21/12/2025
সব পুরুষের মাঝে মাসকুলিন এনার্জি থাকে না....
কিছু পুরুষ মাসকুলিন এনার্জি বলতে স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার ক্ষমতা আর জনসম্মুখে এবং পরিবারের সামনে স্ত্রীকে শাসনের নাম করে অপমানের ক্ষমতাকে বোঝে!!!
নারীকে,, বিশেষ করে নিজের স্ত্রীকে দমন করাই আসল মাসকুলিন আচরন এদের কাছে!!!
এরা কখনও নিজের দায়িত্বকে নিজের কর্তব্যই মনে করে না। এরা স্ত্রী, সন্তানদের অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা দানের দায়িত্বকে স্ত্রীর প্রতি দয়া মনে করে৷
সমস্ত অর্থনৈতিক সমস্যার এবং পারিবারিক অস্থিতিশীলতার দায় স্ত্রীকে দিয়ে নিজের অক্ষমতাকে লুকানোর চেষ্টা করে!!
মাসকুলিন পুরুষ জানে সন্তান আর সংসারের দায়িত্ব তার নিজের৷ এই দায় স্ত্রীর না। এই দায়িত্ব তার ঘারে যেঁচে এসে তার স্ত্রী চাপায়নি৷ সে বালক থেকে পুরুষ হয়েছেই এই দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে একটা নতুন দুনিয়া দিবে বলে৷ ঠিক এই কারনেই সৃষ্টির সেরা জীবের মাঝেও শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে পুরুষকে।
এরা যখন এদের অপারগতাকে লুকাতে না পেরে স্ত্রীকে দোষী বানানোর চেষ্টা করবে তখন এদের স্ত্রী তার ফেমিনিন সত্বা থেকে বের হয়ে নিজে মাসকুলিন আচরন করবে।
স্ত্রী জাতির এই মাসকুলিন আচরনের দায় শুধু একটা পুরুষ বা একটা প্রজন্মের না। শত শত বছর ধরে পুরুষের মাসকুলিন আচরনের অভাববোধ থেকে নারী নিজে মাসকুলিন হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছে।
নারীর সেই শত বছরের স্বপ্নপূরন এই প্রজন্মের পুরুষের কাছে দুঃসপ্ন হয়ে ধরা দিয়েছে৷
পুরুষ জাতির এই মাসকুলিন নারী তৈরীর মত অর্জন শুধু এক প্রজন্মের নয়৷ বহু পুরুষ প্রজন্মের মাসকুলিন আচরনের অভাববোধ থেকে বহু নারী প্রজন্মের স্বপ্ন পুরণ এটা।
পুরুষ যতদিন নারীকে নারীত্বের সৌন্দর্য, সম্মান, সুবিধা অনুভব করাতে না পারবে ততদিন নারী মাসকুলিন হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই থাকবে আর সেই স্বপ্ন পূরণ হতেও থাকবে।
নারীত্বের সৌন্দর্য, সম্মান, সুবিধা বোঝানোর জিনিস না,,অনুভব করানোর জিনিস।
শেষ পর্যন্ত এটাও স্বীকার করে যাচ্ছি,, কিছু সত্যিকারের মাসকুলিন পুরুষ আছে বলেই আজও সমাজ টিকে আছে।
যদিও ওনাদের সংখ্যা অনেক কম।
📌
゚viralシfypシ゚viralシ