26/04/2025
#সিন্ধু পানিচুক্তি (IWT) মূলত ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায়। বিশ্বের অন্যতম টেকসই পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত (৬০+ বছর) বজায় আছে, যদিও দ্বন্দ্ব হয়েছে অনেকবার। বর্তমানে এর ফলে পাকিস্তানকে সাথে এই চুক্তিটি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত।
#চুক্তি স্বাক্ষরকারী:
#ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।
#পাকিস্তানের পক্ষে রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান।
#ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধি
#নদী বিভাজন:
#ভারতের নিয়ন্ত্রণ:
পূর্বের তিনটি নদী: রাভি (Ravi), বিয়াস (Beas), শতদ্রু (Sutlej)
#পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ:
পশ্চিমের তিনটি নদী: সিন্ধু (Indus), ঝেলম (Jhelum), চেনাব (Chenab)
#ব্যবহার বিধান:
#১ ভারত পূর্ব নদীগুলোর পানি সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারে (সেচ, জলবিদ্যুৎ, শিল্প)।
#২ পশ্চিম নদীগুলোর প্রধান প্রবাহ পাকিস্তান পাবে, তবে ভারত নির্দিষ্ট সীমায় সেচ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করতে পারে।
#বিকল্প অবকাঠামো:
পাকিস্তানকে পানি নিশ্চিত করতে বিশ্ব ব্যাংক ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে ড্যাম, ব্যারেজ ও খাল নির্মাণে সাহায্য করে। যেমনঃ মঙ্গলা ড্যাম, তারবেলা ড্যাম ইত্যাদি।
*****************
যদি দু’দেশের দ্বন্ধের কারণে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত বা বাতিল হয়, তাহলে কার কত পরিমাণ ক্ষতির পরিমাণ হবে দেখে নিন:
#পাকিস্তানের ক্ষতি:
#১ ভীষণ বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
#২ কারণ পাকিস্তানের ৮০%-এর বেশি কৃষি পানি আসে সিন্ধু ও তার উপনদী থেকে।
#৪ পানি প্রবাহ বন্ধ হলে বা কমে গেলে কৃষি উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে বিশাল ধাক্কা লাগবে।
#৫ পানির ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও (বিশেষত হাইড্রো-পাওয়ার) সমস্যা দেখা দেবে।
#৬ সামাজিক অস্থিতিশীলতা, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বাড়তে পারে।
#ভারতের ক্ষতি:
#১ কম, তবে কিছু ঝুঁকি থাকবে।
#২ আন্তর্জাতিক ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে (বিশ্বব্যাপী পানি চুক্তি লঙ্ঘনের নজির তৈরি হবে)।
#৩ পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা ও সীমান্ত দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা বাড়বে।
#৪ সিন্ধু অববাহিকায় (বিশেষত জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাব অঞ্চলে) পানির পরিচালনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
#৫ ভারতেরও অবকাঠামো খরচ বাড়বে যদি পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে হয়।
#মোট কথা পাকিস্তান হবে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, কারণ তাদের কৃষি ও অর্থনীতি সিন্ধুর পানির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। আর ভারতের ক্ষতি হবে মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে। তথ্যসূত্র ChatGPT Wikipedia