10/01/2024
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে- ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কনজিউমারের কাছে পন্যের জানান দেওয়ার একটি পন্থা। মার্কেটিং এর কাজ মূলত মানুষের নিকট পন্য সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়া বা জানান দেয়া। বর্তমানে মানুষ বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে থাকে অনলাইনে। করোনাকালীন সময়ে তার স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন। এই বিশাল পরিমানের অডিয়েন্সের সামনে আপনার পন্য সম্পর্কে তুলে ধরার সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
যদি আরও সহজে বলতে চাই, ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর একটি দিক যেটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, সোসাল মিডিয়া, ইন্টারনেট এর সাথে সম্পৃক্ত।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?
যেকোন ব্যাবসাকে প্রচার এবং প্রসারের জন্য মার্কেটিং প্রয়োজন। দিন বদলেছে, মার্কেটিং এর ধরন বদলেছে। মার্কেটিং এখন ডিজিটালাইজ হয়েছে। প্রতিষ্ঠান কিংবা পন্য, যেটাই হোক মার্কেটিং ছাড়া গতি নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি স্পেসিফিক এবং যেসকল মানুষ শুধু ঐ নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট চান তাদের কাছেই মার্কেটিংযেটাই হোক মার্কেটিং ছাড়া গতি নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি স্পেসিফিক এবং যেসকল মানুষ শুধু ঐ নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট চান তাদের কাছেই মার্কেটিং করা যায়। যা প্রচলিত মার্কেটে সম্ভব নয়।
প্রচলিত পদ্ধতিতে কোন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে গেলে ব্যবহার করতে হয় প্রিন্ট এড, ফোন কমুউনিকেশন, ফিজিক্যাল মার্কেটিং। তাও খুব সহজে মানুষের নিকট রিচ করা যায় না যতটা যায় অনলাইনের মাধ্যম। প্রচলিত মার্কেটিং এর আরো বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে এটাতে প্রচুর পরিমানে টাকা ব্যয় হয়। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং যেন একটি ত্রাতা হয়ে আসলো। খুব সহজে যদি কেউ তার টার্গেটেড অডিয়েন্সের নিকট পৌছাতে চান, ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প নেই তাহলে।
ডিজিটার মিডিয়া ব্যবহার করে অডিয়েন্সের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী এড শো করানো যায়, যেটি ফিজিক্যাল মার্কেটিং এ করা অসম্ভবপর। আর যদিও করা যায় তাও অত্যাধিক ব্যয় বহুল।
ফিজিক্যাল মার্কেটিং করতে গেলে দেখা যায় একসাথে অনেক গুলো মানুষের সামনে কোন একটা এড শো করানো হচ্ছে বা প্রিন্টিং এড দিয়ে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, উপস্থিত সকলে কিন্তু এই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে সমান আগ্রহদেখায় না। যেটি আশাও করা যায় না। এক্ষেত্রে হয় কি, যাদের প্রোডাকটি সম্পর্কে কৌতুহল রয়েছে তারাই মুলত প্রোডাক্টিভ মার্কেটিং এর আওতায় পড়েন। বাদ বাকি যারা আছেন তাদের কাছ থেকে কোম্পানি আশা করার তেমন কিছু থাকে না। আগ্রহ প্রকাশ করেন না এমন লোকের সংখ্যা যত বেশি হবে তত বেশি মার্কেটিং ব্যার্থ হবে।
কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এ এটির কোন সুযোগ নেই। যদি আপনি ভালো কোন এজেন্সির নিকট হতে মার্কেটিং করাতে পারেন তাহলে আপনার প্রায় প্রতিটি এড টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে রিচ করবে। মানে এড গুলো স্পেসিফিক তাদের কাছে শো করবে যারা মুলত আগ্রহ দেখান উক্ত পন্যের সম্পর্কে। এটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরণ-
ডিজিটাল মার্কেটিং কে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। অনলাইন মার্কেটিং এবং অফলাইন মার্কেটিং।
★ অনলাইন মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
পে-পার-ক্লিক এডভার্টাইজিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং
ই-মেইল মার্কেটিং
★ অফলাইন মার্কেটিং
রেডিও মার্কেটিং
টেলিভিশন মার্কেটিং
ফোন মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সম্ভাবনাময় কাজের ক্ষেত্র এবং প্রতিনিয়ত এই খাতের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলেছে। এটি যেমন সম্ভাবনাময় কাজের ধরণ তেমনি চ্যালেঞ্জিং ও। আরো জেনে অবাক হবেন বিশ্বের অনেক নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আছেন মাস্টার্স পড়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়টি বেছে নেন। কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে এর ব্যপক চাহিদা সৃষ্টি হবে এবং এখনো রয়েছে।
তরুনদের মধ্যে অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কারণ হিসেবে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, এই সেক্টরটি তুলনামূল শিখা সহজ এবং চাহিদা সম্পন্ন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো দিক থাকার কারণে যে কেউ সহজে প্র্যাকটিস করা শুরু করে দিতে পারে।