Creative Saadsamin

Creative Saadsamin welcome to Saadsamins creative page...

মানবদেহ সাধারণত প্রায় ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৮.১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এই তাপমাত্রা অত...
22/07/2025

মানবদেহ সাধারণত প্রায় ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৮.১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এই তাপমাত্রা অতিক্রম করলে শরীরে প্রোটিনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং মস্তিষ্কের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ৪৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৫.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত তাপমাত্রায় বেঁচে থাকার নজির রয়েছে, যদিও তা খুবই বিরল এবং প্রায় নিশ্চিত মৃত্যু ডেকে আনে।
সাধারণত, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রা শরীরের জন্য বিপজ্জনক এবং জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। আর্দ্রতা বেশি থাকলে তাপমাত্রা সহনশীলতার সীমা আরও কমে যায়। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস "ওয়েট-বাল্ব তাপমাত্রা" (যা শুষ্ক তাপ এবং ১০০% আর্দ্রতার সম্মিলিত প্রভাব) মানুষের বেঁচে থাকার চূড়ান্ত সীমা হিসাবে ধরা হয়।

মাউন্ট এভারেস্ট: যেখানে স্বপ্ন ছুঁতে গিয়ে অনেকেই চিরতরে থেমে যান... 🏔️মাউন্ট এভারেস্ট: পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এখানে প্...
20/07/2025

মাউন্ট এভারেস্ট: যেখানে স্বপ্ন ছুঁতে গিয়ে অনেকেই চিরতরে থেমে যান... 🏔️

মাউন্ট এভারেস্ট: পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এখানে প্রতিটি পদক্ষেপ একেকটা চ্যালেঞ্জ, আর প্রতিটি নিশ্বাস যেন মৃত্যুর হাতছানি।
মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে পর্বতারোহীদের অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তীব্র ঠান্ডা, অক্সিজেনের অভাব, হিমবাহ ও তুষারঝড়, প্রতিটি মুহূর্তে জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।
তাছাড়া পথ হারানো, ফ্রস্টবাইট এবং ধস, সবকিছু মিলিয়ে এই যাত্রা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক শক্তিরও কঠিন পরীক্ষা।

এই শৃঙ্গে উঠতে গিয়ে বহু মানুষ তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আর এই হারানো প্রাণগুলো এখন বরফ ঢাকা পাহাড়ের বুকে চিরন্তন সাক্ষী হয়ে আছে।

৮,০০০ মিটার উচ্চতার ওপরে একটি ভয়ঙ্কর এলাকা আছে, যাকে বলা হয় "Death Zone". যেখানে বাতাসে অক্সিজেন এতটাই কম যে মানবদেহ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
এভারেস্ট অভিযানের সবচেয়ে বিপজ্জনক এই অংশেই বহু পর্বতারোহী চিরতরে থেমে গেছেন।
আর এখানে তাপমাত্রা এতই কম যে মৃ'তদেহগুলো কখনোই পচে না, তারা রয়ে যায় বরফে মোড়ানো অবস্থায়, একেবারে জীবন্তের মত।

বছরের পর বছর ধরে অনেক মৃতদেহই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বরং সেগুলোকেই পর্বতারোহীরা পথচিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করে।

ঠিক যেমন এক বিখ্যাত মৃতদেহ, যার নাম হয়ে গেছে "Green Boots"।
"Green Boots" ছিলেন একজন ভারতীয় পর্বতারোহী, নাম ৎসেওয়াং পালজোর(Tsewang Paljor)।
১৯৯৬ সালে এভারেস্টে এক ভয়াবহ ঝড়ে তিনি প্রাণ হারান।
তার পরনে ছিল সবুজ রঙের ট্রেকিং বুট, যা দেখে অন্যান্য পর্বতারোহীরা তাকে চিনে নেন।
তার দেহ একটি ছোট গুহার মত জায়গায় ঠান্ডায় জমে যায়।

পরে সেই জায়গাটিই হয়ে ওঠে রুটের একটি 'নেভিগেশন পয়েন্ট', যেখানে প্রতিদিন শত শত ক্লাইম্বার থামে, বিশ্রাম নেয়, আবার এগিয়ে যায়... তার পাশ দিয়ে হেঁটে যায়... অথচ সে রয়ে যায় চিরকাল নিঃসঙ্গ, শীতল, নীরব।

এইরকম বহু গল্প লুকিয়ে আছে হিমশীতল বরফের নিচে।
কেউ স্বপ্ন দেখেছিলেন পতাকা গেড়ে আসবেন, কেউ নিজের সীমা ছাড়িয়ে জয় করতে চেয়েছিলেন নিজেকে।
কিন্তু পাহাড়ের নীরবতা অনেকের স্বপ্নের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু মানুষ চূড়া ছুঁতে পারলেও ফিরে আসেন না। আর কিছু মানুষ চূড়ার কাছাকাছি গিয়েই চিরদিনের জন্য থেমে যান।

তাদের কেউ কেউ নামহীন, কেউ কেউ পরিচিত শুধুই বুটের রঙ, জ্যাকেটের ছাপ কিংবা গ্লাভসের আকৃতিতে।
কিন্তু প্রত্যেকেই ছিলেন সাহস, অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্নের প্রতীক।

এভারেস্ট শুধু পাহাড় নয় এটা এক বিশাল কবরস্থান, যেখানে প্রতিটি জমাটবাঁধা দেহ এক একটি অসমাপ্ত গল্পের নাম।

এভারেস্ট জয় মানে শুধু শিখর ছোঁয়া নয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, সীমা অতিক্রম করার চেষ্টায় আত্মোৎসর্গ করা।
আর যারা ফিরে আসেন না, তারা থেকেও যান এই পর্বতের শরীরে একেকটি চিহ্ন হয়ে। 🥹

তারা হয়ত কথা বলেন না, কিন্তু তাদের নিঃশব্দ উপস্থিতিই বলে দেয় কতটা দুঃসাহসিক ছিল তাদের স্বপ্ন।

তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। 🩷

18/07/2025

প্রাণের শহর ফেনী ❤️

নারী-পুরুষ: মস্তিষ্কের ক্ষমতায় কে বেশি এগিয়ে।অনেকে খুব সহজভাবে প্রশ্ন করে থাকেননারীর তুলনায় পুরুষের বুদ্ধি বেশি না কম?"এ...
16/07/2025

নারী-পুরুষ: মস্তিষ্কের ক্ষমতায় কে বেশি এগিয়ে।

অনেকে খুব সহজভাবে প্রশ্ন করে থাকেন
নারীর তুলনায় পুরুষের বুদ্ধি বেশি না কম?"
এছাড়া মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে পুরুষের তুলনায় নারীদের বুদ্ধি কম।

আসুন, নারীবাদী না হয়ে, পুরুষতান্ত্রিক না হয়ে—একদম বাস্তব তথ্য ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা দিয়ে নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি জেনে নিই।

পুরুষের মস্তিষ্ক:
আকারে গড়পড়তা বড়।
গভীর মনোযোগ ও একমুখী বিশ্লেষণে দক্ষ।
সমস্যা সমাধান, স্থানিক চিন্তা (মানচিত্র বোঝা, পথ খোঁজা) ভালোভাবে করতে পারে

নারীর মস্তিষ্ক:
ভাষা, আবেগ ও সম্পর্ক বিষয়ে বেশি সংবেদনশীল
একসাথে একাধিক কাজ (multitasking) ও দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে দক্ষ।আবেগ ও যুক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশি সক্ষম

কিছু বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা:

পুরুষদের মস্তিষ্কে তথ্য চলাচল হয় সামনের থেকে পেছনে (Front to Back)।অপরদিকে নারীদের মস্তিষ্কে বেশি সংযোগ ডান ও বাম অংশের মধ্যে (Right to Left Hemisphere)।ফলে নারীরা আবেগ ও যুক্তির সমন্বয়ে বেশি দক্ষ, পুরুষেরা বিশ্লেষণ ও কাজের গভীরতায় দক্ষ।

তাহলে কে বেশি বুদ্ধিমান?
এটা কোনো প্রতিযোগিতা নয়।
বরং নারী-পুরুষ দুইজনই আলাদা কাজে শ্রেষ্ঠ—একজন অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং পরিপূরক।

পৃথিবীতে নারী ও পুরুষ ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা কে টিকিয়ে রেখেছে।নারী ও পুরুষের সাম্যাবস্থার কারণেই জীবনের পর্যাক্রমিক পরিক্রমা নিয়মিতভাবে ঘটে চলেছে।তাই মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম সৃষ্টি।

15/07/2025

সতর্কতা মূলক পোস্ট....🚫🚫

১৬ বছরের একটি ছেলে সম্প্রতি মা*রা গেছে। তিনি এবং তাঁর ভাই একই ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন।

গভীর রাতে তার বমি পেয়ে উঠল। তার ভাই বলেছিলেন যে তিনি তার হাতটি তার মুখের কাছে ধরে বাথরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন।
বমি করার পরে শ্বাস নিতে অসুবিধার অভিযোগ করেন তিনি। পরে মারা যান।.... এখন ডাক্তার ঘোষণা করেছেন যে তিনি বিছানা বা গালিচা নষ্ট না করার জন্য টয়লেটে পৌঁছা পর্যন্ত তিনি তার বমি ধরে রেখেছিলেন, এবং এটাই তাকে দম বন্ধ করেছিল। বমিটি সরাসরি তার বাতাসের পাইপ এবং শ্বাস প্রশ্বাসের ট্র্যাকের মধ্যে চলে যায়।.... সুতরাং, আমাদের উচিত বাচ্চাদের যেখানে বমি লাগে সেখানে করতে দেওয়া। বাথরুমে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের কখনই তাদের বমি ধরে রাখতে বাধ্য করা উচিত নয়। কার্পেটটি সর্বদা ধুয়ে নেওয়া যাবে তবে আমরা কোনও শিশুকে ফিরে পেতে পারি না একবার শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে।

শুধু শিশু নয় বড়দেরও এমন হতে পারে।

বর্তমানে একটি মিথ প্রচলিত আছে—অনেকে মনে করেন, গরুর নেহারির তেলতেলে অংশটাই ক্যালসিয়াম এবং এটি খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম বাড়...
11/07/2025

বর্তমানে একটি মিথ প্রচলিত আছে—অনেকে মনে করেন, গরুর নেহারির তেলতেলে অংশটাই ক্যালসিয়াম এবং এটি খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম বাড়ে। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল।

নেহারি সাধারণত গরু বা ছাগলের পা দিয়ে তৈরি হয়, যেখানে হাড় থেকে বের হয় একটি হলুদাভ, নরম পদার্থ—যা আসলে অস্থিমজ্জা বা বোন ম্যারো। এটি মূলত চর্বিজাত উপাদানে ভরপুর, যেমন: কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, কনড্রয়েটিন ও ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডস। এগুলো শরীরের জন্য উপকারী হলেও এতে ক্যালসিয়াম প্রায় নেই বললেই চলে।

ক্যালসিয়াম হলো একটি খনিজ, যা থাকে হাড়ের শক্ত অংশে—গুঁড়া বা কঠিন আকারে। রান্নার সময় এতে অল্প কিছু ক্যালসিয়াম ঝোলে আসতে পারে, তবে তা এতই কম যে শরীরের চাহিদা পূরণে কোনো কাজ দেয় না।

তাই নেহারির হলুদ অংশকে ক্যালসিয়াম ভাবা যেমন ভুল, তেমনি এটি খেয়ে ক্যালসিয়াম বাড়ে মনে করাও বিভ্রান্তিকর। ক্যালসিয়াম পেতে নেহারি নয় দুধ, দই, পনির, সাদা মাছ ও অন্যান্য ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান।

একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগু...
10/07/2025

একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে।

গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা।

তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়।

এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা।

একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

🌏🔮আধুনিক বিশ্বের EMP আতঙ্ক:-♦️ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস বা ইএমপি (EMP) একটি এমন প্রযুক্তি বা ঘটনা, যা শব্দহীনভাবে, কোনো দ...
06/07/2025

🌏🔮আধুনিক বিশ্বের EMP আতঙ্ক:-

♦️ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস বা ইএমপি (EMP) একটি এমন প্রযুক্তি বা ঘটনা, যা শব্দহীনভাবে, কোনো দৃশ্যমান ধ্বংস না করে, আধুনিক সভ্যতার মূল ভিত্তিকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। এটিকে "সাইলেন্ট বোমা" বলা হয় কারণ এটি প্রচলিত নিউক্লিয়ার বোমার মতো বিস্ফোরণ, আগুন বা ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি না করলেও, এর প্রভাব এতটাই গভীর যে এটি একটি সমাজকে পঙ্গু করে দিতে সক্ষম। এই নিবন্ধে আমরা ইএমপি কী, এটি কীভাবে কাজ করে, এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং কেন এটি নিউক্লিয়ার বোমার চেয়েও ভয়ানক হতে পারে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

♦️ইএমপি হলো একটি তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গের তীব্র প্রবাহ, যা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত বা অকেজো করে দিতে পারে। এটি সাধারণত তিনটি উৎস থেকে সৃষ্টি হতে পারে:
1. প্রাকৃতিক উৎস: সূর্য থেকে নির্গত সৌরজ্বালা (Solar Flare) বা করোনাল ম্যাস ইজেকশন (CME) ইএমপি-জাতীয় প্রভাব ফেলতে পারে।
2. মানবসৃষ্ট অস্ত্র: উচ্চ-ঊর্ধ্বতন নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ (High-Altitude Nuclear Explosion) থেকে ইএমপি উৎপন্ন হতে পারে।
3.নন-নিউক্লিয়ার ইএমপি ডিভাইস: বিশেষভাবে তৈরি ডিভাইস, যা সীমিত পরিসরে ইএমপি তৈরি করতে পারে।
ইএমপি-র প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক সার্কিট এবং বিদ্যুৎ গ্রিডের উপর আঘাত হানে, মানুষ বা ভৌত অবকাঠামোর সরাসরি ক্ষতি না করে।

♦️ইএমপি যখন উৎপন্ন হয়, তখন এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী তড়িৎচৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে। এই ক্ষেত্রের তরঙ্গ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং যেকোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রের অভ্যন্তরীণ সার্কিটে অতিরিক্ত ভোল্টেজ প্রবাহিত করে। ফলে:
- সার্কিট পুড়ে যায়: ইলেকট্রনিক চিপ, ট্রানজিস্টর এবং অন্যান্য সূক্ষ্ম উপাদান অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সহ্য করতে না পেরে ধ্বংস হয়ে যায়।
- বিদ্যুৎ গ্রিড ভেঙে পড়ে: ট্রান্সফরমার, জেনারেটর এবং পাওয়ার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- যোগাযোগ বন্ধ হয়: মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট, রেডিও এবং স্যাটেলাইট সিস্টেম অকেজো হয়ে পড়ে।
একটি উচ্চ-ঊর্ধ্বতন নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট ইএমপি শত শত বা হাজার হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে, যা একটি দেশের পুরো অবকাঠামোকে স্থবির করে দিতে সক্ষম।

♦️প্রচলিত নিউক্লিয়ার বোমা যেখানে শারীরিক ধ্বংস এবং প্রাণহানির কারণ হয়, সেখানে ইএমপি-র প্রভাব সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। এটি কেন বেশি

প্রতিদিন একই সময়ে এবং একই স্থানে দাঁড়িয়ে এক মাস ধরে আকাশে চাঁদের ছবি তুললে একটি বিস্ময়কর চিত্র তৈরি হয়। এই ছবিগুলিক...
03/07/2025

প্রতিদিন একই সময়ে এবং একই স্থানে দাঁড়িয়ে এক মাস ধরে আকাশে চাঁদের ছবি তুললে একটি বিস্ময়কর চিত্র তৈরি হয়। এই ছবিগুলিকে একত্র করে সাজালে দেখা যায়, চাঁদ প্রতি রাতে একটি নির্দিষ্ট পথে অবস্থান পরিবর্তন করে, আর তার আলোর আকৃতি বা রূপও ধীরে ধীরে বদলে যায়। একে বলে চাঁদের কলা বা Moon Phases।

এই পরিবর্তনের মূল কারণ হলো চাঁদের পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ এবং পৃথিবীর নিজ অক্ষের ঘূর্ণন। চাঁদ একবার পৃথিবীকে ঘুরে আসতে প্রায় ২৭.৩ দিন সময় নেয়, যাকে বলে একটি sidereal month। তবে চাঁদের একেকটি কলা দেখতে আমাদের লাগে প্রায় ২৯.৫ দিন, যেটি synodic month নামে পরিচিত। এই সময়ে চাঁদ নতুন চাঁদ (New Moon) থেকে শুরু করে পূর্ণিমা (Full Moon) হয়ে আবার অমাবস্যায় ফিরে আসে।

এই ছবিতে চাঁদের প্রতিদিনের অবস্থান ও কলা ধাপে ধাপে ধরা পড়েছে, যা একত্রে একটি চমৎকার বাঁকানো রেখা তৈরি করেছে। এটি প্রমাণ করে যে চাঁদের অবস্থান প্রতিদিন সামান্য পরিবর্তিত হয় এবং একে নিরবিচারে পর্যবেক্ষণ করলে আমরা প্রকৃতির এক নিখুঁত ছন্দ দেখতে পাই।

২০২৫ সাল, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে হঠাৎ রাডারে ধরা পড়ে এক রহস্যময় বস্তুর গতি—মাত্র ০.২ সেকেন্ডে এক কিমি অতিক্রম করে ফেলেছে! অ...
01/07/2025

২০২৫ সাল, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে হঠাৎ রাডারে ধরা পড়ে এক রহস্যময় বস্তুর গতি—মাত্র ০.২ সেকেন্ডে এক কিমি অতিক্রম করে ফেলেছে! অপারেটর চোখ মেলে তাকায়, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি। বস্তুটি ছিল এক নতুন প্রজন্মের ৬জি–নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট মিসাইল।

এই মিসাইলের গায়ে নেই কোনো স্টিয়ারিং রড, নেই রিমোট কন্ট্রোল—পুরোটাই চলে AI ও 6G কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে। এটি শত্রুর ঘাঁটিতে পৌঁছাতে সময় নেয় মাত্র কয়েক সেকেন্ড, আর বিস্ফোরণ ঘটায় শূন্যে লুকিয়ে থাকা কমান্ড সিগন্যাল পেয়ে।

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয়?
এই মিসাইল শুধু লক্ষ্যবস্তুতে ধ্বংস ঘটায় না, ট্র্যাকিং ও এড়ানোর ক্ষমতাও রাখে। অর্থাৎ শত্রু পালাতে পারলেও, মিসাইল নিজে তার রুট পরিবর্তন করে আবারও খুঁজে নেয় টার্গেটকে।

একবার কমান্ড পাঠানো হলে, মানুষও থামাতে পারে না—কারণ 6G নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি সেকেন্ডে কয়েক লাখ ডেটা প্যাকেট আদানপ্রদান করে, যা রেডিও জ্যামারেও আটকায় না।

Ref: armyrecognition

চীন ইতোমধ্যে 6G-backed hypersonic glide missile এর সফল পরীক্ষাও করেছে (সূত্র: SCMP, 2024)।

আপনি কি জানেন- আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে পিঁপড়াকে ব্যবহার করা হয় সেলাই করার জন্য, অর্থাৎ সা...
28/06/2025

আপনি কি জানেন- আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে পিঁপড়াকে ব্যবহার করা হয় সেলাই করার জন্য, অর্থাৎ সার্জিক্যাল সুঁই-সুতো হিসেবে?

এর জন্য ব্যবহৃত হয় Dorylus gribodoi নামের এক বিশেষ প্রজাতির পিঁপড়ে, যাদের আমরা "যোদ্ধা পিঁপড়ে" বা "লিজনারি অ্যান্ট" নামেও চিনি। এরা সাধারণত মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকায় বাস করে, এবং এদের চোয়াল এতটাই শক্তিশালী যে একবার কামড়ে ধরলে সহজে ছাড়ে না।

ব্যবহার পদ্ধতি:
১. পিঁপড়েটিকে পেছন থেকে ধরে রাখা হয়।
২. ক্ষতস্থানের দুই পাশকে কাছে আনা হয়।
৩. পিঁপড়েটির চোয়াল সেই দুই পাশ কামড়ে ধরে জোড়া লাগিয়ে দেয়।
৪. এরপর পিঁপড়ের শরীরটি আলাদা করে দেওয়া হয়, কিন্তু মাথা ও চোয়াল থেকে যায় ক্ষতের ওপর। ফলে তৈরি হয় একধরনের প্রাকৃতিক সেলাই।

এই "জীবন্ত সেলাই" কয়েক দিন পর্যন্ত ক্ষতকে একসাথে ধরে রাখতে পারে, তারপর নিজে থেকেই পড়ে যায়। আধুনিক চিকিৎসার অভাবে এই চমৎকার প্রাকৃতিক সমাধান ও অভিজ্ঞতা বহু বছর ধরে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

মৃত্যু যখন পারমাণবিক বোমার আঘাতে হবে! 💣 বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাত্র ১ মেগাটনের একটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হলে চারিদিকে ৫ ...
26/06/2025

মৃত্যু যখন পারমাণবিক বোমার আঘাতে হবে!
💣 বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাত্র ১ মেগাটনের একটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হলে চারিদিকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর তেজস্ক্রিয়তা থেকে মানুষ, গাছপালা, দালানকোঠা রক্ষা পায়না কোনকিছুই। বিস্ফোরণের জায়গা থেকে ৮-১২ কিমি দূরে মানুষের ত্বকে থার্ড ডিগ্রি বার্ন হয়। আর ১৫-২০ কিমি পর্যন্ত অবস্থান করা মানুষের কানের পর্দা ফেটে যায়, গ্লাস ভেঙে পড়ে, খসে পড়ে নিমিষেই। ৫০-৮০ কিমি দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা।

💣একটি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণে তাৎক্ষণিক প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩-৭ লাখ মানুষের, গুরুতর আহত হতে পারে ৫-১০ লাখ মানুষ। আর ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত ভবনগুলোর ৯০ শতাংশই রূপ নেবে ধ্বংসস্তুপে। বিষ্ফোরণের জায়গা থেকে চারিদিকে ৫০-৮০ কিলোমিটারের মত জায়গায় ২০-৩০ বছর মাটি ও জল দূষিত অবস্থায় পাওয়া যাবে। এর ফলে বেঁচে যাওয়া মানুষেরা ক্যান্সার ও রেডিয়েশনজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে। পুরুষরা হারাবে তাদের পুরুষত্ব, পরবর্তী প্রজন্ম জন্ম নিবে প্রতিবন্ধী হয়ে।

💣এদিকে অতীত ইতিহাস থেকেও জানা যায়, পারমাণবিক💣 বোমা বিস্ফোরণের ভয়বহতা। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর ফেলে ‘লিটল বয়’ নামের একটি পারমাণবিক বোমা। বিস্ফোরণের মুহূর্তেই প্রাণ হারান প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। কয়েক মাসে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৪০ হাজারে । এর তিন দিন পর, ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরের ওপর ফেলা হয় ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের দ্বিতীয় বোমাটি। এতে নিহত হন আরও ৭৫ হাজার মানুষ। এ দুই হামলায় প্রমাণ হয় পারমাণবিক বোমা যুদ্ধের অস্ত্র নয়, বরং মানবতা ধ্বংসের একমাত্র মাধ্যম।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Creative Saadsamin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share