17/10/2024
আবেদনখানা পড়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌছাতে শেয়ার করে সহযোগিতা করার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল!
বরাবরে,
জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহোদয়
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকার, ঢাকা।
বিষয়: নির্যাতিত গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে সার্বিক সহযোগিতা ও বিগত আ’লীগ সরকারের দোসরদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় হামলা এবং মামলাসহ হত্যা চেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের বিচার প্রার্থনা।
জনাব,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মোঃ আয়ুব মিয়াজী, নির্যাতিত গণমাধ্যম কর্মী। জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার চন্দনাইশ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অধিভূক্ত প্রতিষ্ঠান কোড- ৭০১৯৫ অনুমোদিত মিয়াজী কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হই। বিগত আ’লীগ সরকারের ১৬ বছরের সময়কালে তাদের দোসরদের অন্যায়, অনিয়ম ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে অনেকের মত নানানভাবে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়। যা দেশ-বিদেশে আলোচিত এই ঘটনা বহুল সময়ে হত্যার হুমকী মাথায় নিয়ে সাহসিকতার সাথে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করে হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে বিপ্লবী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছি। টাকার বিনিময়ে আপোষ করে এই বিপ্লবী জীবন থেকে সরে এসে আ’লীগ ও সরকারের পক্ষে কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম বারবার। তাই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহযোগিতার আবেদন ফরমটি পর্যন্ত আটকিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী পিএস সুব্রত বড়ুয়া এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম। আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল হোসেন পুলিশের জন্য কলঙ্কিত ব্যক্তি। সে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপান ২০ জানুয়ারি ২০২২খ্রি। বিগত ২০২১ সালের শেষের দিকে যোগদান করে নানান অপরাধমূলক অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। আ’লীগ পন্থী মাফিয়া গ্রুপ সৃষ্টি করে অদ্যবধি দাপটের সহিত কর্মরত আছে দীর্ঘদিন একই স্থানে। চন্দনাইশ উপজেলায় আ’লীগ সরকারের মাঠ প্রশাসনে কর্মকর্তাদের দূর্নীতি, অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানান অসঙ্গতী ও অন্যায় অনুসন্ধানের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরতে গিয়ে তার দোসরদের সহযোগিতায় হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয় একাধিকবার। কিন্তু আইনী কোন সহযোগিতা পায়নি। অন্যান্য এসআইদের সাথে কাজ করা সোর্সদের থেকে সুবিধা নিতে না পেরে তাদেরও হয়রানিমূলক মামলা দিলে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে সোর্সরা। ইতিমধ্যে তারা অভিযোগ দিলে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ঢাকার স্মারক নং- ৪৪.০১.০০০০.০৩৫.১৭.০৫৫.২০২২/২১১১, তারিখ: ১৪/১০/২০২২খ্রি. এবং পুলিশ সুপার কার্যালয় চট্টগ্রাম স্মারক নং- ৬৩১২/আরও, তারিখ: ২৫/১১/২০২২খ্রি. অনুসারে কয়েকবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম টাকা দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। সোর্সদের সূত্রে জানা যায়, এসআই বিল্লাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে নির্যাতন ও মামলার আসামি করেন। তার রোষানলে পড়ে পৌরসভা নির্বাচনের আগে জায়গা-জমি ও পারিবারিক অভিযোগে বহু সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দোহাজারী হাইওয়ে কলোনী ও বার্মা কলোনীর দিন ও রাতের অপারাধ জগৎ। বিভিন্ন মামলার আসামি ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ ফারুকের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং সদস্যদের দালাল বা সোর্স নিয়োগ করে দোহাজারীর বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িতদের নিকট মাসে কয়েক লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করেন। তার পারিবারিক সম্পত্তি অনুসন্ধান করলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। সে আইনের কোনো তোয়াক্কা করেন না। ঘুষ বাণিজ্যই তার প্রধান নেশা। তার বিপক্ষে যাওয়ায় আমাকে হত্যা করে এটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য রোহিঙ্গা নারী দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজান থানায়। তার হাত থেকে চন্দনাইশের দোহাজারীর মানুষগুলোকে রক্ষা ও পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা এবং তার বিচার দাবী করছি। তার চক্রান্তের শিকার হয়ে আ’লীগ নেতাদের পরামর্শে দলীয় নেতা আরিফুল ইসলাম সুমন, যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ফারুকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে ইট ভাটার জন্য পাহাড় কাটা, গাছ পাচার, মাদক পাচার, পতিতা ব্যবসা বন্ধ, জুয়ার আসর বন্ধ, সরকারি ও বেসরকারি অফিসে অনিয়ম-দূর্নীতি বন্ধে নিয়মিত লেখালেখি করায় আ’লীগ সন্ত্রাসী গ্রুপের শত্রুতে পরিণত হয়। তাদের এই মাফিয়া গ্রুপ গত ৪ এপ্রিল ২০২৩খ্রি. তারিখে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে মারতে মারতে দোতলা থেকে ফেলে দেয় এবং এটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে। এতে রোহিঙ্গা নারীর চরিত্র হরণের মিথ্যা ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে প্রচার করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মামলা করতে গেলে ডিএসবি মিজানুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম এবং সাংবাদিক নেতা এড. দেলোয়ার হোসেনের হাতে ধরা খেয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ এই এসআই ঐ রোহিঙ্গা নারীকে থানা থেকে সরিয়ে নেন। এই ঘটনায় মুমূর্ষ অবস্থায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে আমার পিতা বাদী হয়ে ০৫ এপ্রিল ২০২৩খ্রি, চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সংবাদ প্রচার হলে এটি মামলা হিসেবে ঐদিন ০২/৬০ লিপিবদ্ধ করা হয়। এটির তদন্তের দায়িত্ব নেন সে নিজেই। আসামিদের বাঁচাতে ১ বছর পর মনগড়া মিথ্যা রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। উক্ত ঘটনায় ২৭ এপ্রিল ২০২৩ইং সাইবার ট্রাইব্যুনালের মামলা নং ১০০/২৩-ও দায়ের করা হয়। কিন্তু সাক্ষীদের নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যাওয়া ও টাকার অভাবে মামলাটি আংশিক প্রমাণ করতে পারি। গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ই তারিখে তার বাহিনী আমাকে হত্যার হুমকী দিলে চন্দনাইশ থানার সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেনের নিকট সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং- ৫১৯। এটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিবাদী এসআই বিল্লাল হোসেনকে। এর আগে ২৯ জুলাই’২০২৩খ্রি. তারিখে তৎকালীন পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তারের ছত্রছায়ায় গঠিত দোহাজারী পৌরসভার দূর্নীতি ও আ’লীগ কর্মী দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করি। এই ঘটনায় তার গ্রুপের আরোও একটি রক্তাক্ত হামলায় থানায় মামলা না নিলে প্রমাণসহ ০৮ আগস্ট ২০২২ইং আদালতের সিআর মামলা নং ২৮২/২২ দায়ের করি। আদালত এটি এফআইআর হিসেবে চন্দনাইশ থানার মামলা নং ২১/২০২ নোট করেন। এটিও তদন্ত করেন সেই এসআই বিল্লাল হোসেন। এর আগে এই ঘটনায় আসামীদের মুখে মুরগীর রক্ত মেখে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেনের থানায়। কিন্তু আমার করা মামলার মিথ্যা রিপোর্ট দিলে ন্যায় বিচারের আশায় নারাজী শুনানীতে সিআইডিকে পুণঃ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মাফিয়া গ্রুপটি এসব মামলা থেকে বাঁচতে বিগত উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আ’লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম সুমনসহ অন্যান্য আসামীদের রক্ষা করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক একাধিক মামলা হিসেবে গত ১১ মে ২০২৩ ইং আদালতে সি আর মামলা নং ২২৫/২৩মূলে অভিযোগ দায়ের করেন। বিগত ০১ আগস্ট ২০২২খ্রি চন্দনাইশ থানার মামলা নং ০১/১৮২ এর দায়ের করলে রিকল এর জামিন নামা গৃহীত হয়। চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪/০৮/২০২২ইং তারিখে ও চন্দনাইশ থানার ননএফআইআর নং- ১০০/২২, তারিখ ২৬/১২/২০২২খ্রি এবং হয়রানিমূলক আরোও একটি ননএফআইআর নং- ০৭/২৩, তারিখ- ১১/০২/২৩খ্রি. দায়ের করেন এসআই বিল্লাল হোসেন। ননএফআইআর মামলাগুলো বিচার কার্য সম্পাদনের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে গ্রাম আদালতে প্রেরণ করেন। প্রশাসনিক ও সরকারী কোন সহযোগিতা ছাড়া হামলা-মামলার শিকার হয়ে আয় বন্ধ হয়ে ধার-দেনা করে নিজের চিকিৎসা এবং মামলার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে মানসিকভাবে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টু করতে না পেরে তার বাহিনী টাকা দিয়ে বা অন্যকিছু দিয়ে সন্তুষ্টু করায় ঘটনার সাক্ষীরা ভয়ে বা জামেলায় জড়াতে না চাওয়ার মন-মানসিকতার অভাবে ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। মামলার তদন্তে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা দোহাজারী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিল্লাল হোসেন এই পর্যন্ত একটি আসামিকেও গ্রেপ্তার করেনি এবং নিউজের তথ্য-উপাত্ত নষ্ট করতে ৫টি ল্যাপটপ ভেঙ্গে দেন। ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন realme RMX3261 এর IME11.864623052195934, IME12. 864623052195926, ২টি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কোর্সে পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি প্রায় ৫০ হাজার টাকাগুলোও উদ্ধার করেনি। সর্বোপরি তাদের চক্রান্তের শিকার হয়ে মূল ধারার গণমাধ্যমে কাজ করার সুযোগ গুলো ছিনিয়ে নেয়। গুজব ছড়িয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে ধার-দেনা করে অতি কষ্টে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। দেশী-বিদেশী গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করলে আমাকে মেরে ফেলতে পারে নাই।
অতএব মহোদয় আপনার নিকট বিনীত অনুরোধ আমার আবেদনের বিষয়বস্তু প্রর্যালোচনা করে বর্ণনা অনুসারে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই অভিযোগের বিচার প্রার্থনা ও আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
নিবেদক
আপনার গুণমুগ্ধ
(মোঃ আয়ুব মিয়াজী)
নির্যাতিত গণমাধ্যম কর্মী
পিতা: আবদুল শুক্কুর
গ্রাম: জামিজুরী, ৮নং ওয়ার্ড, দোহাজারী পৌরসভা,
উপজেলা: চন্দনাইশ, জেলা: চট্টগ্রাম।
মোবাইল: ০১৮১৩-১৯৬৯০৪।