Mostafa sohag

Mostafa sohag আপনাদের ভালবাসায় আমি মুগ্ধ।
সবাই পাশে থাকবেন। লাইক ফলো শেয়ার করবেন।
(17)

📜 ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পূর্ণ ইতিহাস: এক গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকার 🇧🇩✍️ সংকলনে: [ Mostafa sohag ]---🗺️ ভূগোল ও অবস্থানব্র...
03/06/2025

📜 ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পূর্ণ ইতিহাস: এক গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকার 🇧🇩
✍️ সংকলনে: [ Mostafa sohag ]

---

🗺️ ভূগোল ও অবস্থান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত। পূর্বে এটি কুমিল্লা জেলার অংশ ছিল এবং ১৯৮৪ সালে স্বাধীন জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে ত্রিপুরা (ভারত), পশ্চিমে নরসিংদী, উত্তরে কিশোরগঞ্জ ও দক্ষিণে কুমিল্লা জেলা অবস্থিত।

---

🏛️ প্রাচীন ইতিহাস ও নামকরণ

‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামটি এসেছে ‘ব্রাহ্মণ’ এবং ‘বাড়ি’ শব্দ দুটি থেকে। কথিত আছে, বহু পূর্বে কিছু ব্রাহ্মণ পরিবার এখানে বসবাস শুরু করে, এবং ধীরে ধীরে অঞ্চলটি “ব্রাহ্মণদের বাড়ি” হিসেবে পরিচিতি পায়।

এই অঞ্চলের ইতিহাস বহু প্রাচীন। এটি গৌড়, সমতট ও কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় এখানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার ও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, যা ইঙ্গিত করে এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির সমন্বয় ছিল।

---

🕌 ইসলামের আগমন ও সুফি প্রভাব

১৩শ শতকে মুসলিম সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির অভিযানের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রচার শুরু হয়। পরে বহু সুফি সাধক ও দরবেশ এই অঞ্চলে আসেন। সরাইল, আশুগঞ্জ ও নবীনগরে তাদের মাজার আজো মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র।

---

🏰 মুঘল ও সুলতানি যুগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মুঘল আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও সামরিক এলাকা ছিল। সরাইল পরগনার শাসক ঈসা খাঁ এখানকার ইতিহাসে কিংবদন্তি। তিনি বারো ভুঁইয়ার একজন ছিলেন এবং মুঘলদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। সরাইলের “বড় পুকুর পাড়” ও ঈসা খাঁর কেল্লা ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে আজো রয়ে গেছে।

---

🇬🇧 ব্রিটিশ শাসন ও জনজাগরণ

১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। এই সময়ে জমিদারি প্রথা চালু হয় এবং কৃষকদের উপর শোষণ বৃদ্ধি পায়।
এই জেলার অনেকে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭) এবং পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯২০ সালের অসহযোগ আন্দোলনে এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

---

🕊️ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থী ও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় চেতনার বীজ বপিত হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে, এই জেলা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
👉 আখাউড়া রেলস্টেশন, যা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর সংযোগপথ, সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দুঃসাহসিক আক্রমণ চালায়।
👉 আশুগঞ্জে ব্রিজ ধ্বংস করে শত্রুর রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
👉 অনেক মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন ও শহীদ হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে।

---

🎶 সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হল বাংলাদেশের সঙ্গীত রাজধানী।
এই জেলার গর্ব:

উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ – বিশ্ববিখ্যাত সরোদবাদক ও ‘মাইহার ঘরানা’র প্রবর্তক

পণ্ডিত রবি শংকর – তাঁর শিষ্য

আলা উদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন এখনো দেশজুড়ে সঙ্গীতচর্চার অন্যতম কেন্দ্র।
এছাড়া পালাগান, জারি-সারি, মুর্শিদী গান এখানকার লোকসংস্কৃতির অঙ্গ।

---

🏙️ আধুনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি ব্যস্ত শিল্প ও বাণিজ্যিক জেলা। এখানে রয়েছে:

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন – জাতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ

বিসিক শিল্প নগরী

উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ও রেল যোগাযোগ

জনপ্রিয় স্থান: কসবা, নবীনগর, সরাইল, বিজয়নগর

---

🧑‍🎓 বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা

উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ – সঙ্গীতজ্ঞ

সৈয়দ আতর আলী – রাজনীতিবিদ

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ – স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত

মেজর শওকত আলী – মুক্তিযোদ্ধা

মাওলানা আবুল হাশেম – ভাষা সৈনিক

---

🏁 উপসংহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুধু একটি জেলা নয়, এটি একটি জীবন্ত ইতিহাসের নাম। সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও সাধনার এক অমূল্য গাঁথা।
এই জেলার প্রতিটি পথ, প্রতিটি নিদর্শন বহন করে আমাদের গর্ব, আমাদের শেকড়ের গল্প।

---

📌 আমাদের মতো গর্বিত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীই পারেন এই ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। শেয়ার করুন, জানুন, জানান।

#ব্রাহ্মণবাড়িয়া #ইতিহাস #মুক্তিযুদ্ধ #ঐতিহ্য #বাংলাদেশ #সঙ্গীতের_শহর

কচু পাতা দেখেছেন নিশ্চয়ই ? উপরটা সবুজ কিন্তু ভিতরটা চুলকানিতে ভরা । তেমনি কিছু মানুষ আছে উপরে মানুষের মতো হলেও ,ভিতরটা ...
03/06/2025

কচু পাতা দেখেছেন নিশ্চয়ই ? উপরটা সবুজ কিন্তু ভিতরটা চুলকানিতে ভরা । তেমনি কিছু মানুষ আছে উপরে মানুষের মতো হলেও ,ভিতরটা আবর্জনাতে ভরা।

26/05/2025

যার জন্য তুমি জান দিয়ে দিতে প্রস্তুত, সে অই তোমার সাথে পশুর মতো আচরণ করবে।

গাজায় মানবিক বিপর্যয়: যুদ্ধের নিষ্ঠুরতায় ক্ষুধার্ত শিশুদের দীর্ঘ লাইন। বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন 👇 ‎https://surl.li/evr...
23/05/2025

গাজায় মানবিক বিপর্যয়: যুদ্ধের নিষ্ঠুরতায় ক্ষুধার্ত শিশুদের দীর্ঘ লাইন। বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন 👇
https://surl.li/evryld

আমি নিজেকে খারাপ বলি না সেটা বলার জন্য কিছু লোক রেখেছি,বেতন নেয় না কিন্তু খুব ভালোই সার্ভিস দেয়।
22/05/2025

আমি নিজেকে খারাপ বলি না সেটা বলার জন্য কিছু লোক রেখেছি,
বেতন নেয় না কিন্তু খুব ভালোই সার্ভিস দেয়।

17/05/2025

যারা বিপদের সময় একটা মানুষের নামে উল্টা পাল্টা কথা বলে সে আর যাই হোক না কেন ওই মানুষটার ভালো চায় না কখনো এটা নিশ্চিত।
আপনাদের কী মনে হয়।

08/05/2025

রাসুল (সাঃ) বলেছেন-মৃত ব্যক্তির জন্য ঐ সময়টা খুব কষ্টকর হয়, যখন তাকে তার গৃহ হতে বের করা হয় এবং তার পরিবারের সবাই তার জন্য কাঁদতে থাকে।

এর চেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখন, যখন তাকে কবরে শুয়ায়ে তাকে মাটি দেয়া হয়, এবং তাকে একা ফেলে সবাই চলে আসে।

আরো কষ্ট হয় যখন শরীর হতে কাপড়,
অলংকার, আংটি,খুলে নেয়া হয়। সেই সময় তার রুহ উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে, এ চিৎকার জীন ও মানুষ ছাড়া অন্য সবাই শুনতে পায়।

সে তখন চিৎকার করে বলতে থাকে- তোমাদেরকে আল্লাহর কসম আমার শরীরের কাপড় চোপড়, অলংকার, ধীরে ধীরে খুলো, যেহেতু এই মাত্র আমি মালাকুল মউতের কঠিন আযাব হতে নিস্কৃতি পেয়েছি।

যখন মৃত ব্যক্তির দেহ মর্দন করা হয়- তখন সে বলেতে থাকে-হে গোসল দাতাগণ, আমার দেহে জোরে মর্দন করোনা, কেননা মালাকুল মউতের কঠিন আযাবে আমার দেহ,ক্ষত -বিক্ষত হয়ে গেছে।

যখন মৃতকে কাফন পড়ানো হয় তখন মৃত দেহ বলতে থাকে, হে কাফন দাতাগণ, আমাকে এত তাড়াতাড়ি কাফন পড়াও না, আমার স্ত্রী, সন্তান,আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদেরকে শেষ বারের মত দেখতে দাও।

তাদের সাথে ইহাই আমার শেষ দেখা। কেয়ামতের আগে আর তাদের সাথে আমার দেখা হবে না।যখন মৃত ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়৷

তখন সে বলতে থাকে হে আমার আত্মীয়-স্বজন, তোমাদেরকে আল্লাহর কসম, এত তাড়াতাড়ি আমাকে কবরস্থানে নিয়ে যেওনা, আমার বাড়ি,ঘর, স্ত্রী, কন্যা,সবার কাছ থেকে বিদায় লওয়ার জন্য একটু সুযোগ দাও।

হে আমার আত্মীয় -স্বজন, আমি আমার স্ত্রীকে বিধবা এবং সন্তানদেরকে এতিম করে যাচ্ছি। তোমরা তাদেরকে কষ্ট দিওনা। তাদের প্রতি অবিচার করোনা।

আমি এখন সবকিছু ছেড়ে চলে যাচ্ছি, আর কখনো ফিরে আসবো না। তোমরা তাড়াতাড়ি করোনা, আমাকে সবার কাছ থেকে বিদায় লওয়ার সুযোগ দাও।

যখন মৃত ব্যক্তিকে-গুরস্তানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে বলেতে থাকে হে আমার বংশধরগণ, হে আমার আত্মীয়-স্বজন, হে আমার প্রতিবেশী, তোমরা যেন আমার মত দুনিয়ার মায়ায় পড়ে আরাম আয়েশে আখেরাতের কথা ভুলে যেওনা।

তোমরা লক্ষ করে দেখ, আমি আল্লাহর নাফরমানি করে হালাল হারামের প্রতি লক্ষ না করে,যে ধন দৌলত কামায় করেছিলাম তার কিছুই আমার সাথে যাচ্ছে না। সব ওয়ারীশগণ বন্টন করে নিচ্ছে।

আমার সাথে যাচ্ছে শুধু আমার পাপরাশি। যাদের জন্য আমি পাপ করেছিলাম তারা বিন্দুমাত্র পাপের ভাগ নিচ্ছে না।

যখন জানাজার নামাজ শেষে কিছু লোক চলে যেতে থাকে তখন মৃতব্যক্তি বলতে থাকে- হে বন্ধুগণ তোমাদের সাথে আমার কত ভালবাসা ছিল, এখন কেমন করে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো! দাফনের কাজ শেষ করে আমার জন্য একটু দোয়া করে যাও।

হে বন্ধুগণ-সত্যিই তোমাদের কাছে আজ আমি অপ্রিয় হয়ে গেছি। কিন্তু এমন এক সময় ছিলো তোমরা আমাকে না দেখে এক দিনও থাকতে পারতেনা।টাকা,পয়সা, ধনসম্পদ, সব কিছু তোমাদের জন্য রেখে
যাচ্ছি, আর কোনো কিছু তোমাদের কাছে চাইবো না। শুধু একটু দোয়া করে যাও।

টাকা,পয়সা, সবকিছু আমি রেখে গেছি। ভোগ বিলাসে মক্ত হয়োনা। আমার জন্য কিছু দান-খয়রাত করিও, দোয়া কালাম পড়িও, আমার রুহের উপর বখশিশ দিও।
মনে রেখ, আমার মত তোমাদেরকেও একদিন চলে যেতে হবে। এতো কিছু জানার পরেও আমাদের দুনিয়ার ভোগ বিলাস দুনিয়ার মায়া ছাড়তে ইচ্ছে করে না।

হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করো এবং তুমি আামাদের মাফ করে দাও। 【…আমিন…】❤️

29/03/2025

সবার স্বপ্ন বাড়ি যায় না, কারো কারো স্বপ্ন দেশমাতৃকার শান্তির জন্য ডিউটিতে কেটে যায়।

ঈদ উপহারের সঙ্গে ফুল, আসজের ব্যাতিক্রমী আয়োজনসারি সারি চেয়ারে বসা অসহায় মানুষের হাতে রজনীগন্ধা ফুল। মুখে তৃপ্তির হাসি। ঈ...
23/03/2025

ঈদ উপহারের সঙ্গে ফুল, আসজের ব্যাতিক্রমী আয়োজন

সারি সারি চেয়ারে বসা অসহায় মানুষের হাতে রজনীগন্ধা ফুল। মুখে তৃপ্তির হাসি। ঈদ উপহার হিসেবে নগদ এক হাজার টাকার সঙ্গে একটি করে রজনীগন্ধা ফুল পেয়ে আবেগাপ্লুত তারা। রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের চৌকিদারপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এই দৃশ্য দেখা যায়।

আমরা সমাজের জন্য (আসজ) নামের একটি সামাজিক সংগঠন ৬৫ জন অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে এই ঈদ উপহার বিতরণ করেছে। একইসঙ্গে ছিল দোয়া মাহফিলের আয়োজন।

ভলাকুট গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি মেম্বার) মো. ফরিদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনে বক্তব্য দেন আসজের সভাপতি মালদ্বীপ প্রবাসী ইকতার উদ্দিন ইমরান। সংগঠনের প্রধান পরামর্শক লেখক ও সাংবাদিক সোহরাব শান্তর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান গিলমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভলাকুট ঈদগাহ ও উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গাজীউর রহমান, ভলাকুট আমানিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কাজী খাইরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আরাফাত উল্লাহ, ভলাকুট চৌকিদার পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল কাদির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাতে ফুল ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয় আসজের উপদেষ্টা ও সদস্যরা। বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জালাল উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মো. তৌহিদুল ইসলাম, স্কুল শিক্ষক মো. নুরুল আমিন, ক্বারি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুস ছালাম, মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি ইসলাম উদ্দিন, সোনারু পাড়া মসজিদের ইমাম মো. আতাউর রহমান সোহাগ, হাফেজ মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখকে। এছাড়া আসজ সদস্যদের অভিভাবকদের ফুলসহ শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা অভিনব এই আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, আসজ সংগঠনটি গরীব অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ফুলেল শুভেচছা দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করল। তাদের এই আয়োজন দেখে অন্য কিশোর-যুবকরা উৎসাহিত হবে। সামাজিক অবক্ষয়ের এই সময়ে আসজ সদস্যরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের মহত্বতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। সমাজের অসহায়-অসচ্ছ্বল মানুষও আজকের অনুষ্ঠানে এসে সম্মানিত বোধ করছে। এটা নয়নজুড়ানো এক দৃশ্য। আসজের এই কার্যক্রম দিনে দিনে আরও প্রসারিত হবে বলে বক্তারা প্রত্যাশা করেন।

এ বিষয়ে আসজের সাধারণ সম্পাদক ইতালি প্রবাসী মো. রাসেল মিয়া বলেন, আমরা সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। সংগঠনের প্রতিটি সদস্য আর্থিক সহায়তা ও শ্রম দিয়ে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে সমন্বয়ক মো. বিল্লাল হোসেন, মোস্তফা আলম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মো. খলিল, অর্থ সম্পাদক বাহাউদ্দীন, উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন লিটন, সহ-সভাপতি সোহেল রানাসহ প্রতিটি সদস্য অনেক শ্রম দিয়েছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আমরা সমাজের জন্য (আসজ) সংগঠনটি প্রতিবছর ঈদ উপহার বিতরণের পাশাপাশি দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে আসছে। আসজের বর্তমান কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন উপদেষ্টা মো. আমান উল্লাহ আমান, খোকন সরকার,
সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক
মো. বাবুল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাবলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
মো. রুমান মিয়া, সহ-অর্থ সম্পাদক
মো. রুবেল খাঁ, সহ-প্রচার সম্পাদক জুনায়েদ মিয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক
মো. ওমরাও খান, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. ইয়ার হোসেন, যোগাযোগ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়া, সহ যোগাযোগ সম্পাদক মো. রমজান আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক
মো. শফিউল্লাহ সুমন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, মো. সাইফুল ইসলাম রাব্বি, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক
মোহাম্মদ হৃদয় মিয়া, সহ-প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. জলিল মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. খোকন মিয়া, শিশু বিষয়ক সম্পাদক, মোহাম্মদ আবু ছালেক মিয়া, সহ-শিশু বিষয়ক সম্পাদক, মোহাম্মদ শাহানুর মিয়া,
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. হুমায়ুন মিয়া, সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক
মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। সদস্য হিসেবে রয়েছে মো. দুলাল মিয়া, মো. আনজাল মিয়া, মো. সাদিকুর রহমান সাদেক, মো. সুমন মিয়া, মো. মনির হোসেন, মো. আবুবকর সিদ্দিক, মো. রিয়াজুল ইসলাম, এমডি নয়ন মিয়া, মো. আরিফ মিয়া, মো. ইয়ার খান, মোবারক হোসেন,
মো. শাহিন মিয়া, মো. শামীম মিয়া, মো. জিয়ার খান, মো. ইয়াছিন মিয়া, মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া, মো. আফজাল মিয়া, মো. কামরুল ইসলাম, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. তুজবিরুল হোসেন, মো. শাহ্ আলী, মো. সুমন মিয়া, মো. আবেদ মিয়া, মো. আদেছ মিয়া, মো. সজল মিয়া
মো. মাসুম মিয়া।

Address

Bhalakut, Nasirnagar, Brahmnbaria
Chittagong
3440

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mostafa sohag posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mostafa sohag:

Share