজ্ঞান নেই। এমনকি দেবাদিদেব মহাদেব এবং আদি পিতামহ ব্রহ্মাকেও ভগবানের সঙ্গে তুলনা করা চলে না। প্রকৃতপক্ষে শিব, ব্রহ্মা আদি দেবতারা ভগবানের সেবা করেন (শিববিরিঞ্চিনুতম্); কিন্তু তা সত্ত্বেও মানব সমাজে অনেক নেতা আছে, যাদের মূর্খ লোকেরা ‘ভগবানে নরত্ব আরোপ’- এই ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অবতার জ্ঞানে পূজা করে। কিন্তু ভগবান শ্রীনারায়ণ, শ্রীবিষ্ণু বা শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর, তিনি এ জড় জগতে নাম, বিগ্রহ বা স্বয়ংরূপে আবির্ভূত হলেও জড় জগতের তত্ত্ব নন। তিনি জড় জগতের অতীত চিন্ময় জগতে নিত্য অবস্থান করেন।

এমনকি মায়াবাদ দর্শনের প্রণেতা শ্রীপাদ শঙ্করাচার্য বলে গেছেন, নারায়ণ অথবা শ্রীকৃষ্ণ এই জড় জগতের অতীত। কিন্তু সাধারণ লোকেরা (হৃতজ্ঞান) তা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিক ফল লাভ করার আশায় বিভিন্ন জড় দেবদেবীর পূজা করে চলে। এসমস্ত অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা বুঝতে পারে না, বিভিন্ন দেবদেবীকে পূজা করার ফলে যে ফল লাভ হয়, তা অনিত্য। যিনি প্রকৃত বুদ্ধিমান, তিনি ভগবানেরই সেবা করেন। তুচ্ছ ও অনিত্য লাভের জন্য বিভিন্ন দেবদেবীকে পূজা করা নিষ্প্রয়োজন। জড়া প্রকৃতির বিনাশের সঙ্গে-সঙ্গে এসমস্ত দেবদেবী এবং তাঁদের উপাসকেরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। দেবদেবীদের দেওয়া বরও হচ্ছে জড় এবং অনিত্য। জড় জগৎ, জড় জগতের বাসিন্দা, এমনকি বিভিন্ন দেবদেবী এবং তাঁদের উপাসকেরা সকলেই হচ্ছে মহাজাগতিক সমুদ্রের বুদবুদের ন্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এজগতের মানবসমাজ ভূসম্পত্তি, পরিবার পরিজন, ভোগের সামগ্রী আদি অনিত্য জড় ঐশ্বর্য লাভের আশায় উন্মাদ। এই প্রকার অনিত্য বস্তু লাভের জন্য মানবসমাজে কেউ-কেউ বিভিন্ন দেবদেবীর অথবা শক্তিশালী কোনো ব্যক্তির পূজা করে। কোনো রাজনৈতিক নেতাকে পূজা করে যদি ক্ষমতা লাভ করা যায়, সেটিকে তারা পরম প্রাপ্তি বলে মনে করে। তাই তারা সকলেই তথাকথিত নেতাদের দ-বৎ প্রণাম করছে এবং তার ফলে তাদের কাছ থেকে ছোটখাটো কিছু আশীর্বাদও লাভ করছে। এসমস্ত অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা জড় জগতের দুঃখকষ্ট থেকে চিরকালের জন্য মুক্ত হবার জন্য ভগবানের শরণাগত হতে আগ্রহী নয়। পক্ষান্তরে, সকলেই তাদের ইন্দ্রিয়তৃপ্তি সাধন করার জন্য ব্যস্ত এবং তুচ্ছ একটু ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ করার জন্য তারা দেবদেবীর আরাধনার প্রতি আকর্ষিত হয়। খুব কম মানুষই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণের শরণাগত হয়। অধিকাংশ মানুষই সর্বক্ষণ চিন্তা করছে- কীভাবে আরো বেশি ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ করা যায়। আর এসমস্ত ভোগবাসনা চরিতার্থ করার জন্য তারা বিভিন্ন দেবদেবীর কাছে গিয়ে ‘এটা দাও’, ‘ওটা দাও’ বলে কাঙ্গালপনা করে তাদের সময় নষ্ট করছে।

এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত শ্লোকটি প্রণিধানযোগ্য-

যথা তরোর্মূলনিষেচনেন
তৃপ্যনিন্ত তৎস্কন্ধভুজোপশাখাঃ।
প্রাণোপহারচ্চ যথেন্দ্রিয়াণাং
তথৈব সর্বার্হণমচ্যুতেজ্যা ॥
(ভাগবত ৪/৩১/১৪)
-বৃক্ষমূলে জলসেচন করলে যেমন সেই গাছের কান্ড, ডাল, উপখাশা প্রভৃতি সকলেই তৃপ্তিলাভ করে এবং উদরে আহার্যদ্রব্য প্রদানের দ্বারা যেমন সমস্ত ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তি হয়, তেমনই শ্রীকৃষ্ণের পূজা করলে সমস্ত দেবতার পূজা হয়ে যায়। তখন ভগবানের বিভিন্ন অংশ দেবতারাও আপনা থেকেই তৃপ্ত হন। তাই কখনো দেবদেবী-পূজাকে ভগবদ্ভক্তির সমকক্ষ মনে করা উচিত নয়।

পরমেশ্বর ভগবানকে বাদ দিয়ে দুর্গাপূজার ফলে খুব বেশি হলে কৈলাশধাম প্রাপ্ত হওয়া যেতে পারে, কিন্তু বৈকুণ্ঠ বা গোলোকধামে গমন সম্ভব নয়।

মাহেশ্বরা রাজসী চ বলিদানসমন্বিতা। শাক্তাদয়ো রাজসাশ্চ কৈলাসং যান্তি তে তয়া ॥ (ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, প্রকৃতিখ- ৬৪.৪৮॥ তাই দেবী দুর্গারই নির্দেশে সুরথ রাজা অন্তিমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই আরাধনা করেছিলেন এবং ভগবদ্ধাম প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

শাক্তগণ বলেন, “যিনি কালী বা দুর্গা, তিনিই কৃষ্ণ”। শাস্ত্রানুসারে, দেবী কালী ভগবানের শক্তি, আর শ্রীকৃষ্ণ হলেন সর্বশক্তিমান পরমেশ^র ভগবান। আগুন তাপ ও আলো উভয় শক্তির উৎস। অর্থাৎ, তাপ ও আলো শক্তি দুটো আগুনের প্রকাশ- আগুন শক্তিমান, তাপ ও আলো শক্তি। তেমনি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অনন্তশক্তির মধ্যে তিনটি প্রধান শক্তি হলো অন্তরঙ্গা, বহিরঙ্গা ও তটস্থা শক্তি। দেবী কালী হলেন শ্রীকৃষ্ণের বহিরঙ্গা মায়াশক্তি দুর্গার উগ্ররূপা প্রকাশ, যার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ সংহারকার্য সম্পাদন করেন।

ব্রহ্মসংহিতায় বলা হয়েছে-
সৃষ্টিস্থিতিপ্রলয়সাধনশক্তিরেকা ছায়েব যস্য ভুবনানি বিভর্তি দুর্গা।
ইচ্ছানুরূপমপি যস্য চ চেষ্টতে সা গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ॥
বঙ্গানুবাদঃ
“স্বরূপশক্তি বা চিৎশক্তির ছায়া-স্বরূপা প্রাপঞ্চিক জগতের সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-সাধিনী মায়াশক্তিই ভুবনপূজিতা ‘দুর্গা’, তিনি যাঁর ইচ্ছানুরূপ চেষ্টা করেন, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি।”

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের প্রকৃতিখন্ডে (১.৯০) কালী সম্পর্কে বলা হয়েছে-

‘কৃষ্ণভক্তা, কৃষ্ণতুল্যা তেজসা বিক্রমৈর্গুণৈঃ।
কৃষ্ণভাব নয়া শশ্বৎ কৃষ্ণবর্ণা সনাতনী’।
অর্থাৎ, “দেবীকালী তেজ ও গুণ বিক্রমে কৃষ্ণতুল্যা হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি কৃষ্ণ ভক্তিপরায়ণা তথা শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত (বৈষ্ণবী)। এই সনাতনী নিরন্তর কৃষ্ণের ভাবনাবশত কৃষ্ণবর্ণ হয়েছেন।”

ভক্তের মধ্যে ভগবানের সমস্ত দিব্যগুণ বিকশিত হয়, তথাপি ভক্ত ও ভগবান দুই ভিন্ন সত্ত্বা। ভগবান সেব্য, আর ভক্ত হলেন তাঁর সেবক। তেমনি দেবীকালী হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবিকা।
একেলা ঈশ্বর কৃষ্ণ আর সব ভৃত্য।
যারে যৈছে নাচায়, সে তৈছে করে নৃত্য ॥

সুতরাং, কালী তথা দুর্গা ও কৃষ্ণ এক নয়। দূর্গা ও কালী শ্রীকৃষ্ণের ভৃত্য।

©শ্রী পতিত উদ্ধারণ গৌর দাস
©অমৃতের সন্ধানে

একজন নারী যদি তার মুখ বা কথা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে সে ধীরে ধীরে একজন পুরুষের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে।একজন নারীর ক...
25/09/2025

একজন নারী যদি তার মুখ বা কথা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে সে ধীরে ধীরে একজন পুরুষের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে।একজন নারীর কথা পুরুষের শান্তি, সম্মান, সম্পর্ক এমনকি ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিতে পারে।

1. ঝগড়া অস্ত্র হয়ে যায় – তোমার ভুল, দুর্বলতা বা গোপন কথা সে জমিয়ে রাখে। রাগ হলে সব তোমার বিপক্ষে ব্যবহার করে।

2. সবার সামনে অপমান – সংসারের ভেতরের কথা বাইরে বলে, বন্ধুদের সামনে বা জনসম্মুখে হাসি-ঠাট্টা করে অপমান করে। এতে সম্মান নষ্ট হয়।

3. গসিপ বা কানাকানি – প্রমাণ ছাড়াই অন্যদের কাছে তোমার নামে বদনাম ছড়ায়। পরে সত্য প্রকাশ পেলেও ততদিনে সবাই তার কথাই বিশ্বাস করে ফেলে।

4. সন্তানদের মন বিষিয়ে দেয় – শুধু তোমার সাথে নয়, অন্যদের কাছেও, এমনকি সন্তানদের কাছেও তোমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলে। এতে সন্তানরাও তোমাকে ভুলভাবে দেখতে শুরু করে।

5. বড় ক্ষতি ডেকে আনে – অনেক সময় পুরুষ নিজের কাজের জন্য নয়, বরং স্ত্রীর অভিযোগের কারণে বাড়ি, সম্মান, সম্পর্ক সব হারায়। একটি বাড়িয়ে বলা বা ভুল অভিযোগই তাকে আদালতে টেনে নিতে পারে।

6. তুমি ভোগ করো, সে জেতে – তার মুখ তাকে সহানুভূতি আর মনোযোগ এনে দেয়, কিন্তু এর খেসারত দিতে হয় পুরুষকে—চাপ, কষ্ট আর ভেতরের ক্ষত দিয়ে।

শেষে কথা:
সব জেলখানা লোহার শিক দিয়ে বানানো হয় না। কিছু জেলখানা তৈরি হয় অপবাদ, গুজব আর এমন কথায়, যেগুলো থেকে পালানো যায় না। তাই জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় সাবধানে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ভুল নারী শুধু বেশি কথা বলে না, সে পুরুষের জীবনকেই ধ্বংস করে দিতে পারে।

 #তর্পণ  কি ? তর্পণ কেন করা হয়  ?পিতৃ তর্পন কি? কখন থেকে শুরু? কেন? কিভাবে পালনীয় বা করণীয়? পিতৃতর্পণের ঐতিহাসিক উৎস ও ...
18/09/2025

#তর্পণ কি ? তর্পণ কেন করা হয় ?
পিতৃ তর্পন কি? কখন থেকে শুরু? কেন? কিভাবে পালনীয় বা করণীয়? পিতৃতর্পণের ঐতিহাসিক উৎস ও সূত্রপাত এবং মহালয়া ভোরে তর্পণ করার তাৎপর্য কি

পিতৃ তর্পণ হচ্ছে পূর্বপুরুষদের আত্মার তৃপ্তি ও শান্তির জন্য জল (প্রসাধরভাবে তিল সহযোগে) নিবেদন করার ধর্মীয় রীতি, যা সাধারণত আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষ বা পিতৃপক্ষে পালন করা হয়।

তর্পণ কি?
তর্পণ হলো দেবতা, ঋষি, এবং মৃত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল ও তিল নিবেদন করে তাঁদের সন্তুষ্ট করার বৈদিক পদ্ধতি। 'তর্পণ' শব্দের অর্থই হলো 'তৃপ্তি' — পূর্বপুরুষদের আত্মা যাতে সন্তুষ্ট হয় সেই অভিপ্রায়ে তর্পণ করা হয়।

কখন থেকে শুরু?
পিতৃপক্ষ, অর্থাৎ আশ্বিন মাসের (চান্দ্রপঞ্জিকা) কৃষ্ণপক্ষের প্রথম দিন (পূর্ণিমা/প্রতিপদ) থেকে শুরু হয়ে অমাবস্যা/মহালয়া পর্যন্ত চলে। ২০২৫ সালে পিতৃপক্ষ ৭ সেপ্টেম্বর (পূর্ণিমা/প্রতিপদ) থেকে শুরু অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হয়েছে এবং ২১ সেপ্টেম্বর (অমাবস্যা/মহালয়া) পর্যন্ত চলবে।

কেন পালনীয়?
ধারণা করা হয়, এই সময় পূর্বপুরুষদের আত্মা মর্ত্যলোকে আসেন এবং তাঁদের সন্তুষ্টির জন্য তর্পণ, শ্রাদ্ধ, এবং দান কৃত্য অত্যন্ত ফলদায়ক। তর্পণ করলে জীবিতদের উপর পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ বর্তায়, জীবনে শান্তি, সাফল্য, এবং পরিবারের কল্যাণ ঘটে।

কিভাবে পালনীয়?
পুত্র বা যোগ্য পুরুষসন্তান বা প্রয়োজনীয় পূজারী (ব্রাহ্মণ) গঙ্গাজল/পবিত্র জল, কালো তিল, বরই/বার্লি, তুলসী পাতা, এবং নির্দিষ্ট তর্পণ মন্ত্রসহ তর্পণ করেন।

অভিপ্রেত দিন (মৃত্যুতিথি বা সর্বপিতৃ অমাবস্যা) সকালবেলা পূর্ব/দক্ষিণ দিকে মুখ করে তর্পণ করতে হয়।

প্রথমে আচমন এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হয়। এরপর জল, তিল, তুলসী সহ বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ করে ভক্তির সাথে নিবেদন করতে হয়।

তর্পণ শেষে ব্রাহ্মণ/গরীবদের দক্ষিণা ও ভোজন, কাক–কুকুরকে খাদ্য দান, পাঠ–জপ–দান ইত্যাদি করা সমাদৃত।

পিতৃতর্পণের ঐতিহাসিক উৎস ও সূত্রপাত :
পিতৃতর্পণের ঐতিহাসিক উৎস প্রাচীন বৈদিক যুগ ও পুরাণসম্মত কাহিনীর সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তর্পণ কেবল ধর্মীয় নির্দেশই নয়, পূর্বপুরুষ স্মরণ ও তাঁদের সন্তুষ্টির জন্য মানবসমাজে বিশেষ মর্যাদাস্বরূপ।

বৈদিক ও পুরাণিক উৎস :
তর্পণ শব্দ আসে 'তৃপ' ধাতু থেকে, যার অর্থ 'তৃপ্তি'—এ দ্বারা দেবতা, ঋষি ও পূর্বপুরুষদের প্রশান্তি ও সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা বোঝানো হয়।

বৃহৎ ধর্মপুরাণ, বায়ুপুরাণ, স্কন্দপুরাণ, গয়া মাহাত্ম্য-সহ একাধিক পুরাণ গ্রন্থে তর্পণের গুরুত্ব ও বিধান রয়েছে।

হিন্দু শাস্ত্রে “পিতৃদেবো ভব” উপমা—পিতা ও মাতার দেবতারূপে পূজা ও স্মরণ তর্পণ উৎসের মূল কথা।

ঐতিহাসিক সূত্রপাত — মহাভারত ও রামায়ণ
মহাভারতে কর্ণের গল্পে, তিনি স্বর্গে গিয়েও অন্নজল না পেয়ে ফিরে এসে পিতৃপক্ষে এক পক্ষকাল ধরে পূর্বপুরুষকে অন্নজল দান করেন; এখান থেকেই "পিতৃপক্ষ" ও তর্পণের মূল প্রতিপত্তি।

রামায়ণে, শ্রী রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের পূর্বে দেবী দুর্গার অকালবোধন এবং পূর্বপুরুষদের তর্পণ করেছিলেন—এই দিনের স্মৃতি থেকে ‘মহালয়া’ ও তর্পণ রীতির উৎপত্তি।

সূত্র ও শাস্ত্রীয় বিধান :
সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষের সূচনা এবং পিতৃদেবতা গৃহে আগমন করেন—তখনই তর্পণ পালনের উদ্ভব।

ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ আছে, পিতৃগণ শ্রাদ্ধে তুষ্ট হলে উত্তরপুরুষকে স্বাস্থ্য, ধন, জ্ঞান, দীর্ঘায়ু এবং শেষে স্বর্গ-মোক্ষ প্রদান করেন।

মহালয়া ভোরে তর্পণ করার তাৎপর্য :
মহালয়ার ভোরে তর্পণ করার তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও বিশেষ। এটি পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনার দিন হিসেবে ধরা হয়।

মহালয়ার ভোরে তর্পণ করার তাৎপর্য :
মহালয়া শব্দের অর্থ 'মহান আশ্রম' বা 'মহান আলয়', যেখানে দেবী দুর্গা মহামায়ারূপে আবির্ভুত হন। এই দিনই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়।

শাস্ত্র ও পুরাণ মতে, মহালয়ার ভোরে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করলে তাদের আত্মা শান্তি ও মুক্তি লাভ করে এবং তারা জীবিতদের আশীর্বাদ করেন।

মহালয়া হলো পিতৃপক্ষ শেষের দিন; এই দিনে তর্পণে পূর্বপুরুষদের জলদান করা হয়, যারা উপস্থিত না থাকতে পারেন তাদের পক্ষেও।

শাস্ত্রানুসারে, পুরুষ পিতা বা পূর্বপুরুষের মৃত্যুর স্মৃতিতে বা সময়মতো তর্পণ না করতে পারলে মহালয়ার অমাবস্যার ভোরে তর্পণ করাই উপযুক্ত।

মহালয়ার তর্পণে শুধু পূর্বপুরুষ নয়, মানবতা ও জীবদেহের সকল জীবজন্তুর জন্যও মঙ্গল কামনা করা হয়, কারণ মন্ত্রে বলা হয় "তৃপ্যন্তু সর্বমানবা" অর্থাৎ সকল মনুষ্য, প্রাণী তৃপ্ত হোক।

মহালয়ায় তর্পণ করলে পাপমোচন, বাধা কমা এবং সংসারে শান্তি-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় ভাবা হয়।

পুরাণ ও মহাভারতের কাহিনীতে উল্লেখ আছে, মহালয়ার তর্পণের মাধ্যমে কর্ণ যেমন তার পিতৃ পরিচয়ের ভুল সংশোধন করেন, সেভাবে জীবিতরাও এই তর্পণের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক পুনর্বাসন করেন।

সারাংশ
পিতৃ তর্পণ পূর্বপুরুষদের সন্তুষ্টি ও আত্মার মুক্তির জন্য আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে পবিত্র জল–তিল–মন্ত্র সহ বিশেষ নিয়মে পালন করা একটি অনন্য হিন্দু ধর্মীয় আচরণ, যা সংসারের কল্যাণ ও শান্তি-বৃদ্ধির জন্য আবশ্যিক।

‘‘শান্তিতে না থাকলে পূজা পালন হয় কীভাবে? ৩৩ হাজার মণ্ডপ হলো কীভাবে? ভারতের কুকুর ঘেউ ঘেউ করে। শুভেন্দুকে নিমন্ত্রণ জানাচ...
18/09/2025

‘‘শান্তিতে না থাকলে পূজা পালন হয় কীভাবে? ৩৩ হাজার মণ্ডপ হলো কীভাবে? ভারতের কুকুর ঘেউ ঘেউ করে। শুভেন্দুকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি; বাংলাদেশের হিন্দুরা কত ভালো আছে, দেখে যান।”—এমনই দৃপ্ত কণ্ঠে বক্তব্য রাখছিলেন অপর্ণা রায় দাস। ৫ই আগস্টের পর হঠাৎ করেই তিনি রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি হয়ে যান। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক—মাত্র দুটি পদ। দেশের নানান প্রান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যখন চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় তিনি রমনা কালী মন্দিরে এসে নির্বিকার কণ্ঠে বলেছিলেন, হিন্দুরা এদেশে সুখে শান্তিতে আছে। যেন তার কাছে সেই ভয়াবহ দিনগুলোর করুণ আর্তনাদ, আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের ধোঁয়া, আর কান্নাভেজা মুখগুলো কোনো গুরুত্বই বহন করে না। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো, যে রমনা কালী মন্দির ভারতের হিন্দুদের দান করা অর্থ ও সহায়তায় গড়ে উঠেছিল, সেই মন্দিরের প্রাঙ্গণেই দাঁড়িয়ে তিনি প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারত থেকে যা দিচ্ছে, সেটা মৌচাকে ঢিল মারা।” লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, তিনি যখনই কোনো বক্তব্য দেন, তখনই সেখানে ভারতের প্রতি বিরূপতা ফুটে ওঠে। প্রশ্ন আসে, কেন এমন হয়? এর পেছনে রয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা। আজকের বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী কথা বললেই একজন ব্যক্তি সাচ্চা দেশপ্রেমিক হয়ে যান, আর ভারতের কোনো উদ্যোগ বা সহযোগিতার প্রশংসা করলেই সহজেই দেশদ্রোহীর তকমা জুটে যায়। তাই ভারতকে আক্রমণ করাই এখন এক ধরনের জনপ্রিয় রাজনৈতিক কৌশল, যা বক্তাদের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ভোট ব্যাংক নামক কিছু ধরে রাখার আশা?

অপর্ণা রায় দাসের বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল একটি প্রশ্ন—“শান্তিতে না থাকলে ৩৩ হাজার মণ্ডপে পূজা হয় কীভাবে?” প্রথমে শুনতে এটি বেশ যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। সত্যিই তো, সুখে না থাকলে এত দুর্গাপূজা সম্ভব কীভাবে? বহির্বিশ্বের চোখে এটাই দৃশ্যমান যে, বাংলাদেশের হিন্দুরা হাজার হাজার মণ্ডপে আনন্দ-উৎসব করছে। ফলে তাদের মনে হয়, এদেশের হিন্দুরা সুখে-শান্তিতে রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দু ভিক্ষা করে হলেও দুর্গাপূজা করে, কেউ জমি বিক্রয় করে পূজা করে, কেউ মারা গেলেও তাদের পূজা বন্ধ হয় না। বহির্বিশ্বের মানুষেরা জানে না যে, বাংলাদেশের হিন্দুরা রাতে নাকে সর্ষে তেল দিয়ে ঘুমায় আর দিনের বেলায় ভিক্ষা করে পূজাপাঠ সম্পন্ন করে। প্রশ্ন হলো, এই পূজার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? এটি কি সত্যিই দেবতার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য? বাস্তবতা হলো, আজকের অধিকাংশ পূজা জন্ম নেয় হিংসা ও অহংকার থেকে। এক মণ্ডপের সঙ্গে আরেক মণ্ডপের প্রতিযোগিতা, কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে তার লড়াই। ফলাফল দাঁড়ায় ভয়াবহ। হিন্দু সমাজের কষ্টার্জিত টাকার বৃহত্তম অংশ শেষ পর্যন্ত চলে যায় অন্য ধর্মমতের ব্যবসায়ীদের পকেটে। মূর্তিশিল্পী, মণ্ডপ নির্মাতা, সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী—সবাই লাভবান হয়, কিন্তু হিন্দু সমাজ থাকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও পরনির্ভরশীল। পূজার নামে এই বিশাল ব্যয়ভার একদিকে যেমন হিন্দু পরিবারগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলে দেয়, অন্যদিকে সমাজের ভেতরে ভেতরে ফাটল তৈরি করে।

অপর্ণা রায় দাসের মতো ব্যক্তিদের ভারত-বিরোধী বক্তব্য আসল সমস্যাকে আড়াল করে দেয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর চলমান নির্যাতন, অব্যাহত হিন্দু নিধন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর—এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হারিয়ে যায় হাজারো মণ্ডপের আলো-ঝলমলে দৃশ্যের আড়ালে। বহির্বিশ্বের চোখে তখন দৃশ্যমান হয় কেবল রঙিন আলোকসজ্জা, সাউন্ড সিস্টেম, আর হাসিমুখের মণ্ডপ। এতে তারা বিশ্বাস করে বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদ এবং সুখে আছে। এই বিশ্বাস করানোর জন্য আসল দায়ী কে? আমাদের মতো নাকে সর্ষে তেল দেওয়া ঘুমন্ত মানুষেরা না কি অপর্ণা রায়ের মতো ক্ষমতালোভী ব্যক্তিরা? নিজেকে প্রশ্ন করুন।
(সংগৃহীত)

হরে কৃষ্ণ আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পবিত্র "ইন্দিরা একাদশী" ভগবানের প্রীতি বিধানের জন্য সকলে একাদশী ব্রত পালন করুন। ই...
16/09/2025

হরে কৃষ্ণ
আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পবিত্র "ইন্দিরা একাদশী" ভগবানের প্রীতি বিধানের জন্য সকলে একাদশী ব্রত পালন করুন।

ইন্দিরা একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্যঃ

আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষীয়া ইন্দিরা একাদশী একদা মহারাজ যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করলেন, হে জনার্দ্দন! আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি? তদুত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, হে, ধর্মরাজ! এই একাদশীর নাম ইন্দিরা ইহা পালনে পাপরাশি বিনষ্ট হয়, নিরয়গামী পিতৃপুরুষগণের

উর্দ্ধগতি লাভ হয়। সত্যযুগে মাহিষ্মতী নামে নগরে শত্রু দমনকারী প্রতাপশালী ইন্দ্রসেন নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি পৌত্র-পুত্র সমন্বিত বিশাল রাজ্যের প্রজাদের নিয়ে রাজত্ব করা সত্ত্বেও ভগবদ্ভক্তি থেকে কিছুতেই বিচলিত হননি। শ্রীহরি সেবা, হরি পূজন, ভক্তসঙ্গেবাস, ভগবদ্ভক্তজনে তৎপরতাই ছিল তার জীবনে প্রধান লক্ষ্য।

একদা দেবর্ষি নারদ আকাশমার্গে ভ্রমণ করতে করতে রাজার রাজ সভায় প্রবেশ করলেন। রাজা দেবর্ষিকে দর্শন করে করজোড়ে দণ্ডয়মান হয়ে দণ্ডবৎ প্রণতি জ্ঞাপন পূর্বক যথাবিহিত পাদ্য-অর্ঘ্যাদি দ্বারা পূজা করলেন। হে রাজন! আপনার রাজ্যের সকলে কুশলে আছেন তো? আপনি সদ্বুদ্ধি সধমে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে চলছেন তো? বিষ্ণু ভক্তিতে তৎপর হয়ে চলছেন তো। রাজা বললেন হে দেবর্ষে! আপনার অনুগ্রহে আমার সর্বত্রই কুশল, আপনার দর্শনে আমি সর্বত্রই কৃতার্থ, আমার জীবন ধন্য হলো; আমার সকল যাগ-যজ্ঞও সফল হয়েছে। আপনি কৃপাপূর্বক কি নিমিত্তে এসেছেন আমার জানতে বড় ইচ্ছে হয়। রাজার এই বিনয় বাক্য শ্রবণ করে দেবর্ষি নারদ বললেন, হে রাজন! আমি আশ্চর্যজনক কথা বলছি শ্রবণ কর। আমি ব্রহ্মলোক থেকে বীণা যন্ত্রে কৃষ্ণগুণগান করতে করতে যমপুরীতে গিয়েছিলাম। যমরাজ আমাকে দেখে ভক্তিযুতভাবে আমার পূজা বিধান করলেন আমি যমপুরীটা ঘুরে ঘুরে দেখতে পেলাম তোমার পিতাকে। তিনি আমায় বললেন হে দেবর্ষে! মাহিষ্মতীপুরের ইন্দ্রসেন আমার পুত্র, পুত্রকে বলবেন-তোমার পিতা ব্রতভঙ্গ অপরাধের জন্য যমালয়ে কষ্ট পাচ্ছেন, সে যেন আমার উর্দ্ধগতির জন্য ইন্দিরা একাদশী পালন করে-তাহলে তার পুণ্য প্রভাবে আমার মঙ্গল হবে।

তখন রাজা বললেন,- হে মহর্ষে! কৃপাপূর্বক আপনি আমাকে এই ব্রত মহিমা বলুন। শ্রীনারদ বললেন- আশ্বিন মাসে কৃষ্ণ পক্ষের দশমী দিন প্রাতঃস্নান করে শ্রদ্ধাসহকারে পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ করতে হয়। দিবসে একবার মাত্র প্রসাদ সেবন। রাত্রিতে ভূমিতে শয়ন ও উপবাস করতে হয়। পরদিন একাদশী বাসরে প্রাতঃস্নান, ভগবান শ্রীহরির পূজা, সাধুসঙ্গে ভগবৎ গুণাখ্যানাদি শ্রবণ কীর্তন। সম্পূর্ণরূপে আত্মেন্দ্রিয় প্রীতিবাঞ্ছা পরিত্যাগ পূর্বক উপবাস করতে হয়। সন্ধ্যাকালে শ্রীহৃষীকেশের পূজান্তে তন্নাম শ্রবণ কীর্ত্তন স্মরণ মুখে রাত্রি জাগরণ করতে হবে। দ্বাদশী দিবসে শ্রী হরির পূজা, ভোগরাগ নৈবেদ্য সমর্পনপূর্বক নৈষ্ঠিক ব্রাহ্মণ, সাধু বৈষ্ণব সেবন অন্তে পারণ করতে হয়। এইরূপ ব্রত করলে নিরয়গামী পিতাও শ্রী বিষ্ণুলোকে গমন করে। দেবর্ষি নারদের উপদেশে মাহিষ্মতীপুরের রাজা ইন্দ্রসেন এই ইন্দিরা একাদশী পালন করায় তার পিতার বিষ্ণুলোক প্রাপ্তি ঘটেছিল। রাজর্ষি ইন্দ্রসেন নিষ্কণ্টক রাজত্ব করে অন্তকালে পুত্রহস্তে রাজ্য সমর্পণপূর্বক স্বয়ং ভগবদ্ধাম প্রাপ্ত হয়েছিল। এই ব্রত মাহাত্ম্য শ্রবণে ও কীর্তনে সর্বপাপ বিমুক্ত হয় এবং শ্রীবিষ্ণু সান্নিধ্য লাভ ঘটে। হরেকৃষ্ণ —এই ইন্দিরা একাদশীর মাহাত্ম্য পাঠে ও শ্রবণে মানুষ সকল পাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে প্রাপ্ত হয়!

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

*শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রশ্নোত্তর  *১) শ্রীকৃষ্ণ কাদেরকে সর্ব অবস্থায় সর্ব প্রতিকূলতা থেকে রক্ষার প্রতিজ্ঞা করেছেন?*  *উত্ত...
15/09/2025

*শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রশ্নোত্তর

*১) শ্রীকৃষ্ণ কাদেরকে সর্ব অবস্থায় সর্ব প্রতিকূলতা থেকে রক্ষার প্রতিজ্ঞা করেছেন?*

*উত্তর:-* শ্রীকৃষ্ণ এমন সকল মানুষকে রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা করেছেন, যারা একান্তভাবে তাঁর শরণাগত হয়েছেন। অর্থাৎ, যারা সর্বপ্রকার কর্মফল, ধর্ম ও মোহ ত্যাগ করে একমাত্র তাঁরই আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, এই ধরনের ভক্তদের তিনি সকল পাপ থেকে মুক্ত করবেন এবং সর্বপ্রকার বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।

*২) সবথেকে নিচু শ্রেণীর মানুষ, যেমন স্ত্রী, বৈশ্য ও শূদ্র আদি যারা নীচু কুলে জন্মেছেন, তারা কী পথ অনুসরণ করলে ভগবানকে প্রাপ্ত হতে পারবে?*

*উত্তর:-* ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ স্পষ্ট করে বলেছেন যে, স্ত্রী, বৈশ্য, শূদ্র এবং অন্যান্য নিম্নবংশে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরাও তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করে পরম গতি বা ভগবানকে লাভ করতে পারে। তাদের একমাত্র পথ হলো ভক্তিযোগ বা ভগবানের প্রতি আন্তরিকভাবে ভক্তি নিবেদন করা। কুল বা বংশ নয়, বরং ভক্তিই ভগবানের কাছে পৌঁছানোর প্রধান মাধ্যম।

*৩) ভগবানকে লাভ করার চূড়ান্ত পন্থাটা কী?*

*উত্তর:-* ভগবানকে লাভ করার চূড়ান্ত পন্থাটি হলো সর্বধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল তাঁরই শরণাগত হওয়া। এর অর্থ হলো, সমস্ত জাগতিক নিয়ম, কর্তব্য বা ধর্ম ত্যাগ করে সম্পূর্ণভাবে ভগবানের ইচ্ছার ওপর নিজেকে সমর্পণ করা। এই আত্মসমর্পণই হলো পরম এবং সহজতম পথ, যার মাধ্যমে ভক্ত সকল পাপ থেকে মুক্ত হয়ে ভগবানকে লাভ করতে পারে।

*৪) ভগবানের শুদ্ধ ভক্তরা কীভাবে আনন্দ লাভ করেন?*

*উত্তর:-* ভগবানের শুদ্ধ ভক্তরা ভগবানের নাম, লীলা, গুণ এবং রূপের কথা আলোচনা করে পরম আনন্দ লাভ করেন। তারা সর্বদা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে ভগবানের মহিমা কীর্তন করেন। এই ধরনের আলোচনা ও কীর্তন থেকেই তারা গভীর তৃপ্তি, শান্তি এবং আনন্দ অনুভব করেন।

*৫) ভগবান কখন তাঁর ভক্তদের শুদ্ধ জ্ঞান দান করেন এবং তার ফলে ভক্ত কী লাভ করতে পারে?*

*উত্তর:-* ভগবান সেই ভক্তদের শুদ্ধ জ্ঞান দান করেন, যারা সর্বদা তাঁর প্রতি ভক্তি সহকারে যুক্ত থাকেন এবং তাঁকে প্রেম ও ভালোবাসা সহকারে ভজনা করেন। এই জ্ঞান লাভ করলে ভক্তের হৃদয়ে থাকা অজ্ঞতার অন্ধকার দূর হয় এবং সে ভগবানের দিব্য স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে। এর ফলে ভক্ত ভগবানের পরম ধামে ফিরে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে এবং সমস্ত জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে।

Darshan 08-09-2025.
08/09/2025

Darshan 08-09-2025.

ভাগবত জয়ন্তীর এই পূর্ণ লগ্নে, সকল ব্যক্তি ভাগবতের শ্রীচরণে আমার ভক্তিপূর্ণ কোটি কোটি প্রণাম।
07/09/2025

ভাগবত জয়ন্তীর এই পূর্ণ লগ্নে, সকল ব্যক্তি ভাগবতের শ্রীচরণে আমার ভক্তিপূর্ণ কোটি কোটি প্রণাম।

Appearance Day Celebration of Rangadevi & Sudevi Sakhi Sri Dham Mayapur,   September 07, 2025.                          ...
07/09/2025

Appearance Day Celebration of Rangadevi & Sudevi Sakhi Sri Dham Mayapur, September 07, 2025.

🌒🌘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহন🌘🌒৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ইংরেজী, রোজ রবিবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহন (ভারত ও বাংলাদেশ দৃশ্য)🌘🌘🌘 গ্রহণ...
05/09/2025

🌒🌘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহন🌘🌒
৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ইংরেজী, রোজ রবিবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহন (ভারত ও বাংলাদেশ দৃশ্য)🌘🌘
🌘 গ্রহণ স্পর্শ (আরম্ভ) রাত্রি ঘ ১০/২৭ মিনিটে।
🌘গ্রহণ মোক্ষ (সমাপ্তি) রাত্রি ঘ ১/৫৭ মিনিটে।
🌗গ্রহণ স্থিতিঃ ৩ঘন্টা৩০ মিনিট।
বাংলাদেশ ও ভারত সমস্ত অঞ্চল হইতে এই গ্রহণ দৃশ্য হইবে।
অবশ্যই সকলে গ্রহণ মানার চেষ্টা করবেন🙏
বিশেষ করে গর্ভবতী মা বোনেরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন🙏
১। গ্রহণ শুরুর আগে খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেলবেন।
২। গ্রহণ চলাকালীন অবশ্যই যে যার ইষ্ট দেবদেবীর বা ধর্মীয় বই,হরে কৃষ্ণমন্ত্র জপ করবেন।
৩।এই সময় নিচু হয়ে ঝুঁকে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
৪।কাউকে কটু কথা বলা, মনে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫।অবশ্যই কোন জীব হত্যা করবেন না
৬।পারলে মহাভারত, রামায়ণ ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পড়ুন এবং শ্রবণ করুন।
৭।শোঁয়া থেকে বিরত থাকুন, কিছুক্ষণ পরপর বসুন আর হাঁটুন, আর হাতে একটি সুন্দর ফুল রাখুন। মাঝেমাঝে এই ফুল দেখুন।
৮।ফুলটি হাতে কচলানো বা ছিঁড়ে ফেলা, নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
৯।আর হাঁটার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন, কোন পিচ্ছল খাওয়া, কিংবা হোচট খাওয়া থেকে রক্ষা করুন নিজেকে।
১০। কোন কিছু দেখে ভয় পাবেন না, কিংবা কেউ উচ্চস্বরে চিৎকার না করে এমনটা নিষেধ করে রাখবেন।
১১।গ্রহণ শেষ হলে স্নান করে নিন, এরপরে কিছু খেতে চাইলে খেতে পারেন।
゚ ゚ #চন্দ্রগ্রহন ゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

Address

Chittagong
Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চাটগাইয়া ভক্ত /Chittagong Devotees posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share