Israt Jahan Fariya

Israt Jahan Fariya Do something that will make you die laughing
And the world will cry for you.......

08/06/2025

আনাম আর ফারজাদের সম্পর্কটা যদি এমন হয় তাহলে কেমন হবে?

ো_মনই
#অন্তু

  #অন্তুপর্বঃ০১কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে এক ধারে ডেকে চলছে রাফিয়া, আজ তার শেষ পরীক্ষা ছিল সেই খুশিতে ধেই ধেই করে নেচে  চলছে , ...
08/06/2025


#অন্তু
পর্বঃ০১

কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে এক ধারে ডেকে চলছে রাফিয়া, আজ তার শেষ পরীক্ষা ছিল সেই খুশিতে ধেই ধেই করে নেচে চলছে , মনের সুখে গুন গুনিয় গান গাইছে " স্বপ্ন আমার যাব শহর,আপার কাছে" সে উঠনে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলো আগে ঘরে যাবে নাকি রান্না ঘরে। রান্না ঘর থেকে হাঁড়ি পাতিলের আওয়াজ ভেসে আসে, সে সোজা রান্না ঘরের সামনে আসে দরজা থেকে উঁকি মারে। দেখতে পায় তার মা রাঁধছে মাটির চুলায়, সে হেসে হেসে নিজের খুশির খবর দিল " আম্মা,আম্মা আমার পরীক্ষা শেষ "
" তোহ্" তিনি আবার বলেন " বিয়া দিয়া দেমু"
রাফিয়া খুশিতে গদগদ হয়ে রান্নাঘরের ভিতরে আসে " কার লগে আম্মা? পোলা দেখতে সুন্দর? " রোকসানা এবার মাথা তুলে মেয়ের দিকে তাকান " তোর কি শরম বরম বলতে কিছু নাই" ভ্রু কুঁচকে রাফিয়া অবুঝের প্রশ্ন
" কেন? আমি কি করছি?" মায়ের তাকানোর ধরন দেখে রাফিয়া ভেবে নেয় বিয়ে বোধহয় ক্যানসেল, তাহলে তো তাকে শহর যেতে হবে, সে এবার শহর যাবেই যাবে " আম্মা আমি আপার কাছে যামু" 'আপা' শব্দ শুনা মাত্রই রোকসানা বেগম ছ্যাঁৎ করে উঠেন " কেন? তুই কেন ওর কাছে যাবি? "
" পরীক্ষা তো শেষ এখন তো আমার বেড়ানো সময় "
" কোথাও যাওয়া লাগবো না, বাড়িতেই বসে থাক,, বের হ এখান থেকে। নাইলে...." রান্না করার জন্য যে লাড়কি এনেছিলেন সেখান থেকে একটা নিলেন রাফিয়া মায়ের হাতে লাঠি দেখে এক লাফে বেরিয়ে গেল। রোকসানা বেগম সেই ফজর ওয়াক্ত উঠে কাজে লেগেছেন এখনো অনেক কাজ পড়ে আছে অথচ তার ছেলের বউ একবার ও উঁকি দেয়নি সারাদিন শুধু রূপচর্চা আর ছেলে কে নিয়ে পরে থাকে। এমনিতে ওনি রেগে ছিলেন রাফিয়া এসে আগুনে ঘি ঢেলে দিল।

সাধারণত এশার নামাজের পরে গ্রামের লোকেরা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে যায় এখানে অল্প রাতকে মনে হয় গভীর রাত
শেখ বাড়ির মেজ ছেলের ঘরের সকলে খেতে বসে শুধু আসেনি রাফিয়া। সে কাঁথার নিচে নিজেকে আড়াল করে রাখে অভিমান জমিয়েছে বাবার উপর, পরীক্ষা শেষ হয়েছে সপ্তাহ খানেক হয় অথচ বাবা এখনো তাকে আপার কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। আব্বাস শেখ টেবিলে বসে দেখেন ছেলে, ছেলের বউ, নাতি এসেছে খেতে কিন্তু মেয়ে আজও আসেনি খেতে। কয়েক দিন যাবত তাদের সাথে খেতে বসছে না রাফিয়া, তিনি স্বস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন " কি গো মনিরের মা মেয়ে কই? খেতে আসছে না কেন?"
রোকসানা বেগমের মুখে বিরক্তের ছাপ স্পষ্ট " সেই কথা নিয়া পইড়া আছে মাইয়া,, ইয়ানার কাছে যাইবো "
আব্বাস শেখ নিজেই মেয়ের ঘরে গেলেন, মেয়ের মুখ থেকে কাঁথা সরিয়ে দেখেন ঘুমিয়ে যায়নি তো, রাফিয়া বাবাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয়। বাবা মেয়ের অভিমান বুঝতে পারে " রাফিয়া, মা আমার রাতে ভাত না খাইলে অসুস্থ হয়ে যাবি"
সে মুখ ফুলিয়ে রাখে " আব্বা আমি ভাত খামু না"
আব্বাস শেখ মেয়েকে বুঝান সামার্থ্য থাকলেও সব আবধার পুরন করা যায় না "দেখ মা ওইটা তোর আপার শশুর বাড়ি চাইলেই তো যখন তখন যাওয়া যায় না,, যতক্ষণ না ওনারা দাওয়াত দিবেন"

রাফিয়া তার বাবার বলা কথাটা কিছুক্ষণ ভাবে। মুখে হাসি জুলিয়ে
" আব্বা যদি ওনারা দাওয়াত দেয় তাহলে যেতে দিবেন?"
আব্বাস শেখ মেয়েকে খুশি করার জন্য হ্যাঁ বলে দেন।

পরের দিন দুপুর বেলা আশ্চর্য কান্ড ঘটে, ফরহাদ সিকদার কল করে জানান ইয়ানার নাকি রাফিয়া কে দেখতে ইচ্ছে করছে সে মন খারাপ করে বসে আছে, তাই তিনি রাফিয়া কে তাদের বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আব্বাস শেখ নির্বাক হয়ে উঠনের পেয়ারা গাছের নিচে বসে। ওনার বিষয়টা খারাপ লাগে কারন ইয়ানার দেখতে ইচ্ছে হয়েছে তিনি তাকে না পাঠিয়ে রাফিয়া কে যেতে বললেন। অন্য দিকে তার মেয়ে নেচে পাড়া প্রতিবেশীদের খবর দিতে গেছে সে শহর যাবে। সব শেষে গেল দাদির কাছে, ওনার তিন ছেলে ছিল, বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর দুছেলের মধ্যে ঠেলাঠেলি লেগে যায় তার থাকা নিয়ে। তাই তারা দুজন মিলে দুই রুমের একটা ঘর তুলে দিয়েছে তিনি সেই ঘরে একা থাকেন অবশ্য ইয়ানা শহর যাওয়ার আগে দাদির সাথে থাকতো,,, এখন ওনাকে একা থাকতে হয়। তিনি নামাজ পরে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাফিয়া দাদি দাদি ডেকে ওনার হাত ধরে সোজা বসিয়ে দিলো বয়স্ক মহিলা হঠাৎ করে এভাবে ঘুম থেকে ওঠানোর কারণে শরীর অনেক খারাপ লাগা শুরু হয় চোখে ঘোলাটে দেখছেন তিনি । রাফিয়া নিজের খুশির খবর দিতে এসেছে
" দাদি আমি যাচ্ছি আপার কাছে "
তিনি তেতে উঠেন
" কেন? তুই কেন যাবি আমার নাতনির কাছে?"
রাফিয়া গায়ের ওড়নাটা দুহাত নিয়ে ঘুড়ছে
" আরে দাদি বেড়াতে যামু"
দাদি সন্দিহান হয়ে " বেড়াইতে যাবি নাকি ব্যা'ডা খুজতে যাবি"
দাদির কথা শুনে রাফিয়ার ঘুড়া বন্ধ হয়ে যায়
" দাদি তুমি আমাকে এতো হিংসা করো কেন? তোমার নাতনির কাছে যাইতাছি এইজন্য? "
" হিংসা করি না ভয় করি যদি আবার আমার পাখিটার জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেছ "
" দাদি" রাফিয়া আর একমুহূর্তও থাকে না বেরিয়ে আসে সেখান থেকে বরাবরই দাদি তাকে কম ভালোবাসে কিন্তু কেন সে বুঝে উঠতে পারে না,কি এমন দোষ করেছে সে খুঁজে পায় না

পরেরদিন সকালেই রওনা দিলো মনির ভাইয়ের সাথে। তাকে রেলস্টেশনে ইয়ানার কাছে ছেড়ে অন্য কোনো কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন মনির ভাই। এতোদিন শহরে যাওয়ার জন্য নাচলো রাফিয়া কিন্তু এখন এই গ্রাম তার প্রকৃতি ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। সে তো বাবা মাকে ছাড়া এক রাতও ছোট চাচার ঘরেও থাকেনি এত দূরে কি করে থাকবে। মন খারাপ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে শহরের উদ্দেশ্যে। ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরই তার মন খারাপ ধুয়ে মুচে গেলো। সে এতটা চঞ্চল যে আশেপাশে বসে থাকা অচেনা মানুষ গুলোকেও মাতিয়ে রেখেছে। মনির তাকে বারংবার নিষেধ করে যাচ্ছে এতো দুষ্টুমি না করার জন্য কে শোনে কার কথা। পুরোটা সময় সে বকবক করে আসে।

ইয়ানা ইউনিভার্সিটির ক্লাস শেষ করে বাইরে এসে দেখে ক্লান্ত মুখে হাসি টেনে কবির দাঁড়িয়ে। সে মনে মনে খুশি হলেও সামনাসামনি অবাক হওয়ার চেষ্টা করে।
" আপনি এখানে?"
" তোমার সাথে সময় কাটানোর চান্স পেয়েছি তাই চলে এসেছি। "
" খালি বাহানা খুজেন তাইনা "
গাড়ির ভিতরে বসে দুজন,, কবির গাড়ি স্টার্ট দিচ্ছে না দেখে ইয়ানা ডান ভ্রু উঁচু করে জিজ্ঞেস করে " কি হয়েছে? আপনি কি বেশি ক্লান্ত? ক্লান্ত হলে ড্রাইবার নিয়ে আসেননি কেন? আমি কিন্তু ড্রাইব করতে পারবো না,, আমি এখনো ঠিকঠাক করে চালাতে পারি না"
ইয়ানার বিরতিহীন কথা গুলো শুনে কবির হাসে।
" হয়তো একটা উম্মা দেও নাহলে জড়িয়ে ধরো দেখবে আমার সকল ক্লান্তি চলে যাবে"
সে জানে ইয়ানা একটাও করবে না সে তাকে লজ্জা দেওয়ার জন্য বলে। ইয়ানার গাল দুটো লাল হয়ে যায় সে নিজের লজ্জা ডাকার অযথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে কবির কে মনে করিয়ে দিতে
" ও হ্যালো মিস্টার আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি। আর আপনি খুব ভালো করে জানেন দুটোর একটাও আমি করবো না"
" আজ না হয় কাল তো হবেই"
" চলুন তো আপনি"

মনির লোকেশন অনুযায়ী রাফিয়াকে নিয়ে যায়, গিয়ে দেখতে পায় ফরমাল ড্রেসআপে সানগ্লাস পরে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে কবির তাকে দেখে তারা দুজন এগিয়ে যায় গাড়ির কাছে। রাফিয়া কবির কে দেখে মনে মনে প্রশংসা করে কুল পাচ্ছে না এক পযার্য়ে সে ঠুস করে বলে ফেলে
" ওয়াও,,, কবির ভাই আপনি কত্তো হ্যান্ডসামমম"
কবির রাফিয়ার কথায় কি জবাব দিবে বুঝতে পারে না বিনিময়ে শুধু মুচকি হাসলো। মনির রাফিয়াকে চোখ রাঙায়। রাফিয়া কথা ঘোরানো চেষ্টা করে
" আচ্ছা আপা কই? "
" তোমার আপা গাড়ির ভেতরে "
" বের হতে বলেন"
" আসলে ও ঘুমাচ্ছে ক্লান্ত অনেক"
রাফিয়া গাড়ির দড়জা খুলে আপা বলে চিৎকার করে উঠে। ইয়ানা ধরফরিয়ে উঠে, সে ভয় পায়। রাফিয়ার কাজে কবির বিরক্ত হয়। কয়েকটা কথা শুনাতে ইচ্ছে করল কিন্তু কিছু বলল না ইয়ানার জন্য। মনির রাফিয়াকে ইয়ানার কাছে দিয়ে চলে গেল। তবে বিশেষ ভাবে বলে গেল" ইয়ানা রাফিয়ার খেয়াল রাখবি" তার এক মাত্র আদরের বোন বলে কথা।
রাফিয়ার কাজে আবারো বিরক্ত হলো কবির। সে ইয়ানাকে উঠিয়ে পিছনে পাঠিয়ে দিলো নিজে কবিরের পাশে বসে পড়ে কবির ড্রাইবিং সিটে বসে। বোকা মেয়ে ইয়ানা কিছুই বললো না সেটা ভেবে মুখ ফুলিয়ে রেখেছে কবির।

চলবে......…

ভুলত্রুটির জন্য সরি 😊। কপি রাইট করা কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ 🚫

 ো_মনই #অন্তুপর্বঃ১০রোজ দুপুরের বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে যান আরশাদ সাহেব ।  নাতি আর স্বামীকে খাবার ভেরে দেন জাবেদা, ...
03/06/2025

ো_মনই
#অন্তু

পর্বঃ১০

রোজ দুপুরের বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে যান আরশাদ সাহেব । নাতি আর স্বামীকে খাবার ভেরে দেন জাবেদা, তিনি আয়ানকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছিলেন চোখে পড়লো আরশাদ সাহেব এর পছন্দের তরকারি করলা ভাজি টাই আনেন নি তিনি।ভাজির বাটিটা রান্নাঘর থেকে আনতে চলে যান এমন সময় আয়ানের পানি পিপাসা অনুভূত হয় চেয়ারে বসে থেকে সে পানির গ্লাসটা নিতে চাইলো কিন্তু পারছেনা তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাশে বসে থাকা নানার দিকে চোখ যেতেই দেখে তিনি তার দিকেই তাকিয়ে,, সে সাথে সাথে হাত ঘুটিয়ে নেয়। জাবেদা বেগম রান্নাঘরের দড়জায় দাঁড়িয়ে তিনি দেখতে চাচ্ছেন আরশাদ সাহেব কি করেন। আরশাদ সাহেব গ্লাসে পানি ঢেলে আয়ানের কাছে দিলেন আয়ান একটু তার নানাকে ভয় পায় সেই ভয় থেকে সে পানি পান না করে বসে আছে আরশাদ সাহেব
যখন " পানি খাও " বলে ধমক দিলেন সে পুরো গ্লাসটা খালি করে ফেলে। জাবেদা বেগম দেখে মুচকি হাসেন হয়তো বা তিনি এই দৃশ্যটা দেখতে চেয়েছিলেন। আরশাদ সাহেবের প্লেটে করলা ভাজি দিতেই তিনি জিজ্ঞেস করেন "মেয়ের সাথে কথা হয়েছে? "
জাবেদা বেগম সম্মতি জানান " হ্যাঁ,, আছরের আযানের আগেই বাসায় চলে আসবে"
পরিপ্রেক্ষিতে আরশাদ সাহেব কিছু বলেন না

ফরিতের মধ্যেমে আনামের নাম্বার আর ভার্সিটির নাম ব্যবস্থা করে ফারজাদ। সে আর ঈশা এক সাথে দুপুরের খবার খেয়ে বের হয়েছে উদ্দেশ্য আনামের ভার্সিটি যাবে। পুরো শহর অন্ধকার হয়ে আছে দিক হারা বাতাস বইছে মনে হয় বৃষ্টি হবে। তারা দুজন একবার ভেবেছিল যদি বৃষ্টি হয় তাই যাবে না পরে আবার ভাবলো সময় নেই,, যেহেতু সামনের সপ্তাহের শুক্রবার বিয়ে সময় একদম অল্প। ওরা ভার্সিটি পৌঁছাতে ফরিত জানায় আনাম নাকি কোনো এক পার্কে আছে। ফারজাদ ঠিকানা অনুযায়ী পার্কে চলে গেল। আনাম, তিন্নি, সাদ সেখানে প্রতি সপ্তাহের এক দিন গ্রুপ স্টাডি করে,, প্রতি সপ্তাহের মতো আজও তাই করছিল। সাদ তাদেরকে গাইড করে, আনাম আর তিন্নি কাছে যথাযথ সময় থাকে না টিউশন নেওয়ার জন্য। তাই সাদ যতটুকু পারে ততটুকু সাহায্য করে,, ওদের সময়ের শেষের দিক, আধ ঘন্টা খানেক সময় আছে,, আবার বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে। আনাম পার্কের পাশে দোকান থেকে ওয়ানটাইম কাপ করে তিন কাপ কপি আনতে গলো। ফারজাদ আর ঈশা পুরো পার্কটা ঘুরে সাদদের দিকে আসে। সাদের পিঠে ফারজাদ শব্দ করে এক ঘা বসায়। একটা টেবিলে চারটা চেয়ার তারা দুজন সামনের দুটো চেয়ার দখল করে বসে পরে" আরে ফারজাদ ভাই আপনি! "সাদ তাদের দেখে অবাক হয়
" এতো অবাক হওয়ার কি আছে,, গার্লফ্রেন্ড নাকি?"
সাদ মশা তারানোর মতো করে বলে " আরে দূরো না.... ফ্রেন্ড" ফারজাদের প্রশ্ন শুনে তিন্নি যেই লজ্জা টুকু পেয়েছিল তা সাদের কথায় উরে যায় সে কিছুটা অপমান বোধ করে।
ফারজাদ বই গুলোর দিকে তাকিয়ে " তা এখানে কি দুজন মিলে গ্রুপ স্টা...."
" আপনি?" আনাম কপির কাপ গুলো টেবিলের উপর রেখে আবার জিজ্ঞেস করে "আপনি এখানে কেন এসেছেন?" তারা দুজন যারে খুঁজছিল তাকে শেষমেশ পাওয়া গেল। আনাম কে দেখে ফারজাদের গতকালের কথা মনে পরে,, সে চোখ রাঙিয়ে " পার্কটা কি তোর বাপের? "
" আপনার বাপেরও তো না"
" আমি কি বলছি আমার বাপের "
আনাম ঠ্যাস দিয়ে বলে " তা আর বলতে কতক্ষণ "
ফারজাদ উঠে দাঁড়াতে নিলে ঈশা তার ডান নিজের দুহাতের মুঠোয় নিয়ে ইশারায় বসতে বলে। আনাম তাদের দেখে একটু যেন জ্বলে উঠলো " সাদ এটা আমার জায়গা"
ঈশা উঠে যেতে নিলে সাদ তাকে বসতে বলে।আনামকে নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে বলে তার চেয়ারে বসার জন্য সে অন্য টেবিল থেকে আরেকটি চেয়ার এনে বসে। সাদ আনামকে জিজ্ঞেস করে " তুই ফারজাদ ভাইকে চিনস?" আনাম তাছ্যিলের হাসি হাসে " খুব জঘন্য ভাবে" ফারজাদ আনামের দিকে তাকিয়ে ছিলো কথাটা শুনে চোখ ছোট ছোট করে ফেলে। সাদ ভাবে আনাম কি করে ফারজাদকে চিনে পরে কিছু একটা মনে পড়তেই মুখে জুড়ে অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ে তিন্নি গিয়ে আরো দু কাপ কপি নিয়ে আসে,, ঈশা হেঁসে বলে " আচ্ছা আচ্ছা, সব বাধ চলো এই মুহূর্তটাকে ক্যামেরায় বন্দি করি" সবাই ক্যামেরার দিকে তাকালেও আনাম তাকায়নি ঈশা আনামের দিকে এক পলক দেখে আবার চোখ সরিয়ে নেয়.। আনাম কড়া গলায় জিজ্ঞেস করে " কেন এসেছেন? তারা তাঁরি বলেন বাসায় ফিরতে হবে"
ফারজাদ বলতে যাচ্ছিল ঈশা তাকে থামিয়ে দেয় না হলে আবার তর্ক বির্তক শুরু হয়ে যাবে " এগজ্যাক্টলী আনাম আমি আর ফারজাদ বিয়ে ভাঙ্গার প্লেন নিয়ে এসেছি " সাদ আর তিন্নি বিস্মিত হয় 'বিয়ে ' নামক শব্দটা শুনে সাদ আনামকে প্রশ্ন করে " কার বিয়ে? কোন বিয়ে ভাঙ্গার পরিকল্পনা চলছে? " সাদের প্রশ্নের জবাব ফারজাদ দেয় " আমার আর আনামের "
" কিহ্...,সত্যি আনাম?" সে আনাম থেকে সত্যি টা জানতে চায়,, আনাম মাথা নাড়ায় সাদ চেয়ারে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ অভাবেই বসে থাকে, বাম হাত দিয়ে মুখ মুছে " প্লেন বলেন" ঈশার থেকে পরিকল্পনা শুনার পর আনামের ভাষা হারিয়ে যায়,, বলার জন্য কিছু খুঁজে পায় না। সাদ আনামের পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সে চেয়ারটা ঘুড়িয়ে তার দিক হয়ে বসে, আনামের হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিল এই দুইজোড়া হাতের দিকে দুটো মানুষ তাকিয়ে। সাদ করুন সুরে " যদি তোর এই পরিকল্পনাটা না ভালো লাগে আমরা অন্য কোনো উপায় খুঁজে বের করবো চিন্তার কোনো কারণ নেই "
আনাম কোনো রকম হেসে বলে " কোনো সমস্যা নেই"
আনাম আবারো বলে " সাদ আমাকে যেতে হবে দেরি হয়ে যাচ্ছে " ঈশা আনামের সাথে সহজ হওয়ার জন্য বলে" তোমার কপিটা শেষ করলে না " আনাম বই খাতা ব্যাগে ভরে " আমি কপি পছন্দ করি না "
" কিন্তু তুমি তো তোমার জন্যও এক কাপ এনেছিলে" আনাম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রাখে " এই মুহূর্ত থেকে অপছন্দের তালিকায় চলে গেছে "
আনাম ডাস্টবিনের কাছে যাচ্ছে তিন্নি ফারজাদ কে জিজ্ঞেস করে " উনি আপনার কি হয়? "
ফরাজাদ আনামের দিকে তাকিয়ে জবাব দেয় " গার্লফ্রেন্ড "
শব্দটা আনামের কানে যাওয়া মাত্রই তার পা থমকে যায় সে কপির কাপটা ডাস্টবিনে ফেলে দ্রুত চলে যায়।

বাড়ি ভর্তি মেহমান ,, পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে, মেজ মেয়ের ১৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে । আনাম আজ হালকা মিষ্টি রঙের গাউন পরে বসে আছে সিঁড়ির এক কোনে, তার দৃষ্টি স্থির হয়ে আছে সামনের মানুষটির দিকে। ছেলেটা কিভাবে বন্ধুবান্ধব দের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে অথচ তার বেলায় হাসির শব্দের হ ও থাকে না।এভাবে আর বসে থাকা যাবে না, সে ছেলেটার কাছে গিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল স্টাডি রুমে
" তুইতো বলেছিলি আমাকে কেউ ডাকছে, এখানে তো কেউ নেই, কে ডেকেছে? "
আনাম হেসে বলে " আমি "
" কেন এনেছিস এখানে?"
সে হাত বাড়িয়ে " আমার জন্ম দিনের উপহার "
" এখন কি জন্ম দিনের উপহার ও ভিক্ষা করে বেড়াছ? নিচেই তোর ভিক্ষা দিতাম এত কষ্ট করে এখানে আসার দরকার ছিল না"
সে বেহায়ার হাসি হাসে
" আপনার বেলায় আমার ভিক্ষা করতেও কোনো সমস্যা নেই"
ছেলেটা একটা স্বর্নের ব্রেসলেট পকেট থেকে বের করে পরিয়ে দিল আনাম ব্রেসলেট টা দেখে অনেক খুশি হয় কিন্তু সে আবার মুখ অন্ধকার করে ফেলে " আপনি আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে এতো হেঁসে হেঁসে কথা বলেন কেন"
কথাটা শুনে কপালে ভাজ পরে ছেলেটার
" কেন তোর কি সমস্যা? " সে ছেলেটার কাছে একটু এগিয়ে যায় " আমি তো আপনার সব থেকে কাছের মানুষ তো ঐ হাসিটা শুধু আমার হওয়ার কথা না"
আনামকে ভালো করে পর্যবেক্ষন করে সয়তানের মতো হাসে যেটা আনামের চোখে চমৎকার হাসি, কিন্তু সেই হাসি মুখে বেশিক্ষণ বজায় থাকে না গম্ভীর কণ্ঠে " তুইতো আমার MVP " আনাম চোখ ছোট ছোট করে প্রশ্ন করে " MVP মানে?"
ছেলেটা আনামের আরেকটু কাছে আসে
" মানে খুঁজে বের করার দায়িত্ব তো তোর" বলে আনাম কে সামনে থেকে সরিয়ে ছেলেটা চলে যায়। আনাম মানে খুজঁতে থাকে
" মাম্মা আমি রেডি" আনামের ভাবনার ছেদ ঘটায় আয়ান

চলবে................…?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🥰। কপিরাইট করা কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ

 ো_মনই #অন্তুপর্বঃ ০৯ফারজাদের রাগ দেখে দাদাজান উঠে আসেনগত কয়েক দিন যাবত তিনি অসুস্থ তারপরেও কষ্ট  করে নাতি কে নিয়ে নিজের...
02/06/2025

ো_মনই
#অন্তু
পর্বঃ ০৯

ফারজাদের রাগ দেখে দাদাজান উঠে আসেন
গত কয়েক দিন যাবত তিনি অসুস্থ তারপরেও কষ্ট করে নাতি কে নিয়ে নিজের রুমে চলে যান। সাবিনা বেগম ছেলের হয়ে কিছু বলতে চাইলেন কিন্তু রাহিম সাহেব হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দেন " আমি বলছি কি.... "
" তোমাকে বলার অনুমতি আমি দেয়নি"
স্বামীর এরকম ব্যবহার গুলো তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় তিনি রান্না ঘরে চলে যান,, বিয়ের পর থেকেই রাহিম সাহেব তার সাথে দুর্ব্যবহার করে আসছে যখন তখন যার তার সামনে তাকে এমন ভাবে অপমান করেন । রাহিম সাহেব একটু আগে ফারজাদ কে ডেকেছিলেন , সে যায়নি তাই তিনি নিজেই ছেলের রুমে আসলেন।এসে দেখেন জিনিস পত্র নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিছু জিনিস ভেঙেও গেছে। ফারজাদ পা ঝুলিয়ে চিৎ হয়ে খাটের ওপর শুয়ে। চোখ বন্ধ ছিলো বিধায় সে বাবাকে দেখতে পায়নি " ফারজাদ... ঘুমিয়ে গেছ?"
ফারজাদ চোখ বন্ধ রেখেই জিজ্ঞেস করে" কি চাই আপনার"
" তোমার জীবনের তিন থেকে ছয় মাস চাই"
ফারজাদ উঠে দাঁড়ায় রাহিম সাহেব কি বলল সে তা বুঝতে পারেনি" কিহ্, যা বলবেন পরিষ্কার করে বলেন"
রাহিম সাহেব গিয়ে সিঙ্গেল সোফা টায় বসেন ফারজাদ কে বসতে বলেন কিন্তু সে বসলোনা
" দেখ,, তুমি এখন আমার কোথা মতো আনাম কে বিয়ে করো,, তুমি যেহেতু ঈশা নামের মেয়েটাকে পছন্দ করো আমি কথা দিচ্ছি তিন মাস পর আমি নিজেই তোমাকে আনাম থেকে মুক্ত করে দেব"
পারজাদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বাবাকে জিজ্ঞেস করে " আর আমি এমন টা কেন করবো?"
এমন সময় রাহিম সাহেবের ফোন বেজে ওঠে,, তিনি ছেলের সামনে আসেন " আমি বলেছি তাই" বলে চলে যান। ফারজাদ ভাবতে থাকে বাবা চাচ্ছে আনাম কে বিয়ে করি দাদাজানও এটা চান শুধু তারা দুজনেই নয় বাড়ির সকলে চায় যে আনামকে বিয়ে করি কিন্তু পাথর্ক্য হলো দাদাজান তখন তার রুমে নিয়ে বলেছেন ঐ আনামকে বিয়ে করার ফলে একটা জীবন বেঁচে যাবে, তার সঙ্গ কখনো না ছাড়ার জন্য আর বাবা নিজে এসে বলে গেলেন তিন মাস পর আনাম থেকে মুক্তি দিয়ে দিবেন। না কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না সে,, এর মাঝেই মাথায় এলো ঈশার কথা গাড়ির চাবি নিয়ে সাথে সাথেি বেরিয়ে গেলো।

আনাম জানালার পাশে দাঁড়িয়ে এখনো বৃষ্টি পড়ছে এতো বৃষ্টি হওয়ার পরও আকাশে কালো মেঘ জমে আছে। বৃষ্টি কে দমিয়ে রাখার জন্য বাতাস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আনামের না ঘুম আসছে না পড়ায় মন বসাতে পারছে পাঁচ বছর আগেও ঠিক তার সাথে এমনটা হতো। এসব কথা ভাবলে ভারি নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসা বাঁধে কিছুই হয় না। জানালা লাগাতে গিয়ে খট করে আওয়াজ হয় পাশে একবার তাকলো আয়ানের ঘুম ভেঙে গেল কি না, নাহ্ ঘুম ভাঙ্গে নি। সে আয়ানের পাশে শুয়ে পড়ে কিন্তু তার মনে একটা কথা তাকে নাড়া দেয় " এত বছর পর দেখা হয়েছে কিন্তু ঐ মানুষটা কি করে এত শান্তশিষ্ট ছিলো,, সে কেমন আছে একবারও কি জানতে ইচ্ছে করেনি লোকটার "

ফারজাদ ঈশাদের বাড়ির বসার রুমে বসে, এই বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে এসেছে সমস্যার সমাধান চাইতে। আজ তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা উগলে দেয়। প্রথমে বিয়ের কথা শুনে ঈশার মন খারাপ হলেও ফারজাদের পরিস্থিতি বুঝতে পেরে নিজেকে সামলিয়ে নেয় আর ভাবতে থাকে কি করা যায় " কিন্তু ফারজাদ আঙ্কেলের কথা শুনলে মেয়েটার জীবন নষ্ট হবে আর দাদাজানের কথা শুনলে আমরা দুজন শেষ " ফারজাদ ঈশার কথায় সম্মতি জানিয়ে " সেটাই তো,, কি করবো এখন?"
কিছুক্ষণ চুপ থাকে " আচ্ছা একটা কাজ করো তুমি মেয়েটার সাথে কালকে দেখা করার ব্যবস্থা করো "
" কেন?"
" সেটা ওর সাথে দেখা করার পরই বলবো "
" না, না ওর সাথে দেখা করবো না"
ঈশা টিটকারি করে " কেন? এইবার গ্লাস ভর্তি পানির জায়গায় বালতি ভর্তি পানি মারবে? "
" ঈশা!"
ফারজাদ পেটে হাত দিয়ে বলে " আচ্ছা সব বাদ আমার অনেক ক্ষুধা লেগেছে "
" এখন খেতে দিলে বলবে আমার অনেক ঘুম পেয়েছে,,যাও বের হও, আমার বাড়ি থেকে বের হও " ঈশা ফারজাদ কে ঠেলে ঠেলে বাড়ির বাইরে দিয়ে আসে

চলবে.........…?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🥰
কপিরাইট করা কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ।

আমার জন্য অপেক্ষা করছে 🙂
01/06/2025

আমার জন্য অপেক্ষা করছে 🙂

 ো_মনই #অন্তুপর্বঃ০৮অনেক হয়েছে লুকোচুরি আর নয়, এই খেলায় ক্লান্ত হয়ে গেছে আনাম। সে সোজাসুজি ফারজাদের সামনে দাঁড়িয়ে " ফারজ...
01/06/2025

ো_মনই
#অন্তু

পর্বঃ০৮

অনেক হয়েছে লুকোচুরি আর নয়, এই খেলায় ক্লান্ত হয়ে গেছে আনাম। সে সোজাসুজি ফারজাদের সামনে দাঁড়িয়ে " ফারজাদ?"দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কন্ঠের উৎস খুঁজে পেতেই ফারজাদ অবাক হয়। সে পানি পান করছিল আকষ্মিকভাবে মানুষ টি কে দেখে নাকে মুখে উঠে, দাঁড়িয়ে পরে সে। এই কয়েক বছরে মেয়েটার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে,, হ্যাঁ অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে
" আনাম?"
"………"
" এত বছর তো লুকিয়ে ছিলি আজ হটাৎ কি মনে করে সামনে আসলি"
আনাম আশেপাশে দেখে অনেক লোকজন এছাড়াও এটা তার কাজের জায়গা
" আপনার সাথে কথা ছিল,, অন্য কোথাও চলেন"
" যা বলার এখানেই বল কোথাও যাব না আমি " ফারজাদ পায়ের উপর পা তুলে বসে যায়, ইশারায় আনাম কে বসার জন্য বলে।আনাম রেগে যায় ইদানীং সে কথায় কথা-ই রেগে যায় কিন্তু এখন সে রাগটা প্রকাশ করে না দাঁতের সাথে দাঁত খিঁচে
" আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই না"
" কিহ্,, আমায় বিয়ে করতে কে বলেছে তোকে?"
" হুহ্,, এমন ভান করছেন যেন কিছুই জানেন না"
" কিছু জানার কথা ছিল? "
" কিছু জানেন আর না জানেন সেটা আমার দেখার বিষয় না,, আপনি আপনার বাবা কে বলবেন আপনি আমায় বিয়ে করতে চাইছেন না"
" তোর বিয়ে করার ইচ্ছে নেই তুই গিয়ে বল,,আমার তো বিয়ে করতে কোনো প্রকার সমস্যা নেই"
আনাম নিজেকে আর সংযত করতে পারল না টেবিলে পানি ভর্তি গ্লাসের পানি ফারজাদের মুখে ছুঁড়ে মারে,,এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে চলে যায়,, ঈশা শুধু পানি ছুঁড়ে মারা টাই দেখলো কি বলবে বা করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি বকা মতো প্রশ্ন করে " ফারজাদ কি হয়েছে? মেয়ে টা কে ছিলো? কোনো সমস্যা? কি হয়েছে? বলো না "
ফারজাদ রাগান্বিত হয়ে চলে যাচ্ছে,, যেতে যেতে বলে" বাসায় চলে যাও"
" ফারজাদ কথা শুনো, ফারজাদ"

আনসারি বাড়ির সকল সদস্য ডাইনিং টেবিলে বসে অপেক্ষা করছে মফিজ সাহেবের (অর্থাৎ দাদাজান), ওনাকে রুম থেকে নিয়ে আসতে গেছেন রাহিম আনসারি। নিত্য দিন মা- বাবা কে ডেকে আনার কাজটা রাহিম সাহেব নিজেরই দায়িত্ব মনে করেন। দাদিমা ফারজাদের চেয়ারটা ফাঁকা দেখতে পেয়ে ফাইজা কে আদেশ দেন" ফাইজা বুড়ি যাও ভইকে ডেকে নিয়ে আসো"
" দাদিমা আমি আসার সময় দেখে আসছি ফারজাদ ভাই রুমে নাই"
" তাহলে গেলো কোথায় "
শাশুড়ির মুখে ছেলের শুনতে পেয়ে " আম্মা ফারজাদ আজ রাতের খাবার বাইরে থেকে খেয়ে আসবে"
" বড় বউ,, যখন ছেলে বাইরের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরবে তখন বুঝবা"
সাবিনা বেগম করুণ হয়ে
" আম্মা আমি কি করবো বলেন, ছেলে মেয়ে একটাও কি আমার কথা শুনে"
আনসারি বাড়ির নিয়ম নীতির শেষ নেই তার মধ্যে একটা বাড়ির সকল সদস্য এক সাথে খেতে বসা এবং এক সাথেই খাওয়া শুরু করা। সবাই এক সাথে খেতে বসার পরও এই বড় ডাইনিং টেবিলের অনেক গুলো চেয়ার ফাঁকা পরে আছে, এক সময় এই চেয়ার গুলোতে কেউ বসতো বলে এখন আর মনে হয় না। পুরো বাড়ির প্রতিটি কোনায় কোনায় লাইট জ্বালানো। একদম ঝকমকে বাড়িটি। বাইরের প্রচুর বৃষ্টি পড়ছে সঙ্গে বাতাসও বইছে বর্ষা মৌসুমের শেষ দিক চলছে। সবার খাওয়ার মাঝখানে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরলো ফারজাদ। বিয়ের কথা শুনে আনামের সামনে শান্ত থাকলেও এখন পারছে না। তার মনে যুদ্ধ চলছে সে বাড়ি ফিরে করিমের নাম ধরে জোরে জোরে ডাকতে থাকে। করিম তার সামনে উপস্থিত হতেই অযথাই সে ঝাড়তে থাকে " বাড়ির ভিতরে এত গুলো রাইট কেন জ্বালিয়ে রেখেছো " করিম মাথা নত করে জবাব দেয় " ও.. ও সাহেব বাড়ির সকলে খেতে বসেছে "
" তোহ্"
" তো..."
রাহিম সাহেব করিম, ফারজাদ দু'জনের উদ্দেশ্যে বলেন" করিম তুমি তোমার কাজে যাও আর ফারজাদ রুমে যাও চেঞ্জ করে এরপর আসো" আসলে ফারজাদ কোনো উৎস খুজে পাচ্ছিলো না রাগ কমানোর জন্য তাই করিমের উপর চেচামেচি শুরু করে। সবাই খাওয়া থামিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আরা সে তার বাবার পানে
" বাবা আপনার সাথে কথা ছিল "
" যা হবে সব খাওয়া দাওয়ার পর,, যদি না খেয়ে থাকো তাহলে পরিষ্কার হয়ে খেতে আসো,, যাও"
রাহিম সাহেবর ঠান্ডা গলার জবাব পেয়ে ফারজাদ রাগান্বিত হয়
" আমি এখনি আপনার সাথে কথা বলতে চাই"
" আচ্ছা যা বলার এখানেই বলো"
" আপনি আমার বিয়ে ঠিক করেছেন? "
রাহিম সাহেব ঠান্ডা গলায় আবারও জবাব দেন" হ্যাঁ"
" মেয়েটা কে?"
" যে তোমাকে বিয়ের কথা বলেছে সে নিশ্চয় পাত্রীর সন্ধানও দিয়ে দিছে"
" বাবা আমি আনাম কে বিয়ে করবো না"
" কেন?"
" কেন এর উত্তর আপনি খুব ভালো করেই জানেন "
কোনো ভনিতা ছাড়াই তিনি বলেন"তোমার মুখ থেকে শুনতে চাইছি"
ফারজাদ যত সম্ভব নিজের রাগ কন্ট্রোল করে " আমি ঈশা কে পছন্দ করি"
" যদি বলি তোমার পছন্দ অপছন্দ আমার কিছু যায় আসে না"
ফারজাদ এবার ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেলে " বাবা"

চলবে......…?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🥰। কপি করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।

 #মনতোমনই #অন্তু**মন তো মনই**পর্বঃ০৭মিনহাজ এ ধরনের কথার সম্মুখে আজকে প্রথম নয় অনেক বছর ধরে শুনে আসছে সে,যেন মুখস্থ হয়ে গ...
24/05/2025

#মনতোমনই

#অন্তু

**মন তো মনই**

পর্বঃ০৭

মিনহাজ এ ধরনের কথার সম্মুখে আজকে প্রথম নয় অনেক বছর ধরে শুনে আসছে সে,যেন মুখস্থ হয়ে গেছে। ছেলেটার জন্য অনেক খারাপ লাগে তার। তাদের বন্ধুত্বের অনেক বছর হয়ে গেল কিন্তু যত দিন ততই যেন ফাহাদের অবস্থা আগের থেকে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বিদেশের মাটিতে পড়ে আছে অনেক দিন হলো বাড়িতে ও ফিরতে পারছে না। ফাহাদ কাতর হয়ে প্রশ্ন করে আবার ক্ষেপে গেল
" সে কেন আমায় ঠকালো বলতো? আমি কি এতটাই অযোগ্য তার জন্য? শালি আমার বাচ্চাটা কে নিয়ে পালিয়ে গেল"
আবার নিজে নিজেই শান্ত হয়ে যায়
" জানিস তুই আমি ওকে কতটা ভালোবাসি,কত.........." মিনহাজ ফাহাদকে টেনেটুনে নিয়ে যাচ্ছে
" হ্যাঁ জানি, আমি সব জানি, তুই কতটা ভালোবাসিস তাকে, কতটা আগলে রেখেছিলি, কতটা চেয়েছিলি সব জানি "
" উঁহু, তুই কিচ্ছু জানিস নাহ্"

_________________≠_≠________________

" হায়, হ্যান্ডসাম! কি করেন"
সায়েম বিরক্ত হয়ে ফাইজার কন্ঠ শুনে
" কি বলবি সেটা বল"
"আপনি এখনো ঘুম থেকে উঠেন নাই? অফিস যাবেন না? আচ্ছা আজকে না আপনি অফিস যেয়ে আমাদের বাড়ি চলে আসেন, ফারজাদ ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে প্লেনিং ক.…"
" তুই কি রোজ ভোরে আমি অফিস যাব কি যাব,, কি করবো কি করবো না এসব সাজেস্ট করার জন্য কল করছ?"
" না তো "
" তো কেন কল করছ?"
" আসলে... "
সায়েম মুখের ওপর লাইন কেটে দিল আজ সে বেজায় বিরক্ত রোজ রোজ সে আর এগুলো সহ্য করতে পারছে না। এদিকে ফাইজা চিন্তায় পড়ে গেল সে কি আজ বেশি করে ফেলেছে?

পুরোটা দিন আজ অনেক খেটেছে, আজ ইউনিতে যাওয়া হয়নি দুজনের মাত্র ছুটি পেল।এগুলো নিয়ে আলোচনা করছিল দুজনে এমন সময় রেস্তোরাঁর সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ফারজাদ আর ঈশা। আনাম তাদের দেখা মাত্রই উল্টো ঘুরে যায় তিন্নি কে তাড়া দেয় " তিন্নি তুই বের হ, আমি না আমার ফোনটা ভুলে গেছি, আমি ফোনটা নিয়ে আসি, তুই একটু বাহিরে দাঁড়া আমি আসছি"
তিন্নি সায় জানিয়ে চলে গেল, আনাম দ্রুত ওয়াশরুমে লুকিয়ে গেল তার পিছন পিছন ঈশাও ওয়াশরুমে চলে আসে, এখন কি করবে সে?আনাম কোনোমতে সেখান থেকে পালিয়ে এলো। কিন্তু ফারজাদ? কি করবে এখন সে?

চলবে......…?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🥰

**মন তো মনই**পর্বঃ০৬«অন্ত»জাবেদা বেগম দ্বিধায় ভুগছেন আনামকে জিজ্ঞেস করবেন কি করবেন না " আয়ানের ব্যাপরে কি ভাবলে?""ভাবছি ...
23/05/2025

**মন তো মনই**

পর্বঃ০৬
«অন্ত»

জাবেদা বেগম দ্বিধায় ভুগছেন আনামকে জিজ্ঞেস করবেন কি করবেন না
" আয়ানের ব্যাপরে কি ভাবলে?"
"ভাবছি আয়ান কে স্কুল ভর্তি করে দিব,, আমি ও কে দিয়ে আসবো,,, ছুটি হলে তুমি নিয়ে আসিও"
" আমি সেই বিষয়ে তোমাকে জিজ্ঞেস করেনি"
" এছাড়াও কি অন্য কোনো বিষয়ে ভাবার কথা ছিল?'
" তোমার বিয়ের ব্যাপারে জানতে চেয়েছি,,,বিয়ের পর তুমি আয়ানকে নিয়ে যাবে নাকি আমার কাছে রেখে যাবে?"
আনামেরর ভাতের লোকমা মুখে দেওয়ার বদলে প্লেটে রেখে দিলো
" কে করছে বিয়ে? আমি কোনো বিয়ে টিয়ে করছি না। আর আমি যেখানেই যাই না কেনো আমার ছেলেকে আমার সাথেই নিয়ে যাব"
" তোমার বাবা তোমার বিয়ে ঠিক করেছে। তার সিদ্ধান্তই সব হবে"
"এক সিদ্ধান্তই তোমার হৃদয় জীর্নশীর্ন করে ফেলেছে। মনে নেই?"
" হৃদয় জীর্ন শীর্ন করেছে তো কি হয়েছে। এখনো তো শ্বাস -প্রশ্বাস চলছে? "
" ওওহ,, আমার মাধ্যমে শ্বাস - প্রশ্বাস বন্ধ করতে চাইছো?"
আনাম চট করে ক্ষেপে যায়, ভাতের প্লেটে পানি ঢেলে উঠে পরে
" আমি ওনার ওসব ফালতু সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নই"
আরশাদ সাহেব পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি বলেন " তুমি মানতে বাধ্য "
আনাম বুকে হাত গুঁজে তার বাবার মুখোমুখি দাঁড়ায় " অসম্ভব "
"অসম্ভব বলতে কিছুই হয় না,, তোমার মা যেভাবে মেনে নিয়েছে তুমিও ঠিক সেভাবেই মেনে নিবে"
আমান মায়ের দিকে এক পলক তাকায়
" আপনি মার সাথে কি করেছেন? "
" আমি শুধু বলেছি, তোমার একটা সিদ্ধান্তই তার আর আমার বিচ্ছেদ হওয়া আর না হওয়া নির্ভর করে"
কয়েক সেকেন্ড এর জন্য আনামের মাথা ফাঁকা হয়ে যায় কি বলবে বা করবে সে ভেবেই পাচ্ছে না সে ঘামছে হ্যাঁ সে প্রচুর পরিমানে ঘামছে
" শরম করে না আপনার? বিন্দু পরিমান শরম নেই আপনার মধ্যে? আরে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির তো এক ফোটাও হলেও শরম থাকে।"
" বাজে কথা বন্ধ করো,, সামনের সপ্তাহের পরের সপ্তাহে তোমার বিয়ে "
আনাম তাছ্যিলের সুরে
" ওওও.. আচ্ছা,, আচ্ছা,, তা পাত্র কে? আপনার দুই নাম্বার ভাইয়ের চরিত্রহীন পুত্র "
আরশাদ সাহেব ক্ষেপে গেলেন রাগে তার শরীর রি রি করছে তিনি " আমান " বলে চিৎকার করে উঠেন। ওনাকে আরো রাগান্বিত করার জন্য আমান বলে " সত্যি শুনলে পেটের ভাত হজম হয় না?"
আনাম সেখান থেকে প্রস্থান করে। জাবেদা বেগম ওভাবেই পাথরের নেয় বসে থাকে

________________≠_≠_________________

" অনেক রাত হয়েছে ফাহাদ,, চল বাসায় ফিরে যাই। তুই নিজের কি বেহাল দশা বানিয়ে ফেলেছিস।চল,, বাসায় চল "
মিনহাজের কথায় কল্পনার জগতের বিচরণ বন্ধ হয় ফাহাদের। সে নেশায় পুরো মাতাল হয়ে আছে। জোরালো কন্ঠে
"জানিস মিনহাজ ও ছিল ভিষণ মায়াবতী ভিষন। যে কেউ ওর মায়ায় জড়াতে বাধ্য হবে,,যেভাবে আমিও জড়িয়ে গেছি। ভেবেছিলাম আমাদের একটা কত সুন্দর সংসার হবে। জানিস আমার না না আমাদের কত সুন্দর ফুট ফুটে বাচ্চা ছিলো "

চলবে.........?

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন.....🥰

 #মন তো মনেই « অন্তু »পর্বঃ ০৫শহরে আবারো আরেক টা নতুন খুন।পুরো পরিবারকে একরাতে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের ...
05/02/2025

#মন তো মনেই
« অন্তু »
পর্বঃ ০৫

শহরে আবারো আরেক টা নতুন খুন।পুরো পরিবারকে একরাতে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের দল গত ২৫ বছর ধরে হন্তদন্ত হয়ে খুঁজে চলছে কিন্তু তারা খুনি তো দূরের কথা কোনো ছোটো খাটো প্রমাণও খুঁজে পাচ্ছে না,,যার সূত্র ধরে খুনিকে বের করবে। তবে খুনি প্রতি টা খুন লাশের পাশে চিরকুট রেখে যায়,, তবে এবার চিরকুটের বদলে চিঠি দিয়েছে।সবগুলো খুন কি কাকতালীয় নাকি একজনেরই হাত এই বিষয়টা বুঝা দুষ্কর। খুনি নিজের নাম নিজেই দিয়েছে BUTK।গোয়েন্দা পুলিশের দল খুবই চিন্তিত থাকে এই খুনির পরের টার্গেট তাদের পরিবার নয়তো। গত কাল রাতের খুনের ধরনটা এমন ছিলো খুনি ব্যাংকের কর্মকর্তা আমিন সাহেব এবং তার স্ত্রীকে শ্বাস রুদ্ধ করে মারে এতেও যেন খুনি খেন্ত হয়নি লাশ দুটোকে টুকরো টুকরো করে ফেলে। আমিন সাহেবের দুটো যমজ ছেলে ও একটি মেয়ে জেনি। দুটো ছেলের মাথা হাতুড়ি দিয়ে থেতলিয়ে ফেলে। এখানেই শেষ না, ১২ বছরের মেয়ে জেনিকে সিঁড়ি ভেঙে কোনো রকমে টেনেটুনে নামিয়ে আনে। নিয়ে যায় রান্না ঘরে ঝুলিয়ে রাখে বাচ্চা মেয়েটার দেহ যতক্ষণ না মেয়েটার শ্বাস বন্ধ হচ্ছে ততক্ষণ মেয়েটার প্রতিটা অঙ্গ কেটে চলছে সে এ কাজে যেন সে পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছে।কতটা নিকৃষ্ট হলে একটা মানুষ এমন করতে পারে,পুলিশ জেনির লাশটা দেখে হতভম্ব হয়ে যায়। এবার সে লাশের পাশে চিঠি রেখেছে যাতে হত্যাকান্ডের পুরো বর্ননা দিয়েছে।

_______________________________≠_≠_______________________________

সায়েম এদিক ওদিক তাকিয়ে চোখ ছোট করে তাকায় ফাইজার পানে
" ফাইজা তোমার কি ভয় করে না?"
" কেন? ভয় করবে কেন"
" এই যে গতকাল রাতে এতবড় খুন হয়েছে এই শহরে "
" আপনি আছেন না, আমাকে ঐ BUTK থেকে বাঁচাতে পারবেন না?"
মফিজ সাহেব সেই কখন থেকে পার্কের কর্নারের বেঞ্চে বসে। তিনি শহরের এসেছেন মাস খানেক হয়ে গেছে।গার্ড কে দিয়ে খবরের কাগজ আনিয়েছিলেন সেটাই উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিলেন। হঠাৎ করেই বুকে ব্যাথা শুরু হলো তিনি আশেপাশে তাকিয়ে সমানে বুক ডলে যাচ্ছেন সেখানে কোথা থেকে আনাম উদয় হয় একজন গার্ড ফাইজাকে কাছে চলে বাকি দুজন ওনাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে ওনার। আনাম হাঁটু গেড়ে বসে, তাকে দেখে মফিজ সাহেব কিছু বলার চেষ্টা করেন।আনাম বিচিলিত হয়ে পড়ে
" কি হয়েছে দাদাজান? কোথায় কষ্ট হচ্ছে? পানি খাবেন পানি?"
সে কাদের ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে ওনাকে পানি খাইয়ে দিল। ফাইজা গার্ডদের কে বলে মফিজ সাহেব কে গাড়িতে তুলে,আনামকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যায়। সায়েম গাড়ির চাবি বের করে
" চলো তোমাকে তোমার কর্মস্থলে পৌঁছে দিয়ে আসি"

চলবে..........?

ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। প্লিজ রেসপন্স করবেন তাহলে লিখতে উৎসাহ পাব এবং পরের পর্ব তারাতাড়ি দিব। আর বেশি বেশি সাপোর্ট করবেন। আমার মনে হলো উপন্যাসেন নামটা পরিবর্তন করে দেওয়া দরকার তাই পরিবর্তন করে দিলাম সবার প্রতি ভালোবাসা রইলো 🙂

#গল্প #গল্পের #গল্পেরলিংক

** মন তো মনেই **« অন্তু »পর্বঃ০৪আনাম দের ফ্লাটে সাদ আর তিন্নি হাজির সাথে তাদের বই খাতা  উদ্দেশ্য গ্রুপ স্টাডি। জাবেদা বে...
27/01/2025

** মন তো মনেই **
« অন্তু »
পর্বঃ০৪
আনাম দের ফ্লাটে সাদ আর তিন্নি হাজির সাথে তাদের বই খাতা উদ্দেশ্য গ্রুপ স্টাডি। জাবেদা বেগম দরজা খুলেছিলেন, সাদ ওনার পিছু পিছু চলে রান্নাঘরে তিন্নিও নিল তাদের পিছু। সাদ জাবেদা বেগমের আচঁল ধরে
" খালাম্মা খিদে পেয়েছে "
" খিদে পেয়েছে? "
" হুম, অনেক"
" আচ্ছা গিয়ে বস"
সাদের এই বাচ্চার মতো আচরণ সুলভ ওনার ভালো লাগে।ওনার আঁচল ধরে আবদার করা,, মাঝে মাঝে রান্না করার কাজে সাহায্য করা, খালাম্মা ডাক আজ ওনার একটা ছেলে থাকলে হয়তো আম্মা বলে ডাকতো। খালাম্মা বলে যে কেউ ডাকে এতেই তিনি খুশি। তিন্নি কপালে ভাজ ফেলে বিরক্তি প্রকাশ
" সাদ তোর কি খালি এখানে আসলেই খিদে পায়?"
" না,,, তোদের বাসায়ও খিদে পেয়েছিল কিন্তু শরমে কাউকে বলতে পারি নাই"
" বাবা বাহ তোর আবার শরমও আছে নাকি?"
" আমার শরম না থাকলে কি প্যান্ট,শার্ট পরতাম"
তিন্নি নাক মুখ কুঁচকে ফেলে
" ছিঃ সাদ....."
" কি ছিঃ সাদ তোর তো....."
" আচ্ছা আচ্ছা সব বাদ যাও গিয়ে খেতে বস"
সাদ ভদ্র ছেলের মতো সম্মতি জানায়
" আচ্ছা "
কিছুক্ষনের মধ্যেই আনাম আর আয়ান চলে আসলো
" সাদ তুই?"
" ঐ আর কি তোর জন্য নোটস্ নিয়ে এসেছিলাম,কিন্তু খালাম্মা জোর করে খেতে বসিয়ে দিলেন আয়ান না-কি একা খেতে চায় না তাই"
তিন্নি সাদের বিরুদ্ধে জবাব দেয়
"কি মিথ্যুক করে বাবা নিজে ফকিন্নির মতো খুঁজেছে আর এখন বলছে আন্টি জোরজবরদস্তি বসিয়েছে "
সাদ তিন্নির ভুল শুধরে দিয়ে বলে
" ঐটা ফকিন্নি না ফকির,, তুই স্টার জলসা আর জি বাংলা দেখে আরেক জনের নামে পিন মারা শিখে গেছিস খুবই খারাপ লক্ষণ"
" চুপ থাক খাদক তুই দেখিস যার কারণে চ্যানেলের না মুখস্থ করে রাখছিস "
আনাম সাদের উদ্দেশ্য বলে
"কমাই খা"
সাদ চোখ, ঠোঁট উল্টায় ফেলে বাচ্চাদের মতো ভঙ্গিমা করে
" তুইও আমাকে অপমান করলি"
" হ্যাঁ আমিও,, লেট হইছে কেন তোদের সেটা বল"
"আর বলিস না আমি মানবতার খাতিরে দয়া করে আনতে গেছিলাম এই ত্যারারে কিন্তু এই ত্যারার মা আমার লগে কি করসে জানিস "
" তুই কইলে না জানতাম "
"" ত্যারা আর আন্টি এই রাত্রি বেলা মাসিক বাজার করেছে আর সেই গুলো আমারে দিয়ে পাঁচ তলায় উঠায়ছে বুঝছিস,,, আমাকে চা নাস্তা তো দূরের কথা এক গ্লাস পানিও দেয় নাই"
" একদম ভালো করছে,, তোর সাথে এমনটাই হওয়া উচিত,,,, আচ্ছা তিন্নি দের বাসা তো নিচ তলায় তুই পাঁচ তলা পাইলি কই"
জাবেদা বেগম আয়ানকে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন তাদের কথপোকথন শুনছিলেন তিনি আনাম কে বলেন
" খাওয়ার সময় এত কথা বলে না মা,, খাওয়া শেষ করো আগে "

_________________________________________
" এগুলো কেমন ফাইজলামি ফাইজা? দেখছ না আমি ব্যায়াম করছি "
ফাইজা সায়েমের গালটা আবারও টেনে দেয়,, সে সায়েমের সামনে বসে পরে
" ওলে লেলে,,, সায়েম আপনি কত কিউট । সেটা কি আপনি জানেন। কেউ আপনাকে বলেছে কোনো দিন"
" কোনো দিন কেউ বলুক আর না বলুক তুমি প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে মেসেজে বলেছ,,,প্রথমত সায়েম না ভাইয়া বলো,,, আর তুমি পার্ক ভর্তি মানুষের সামনে আমার গাল ধরে টানাটানি করছ কেন তারা কি ভাববে"
" আপনি আমার কোন জন্মের ভাই লাগেন?"
" আগের জন্ম আর পরের জন্মের কথা জানি না কিন্তু বর্তমান জন্মে তোমার ভাই লাগি বুঝছ"

চলবে..........?

ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। প্লিজ রেসপন্স করবেন তাহলে লিখতে উৎসাহ পাব এবং পরের পর্ব তারাতাড়ি দিব। আর বেশি বেশি সাপোর্ট করবেন। আমার মনে হলো উপন্যাসেন নামটা পরিবর্তন করে দেওয়া দরকার তাই পরিবর্তন করে দিলাম সবার প্রতি ভালোবাসা রইলো 🙂

** মন তো মনেই ** « অন্তু »পর্বঃ০৩বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাস,, মেঘের চাদরে মোড়ানো পুরো আকাশটা। বর্ষা কালটা কারো...
23/01/2025

** মন তো মনেই **
« অন্তু »
পর্বঃ০৩

বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাস,, মেঘের চাদরে মোড়ানো পুরো আকাশটা। বর্ষা কালটা কারোর পছন্দের কারোর আবার বিরক্তিকর মৌসুম। যেমন ফারজাদ, সে বিরক্তিকর মুখ করে ড্রাইবিং সিটে বসে কলে কারো সাথে কথপোকথনে ব্যস্ত, ঈশা গাড়ির জানালা দিয়ে ডান হাত বের করে বৃষ্টির পানি নেয় আবার তা উপরের দিকে ছিটকে মারে। ফুটপাতের পাশে তাদের গাড়িটা থামানো হঠাৎ একটি মেয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়,, ঈশা মেয়েটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষন করলো মেরুন রঙের টপস্ জিন্স পড়নে গলায় কালো ওড়না ঝুলানো হাতে ছাতা। মেয়েটি তার দিকে একপলক তাকালো,, এরপর আর একবারের জন্যও তাকায়নি সোজা মুখ ফিরিয়ে রেখেছে
" ভালোবাসা অনুভব করতে হলে যেমন নিজেকে
উৎসর্গ করতে হয়,,,, ঠিক তেমনি বৃষ্টিকে অনুভব করতে হলে তার কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়"
এ দু'টো বাক্য বলে মেয়েটি সোজা হাঁটা শুরু করে একবারও সে পিছনে ফিরে তাকায়নি,,ঈশা অবাক চোখে তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে ফারজাদ জানালা দিয়ে মাথা বের শুধু মেয়েটার পেছন দিক দেখতে পেল। তার কাছে মেয়েটার কন্ঠ চেনাজানা লাগে,,, কে ছিল এই মেয়ে?
তাদের মাঝে নিস্তব্ধতা ছেয়ে যায়,, ঈশা ফারজাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দেয় তার বিনিময়ে ফারজাদও হাসে
" জানো ফারজাদ এই বৃষ্টি প্রতিটি মেয়ের ইমোশন "
"তোমার....? "
" আমারও ইচ্ছে করে তোমার হাতে হাত রেখে কোনো এক নিস্তব্ধ রাস্তায় ভিজবো দুজনে,, না থাকবে সেখানে মানুষ নামের প্রজাতি না থাকবে তাদের হাম গাম "

রাহিম আলী আনসারী সেই কখন থেকে লাইব্রেরির নিজের বরাদ্দ কৃত চেয়ার দখল করে বসে কিছু ভাবছেন ফরিত আর চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না
" স্যার....? কোনো সমস্যা? "
" হুম? হু"
"..............."
" ফরিত আগামীকাল আব্বার আসার ব্যবস্থা কর"
" মফিজ সাহেব? কিন্তু উনি তো কখনো এই বাড়িতে আসেন না। হঠাৎ কেন? "
রাহিম তাঁর দিকে তাকাতেই ফরিত মাথা নিচু করে ফেলে
" ওকে স্যার"
" বাড়ির সিকিউরিটি বাড়িয়ে দেও,, আব্বার জন্য গার্ড পাঠিও,, আগামীকালের সকল মিটিং ক্যানসেল কর"
"ওকে স্যার"
" গুড,, ফারজাদ কে আমার রুমে আসতে বলো"
" ওকে স্যার,,,, গুড নাইট "

আনাম বইয়ে চোখ বোলাচ্ছে সামনে তার পরীক্ষা কিন্তু বই খাতা ধরার সুযোগ হচ্ছে না। পড়াশোনা, জব,টিউশন, আয়ান,ফ্যামিলি সব মিলিয়ে অস্থিতিকর পরিস্থিতি
" খালামনি ( আয়ানের মুডের উপর নির্ভর করে কখন কি ডাকবে) ক্ষুধা লেগেছে "
" তোমার ক্ষুধা লেগেছে,,, চলো আমরা খাবার খেয়ে আসি।"

চলবে........?

ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। প্লিজ রেসপন্স করবেন তাহলে লিখতে উৎসাহ পাব এবং পরের পর্ব তারাতাড়ি দিব। আর বেশি বেশি সাপোর্ট করবে। comments করে জানাবেন কেমন হচ্ছে। 🙂

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Israt Jahan Fariya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Israt Jahan Fariya:

Share