দৈনিক একুশে আলো

দৈনিক একুশে আলো Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from দৈনিক একুশে আলো, Newspaper, Ashuganj, Chittagong.

19/04/2025
19/04/2025
সাংবাদিক আক্তারুজ্জামানের স্মরণে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিতস্টাফ রিপোর্টার : আশুগঞ্জ প্রেস ক্ল...
15/04/2025

সাংবাদিক আক্তারুজ্জামানের স্মরণে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বআশুগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. আক্তারুজ্জামান রঞ্জনের স্মরণে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বাদ আসর আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শোক সভা ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফে মোহাম্মদ ছড়া।
আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বিল্লাল হোসাইন ও ক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর খন্দকার।
মরহুম আক্তারুজ্জামানের স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু, সহ সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও সাবেক সহ সভাপতি আবু আব্দুল্লাহ।
দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলার শরীয়তনগর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মামনুন ছালিক।
উপস্থিত ছিলেন, ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি হাবীবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক লোকমান হসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নিতাই চন্দ্র ভৌমিক, পাঠাগার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সন্তোষ সূত্রধর, দপ্তর সম্পাদক বাবুল সিকদার, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আকতার হোসেন, সদস্য জহির সিকদার, সহযোগি সদস্য রোহান মাহমুদ এবং মরহুমের দুই ছেলে গালিব ও লাবীব প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ১১ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান ইন্তেকাল করেন।

সেলিম পারভেজকে সভাপতি,  মোশারফ হোসেন বেলালকে সাধারণ সম্পাদক ও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে 'ব্রাহ্মণ...
03/04/2025

সেলিম পারভেজকে সভাপতি, মোশারফ হোসেন বেলালকে সাধারণ সম্পাদক ও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন' এর ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা

একুশ থেকে ছত্রিশঅনিন্দ সুন্দরের প্রত্যাশায় একুশে আলোর ভীতি হীন পথচলামোহাম্মদ মোজাম্মেল হকপ্রবাহমান নদীতে যেমন মাঝে মধ্যে...
22/02/2025

একুশ থেকে ছত্রিশ
অনিন্দ সুন্দরের প্রত্যাশায় একুশে আলোর ভীতি হীন পথচলা

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক

প্রবাহমান নদীতে যেমন মাঝে মধ্যে ঢেউ আসে, উত্তাল তরঙ্গে দুকূল প্লাবিত হয়-তেমনি আমাদের জাতির জীবনেও এমন কিছু সময় আসে-যখন বিপুল বিক্ষোভে সমাজ মানস ফুঁসে উঠে। বিনিময়ে দেশ ও জাতি লাভ করে এক নতুন চেতনা ও অভিজ্ঞান। আর সে চেতনা হয়ে থাকে স্মৃতিতে অম্লান আর ত্যাগে মহিয়ান। আমাদের জাতীয় জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারি ও ছত্রিশে জুলাই (৫ আগস্ট) এমনই দুটি দিন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এদেশের দামাল ছেলেরা রাজপথে বুকের তাজা খুন ঢেলে দিয়ে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মূলত এটি ছিল এদেশের একদল তরুণ বুদ্ধিজীবীর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফসল। তাদের সেদিনের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত, সিদ্ধান্তের প্রতি অনড়-অবিচল তথা দৃঢ়তায় পৃথিবীর বুকে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। অমর একুশের মাতা নত না করার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের স্বাধীকার আন্দোলন রূপ নেয় স্বাধীনতা সংগ্রামে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বিশ্বের বুকে স্থান করে নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মুক্ত জনতার বুকভরা আশা আর চোখভরা স্বপ্ন-স্বাধীন বাংলাদেশে স্বপ্ননীড় গড়ে উঠবে। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র এক বছর যেতে না যেতেই মুক্তকামী মানুষের সকল আশা ও স্বপ্ন যেন বুদবুদের মতই মিলিয়ে গেল। শুরু হল আরেকটি দুঃসহ জীবন। বাহাত্তর থেকে পচাত্তরের প্রতিটি দিন ছিল মুক্তকামী মানুষের জন্য এক একটি আমারাত্রি। পচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর জাতি কিছুটা স্বস্থির নিঃশ্বাস ছাড়লেও ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। একদিন যে সোনার হরিণের আশায় দেশবাসী তাদের সব বিলিয়ে দিয়েছিল-সে সোনার হরিণ তাদেরকে কখনো ধরা দেয়নি। নানা চড়াই-উতরাই পেড়িয়ে ও ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে কিছুদূর এগুতেই আবারো ষড়যন্ত্রের কালো মেঘ গণতন্ত্রের সূর্যালোকটাকে ঢেকে দিল। জাতির ভাগ্যাকাশে গাঢ় কাল মেঘের ঘনঘটায় এতটাই অন্ধকার নেমে এসেছিল-যার সুবেহ সাদিক অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। সুদীর্ঘ ১৫ বছর নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদের যাতাকলে নিষ্পেষিত মানুষ প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে প্রতিরোধের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু যে জাতের ইতিহাস সংগ্রামের তাদেরতো আর দাবিয়ে রাখা যায় না। আবারো একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেগে উঠে তরুণ ছাত্র সমাজ। তাদের আহবানে ফুঁসে উঠে সমাজ মানুষ। হাজারো ছাত্র জনতার ত্যাগ আর রক্তে বিশ্বের বুকে স্থাপিত হয় আরেক বিরল দৃষ্টান্ত। ফ্যাসিবাদীদের না তাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস যেন শেষ হতে চাচ্ছিল না। একত্রিশ থেকে বর্ধিত হয়ে রূপ নেয় ছত্রিশে। অবশেষে জালিম পালল খিড়কি দিয়ে। চব্বিশের ছত্রিশে জুলাই (৫ আগস্ট) নতুন স্বাধীনতার সূর্যোদয় ঘটে জাতির আকাশে।

মেঘনা ও তিতাস বিধৌত অঞ্চলে সংবাদপত্র জগতের ধারা পাল্টে দিতে বিগত ২০০২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক পতণিকা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল একুশে আলো।

প্রকাশনার শুরু থেকে আক্ষরিক অর্থেই একুশের চেতনা ধারন করে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সাহস নিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে একুশে আলো থেকেছে বরাবরই আপসহীন।
বস্তুনিষ্ট ও অনুসন্ধানী সংবাদ, আকর্ষণীয় ফিচার ও সময়োপযোগী কলামসহ এর নানা বিভাগ খুব অল্প সময়েই পাঠক নন্দিত হয়। ফলে সাপ্তাহিক হিসেবে অগনিত পাঠকের আস্থা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছে একুশে আলো। পরবর্তীতে পাঠকের দাবি ও চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে সাপ্তাহিক থেকে দৈনিকে উন্নীত হয় পত্রিকাটি।
আজ একুশে আর ছত্রিশের চেতনায় একাকার হয়ে মুক্তকামী মানুষ বৈষম্যমুক্ত সমাজের স্বপ্নে বিভোর। এর প্রভাবে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বইছে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সুর। বদলে যাওয়া সংবাদ জগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজস্ব ধারা ধরে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে একুশে আলো পা রেখেছে দুই যুগে।

২০০২ সালে তখনো আঞ্চলিক সংবাদপত্রে আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে প্রকাশিক প্রায় সবগুলো পত্রিকা ছাপা হতো লেটার প্রেসে। তখনকার সময়ে পেশাদার ও আলোচিত সাংবাদিক সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে আমরা এক ঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলছিলাম। কিন্তু ইচ্ছা করলেই কলেবরের সীমাবদ্ধতার জন্য জাতীয় পত্রিকায় এলাকার সব চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে আমাদের মাঝে সংগত কারণেই আঞ্চলিকভাবে একটি নিজস্ব প্লাটফর্মের প্রয়োজন অনুভূত হয়। স্থানীয় সংবাদকর্মীদের এমন আকাঙ্খা পূরণে এগিয়ে আসেন তৎকালীন সময়ের প্রথিতযশা তরুণ সাংবাদিক সেলিম পারভেজ। নিজেই প্রকাশক হয়ে ডিক্লেয়ারেশন নেন 'সাপ্তাহিক একুশে আলো' পত্রিকাটির। মোঃ আক্তারুজ্জামান রঞ্জনকে করা হয় সম্পাদক আর আমি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বার্তা সম্পাদক। প্রধান সম্পাদক হিসেবে অভিভাবকত্ব করেন প্রকাশক সেলিম পারভেজ নিজেই।
পরবর্তীতে ২০০৭ সালে অগনিত পাঠকের দাবি ও চাহিদা অনুযায়ী পত্রিকাটি সাপ্তাহিক থেকে দৈনিকে উন্নীত হয়। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রকাশক সেলিম পারভেজ নিজেই সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে আমি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব নেন আশিকুর রহমান মিঠু ও আইটি সেকশনের দায়িত্ব নেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ খান মামুন।

প্রসঙ্গত : একুশে আলো'র নামকরণ করেন জাতীয় সাহিত্যিক (তৎকালীন উপসচিব, পরবর্তীতে সচিব হয়ে অবসরপ্রাপ্ত) মোস্তফা মহিউদ্দিন। লগু তৈরি করেন দেশের প্রখ্যাত চিত্রকর বীরেন সোম। আর "আমরা ভীত নই, সুন্দরের প্রত্যাশী" স্লোগানটি দেন মরহুম কবি কাজী আখতার হোনেন। তিনি সাপ্তাহিক একুশে আলোর নিয়মিত সম্পাদকীয় লিখতেন এবং সাহিত্য পাতা 'সাহিত্যের আলোর সম্পাদনা করতেন।
উল্লেখ্য যে, প্রকাশনার শুরু থেকে একুশে আলো সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সব সময় নির্ভিক থাকার চেষ্টা করেছে। এ জন্য সেলিম পারভেজসহ প্রকাশনার সাথে যুক্তদের কায়েমী স্বার্থবাদী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চলতে হয়েছে। এসব হুমকি ধমকি বিচক্ষণতার সাথে আমাদের সাথে নিয়ে মোকাবিলা করেছে সেলিম পারভেজ। কোন বাধাই অকুতোভয় সাংবাদিক সেলিম পারভেজকে নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তিনি সহকর্মীদের বলেছেন, একুশে আলো কোনো দলের নয়। কোনো গোষ্ঠীর নয়। যা সত্য তা লিখবেন। সেটা যদি আমার বিরুদ্ধে হয় তাহলেও। আর এ সত্য লিখতে গিয়ে জেলে যেতেও আমি প্রস্তুত। এমন একজন পেশাদার সাংবাদিক সামনে থাকলে সংবাদিকতায় সাহসের ভিত্তি রচিত হয়। আর তিনি যদি হন ওই সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশক তাহলে তো কথাই নেই।

দৈনিক একুশে আলো ২১ বছর পেরিয়ে ২ যুগে পা দিয়েছে। এ যাত্রা এখন বলা যায় নতুন পরিবেশে। গত প্রায় ষোল বছর পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে একুশে আলো'র প্রতিটি মুহূর্ত কেটেছে এক অজানা আতঙ্কে। সত্য লিখলেই নানা জায়গা থেকে ফোন- কেন এটা লেখা হলো। সম্পাদক ও প্রকাশক সেলিম পারভেজ জানতেন, এ রিপোর্টটি প্রকাশ হলেই বিপদে পড়বো। তারপরও তিনি রিপোর্ট আটকাতেন না।

একুশে আলো শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ারই নয় বরং জেলার সীমানা পেড়িয়ে কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও হবিগঞ্জ জেলার অনেক উপজেলার পাঠকদের নিকটও নন্দিত একটি কাগজ। দীর্ঘ প্রায় দুই যুগেএক্সক্লুসিভ আর সাহসী রিপোর্টিংয়ে একুশে আলো ভাটি বাংলার জনপ্রিয় কাগজের মর্যাদা পেয়েছে। যা একুশে আলোর জন্য গৌরবের। সেলিম পারবেজের এ স্বপ্নের অভিযাত্রায় সারথি হয়েছেন অনেকে। তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই
পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের অবগতির জন্য প্রকাশ করছি যে, বিগত কয়েক বছর একুশে আলোর অনলাই ভার্সন সুনামের সাথে প্রকাশ হলেও সম্প্রতি কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। তবে কাজ চলছে, খুব অল্প সময়েই অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া ভার্সন অত্যাধুনিক উপযোগী করে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকল পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষীকে অভিনন্দন। ভালোবাসা। আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকুক প্রিয় একুশে আলো।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক

Address

Ashuganj
Chittagong
3402

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক একুশে আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category