সঠিক পথের সন্ধান peace Tv

সঠিক পথের সন্ধান peace Tv আমার অফিসিয়াল পেইজে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম....

18/09/2025

হে মু’মিনগণ!
তোমরা এমন কথা কেন বল যা তোমরা কর না।
আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ব্যাপার যে, তোমরা বলবে এমন কথা যা তোমরা কর না।
( 61: আস সফঃ 2 ও 3)

🔰ব্যারিষ্টার ফুয়াদ ভাইয়ের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার সাথে সাক্ষাৎয়ের ইচ্ছা পোষণ করি। আলহামদুলিল্লাহ যেই কথা সেই কাজ,...
18/09/2025

🔰ব্যারিষ্টার ফুয়াদ ভাইয়ের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার সাথে সাক্ষাৎয়ের ইচ্ছা পোষণ করি। আলহামদুলিল্লাহ যেই কথা সেই কাজ, সাইফুল মির্জ ভাইয়ের আন্তরিকতায় সহজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ ।

ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের পরে নিজের পরিচয় দিয়ি কথা বলা শুরু করি। তার পরেই আহলে হাদীছ সম্পর্কে ও আহলে হাদীছ আলেম সম্পর্কে অবগত করলে তিনি সকলকে চেনেন আলহামদুলিল্লাহ। স্পেশালি যখন ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব স্যার সম্পর্কে অবগত করি তখন কথা একটাই "স্যারকে খুবি ভালো করে চিনি "

ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব স্যারের লেখা সকল বই ব্যারিষ্টার ফুয়াদ ভাইকে হাদিয়া দেই আলহামদুলিল্লাহ। ভাইয়ের আহলে হাদীছ সম্পর্কে যে ধারণা ও জ্ঞান রয়েছে তা আমাকে মুগ্ধ করেছে আলহামদুলিল্লাহ।

যারাই কোরআন সুন্নাহ মেনে জীবন পরিচালোনা করে তারাই আহলে হাদীছ। ফুয়াদ ভাই কোরআন ও সুন্নাহ মাহফিক জীবন পরিচালোনা করেন আলহামদুলিল্লাহ ।

রাজশাহীতে তাবলীগি ইজতেমাতে দাওয়াত দিয়েছি ভাই দাওয়াত কবুল করেছেন এবং রাজশাহীতে ফুয়াদ ভাই যখনি যাবেন তখনি তিনি মারকাজে গিয়ে স্যারের সাথে দেখা করে আসার আশ্বাস দিয়েছেন ।

দোয়া করি রাব্বুলআলামিন সকলকে সহী ইসলামকে বুঝার তাওফিক দান করুন, আমিন ।

মোঃ নাজমুস সাদাত ভাইয়ের টাইমলাইন থেকে গৃহীত।

18/09/2025

ঈদে মীলাদুন্নবী পার্টিদের কাছে চ্যালেঞ্জ-

বিশুদ্ধ হাদীস সমূহে যেভাবে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার বাক্য এসেছে, একইভাবে ঈদে মীলাদুন্নবীর বাক্য দেখাতে পারলে আগামী বছর থেকে আমিও ঈদে মীলাদুন্নবী পালন শুরু করব।

আইনুল হুদা সাহেব আরবী ইবারত পড়ার শর্ত দিয়ে ব্রাদার রাহুলের সাথে বসা থেকে পালালেন। আরবী ইবারত পড়ার যোগ্যতা পরযন্ত এনাদের ...
18/09/2025

আইনুল হুদা সাহেব আরবী ইবারত পড়ার শর্ত দিয়ে ব্রাদার রাহুলের সাথে বসা থেকে পালালেন। আরবী ইবারত পড়ার যোগ্যতা পরযন্ত এনাদের দৌড়। আমি আইনুল হুদা সাহেবকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনার সাথে আমি বসব। তবে শর্ত হল-

১. আয়াত বললে মুখস্ত আয়াত বলতে হবে। কিতাব খুলে পড়া যাবে না। আয়াতের নম্বার, সূরা নম্বর সঠিকভাবে মুখস্ত বলতে হবে।

২. আয়াতের তাফসীর দিলে পুরো ইবারত নির্ভুলভাবে মুখস্ত বলতে হবে। সাথে তাফসীর গ্রন্থের পৃ. ও খন্ড নং সঠিকভাবে বলতে হবে।

৩. কোন হাদীস বললে পুরো হাদীসের সনদ ও মতন মুখস্ত বলতে হবে। কিতাব দেখে রিডিং পড়ার মত বাহাদুরী সবাই করতে পারে।

৪. যেই রাবী নিয়ে কথা হবে সেই রাবীর ব্যাপারে জারাহ-তাদীল সবই মুখস্ত বলতে হবে।

৫. কোন মাসআলা নিয়ে কথা হলে সেই মাসআলার ব্যাপারে ইমামদের ফতওয়াগুলি পুরো ইবারতসহ মুখস্ত বলতে হবে। রেফারেন্সসহ।

আইনুল হুদা সাহেবগণ! আপনারা (সকল ব্রেলভি ও দেওবন্দীগণ) শুধু ইবারত পড়া নিয়ে পড়ে আছেন। এবার একটু সামনে অগ্রসর হন। আর কতকাল কিতাব দেখে দেখে ইবারত পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন।

যদি উপরোক্ত শর্তগুলি পূরণ করতে পারেন কেউ তাহলে তার সাথে আমি বসব ইনশাআল্লাহ।

18/09/2025

‘📖 ‘আমি জ্ঞানের শহর ও আলী তার দরজা’-হাদীসটির তাহকীক

‘📖 শহীদুল্লাহ বাহাদুরের জবাব

‘📖 রচনায় : আহমাদুল্লাহ সৈয়দপুরী

‘📖 ভূমিকা : সম্প্রতি ড. আবূ বকর যাকারিয়া স্যারের উক্ত হাদীসটির বিষয়ে বলা একটি ফতওয়াকে কেন্দ্র করে ব্রেলভি ঘরানার বক্তা ও লেখক শহীদুল্লাহ বাহাদুর জবাবমূলক আলোচনা করেছেন। তিনি মূলত যাকারিয়া স্যারকে খন্ডন করেছেন। তিনি তার বইতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বইটি তিনি আমাকে হাদিয়া দিয়েছিলেন অনেক আগেই। কিন্তু বইটি পড়ার সুযোগ হয় নি। বেশ কয়েকজন দীনী ভাইয়ের অনুরোধে হাদীসটির তাহকীক নিয়ে লিখতে বসে বইটি সম্মুখে রেখে লেখা শুরু করলাম। তিনি যেভাবে দলীল দিয়েছেন সেভাবেই ধারাবাহিকভাবে আমিও আলোচনা পেশ করব।

‘📖 প্রথম হাদীস :

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الرُّومِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، عَنْ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রأَنَا دَارُ الحِكْمَةِ ‌وَعَلِيٌّ ‌بَابُهَاগ্ধ. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مُنْكَرٌ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الحَدِيثَ عَنْ شَرِيكٍ، وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الصُّنَابِحِيِّ وَلَا نَعْرِفُ هَذَا الحَدِيثَ عَنْ أَحَدٍ مِنَ الثِّقَاتِ غَيْرِ شَرِيكٍ. وَفِي البَابِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ-

(তিরমিযী হা/৩৭২৩, ৩৭৯০; শহীদুল্লাহ বাহাদুর, প্রমাণিত হাদীসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন ১/২৯৪)।

‘📖 তাহকীক : হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘হাদীসটি গরীব, মুনকার বা আপত্তিকর’। বাহাদুর সাহেব এই হাদীসটি যঈফ হিসেবে মেনে নিয়েছেন। সুতরাং আমি এ হাদীসটির সনদ নিয়ে কোন আলোচনা করছি না। যদিও হাদীসটি শুধুই যঈফ নয়। এটি যঈফের চেয়েও আরও নিকৃষ্ট স্তরের। তারপরও কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় এ বিষয়ে সামনে অগ্রসর হলাম না।

‘📖 দ্বিতীয় হাদীস :

حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ الْهَرَوِيُّ، بِالرَّمْلَةِ، ثنا ‌أَبُو ‌الصَّلْتِ ‌عَبْدُ ‌السَّلَامِ ‌بْنُ ‌صَالِحٍ، ‌ثنا ‌أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأْتِ الْبَابَ-

(হাকেম হা/৪৬৩৭; শহীদুল্লাহ বাহাদুর, প্রমাণিত হাদীসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন ১/২৯৪)।

‘📖 তাহকীক : হাফেয যাহাবী রহিমাহুল্লাহ এই হাদীসটিকে মাওযূ বলেছেন (তালখীসুল মুসতাদরাক হা/৪৬৩৭, ৩/১৩৭)। বাহাদুর সাহেব অবশ্য বাহাদুরী প্রদর্শন করতে গিয়ে হাফেয যাহাবীর মতটিকে উল্লেখ না করে হজম করে গেছেন। অথচ বাহাদুর সাহেব যেই হাদীসের দলীল দিয়েছেন সেই হাদীসের নিচেই ইমাম যাহাবী রহিমাহুল্লাহ-এর টিকা যুক্ত করা আছে। যাহোক, হাদীসটির তাহকীকে বাহাদুর সাহেব কী লিখেছেন তার পর্যালোচনা নিচে দেয়া হল-

‘📖 (১) বাহাদুর সাহেব লিখেছেন, ‘ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটি সংকলন করে লিখেন, এ হাদীসটির সনদ সহীহ। যদিওবা শাইখাইন সংকলন করেন নি’ (প্রমাণিত হাদীসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন ১/২৯৫)।

এরপর তিনি লিখেছেন, এই হাদীসের সনদে আব্দুস সালাম বিন সালেহ বিন সুলায়মান বিন আইয়ূব বিন মাইসারাহ আবুস সালত নামক একজন রাবী আছেন। ইমামদের একদল তার হাদীসের উপর নির্ভর করতেন। ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ লিখেন, ‘দাওরী বলেন, আমি ইবনে মাঈনকে আবুস সালতকে বিশ্বস্ত বলতে শুনেছি (তাহযীবুত তাহযীব ৬/৩৬১)।

বাহাদুর আরও লিখেন, ‘ইমাম হাকেম বলেছেন, হাদীসের জগতের ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বা বিশ্বস্ত বলেছেন (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৫১৯, ৬/৩২২)।

‘📖 জবাব : আমাদের বাহাদুর ভাই ইবনু হাজারের কিতাব হতে এ দুটি উক্তি তুলে দিয়েছেন। যা আপনারা অবলোক করলেন। আসলে ইমাম ইবনু হাজার রহিমাহুল্লাহ আলোচ্য রাবী আবুস সালত সম্পর্কে আরও অনেক কিছুই লিখেছেন। যেগুলো বাহাদুর সাহেব বাহাদুরি করে গোপন করেছেন। সেগুলো নিচে তুলে দেয়া হল-

‘📖 ১. ইবনু হাজার রহিমাহুল্লাহ লিখেছেন,

قال القاسم بن عبد الرحمن الأنباري سألت يحيى بن معين عن حديث حدثنا به أبو الصلت عن أبي معاوية عن الأعمش عن مجاهد عن ابن عباس مرفوعا أنا مدينة العلم الحديث فقال هو صحيح وقال الخطيب أراد أنه صحيح عن أبي معاوية إذ قد رواه غير واحد عنه-

‘📖 ব্যাখ্যা : কাসেম বিন আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমি মদীনার ইলম’ হাদীসটি সম্পর্কে আমি ইয়াহইয়া বিন মাঈনকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার কথার জবাবে তিনি হাদীসটিকে সহীহ বললেন। তবে খতীব বাগদাদী ইবনু মাঈনের সহীহ বলা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ইবনু মাঈন আবূ মুআবিয়া হতে বর্ণিত সম্পর্কে সহীহ বলেছেন। কেননা আবূ মুআবিয়া হতে আরও অনেকেই এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

তাহলে বুঝা গেল যে, ইমাম খতীব বাগদাদী রহিমাহুল্লাহর মতে, হাদীসটিকে আবূ মুআবিয়া হতে অনেকেই বর্ণনা করেছেন বিধায় ইবনু মাঈন রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। অথচ ইবনু মাঈনকে আবুস সালত বর্ণিত হাদীসটির সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তার মানে, আবুস সালতকে ইবনু মাঈন সিকাহ মনে করতেন না। যদি তিনি এমনটা মনে করতেন; তাহলে খতীব বাগদাদী রহিমাহুল্লাহ আবুস সালতের উপরের রাবী তথা তার উস্তাদ আবূ মুআবিয়া ও তার অন্যান্য ছাত্রদের প্রসঙ্গ আনতেন না।

‘📖 ২. ইবনু হাজার লিখেছেন,
وقال المزوري سئل أبو عبد الله بن أبي الصلت فقال روى أحاديث مناكير-
(তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ব্যাখ্যা : ইমাম মাযূরী বলেন, আবূ আব্দুল্লাহ রহিমাহুল্লাহকে ‘আবুস সালত’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, আবুস সালত মুনকার হাদীস সমূহ বর্ণনা করেন (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

বাহাদুর সাহেব কিন্তু মুনকার হাদীসকে যঈফ বলেছেন। যার আলোচনা প্রথম হাদীসে গত হয়েছে। কিন্তু এখানে তিনি ইবনু হাজারের এই লেখাগুলোকে বাদ দিয়েছেন।

‘📖 ৩. ইবনু হাজার আরও লিখেছেন,
قيل له روى حديث مجاهد أنا مدينة العلم قال ما سمعنا بهذا قلت هذا الذي ينكر عليه قال غير هذا أما هذا فما سمعنا به وروى عن عبد الرزاق أحاديث لا نعرفها أو لا نسمعها-

ব্যাখ্যা : ইমাম আবূ আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, আবুস সালাত ‘আমি মদীনার ইলম’ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। জবাবে তিনি বললেন, আমি হাদীসটি শ্রবণ করি নি’। এছাড়াও তিনি আরও বললেন, আবুস সালত ইমাম আব্দুর রাযযাক হতে এমন কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন; যেগুলো আমরা চিনি না অথবা আমরা শ্রবণ করি না’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ৪. এরপর ইবনু হাজার রহিমাহুল্লাহ ইমাম ইবনু মাঈনের উক্ত কথাটি লিখেছেন যেটি বাহাদুর সাহেব বাহাদুরী করে তার বইতে লিখেছেন। আমরা ইবনু মাঈনের উক্তিটি আলোচনার শেষে তাহকীক করব।

‘📖 ৫. ইবনু হাজার বলেছেন,
وقال زكريا الساجي يحدث مناكير هو عندهم ضعيف-

ব্যাখ্যা : ইমাম যাকারিয়া আস-সাজী বলেছেন, ‘আবুস সালত মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি মুহাদ্দিসদের নিকটে যঈফ হিসেবে গণ্য’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ৬. ইবনু হাজার বলেছেন,
وقال النسائي ليس بثقة وقال أبو حاتم سألت أبي عنه فقال لم يكن بصدوق وهو ضعيف ولم يحدثني عنه-

ব্যাখ্যা : ইমাম নাসাঈ বলেছেন, ‘তিনি সিকাহ রাবী নন’। আবূ হাতেম বলেছেন, ‘আমি আমার বাবাকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, আবুস সালাত সদূক স্তরের বা সত্যবাদী স্তরের রাবী নন। বরং তিনি একজন যঈফ রাবী’। আর আমার বাবা আমার কাছে তার হাদীস আদৌ বর্ণনা করেন নি (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ৭. ইবনু হাজার লিখেছেন,
وضرب أبو زرعة على حديثه وقال لا أحدث عنه ولا أرضاه-

ব্যাখ্যা : ইমাম আবূ যুরআহ বলেছেন, ‘আমি আবুস সালতের থেকে হাদীস বর্ণনা করি না। আর আমি তার হাদীসে সন্তুষ্টও নই’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ৮. ইবনু হাজার লিখেছেন,
وقال ابن عدي له أحاديث مناكير في فضل أهل البيت وهو متهم فيها-

ব্যাখ্যা : ইমাম ইবনু আদী বলেছেন, ‘তিনি আহলে বাইতের ফযীলতে মুনকার হাদীস সমূহ বর্ণনা করেছেন। আর তিনি আহলে বাইতের ফযীলতে হাদীস জাল করার দোষ দুষ্ট’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ৯. ইবনু হাজার লিখেছেন,
وقال البرقاني عن الدارقطني كان رافضيا خبيثا-

ব্যাখ্যা : ইমাম বুরকানী রহিমাহুল্লাহ ইমাম দারাকুতনী রহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণনা করেছেন, ‘ইমাম দারাকুতনী তাকে রাফেযী-খবীস বলেছেন’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ১০. ইবনু হাজার লিখেছেন,
قال لي دعلج إنه سمع أبا سعيد الهروي وقيل له ما تقول في أبي الصلت قال نعم بن الهضيم ثقة قال إنما سألتك عن عبد السلام فقال نعم ثقة ولم يزد على هذا

ব্যাখ্যা : ইমাম আবূ সাঈদ আল-হারবীকে ‘আবুস সালত’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তাকে সিকাহ বলেছেন। এ ব্যতীত তিনি আর কিছু বলেন নি (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ১১. ইবনু হাজার লিখেছেন,
قال أبو الحسن وروى حديث الإيمان إقرار بالقول وهو متهم بوضعه-

ব্যাখ্যা : ইমাম আবুল হাসান বলেছেন, ‘তিনি হাদীস জালকরণের অভিযোগে অভিযুক্ত’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ১২. ইবনু হাজার লিখেছেন,

وقال البرقاني وحكى لنا أبو الحسن أنه سمع يقول كلب للعلوية خير من جميع بني أمية- فقيل إن فيهم عثمان فقال فيهم عثمان له-

ব্যাখ্যা : ইমাম বুরকানী বলেছেন, আমাদেরকে আবুল হাসান বর্ণনা করেছেন, তিনি শুনেছেন যে, আবুস সালত বলেন, আলাভী শীআদের একটি কুকুর বনূ উমাইয়ার সমস্ত মানুষের চেয়েও উত্তম (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

অর্থাৎ বনূ উমাইয়াদের মধ্যে রয়েছেন আবূ সুফিয়ান রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু, ওসমান রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু, মুআবিয়া রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু। আরও অনেক সাহাবী। কিন্তু তারা সকলেই আলাভী শীআদের কুকুরের চেয়ে নিকৃষ্ট!! নাঊযুবিল্লাহ। আলাভী শীআ কারা তা নিয়ে ভিন্ন স্থানে আলোচনা করব।

‘📖 ১৩. ইবনু হাজার লিখেছেন,
وقال العقيلي رافضي خبيث وقال مسلمة عن العقيلي كذاب-
ব্যাখ্যা : ইমাম উকায়লী বলেছেন, আবুস সালত একজন রাফেযী, খবীস। ইমাম মাসলামা বলেছেন, উকায়লী তাকে কাযযাব বা মহামিথ্যুক বলেছেন (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ১৪. ইবনু হাজার লিখেছেন,
وقال ابن حبان لا يجوز الاحتجاج به إذا انفرد-

ব্যাখ্যা : ইমাম ইবনু হিব্বান বলেছেন, ‘তার হাদীস দ্বারা দলীল লেখা যাবে না যখন তিনি এককভাবে বর্ণনা করেন’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

‘📖 ১৫. ইবনু হাজার লিখেছেন,
وقال الحاكم والنقاش وأبو نعيم روى مناكير وقال الحاكم وثقه أمام أهل الحديث يحيى بن معين -

ব্যাখ্যা : ইমাম হাকেম, নুক্কাশ এবং আবূ নুআঈম বলেছেন, আবুস সালত মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন। তবে ইমাম হাকেম বলেছেন, আহলে হাদীসের জগতের ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বা বিশ^স্ত বলেছেন (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

আসলে ইমাম হাকেমের মতে, আবুস সালত একজন মুনকার হাদীস বর্ণনাকারী। তিনি ইবনু মাঈনের যে উক্তিটি উদ্ধৃত করেছেন; তা তার নিজস্ব মত নয়। তার মতে, আবুস সালত মুনকার হাদীস বর্ণনাকারী। তিনি ইবনু মাঈনের অভিমত বর্ণনা করেছেন মাত্র। ইবনু মাঈনের মতকে নিজের মত হিসেবে তিনি বর্ণনা করেন নি।

‘📖 ১৫. ইবনু হাজার লিখেছেন,
قال محمد بن طاهر كذاب-

ব্যাখ্যা : ইমাম মুহাম্মাদ বিন তাহের বলেছেন, ‘আবুস সালত একজন কাযযাব বা মহামিথ্যুক রাবী’ (তাহযীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৯)।

ইমাম ইবনু মাঈন কি আসলে তাকে সিকাহ বলেছেন :

এক্ষণে আমরা ইবনু মাঈনের ছাত্রদের লেখা কিতাব থেকে ইবনু মাঈনের বক্তব্য পড়ব-

‘📖 (১) ইবনু মুহরিয বলেছেন,

وسألت يحيى بن معين ابى الصلت عبد السلام بن صالح الهروى فقال ليس ممن يكذب فقيل له فى حديث ابى معاوية عن الأعمش عن مجاهد عن ابن عباس انا مدينة العلم وعلى بابها فقال هو من حديث ابى معاوية اخبرنى ابن نمير قال حدث به أبو معاوية قديما ثم كف عنه -

ব্যাখ্যা : আমি ইবনু মাঈনকে আবুস সালত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আবুস সালত মিথ্যুকদের অন্তর্ভুক্ত নন। এরপর ইবনু মাঈনকে ‘আমি জ্ঞানের শহর’ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘এটি আবূ মুআবিয়ার হাদীস’। এরপর ইবনু মাঈন বলেছেন, আমাকে ইবনু নুমাঈর বলেছেন যে, আবূ মুআবিয়া এ হাদীসটি পূর্বে বর্ণনা করতেন। পরবর্তীতে তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করা হতে বিরত থেকেছেন (তারীখে ইবনু মাঈন, ইবনু মুহরিযের বর্ণনা ১/৭৯)।

উপরের আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হল যে, ইবনু মাঈন সরাসরি ‘আবুস সালত’ -কে সিকাহ বলেন নি।

সম্মানিত পাঠক! আবূ মুআবিয়া হতে বর্ণিত এই হাদীসটির ব্যাপারে ইবনু মাঈনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা খতীব বাগদাদী রহিমাহুল্লাহ প্রদান করেছেন। যার আলোচনা গত হয়েছে।

‘📖 (২) ইবনুল জুনাইদ বলেছেন,

سمعت يحيى -وذكر أبا الصلت الهروي-، فقال : لم يكن ‌أبو ‌الصلت عندنا من أهل الكذب، وهذه الأحاديث التي يرويها ما نعرفها -

ব্যাখ্যা : আমি ইবনু মাঈনকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আবুস সালতকে উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের মতে আবুস সালত মিথ্যুক নন। আর তিনি এমন সব হাদীস বর্ণনা করেন; যেগুলো আমরা চিনি না (সুওয়ালাত ইবনুল জুনাইদ, রাবী নং ৪৬৩)।

‘📖 (৩) আবূ মানসূর আশ-শায়বানী বলেছেন,

قَالَ: وَسَأَلْتُهُ عَنْ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ الَّذِي رَوَاهُ عَبْدُ السَّلامِ ‌الْهَرَوِيُّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ الَّذِي رَوَاهُ عَبْدُ السَّلامِ ‌الْهَرَوِيُّ، عَنِ، عَنِ الْأَعْمَشِ، حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَأَنْكَرَهُ جِدًّا

ব্যাখ্যা : আমি ইবনু মাঈনকে আবূ মুআবিয়ার ঐ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, যেটি আব্দুস সালাম (আবুস সালত) হারবী বর্ণনা করেছেন। আমার কথার জবাবে ইবনু মাঈন, আবুস সালত বর্ণিত হাদীসটিকে কঠিনভাবে বাতিল করে দিলেন (হাদীসু ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবূ মানসূর আশ-শায়বানীর বর্ণনা পৃ. ১৭৫)।

‘📖 সারকথা : ‘আবুস সালত’ নামক এই রাবীকে ইবনু মাঈন সিকাহ বলেন নি। তার তিনজন ছাত্র ইবনু মাঈন রহিমাহুল্লাহকে তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কী জবাব দিয়েছিলেন তা আলোচিত হয়েছে। ইবনু হাজার রহিমাহুল্লাহ ও হাকেম রহিমাহুল্লাহ কোথা হতে ইবনু মাঈনের সিকাহ বলা মন্তব্যটি পেয়েছেন তার কোন উৎস তারা দুজন বর্ণনা করেন নি। যদি ইবনু মাঈন রহিমাহুল্লাহ আবুস সালতকে সিকাহ বলেও থাকেন; তবুও তা বাতিল। কেননা জমহূর মুহাদ্দিস আবুস সালতের ব্যাপারে কঠোর সমালোচনা করেছেন।

‘📖 শহীদুল্লাহ বাহাদুর সাহেব ‘আবুস সালত’ বর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করার পর ‘আবুস সালত’- কে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করার জন্য ৪ জন ইমামের বরাত দিয়েছেন। তন্মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম ইবনু হাজারের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। আমি ইবনু হাজারের বক্তব্য উপরে তুলে দিয়েছি ঐ কিতাব হতে; যে কিতাব হতে বাহাদুর উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ তাহযীবুত তাহযীব নামক কিতাব হতে। তবে এগুলো কোনটাই ইবনু হাজারের নিজস্ব অভিমত নয়। এগুলো সবই তিনি ইমামদের বরাতে বর্ণনা করেছেন।

‘📖 এবার আসুন! ইবনু হাজারের নিজস্ব মতামতের ব্যাপারে।

‘📖 ১. ইবনু হাজার একটি হাদীসের তাহকীকে বলেছেন,
قَدْ سَرَقَهُ ‌أَبُو ‌الصَّلْتِ الْهَرَوِيُّ، وَهُوَ مَتْرُوكٌ-
‘এ হাদীসটি আবুস সালত চুরি করেছেন। আর সে একজন মাতরূক তথা বাতিল, পরিত্যক্ত রাবী’ (আত-তালখীসুল হাবীর ১/৫৭৭)।

‘📖 ২. ইবনু হাজার একটি হাদীসের তাহকীকে বলেছেন,
أَبُو ‌الصَّلْت وَهُوَ ضَعِيف يسرق الحَدِيث-
‘এতে আবুস সালত রয়েছেন। তিনি একজন যঈফ রাবী। তিনি হাদীস চুরি করেন’ (আদ-দিরায়াহ ১/১৩৩)।

‘📖 ৩. ইবনু হাজার বলেছেন,
عبد السلام ابن صالح ابن سليمان ‌أبو ‌الصلت الهروي مولى قريش نزل نيسابور صدوق له مناكير وكان يتشيع وأفرط العقيلي فقال كذاب-

‘তিনি একজন সদূক স্তরের রাবী। তার মুনকার বর্ণনা রয়েছে। তিনি শীআ ছিলেন। উকায়লী তার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছেন। কেননা তিনি তাকে কাযযাব বলেছেন’ (তাকরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৪০৭০)। ইবনু হাজারের শেষের উক্তিটি গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু ইমাম উকায়লী রহিমাহুল্লাহ আবুস সালতকে কাযযাব বলেছেন তা কিন্তু নয়। ইমাম দারাকুতনীও তাকে কাযযাব বলেছেন। যা পূর্বে আলোচিত হয়েছে। আমাদের পরবরর্তী কোন এক পর্বে এ বিষয়ে আলোচনা আসবে।

‘📖 এই হল ইবনু হাজারের সার্বিক মতামত। অর্থাৎ তিনি তার ব্যাপারে নিজের পক্ষ থেকে ৫টি অভিমত দিয়েছেন-

১. আবুস সালাত হাদীস চুরি করেন।
২. আবুস সালাত মুনকার বর্ণনা পেশ করেন।
৩. আবুস সালত যঈফ রাবী।
৪. আবুস সালত সদূক স্তরের।
৫. আবুস সালত শীআ ছিলেন।

‘📖 উল্লেখ্য, ইবনু হাজারের সদূক স্তরের বলাটা সঠিক নয়। কেননা ইমাম ইবনু আবী হাতিম রহিমাহুল্লাহ তাকে সদূক বলা খন্ডন করেছেন। যার আলোচনা গত হয়েছে।

(চলমান... ইন-শা-আল্লাহ)

13/09/2025

মাশাআল্লাহ্।
এই বার ইউরোপের মেয়েরা ও চিনতে পারছে জিন্দা ওলী তাই সরাসরি সাক্ষাৎ করতে আসছে 😆

তাহেরের অবস্থা টা দেখেন😁😁

ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা হলো, একজন কাফেরকে আসসালামু আলাইকুম বলা যায় না!
জামাতের আমির এই হাদীস জানে বলে মনে হয় না ❓ 👇👇

বলতে হয়, "আসসালামু আলা মানিত্তাবাআলা হুদা"। অর্থ হলো, "শান্তি বর্ষিত হোক তাদের ওপর, যারা হিদায়েতের পথ অনুসরণ করে"।

পর্দার বালাই তো নাই-ই।

যাহোক। আপনারা খ্যামন আচেন?
আমি কুব বালো আছি😃

আমাদের মাদরাসাকে তারা ধংস করে দিলো।😭আবু হুরায়রা মাসজিদ ও মাদরাসা কাঠালিয়া,মুক্তাগাছা,ময়মনসিংহ জুমার পর আশপাশের সকল মসজিদ...
12/09/2025

আমাদের মাদরাসাকে তারা ধংস করে দিলো।😭
আবু হুরায়রা মাসজিদ ও মাদরাসা
কাঠালিয়া,মুক্তাগাছা,ময়মনসিংহ

জুমার পর আশপাশের সকল মসজিদ থেকে মুসল্লি জড়ো করে মুফতি আজাহার,মুফতি সোহেলের নেতৃত্বে। অতঃপর দলবল নিয়ে গিয়ে এই কাজ করলো।

💩সিন্নিখোরদের আওলাদে*****ভন্ড🙄🌸সুন্নাহর অনুসরণ না করে নাম আর বংশের খ্যাতি সরিয়ে এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে আসে প্রতিব...
01/09/2025

💩সিন্নিখোরদের আওলাদে*****ভন্ড🙄

🌸সুন্নাহর অনুসরণ না করে নাম আর বংশের খ্যাতি সরিয়ে এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে আসে প্রতিবছর 💩

অহংকারের সাথে টাখনুর নিচে কাপড়

🕌 রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
🔴 “যে ব্যক্তি অহংকার করে কাপড় টাখনুর নিচে ঝুলায়, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দিকে তাকাবেন না।”
(সহিহ বুখারি, মুসলিম)

২️⃣ অহংকার ছাড়াও টাখনুর নিচে কাপড় রাখা

🕌 আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
🟠 “যা কিছু টাখনুর নিচে ঝুলে থাকবে, তা জাহান্নামে যাবে।”
(সহিহ বুখারি)

৩️⃣ তিন শ্রেণীর লোকের সতর্কতা

🕌 রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
⚫ “তিনজনের দিকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাকাবেন না, তাদের সাথে কথা বলবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি—
🟢 ১) যে ব্যক্তি কাপড় টাখনুর নিচে ঝুলায়,
🔵 ২) যে দান করে মনে করিয়ে দেয়,
🟣 ৩) যে মিথ্যা শপথ করে নিজের পণ্য বিক্রি করে।”
(সহিহ মুসলিম)

01/09/2025

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা যাবে কি│

🎙️Abdullah Bin Abdur Razzak

10/08/2025

আধুনিক যুগে যদি কিতাল আয়াতগুলি কার্যকর না হয় তাহলে আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় কিভাবে ইমারত ও শরীয়ত কার্যকর হলো!?
ইকামতে দীনের প্রায় ১০০ বছরে পৃথিবীর কোন প্রান্তে গণতন্ত্রের মাধ্যমে শরীয়ত কার্যকর করা গিয়েছে!?

28/07/2025

মাযহাব মানা যাবে কিনা?

মাযহাব মানা যাবে কিনা? এ প্রশ্নটি আমাদের সমাজে বিশেষ করে জ্ঞানপিপাসু দ্বীনীভাইদের মাঝে বহু বিতর্ক ও অনুসন্ধানের জন্ম দিয়েছে। বিশেষত যারা সালাফী বা আহলে হাদীস চিন্তাধারার অনুসারী, তারা সরাসরি মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে দ্বীনের অনুসরণ করতে আগ্রহী এবং অন্ধ আনুগত্য থেকে মুক্ত থাকতে চান।

মাযহাবের সংজ্ঞা (مفهوم المذ هب):
মাযহাব শব্দের অর্থ পথ, মত বা মতবাদ। ইসলামী শরীআহর পরিভাষায় মাযহাব বলতে চার ইমামের (ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেঈ, ইমাম আহমাদ রাহিমাহুমুল্লাহ) ফিক্বহী চিন্তাধারা ও ব্যাখ্যা পদ্ধতির অনুসৃত ধারা বোঝানো হয়।

মাযহাব অনুসরণে সালাফী তথা আহলে হাদীস দৃষ্টিভঙ্গি: এক্ষেত্রে তাদের কিছু মূলনীতি রয়েছে। যেমন-
১. কুরআন ও সহীহ হাদীসই একমাত্র দলীল। সালাফীরা বিশ্বাস করেন যে, ইসলাম হলো কুরআন এবং সহীহ হাদীস ভিত্তিক জীবনব্যবস্থা। এখানে কোনো ইমামের মতামত তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন তা কুরআন ও হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ বলতেন, كلٌّ يُؤخذُ من قولِه ويُتركُ إلا صاحبَ هذا القبر -অর্থাৎ, সবার কথাই নেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া যাবে, কিন্তু এই কবরের অধিবাসী তথা রাসূল ﷺ ব্যতীত।(ইবনু আব্দিল বার, জামিঊ বায়ানিল ইলম)।
ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ বলতেন, إذا صح الحديث فهو مذهبي -অর্থাৎ, যদি হাদীস সহীহ হয়, সেটিই আমার মাযহাব। সুতরাং, কোনো ইমামের বক্তব্য হাদীসের বিরোধী হলে, সালাফীদের মতে সেই বক্তব্য পরিত্যাজ্য।

২. মাযহাব নয়, বরং অনুসরণ করতে হয় কুরআন ও সুন্নাহ। সালাফী তথা আহলে হাদীসগণ মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও, তারা বিশ্বাস করেন যে, মাযহাব মানা যাবে, কিন্তু অন্ধভাবে নয়। কোনো একটি মাযহাবের সব ফতোয়া বা ব্যাখ্যাকে চূড়ান্ত মনে করা ঠিক নয়। ইজতিহাদ ও হাদীস যাচাই করার ক্ষমতা যাদের আছে, তাদের উচিত সরাসরি দলীল থেকে ফয়সালা করা।

৩. সালাফীরা তাকলীদ ও অন্ধ আনুগত্যের বিরোধিতা করেন। সালাফী তথা আহলে হাদীসদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় আপত্তি হলো তাকলীদ বা অন্ধ অনুসরণ। তারা মনে করেন যে, একজন সাধারণ মুসলিমকে কুরআন-সুন্নাহ বোঝাতে সাহায্য নিতে ইমামদের ব্যাখ্যা গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু তাকে এমনভাবে অনুসরণ করা যাবে না যে, দলীল থাকলেও সে নিজের ইমামের মত ছাড়তে নারাজ থাকে। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ليس لأحدٍ أن يُنصّب شخصًا يدعو إلى أقواله ويوالي ويعادي عليها غير النبي ﷺ -অর্থাৎ, রাসূল ﷺ ব্যতীত আর কাউকে এমনভাবে অনুসরণ করা বৈধ নয়, যার কথায় মানুষকে আহ্বান জানানো হবে এবং বন্ধুত্ব-শত্রুতা স্থাপন করা হবে।

৪. সাধারণ মানুষের জন্য করণীয়: সাধারণ মানুষ হাদীস বিশ্লেষণ বা ইজতিহাদ করতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে তারা ইলমী ও বিশ্বস্ত আলেমদের দ্বারস্থ হবে। আলেমদের ব্যাখ্যার পেছনে দলীল থাকলে তা গ্রহণ করবে এবং এক আলেমের ভুল ধরলে দলীলের ভিত্তিতে অন্য মত গ্রহণ করতেও দ্বিধা করবে না। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, সাধারণ মানুষের জন্য ইমামদের মত গ্রহণ করা জায়েয, তবে দলীলভিত্তিক বুঝে ও যাচাই করে, অন্ধভাবে নয়।

৫. ইকতিদা ও তাকলীদ এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ইকতিদা হলো, দলীলভিত্তিক অনুসরণ (যা প্রশংসনীয়)। আর তাকলীদ হলো, অন্ধ অনুসরণ (যা ত্রুটিপূর্ণ)। সালাফীদের আহ্বান হলো ইকতিদার দিকে, তাকলীদের বিপরীতে।

সালাফী তথা আহলে হাদীসদের মতে, মাযহাবের ইমামগণ সম্মানিত। তাঁদের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য। তবে দলীল থাকলে তা গ্রহণ করা হবে, না থাকলে তা পরিত্যাজ্য হবে। কুরআন ও সহীহ হাদীসই চূড়ান্ত মানদণ্ড। মাযহাব মানা যাবে, কিন্তু দলীলকে ছাপিয়ে নয়।সুতরাং একজন মুসলিমের দায়িত্ব হলো, জ্ঞানীদের থেকে জ্ঞান নেওয়া, কিন্তু চূড়ান্ত দলীল হিসেবে কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ করা। আর এটাই ছিল সাহাবীদের পথ, সালাফদের পন্থা, আর এটাই সালাফী তথা আহলে হাদীস দৃষ্টিভঙ্গির সারকথা।

‎🛡️ ব্রাদার রাহুল হোসেন হাফিযাহুল্লাহ —✅শুধু বিদআতিদের নয়, অমুসলিমদের জন্যও এক ভয়ংকর আতঙ্ক! ⚔️❝অনেকে ভাবেন, তিনি কেবল কব...
28/07/2025

‎🛡️ ব্রাদার রাহুল হোসেন হাফিযাহুল্লাহ —✅
শুধু বিদআতিদের নয়, অমুসলিমদের জন্যও এক ভয়ংকর আতঙ্ক! ⚔️

❝অনেকে ভাবেন, তিনি কেবল কবরপূজারি ও বিদআতি ফেরকাগুলোর বিরুদ্ধে সরব…
কিন্তু বাস্তবতা হলো — তাঁর যুক্তিবহ ও দলিলভিত্তিক বক্তব্যে এখন অমুসলিম পাদ্রীদের রাতের ঘুম হারাম!❞ 😱

📌 সম্প্রতি এক খ্রিস্টান পাদ্রী নিজেই স্বীকার করেছে —
"রাহুল হোসেনের মতো সাহসী, প্রমাণনির্ভর বক্তার সামনে দাঁড়ানো আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন!"

🧠📚 কারণ কী?
🔹 তিনি আবেগ নয়, তথ্য দিয়ে কথা বলেন
🔹 দলিল দিয়ে বাতিলের শিকড় উপড়ে ফেলেন
🔹 সালাফে সালিহীনের মানহাজে দাঁড়িয়ে বাতিল ফির্কাগুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন

🗣️ তিনি শুধু বক্তা নন — একজন সৈনিক, একজন দাঈ, একজন তরবারি!
যিনি এক হাতে বিদআতের জঞ্জাল সরান, আরেক হাতে কুফর-শিরকের মুখোশ উন্মোচন করেন।

💥 আজকের দাওয়াতি জগতে এমন স্পষ্টভাষী, অটল মানহাজের দাঈর সংখ্যা সত্যিই গুটিকয়েক।
ব্রাদার রাহুল হোসেন হাফিঃ তাদেরই একজন — যাঁর সামনে বাতিল নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে।

🔔 সতর্কবার্তা:
❝যারা এখনো কুফর, শিরক, বিদআতের ছায়ায় বসে স্বপ্ন দেখছেন —
আপনারা ভুলে যাবেন না, দাওয়াহর এই তরবারি আপনাদের দিকেই তাক করা!❞ ⚔️

‎ #রাহুলহোসেন #ইসলামী_দাওয়াহ #বিদআতের_বিরুদ্ধে #দলিলভিত্তিক_প্রমাণ #সালাফী_দাঈ #খ্রিস্টান_পাদ্রী #সত্য_দাওয়াত #শিরক_বিদআত_বিরোধী

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সঠিক পথের সন্ধান peace Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সঠিক পথের সন্ধান peace Tv:

Share