
20/06/2025
যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য মুক্তির পথ বের করে দেবেনঃ
তাকওয়ার স্তর
মুফাচ্ছেরিনে কেরাম বর্ণনা করেছেন, তাকওয়ার স্তর বা পর্যায় অনেক। যথাঃ প্রথমতঃ تقوى عام বা সর্ব সাধারণের তাক্বওয়া। আর তা হলো- ঈমান আনায়ন করতঃ কুফর-শিরক থেকে বিরত থাকা। দ্বিতীয়তঃ تقوى متوسط বা মধ্যম স্তরের তাকওয়া। তৃতীয়তঃ تقوى خاص বা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের তাকওয়া । আর তা হলো, ঐসব বস্তু পরিহার করা, যেগুলো আল্লাহর স্বরণ থেকে উদাসীন করে। [তাফসীরে বায়যাভী ও যুমাল]
তাকওয়ার সুফল-উপকারিতা
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে কারীমের অসংখ্য আয়াতে তাকওয়া-পরহেযগারীর অপরিসীম সুফল-উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। যেমন-আলোচ্য আয়াতের শেষাংশে এরশাদ হয়েছে, وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا অর্থাৎ যে আল্লাহকে ভয় করে মহান আল্লাহ তার জন্য (প্রত্যেক সংকট ও বিপদ থেকে) নিস্কৃতির পথ বের করে দেন এবং তাকে ধারণাতীতভাবে রিজিক দান করেন। উপরোক্ত আয়াতে তাকওয়ার দু‘টি সুফল বর্ণিত হয়েছে। প্রথমতঃ খোদাভীতি অবলম্বনকারীদের জন্য আল্লাহ নিস্কৃতির পথ বের করে দেন। কোন অবস্থা থেকে নিস্কৃতি? এক কথায় বলা যায়, দুনিয়ার যাবতীয় সংকট ও বিপদ থেকে এবং পরকালের সব বিপদাপদ থেকে নিস্কৃতি। দ্বিতীয়তঃ তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দান করেন, যা কল্পনায়ও থাকে না। এখানে রিজিকের অর্থও ব্যাপক। ইহকাল-পরকালের যাবতীয় প্রয়োজনীয় বস্তু। এ আয়াতে মুমিন-মুত্তাকীর জন্য আল্লাহর এ ওয়াদা বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি তার প্রত্যেক সমস্যাও সহজসাধ্য করেন এবং তার অভাব-অনটন পূরণের দায়িত্বগ্রহণ করে এমন পথে তার প্রয়োজনাদী সরবরাহ করেন, যা সে ধারণাও করতে পারে না। [তাফসীরে রুহুল মা‘য়ানী শরীফ]