সঠিক পথের সন্ধান peace Tv

সঠিক পথের সন্ধান peace Tv আমার অফিসিয়াল পেইজে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম....

12/07/2025

কবর যিয়ারতের পদ্ধতিঃ

কবর যিয়ারতের সময় রাসূল (সাঃ) যেসব দু'আগুলো শিক্ষা দিয়েছেন / পড়েছেন সেই দু'আ গুলো পড়তে হবে। অন্যকোন দু'আ পড়া যাবে না।

১ম দো‘আ : এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে শিক্ষা দিয়েছিলেন।

اَلسَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ، وَيَرْحَمُ اللهُ الْمُسْتَقْدِمِيْنَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِيْنَ، وَإِنَّا إِنْ شَآءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ-

উচ্চারণ : আসসালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইয়ারহামুল্লা-হুল মুস্তাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুস্তা’খিরীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা।

অনুবাদ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আমাদের অগ্রবর্তী ও পরবর্তীদের উপরে আল্লাহ রহম করুন! আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি’।(মুসলিম হা/২২৫৬; মিশকাত হা/১৭৬৭)

২য় দো‘আ : এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অন্যদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।-

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ، نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ-

উচ্চারণ : আসসালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা। নাসআলুল্লা-হা লানা ওয়া লাকুমুল ‘আ-ফিয়াতা’।

অনুবাদ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ! আপনাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক! আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি। আমাদের ও আপনাদের জন্য আমরা আল্লাহর নিকটে মঙ্গল কামনা করছি’।[মুসলিম হা/২২৫৭; মিশকাত হা/১৭৬৪)

৩য় দো‘আ :

السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْلَهُمْ-

উচ্চারণ : আসসালামু ‘আলায়কুম দা-রা ক্বাওমিন মু’মিনীনা, ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হেকূনা; আল্লা-হুম্মাগফিরলাহুম।

অনুবাদ : মুমিন কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি। হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। (মিশকাত হা/২৯৮,)

এছাড়া আরো কয়েকটি দু'আ রয়েছে।

তিরমিযী বর্ণিত ‘আসসালামু ‘আলায়কুম ইয়া আহলাল কুবূরে! ইয়াগফিরুল্লা-হু লানা ওয়া লাকুম’ বলে প্রসিদ্ধ হাদীছটি ‘যঈফ’। (তিরমিযী হা/১০৫৩; ঐ, মিশকাত হা/১৭৬৫)
(সালাতুর রাসূল (সাঃ) -আসাদুল্লাহ আল গালিব)
*** এটি পড়া যাবে না।

কবর যিয়ারত সংক্রান্ত বিদয়াতঃ

১. ১ বার সূরা ফাতিহা, ৭ বার দরুদ, ৩ বার সূরা ইখলাছ পাঠ করা (এর পক্ষে কোন দলিল নেই) (ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, ফাতাওয়া নং ৩৫২)

২. সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস, সূরা ইয়াসিন সহ কুরআনের যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠ করা (এর পক্ষে কোন দলিল নেই) (আহকামুল জানায়িয, আলবানী, বিদআত নং ১৪৮) আবু দাউদ, মাসায়েল পৃ ১৫৮)

৩.কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা। (আলবানী, বিদয়াত নং ১৭৩)

কনে দেখার ক্ষেত্রে ১৫টি ইসলামি দিক-নির্দেশনা ও শিষ্টাচার▬▬▬❂❣❂▬▬▬নিঃসন্দেহে বিয়ে মানব জীবনে সবচেয়ে সুন্দর ও মধুময় সম্পর্...
04/07/2025

কনে দেখার ক্ষেত্রে ১৫টি ইসলামি দিক-নির্দেশনা ও শিষ্টাচার
▬▬▬❂❣❂▬▬▬
নিঃসন্দেহে বিয়ে মানব জীবনে সবচেয়ে সুন্দর ও মধুময় সম্পর্কের নাম। এই সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে যুবক-যুবতীগণ একে অপরকে পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইসলাম বিয়ের পূর্বে বিবাহেচ্ছু যুবককে তার স্বপ্নের রাজকন্যাকে একনজর দেখে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই এর সঠিক নিয়ম-পদ্ধতি সম্পর্কেও অবহিত নয়। যার কারণে এ বিষয়ে আমাদের সমাজে নানা বিভ্রান্তি, ভুল ধারণা ও শরিয়ত বিরোধী কার্যক্রম ছড়িয়ে আছে।
তাই নিম্নে আমরা এ বিষয়ে শরিয়তের ১৫টি দিক-নির্দেশনা এবং শিষ্টাচার তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

১. কনে দেখার শর্তাবলী:

বর্তমান শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকিহ আল্লামা শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন রাহ. বলেন, কনে দেখার চারটি শর্ত রয়েছে। যথা:
১. বিয়ের দৃঢ় ইচ্ছা থাকা।
২. মনে প্রবল ধারণা থাকা যে, কন্যাপক্ষ বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দিবে।
৩. কনে দেখার ক্ষেত্রে কু প্রবৃত্তি ও কামনার মনোভাব না থাকা।
৪. নির্জনে না হওয়া।
এ চারটি শর্তের কোনও একটি লঙ্ঘিত হলে, কোনও নারীর দিকে দৃষ্টিপাত করা হারাম।

২. কনে দেখার বিধান:

যে ব্যক্তি কোনও মেয়েকে বিয়ে করতে চায় তা জন্য সুন্নত হল, পাত্রীকে দেখা। না দেখে বিয়ে করা সুন্নত পরিপন্থী। (তা ওয়াজিব নয়)

৩. কনে দেখার পূর্বে ইস্তিখারা করা এবং তার সম্পর্কে জানা:

কনে দেখতে যাওয়ার পূর্বে ইস্তিখারা করা সুন্নত। তৎসঙ্গে তার সম্পর্কে তার এলাকার মানুষ, শিক্ষক ও পরিচিতজনদের নিকট তার চরিত্র, আদব-কায়দা, চাল-চলন ও দীনদারী সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা এবং পরামর্শ নেয়া উচিৎ। এসব করার পর, কনে দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া ভালো।

৪. কনে দেখার ক্ষেত্রে সীমারেখা:

কনে দেখার সীমা হল, (অধিক বিশুদ্ধ মতে) তার মুখমণ্ডল, মাথার চুল, ঘাড়, দু হাতের কব্জি ও পায়ের পাতা দেখা; এর বেশি নয়। [শাইখ বিন বাজ, উসাইমিন সহ অনেক আলেম এমত পোষণ করেছেন।] কোনও মেয়ের প্রতি বিয়েতে আগ্রহ বা অনাগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার জন্য এ কয়েকটি অঙ্গ দেখাই যথেষ্ট।

৫. সাজ-সজ্জা, অলঙ্কার ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা:

পাত্রীর জন্য সামান্য কিছু সাজ-সজ্জা, অলঙ্কার পরিধান ও সুন্দর পোশাকে শালীন ভাবে পাত্রের সামনে আসা দোষিণীয় নয়। তবে এত বেশি মেকআপ করা উচিৎ নয়, যার ফলে তার প্রকৃত রূপ ঢাকা পড়ে যায়। বরং সিম্পল ইজ বেস্ট। কিছু মানুষ বিউটি পার্লার থেকে এমন কড়া মেকআপ করে আসে যে, তার বাস্তব অবস্থা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। এটা অনুচিত। অন্যথায় বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রীর বাস্তব অবস্থা দেখার পর দাম্পত্য জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

৬ সশরীরে উপস্থিত হয়ে পাত্রী দর্শন:

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সামনাসামনি পাত্রী দেখা অধিক উত্তম। তবে গোপনে বা অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখাও জায়েজ আছে।

৭. ছবি ও ভিডিও কলে পাত্রী দর্শন:

ছবি লেনদেন বা ভিডিও কল এর মাধ্যমেও পাত্রী দেখা জায়েজ আছে কিন্তু এর উপর ভিত্তি করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয় যতক্ষণ না সশরীরের উপস্থিত হয়ে দেখা হয়। কারণ ছবি/ভিডিও ইডিট করে বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত অবস্থা পরিবর্তন করা সম্ভব। তাছাড়া ছবি/ভিডিওতে সাধারণত: পাত্রী মাথা, মুখমণ্ডল বা শরীরের উপরিভাগ দেখা হয়। এতে সম্পূর্ণ দেহাবয়ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না।

৮. পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে অন্যের উপর নির্ভর করা:

নিজে না দেখে অন্যের দেখার উপর সিদ্ধান্ত না নেওয়াই উত্তম। কারণ প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব রুচি বোধ, পছন্দ-অপছন্দ, চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তারা সে আলোকে সব কিছু মূল্যায়ন করে। সুতরাং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বিবাহেচ্ছু ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তা-চেতনার মিল নাও হতে পারে। যা হয়ত পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করবে। তবে জ্ঞানীদের মতামত ও মূল্যায়নকে বিবেচনা করা ভালো।
অনেক যুবক লজ্জা-শরম বা লাজুকতার কারণে মা-বাবা, ভাই-বোনদের দেখার উপর নির্ভর করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এটি অনুচিত। কারণ দেখা যায়, যদি বিয়ের পর তার স্ত্রী অপছন্দ হয় তাহলে যাদের দেখার উপর নির্ভর করে বিয়ে করেছিলো তাদেরকে সে দোষারোপ করে। এতে সৃষ্টি হয় ঝগড়া-ঝাটি ও নানা অশান্তি।

৯. কনে দেখার সঠিক নিয়ম:

কনে দেখার ক্ষেত্রে ইসলাম অনুমতি দেয় একমাত্র বিবাহেচ্ছু ব্যক্তি (পাত্র) অথবা পাত্রের মা, বোন ইত্যাদি মহিলাদেরকে; অন্য কাউকে নয়।

পাত্রের আপন ভাই, চাচাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, দুলাভাই/ভগ্নীপতি, বন্ধু-বান্ধব, চাচা, খালু, ফুফা, মামা ইত্যাদি কোনও পুরুষ ব্যক্তির পাত্রীকে দেখার অনুমতি নেই। এ সকল ব্যক্তিদের সাথে বিয়ের পূর্বে এবং পরে সর্বাবস্থায় পর্দা রক্ষা করা ফরজ। এমনকি পাত্রের পিতা এবং দাদা-নানারাও দেখতে পারবে না-যদিও তারা বয়স্ক হয়। কারণ বিবাহ সংঘটিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা মাহরাম নয়।

সঠিক পদ্ধতি হল, একমাত্র পাত্র কনের বাবা, ভাই, দাদা, চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষ কিংবা তার মা, বোন ইত্যাদি মহিলাদের উপস্থিতিতে তাকে দেখবে।

১০. যাদের জন্য কনেকে দেখা জায়েজ নয়:

আমাদের সমাজে বেশিরভাগ পরিবারে এমনভাবে কনে দেখানো হয় যে, সেখানে পাত্রের বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়-স্বজন এবং কনে পক্ষের নন মাহরাম আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার মুরব্বিরা উপস্থিত থাকে। তাদের সামনেই কনেকে পূর্ণ সাজ-সজ্জা সহকারে এবং অলঙ্কারাদি পরিহিত অবস্থায় উপস্থিত করে মাথার চুল, হাতের বাহু, পা, কাঁধ ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। অনেক সময় তার মাধ্যমে এ সকল নন মাহরাম পুরুষদেরকে আপ্যায়ন করানো হয়। আর তারা সবাই মিলে তার রূপ-সৌন্দর্য, চলাফেরা, আচরণ ইত্যাদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। ফলে তা অনেকটা বাজারে গরু দেখার মত অবস্থা হয়। এটি শরিয়ত বহির্ভূত প্রথা-যা পরিবর্তন হওয়া জরুরি।

১১. বায়োডাটা লেনদেন:

বর্তমানে পাত্র-পাত্রী পরস্পরকে জানার জন্য বায়োডাটা আদান-প্রদান করার প্রথা প্রচলিত হয়েছে। এটি একটি ভালো পদ্ধতি। কারণ এর মাধ্যমে তারা একে অপরের ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় যেমন: নাম-পরিচয়, বয়স, শারীরিক গঠন, দেহের রং, শিক্ষা-দীক্ষা, যোগ্যতা, পছন্দ-অপছন্দ, আগ্রহ-অনাগ্রহ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়গুলো সহজে জেনে নিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে মিথ্যা ও ভুল তথ্য পরিবেশন করা হারাম।

১২. ছবি লেনদেন:

বায়োডাটার সাথে কনের ছবি সংযুক্ত করা অথবা বিয়ের উদ্দেশ্যে সাধারণভাবে ছবি লেনদেনের ব্যাপারে কথা হল, এ ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কনের ছবি পাত্র বা পাত্রের মা-বোন ইত্যাদি নারী ছাড়া ঘটক বা অন্য কেউ যেন‌ দেখতে না পায় সে বিষয়ে সতর্ক করতে হবে। আর বিয়ে সংঘটিত না হলে সে ছবি যেন, কোনোভাবে পাত্র বা পাত্রপক্ষ সংরক্ষণ না করে সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। তাই পাত্র বিশ্বস্ত ও ইমানদার না হলে তার নিকট পাত্রীর পর্দা হীন ছবি সরবরাহ করা উচিত নয়।

১২. প্রশ্ন করা:

কনে দেখতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন করা দোষণীয় নয়। তবে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করা অনুচিত, যা কনে বা তার পরিবারকে বিব্রত করতে পারে।

১৩. কনে দেখার পর উপহার প্রদান:

কনে দেখার পর যদি তাকে পাত্র উপহার হিসেবে কিছু টাকা-পয়সা ইত্যাদি দেয় তাহলে তা গ্রহণ করতে বাধা নেই। তা দেওয়া ও নেওয়া উভয়টি জায়েজ। কারণ এটি আমাদের একটি প্রচলিত সামাজিক প্রথা (العرف)। আর সামাজিক প্রথাকে ততক্ষণ হারাম বা বিদআত বলা যাবে না যতক্ষণ না তা ইসলামের কোনও বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়।

১৪. কনে পছন্দ না হলে:

কনে পছন্দ না হলে বা কোনও কারণে বিয়ে সংঘটিত না হলে মানুষের সামনে কনে বা তার পরিবারের বদনাম ও সমালোচনা করা বৈধ নয়। কারণ তা গিবতের অন্তর্ভুক্ত। আর ইসলামে গিবত হারাম।

১৫. বিয়ের পূর্বে শরিযত বিরোধী কার্যক্রম:

পাত্রী দেখার পর বিয়ের পূর্বে পরিচয়ের নামে ছেলে-মেয়ের যত্রতত্র ঘোরাঘুরি, নিষ্প্রয়োজনীয় দীর্ঘ ফোনালাপ, চ্যাটিং, হাসি-তামাশা, লং ড্রাইভ, শরীর স্পর্শ ইত্যাদি সম্পূর্ণ হারাম। অনেক সময় মেয়ে পছন্দ হলে আংটি পরানোর পর তাদের মাঝে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মত আচরণ ও কথাবার্তা শুরু হয়-যা অবশ্যই গুনাহের। সুতরাং এসব অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

মনে রাখতে হবে, কনেকে আংটি পরানো বা এ্যাংঙ্গেজমেন্ট ইসলামি সংস্কৃতি নয়। বরং তা অমুসলিমদের থেকে অনেক মুসলিম গ্রহণ করেছে। তাই এ প্রথা থেকে মুসলিমদের বের হয়ে আসার উচিৎ। আর আংটি দেয়া মানে বিয়ে নয়। আকদ তথা ইজাব-কবুল ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না। এর আগ পর্যন্ত তাদের পরস্পরের মধ্যে পর্দার বিধান পরিপূর্ণ বলবত থাকবে।
আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের ইসলামি শরিয়তের সুন্দরতম আদব-শিষ্টাচার ও দিক-নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে পবিত্র ও মধুময় দাম্পত্য জীবন গঠনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহু আলাম।
আরও পড়ুন:
❂ বিয়ের পূর্বে বিবাহেচ্ছু পাত্র-পাত্রী একে অপরকে দেখার গুরুত্ব, পদ্ধতি ও সীমারেখা
https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1344369215982620
❂ বিয়ের এঙ্গেজমেন্ট এবং ভিডিওর মাধ্যমে পাত্রী দর্শন
https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/403529530066598
▬▬▬❂❣❂▬▬▬
গ্রন্থনায়:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

28/06/2025

আহলে হাদিসদেরকে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে তাদের ঈমান আকিদা এবং আদর্শ নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি না খেলতে পারে।

🎙️শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক(হাফি:)

26/06/2025

◾আহলে হাদিসদেরকে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে তাদের ঈমান আকিদা এবং আদর্শ নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি না খেলতে পারে।

🎙️শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক...

24/06/2025

শিয়াদের পরিচয় এবং তাদের আকীদার ভ্রান্তি সংক্রান্ত ১২টি বই
-----------------------------------------------------------------
বর্তমান সময়ে অনেক ভাইকে দেখা যায়, শিয়াদের সম্পর্কে না জেনেই সমর্থন করে যাচ্ছে। অনেকেই তাদের আকীদা বিশ্বাস না জানার কারণে তাদের মিষ্টি কথায় ভুলে গিয়ে তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। তাদের বিভ্রান্তিমূলক আকীদা বিশ্বাস জানার পরে কেউ তাদের ব্যাপারে চুপ থাকবে না। তাই নিচের বইগুলো পড়ুন, শেয়ার করুন।

১- ”দ্বাদশ-ইমামী শিয়া ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা”
শাইখ মুহিব্বুদ্দীন আল-খতীব
https://islamhouse.com/bn/books/145444/

২- ”শিয়াদের আকীদা বিশ্বাস”
আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সালাফী
https://islamhouse.com/bn/books/324697/

৩- ”কতিপয় প্রশ্ন, শিয়া যুবকদের যা সত্যের দিকে ধাবিত করেছে”
সুলাইমান আল-খারাশী
https://islamhouse.com/bn/books/340530/

৪- ”শিয়া আলেম ও অধিকাংশ মুসলিম আলেমের মধ্যে বিরোধের বাস্তব চিত্র”
সায়ীদ ইসমাঈল
https://islamhouse.com/bn/books/364836/

৫- ”শিয়া আকিদার অসারতা”
মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তার আততুনসাবী
https://islamhouse.com/bn/books/370147/

৬- ”শী‘আ মতবাদের বিস্তৃতি”
আব্দুল্লাহ আল-মাত্বরেফী
https://islamhouse.com/bn/books/373484/

৭- ”প্রত্যেক শীয়ার প্রতি আমার নসিহত”
আবু বকর জাবের আল-জাযায়েরী
https://islamhouse.com/bn/books/386814/

৮- ”শিয়া ও মসজিদে আকসা”
তারেক আহমাদ হিজাযী
https://islamhouse.com/bn/books/395670/

৯- ”শিয়া আকীদা সম্পর্কে ইবন তাইমিয়্যার মিনহাজুস সুন্নাহ থেকে নির্বাচিত কিছু কথা”
শারিফ আল-রাজিহী
https://islamhouse.com/bn/books/430747/

১০- ”বারো ইমামের অনুসারী শিয়াদের দৃষ্টিতে চার ইমাম”
খালেদ ইবন আহমাদ আয-যাহরানী
https://islamhouse.com/bn/books/735785/

১১- ”হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন?”
আলী আস-সাদেক
https://islamhouse.com/bn/books/434032/

১২- ”নুসাইরিয়া সম্প্রদায়”
গালেব ইবন আলী আওয়াজী
https://islamhouse.com/bn/books/409011/

এছাড়াও IslamQA থেকে অনূদিত শিয়াদের বিভিন্ন ভ্রান্তি সম্পর্কিত কিছু ফতোয়া পাবেন এখানে:
https://islamhouse.com/bn/category/193766/fatwa/bn/1

সকল জবাবের লিঙ্ক একত্রেঃ'ইসলামী আকিদা' বইটির pdf পড়ুন (আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট অনুমোদিত ফ্রি pdf) ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://assu...
24/06/2025

সকল জবাবের লিঙ্ক একত্রেঃ
'ইসলামী আকিদা' বইটির pdf পড়ুন (আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট অনুমোদিত ফ্রি pdf)
ডাউনলোড লিঙ্কঃhttps://assunnahtrust.org/shop/wp-content/uploads/2021/09/Islami-Aqida-Online-Publish.pdf
১। শাইখ মীযান হারুন হাফি. এর বক্তব্য অনুযায়ী তাওয়াসসুলের ক্ষেত্রে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এর অভিমত কি তাকফীরের পথ খুলে দিবে?
https://www.facebook.com/AbdullahJahangirCriticizeResponse/posts/274601997687652
২। শাইখ মীযান হারুন হাফি. এর বক্তব্য অনুযায়ী ইবনু আবীল ইয আকীদায় হানাফী না হওয়ায় আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. তাকে হানাফী পরিচয় দিয়ে কি ভুল করেছেন?
https://www.facebook.com/AbdullahJahangirCriticizeResponse/posts/275968750884310
৩। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর(র.) কি নিজ বইতে তাবিলের ক্ষেত্রে বিচ্যুতির শিকার হয়েছেন?
https://www.facebook.com/AbdullahJahangirCriticizeResponse/posts/277234847424367
৪। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর(র.) এর 'ইসলামী আকিদা' বইতে উল্লেখিত 'আস সুন্নাহ' কিতাব সম্পর্কে আপত্তির জবাব
https://www.facebook.com/AbdullahJahangirCriticizeResponse/posts/278459777301874
৫। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর(র.) কি দাবী করেছেন কাফিররা রুবুবিয়্যাহ তাওহীদে বিশ্বাসী এবং নবীগণ কেবল নাকি উলূহিয়্যাহর দাওয়াত দিয়েছেন?
https://www.facebook.com/AbdullahJahangirCriticizeResponse/posts/279758860505299

24/06/2025

▌আমি বাংলা ভাষায় যে সকল শাইখদের থেকে ফতোয়া নিয়ে থাকি... (নিরাপদ মনে করি)

১। শাইখ Akhtarul Aman মাদানী

২। শাইখ Abdul Hamid Al-Faizi Al-Madani

৩। শাইখ Motiur Rahman মাদানী

৪। শাইখ ড. Abubakar Muhammad Zakaria

৫৷ শাইখ Dr. Mohammad Monzur-E-Elahi

৬। শাইখ Abdur Raquib আল মাদানী

এর বাহিরেও আরও দুএকজন শাইখ রয়েছে।
হে আমার রব, আমাদের সালাফে সালেহীনদের পথে পরিচালিত করুন।
(𝐟𝗯 𝐢𝐝: 𝐇𝐨𝐬𝐬𝐚𝐢𝐧 𝐁𝐢𝐧 𝐀𝐛𝐝𝐮𝐥 𝐇𝐚𝐦𝐢𝐝)

কি বুঝলেন !?মধ্যপ্রাচ্য ইরানের হামলার পর ট্রাম্প ইরানকে ধন্যবাদ জানায়। আরেকটু সময় গড়াক থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।ইরানে...
24/06/2025

কি বুঝলেন !?
মধ্যপ্রাচ্য ইরানের হামলার পর ট্রাম্প ইরানকে ধন্যবাদ জানায়। আরেকটু সময় গড়াক থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

ইরানের শিয়ার মুসলিমদের সবচেয়ে বড় দুশমন। এরা মুনাফিক। এরা গাদ্দার। এরা যদি মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতাশীল হয় হয় তবে সুন্নিদের ধরে ধরে জ*বাই করবে। আর বাঙ্গু ইরান প্রেমিরা হজ করার জন্যেও সৌদিতে ঢুকতে পারবা না। না বুঝে যাদেরকে সাপোর্ট কর এই তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। সাহাবীদের শত্রু। মুসলিম উম্মার শত্রু।

**** #সৌদি আরব ইরানের মিসাইল হামলার প্রেক্ষিতে যে কোন পদক্ষেপে কাতারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।

ইরান হিজ*রা*য়েল যুদ্ধ শুরুর পর আরব রাষ্ট্র গুলো মোটামুটি সবাই ইরানের পাশে দাড়িয়েছিল। আমেরিকাকে কঠোর ভাবে জানিয়ে দিয়েছিল আরবদের মাটি ব্যাবহার করে ইরানে হামলা করা যাবে না এবং করতেও দেয়নি। তারপরও কাতারে হামলা করে ইরান আরবদের সিম্পিথিকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখালো!

যাইহোক, এবার কঠিন মাইর 🗡️খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও ইরান। তোমাদের ঔষধ একটাই, সেইটা হলো মাইর।⚔️

ধোঁকাবাজ জাতি হচ্ছে এই ইরান!!
আমেরিকাকে আরো এক সপ্তাহ আগেই যুদ্ধজাহাজ সহ বের করে দিছে কাতার বাহরাইন!!

ইরানের উপর আমেরিকা গ্রীস এবং ইজরাহেলের ঘাঁটি ব্যবহার করে হামলা করছে!!
ইরানের টার্গেট গ্রীস ইজরাহেল হওয়া উচিত ছিলো!!
আরব বিশ্বের কোনো ঘাঁটি ব্যবহার করে ইরানে হামলার অনুমতি দেয়নি আরব রাষ্ট্রপ্রধানরা!!

সেখানে আরবদের সার্বোভৌমত্বে আঘাত করার মানে হচ্ছে ইরান নিজের পতনের সাথে আরব ধনী দেশগুলোর পতন ঘটাতে চায়!!
আমি যে ইরানের ধংস কামনা করছি এতো দিন এবার দেখেন সেটার আসল কারন!!

ইরান কখনোই আরবদের ভালো চায়নি,ইরান চাইছে এখন একটা অজুহাত তুলে আরবদেরকে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য!!
কারন আরব দেশগুলো ইরানের প্রতিবেশী!!

ইরানের মিসাইল আরব দেশে খুব সহজে আঘাত হানতে পারবে!!
আরব দেশগুলো ধংস করা ইরানের জন্য সহজ। তাছাড়া যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে বহু বাংলাদেশী প্রান হারাবে!!
আমাদের দেশের কিছু বোকাসোদা কাতারের উপর হামলা হওয়ায় উল্লাস করছে 🐕‍🦺 জানোয়ারের দল তোদের পেটে ভাত দেয় এই আরবরা!!

ইরান তোদেরকে কোনো কিছু দেয়না!!
এক কোটি বিশ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী আরব দেশে আছি!!
যদি আরব দেশের অর্থনীতি ধংস হয়ে যায় তোদের দেশ ফকীর হয়ে যাবে!!
ভিক্ষা 🍚ছাড়া তোদের উপায় থাকবে না!!
সৌদি আরবের তেল ছাড়া তোরা অচল,কাতারের গ্যাস ছাড়া তোরা একদিনও চলতে পারবি না। বাঙালি নিমকহারাম জাতি যে প্লেটে খায় সে প্লেট ফুটো করে দেয়!!

এটাই বাস্তব সত্য।।

©️

22/06/2025

◾তিনি ক‌ওমী ,দেওবন্দী , হানাফী আলেম মুফতি আলী হাসান উসামা তাকে এখন ইহুদিদের দালাল.......
বলুন তো.!? | উনি হানাফি আলেম তবে তার সাথে ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে অনেক মতভেদ আছে কিন্তু এখানে যে শিয়াদের নিয়ে যে কথা গুলো বলেছে তা সত্য || পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ও তার সাহাবীগণকে যারা গালাগালি করে.! সেই শিয়াদের পক্ষ নিয়ে যারা কথা বলে তারা কি প্রকৃত মুসলিম..!?

ইমাম শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:
▪️ ইহুদীদেরকে জিজ্ঞেস করা হলো:
‘তোমাদের দল বা ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কারা?’ তারা বলল: মূসা আলাইহিস সালামের সাহাবীগণ।

▪️ খ্রিষ্টানদেরকে জিজ্ঞেস করা হলো:
‘তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কারা?’ তারা বলল: ঈসা আলাইহিস সালামের হাওয়ারীগণ।

❌ কিন্তু শিয়া রাফেযীদেরকে জিজ্ঞেস করা হলো: ‘তোমাদের দলের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কারা?’
তারা বলল:
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ। 👇
(মিনহাজুস সুন্নাহ ১/২৭)

এ কথার মাধ্যমে ইবনু তাইমিয়া শিয়া রাফেযীদের সাহাবীদের প্রতি বিদ্বেষ ও বিদ্রূপতা প্রকাশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন।

✍️উস্তাদ--------- Abubakar Muhammad Zakaria

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সঠিক পথের সন্ধান peace Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সঠিক পথের সন্ধান peace Tv:

Share