মুক্তকণ্ঠ

মুক্তকণ্ঠ Little mag | সাহিত্যের ছোটকাগজ

সময়ের বর্ণনা ইতিহাস। আর ইতিহাসের বাহন সাহিত্য। এবারের সাহিত্য সভা জুলাই বিপ্লবের সাহিত্য নিয়ে। জুলাই বিপ্লব উপজীব্য করে ...
20/12/2024

সময়ের বর্ণনা ইতিহাস। আর ইতিহাসের বাহন সাহিত্য। এবারের সাহিত্য সভা জুলাই বিপ্লবের সাহিত্য নিয়ে। জুলাই বিপ্লব উপজীব্য করে লেখা গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, জুলাইয়ের ডায়রি,স্মৃতি,অভিজ্ঞতা,মূল্যায়ন - লিখে ফেলুন।

পাঠ হবে সাহিত্য সভায়। চলবে তুমুল আলোচনা, আড্ডা, তর্ক।

তরুণদের চিন্তা ও সাহিত্যের ঠিকানা মুক্তকণ্ঠ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের আয়োজনে 'অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা' শীর্ষক পাঠচক্র ...
08/12/2024

তরুণদের চিন্তা ও সাহিত্যের ঠিকানা মুক্তকণ্ঠ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের আয়োজনে 'অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা' শীর্ষক পাঠচক্র গত ৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আয়োজনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, চিন্তক, শিক্ষক ও ত্রৈমাসিক মুক্তকণ্ঠের সাবেক সম্পাদক সৈয়দ আহমদ শামীম। এছাড়াও আলোচনা রাখেন তরুণ চিন্তক ওবায়দুল্লাহ আফজাল।

পাঠচক্রের শুরুতে ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ের প্রত্যাশা-প্রাপ্তি এবং বিপ্লবের স্মৃতি থেকে আওড়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর ছাত্র প্রতিনিধি আহমেদ সাঈদ, তৌহিদুল ইসলাম ও আদনান শরীফ।

আলোচনায় আলোচকগণ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বয়ানের সাথে রাজনৈতিক দস্যুতার একাকার কিভাবে প্রজন্মের কাছ থেকে সত্যকে আড়াল করেছে আর তার ওপর ভিত্তি করে দুর্বৃত্তায়নের শেকড় প্রোথিত করেছে এবং রাষ্ট্রকে ফোকলা করার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল তা তুলে ধরেন।

ইতিহাসের নিগূঢ় সত্যকে আড়ালের ফাঁদ থেকে বের করে পুনর্পাঠ ও পুনরালোচনার মাধ্যমে মিথ্যার বয়ানকে ভেঙেচুড়ে করতে না পারলে দেশ ও জাতিকে আধিপত্যবাদি নতজানুতা থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

পাঠচক্রে মেজর এম এ জলিলের বই থেকে সিন্যাপসিস রাখেন তোয়াহা আজিজ।

আনাস আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, জুবাইর, তাহসিন, নাহিয়ান, সাবিত, সাজিদ, তাফহিম, জাবির, শায়ান, রাকিন, তানভির, তাসিফ, নকীব সহ আরো অনেকেই।

তরুণদের মাঝে চিন্তার অনুরণন ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে ও ইতিহাস ঐতিহ্যের সত্যনিষ্ঠ বয়ান বিনির্মাণে নিয়মিত পাঠচক্রের আয়োজনের প্রত্যাশা রেখে এবং সদ্যপ্রয়াত গীতিকার, সুরকার ও কবি আবু জাফরের প্রতি শোকপ্রস্তাব রেখে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়।

-প্রেস রিলিজ~

ঝড় থেমে এলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্ষতের গভীরতা। তৈরি হয় সময়ের সুলুকসন্ধানের প্রোজ্বল তাগাদা। স্বাধীনতার ট্রেডমার্ক নিয়ে এদেশের...
05/12/2024

ঝড় থেমে এলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্ষতের গভীরতা। তৈরি হয় সময়ের সুলুকসন্ধানের প্রোজ্বল তাগাদা।

স্বাধীনতার ট্রেডমার্ক নিয়ে এদেশের উঠানে বসেছিল ফ্যাসিবাদের আসর।
গণমানুষের জান-জবানের ওপর কবজা করে রাখা জুজুগোষ্ঠীর চরিত্র ও ইতিহাসের প্রাথমিক আলোচনার তাগিদ থেকে এ আয়োজন।

ঘরোয়া এ পাঠচক্রে আপনি আমন্ত্রিত।

সীমাহীন র*ক্তসাগর পার হয়ে দেখা মেলে বিপ্লবের। সেই বিপ্লবের হাত ধরে পথ দেখে মুক্তি। শোষণ, পীড়নের সমাপ্তির আশায় গণমানুষ আপ...
29/11/2024

সীমাহীন র*ক্তসাগর পার হয়ে দেখা মেলে বিপ্লবের। সেই বিপ্লবের হাত ধরে পথ দেখে মুক্তি। শোষণ, পীড়নের সমাপ্তির আশায় গণমানুষ আপ্লুত হয়ে ওঠে। কিন্তু তার পরেই দানা বেঁধে ওঠে শঙ্কার মেঘ। বেহাত বিপ্লবের।
সবুজ শ্যামল আমাদের এ পবিত্র ভূ-খন্ডের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কেন আমরা নির্ভার হতে পারি না, কোন সে অসুররাজএখানে বিছাতে চায় শেকড়। এসকল প্রশ্নের প্রাথমিক আলাপ 'অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা'।

জেন-জি প্রজন্মের অনেক জিজ্ঞাসার অপ্রাপ্ত উত্তরের সূত্রপাত এ গ্রন্থ নিয়ে মুক্তকণ্ঠ'র পাঠচক্র। দেশ,সময়, রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাস প্রশ্নের এ নিবিড় আলাপে আপনাদের আমন্ত্রণ।

* স্থান শিগগির জানানো হবে।

তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী, শিশু সংগঠক পরিচয়ে পরিচিত। আরো সম্পৃক্ত আছেন লি...
28/11/2024

তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী, শিশু সংগঠক পরিচয়ে পরিচিত। আরো সম্পৃক্ত আছেন লিটলম্যাগ সম্পাদনাকর্মে । ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অংশী তিনি। মুখোমুখি হয়েছেন ফ্যাসিবাদী পীড়নের।

গণমানুষের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির ব্রতে নিমগ্ন এ মানুষ - ইসমাইল চৌধুরী। আজ তাঁর জন্মদিন। তাঁর জন্য শুভকামনা।

প্রতিটি ইটের টুকরো আহমাদ ইয়াসিন হয়ে ওঠে, প্রতিটি পাথর হয়ে ওঠে দেইফআমি তাই সিনওয়ারের প্রত্যাগমনে কোনদু:খের কাছে আত্মসমর্প...
18/10/2024

প্রতিটি ইটের টুকরো আহমাদ ইয়াসিন হয়ে ওঠে, প্রতিটি পাথর হয়ে ওঠে দেইফ
আমি তাই সিনওয়ারের প্রত্যাগমনে কোন
দু:খের কাছে আত্মসমর্পণ করি না

~আনাস আবদুল্লাহ~

~দ্রোহে বিদ্রোহে নজরুল~জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে মুক্তকণ্ঠ আয়োজন করেছে আলোচনা অনুষ্ঠান 'দ্রোহে বিদ্রোহে নজরুল'। ...
07/09/2024

~দ্রোহে বিদ্রোহে নজরুল~

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে মুক্তকণ্ঠ আয়োজন করেছে আলোচনা অনুষ্ঠান 'দ্রোহে বিদ্রোহে নজরুল'। বৃহষ্পতিবার ৫ই সেপ্টেম্বর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য বাচিক শিল্পী, মুক্তকন্ঠ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাবেক সেক্রেটারি জনাব মোস্তাক খন্দকার, কবি ও ত্রৈমাসিক মুক্তকণ্ঠের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আহমদ শামীম, কবি, প্রাবন্ধিক, মুক্তকণ্ঠ' র সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন জাহেদ। উপস্থিত ছিলেন কবি,সাংবাদিক শাহিদ হাসান।

তরুণ সাহিত্যমোদীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহনে অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম থেকে শুরু করে অতি সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবে নজরুলের জীবন ও সাহিত্যের স্বতঃস্ফূর্ত ও অনিবার্য উদ্দীপনা কীভাবে গণমানুষকে প্রাণিত করেছে, সাহস ও আশার বাণী শুনিয়েছে তার আলোকপাত করেন। সেই সাথে সমকালীন বিশ্বসাহিত্য ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নজরুল কিভাবে আপন স্বকীয়তা তাঁর রচনায় এনেছেন তার ওপর আলোকপাত করেন।

জাতীয় ও সামাজিক জীবনে হীনম্মন্যতার মরীচিকায় বিভ্রান্ত না হয়ে নজরুল সাহিত্য ও বিশ্বাসকে ধারণ করে মূল্যবোধ ও নৈতিক শুদ্ধতার সমাজ গঠনে দরুণ লেখক, চিন্তক, বুদ্ধিজীবী ও পাঠক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তকণ্ঠ সভাপতি আনাস আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সংস্কৃতি সংসদ পরিচালক ইমদাদুল হক, কবি ও প্রাক্তন চসস পরিচালক হানিফ মজুমদার।

অনুষ্ঠানে নজরুলে কবিতা থেকে দেশ বরেণ্য বাচিক শিল্পী জনাব মোস্তাক খন্দকার এর আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়।

যে চিঠির জবাবে এসেছিল স্বাধীনতা!৫ই আগস্টগেন্ডারিয়া,ঢাকা।
01/09/2024

যে চিঠির জবাবে এসেছিল স্বাধীনতা!

৫ই আগস্ট
গেন্ডারিয়া,ঢাকা।

জাতীয় কবি। আমাদের দ্রোহ, বিপ্লব, অভ্যুত্থান, মুক্তি ও সংগ্রামের সবটুকুতে যিনি অনিবার্যতার প্রতীক। তাঁকে আমাদের স্মরণ- হৃ...
29/08/2024

জাতীয় কবি। আমাদের দ্রোহ, বিপ্লব, অভ্যুত্থান, মুক্তি ও সংগ্রামের সবটুকুতে যিনি অনিবার্যতার প্রতীক। তাঁকে আমাদের স্মরণ- হৃদয় থেকে।

15/08/2024

শিল্পী, ‍সুরকার, লেখক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক, আমাদের আত্মার আত্মীয় জনাব জামালউদ্দীন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

তাঁর জন্য দুআ প্রার্থনা করছে মুক্তকণ্ঠ পরিবার।

মুক্তকণ্ঠ সুহৃদ, শিল্পী, সুরকার ও লেখক জামাল উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ! তাঁর সুস্থতা ও রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্ব...
14/08/2024

মুক্তকণ্ঠ সুহৃদ, শিল্পী, সুরকার ও লেখক জামাল উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ!
তাঁর সুস্থতা ও রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছে মুক্তকণ্ঠ পরিবার।

মাৎ‌স্যন্যায়ে সায় নেই, আমি কৌম সমাজের লোকসরল সাম্যের ধ্বনি তুলি নারী তোমার নগরে,কোনো সামন্তের নামে কোনদিন রচিনি শোলোকশোষ...
11/07/2024

মাৎ‌স্যন্যায়ে সায় নেই, আমি কৌম সমাজের লোক
সরল সাম্যের ধ্বনি তুলি নারী তোমার নগরে,
কোনো সামন্তের নামে কোনদিন রচিনি শোলোক
শোষকের খাড়া ঝোলে এই নগ্ন মস্তকের ‘পরে

▪️ সোনালী কাবিন

আল মাহমুদ- যে তিনি পরানের প্রতিবেশি! তাঁর জন্য ভালবাসা।

আমি সিরাতুল মুসতাকিমের ভাষায় বলছি,আমি কোরআন বেদ বাইবেল ত্রিপিটকের উপর হাত রেখে বলছি,আমি আমাদের উর্বর শস্যক্ষেত,নিসর্গ ন...
24/06/2024

আমি সিরাতুল মুসতাকিমের ভাষায় বলছি,
আমি কোরআন বেদ বাইবেল ত্রিপিটকের উপর হাত রেখে বলছি,
আমি আমাদের উর্বর শস্যক্ষেত,
নিসর্গ নীলাকাশের নামে বলছি,
আমি উত্তরের একলা নদী দুধকুমারকে স্পর্শ করে বলছি,
আমি আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের ত্যাগ ও সংগ্রামের শপথ করে বলছি,
আমি আমার সকল সামর্থকে একত্রিত করে বলছি­..
যারা আমার মাতৃভূমিকে ব্যর্থ ও অকার্যকর করার জন্য বিছিয়েছে মাকড়সার জাল
পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে,যারা ক্ষতবিক্ষত লাশের উপর হিংস্র উল্লাসে বর্বর নৃত্য করেছে,
যারা ড্রাকুলার মতো পান করেছে মানুষের রক্ত,
বিশ্বময় পাঠিয়েছে ভুল এবং বীভৎস বার্তা­তাদের কথায় আমি বদলাতে পারি না।

যারা আমার বিডিআরকে ধ্বংস করেছে,
যারা আমার সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছে পিলখানায়,
যারা আমার ভাইদের প্রতিদিন হত্যা করে সীমান্তে,
যারা আমার মাথার ভিতরে তৈরি করেছে কালচারাল কলোনি,
যারা আমার স্বাধীন মানচিত্রকে করেছে অরক্ষিত,
যারা ন্যায় ও সত্যকে হত্যা করছে প্রতিদিন,
যারা আমার রাত্রির আকাশকে করেছে চাঁদশূন্য,
যারা সূর্যের মুখে ছিটিয়েছে নোংরা বর্জ,
যারা জীবন থেকে উধাও করেছে নিরাপত্তা­যারা আমাদের নিক্ষেপ করেছে অশ্রদ্ধা ও অসহিষ্ণুতায়,
যারা আমাদের প্রতিটি সূর্যোদয়কে করেছে অস্থির ও টালমাটাল­যারা আমার পদ্মাকে শুষ্ক বালুতে পরিণত করেছে,
যারা টিপাইমুখ দিয়ে আমার কল্লোলিনী মেঘনাকে হত্যা করতে চাচ্ছে,
যারা আমার তারুণ্যকে মাদকাসক্ত করেছে,
যারা আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে নৃশংস শান্তিবাহিনী,
যারা আমার হৃদয়কে করেছে বিভেদ ও হানাহানিতে নিক্ষেপ,
যারা আমার ভাইকে করেছে ভাইয়ের ঘাতক,
যারা আমার ডান হাতকে লাগিয়ে দিয়েছে বাম হাতের বিরুদ্ধে,তাদের কথায় আমরা বদলে যেতে পারি না।

কসম পলাশীর আম্রকাননের,
কসম ঈশা খাঁর সমরজয়ী অমর তরবারির,
কসম আল্লাহর, তাদের কথায় আমরা বদলে যেতে পারি না।

তারপর আমরা এই সম্মিলিত পাপকে যমুনার জলে বিসর্জন দেবো।
তারপর এই পাপকে আমরা পাঠাব মৃত্তিকার গহ্বরে।
তারপর এই পাপ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাইরে পাঠাব।
তারপর এই পাপ বস্তাবন্দি করে পাঠিয়ে দেবো আধিপত্যবাদের উঠানে।
তারপর বলবো এই পাপ ধারণ করার জন্য আমার মাতৃভূমি প্রস্তুত নয়।

আমি মঙ্গাপীড়িত ধরলার ক্ষুধার্ত রোদন ধ্বনির শপথ করে বলছি,
আমি দক্ষিণে আছড়েপড়া ক্ষুব্ধ সমুদ্রের গর্জনের কসম খেয়ে বলছি,
আমি মেঘনার প্রতিটি ঢেউয়ের দোলাকে বক্ষে ধারণ করে বলছি,
আমি পদ্মার ব্যথিত বালু মাথায় স্থাপন করে বলছি­যারা আমাদের বদলাতে চায় আমরা তাদের বদলে দেব।
কসম সালাম বরকত রফিক জব্বারের,
কসম ১৯৭১ সালের,কসম কর্ণফুলীর তীরে অপেক্ষমাণ আমাদের ভবিষ্যতের,
কসম শাহজালালের আজান ধ্বনির,
কসম আমার মন্দির মসজিদ গির্জা প্যাগোডার,
কসম লক্ষ লক্ষ শহীদের প্রতি ফোটা রক্তের,
কসম কসম কসম আমরা এইসব করবো।
তারপর জমজমের পানিতে ধুয়ে নেব মাতৃভূমির ক্লান্ত শান্ত ব্যথিত শরীর।
স্বদেশ ভুমি – আমার বাংলাদেশ।

কবিতা: কসম | আবদুল হাই শিকদার
ছবি: Taz E Taiyaba

'অবলীলাদের বাড়ি' থেকে 'অনেতিহাসের লোকগান' গেয়ে চলা, বয়ে চলা কবি, চিন্তক সৈয়দ আহমদ শামীম। মুক্তকণ্ঠের সাবেক সভাপতি ও ত্রৈ...
21/06/2024

'অবলীলাদের বাড়ি' থেকে 'অনেতিহাসের লোকগান' গেয়ে চলা, বয়ে চলা কবি, চিন্তক সৈয়দ আহমদ শামীম।
মুক্তকণ্ঠের সাবেক সভাপতি ও ত্রৈমাসিক মুক্তকণ্ঠের সাবেক এ সম্পাদকের জন্মবার্ষিকীতে শুভকামনা ও ভালবাসা

ফি/লি/স্তি/ন এ চলমান ই/স/রা/য়ে/লি সমস্ত বর্বরতা, গণহ*ত্যা ও তান্ডবলীলার প্রতি আমাদের অভিসম্পাত!আমরা তাবৎ অপারগতার সীমাহী...
29/05/2024

ফি/লি/স্তি/ন এ চলমান ই/স/রা/য়ে/লি সমস্ত বর্বরতা, গণহ*ত্যা ও তান্ডবলীলার প্রতি আমাদের অভিসম্পাত!

আমরা তাবৎ অপারগতার সীমাহীন লজ্জাবোধে আকুণ্ঠ সমর্থন আমাদের ভাষার পোষাকে গা/জা, রা/ফা/হ, আল আকসা ও ফি/লি/স্তি/নের জন্যই নিবদ্ধ করেছি।

এবং যারা বয়ান, অনুভূতি, আলাপ, চর্চা ও বিরুদ্ধবাদিতায় জায়ন-পশ্চিমা এ জেনোসাইড, ম্যাসাকার যজ্ঞের মুখোমুখি সটান দাঁড়াতে দ্বিধায়-মৌনতায় মগ্ন,
তাদের জন্য আমাদের বিশুদ্ধ ঘৃণা!

ইতিহাসের কষ্টিপাথরে নববর্ষ ও মংগল শোভাযাত্রাড. চৌধুরী আবদুল হালিম অনেক শিক্ষিত লোককেই বাংলা সংস্কৃতি, বাংলা নববর্ষ এবং ম...
13/04/2024

ইতিহাসের কষ্টিপাথরে নববর্ষ ও মংগল শোভাযাত্রা
ড. চৌধুরী আবদুল হালিম

অনেক শিক্ষিত লোককেই বাংলা সংস্কৃতি, বাংলা নববর্ষ এবং মংগল শোভাযাত্রাকে গুলিয়ে ফেলতে দেখি। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কিছু সাংস্কৃতিক মোড়ল(!) হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অথচ ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায় বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস আবহমানকালের, বাংলা নববর্ষের ইতিহাস প্রায় ৭০০ বছরের আর মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ৩৪ বছরের।
বাংলা সংস্কৃতি বলতে আবহমান কালের গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে বোঝায়। লোকগীতি পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, কবি গান, শরীয়তী, মারফতি, ভাওয়াইয়া, জারী, সারি, রাখালিয়া বাঁশির সুর, মৌসুমী হরেক রকম পিঠাপুলি, কৃষকের লাঙ্গল টানা, ধান কাটা, ধান ভাঙ্গা, শীতের সকালে খেজুর রস, পল্লী বাংলা, নকশি খাতা, নৌকা বাইচ,হাডুডু, দারিয়াবান্ধা, গম্ভীরা এসবই হচ্ছে আবহমান বাংলা সংস্কৃতির অংশ। প্রাচীনকাল থেকে সংস্কৃতির চর্চা হয়েছে স্থানীয়ভাবে নিজস্ব ঢঙে। পল্লী কবি জসীমউদ্দীন কাব্যে রচিত "পল্লী জীবন" জীবনানন্দের "রূপসী বাংলা" নজরুলের "গ্রাম বাংলা" রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানে, অপরূপভাবে উঠে এসেছে বাংলা সংস্কৃতির অবয়ব। হাজার হাজার বছর ধরে এই সংস্কৃতি চর্চা চলে আসছে।
আর বাংলা নববর্ষ? ভারত বর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটেরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা পণ্য দিয়ে আদায় করতেন। কিন্তু হিজরী,সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলতো না। অনেক সময় ফসল তোলার আগে খাজনা পরিশোধের সময় চলে আসতো। এতে কৃষকদের অসুবিধা হতো। এই অসুবিধা দূরীকরণার্থে খাজনা আদায়ের সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মোঘল সম্রাট আকবর বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার করে বাংলা সনের প্রবর্তনের আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ অনুযায়ী তৎকালীন বাংলার রাজস্ব কর্মকর্তা আমির ফতেউল্লা সিরাজী এর উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের বিনির্মান করেন। ১৫৮৪ সালের ১০ বা ১১ই মার্চ থেকে এর অফিসিয়ালী গণনা শুরু হয়। এটিই উপমহাদেশে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস। যদিও কারো কারো মতে বাংলা পঞ্জিকার উদ্ভাবক সপ্তম শতকের রাজা শশাঙ্ককে মনে করা হয় কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষণ এর ব্যাপ্তি বা সমর্থনও নেই।
তবে পরীক্ষামূলকভাবে এই গণনা পদ্ধতিকে কার্যকর ধরা হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর তারিখ থেকে অর্থাৎ সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহের তারিখ থেকে। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল "তারিখ-এ- ইলাহী" আর ওই পঞ্জিকার মাসগুলো আর্যাদিন, কাজিন বেসুরা তীর ইত্যাদি নামে থাকলেও পরবর্তীতে চাঁদের বিভিন্ন নক্ষত্রে অবস্থান পূর্বক যে নক্ষত্রে পূর্ণরূপ(পূর্ণিমা) দেখায় সেই নক্ষত্রের নাম অনুসারে বাংলা মাসের নামকরণ করা হয়।যে মাসে চাঁদ রাশিচক্রের বিশাখা নামের নক্ষত্রে দাঁড়িয়ে পূর্ণিমা দেখায় সেটি বৈশাখ মাস, একইভাবে জ্যৈষ্ঠ মাসে চাঁদ পূর্ণিমা দেখায় জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রে দাঁড়িয়ে,ভাদ্র মাসে ভাদ্রপদা নক্ষত্রে, আশ্বিন মাসে অশ্বনি নক্ষত্রে, কার্তিক মাসে কৃতিকা নক্ষত্রে, আষাঢ় মাসে পূর্বাশা নক্ষত্রে শ্রাবণ মাসে শ্রবনা নক্ষত্রে, অগ্রায়ন মাস মৃগশিরা নক্ষত্রে, পৌষ মাস পূষ্যা নক্ষত্রে, মাঘ মাস মঘা নক্ষত্রে, ফাল্গুন মাস ফাল্গুনী নক্ষত্রে এবং চৈত্র মাস চিত্রা নক্ষত্রে থেকে দাঁড়িয়ে চাঁদ পূর্ণিমা দেখায়। বলা হয়। আকবরের শাসনামল থেকে উপমহাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। আকবরের আমলে প্রত্যেক চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সবাই খাজানা-মাশু- শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকতো। এর পরের দিন পহেলা বৈশাখে জমিদাররা প্রজাদের মিষ্টান্ন বিতরণ করতেন, আপ্যায়ন করাতেন, সংস্কৃত অনুষ্ঠান হতো। সবমিলিয়ে উৎসবের সূচনা হয়ে যায়। সে সময় থেকে যা ধীরে ধীরে বাঙালির একটা সার্বজনীন লোক উৎসবে পরিণত হয়। এর আগে উৎসবের আমেজ ছিল না।
হালখাতার প্রচলন সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে। এই হচ্ছে উপমহাদেশে নববর্ষ/পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস। আমাদের এই বাংলায় এর বিকাশ ঘটে আরো পরে ১৬০৮ সালে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নির্দেশে সুবেদার ইসলাম খাস চিশতি ঢাকাকে যখন রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলেন তখন থেকে। রাজস্ব আদায় ও ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা বছরের পহেলা বৈশাখে উৎসবের দিন হিসেবে পালন করা শুরু করেন। এভাবে চলতে থাকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত। হিন্দুরা বাংলা পঞ্জিকাকে তাদের সামগ্রিক কাজে প্রয়োগে সচেষ্ট থাকে। মুসলমানেরা শুধু পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাংলা সনকে ব্যবহার করতে থাকেন, সামগ্রীকভাবে ইংরেজি সৌর বর্ষকে কাজে লাগায়। আবেগ অনুভূতিতে হিজরী সনকে কিছুটা ধারণ করে। এভাবে চলতে চলতে ভাবটা এমন দাঁড়ায় বাংলা পঞ্জিকা হিন্দুদের মনে করা হয়। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমবাংলার হিন্দুরাও বাংলা নববর্ষকে (কিছু কিছু বিষয়ে ধর্মীয় মিথের সাথে মিল থাকায়) হিন্দু সংস্কৃতির অবয়বে পালনে উৎসাহিত হয়। ফলে ১৯৪৭ সালে বাংলাভাগের পর এই অঞ্চলে( বাংলাদেশে) বাংলা নববর্ষ /পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে যে মেলা উৎসব তা সার্বজনীন হলেও হিন্দুদের বিচরণ বেশি থাকে। মুসলমানেরা মূলত: জিনিসপত্র কেনা-কাটার জন্য, ঘোড়- দোড়, বলি খেলা দেখার জন্য এই সব মেলায় অংশ নেয়। ১৯৪৭ সালের তৎকালীন জাতীয় সংসদে মুসলিম লীগের খানে সবুর পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও রবীন্দ্র সংগীত কে হিন্দু সংস্কৃতির অংশ বলে মন্তব্য করেন। শুরু হয় বিতর্ক। ১৮ জন বুদ্ধিজীবী ২৫ জুন১৯৬৭ সনে এর বিরোধিতা করে বিবৃতি দেন। এই বিবৃতির বিরোধিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষক ২৭ জুন পাল্টা আর একটি বৃত্তিতে দেন। ২৯ জুন প্রতিযশা আরও ৪০ জন বুদ্ধিজীবী ১৮ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতির প্রতিবাদে পাল্টা বিবৃতি দেন। এতে তারা বলেন" যে তমদ্দুনিক স্বতন্ত্রের ভিত্তিতে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা উপরোক্ত বিবৃতিত (১৮ জনের) মেনে নিলে সে ভিত্তি অস্বীকৃত হয়। পরবর্তীতে তারা( ৪০ জন বুদ্ধিজীবী) ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে এক সভা আয়োজন করে নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে বলা হয় "রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাব ভাষা, সুরের ঐশ্বর্য ও কৃষ্টি পূর্ব পাকিস্তানের তমুদ্দিনের বিপরীত।" বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়ে পাকিস্তান সরকার আগষ্ট ১৯৬৭ সাল থেকে (২২ শ্রাবণের পূর্ব মুহূর্তে)বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীত প্রচার বন্ধ করে দেয়। তবে ব্যক্তি বা সাংগঠনিক পর্যায়ে রবীন্দ্র সংগীত চর্চা করতে নিষিদ্ধ করিনি। এই অবস্থায় ছায়ানট, বুলবুল ললিত কলা একাডেমী ও ঐকতান নিজ নিজ উদ্যোগে রবীন্দ্র সংগীতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ প্রেক্ষিতে এই বাংলায়,( পূর্ব পাকিস্তানে) সংগঠন পর্যায়ে সর্বপ্রথম পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে ১৯৬৬ সালে রবীন্দ্র সংগীত "এসো হে বৈশাখ এসো হে" দিয়ে। তবে তখন খুব সীমিত সংখ্যক লোকজন ছিল। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে পাকিস্তানের শাসকদের রবীন্দ্র সংগীত সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন চুপসে যায়। এরপর ৭০ নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে ১৯৭২ সালের ১৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাতটায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের সাংস্কৃত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সানজিদা খাতুনের নেতৃত্বে। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় মোনাজাত ও প্রার্থনায় দেশে জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। এরপর থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে, সংগঠন পর্যায়ে শহরে গ্রামে নববর্ষ উপলক্ষে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলতে থাকে। নববর্ষের মূল উদ্দেশ্য হালখাতার কিছু চর্চা ও চলতে থাকে। তবে জনতার বৃহৎ অংশ মেলায় গিয়ে কেবল প্রয়োজন কিছু জিনিসপত্র, ঐতিহ্যবাহী খাবার, পিঠা-পুলি, শিশু খেলনা কেনা-কাটার মধ্যে সীমিত ছিলেন। চট্টগ্রাম ও সীমিত কিছু অঞ্চলে বলি খেলা উপভোগ্য ছিল। এভাবেই চলতে থাকে ।
১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুর সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৪ সালে এক রাষ্ট্রীয় ভাষণে এই আবেগী রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার বিরোধিতা করেন।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে অনেকে। সামরিক শাসনের মাঝেও এর প্রতিবাদ শুরু হয়। শুরু হয় সোচ্চার বিরোধী আন্দোলনও। নিষেধ সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অনির্ধারিত ও অঘোষিতভাবে স্বৈরাচার বিরোধী তাৎক্ষণিক মিছিল করে সরে পড়ে। স্বৈরাচার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই সুযোগে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সার্বিক সহযোগী দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ে তৎপর হয়ে উঠে। রাজনৈতিক দলগুলোও সামরিক শাসনের মাঝেও, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় অনির্ধারিত সংক্ষিপ্ত মিছিল ও স্বল্পকালীন পথ সভা করতে থাকে। সমগ্র দেশে শহরগুলোতে এভাবে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো রাজনৈতিক প্রতিবাদ চালাতে থাকে। এই অবস্হা চলতে থাকে। ১৯৮৬ সালের পহেলা বৈশাখ যশোরের চারু পিঠের শিল্পী ও শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রার সূত্রপাত ঘটায়। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৬ শিক্ষাবর্ষের কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে ২৯ ডিসেম্বর জয়নুল উৎসব ব্যানারে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু করে। এখানে তখনও বিতর্কিত তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু ১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখ তারা বিজাতীয় সংস্কৃতির সংমিশনে শুরু করে মঙ্গল শোভার। এর অন্যতম সংগঠক ছিল শিল্পী তরুণ ঘোষ। পশ্চিম বাংলার বারোদার Art Institute এর ছাত্র ছিল সে। বারুদায় যেভাবে নতুন বছরকে বরণ করার জন্য নানান ফোক মোটিভ, মুখোশ, খেলনার আয়োজন করে সেই কনসেপ্ট আমদানি করে তরুণ ঘোষ এটাকে সাজায়। পরবর্তীতে সেকুলার, বাঙালি জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসে বাম ঘরনার কিছু বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিসেবীরা পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভা যাত্রার নাম পরিবর্তন করেন। এটাকে আরো হিন্দুয়ানী করে নাম দেয়া হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। ক্রমান্বয়ে সেবিকৃতরুপে উপস্হাপন করা হয়।এই ভাবে ১৯৮৯ সন থেকে বাংলা নব বর্ষেকে বরণের আবরনে কেন্দ্রীয়ভাবে শুরু হয় মংগল শোভাযাত্রার।
এই যে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস বিবৃত হল তাতে দেখা যাচ্ছে এই উপমহাদেশে অর্থাৎ ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস হচ্ছে ১৫৫৬ সাল থেকে। এই অঞ্চলে অর্থাৎ পূর্ব বাংলায় রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস ১৬০৮ সাল থেকে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন এর ইতিহাস ২০১৬ সাল থেকে।আর মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস অঞ্চল পর্যায়ে হাজ১৯৮৬ সাল থেকে এবং কেন্দ্রীয়/ রাজধানী পর্যায়ের ১৯৮৯ সাল থেকে। সুতরাং বাংলা সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে কিংবা ৭০০ বছরের নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাসের সাথে মাত্র ৩২ বছর আগে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা অবিচ্ছেদ্য হতে পারে না।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা দূর অতীতের হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ।। এটি কখনো বাংলা সংস্কৃতি নয় বাংলাদেশী সংস্কৃতি নয়। হিন্দুদের জন্য পহেলা বৈশাখ হল ঘর পূজার দিন। হিন্দুদের চৈত্র সংক্রান্তিতে সারা রাত পাড়ায় পাড়ায় কীর্তন করতো। নগর দেবতা, হিন্দুদের নানান দেবতা, আর্য দেবতা, শিব পারবর্তী কীর্তন হতো।এমনকি গোয়ালঘর, উঠোন গোবর দিয়ে লেপা হতো। সকালে গোয়াল থেকে গরু বের করে গোসল করানো হতো। দুপুরে নিরামিষ রান্নাবান্না হতো।মুড়ি মাওয়া, পিঠাও বানানো হতো। ইতিহাস বিশ্লেষনে দেখা যায় সুদূর অতীত থেকে নিম্ন শ্রেণীর হিন্দুদের গাজন ও হরি উৎসবের সময় এরকম কিছু আচার পালন করত দেখা যায়। গাজনের মেলায় মেথর ডোম ও চান্ডাল শ্রেণীর হিন্দু লোকেরাই নানাবিধ বহুরূপী সং সেজে তাদের উৎসব করত। এখন এইসব কাজে আরো হিন্দুয়ানী অনুষঙ্গ যোগ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে হাজার বছরের সংস্কৃতি বলে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা মংগল শোভাযাত্রা যে হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব,হিন্দু সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ তা আরো পরিস্কার করে লিখেছে-
১৪২৫ এর বৈশাখে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১ লা বৈশাখে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শিরোনাম " ঢাকার পহেলা যেন অষ্টমীর এক ডালিয়া"। অর্থাৎ রমনা বটমূলে বৃন্দ্ব গান আর পেঁচা ময়ূর সিংহ বাঘ হাঁস, অসুর,সূর্য দেবতা ইত্যাদি নানা মূর্তি ভাস্কর্য /প্রতিকৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঢাকায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন যেন অষ্টমীতে কলকাতা একডালিয়ার পূজা মন্ডপে উদযাপনের মতই। প্রতিবেদনের ভাষায় পুজো বসন্ত উৎসবের মিলেমিশে একাকার ঢাকার নববর্ষের সকাল।
একডালিয়া এভারগ্রীন নামে কলকাতার সবচেয়ে বড় ও ঝাঁকজমকপূর্ণ পূজা মন্ডপ রয়েছে অষ্টমী হচ্ছে হিন্দু ধর্ম অবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার আর কুমারী পূজার মধ্যে দিয়ে পালন করে তারা বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ উদযাপন কে কলকাতার হিন্দুদের সেই একডালিয়ার পূজা মন্ডপে অষ্টমী উদযাপনের সাথে তুলনা করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
সময় এসেছে ঐসব জ্ঞানপাপী ইতিহাস বিকৃতিকারী ও সংস্কৃতি মোড়লদের জঘন্য মিথ্যাচার এবং চাপিয়ে দেওয়া ভিন-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশীদের কথা বলার। এই অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় অনুভূতিগুলো যেমন শান্তির প্রেম-ভালোবাসা এবং সহানুভূতির সাথে পালন করেছে তেমনি হিন্দুরাও তাদের ধর্মীয় পর্বগুলো সুন্দর ভাবে পালন করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতিকে জোর করে সার্বজনীন সংস্কৃতি বলে মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার যে হীন ষড়যন্ত্র সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। কথিত স্যাকুলারদের এইসব উদ্দেশ্য প্রণোদিত কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ড প্রকৃত হিন্দু জনেরাও পছন্দ করেন না।
দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের সাধারণ মানুষের অর্থ দিয়ে গঠিত রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে অর্থ দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ সকল ভিন-দেশীয় সংস্কৃতি লালন ও বিকাশ এবং চাপানো হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা মঙ্গল প্রদীপ সরাসরি হিন্দু মিথের সাথে, হিন্দু সংস্কৃতির সাথে প্রাচীনকাল থেকে সংশ্লিষ্ট। ৮% লোকের ধর্মীয় বিশ্বাসের সংস্কৃতি ৯০% লোকের উপর কেন চাপানো হচ্ছে, যারা প্রদীপকে মঙ্গল-অমঙ্গলের বাহন মনে করে না? তারা মনে করে মঙ্গল-অমংগলের একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ।
অস্কার জয়ী একটি ম্যূভি "Life of Pi" এর একটা দৃশ্যের গল্প বলি। ম্যুভির নায়ক ‘পাই প্যাটেল’ ছোটবেলায় একসাথে তিনটি ধর্ম পালন করত। সে প্রথমে মন্দিরে গিয়ে পূজা করে, তারপর মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে, অতঃপর গির্জায় গিয়ে যীশুর মূর্তির সামনে প্রার্থনা করে! তার ধারনা এভাবে সে সকল ধর্মের গড/দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে!

প্যাটেলের এমন উদ্ভট কার্যকলাপ দেখে তার বাবা মন্তব্য করেন- “মানুষ কখনো একসাথে দুইটা ধর্মে বিশ্বাস করতে পারে না। একসাথে একাধিক ধর্ম পালন করার মানে হল- তুমি আসলে কোনটাই বিশ্বাস করছ না। এভাবে তুমি সবগুলো ধর্মের সাথেই প্রতারনা করছ।”

আমাদের কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল ও মডারেট মুসলিমরা তাই করে চলছে!
নাম নিয়ে আমার কথা নেই। মংগল শোভাযাত্রায় সিংহ ভাগ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন থাকলে কিংবা বিশ্বাসের পরিপন্থী কিছু না থাকলে, মানুষের কল্যানধর্মী হলে তবে এতসব কথা আসতো না। অন্যদিকে আমাদের দেশের মংগল শোভাযাত্রার প্রতি বছরের থিম বাণী লক্ষ্য করলে দেখা যাবে একটি দলের রাজনৈতিক মোটিভকে সময়ের প্রেক্ষাপটে বিবচনা করে থিম ঠিক করা হয় এমন কী ঐ দলের প্রতীকও ব্যবহার করা হয় যা কখনো সার্বজনীন হতে পারে না। মংগল শোভাযাত্রা কখনো বাংগালী সংস্কৃতি বা বাংলাদেশী সংস্কৃতি ছিল না।১৯৮৯ সনের আগে এর অস্তিত্বই ছিল না। হাজার বছরেরতো প্রশ্নই আসে না।
এ অবস্থায় এই প্রজন্মের কাছে মঙ্গল শোভাযাত্রার উৎস বিকাশ ও হীনের উদ্দেশ্য তুলে ধরতে হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সার্বজনীন রূপ দেয়ার জন্য বারবার লিখতে হবে, বলতে হবে, বিকল্প গ্রহণীয় সংস্কৃতি চালু করতে হবে। এইজন্য চিন্তাশীল, গবেষক এবং সাহসী লেখকদের এগিয়ে আসতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে দেশ প্রেমিক সচেতন মানুষের।দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে, নিজেদের বিশ্বাসকে কলুষমুক্ত রাখতে সর্বপরি আমজনতার কল্যানার্থে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে। নতুবা এদের পরবর্তী টার্গেট "রাজনৈতিক আগ্রাসন"। সম্প্রতি বাংলাদেশকে অখন্ড ভারতের অংশ করে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে দেয়া মানচিত্র তারই ইংগিত প্রকাশ করছে।

🖊️ লেখক- শিক্ষাবিদ ও সংস্কতি কর্মী।

Address

19/A Jamalkhan Road
Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মুক্তকণ্ঠ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মুক্তকণ্ঠ:

Videos

Share

Category