Durnibar - দুর্নিবার

Durnibar - দুর্নিবার Official page of Durnibar, one of the largest online magazine of Bangladesh. Stay with us & enjoy our delicious posts & article. Thank you ;)

দেশ নায়ক Tarique Rahman  আপনার অপেক্ষায় দেশ ও জাতি।
30/10/2024

দেশ নায়ক Tarique Rahman
আপনার অপেক্ষায় দেশ ও জাতি।

তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কার ভাবনাগণবিপ্লবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। বি...
17/10/2024

তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কার ভাবনা

গণবিপ্লবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিণত হয়েছেন দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে কাক্সিক্ষত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দেশ এখন তাঁর দিকেই তাকিয়ে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি যে ক্ষমতায় আসবে, তা সবাই বুঝতে পারছে। তারেক রহমান হবেন রাষ্ট্র নায়ক। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিএনপি এখন রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ে রয়েছে। মানুষের মাথার উপর ছায়া হয়ে রয়েছে। আর এই ছায়ার উৎস হচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ হতে পারে। তাঁর বক্তব্যগুলো নিয়ে এখন গবেষণা হচ্ছে, কলাম লেখা হচ্ছে। মানুষ অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তাঁর প্রত্যেকটি কথায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার স¤পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ আমরা সবাই মানুষের পাশে থাকার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। এর মাধ্যমে বিএনপি রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি সামাজিক পরিবর্তন এবং জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছে। তারেক রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে, বিএনপি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গড়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, মানুষকে অভয় দিচ্ছেন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যা¤পাসে যাচ্ছেন, ছাত্রছাত্রীদের মনের কথা শোনার চেষ্টা করছেন। নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির রূপরেখা মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগাচ্ছেন। বিএনপির যেকোনো কর্মসূচি শেষে এখন রাস্তাঘাট, সমাবেশের স্থল পরিষ্কার করা হয়। এই পরিবর্তনের কারিগর তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আমরা সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। এখন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেনেন, বিএনপির প্রত্যাশা রাজনীতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। তারেক রহমানের উক্তিটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ¯পষ্ট সংকল্প ব্যক্ত করে, যেখানে তিনি জনগণের প্রত্যাশা ও ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বের মূল ভিত্তি হচ্ছে, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। এ কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগ্রাম চলমান, তা কেবল একটি রাজনৈতিক প্রয়াস নয়, বরং একটি জাতীয় দায়িত্ব। এই দৃঢ় অবস্থান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ সমাজ নির্মাণের জন্য তাঁর অঙ্গীকারকে প্রমাণ করে। তারেক রহমানের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, দলের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সততার জোরালো আহ্বান। তিনি ¯পষ্ট করেছেন, যদি কেউ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাঁর এই দৃঢ় অবস্থান দলের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার প্রতীক। ইতিমধ্যেই বিএনপির উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত অনেক নেতাকর্মী শাস্তির সম্মুখীন হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নয়, বরং জনগণের আশা ও আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে উঠতে চায়। এই প্রক্রিয়ায়, তিনি একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, যা আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ও উদ্বেগজনক। কিন্তু তারেক রহমানের নির্দেশনা সমগ্র জাতির জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হয়ে উঠেছে। তিনি সবসময় বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে সাহস ও মানসিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন, যা সংগ্রামের এই সময়ে একান্ত প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা, মামলা এবং শারীরিক নির্যাতন হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা তারেক রহমানের সাহসিকতা নেতাকর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে দলটি কেবল রাজনৈতিক লড়াই নয়, বরং মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য একটি সংগ্রামী অবস্থান গ্রহণ করছে। সংকটময় সময়ে, তারেক রহমানের নেতৃত্ব জাতির জন্য আশার প্রদীপ হয়ে রয়েছে, যা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগায়। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তাঁর এই বক্তব্য বাস্তবসম্মত। কারণ, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এ প্রেক্ষিতে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যে ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে, তা সাধুবাদযোগ্য।

শুধু কথায় নয়, কাজেও তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন, তিনি একজন প্রকৃত নেতা। তিনি যে পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরছেন, সেগুলো বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আবশ্যক। তার ফ্যামিলি কার্ডের ধারণা, রপ্তানিমুখী কৃষির উন্নয়ন এবং জাতীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর। তারেক রহমান যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বিরুদ্ধে করা কার্টুন শেয়ার করেন, তখন তিনি যে সমালোচনা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মনেপ্রাণে ধারণ করেন, তার নজির। একজন নেতা হিসাবে, তিনি নিজের প্রতি উঁচু মানসিকতা বজায় রাখছেন এবং সমালোচনাকে সানন্দে গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই সহিষ্ণু মনোভাব বাংলাদেশের জনগণ ভালোবাসার সাথে গ্রহণ করছে। জনগণ যখন দেখে, তাদের নেতা সমালোচনা বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে ভয় পান না, তখন তাদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংহতি সৃষ্টি হয়।

অনেকেই বলেন, একটি দেশ একবারই স্বাধীন হয়। কিন্তু স্বাধীনতা বেহাত হয়ে যাওয়ার পরে সেই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য গণবিপ্লবের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা এসেছে, তা কি দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়? অবশ্যই দ্বিতীয় স্বাধীনতা। বাংলাদেশের মানুষ এখন নতুন এক রাজনীতির স্বাদ পাচ্ছে। তারা ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাচ্ছে। স্বৈরাচার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনের একটিতেও মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়নি। মানুষ এখন ভোট দিতে চায়, সেই ভোটের মাধ্যমে মানুষ ক্ষমতায় আনবে তাদের সরকার, যারা দেশের মানুষের কথা বলবে। তাদের এই আশার প্রতীক তারেক রহমান। মানুষ যেমন আশা করে, সে হয়তো পুরোপুরি জানে না। কিন্তু মানুষ যা চায়, তা তারেক রহমান জানেন। তিনি কতদূর ভেবেছেন, তা হয়ত আমরা ভাবতে পারছি না। তিনি শুধু তাঁর দলের নেতাকর্মীকে বলেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সঞ্চারিত করেছেন নতুন উদ্দীপনা। সারাদেশে নতুন নতুন কর্মসূচি দিয়ে মানুষের আস্থা ধরে রেখেছেন। তিনি যে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলছেন, সেই এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরছেন।

আমরা অনেকেই বুঝতে পারছি না যে, অন্তর্বর্তী সরকারের সফল্য আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই সরকার ব্যর্থ হলে ব্যর্থ হবে বাংলাদেশ, এটা অনুভব করেছেন তারেক রহমান। এই সরকার ব্যর্থ হলে পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান ঘটবে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরন্তর সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তারেক রহমান বলেছেন, ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। স্বাধীন দেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাঁর এই চিন্তা সার্বজনীন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে নানা কাজ করছেন। এমনভাবে তিনি কাজগুলো করেছেন, যা দলের অনেক নেতাকর্মীও জানে না।

তারেক রহমানের রাষ্ট্রচিন্তা অতুলনীয়। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, জাতীয় সরকার গঠন, এক ব্যক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া আমাদের দেশের জন্য নতুন ভাবনা। এই ভাবনা নিয়ে তিনি নিরন্তর কাজ করছেন। মানুষের কাছে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার চিন্তা তিনিই করছেন। তিনি একটি বিখ্যাত শ্লোগান দিয়েছিলেন, ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’, যা জনগণকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কবল থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। ফলে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে উঠছেন তিনি, যেখানে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সমৃদ্ধির পথ সুরক্ষিত থাকবে।

লেখক: মাহবুব নাহিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
দৈনিক ইনকিলাব, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

Address

Chittagong
4000

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

01932871011

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Durnibar - দুর্নিবার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Durnibar - দুর্নিবার:

Share