Chayabaji TV

Chayabaji TV Our organization “ChayaBaji TV” is basically an online platform with a objective of betterment of our society by working with some dynamic team members.

চিত্র-১। যদি রাস্তার মাঝখানে কাটাকাটা সাদা দাগ থাকে, তাহলে বুঝবেন, আপনি ওভারটেক করতে পারবেন।চিত্র-২। যদি দাগ এক টানা হয়ে...
20/05/2024

চিত্র-১। যদি রাস্তার মাঝখানে কাটাকাটা সাদা দাগ থাকে, তাহলে বুঝবেন, আপনি ওভারটেক করতে পারবেন।
চিত্র-২। যদি দাগ এক টানা হয়ে থাকে, তাহলে বুঝবেন, ওভারটেক করা ঝুঁকিপূর্ণ।
চিত্র-৩। যদি দাগ ডাবল দেওয়া থাকে, তাহলে ভুলেও ওভারটেক করার চেষ্টা করবেন না। এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, বিপদজনক এবং আইনত দণ্ডনীয়।

ফজরের সালাতের ১০টি ফজিলত।এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ্১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুন...
15/05/2024

ফজরের সালাতের ১০টি ফজিলত।
এগুলো জানার পর কারো আর
ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ্

১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী,কেননা
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর!
__(বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪...মুসলিম--৬৬১)

২.রাসূল (সাঃ) বলেন,
"যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে,
সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়।
অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।
__(সহিহ মুসলিম,তিরমিজি--২১৮৪)

৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে,
আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।
__(বুখারী-মুসলিম)

৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!
__(সহিহ মুসলিম-১০৯৬)

৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
" যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।
__(আবু দাউদ --৪৯৪,,,,তিরমীযি)

৬.যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে,
আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন।অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে।
(বুখারী-৫৭৩)

৭.যে নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করবে,
সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা।
__(সহিহ মুসলিম ৬৩৪)

৮.ফজরের সালাত আদায়কারী,রাসূল (সাঃ)-এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন।
__(সুনানে আবু দাউদ,মুসনাদে আহমাদ)

৯.ফজরের দু রাকাত সুন্নত সালাত, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম।
__(জামে তিরমিজি - ৪১৬)

১০..ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে,প্রফুল্ল হয়ে যায়।
__(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)

সুবহানআল্লাহ......
আল্লাহর আমাদের উপরোক্ত সব নিয়ামতের
ভাগীদার করুন।

09/05/2024

প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে।[1] যতক্ষণ না তোমরা (মরে) কবরে উপস্থিত হও। [2]

Competition in [worldly] increase diverts you. Until you visit the graveyards.

সূরা আত-তাকাসুর (১০২: ১-২)

28/04/2024

আমার বাছাই করা দুর্বোধ্য সুন্দর সেরা একশো সিনেমা। এই একশো সিনেমা আপনাকে জানাবে, মানব মনের ঠিক কত শত অলিগলি। কতটা বিচিত্র হয় মানুষ। কতটা দুর্বোধ্য হয় তাদের মনস্তত্ত্ব। কতটা বিস্তৃত তাদের কল্পনাশক্তি। কত উদ্ভট উপায়ে তারা গল্প বলতে জানে এবং বলে।
🎬 ১. Mulholland Drive (2001)
একজন যু্বতী অ্যাক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে ফিরেছেন। সমস্যা হচ্ছে, তিনি স্মৃতি হারিয়েছেন। একটা অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নিয়েছেন। যে অ্যাপার্টমেন্টে তার সঙ্গে পরিচয় হয় আরেকজন যুবতীর। তিনি সফল অভিনেত্রী। তিনি অসহায় যুবতীকে সাহায্য করবেন। গল্প মোটেও অমন সহজ নয়, যতটা ভাবছেন। দুর্বোধ্য সব সিনেমার লিস্ট আমি সবসময় শুরু করি এই সিনেমা দিয়ে। আমার ভয়ংকর প্রিয় একটি সিনেমা। গল্পের এই দুই যুবতী আপনাকে প্রচুর ভোগাবে। আমি চাচ্ছি, এটা দিয়ে আপনার যাত্রা শুরু হোক। কারণ, এরপর যা আসবে, তা এই সিনেমার তুলনায় নস্যি।
🎬 ২. Triangle (2009)
একজন সিঙ্গেল মাদার সমুদ্র যাত্রায় বের হয়েছেন। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা জাহাজের সন্ধান পেলেন। জাহাজটা স্থির। তবে আপনি ঘুরবেন। এবং ঘুরবেন। সিনেমা শেষ হওয়ার পরও আপনি কিছুক্ষণ ঘুরবেন।
🎬 ৩. Interstellar (2014)
এই সিনেমায় একটা দৃশ্য আছে। বাবা যাচ্ছেন মহাকাশে, ফেরত আসতে পারবেন কিনা সন্দেহ, কন্যা বাবাকে যেতে দেবে না। কান্না করছে। আঁকড়ে ধরছে। বাবা জোর করে মেয়ের বিছানার কাছ থেকে উঠে চলে যাচ্ছেন। হঠাৎ কন্যার রুমের বুকশেলফের তাক থেকে একটা বই নিচে পড়ে গেল। এই দৃশ্যটা কিছুই না। আপনি সিনেমা দেখে শেষ করবেন। এই দৃশ্যটাই আপনার মাথায় গেঁথে থাকবে।
🎬 ৪. Inception (2010)
যদি অমন কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়, যেখানে আপনি স্বপ্ন দেখতে পারবেন, স্বপ্নের ভেতরই মানুষজনের চিন্তাভাবনা কিংবা আইডিয়া চুরি করতে পারবেন, আইডিয়া মাথায় গেঁথে দিতে পারবেন তবে? গল্প শুধু এটুকুন নয়। প্রচণ্ড ভালোবাসা, ইমোশন আর থ্রিলের মারাত্মক মিশ্রন।
🎬 ৫. Predestination (2014)
আপনি তাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করেন, প্রচণ্ড ঘৃণা। সামনে পেলে চোখ উপড়ে তুলার মতোন ঘৃণা। কখনও যদি সময় আপনাকে ঐ ব্যক্তির মুখোমুখি করে দেয়, তখন কি আপনি তাকে হত্যা করতে পারবেন?
🎬 ৬. Memento (2000)
যখন আপনি একটা সিনেমা দেখতে বসেন, আপনি সব জানেন। চরিত্রগুলো থেকে বেশী জানেন। এই সিনেমা আপনাকে জানাবে, আপনি কিছু জানেন না। গল্পের এই চরিত্র ঠিক যতটুকুন জানে, আপনি ঠিক ততটুকুন জানেন। এর বাইরে একটা কানাকড়িও না। এই সিনেমার যুবক শর্ট টাইম মেমোরি লস অসুখে ভুগছেন। যখন আপনি এই সিনেমা দেখতে বসবেন, বুঝতে পারবেন, অসুখটা শুধু যুবকের নয়, আপনারও আছে।
🎬 ৭. Mr. Nobody (2009)
আমার ভীষণ পছন্দের সাবজেক্ট। এক বালক একটা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে। ট্রেন চলে যাচ্ছে। তার হাতে দু’টো অপশন। দু’টো জীবন। কিংবা চারটা। অথবা অসংখ্য। কোন জীবনটা বালক বেঁচে নেবে?
🎬 ৮. Shutter Island (2010)
সাল উনিশশো চুয়ান্ন। ইউ এস মার্শাল টেডি ও তার সহকারী চাক এসেছেন শাটার আইল্যান্ডে। ওখানকার একজন রোগী উধাও। তার আচার আচরণ হিংস্র, ভয়ংকর। যে কারোর ক্ষতি করতে পারে। ক্ষতি করার আগে তাকে খুঁজা দরকার। এই সিনেমার মতোন তিনশো ষাট ডিগ্রি এঙ্গেলে টুইস্ট দেওয়া সিনেমা খুব একটা নেই।
🎬 ৯. Passengers (2008)
একই নামে দুই হাজার ষোল সালের একটা সিনেমা আছে। ওটাও চমৎকার। কিন্তু ওটা দেখার ফাঁকে অনেকে এই দারুণ সাইকোলজিক্যাল মিস্ট্রি জনরার সিনেমাটা মিস করে ফেলেন। একদম মিস করবেন না। একটা বিমান দূর্ঘটনা থেকে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন সার্ভাইভারের মানসিক অবস্থার সাথে পরিচিত হোন। এবং ঝটকা খান। মাথার ভেতর কিছু ঝটকা থাকা ভালো।
🎬 ১০. The Uninvited (2009)
যুবতী দীর্ঘ সময় পর বাসায় ফিরেছেন। বাসার আবহাওয়া বদলেছে। মা মারা গিয়েছেন তারও আগে। আপাতত বাসায় বড়ো বোন, বাবা এবং তাদের দেখাশোনা করা একজন মহিলা। যুবতী যাকে পছন্দ করতে পারছেন না। যুবতী কিছু জটিল ঘটনার সম্মুখীন হবেন এখন। এই ঘটনাগুলো মর্মান্তিক। শেষ করে মন খারাপ হবে তা আর বলতে।
🎬 ১১. Primer (2004)
দুই যুবক আবিষ্কার করেছেন ছয় ঘন্টা অতীতে যাওয়ার মতোন একটা টাইম ট্রাভেল মেশিন। শেয়ার মার্কেটে চোখ বুজে ইনভেস্ট করার মতোন এমন সুযোগ তারা হারাবেন কেন? বলা হয়ে থাকে, যখন মানুষের কাছে কিছুই থাকে না, তখন চাওয়ার অনেক কিছু থাকে। কিন্তু যখন মানুষ সব পেয়ে যায়, তখন তার চাওয়ার কী থাকে জানেন? সিনেমাটা দেখুন। এই সিনেমা লিখেছেন, ইডিট করেছেন, টাকা ঢেলেছেন, অভিনয় করেছেন, মিউজিক দিয়েছেন এবং পরিচালনাও করেছেন শেইন।
🎬 ১২. Time Lapse (2014)
তিনজন বন্ধু খুঁজে পেয়েছেন অমন একটা ছবি তোলার ক্যামেরা, যেখানে আজকে দিনের ছবি নয়, ছবি উঠে আগামীকালের। আপনি বর্তমানে বসেই আগামীকালের ছবি তুলতে পারবেন। তিন বন্ধু এই ভয়ংকর ক্যামেরা ঠিক কোন কাজে ব্যবহার করবে? অনুমান করুন।
🎬 ১৩. The Uninvited Guest (2004)
একজন ব্যক্তি ফোন করবে বলে আপনার বাসায় ঢুকেছে। তারপর উধাও হয়ে গেছে বাসার ভেতর। এরচেয়ে ভৌতিক কিছু আর হয় না। সিনেমাটা শেষ করুন। সাইকোলজিক্যাল এই সিনেমাটা দুর্ধর্ষ ও জটিল।
🎬 ১৪. The Fountain (2006)
আমার সবচেয়ে পছন্দের রোমান্টিক একটা সিনেমা। ভালোবাসার সিনেমা সহজবোধ্য হয়- এই ধারণা ঠিক কতটুকুন ভুল, আপনি এই সিনেমা দেখে বুঝতে পারবেন। প্রতিবার এই সিনেমা আমায় কাঁদায়। প্রতিবার।
🎬 ১৫. 12 Monkeys (1996)
একটা ভয়ানক ভাইরাসে মানবজাতি প্রায় নিশ্চিহ্ন। গুটিকয়েক যারা বেঁচে আছেন, তারা চেষ্টা করছেন সময়ের সাথে লড়াই করার। বর্তমান সময় নয়, অতীত। অতীতের কোন সুতো কেটে দিলে পৃথিবী স্বাভাবিক হবে আবার?
🎬 ১৬. Under The Skin (2013)
প্রচণ্ড স্লো গতির এই সিনেমা আপনাকে দেখাবে, পৃথিবীর বাইরের কারোর জন্য আমাদের পৃথিবী দেখতে কেমন? মানুষ হিসেবে আমরা কেমন? অন্য কারোর দৃষ্টি থেকে নিজেকে দেখা হয়েছে কোনোদিন? তবে এই সিনেমা আপনার জন্য।
🎬 ১৭. Iravukku Aayiram Kangal (2018)
একটা রাত। একট হত্যা। অনেকগুলো সাসপেক্ট। অমন গল্প প্রায়শই দেখেন। কিন্তু এই গল্প একদমই আলাদা। এই গল্প আপনার মাথার ভেতর খেলবে- তা নয়। আপনার আস্ত মাথা নিয়েই খেলবে।
🎬 ১৮. Vanilla Sky (2001)
স্প্যানিশ সিনেমা ‘ওপেন ইউর আইস’-এর রিমেইক এই সিনেমার যুবকের অর্থবিত্তের কমতি নেই। যা চান, হাতের কাছে পান। উশৃঙ্খল, বাঁধনহীন, মুক্ত। এই যুবক শীঘ্রই আটকাবেন কোথাও। আপনিও আটকাবেন।
🎬 ১৯. Enemy (2013)
আপনার মতোন দেখতে আরও একজন একটা ভিন্ন জীবন যাপন করছে কোথাও। সমস্যা নাই। সমস্যা তখন দেখা দেবে, যখন আপনারা একে অপরের মুখোমুখি হবেন। এই সিনেমার যুবক হয়েছেন।
🎬 ২০. Source Code (2011)
এক যুবক ঘুম ভেঙে উঠে দেখলেন তিনি ট্রেনে। জানালার কাছের সিটে বসে। একটা বোমা বিষ্ফোরণ হয়। তারপর যুবক পুনরায় চোখ খুলে দেখতে পান, তিনি ঐ ট্রেনে। জানালার কাছের সিটে বসে। তারপর...
🎬 ২১. No Smoking (2007)
অনুরাগ কশ্যপ দুই হাজার সাত সালে এই সিনেমা বানিয়েছেন। দুই হাজার বাইশে বসেও এই সিনেমা হজম করা কষ্ট। একজন যুবক প্রচুর সিগারেট খান। তার চারপাশের কেউ পছন্দ করে না বিষয়টা। যুবককে তারা প্রায় বাধ্য করেন, সিগারেট ছাড়তে। তারপর এই গল্প ওয়াশরুমের বেসিনের গর্ত দিয়ে ঢুকে সাইবেরিয়া হয়ে কোথায় কোথায় যে যাবে, আপনি ধারণা করতে পারবেন না।
🎬 ২২. Memoir of a Murderer (2017)
অ্যালঝাইমারে ভোগা একজন বৃদ্ধ বরফে ঘেরা একটা রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন। যে গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছে, ঐ গাড়ির পেছন দিক থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। যদিও ড্রাইভার দাবী করল তা হরিণের রক্ত। কিন্তু বৃদ্ধ স্পষ্ট বুঝলেন, এটি হরিণ নয়। বৃদ্ধ জানলেন, কারণ বৃদ্ধেরও একটা গল্প আছে। কোরিয়ান এই সিনেমার প্রতিটা মুহূর্ত টানটান উত্তেজনায় ভরপুর।
🎬 ২৩. 2001: A Space Odyssey (1968)
সাই-ফাই সিনেমা বানানোর আগে যে সিনেমাটা আপনার ফার্স্ট ক্লাসের ফার্স্ট সাবজেক্ট হবে, এটি ঐ সিনেমা। কুবরিক নির্মাণ করেছিলেন। সাল উনিশশো আটষট্টিতে বসে যে সিনেমা তিনি বানিয়েছেন, দুই হাজার বাইশে বসেও আপনি টের পাবেন না এই সিনেমার বয়স পঞ্চাশ বৎসর।
🎬 ২৪. The Machinist (2004)
ক্রিশ্চিয়ান বেলের শরীর নিয়ে খেলাধুলা বাদ দিয়ে সিনেমার গল্পে মনোযোগ দিতে পারেন। একজন ব্যক্তি অনেকদিন না ঘুমিয়ে আছেন। না ঘুমিয়ে একটা ব্যক্তি কতদূর যেতে পারে?
🎬 ২৫. Mirage (2018)
দুটো সময়। একটা টিভি। দুইজন মানুষ। একজন নারী ও একজন বালক। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন তারা। বালকটা একটু পর মারা যাবে। নারী বাঁচাতে পারবেন বালককে। কিন্তু তারপর একটা ঝামেলা শুরু হবে। ঝামেলাটা কী?
🎬 ২৬. Primal Fear (1996)
উনিশ বৎসরের একজন যুবক আটক হয়েছেন একজন ব্যক্তিকে বর্বরতম উপায়ে হত্যার অপরাধে। একজন উকিল এই কেইসটা দেখবেন। কারণ তিনি জানেন, যুবক নির্দোষ। তিনি কেইসটা জিতলেন। গল্প শেষ। গল্প কি শেষ?
🎬 ২৭. The Body (2012)
মর্গ থেকে একটা লাশ উধাও হয়েছে। মর্গের সিকিউরিটি কোনো একটা অজানা কারণে ভয়ে কুপোকাত। জ্ঞান হারিয়েছেন। কোমায় আছেন। লাশটা কোথায়? এরচেয়ে মারাত্মক থ্রিলার খুব কম দেখেছি আমি।
🎬 ২৮. Angel Heart (1987)
একজন প্রাইভেট ডিটেক্টিভ কাজ খুঁজে পেয়েছেন। একজনকে খুঁজে বের করতে হবে। ডিটেক্টিভ যাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, সেই মারা যাচ্ছে। স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। কেউ খুন করছে, খুব নৃশংসভাবে। একটা সহজ সাধারণ গোয়েন্দাগিরির গল্প কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, আমি দেখতে বসার আগে একটুও অনুমান করতে পারিনি। আপনিও পারবেন না।
🎬 ২৯. The Skin I Live In (2011)
এই সিনেমা দ্বিতীয়বার দেখা যায় না। এই সিনেমা প্রথমবার দেখেই হজম করা যায় না।
🎬 ৩০. Mother! (2017)
হিম একজন লেখক। তার স্ত্রীর নাম হার। বাচ্চা-কাচ্চা নেই। তাদের ছোট্ট সংসার। একদিন ঐ বাড়িতে অতিথি এলো একজন। এবং অতিথির স্ত্রী। এবং তাদের সন্তানও। এবং তারা সর্বনাশ করে ছাড়লো বাড়ির। মেটাফোরিক্যাল এই সিনেমা আমার অত্যাধিক অত্যাধিক অত্যাধিক প্রিয়। এটা ফেলে রাখবেন না।
🎬 ৩১. Nocturnal Animals (2016)
বিষণ্নতা যদি একটা কাব্য হয়, এই সিনেমা হচ্ছে মহাকাব্য। একজন নারী, ব্যস্ত স্বামী নিয়ে যার সুখের (!) সংসার। একটা কন্যাও আছে। অর্থবিত্তের কমতি নেই। নারীর ঠিকানায় একদিন একটা উপন্যাস আসে। উপন্যাসটা লিখেছেন নারীর প্রাক্তন প্রেমিক/স্বামী। উপন্যাসটা উৎসর্গ করা হয়েছে নারীকে। আপনি এই সিনেমা দেখবেন, কারণ আমি আপনাকে জানাচ্ছি- প্রিয় মানুষটির বিশ্বাসঘাতকতার সবচেয়ে ভয়ানক নির্মম কঠোর ও শৈল্পিক প্রতিশোধ নিতে জানে কে, জানেন? জি, একজন লেখক।
🎬 ৩২. Dhuruvangal Pathinaaru (2016)
দীপক রিটায়ার্ড একজন পুলিশ অফিসার। তিনি একটা গল্প বলবেন। ঐ গল্প আপনাকে শুনতে হবে। কারণ গল্প শেষে আপনি চেয়ার উল্টে পড়ে যাওয়ার মতোন একটা টুইস্ট পাবেন।
🎬 ৩৩. Black Swan (2010)
একজন যুবতীর মাথার ভেতর ঢুকুন। তার পারফেকশন, ত্যাগ, প্যাশন- পরিচিত হোন। এক ভয়াবহ দুর্ধর্ষ মনস্তাত্ত্বিক যাত্রায় আপনাকে স্বাগতম।
🎬 ৩৪. Lucid Dream (2017)
সন্তান, পরিবার, স্বপ্ন, আশা- কতদূর যেতে পারবেন?
🎬 ৩৫. The Prestige (2006)
নারী ম্যাজিকের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। পানিভর্তি বাক্স তৈরী। নারীর হাতে দড়ি দিয়ে গিঁট বাঁধা হলো। বাক্সে ফেলা হলো। নারী দড়ি খুলতে পারবেন না। এবং জাদুকরী এই সিনেমার জটও অত তাড়াতাড়ি আপনি খুলতে পারবেন না।
🎬 ৩৬. Witness For The Prosecution (1957)
আগাথা ক্রিস্টির গল্প। শেষ করে আবার দেখতে বসবেন, তা আর বলতে।
🎬 ৩৭. Mumbai Police (2013)
এসিপি এন্টনি ফেরত আসছেন। সদ্য একটা কেইস সলভ করেছেন। মার্ডারারকে ধরে ফেলেছেন। আসার পথে একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়। তিনি স্মৃতি ভুলে যান। নতুন করে কেইসটা শুরু করা দরকার। ভয়ানক সুন্দর সিনেমা।
🎬 ৩৮. The Others (2001)
আপনি যা দেখছেন, ভুল দেখছেন। এটিই এই সিনেমার স্পয়লার। স্পয়লার জেনে ফেলার পরও আপনি সঠিক জায়গায় গিয়ে চমকাবেন। এটিই এই সিনেমার বিশেষত্ব।
🎬 ৩৯. 13b (2009)
একটা টেলিভিশন সিরিয়ালে যা ঘটছে, তা আপনার জীবনেও ঘটতে শুরু করল। আপনি প্রতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করা শুরু করলেন। আগামীকাল আপনার সাথে কী ঘটবে? যারা বলেন, ইন্ডিয়ানরা হরর বানাতে জানে না, এটি তাদের জন্য।
🎬 ৪০. Fight Club (1999)
একজন যুবক ইনসোমনিয়ায় ভুগছেন। পরিচিত হয়েছেন আরেকজন যুবকের সঙ্গে। তারা দুইজন মিলে কিছু কাজ করবেন। সিনেমার নাম দেখে অন্য কোনো জনরা মনে করবেন না। এটা আপনার মাথায় ঢুকে যাবে।
🎬 ৪১. Lost Highway (1997)
কেউ একজন চুপিসারে আপনার বাসার সামনে একটা ভিডিও টেপ রেখে যাচ্ছে। ঐ টেপে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আপনার বাসা। কেউ একজন আপনার বাসায় ঢুকছে চুপিচুপি। লিঞ্চের সবচেয়ে দুর্বোধ্য সিনেমা এটি।
🎬 ৪২. Table No. 21 (2013)
একজোড়া কাপল একটা গেইম খেলবেন। গেইমের রুলস একটাই। সত্য বলতে হবে। ইফ ইউ লাই, ইউ ডাই। শুরু করুন। শেষে একটা প্রচণ্ড ধাক্কা অপেক্ষা করছে।
🎬 ৪৩. Kahaani (2012)
ভিদ্যা ভাগচী তাঁর স্বামীকে খুঁজতে এসেছেন কোলকাতায়। তিনি প্রেগন্যান্ট। এই প্রেগন্যান্ট মহিলা একশো বাইশ মিনিট ধরে আপনাকে নিয়ে ঘুরবে। তার গল্পের অংশ হোন।
🎬 ৪৪. Taxi Driver (1976)
যে সিনেমা দিয়ে স্করসেজি একটা টোন সেট করেছিলেন। একটা স্বর। মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে যতগুলো সিনেমা আমি দেখেছি, ট্র্যাভিস চরিত্রটা আমাকে ভুগিয়েছে সবচেয়ে বেশী।
🎬 ৪৫. The Usual Suspects (1995)
এই সিনেমাকে বলা হয় মিস্ট্রি থ্রিলার জনরার সিনেমাগুলোর ভেতর ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট। এবং এই সিনেমার এন্ডিং দেখেই আমি প্রথমবার জেনেছিলাম, গল্প এইভাবেও শেষ করা যায়। মারাত্মক।
🎬 ৪৬. Psycho (1960)
উনিশশো ষাট সালের একটা সিনেমায় এই লেভেলের টুইস্ট দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই একজন ব্যক্তির। হিচকক।
🎬 ৪৭. American Psycho (2000)
প্যাট্রিক ধনী পুরুষ। সুন্দর। স্মার্ট। সুদর্শন। আপনি অপেক্ষা করুন। এই ব্যক্তি আপনার গা হিম করে দেবে একটু পর।
🎬 ৪৮. Andhadhun (2018)
একজন পিয়ানোবাদক। যিনি মনে করেন, চোখ বন্ধ থাকলে মিউজিক ফিল হয় বেশী। তিনি ইচ্ছাকৃত অন্ধ হওয়ার অভিনয় করেন। উনার জন্য একটা টানটান অন্ধকার অপেক্ষা করছে। প্রস্তুত হোন। বলিউডের সবচেয়ে স্মার্ট থ্রিলার।
🎬 ৪৯. Awe! (2018)
যখন কয়েকপিস গল্প, এক সুতোয় বাঁধা পড়ে। সুতোটা খুলবেন?
🎬 ৫০. Arrival (2016)
পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে কিছু এলিয়েনের। তাদের ভাষা আমাদের জানা নেই। তাদের ভাষা বুঝা দরকার। তারা কেন এসেছে? এই সিনেমার আসল এলিয়েন হচ্ছে পরিচালক। তিনি আপনাকে বোকা বানাবেন।
🎬 ৫১. Donnie Darko (2001)
টাইম ট্রাভেল, টাইম লুপ, প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বিষয়ক যে মুভি/সিরিজগুলো আমরা এখন গিলি, এই মুভি/সিরিজগুলো যে মুভিটাকে কোনোদিন পাশ কাটিয়ে এড়িয়ে যেতে পারেনি- ওটি ডনি ডার্কো। আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় কুবরিকের স্পেস অডিসির পর সাই-ফাই জনরায় এই মুভি সবসময় দ্বিতীয় স্থানে থাকে।
🎬 ৫২. Orphan (2009)
একজোড়া দম্পতি একটা শিশু দত্তক নিয়েছেন। এই নিষ্পাপ আদুরে শিশু সম্পর্কে তারা কিচ্ছুটি জানেন না। আপনিও জানেন না।
🎬 ৫৩. The Orphanage (2007)
ওয়ান অফ দ্য বেস্ট হরর এভার মেইড। চিরাচরিত নিয়মে ভয় দেখাবে না। কেমন যেন বিষণ্ণ, কাতর কাতর ভয়। প্রচণ্ড সুন্দর এই সিনেমা।
🎬 ৫৪. Looper (2012)
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত। তিনটা একসাথে ওপরে ছুঁড়ে দেওয়া হলো। একটার ভেতর একটা ঢুকে গেল। একটা আরেকটা খেয়ে ফেলল। জটিল না?
🎬 ৫৫. The Illusionist (2006)
বিভ্রম যারা তৈরী করে তাদেরই জাদুকর বলা হয়। এই সিনেমার গল্পটা প্রেমের। দেখতে বসুন। বিভ্রমে পড়তে বাধ্য।
🎬 ৫৬. The Butterfly Effect (2004)
বলা হয়, পৃথিবীর কোনো এক কোনায় একটা প্রজাপতির হালকা ডানা ঝাপটানোর ফলে পৃথিবীর অন্যকোথাও ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড় হওয়া সম্ভব।
🎬 ৫৭. Exam (2009)
একটা কক্ষ। আটজন পরীক্ষার্থী। আশি মিনিট সময়। উত্তর লিখতে হবে একটাই। কোনো প্রশ্ন নেই। অংশ নেবেন এই উদ্ভট পরীক্ষায়?
🎬 ৫৮. Moon (2009)
পৃথিবী থেকে দূর, বহুদূর একজন মহাকাশ থেকে ফেরত আসার অপেক্ষায় আছেন। তিন বৎসর পর। কিন্তু একটা সমস্যা হয়েছে। তিনি তাকে খুঁজে পেয়েছেন।
🎬 ৫৯. Coherence (2013)
আটজন বন্ধু খেতে বসেছেন একসাথে। হঠাৎ বিদ্যুত চলে গেল। তারপর পুরো নব্বই মিনিট আপনার মাথার তার একটা একটা করে ছিঁড়ে দেওয়া হবে অন্ধকারে।
🎬 ৬০. Timecrimes (2007)
সময় যখন আপনার সাথে খেলতে শুরু করে, আপনিও সময়ের সাথে খেলতে শুরু করুন।
🎬 ৬১. Phobia (2016)
একটা দূর্ঘটনার পর যুবতী বাসার বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অ্যাগারোফোবিয়ায় ভুগছেন তিনি। কিন্তু ভয়টা কি শুধুই বাসার বাইরে? রাধিকার অনবদ্য অভিনয়, দুর্দান্ত একটা গল্প।
🎬 ৬২. In The Tall Grass (2019)
স্টিফেন কিং-এর গল্প। হররের সাথে হালকা প্যাঁচগোছ। লম্বা লম্বা ঐ ঘাসের ভেতর ঢুকে পড়ুন। অনেক বিস্ময় অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
🎬 ৬৩. Identity (2003)
সাধারণত একটা সিনেমাকে তিন পার্ট করা হলে প্রথম দুই পার্ট আগ্রহ জাগায়, শেষ পার্ট ঐ দুই পার্টের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যায়। এই সিনেমা উল্টো। গতানুগতিক ধারার একটা গল্প শেষ পার্টে আপনার মাথা কামড়ে ধরবে। আগাথা ক্রিস্টির গল্প। তিনি গল্প সহজ ভঙ্গিতে বলতেই জানেন না।
🎬 ৬৪. The Lighthouse (2019)
ঝড়ো আবহাওয়া, একটা একা আইল্যান্ড, দুইজন মানুষ, একাকীত্ব, অপরাধবোধ, কাম, লোভ, মিথ, উন্মাদনার এ এক মহাসমুদ্র। এই সিনেমা আমাকে প্রতিবার ডুবায়। আপনাকেও ডুবাবে। শুধু একটু সিনেমা সংশ্লিষ্ট পয়েন্টগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে আগে।
🎬 ৬৫. Karthik Calling Karthik (2010)
কার্থিক একলা মানুষ। শান্ত। সভ্য। ভদ্র। নির্ঝঞ্ঝাট। সমস্যা হচ্ছে, রাতে ফোন আসে। ফোনের ওপাশে একটা কণ্ঠস্বর। এটা ওটা বাতলে দেয় তাকে। কার্থিক বদলায়।
🎬 ৬৬. The Innocents (1961)
সিনেমার জনরা হরর। আপনি ভয় পাবেন। তারচেয়েও বড়ো কথা, আপনার মাথা এলোমেলো হবে। কারণ, শুধু ভয় দেখানোই এই সিনেমার উদ্দেশ্য নয়।
🎬 ৬৭. Us (2019)
সাইকোলজি, হরর, মেটাফোর। গল্পটা কেমন যেন। স্যাঁতসেঁতে, থম ধরানো, গাঢ় মায়া মাখা সৌন্দর্য।
🎬 ৬৮. Get Out (2017)
একজন প্রেমিক দাওয়াতে এসেছেন প্রেমিকার বাসায়। গায়ের রঙে পার্থক্য থাকলেও প্রেমিকার পরিবার খুব আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানালো প্রেমিককে। কিন্তু প্রেমিককে কে জানাবে, জাস্ট বিকজ ইউ আর ইনভাইটেড, ডাজেন্ট মিন ইউ আর ওয়েলকাম।
🎬 ৬৯. The Platform (2019)
একটা বড়ো বিল্ডিং। যার প্রতি তলায় দুইজন করে মানুষ থাকে। রুমের মাঝখান বরাবর গোল ফাঁক দিয়ে ওপর থেকে খাবার নেমে আসে। পর্যাপ্ত খাবার। কিন্তু তারপরও মানুষ মানুষের মাংস কেন খায় জানেন? এই সিনেমা দেখুন। গলা অবধি ডিপ মেসেজ ভরপুর এই স্প্যানিশ সিনেমার প্রতিটা মুহূর্ত অর্থপূর্ণ।
🎬 ৭০. Paprika (2006)
এই অ্যানিমে থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে ইনসেপশন বানানো হয়েছিল। অ্যানিমেগুলো ভীষণ আদুরে হয়, স্যাঁতসেঁতে হয়, বিষাদে আচ্ছন্ন হয়। এটি দেখার পর বুঝবেন, কতটা জটিলও হয়।
🎬 ৭১. Tenet (2020)
টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে অনেক জানা হয়েছে, এইবার জানুন ইনভারশন সম্পর্কে। যুবককে সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে। তাও সামনের দিকে না গিয়ে উল্টো দিকে উল্টো পায়ে হেঁটে। কোনো মানে হয়?
🎬 ৭২. Vodka Diaries (2018)
বলিউড মাঝে মাঝে সাইকোলজিক্যাল জনরায় কিছু দুর্দান্ত বানিয়ে ফেলে। আর অডিয়েন্সের কারণে তা চুপিসারে থেকে যায় কোথাও। এটা ঐসব জঞ্জাল ঘেঁটে খুঁড়ে বের করা চমৎকার একটা সিনেমা।
🎬 ৭৩. Kaun (1999)
যুবতী বাসায় একা। বাইরে একজন সিরিয়াল কিলার ঘুরছে শহরজুড়ে। যুবতী ভয় পাচ্ছেন খুব। হঠাৎ দরজায় কলিংবেল। তারপর?
🎬 ৭৪. The Gift (2015)
গিফট, উপহার, সবসময়ই সুন্দর। আকর্ষণীয়। আনন্দময়। কিন্তু যে গিফট আপনি কোনোদিন নিতে পারবেন না। চরম অস্বস্তিকর একটা গল্প।
🎬 ৭৫. Kothanodi (2015)
যারা চরকিতে নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’ সিরিজ দেখছেন, ভাস্কর হাজারিকা ঐ কাজ করেছেন দুই হাজার পনের সালে। চারটি রুপকথা, চার প্রকার ভয়, চার কিসিমের অস্বস্তি।
🎬 ৭৬. It Follows (2014)
হরর বলতে কিন্তু আচমকা ভয় পাওয়া নয়, ভয়ে চুপসে যাওয়াও নয়। মাথার ভেতর একটা ঘন আতংক ঢুকে বসত করা যখন শুরু করে, ঐ গল্পটাই আমার কাছে প্রকৃত হরর। এই সিনেমার গল্পটা হচ্ছে, কেউ একজন আপনাকে অনুসরণ করছে। শেষ। এটিই গল্প।
🎬 ৭৭. Misery (1999)
সদ্য অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া একজন লেখক এবং তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসা তারই লেখার একজন ভক্ত- এই দুইজন মিলে কী কী কাণ্ড করতে পারে অনুমান করুন। গল্পটা স্টিফেন কিং-এর। এইবার অনুমান করুন।
🎬 ৭৮. Saint Maud (2019)
একজন নারী শুনিয়েছিলেন, তিনি ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পান তার মাথায়। এবং ঐ কণ্ঠস্বর ভালোবেসে ফেলেছেন খুব। পরিচালক ঐ নারীর সঙ্গে আলাপের পর এই গল্প লিখতে বসেন।
🎬 ৭৯. Angel’s Egg (1985)
এই অ্যানিমেতে একটা দৃশ্য আছে। আমার খুব পছন্দের দৃশ্য। বিল্ডিং-এর ওপর হাঙ্গরের ছায়া পড়েছে। শহর রক্ষাকারীরা ঐ ছায়া ধ্বঃস করার জন্য অনর্গল তীর ছুঁড়ছে। বিল্ডিং ভেঙে যাচ্ছে তীরের আঘাতে। ছায়া স্বাচ্ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। আমার ব্যক্তিগত পছন্দের সবচেয়ে দূর্বোধ্য সুন্দর অ্যানিমের লিস্টে এটি প্রথম স্থানে থাকে।
🎬 ৮০. Vivarium (2019)
একজোড়া কপোত-কপোতি বাসা খুঁজছেন, থাকার। খুঁজে পেয়েছেন। এবং আটকা পড়েছেন। সহজ সরল গল্প ধারণা নিয়ে দেখতে বসলে আপনিও আটকাবেন।
🎬 ৮১. Forgotten (2017)
এক যুবক নতুন বাড়িতে উঠেছেন। সঙ্গে বড়ো ভাই, বাবা এবং মা। গল্প শুরু হয়, এক বৃষ্টির রাত্তিরে বড়ো ভাই কিডন্যাপড হয় যখন। কিংবা কিছুদিন পর ফিরে আসে যখন। অথবা যখন যুবক টের পেতে শুরু করেন, পরিবারটা বড্ড গোলমেলে লাগছে তার। চেনা অথচ অচেনা। টানটান সাসপেন্সে ভর্তি মারকুটে মিস্ট্রি থ্রিলার কোরিয়ান এই সিনেমার গল্পও আপনার জানা। অথচ অজানা।
🎬 ৮২. Andhaghaaram (2020)
একজন ডাক্তার, যিনি নিজের রোগীর হাতে আক্রমনের শিকার হয়ে কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন। একজন অন্ধ যুবক, যিনি সৎ। একজন হতাশ যুবক, যিনি অপরাধবোধে ভুগছেন। তিন গল্প এক হলো একটা টেলিফোনের ভেতর। কিভাবে?
🎬 ৮৩. Blue Velvet (1986)
যুবক হসপিটাল থেকে বাসায় ফেরার পথে একটা জায়গায় ঘাসের ওপর একটা কাটা কান পড়ে থাকতে দেখলেন। কার কান? কে কাটলো? কেন কাটলো? প্রশ্নের উত্তরের পেছনে ছোটেন যুবক। আপনিও ছুটুন।
🎬 ৮৪. Pi (1998)
সবকিছু জেনে ফেলার চেয়ে কোনোকিছুই না জানা অনেকসময় দারুণ আনন্দের, দারুণ স্বস্তির, দারুণ ভালো লাগার বিষয়।
🎬 ৮৫. Room (2019)
একজোড়া নিঃসন্তান দম্পতি তাদের নতুন বাসায় একটা রুম খুঁজে পেয়েছেন। যেখানে গিয়ে মনে মনে কিছু চাইলে তা পাওয়া যায়। তারা চাইলো। পেলো। সবকিছু চাওয়ার পরও মানুষের কী চাওয়ার থাকে? ভাবুন।
🎬 ৮৬. Fracture (2007)
একজন বৃদ্ধ, তার যুবতী স্ত্রী। যিনি পরকীয়া করছেন। বৃদ্ধ জেনে ফেললেন। এবং এক রাত্তিরে গুলি করে মেরে ফেললেন স্ত্রীকে। কনফেস করলেন, আমি আমার বউকে গুলি করেছি। যেখানে অন্য সিনেমা শেষ হয়, এই সিনেমা মাত্র শুরু।
🎬 ৮৭. Prisoners (2013)
এক পুলিশ, এক হতাশ পিতা ও এক উন্মাদ পিতার আড়াই ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকার খোঁজাখুঁজির গল্প। দম আটকে আসার মতোন সুন্দর।
🎬 ৮৮. Dogtooth (2009)
তিন ভাই বোন। পিতা-মাতা যাদের জন্ম থেকে একটা বাড়ির ভেতর আটকে রেখেছেন। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের চোখ দিয়ে আমাদের পৃথিবীটা একটু দেখুন।
🎬 ৮৯. Goodnight Mommy (2014)
মা ফিরেছেন হসপিটাল থেকে। সারা মুখে ব্যান্ডেজ। পুত্রের ধারণা, তিনি মা নন। অন্য কেউ। এই সিনেমা ভয়ের পাশাপাশি আপনাকে কাঁদাবে।
🎬 ৯০. The Lobster (2015)
আপনাকে সমাজ কিভাবে দেখে? আপনার জীবন, আপনার সংসার, আদৌ আপনার? নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে? আপনি একজন স্বাধীন মানুষ। সত্যি? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন।
🎬 ৯১. Perfect Blue (1997)
যারা ব্ল্যাক সোয়ান দেখেছেন, তারা এই অ্যানিমের গল্পের সাথে ঐ সিনেমার গল্পের মিল পাবেন। দু’টোই দুর্দান্ত। এটি অবশ্য একটু বেশী সুন্দর।
🎬 ৯২. Anomalisa (2015)
ফ্রিগোলি সিন্ড্রোমে যারা ভোগে, তারা তার আশপাশের মানুষদের চেহারা কণ্ঠস্বর আলাদা করতে পারে না। সবার এক চেহারা, এক কণ্ঠস্বর। এই অ্যানিমেডেট সিনেমার ভদ্রলোক এই অসুখে ভুগছেন। কাউকে আলাদা করতে পারছেন না। একটা অস্বস্তিকর সময়ে তিনি হঠাৎ একটা কণ্ঠস্বর শুনতে পান। অন্যরকম। ভিন্ন। তারপর?
🎬 ৯৩. The Cabinet of Dr. Caligari (1920)
সিনেমা জগতে ট্রু হররের যাত্রা শুরু হয়েছিল এই সিনেমা দিয়ে। কিউবিজম আর্টে ভর্তি এই সাইলেন্ট সিনেমা বর্তমান সময়ের হরর ক্লাসের গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট।
🎬 ৯৪. Midsommar (2019)
এই সিনেমা বানিয়েছেন অ্যারি এস্টার। গল্পের প্রয়োজন নেই। নামটার ওপর ভরসা করে দেখতে বসুন।
🎬 ৯৫. The Killing of a Sacred Deer (2017)
একজন কার্ডিয়াক সার্জন, যিনি গোপন অপরাধবোধে ভুগছেন। একজন কিশোর, যিনি ঐ সার্জনের ভুলে হারিয়েছেন আপনজন। তারা কী করবেন? উইয়ার্ড, ডিপ মেটাফোরিক সিম্বল, ধর্ম, মানবতা, প্রতিশোধে আচ্ছন্ন একটি গাঢ় বিষাদের গল্প।
🎬 ৯৬. Thittam Irandu (2021)
যুবতী একজন দায়িত্ববান পুলিশ। একদা বাস ভ্রমণে পরিচয় হয়েছে একজন যুবকের সাথে। তারপর ভালোবাসা। বিবাহও ঠিক হয়েছে। কিন্তু যুবতীর মাথা খাচ্ছে একটা কেইস। ছোটবেলার বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন পর ডেডবডি খুঁজে পাওয়া গেল। কিন্তু একটা ‘কিন্তু’ আছে। খুব অতিরিক্ত মিস্ট্রি থ্রিলার না দেখা/পড়া থাকলে, এই সিনেমার টুইস্ট আপনি আন্দাজ করতে পারবেন না।
🎬 ৯৭. Basic Instinct (1992)
ভদ্রলোক খুন হয়েছেন। ভদ্রলোকের প্রেমিকা একজন লেখিকা। সমস্যা হলো, লেখিকার একটা উপন্যাসে ঠিক যে উপায়ে খুন করা হয়েছিল একটা চরিত্র, ভদ্রলোককেও একই উপায়ে খুন করা হয়েছে। তাই মেইন সাসপেক্ট লেখিকা প্রেমিকা। কিন্তু এত সহজে বুঝি মার্ডার মিস্ট্রি সলভ হয়?
🎬 ৯৮. The Night House (2020)
তরুণীর হাসবেন্ড সুইসাইড করেছেন। সুইসাইডের কিছুদিন পর তরুণী হাসবেন্ডের ফোনে অন্য একটা যুবতীর ছবি দেখতে পান, যে দেখতে অনেকটাই তরুণীর মতো। তবে কি হাসবেন্ড পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন? গল্প খুব প্রেডিক্টেবল, না? দেখা শুরু করুন।
🎬 ৯৯. The Life of David Gale (2003)
একজন ব্যক্তি আটকা পড়েছেন একটা মার্ডার কেইসে। তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। তিনি মৃত্যুর আগে একটা গল্প বলবেন। জি না, মোটেও কোনো টিপিক্যাল সিনেমা নয় এটি। নাম দেখে হতাশ হওয়ারও কারণ নেই। আমি আপনাকে ভরসা দিচ্ছি, আপনি এই সিনেমা দেখতে বসুন। আপনি বিস্মিত হবেন, চমকাবেন, মুগ্ধ হবেন। হতে বাধ্য।
🎬 ১০০. Churuli (2021)
যখন উপরের সিনেমাগুলো দেখতাম, ভাবতাম- সব তো সেই কবেকার সিনেমা। এখন কেন অমন দুর্দান্ত কিছু বানানো হয় না। যেটা মাথায় ভনভন করবে, গা শিউরে উঠবে, মগজের ভেতর ঢুকে যাবে চমক, বিস্ময়, মুগ্ধতা। আমার আফসোস পূরণ করল এই সিনেমা। গল্পটা হচ্ছে দুইজন ব্যক্তির, যারা খুঁজতে এসেছেন একজন অপরাধী। গ্রামটার নাম চুরুলি। যাত্রাপথে একটা সাঁকো পড়ে মাঝখানে। সাঁকো পার হওয়ার পর এই গল্প শুরু। শুধুই শুরু। খোঁজ করুন, যদি শেষের দেখা পান।

কাটেসি: Shakhwat Hossain

18/03/2024

একটি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এমডি অবসরের ৫ বছর পর তার শহরের একটি শাখায় এসেছিলেন টাকা তুলতে।কেউ তাকে সালাম দিলো না, এগিয়ে এলো না, কারণ কেউ তাকে চিনতে পারেনি। ব্যাংকটিতে যারা কাজ করছেন সবাই নতুন।

তিনি নিজেকে ঐ ব্যাংকের সাবেক এমডি হিসেবে পরিচয় দেন।পরিচয় পাওয়ার পর একজন অফিসার তাকে চা অফার করেন এবং কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করেন, "অবসরের পর আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে?”

সাবেক এমডি বলেন,"প্রথম ২/১ বছর খুব খারাপ লেগেছে।নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে।এখন আমি বুঝতে পেরেছি, দাবা খেলা শেষ হওয়ার পরে রাজা এবং সৈনিকদের একই বাক্সে রাখা হয়। পদ, পদবী, উপাধি, শান-শাওকাত সবই অস্থায়ী। মানুষের ভালোবাসাটা স্থায়ী, বিনয় ও সদাচরণ দিয়ে যা অর্জন করতে হয়।”

সময় যার যার জীবনের হিসেব বুঝিয়ে দেয়! এই সত্যটা সময় থাকতে আমরা বুঝতে চাই না! তাই আসুন সময়ের মুল্য দিতে শিখি। সময়ে যা করা প্রয়োজন, সেটার দিকেই বেশী মনোযোগী হই।

11/12/2023

হঠাৎ দাম বেড়ে গেলে এড়িয়ে চলুন। হোক তা পিঁয়াজ অথবা মানুষ। দেখবেন পঁচে গলে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে।

29/10/2023

ডিমের আড়তে গিয়ে বললাম,"এক ডজন হাঁসের ডিম দেন।"
কর্মচারী বললো,"স্যার! ডিম তো হাঁসে পাড়ে না, হাঁসি পাড়ে!!" 😊😊

ক্যাশে বসা মহাজন কর্মচারীকে ডেকে নিয়ে একটা থা*প্পর মে*রে দিলো। সামান্য এই কথাটার কারণে কর্মচারীর গায়ে হাত তোলা বিষয়টা মেনে নিতে পারলাম নাহ। 🤔🤔

মহাজনকে বললাম,"কাজটা ঠিক করলেন নাহ। কর্মচারীর কথায় আমি কিছু মনে করিনি।" 🙄🙄

মহাজন কোন কথা না বলে চুপ থাকলো। 😌😔

আড়ত থেকে বের হতেই কর্মচারী ফিসফিস করে বললো, "স্যার, এই কারণে থা*প্পর মা*রে নি, মা*রছে অন্য কারণে...। 😂🤣

বললাম,"কি কারণ জানতে পারি...??" 😱😱

স্যার!! মহাজনের বউয়ের নাম "হাসিনা বেগম।"
উনি আদর করে "হাঁসি" ডাকে!! 😁😁

আমি যে বলছি,"হাঁসি ডিম পাড়ে,
এই জন্য আমারে থা*প্পর মা*রছে। 😀🤭😃

03/10/2023

ইবাদতে তৃপ্তি অনুভব করা নিয়ে কিছু কথা।
Video Credit: Baseera

01/10/2023

"আপু, কেমিকেল কিনবেন?"
"কেমিকেল দিয়ে আমি কী করব?
"মাত্র ৫০ টাকা দাম এই কেমিকেলের। কিনেন না প্লিজ।"
"আরে ভাই, আমি কেমিকেল দিয়ে কী করব? খাওয়ার জিনিস হলে না হয় একটা কথা ছিল। খবরদার! আমাকে কোন কেমিকেল বেচার অফার দিবেন না।"
---
সেই কেমিকেলে সুঘ্রাণ যোগ করা হলো। তাতে খরচ হলো ৫০ টাকা।

কেমিকেলে সুন্দর কালার যোগ করা হলো। সেখানে খরচ হলো ৫০ টাকা।

কেমিকেলটা সুন্দর একটা বক্সে প্যাকেজিং করা হলো। বক্সের পেছনে খরচই ৫০ টাকা করে।

সেই কেমিকেলের একটা নাম দেয়া হলো।

বিশ্বের নাম করা একজন মডেল ভাড়া করে অনেক টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন বানানো হলো। যে পরিমাণ কেমিকেলের বক্স বানানো হলো তাতে গড়ে ১০০ টাকা খরচ যোগ হলো।

বিল বোর্ড টিভি ইন্টারনেট পত্রিকায় সেই কেমিকেলের বিজ্ঞাপন দেয়া হলো।
---
যে মেয়েটাকে ৫০ টাকায় ১ বক্স কেমিকেল অফার করা হয়েছিল সেই মেয়েই এখন দোকানে গিয়ে সেই কেমিকেলটা খোজে। নাম 'ওমুক বিউটি ক্রিম'। ওজন সেই ৫০ টাকারটাই।
মূল্য- ৬৫০ টাকা!

---
সারা দুনিয়ার প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবসা এভাবেই চলছে। প্রত্যেকটা প্রসাধনী কোন না কোন কেমিকেল দিয়ে বানানো। ডিরেক্ট সেই কেমিকেল বেচতে গেলে কেউ কিনবে না কিন্তু ক্রিম লোশন হাবিজাবি নামে বেচলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। একবার আমি কেমিকেলের ব্যবসায় সরি মেকাপ/প্রসাধনী আইটেমের ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলাম। যখন জানলাম মেয়েদের মুখে মাখানোর আইটেমই আছে ৬৫ রকমের তখন চুপসে গেছি।
বাংলাদেশ সহ কয়েকটা দেশের মানুষের গায়ের চামড়া শ্যামলা কালো। গুটিকয়েক মানুষের চামড়া সাদা। মিডিয়া সাদা চামড়াকে এমনভাবে হাইলাইট করে যেন একটা মেয়ের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে ফর্সা হওয়া। কেমিকেল ওরফে ক্রীম মেখে গায়ের কালার চেইঞ্জ করেছে এমন উদাহরণ বিশ্বে কোথাও নেই জানার পরেও প্রচারণার ঠেলায় মেয়েরা কসমেটিকস কেনার জন্য পাগল হয়ে থাকে।

মূলত একটা মেয়ে শরীরের যত বেশি অংশ খোলা রাখবে তত বেশি অংশে কসমেটিকস ইউজ করতে হবে। কারণ মেয়েরা চায় সে 'যতটুকু' অংশ দেখাচ্ছে ততটুকু অংশ যেন সুন্দর দেখায়। এই সুন্দর দেখাতে গিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার কসমেটিকস বেচা কেনা হয়। এই কারণে প্রসাধনী কোম্পানি গুলি কখনো চাইবে না মেয়েরা শরীর ঢেকে চলুক। কারণ শরীর ঢাকলেই কিছু দেখানো যাবে না আর কিছু দেখাতে না পারলে প্রসাধনী ইউজ করাও লস প্রজেক্ট। বিশ্বের নাম করা প্রসাধনী কোম্পানির মালিক অথবা প্রসাধনী বানানোর র ম্যাটারিয়ালি সাপ্লায়ার যারা তারা সবই পশ্চিমা দেশ অথবা পশ্চিমা চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী। মিডিয়ায় যদি ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা হয় তাহলে এই ব্যবসাই তো ভালো।

জ্ঞানীদের চিন্তার জন্য এই লেখা দিলাম। অন্যদের চিন্তা করার দরকার নেই। এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট না।

- সংগৃহীত

21/09/2023

চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানের নাম কীভাবে এলো?

☞ হালিশহরঃ আরবি 'হাওয়ালে শহর' থেকে উদ্ভুত। অর্থ- 'শহরতলি'। এটি ছিল আরব বণিকদের সাময়িক বসবাসের জন্য নির্ধারিত স্থান।

☞ সুলকবহরঃ আরব বণিকদের নৌবাণিজ্যের যুগে প্রাচীন কর্ণফুলী নদীর যে স্থানটিতে বাণিজ্যতরী অবস্থান করত সেটি 'সুলকুল বহর' নামে খ্যাত ছিল। আরবি 'সুলকুল বহর' শব্দের অর্থ- 'বাণিজ্যতরীর বিরতি স্থান- পোতাশ্রয়'। পরবর্তীতে এলাকাটি বর্তমানের 'সুলকবহর' নামে বিবর্তিত হয়েছে।

☞ ষোলশহরঃ সুলকবহরের কাছের এই জায়গাটি 'চাহেলে শহর' নামে পরিচিত ছিল। আরবি চাহেলে শহর নামের অর্থ 'নদীর তীরবর্তী শহর' যা কালক্রমে ষোলশহর নাম ধারণ করে।

☞ আন্দরকিল্লাঃ আরকানি আমলে এখানে প্রাচীন দুর্গ ছিল। নাম ছিল- 'চাটিগাঁ দুর্গ'। ১৬৬৬ সালে মোগল বাহিনী আরকানি বাহিনীকে পরাজিত করে এই দুর্গ দখল করলে প্রধান সেনাপতি উমেদ খাঁ এই দুর্গের নাম দেন 'আন্দরকিল্লা'।

☞ লালদিঘিঃ বর্তমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে একটি পাকা ভবন ছিল যেটির দেওয়ালে লাল রঙ দেয়া হয়েছিল যা 'লালকুঠি' নামে পরিচিত ছিল। লালকুঠির সন্নিকটের দিঘিটি 'লালদিঘি' নামে বিখ্যাত হয়ে উঠে।

☞ হাজারি লেনঃ আন্দরকিল্লার মধ্যস্থিত এই গলিতে বারজন মোগল 'হাজারি' বা সেনাপতির অন্যতম ভগবান সিং হাজারির বাড়ি ছিল। তা থেকে এই নামের উৎপত্তি।

☞ মেহেদিবাগঃ চট্টগ্রাম শহরের এই এলাকাটিতে এককালে মেহেদি গাছের আধিক্য ছিল।

☞ চকবাজারঃ পূর্ব নাম- 'সদরবাজার'। আরকানিদের হটিয়ে চট্টগ্রাম মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলে এই বাজার স্থাপনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের গোড়াপত্তন হয়। চট্টগ্রামের ১৮তম মোগল শাসক নবাব অলি বেগ খাঁ সদরবাজারের নাম 'চকবাজার' নামে পরিবর্তন করেন। চকবাজারেই 'অলি খাঁর মসজিদ' নামে পুরাতন একটি মসজিদ এখনো রয়েছে।

☞ কাপাসগোলাঃ কার্পাস শব্দের বিকৃত রূপ 'কাপাস'। প্রাচীনকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্ত কার্পাস তুলা এখানে বিক্রির জন্য গোলাজাত বা জমা হতো বলে এই এলাকাটি 'কাপাসগোলা' নামে খ্যাত হয়।

☞ কাঠগড়ঃ এই স্থানে আরকানিদের কাঠের নির্মিত দুর্গ ছিল। কাঠের দুর্গের অপর নাম ছিল 'কাঠগড়'।

☞ লাভ লেইনঃ ব্রিটিশ আমলে এটি ছিল ইংরেজ কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা। এই এলাকায় ইংরেজ নারী-পুরুষের প্রকাশ্য প্রেমের কারনে এই নামের উৎপত্তি।

☞ আলকরণঃ আলকরণ অর্থ- গণ্ডারের শিং। আরব বাণিজ্যের যুগে এই এলাকায় গণ্ডারের শিং এর আড়ৎ ছিল। তৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে গণ্ডারের শিং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে রপ্তানি হতো।

☞ অভয় মিত্রের ঘাটঃ ফিরিঙ্গি বাজার নিবাসী ধনাঢ্য রায় বাহাদুর অভয়চরণ মিত্রের নামানুসারে এই ঘাট।

☞ দেবপাহাড়ঃ ব্রিটিশ সরকার শরচ্চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তির কাজে খুশি হয়ে তাঁকে পুরষ্কারস্বরূপ 'জয়নামা বা জাঁহানুমা' পাহাড়টি প্রদান করেন। শরচ্চন্দ্র ঐ পাহাড়শীর্ষে একটি দেবমন্দির নির্মাণ করে নতুন নাম দেন 'দেবপাহাড়'।

☞ চন্দনপুরাঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎপাদিত আগরকাঠ প্রাচীনকাল হতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজযোগে ইউরোপে রপ্তানি হতো। আগরকাঠ সেকালে চট্টগ্রামবাসীর কাছে 'চন্দনকাঠ' নামে খ্যাত ছিল। বর্তমান চন্দনপুরা ছিল এসব চন্দনকাঠের গোলাঘর বা মজুতস্থান।

☞ পার্সিভাল হিলঃ চন্দনপুরার বিপরীতের এক উচ্চ পাহাড়ে 'ব্রেডন পার্সিভাল' নামের এক পর্তুগিজ বাসিন্দা সপরিবারে বসবাস করার জন্য বাড়ি তৈরি করেন। এই পার্সিভাল পরিবারের একাধিক সদস্য পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। আরেক সদস্য ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় চট্টগ্রামের পার্সিভাল পরিবারের শেষ পুরুষ চট্টগ্রাম ত্যাগ করে লন্ডনবাসী হন।

☞ পাথরঘাটাঃ কথিত আছে- পীর বদর শাহ আরব দেশ থেকে সমুদ্রপথে একটি পাথরের উপর সওয়ার হয়ে চট্টগ্রামে আসেন। এবং সেই পাথরখানি কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী একটি স্থানে থেমে যাওয়ার পর তিনি তীরে উঠে আসেন। তখন থেকে এই জায়গার নাম 'পাথরঘাটা' নামে খ্যাত হয়৷

☞ এনায়েত বাজারঃ এনায়েত খাঁ নামের একজন মোগল সেনাপতির নামানুসারে এই নামকরণ হয়েছিল। এনায়েত বাজার ছিল তৎকালীন মোগল সেনাবাহিনীর মুসলমান সেনাদলের আবাসস্থল।

☞ টাইগার পাসঃ দু'পাশে উঁচু পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে এই রাস্তাটি সোজা চলে গেছে সমুদ্রে। ১৯ শতকের শেষার্ধেও এসব পাহাড় ছিল জনবসতিহীন, গভীর জঙ্গলাবৃত এবং বাঘের আখড়া। ১৮৬২ সালে চট্টগ্রামে কর্মরত ব্রিটিশ সিভিলিয়ান মিস্টার ক্লে'র আত্মজীবনী থেকে জানা যায়- এখানে নিয়মিত বাঘের আক্রমনে লোকে প্রাণ হারাতো, এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে এই রাস্তা ধরে বাঘ চলাচল করতো বিধায় এটি "টাইগার পাস" নামে খ্যাত হয়। সেই ঐতিহাসিক স্মৃতির স্মারক হিসেবে বর্তমানে টাইগার পাস এলাকায় টাইগার বা বাঘের মূর্তি স্থাপিত আছে।

☞ বাঘ ভ্যালিঃ চট্টেশ্বরী রোডের ওয়ার সিমেট্রির সন্নিকটস্থ এই পাহাড়ি এলাকাটি একসময় ছিল জনমানবহীন ও জঙ্গল আবৃত- সেখানে দিনে দুপুরে বাঘ বিচরণ করতো। এই এলাকায় বাঘ ধরার জন্য ফাঁদ পাতার ব্যবস্থা ছিল, জীবন্ত বাঘ ধরতে পারলে মিলতো পুরষ্কার। এভাবেই এলাকাটি বাঘভ্যালি বা বাঘের উপত্যকা হিসেবে খ্যাত হয়।

☞ খুলশীঃ আরবি ও ফারসি ভাষার প্রচলিত "খোলাসা" শব্দ থেকে খুলশী নাম উদ্ভুত। খোলাসা অর্থ খোলামেলা, জনবিরল স্থান।

☞ কাজির দেউড়িঃ কাজি মির আবদুল গণির নামানুসারে এই এলাকা খ্যাত হয়েছে। ১৮ শতকের গোড়ার দিকে তিনি দিল্লী গমন করে তৎকালীন মোগল সম্রাটের কাছ থেকে চট্টগ্রামের কাজী (বিচারক) এর দায়িত্ব লাভ করেন এবং স্টেডিয়ামের পূর্বদিকে নিজের দেউড়ি (বহির্বাড়ি) ও মসজিদ স্থাপন করেন।

☞ আসাদগঞ্জঃ পটিয়া থানার বড় উঠান গ্রামনিবাসী ১৮ শতকের প্রখ্যাত জমিদার আসাদ আলী খাঁ'র নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ হয়েছে।

☞ বকশীর হাটঃ ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে বাঁশখালীর নিবাসী বকশী হামিদ নামের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি এই বকশীর হাট স্থাপন করেন। বাঁশখালীর ইলসা গ্রামে বকশী হামিদের নামে দিঘি, মসজিদ ইত্যাদি নিদর্শন আজো বিদ্যমান।

☞ খাতুনগঞ্জঃ উনবিংশ শতকে চট্টগ্রামের একজন অভিজাত, গুণী ও খ্যাতিমান ব্যক্তি ছিলেন খান বাহাদুর হামিদউল্লাহ খাঁ। তিনি ফারসি ভাষায় "তারিখে হামিদী" শিরোনামে প্রথম চট্টগ্রামের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছিলেন। হামিদউল্লাহ খাঁ'র ২য় পত্নীর নাম ছিল- খাতুন বিবি। কালক্রমে তাঁর স্ত্রী খাতুন বিবির নামে এই খাতুনগঞ্জ গড়ে উঠে।

☞ রহমতগঞ্জঃ ১৬৯৮ সালে নবাব রহমতুল্লা চট্টগ্রামের শাসনকর্তা নিয়োগ হলে এই স্থান তাঁর নামে পরিচিত হয়ে উঠে। বর্তমান জে.এম.সেন হলের উত্তর পার্শ্বে নবাব রহমতুল্লাহর কবর বিদ্যমান রয়েছে।

☞ ফিরিঙ্গি বাজারঃ ১৬ শতকের শুরুর দিকে চট্টগ্রামে পর্তুগিজ বণিকরা আগমন করে। তারা এদেশে "ফিরিঙ্গি" নামে খ্যাত ছিল। অত্র এলাকাটি ছিল ফিরিঙ্গি বণিকদের আড়ত।

☞ রেয়াজুদ্দিন বাজারঃ এই এলাকাটি একসময় ছিল জমিদার দেওয়ান বৈদ্যনাথের বাগানবাড়ি। এখানে সেগুনবাগিচা ছিল। পরবর্তীতে এই এলাকাটি কিনে নেন চট্টগ্রামের প্রথম মুসলমান বিএ, বিএল শেখ রেয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির পিতা শেখ মোঃ ওয়াশীল। শেখ রেয়াজুদ্দিন এই এলাকার প্রভূত উন্নয়ন ঘটালে এটি তাঁর নামে পরিচিত হয়ে উঠে।

☞ চেরাগী পাহাড়ঃ কথিত আছে- আরব দেশ থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হযরত বদর শাহ নামক এক সুফি সাধক মাটি নির্মিত একটি চেরাগ বা চাটি হাতে নিয়ে সমুদ্রে পাথরের উপর আরোহন করে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছান। তখন চট্টগ্রাম ছিল গভীর অরণ্যাবৃত এবং জ্বীনপরীর আবাসস্থল। বদর শাহ একটি অনুচ্চ পাহড়ে উঠতে গেলে জ্বীনপরীরা বাধা প্রদান করে এবং থাকার অনুমতি দেয়না। তখন বদর শাহ রাতের অন্ধকারে হাতের চেরাগটি পাহাড়ে রেখে জ্বালাবার স্থানটুকু দিতে অনুরোধ করলে জ্বিনেরা রাজি হয়। কিন্তু চেরাগ জ্বালাবার পর চেরাগের তেজ সহ্য করতে না পেরে জ্বিনেরা স্থান ত্যাগ করে এবং বদর শাহ সেখানে ইবাদাতের স্থান তৈয়ার করেন। উল্লেখ্য "চেরাগী পাহাড়" টি "চাটির পাহাড়" নামেও পরিচিত, চাটি অর্থ মৃৎপ্রদীপ। অনেকে ধারণা করেন- এই "চাটি" শব্দ থেকেই চাটিগাঁ> চাটগাঁ> চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। বর্তমানে এই চেরাগী পাহাড়ে চেরাগ সদৃশ একটি সুন্দর স্থাপনা নির্মিত আছে।
©সাঈদ আহসান খালিদ

(মেমোরিঃ ২০১৮)
____________________________
তথ্যসূত্রঃ
* বন্দর শহর চট্টগ্রামঃ আবদুল হক চৌধুরী
* চট্টগ্রামের ইতিহাসঃ পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী
* চট্টগ্রামের ইতিহাসঃ ওহীদুল আলম
* বৃহত্তর চট্টলঃ মোহাম্মদ নুরুল হক
* From a Diary in Lower Bengle: Mr. A.St. Clay

Address

Chittagong
4000

Telephone

+8801710507722

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Chayabaji TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Chayabaji TV:

Share

ছায়াবাজি টিভি

আমরা “Chayabaji TV (ছায়াবাজি টিভি)” আপনাদের সাথে আছি সব ধরনের আনন্দ ও বিনোদনমুলক অনুষ্টান, সংবাদ ও তথ্যমুলক অনুষ্টানাদি নিয়ে সব সময়।

আমাদের Chayabaji পেইজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইলো।