Rasedur Jaman Sohag

Rasedur Jaman Sohag Actor
(1)

22/09/2025

ঠান্ডা মাথায় বাইকটি চুরি করে নিয়ে গেল চোর।

আব্বা মা ঝগড়া লাগছে মা যখন আর কোনো কিছুতে পারতাছিলো না তখন হঠাৎ করেই বলতাছে পোলারে যেই নার্স তোমার কোলে দিছিলো ওই নার্স ...
16/09/2025

আব্বা মা ঝগড়া লাগছে
মা যখন আর কোনো কিছুতে পারতাছিলো না তখন
হঠাৎ করেই বলতাছে পোলারে যেই নার্স তোমার কোলে দিছিলো ওই নার্স রে ৫০০ টেকা কিল্লেগা দিছিলা?
আব্বা: পোলা হইছে ওইখুশি তে দিছি
মা: না, ওই খুশি তে দেও নাই, পোলার খুশিতে দিলে ৫০০ টেকা দিলাওইলে না
আব্বা : তাইলে কিল্লেগা দিছি তুই ক
(আব্বা মা রে তুই কইরা ই ডাকে)
মা: নার্স অনেক সুন্দরী দেইখা দিছিলা, আমি খুব ভালা কইরাই জানি
আব্বা: কিহহহহহহ
বিঃদ্রঃ আমার ভাই ২০০৩ সালে হইছিলো, মেয়ে মানুষ কোনো কিছুই ভুলে না, কোনো পরিস্থিতিতেই না🐸

অফিস থেকে ফিরে আমি তখন রান্নাঘরে রাতের রান্না করছি। আর কল্যাণ রান্নাঘর লাগোয়া ডাইনিং এ বসে  মোবাইলে খুট খুট করছে। এমন সম...
16/09/2025

অফিস থেকে ফিরে আমি তখন রান্নাঘরে রাতের রান্না করছি। আর কল্যাণ রান্নাঘর লাগোয়া ডাইনিং এ বসে মোবাইলে খুট খুট করছে। এমন সময় শাশুড়িমা এসে ছেলেকে বললেন " হ্যাঁরে বাবু, কদিন ধরেই যে বলছি আমার জিনিসকটা এনে দিতে? তোর বাবার জামাকাপড়গুলোও লণ্ড্রিতে দেওয়া আছে। দুবেলা বাজারের ওপর দিয়ে যাওয়া আসা করছিস, একটু এনে দিতে পারিস না? "
কল্যাণ ফোন থেকে মুখ তুলে বলল " হুঁ? ওহ, তুমি ফর্দ দিয়েছিলে না? হ্যাঁ বাবাও অবশ্য বলছিল একবার লন্ড্রি হয়ে আসতে। আসলে কি বলোতো মা, মাসের শেষদিক তো, একটু টানাটানি চলছে, তাই আরকি! খুব আর্জেন্ট তো কিছু নয়, দিচ্ছি এনে দু চারদিন পর" বলেই আবার মোবাইলে ডুবে গেল।
শাশুড়িমা মুখটা ভার করে বললেন " তা বাবা এত টানাটানি। এদিকে দু দিন অন্তর সিনেমা দেখা, বাইরে খাওয়া, কোনোটাই তো বাকি কিছু নেই? পকেটের যত টানাটানি কি মা - বাবার বেলায় হয়ে যায়? সামান্য একটা কারখানায় ছোট চাকরি তোর বাবার, আমি তোকে কম কষ্ট করে তো মানুষ করিনি? আজ মাস দুয়েক হল লক্ষ্য করছি আমি বা তোর বাবা কিছু আনার কথা বললেই তোর কেমন যেন একটা গা ছাড়া ভাব। বিয়ে করেছিস, সংসার বেড়েছে, ঠিক আছে। কিন্তু মা বাবা হিসাবে তোর ওপর কি আমাদের কোনো দাবী নেই?"
কল্যাণ এই কথাটাতে এবার সিরিয়াস হয়ে নড়েচড়ে বসল। ধীর গলায় মৃদু হেসে বলল, " এই কথাটাই তো তোমাকে আগে পইপই করে বোঝাতে চেয়েছি মা। তুমি কিভাবে রিয়্যাক্ট করেছিলে মনে আছে? বিয়ের আগে-পরে তো দূরের কথা,, জীবনের যে কোনো পরিস্থিতিতে সন্তানের ওপর বাবা মায়ের অধিকার বা বাবা মার প্রতি সন্তানের কর্তব্য কখনও কমে না, বরং বেড়ে যায়। সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে...."
শাশুড়িমা গজগজ করতে করতে চলে গেলেন।
কল্যাণের কথাটা শুনে আমার ঠোঁটের ওপর একটা তৃপ্তির হাসি খেলে গেল। বুঝতে বাকি রইল না কল্যাণ সেদিনের ঘটনার উত্তরটা আসলে হাতে না মেরে ভাতে মারলো।
আমি নিশা। সরকারি চাকরি করি। স্বামী কল্যাণ স্কুল টিচার। দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছে প্রায় সাত মাস হতে চললো। বিয়ের পর মাস মাইনে পেয়ে অভ্যাস মত মায়ের হাতে সংসারের খরচ, ওষুধপত্র কিনে দিয়ে এসেছিলাম। বাড়িতে বলেই এসেছিলাম। পরের মাসে মাইনে পেয়ে চারটে ছাপা শাড়ি,ব্লাউজ এনে তার থেকে দুটো শাশুড়িমাকে দিলাম, উনি খুব খুশি হলেন। বললেন" আমার মনের মত রং আর ছাপা হয়েছে। ছেলেটা কিসব শাড়ি আনে, আমার একদম পছন্দ হয় না".. তখন আমি খুব আনন্দ পেয়ে ব্যাগ থেকে আরও দুটো শাড়ি বের করে দেখিয়ে বললাম "এগুলো কেমন হয়েছে দেখো তো? "
উনি হাতে নিয়ে বললেন " বাহঃ খুব মিষ্টি রং। নতুন বিয়ে হয়েছে, তোমাকে খুব মানাবে "।
আমি বললাম " না না মা, এগুলো আমার মায়ের জন্য নিয়েছি। এ মাসের মুদিখানা বাজার, ওষুধ দিতে যাব তো, একেবারে দিয়ে আসব। এই রবিবার যাব। তুমি যাবে আমার সঙ্গে?" হঠাৎ লক্ষ্য করলাম উনি অস্বাভাবিক গম্ভীর হয়ে গেলেন। বললেন " অ.. ঠিক আছে। না আমার যাওয়া হবেনা গো"।
আমিও আমারই মনের ভুল ভেবে ঘরে চলে গেলাম। আমার নিজের উপার্জন, আমার বাবা মা। তাদের দেখাশোনা করব এটা তো খুব স্বাভাবিক। রিয়্যাক্ট করার প্রশ্নই নেই। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় এসে থমকে গেলাম। শুনলাম মা কল্যাণকে বলছেন " দেখ্ বাবু, ও এখন বাড়ির বৌ। এ বাড়ির প্রতি ওর বেশি নজর দেওয়া উচিৎ। কেন আমাদের কি বিয়ে হয় নি? আমরা শ্বশুর বাড়িতে থেকে, খেয়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে সব ধরে দিয়ে এসেছি? আমাদের মা বাবা মেয়ের থেকে কিছু নিতেনও না। এ আবার কেমনধারা শিক্ষা ! বাবা মাই তো বারণ করবে। প্রত্যেকমাসে কাপড় জামা, জিনিসপত্র এমনকি গ্যাস সিলিণ্ডারের টাকাটাও দিয়ে আসতে হয়? বিবাহিত মেয়ের টাকা হাত পেতে নিতে লজ্জা করে না?".... মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিল আমার। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু তাতে তুমুল বাগবিতণ্ডা, ঝগড়া অশান্তি,এমনকি কথা বন্ধ হয়ে গেল। বাড়িতে একটা দমবন্ধকর পরিবেশ। তার দুদিন পর হঠাৎ কল্যাণ মা আর আমাকে মুখোমুখি বসিয়ে বলল " বেশ, মায়ের যখন পছন্দ নয়, তখন তুমি ওবাড়ির ভাগের সংসার খরচের পুরো টাকাটাই আমার মায়ের হাতে তুলে দেবে। এতে সব শান্তি বজায় থাকবে "। আমি কিছু বলতে গেলে হাত দিয়ে থামিয়ে বলল " আমি বলছি এতে শান্তি থাকবে, যেটা বলছি শোনো"। দেখলাম শাশুড়িমায়ের ঠোঁটে বিজয়ের হাসি, মনে শান্তি, মুখে মধু ঝরছে। আমার মাথায় ঢুকলোনা ও কেন এমন করল! অনেক জিজ্ঞাসা করেও আমাকে খুলে কিছু বললনা। এভাবেই কেটে গেছে আরও চারটে মাস। জানিনা বাবা মায়ের কিভাবে চলছে। জিজ্ঞাসা করলেই মা শুধু বলে "আমাদের ঘরে জিনিস উপচে পড়ছে। এত চিন্তা কেন করিস তুই? কল্যাণ খুব ভালো ছেলে, মন দিয়ে সংসার কর।"

একটু পরেই রাতের টেবিলে খাবার দিলাম। খেতে খেতে শ্বশুর মশাই কল্যাণকে বললেন " আজকাল তোমার বড্ড বেশি টানাটানি যাচ্ছে শুনছি। এখনই জমানোর বয়স।উল্টোপাল্টা টাকা বেশি খরচ কোরো না। কোথায় কি করছো বলোতো? যথেষ্ট পরিমাণে মাইনে পেয়েও মাসের শেষে তোমার হাতে টাকা থাকে না? সংসার খরচ তো অর্ধেকের বেশিটা বৌমাই দেয়। তারপরেও এত শর্ট হয় কিভাবে? "
কল্যান অম্লানবদনে বলল " শ্বশুরবাড়িতে দিয়েছি" ! শ্বশুরমশাই হতবাক হয়ে বললেন "মানে?"
আমিও শুনে ততটাই অবাক হয়ে গেলাম ! কি বলছে এই লোকটা?
-- ও আরও বলছে " নিশার যদি বিয়ের পরে এ বাড়ির দায়দায়িত্বটাই বড় হয়, তাহলে একই ফর্মুলায় আমারও তো ওবাড়ির প্রতি দায়-দায়িত্ব আছে। তাই আমি ঠিক করেছি এখন থেকে এ বাড়ীর যাবতীয় দায়িত্ব নিশা পালন করবে, আর ওবাড়ির আমি। তাহলে তো আর তোমাদের অভিযোগের কোন জায়গা থাকবে না?"
শ্বশুরমশাই ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে আহত চোখে তাকিয়ে রইলেন। কিছু বললেন না। কিন্তু কথা বললেন শাশুড়ি মা।
উনি কাঁপা কণ্ঠে বললেন " বুঝেছি। আসলে কি বলতো বৌমা, দোষটা আমাদেরই। আমাদের তো নিজের কোন আয় ইনকাম ছিলনা, আমাদের সময় এটাই রেওয়াজ ছিল মেয়ে তোমার বিয়ে হয়ে গেছে মানে তুমি পরঘর হয়ে গেছো। নমাসে ছমাসে মা বাবাকে চোখের দেখা দেখতে যাবে, যেটুকু হাতে দেওয়ার স্বামী দিলে সেটুকু দেবে, না দিলে দেবে না।বাবা মায়ের কষ্ট দেখে বুক ফেটে গেলেও সেসব মনে নেবে না। এই চিন্তাধারাটা থেকেই আমরা শাশুড়িরা বের হতে পারিনি। তাই এখনকার মেয়েদের বাপের বাড়ি প্রীতি দেখলে আমরা সহ্য করতে পারি না। "
আমি হেসে বললাম " আপনার এই মনে হওয়াটা খুব স্বাভাবিক মা,কারণ আপনারা ওই ভাবেই অভ্যস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু একটা জিনিস ভাবুন, ছেলের মত মেয়ে কেও তো একজন মা-বাবা একইরকম কষ্ট করে মানুষ করে। ছেলের বাবা মার মত তারাও অথর্ব হয়। ছেলের বাবা মার মত তাদেরও সাপোর্ট দরকার হয়। সাবালক হয়ে সেই মেয়ের কি কর্তব্য নয় বাবা মাকে দেখে রাখা? আপনিও তো কারোর মেয়ে ছিলেন, আপনার কি একবারও মনে হয়নি মা-বাবাকে হাতে করে কিছু তুলে দিতে? আর আমি তো নিজে উপার্জন করি, আমি আমার মা বাবাকে দেখব না? এতে অন্যায়টা কি বলুন না? "
শ্বশুর মশাই এমনিতে খুব মজার মানুষ..ইমোশনাল সিন হয়ে যাচ্ছে দেখে ছেলেকে বললেন " শ্বশুর বাবাকে দেখাশোনা করছো খুব ভালো কথা, সঙ্গে নিজের বাবাটাকেও একটু মনে রেখো।"
কল্যাণ হাত মুঠো করে ওপরে তুলে বলল " সে যাইহোক, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ !"
আমরা সবাই হেসে উঠলাম....

উচিত জবাব

#গৃহবধূ #হাউজওয়াইফ গল্প ও কবিতায় কন্ঠে বর্ষা

মেয়েদের সাথে চ্যাট করার সময় সে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন১.আইডিতে এড হবার সাথে সাথেই টেক্সট করবেন না মিনিমাম একমাস আইডি ফলো ক...
16/09/2025

মেয়েদের সাথে চ্যাট করার সময় সে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

১.আইডিতে এড হবার সাথে সাথেই টেক্সট করবেন না মিনিমাম একমাস আইডি ফলো করবেন পোস্টে রিএ্যাক্ট কমেন্ট করবেন যখন মোটামুটি একটা ফেইসভ্যালু ক্রিয়েট হবে একদিন কোন পোস্টের সূত্র ধরে নক দিবেন৷

২.মেসেজ করেই ইন্টারভিউ নিতে যাবেন না,শুরুর দিকে যতোটা সম্ভব ফানি কনভারসেশন চালিয়ে যাবেন, মোটামুটি একটা সম্পর্ক হয়ে যাবার পরে আস্তে আস্তে ব্যাক্তিগত ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবেন

৩.হাই হ্যালো কি করেন,খাইছেন কিনা ঘুমাইছেন কিনা ইত্যাদি ফালতু টাইপ কথা কম বলবেন এতে মেয়েরা বিরক্তবোধ হয়,কথা বলাও বন্ধ করে দিতে পারে

৪.কোন মেয়ে যদি সদ্য ব্রেকাপ করে থাকে তাহলে তাকে ভাল করে স্বান্তনা দিন কারন ব্রেকাপের পরে যে ছেলে ভাল স্বান্তনা দিতে পারে তার সাথেই পরে অই মেয়ের প্রেম হয়..

৫.কোন মেয়ে প্রেম করেন কিনা জিঙ্গেস করলে কখনো না বলবেন না,সবসময়ই বলবেন একজনকে ভালবাসতেন বাট সে অন্য কোন প্রতিষ্ঠিত ছেলে পেয়ে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে,এতে করে মেয়েটা আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে..

৬.কোন মেয়েকে যখন প্রপোজ করা হয় তখন সে উল্টো প্রশ্ন করে তাকে কেনো আপনার ভাললাগে?যারা এই প্রশ্নের যতো সুন্দর করে গুছিয়ে উত্তর দিতে পারে তার প্রেম হয় নতুবা হয়না..

৭.মেয়েদের যতো পারেন প্রসংসা করবেন,মানুষ মাত্রই প্রসংসা শুনতে চায়,একটা কালো মেয়েকেও সুন্দর বললে সে মনে মনে খুশি হই..ছবি দেখলে রুপের প্রসংসা করেন আর ছবি না দেখলে মন-মানসিকতার প্রসংসা করুন..

৮.কোন বিষয়ে ভুলেও কোন মেয়ের সাথে তর্ক জড়াবেন না,সহমত ভাই হয়ে সবকিছুতেই মেয়েটাই সঠিক এমন ভাব নিয়ে চলতে হবে..একবার পটে গেলে তখন সহমত ভাই দ্বিমত ভাইও হয়ে যেতে পারবেন

৯.ভুলেও কোন মেয়ের সাথে অন্য মেয়ের প্রসংসা করতে যাবেন না কারন মেয়েরা নিজের কাছে অন্য মেয়ের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করেনা,মেয়ের বান্ধবী বা কাজিন নিয়ে টু শব্দও করবেন না

১০.বাংলায় মেসেজ টাইপ করবেন,যদি পারেন কবি সাহ্যিতিকদের মতো একটু গুছিয়ে সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করবেন কারন মেয়েরা ছেলেদের রূপ সৌন্দর্যের চেয়েও কথার প্রেমে বেশী পড়ে

- সংগৃহীত

হাঁড়ি চেঁছেপুঁছেও পেট ভরার মত ভাত হল না। হতাশ চোখে একবার হাঁড়ির দিকে তাকাল সুলোচনা। দুপুরে সবার খাওয়া হয়ে গেছে , সেই শুধ...
10/09/2025

হাঁড়ি চেঁছেপুঁছেও পেট ভরার মত ভাত হল না। হতাশ চোখে একবার হাঁড়ির দিকে তাকাল সুলোচনা। দুপুরে সবার খাওয়া হয়ে গেছে , সেই শুধু বাকি।বাড়ির বড় বউ বলে কথা, রান্না বান্না করে সবাইকে খাইয়ে তবে না ওর খাবার পালা!

থালাতে বেড়ে রাখা ভাতের দানাগুলোর দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকাল সে। পেটে তো রাক্ষসের মত খিদে , এইটুকুতে কি পেট ভরবে! দু মাসের শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হয়, দুটো পেটের খোরাক তো লাগে।

এঁচোড়ের ডালনা অনেক খানি রয়ে গেছে। দু রকমের মাছ রান্না হয়েছে বলে এঁচোড় খায় নি অনেকেই। শাশুড়ি মা দেখলে গজগজ করবেন। এ বাড়িতে এক বেলার রান্না আরেক বেলাতে খায় না কেউ। প্রতিবেলার রান্নার জন্য শাশুড়ি মা নিজে আন্দাজ করে চাল , ডাল, সবজি বের করে দেন ভাঁড়ার থেকে। একটুও অপচয় উনি পছন্দ করেন না। কতদিন তরকারি বেশী রয়ে গেলে শাশুড়ির ভয়ে বাড়ির পেছনে পুকুরে ফেলে দিয়ে এসেছে সুলোচনা।

এঁচোড়ের তরকারিটা আজ ফেলে না দিয়ে নিজের পাতে ঢেলে নিল। এতেই অনেকটা পেট ভরে যাবে। গোগ্রাসে খাবারগুলো গিলছিল, শাশুড়ি মায়ের গলার আওয়াজে চমকে উঠল।

" এ কী! এতোগুলো এঁচোড় রয়ে গেছে!"

" আসলে এঁচোড় খায় নি অনেকেই !" আমতা আমতা করে সুলোচনা ।

" তুমি এখনও পরিবেশন করা শিখলে না!"

সুলচনা চুপ করে থাকে। তিনি আড় চোখে ছেলের বৌয়ের থালার দিকে তাকালেন।

"এই এত্তগুলো এঁচোড় নিয়ে নিলে! শোনো মেয়ে, এরকম সময়ে মায়েদের এমন‌ই রাক্ষুসে খিদে হয়। খিদেকে বশে রাখতে না পারলে পেট কিন্তু জালা হয়ে যাবে! হাজার খেয়েও পেট ভরাতে পারবে না তখন।"

যেন ভয়ঙ্কর অপরাধ করে ফেলেছে , এভাবে মাথা নিচু করে থাকে সুলোচনা। যদিও বুঝতে পারে না ওর পাতে ভাত এত কম কেন , এ নিয়ে শাশুড়ি মায়ের মনে কোনো প্রশ্ন এল না কেন।

খুঁজে পেতে জর্দার কৌটোটা বের করে নিতে নিতে শাশুড়ি বেজার গলায় বলেন,

"এত করে বলি পরিবেশন করার সময় খেয়াল রেখো তরকারি যেন পড়ে না থাকে। জিনিষপত্র নষ্ট হলে খারাপ লাগে বোঝো না! বাবার জমিদারি ছিল তো , এসব বুঝবেই বা কী করে ! "

মোক্ষম খোঁচাটা মেরে বেরিয়ে গেলেন তিনি। কষ্ট হলেও কিছু বলতে পারে না সুলোচনা। সত্যিই ওর বাবা গরীব। অনেক অভাব দেখে বড় হয়েছে। কিন্তু কখনও খাওয়ার কষ্ট সহ্য করতে হয় নি। শাক ভাত , আলু সেদ্ধ ভাত , যখন যেমন হোক , পেট ভরে খেতে পেয়েছে। এ ভাবে পেটে খিদে নিয়ে খাওয়ার খোঁটা সহ্য করতে হয় নি।

এ বাড়িতে আসার পর যেচে পুরো সংসারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সুলোচনা। বাপের বাড়িতেও কম কাজ তো করত না। কাজ করতে কোনো ক্লান্তি নেই ওর। কিন্তু এরকম ছোট ছোট অপমান গুলো বড্ড মনে লাগে।

হাত মুখ ধুয়ে রান্নাঘরে শেকল তুলে নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমন্ত দু মাসের ছেলেকে কোলে তুলে নিয়েছে সবে , ননদ খুকু এসে ঢুকল। ওর মুখ হাসি হাসি। যেন খুব মজার কথা শুনে এসেছে।

" বৌদি ! তুমি নাকি আজ এত্তগুলো এঁচোড় একা একাই খেয়ে নিয়েছ ! খেলে কী করে গো! "

"খেয়েছে ভালো করেছে ! বৌদির পেট , বৌদি খেয়েছে। তোর তাতে কী রে ! দাদাকে বলে দেব এবার বাড়ি আসার সময় যেন এত্ত বড় একটা এঁচোড় নিয়ে আসে।" পেছন থেকে ছোট দেওর ফুট কাটে।

সম্মিলিত হাসির ঝড় বয়ে যায়। লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে হয় সুলোচনার। ওদের একবারও মনে হল না এতগুলো তরকারি ও একা একা খেল কেন! ওদের বুঝিয়েও লাভ নেই। কিছুই বুঝবে না, মাঝখান থেকে সুলোচনা আবার হাসির পাত্রী হবে। ওরা তো দূর , স্বামীই কি কিছু বোঝে! বাড়ি আসে যখন, কিছু বলতে গেলেও বুঝতে চায় না। উল্টে সুলোচনাকেই বোঝায়,

" তোমার ভুল হচ্ছে গো ! আমার মা মোটেই অমন নন। একটু মানিয়ে গুছিয়ে চললেই দেখবে সব ঠিক আছে। "

আর কিছু বলার ইচ্ছে থাকে না তখন। বড্ড অভিমান হয়।স্বামীর কান বিষিয়ে তুলতেও রুচি হয় না। ভাবে , একটু সহ্য করে নিলেই তো হয়। মেয়েদের জন্মই হয়েছে সহ্য করার জন্য।

---------------

ঘরে বসে ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে মুড়ি ভাজার সুগন্ধে প্রাণ আনচান করছিল সুলোচনার। শাশুড়ি মা মুড়ি ভাজছেন। ক্ষেতের ধানের মুড়ি। বড্ড খেতে ইচ্ছে করছে এক মুঠো। ননদ দেওররা রান্নাঘরে ভিড় জমিয়েছে। গরম গরম সদ্য ভাজা মুড়ি মাখা হচ্ছে ক্ষেতের কচি শশা দিয়ে। সঙ্গে পেঁয়াজ কাঁচালঙ্কাও আছে।জিভে জল এসে যায় সুলোচনার।

ছেলের জন্মের পর থেকে পেটে যেন সবসময় খিদে লেগেই থাকে। কিন্তু এখন তো খেতে পাবে না। শাশুড়ি মা বলেন বাড়ির বউদের যখন তখন খেতে নেই। তিনি নিজেও খাবেন না। কাল সকালের আগে ওই মুড়ি সুলোচনার ভাগ্যে নেই। বাড়ির বউ হলেই কি খাওয়ার ইচ্ছে উবে যায়!

রাতে রান্না করার সময় চুপি চুপি একবার মুড়ির টিনটা খুলে দেখল। সাদা সাদা ফুলকো ফুলকো মুড়ি। কী সুন্দর দেখতে! নতুন ভাজা মুড়ির কী সুবাস! একমুঠো মুখে পুরে দেওয়ার লোভ কোনোমতে সামলে নেয় সে।

রাতে সবার খাওয়া হয়ে যেতে রান্নাঘরের কাজ সেরে বেরিয়ে যাবার সময় হঠাৎ ওর মনে হল অল্প একটু মুড়ি লুকিয়ে ঘরে নিয়ে যাবে। লোভ সামলানো বেজায় দায়। সাবধানে চারপাশে তাকিয়ে মুড়ির টিনটা খুলে বেতের ছোট্ট ধামাতে কিছু মুড়ি ভরে নিল। শাড়ির আঁচলের তলায় ওটা লুকিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে গিয়েই চমকে উঠল। ননদ খুকু ঢুকছে রান্নাঘরে।

" বৌদি, মা বলল দুধটা আবার একবার জ্বাল দিয়ে দিতে ! "

" আচ্ছা ! " মাথা হেলাল সুলোচনা। ওর বুক ধড়াস ধড়াস করছে।

চলে যেতে গিয়েও ঘুরে তাকাল খুকু।

" তোমার আঁচলের নিচে কী লুকিয়েছ ? "

" কিছু না তো ! " সুলোচনার মুখ সাদা।

" কিছু না ! স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কিছু একটা লুকিয়ে রেখেছ! "

" না না ! কিচ্ছু না ! "

খুকু এগিয়ে এসে জোর করে শাড়ির আঁচল সরিয়ে ধামা ভরা মুড়ি আবিস্কার করে ফেলল। কিছুক্ষণ হাঁ করে রইল সে। তারপরেই শুরু হল হাসি।

" মা, দেখে যাও তোমার ছেলের বউয়ের কাণ্ড! চুরি করে মুড়ি খাচ্ছেন তিনি!" হাসতে হাসতে গড়িয়েই পড়ে খুকু।

বাড়ি শুদ্ধু সবাই এসে জড়ো হল রান্নাঘরে। চলল হাসাহাসির ধুম। শুধু শ্বশুর মশাই বললেন ,

"তখন সবাই মিলে মুড়ি মেখে খেলাম। ওকেও তো একটু দিতে পারতে!"

" ভর সন্ধেবেলায় ও কেন খাবে ! আমি খেয়েছি নাকি ! " শাশুড়ি ফুঁসে উঠলেন।

" আহা ! ও তো একটা বাচ্চা মেয়ে ! খেতে ইচ্ছে করবে না!"

" বাড়ির বৌয়ের এত লোভ কিসের!"

শ্বশুর মশাই চুপ করে গেলেন। সুলোচনা লজ্জায় মাথা তুলতে পারছিল না। কেন যে এমন বোকার মত কাজ করল! লোভটা কি সামলে রাখা যেত না একটু!

দিন সাতেক পর এক বিকেল বেলা অজয় এসে হাজির। সবার জন্যেই কিছু না কিছু নিয়ে এসেছে। ওকে ঘিরে কলরব করছে সবাই। সুলোচনা দূর থেকে দেখছিল মানুষটাকে। বুকের মধ্যে তখন থেকে চলছে লাবডুব লাবডুব। কতক্ষনে কাছে পাবে ওকে!

সন্ধে গড়ানোর পর ঘরে ঢুকল অজয়। ছেলে ঘুমিয়ে কাদা তখন। একবার ছেলের মাথায় হাত রেখে আদর করল। তারপর সুলোচনার দিকে তাকিয়ে হাসল।

" কেমন আছ ? "

" ভালো! কিন্তু তুমি অমন রোগা হয়ে গেছ কেন ? ভালো করে খাও না নাকি! "

" প্রতিবার সেই একই কথা ! রোগা কেন হব ! আমি খুব ভালো করেই খাওয়া দাওয়া করি! রোগা তো তুমি হয়েছ ! " অজয় তাকিয়ে আছে।

" বাচ্চা হ‌ওয়ার পর একটু অমন হয়ই!" গম্ভীর মুখে বলল সুলোচনা ।

" তাই বুঝি ! " হেসে ফেলল অজয়।

লজ্জা পেয়ে সুলোচনা বলল,

" আমি রান্নাঘরে যাই। কাজ আছে!"

রাতে ভাত খেতে বসেছিল সবাই। অজয় আসাতে অনেক কিছু রান্না হয়েছে আজ। সুলোচনা পরিবেশন করছিল। খুকু হঠাৎ হাসতে হাসতে বলল ,

" তোর বউ চোর রে দাদা ! "

" মানে ! " চমকে উঠেছে অজয়।

" চুরি করে মুড়ি খেতে গেছিল। " খুকু এখনও হাসছে।

অজয় হাঁ করে তাকিয়েছিল। পুরো ব্যাপারটা বেশ মজা করে করে বলা হল ওকে। সুলোচনার মুখ কালো হয়ে ছিল। সবটা শুনে অজয় কিন্তু হাসল না। গম্ভীর হয়ে গেল। মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল ,

" ওকে চুরি করে খেতে হল কেন মা ! "

শাশুড়ি চট করে জবাব দিতে পারলেন না। বাকিরাও চুপ হয়ে গেছে। অজয় আর একটাও কথা না বলে চুপচাপ খেয়ে উঠে গেল। সবার মুখে একটা অস্বস্তির ছাপ।

রাতে নিজের ঘরে বন্ধ দরজার ভেতরে অজয় বৌকে বলল ,

" তুমি কি নিজের ইচ্ছে মত খেতে পাও না !"

সুলোচনা কেঁদে ফেলল হুহু করে। অজয় সেদিকে তাকিয়ে আরও গম্ভীর হয়ে গেল। কিছুদিন বাড়িতে কাটিয়ে ফিরে যাবার সময় মাকে বলল ,

" দু তিন মাস পর আমি এসে সুলোচনাকে নিয়ে যাব!"

চমকে উঠলেন অজয়ের মা। ছেলে তো এই দু বছরে কখনও বউকে নিয়ে যাবার কথা বলে নি ! ভয়ে ভয়ে বললেন ,

" কেন রে বাবা!"

" আমার ওখানে একা একা থাকতে কষ্ট হচ্ছে মা!"

চুপ করে রইলেন তিনি। ছেলে হঠাৎ কেন এই কথা বলছে , কিছুটা আঁচ করতে পারছেন। কিন্তু কিছু বলার সাহস নেই। ছেলেও যে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না জানেন। বড্ড চাপা তাঁর বড় ছেলে।

সুলোচনা যেন আচ্ছন্ন হয়ে ছিল একটা ঘোরে। সত্যিই কি অজয় ওকে নিয়ে যাবে! স্বামীর ওপর বড্ড অভিমান ছিল ওর। ভাবত স্বামী ওকে বোঝে না। এখন মনে হচ্ছে ও নিজেই বুঝতে পারে নি মানুষটাকে।

আর কেউ না বুঝলেও অজয় ঠিক বুঝতে পেরেছে ওর কষ্টটা। দীর্ঘদিনের অসম্মানের জীবন থেকে মুক্তি আসছে অবশেষে। ছলছল কৃতজ্ঞ চোখে বরের দিকে তাকাল সে। অজয়‌ও গভীর মমতায় তাকিয়ে ছিল রোগা বৌটার দিকে।‌ একটু দেরি হয়ে গেল ওকে বুঝতে। তা হোক, বুঝতে যখন পেরেছেই, শক্ত দুখানা হাতে আগলে রাখতেও পারবে বাকি জীবনটা।

#গল্পের_শেষটা

#একটা_মেয়ের_এলোমেলো_কথা #স্বাবলম্বী #গৃহবধূ গল্প ও কবিতায় কন্ঠে বর্ষা

মৌ দু'বার কবুল বলেছে! তৃতীয়বার কবুল বলা সময় ' রাইসা ' সকলের পাশ কাটিয়ে, সবার সামনে মৌকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলে '...
10/09/2025

মৌ দু'বার কবুল বলেছে! তৃতীয়বার কবুল বলা সময় ' রাইসা ' সকলের পাশ কাটিয়ে, সবার সামনে মৌকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলে 'আম্মু তুমি বাবাইকে রেখে এ বিয়ে করো না। বাবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসে ! জানো মম বাবাই তোমাকে ছাড়া বাঁচবে না। তোমার ছবি বুকে নিয়ে বাচ্চার মতো কাঁদে! এই যে কাজি সাহেব, আমার মম এটা। আপনি প্লিজ বিয়ে পড়াবেন না। আমার মম বাবাইকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। এই যে আঙ্কেল বর সেজে বসে আছেন কেন? আপনি জানেন না এটা আমার মম! আপনি এতো পঁচা কেন। আর আপনারা সবাই হা করে তাকিয়ে আছেন কেন? আপনারা জানেন না এটা আমার মম।

-এমন সময় মৌ এর বাবা আসাদ সাহেব, রাইসার মুখে ঠাস করে চ*ড় বসিয়ে দেয়! ছোটলোকের বাচ্চা তুই ছোটমুখে বড় কথা বলিস কেমনে রে? সাড়ে ছয় বছর বয়সী রাইসা চ*ড় খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। রাইসা করুণ চোখে মৌ এর দিকে তাকায়। মনে মনে ভাবে তার মম তাকে বুকে জ"ড়িয়ে নিবে। কিন্তু না! আমি ক্র্যাচে ভর করে বিয়ে বাড়িতে ঢুকলেই বু*কের ভেতরটা কেমন করে ওঠে! মনে হচ্ছে বক্ষটা আমার অনলে পুড়ে যাচ্ছে। রাইসা মাটিতে পড়ে আছে। চ"ড়টা এতোই জুরে ছিল। রাইসার ঠোঁ*ট কে*টে র*ক্ত বের হয়ে যায়। রাইসার কাছে যেতেই রাইসা র*ক্ত*মাখা মুখ নিয়ে বলে ওঠে বাবাই, ' মম আমাকে আর তোমাকে রেখে অন্য আরেকটা বিয়ে করছে! এখন আর মম আমাকে আদর করবে না। আচ্ছা বাবাই আমি কি দেখতে খুব পঁচা? দেখ বাবা আমার ঠোঁট কে*টে র*ক্ত বের হচ্ছে। তুমি কষ্ট পেয়ো না বাবা। আমাকে বুকে নাও তো। আমি ক্র্যাচটা ফেলে দিয়ে দু'হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললাম ' মারে, তোকে না বলেছিলাম এখানে না আসতে। তুই কেন আসলি। রাইসার র*ক্ত*মাখা মুখটা আমার হৃদয়ে থাকা ছোট্ট ঘরটাকে তছনছ করে দিচ্ছে! রাইসার গালে পাঁচ আঙুলের ছাপটা যেন আমার কলিজায় দেখা যায়। রাইসা যে আমার কলি*জার টু*করা! দু'চোখ বেয়ে ধরধর করে পানি বের হয়ে যায়। মৌ এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম মৌ মাথাটা নিচু করে বসে আছে। বিয়ের সাজে মৌকে খুব সুন্দর লাগছে। আকাশের চাঁদটা আজ আকাশে নেই। জমিনে নেমে এসেছে। মৌকে এতো সাঁজতে কোনদিন দেখিনি। আমার সাথে মৌ-এর যখন বিয়ে হয়। তখন একপাতা টিপ আর টাউনহল মার্কেট থেকে ৫৬০ টাকার একটা শাড়ি ছাড়া কিছু দিতে পারিনি। আজ মৌ দেবী মূর্তির মতো সেজেছে!

বিয়ে বাড়ির সবাই অবাক চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
- এই রহিম, শরিফ তোরা কি করছিস? এই ছোটলোকের বাচ্চাটা কিভাবে ঢুকল! বের করে দে এদের।
- আমি রাইসাকে বললাম চল মা! তোর মায়ের বিয়ে দেখা তো শেষ হলো?
- কি হলো আপনারা যাবেন, নাকি ঘাড় ধা*ক্কা দিয়ে বের করে দিব? । আপনাদের জন্য আমাদের কথা শুনতে হলো।

- আঙ্কেল আমার বাবাইকে বকো না। দেখ না আমার বাবাই হাঁটতে পারছে না। আমার বাবা কান্না করছে। আমরা আর আসব না বড় লোকের বাড়িতে।
- রাইসার কথা শুনে দাড়োয়ানের চোখে পানি চিকচিক করছে।
- আমি ক্র্যাচে ভর করতে করতে নরক পল্লী থেকে বেরিয়ে একটা সিএনজি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসার পর রুমে মৌ এর ছবিটা দেখে কষ্টটা নতুন করে আবার চাড়া দিয়ে ওঠল! রাতে শুয়ে আছি রাইসা আমার বুকে শুয়ে আছে। আমি রাইসার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। রাত ন'টা বাজে, হঠাৎ বুজতে পারলাম রাইসা কাঁদছে।
রাইসার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললাম' তুই না আমার মা। তবে কাঁদছিস কেন?

-বাবাই জানো আজ যখন নানু আমার গালে চ*ড় মে*রে রক্তাক্ত করল। তখন মম কিছুই বলল না। মম ওই পঁচা আঙ্কেলটাকে বিয়ে করে নিল। বাবা তুমি কষ্ট পেয়ে না। আমি তোমায় ছেড়ে কোথাও যাবো না।
- হুম মা! জানি তো। এখন ঘুমুবে কান্না করবে না। রাইসা ঘুমাচ্ছে।
আমি হারিয়ে গেলাম সাত বছর আগে।
-মৌ এর সাথে কলেজে পরিচয়। তারপর বন্ধুত্ব। আর বন্ধুত্বটা একটা সময় ভালবাসার রুপ নেয়। মৌ তখন আমাকে ভীষণ ভালবাসত। আমি একটু ইগনোর করলে পা*গ*লের মতো হয়ে যেত। একদিন মৌ আমার মেসে ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে আসে। মৌকে জিজ্ঞেস করলে মৌ আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে ' রাজ আমার বাসা থেকে বিয়ে টিক করেছে। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম'ছেলে কি করে?'
- ছেলে আমেরিকার সিটিজেন!
-আলহামদুলিল্লাহ্! মৌ তুমি বিয়েটা করে নাও।আমাদের সম্পর্কের কোন ফিউচার নেই। তুমি চলে যাও বাসায় প্লিজ।
- মৌ আমার গালে চ*ড় বসিয়ে দিয়ে বলে' রাজ তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না। তুমি যদি বিয়ে না করো তাহলে আমার সু*সাইড করা ছাড়া কোন উপায় নেই। সেদিন মৌ এর জেদের কাছে হার মেনে মৌকে বিয়ে করে নেয়।

- ঢাকা থেকে চট্রগ্রামে চলে যায়। একটা প্রাইভেট কম্পানিতে ভালো একটা জব হয়। আমাদের ঘরটা ভালবাসায় ভরে ওঠে। বছর খানেক পরই আমাদের ঘর আলোকিত করে রাইসা আসে। খুব সুন্দর একটা সংসার। আমার কাছে মনে হচ্ছিল জান্নাতের একটা অংশ! কিন্তু একদিন অফিস থেকে ফেরায় পথে একটা মাইক্রো পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। ভাগ্যিস বেঁচে যায়। কিন্তু জীবন থেকে হারিয়ে যায় অনেক কিছু! হসপিটালে প্রায় ছয়মাস খানেক ছিলাম। চাকরিটাও চলে যায়। এদিকে মৌ আমার দুরবস্থায় একটা প্রাইভেট কম্পানিতে P.A পদে যোগ দেয়। এদিকে একসিডেন্টে আমার ডান পা টাও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। মৌ এর রোজগারের উপর প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভর হয়ে পড়ি।

-কিছুদিন পর রাইসার পঞ্চম জন্মবার্ষিকীতে মৌ এর বস জনাব সাইফ সাহেব আসেন। লোকটা এসে রাইসাকে কুলে তুলে নেয়। খুব মিশুক একজন মানুষ। মাঝে মাঝেই মৌ এর মুখে তার গুনকীর্তন শুনি।

- দিনগুলো ভালোই কাটতেছিল। হঠাৎ একদিন মৌ ফোন দিয়ে বলল তার আসতে রাত হবে। আমি আর কিছু বললাম না। রাত নয়টায় দিকে মৌ বাসায় আসল। মৌকে বললাম' এতো রাত পর্যন্ত কি করলে? মৌ সোজা সাপ্টা উওর দিল অফিসে কাজ ছিল।

- এতো রাত পর্যন্ত কিসের কাজ তোমার ?
-তুমি কিন্তু আমাকে সন্দেহ করছ।
- এটা সন্দেহ না। আমি শুধু জানতে চেয়েছি।
- আমি তোমাকে কৈফিয়ত দিতে পারব না। আমার টায়ার্ড লাগছে।
- রাতে ঘুমিয়ে গেছি হঠাৎ ফিস ফিস আওয়াজে ঘুম ভাঙল। পাশ ফিরে দেখি মৌ এতোরাতে কার সাথে যেন কথা বলছে। হঠাৎ মৌ বলল ' স্যার আপনি এতো দুষ্ট তা তো আগে জানতাম না। আজ যা করলেন।
- আমি আর কিছু শুনতে চাইলাম না। কারণ এসব সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

দু'হাতে কান ধরে আছি। আর মনে মনে বলছি, হারয়ে ভালোবাসা! নিমিষেই চোখের কোণে জল এসে গেল! নদিতে বর্ষায় যেমন বান আসে।তেমনি আমার চোখে বান এসেছে!

-পরের দিন মৌ, আমার দেয়া নীল শাড়িটা পড়ে ব্যাগপত্র গুছিয়ে বলল ' রাজ অফিসের জরুরী কাজে কক্সবাজার যাবো। তুমি রাইসাকে দেখো। পরশু এসে পড়ব। আমি কিছু বললাম না। শুধু অভিশপ্ত পা টার দিকে তাকালাম! মুচকি হেসে বললাম ' বিধাতা কোন খেলা খেলছ এই অর্ধমের সাথে। '

- এদিকে দু'দিন পর মৌ এসেই রাইসাকে কুলে তুলে নিল।
মম আমার জন্য কি নিয়ে আসছো?
- তোমার জন্য অনেকগুলো চকলেট নিয়ে আসছি। আমি মা-মেয়ের কথোপকথন শুনে হাসলাম। মনে মনে বললাম চিরদিন যেন এ মমতায় বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। মৌ আমাকে দেখে কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেল।

- পরের দিন হঠাৎ করেই দিনের বেলা কাপুনী দিয়ে জ্বর এসে গেল। জ্বরে সহ্য করতে পারছি না। রাইসা পাশের রুমে টিভি দেখতে ছিল। রাইসাকে ডাক দিলাম। রাইসা কাছে এসে বলল' বাবাই ডেকেছ আমায়? হ্যাঁ মা। তোমার মমকে ফোন দিয়ে বলো তো ' বাবাই খুব অসুস্থ! রাইসা মৌকে কয়েকবার ফোন দিতেই মৌ ফোন রিসিভ করেই ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল'
কেন ফোন দিয়েছ? '
-মম বাবাই খুব অসুস্থ, তুমি আসো! বাবাই জ্বরে কেমন করছে!

- মামনি তোমার বাবাইকে বলো ডক্টর দেখাতে। আমার আজ একটা পার্টি আছে। রাইসা ফোনটা কেটে দিল।

- বাবাই চলো তোমাকে নিয়ে হসপিটালে যাবো। রাইসার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিলাম। মেয়ের আকুতি শুনে, না করতে পারলাম না। বিকেল বেলা হসপিটালে ব্লা*ড টেস্ট করে ধরা পড়ল ' আমার টাইফয়েড জ্বর হয়েছে! ডাক্তার পেসক্রিপশন লিখে দিল। ওষুধ নিয়ে হসপিটাল থেকে বের হয়ে রিক্সা করে যখন বাসায় আসছিলাম। রিক্সাটা যখন পার্কের সাইড দিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় রাইসা বলে উঠল ' বাবাই দেখ তো, মম না ওইটা। আচ্ছা বাবাই মম ওই আঙ্কেলটাকে জড়িয়ে ধরে আছে কেন?
- আমি পার্কের দিকে তাকিয়ে থমকে গেলাম।

চলবে''''''

গল্পঃ #বাবার_ভালোবাসা।

প্রথম পর্ব

ভালো লাগলে অবশ্যই ফলো করুন...

শাশুড়ী রোজ রাতে চুরি করে খাবার খায়। একদিন দুইদিন হলেও বিষয়টা স্বাভাবিক ছিল কিন্তুু রোজ রাতে খাবার চুরি করে খাওয়া ব্যাপার...
10/09/2025

শাশুড়ী রোজ রাতে চুরি করে খাবার খায়। একদিন দুইদিন হলেও বিষয়টা স্বাভাবিক ছিল কিন্তুু রোজ রাতে খাবার চুরি করে খাওয়া ব্যাপারটা আমার বেশ ভাবালো। আমি ইতু। বিয়ে হয়ে এই খান বাড়িতে এসেছি সবে সাতদিন। কিন্তুু বিয়ে তৃতীয়দিন জল খেতে খাবার ঘরে আসতেই দেখি শাশুড়ীমা চুপিচুপি ফ্রিজ খুলে কিছু খাচ্ছেন আর বারবার চারিদিকে তাকিয়ে দেখছেন কেউ দেখলো কি না? আমি ভাবলাম হয়তো খিদে পেয়েছে তাই খাচ্ছে। তাই মুচকি হেসে ওনার অগোচরে চলে গেলাম। কিন্তুু পরেরদিন ও এই একই ঘটনা দেখলাম। এইভাবে আজ পরপর ৪ দিন তবুও দেখি উনি লুকিয়ে খাবার খাচ্ছে। অথচ সবার সাথে বসে উনিও খাবার খায়। আজকে রাতে তো আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওনাকে পেট ভরে মাংস ভাত খাইয়েছি কিন্তুু তবুও রাতে এইভাবে উঠে কেন খাচ্ছে?
মনের মধ্যে নানারকম প্রশ্ন জেগে উঠলো তাই অত না ভেবে মনেমনে ঠিক করলাম শাশুড়ী মাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করবো উনি কেন এরকম করেন? আর খিদে পেতেই পারে তার জন্য এরকম লুকিয়ে খাওয়ার কি আছে।
আমি রান্নাঘরের দিকে পা বকড়াবো তখনই পেছন থেকে আমার স্বামী হাবিব আমার হাত ধরে বলে, কি করছো ইতু এখানে? আমি তোমাকে কখন থেকে খুজছি। চলো।
আমি এইসবকিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলাম না।
পরেরদিন সকালে আমি আর হাবিব আঠরা ভাঙাতে আমার বাবার বাড়ি আসলাম। সব ঠিক থাকলেও ঘটনাটা আমার মনকে বারবার অশান্ত করে তুলছিল। মা বোধয় বিষয়টা বুঝতে পেরেছিল। তাই আমাকে ডেকে মাথায় তেল দিতে দিতে বললো, কিছু নিয়ে কি তুই চিন্তা করছিস মা?
আমি একবার ভাবলাম সবটা বলি কিন্তুু আবার ভাবলাম না থাক। বিষয়টা আমি নিজেই সমাধান করবো।তাই হেসে বললাম, না মা। আসলে আবার তোমাদের ছেড়ে চলে যেতে হবে তো তাই একটু মন খারাপ হচ্ছে।
মা বললো, এখন তো একটু মন খারাপ হবে তারপর দেখবি কিছুদিন গেলেই ওইটাই আপন লাগবে। স্বামীর ঘরই যে মেয়েদের আপন ঠাই।
আমি মাথা নাড়ালাম তারপর মায়ের কোলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করলাম। এক অন্যরকম শান্তিতে কখন ঘুমিয়ে গেলাম টেরই পেলাম না।
---
দুইদিন পর বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসলাম। দিনগুলো বেশ ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিল। তবে সেই রাতের দৃশ্যগুলো আমার মনে বারবার ফিরে আসছিল। অবশেষে একদিন সাহস করে আমার বড় জায়ের কাছে কথাটা তুলে ফেললাম।
— "ভাবী, আপনি কিছু না মনে করলে আমি কিছু একটা বলতে চাইছিলাম…
ভাবী বললেন, কি বলবে বলো? তুমি আমাকে নিজের বোনের মতোই ভাবতে পারো।
আমি ধীর স্থীর হয়ে বললাম, ভাবী মা রোজ রাতে ফ্রিজ খুলে লুকিয়ে লুকিয়ে খায়। একদিন দুইদিন হলে তাও হতো কিন্তুু......
ভাবী আমার কথা শুনে মুচকি হেসে দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
— "ওটা আসলে খাওয়ার জন্য না, ইতু। ওনার এক মানসিক অসুখ আছে। বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ডাক্তাররা বলেন, ওটা একধরনের ‘ফুড অ্যানজাইটি’। মানে, সবসময় মনে হয় খাবার শেষ হয়ে যাবে, তাই লুকিয়ে খাবার খুঁজে বের করে খান। অথচ আসলেই কিছুই খান না, বরং এমন অভিনয় করেন যেন গোপনে ভুরিভোজ করছেন।"
আমি অবাক হয়ে বললাম, "কিন্তু এমন কেন হলো?"
ভাবী মাথা নিচু করে বললো,
"অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে, ওষুধও খেয়েছেন। কিন্তু পুরোপুরি সারেনি। ছোটবেলায় ভীষণ অভাবে বড় হয়েছেন তিনি। সেই ভয়টা আজও মনের মধ্যে বেঁচে আছে।"
কথাটা শুনে মুহূর্তে বুকটা হু হু করে উঠলো আমার। মনেমনে শাশুড়ী মায়ের জন্য ভীষণ মায়া লাগলো। তাঁর চোখেমুখের লুকোনো আতঙ্ক যেন এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমি। মনের অজান্তেই চোখ থেকে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো। ভাবী বললো, মন খারাপ করো না ইতু। এমনিতে উনি সুস্থ শুধু রাত হলেই আতঙ্ক ওনাকে ঘিরে ধরে। যদিও তুমি ওনার কাছে গেলে আর তোমাকে বুঝতে দেবে না। চিন্তা করো না।
আমি ভাবীর কথায় সম্মতি জানিয়ে চোখের জল মুছে ভাবীকর কাজে সাহায্য করতে লাগলাম। আমার স্বামীরা দুই ভাই। হাবিবই ছোট। বড় ভাইয়ের ছোট একটা মেয়েও আছে। বয় তিন বছরের নাম পরি দেখতেও পরি। সবকিছু মিলিয়ে সবার সাথে ভালোভাবেই দিনগুলো এভাবেই কেটে যেতে লাগলো। আমি এখন আর অবাক হই না রাতের বেলা শাশুড়ী কে ফ্রিজ খুলতে দেখে বরং যখনই তাঁকে রাতের বেলা চুপি সারে খাবার ঘরে যেতে দেখি, মায়ায় ভরে ওঠে মন। যেন নিজের অজান্তেই আমিও তাঁর অদ্ভুত অভ্যাসের সঙ্গী হয়ে গেছি।
কিন্তুু একদিন রাত দুটো নাগাদ হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম ভেঙে গেল আমার। রান্নাঘর থেকে শব্দ আসছে শুনেই বুঝলাম—আবারও নিশ্চয়ই শাশুড়ীরা রান্নাঘরে । কি মনেকরে সমিও চুপিচুপি পা টিপে টিপে রান্নাঘরের দিকে এগোলাম।
ফ্রিজের দরজা খোলা, ভেতরের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে পড়লাম। কিন্তু অন্যদিনেে চেয়ে এইবার দৃশ্যটা আলাদা।
চলবে......
গল্পঃ #গোপন_বাক্স
পর্বঃ (১)

আপনারা অনেকেই অভিযোগ করেন যে প্রতিটা গল্পের প্রথম পর্ব পড়েন কিন্তু পরে পর্বগুলো আর পড়তে পারেন না মানে খুঁজে পান না।
আসলে এই সমস্যাগুলো হওয়ার কারণ হলো আপনারা সম্ভবত পেজটিকে ফলো করে রাখেননি।
যদি গল্পগুলো ভালো লাগে তাহলে পরবর্তী পর্বগুলো পাওয়ার জন্য পেজটিকে ফলো করে রাখতে হবে।
তাই পেইজে নতুন না থাকলে পরবর্তী পর্ব পাওয়ার জন্য পেজটিকে ফলো করে রাখুন।
আর যদি এমন হয় যে পেজ ফলো করা আছে তবুও পরবর্তী পর্বগুলো পাচ্ছেন না তাহলে দয়া করে পেইজের পোস্টে লাইক এবং কমেন্ট করবেন আশা করি তাহলে প্রতিটি পর্ব পোস্ট করার সাথে সাথে আপনাদের সামনে চলে যাবে।
ধন্যবাদ 🥰

⭕জাপানে কোনো শিক্ষক দিবস নেই।একদিন, আমি আমার জাপানি সহকর্মী, শিক্ষক ইয়ামামোতাকে জিজ্ঞাসা করলাম:- আপনারা কিভাবে জাপানে শ...
10/09/2025

⭕জাপানে কোনো শিক্ষক দিবস নেই।
একদিন, আমি আমার জাপানি সহকর্মী, শিক্ষক ইয়ামামোতাকে জিজ্ঞাসা করলাম:
- আপনারা কিভাবে জাপানে শিক্ষক দিবস উদযাপন করেন?
আমার প্রশ্নে অবাক হয়ে তিনি উত্তর দিলেন:
- আমাদের শিক্ষক দিবস নেই।
আমি যখন তার উত্তর শুনেছিলাম, তখন আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আমি তাকে বিশ্বাস করব কি না। আমার মাথায় একটা চিন্তা আসলো: "যে দেশ অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এত উন্নত, শিক্ষক এবং শিক্ষকতার প্রতি এত অসম্মান কেন?"
***
⭕একবার, কাজ শেষে, ইয়ামামোতা আমাকে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। আমরা মেট্রো নিলাম যেহেতু তাঁর বাড়ি অনেক দূরে। সন্ধ্যার পিক আওয়ার ছিল, এবং মেট্রো ট্রেনের ওয়াগনগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আমি ওভারহেড রেলকে শক্ত করে ধরে দাঁড়ানোর জায়গা খুঁজে বের করতে পেরেছিলাম। হঠাৎ, আমার পাশে বসা বয়স্ক লোকটি আমাকে তাঁর আসন গ্রহণ করার প্রস্তাব দিলেন। একজন বয়স্ক লোকের এই সম্মানজনক আচরণ বুঝতে না পেরে আমি প্রত্যাখ্যান করলাম, কিন্তু তিনি অনড় ছিলেন এবং আমি বসতে বাধ্য হলাম। আমরা যখন মেট্রো থেকে বের হয়েছিলাম, তখন আমি ইয়ামামোতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে সাদা দাড়ি বৃদ্ধ লোকটি ঠিক কী করেছে। ইয়ামামোতা হেসে আমার পরা শিক্ষকের ট্যাগের দিকে ইশারা করে বললেন:
- এই বৃদ্ধ লোকটি আপনার গায়ে একজন শিক্ষকের ট্যাগ দেখেছে এবং আপনার মর্যাদার প্রতি সম্মানের প্রতীক হিসাবে আপনাকে তার আসন অফার করেছে।
যেহেতু আমি প্রথমবার ইয়ামামোতার বাড়িতে গিয়েছিলাম, তাই সেখানে খালি হাতে যেতে অস্বস্তি বোধ করছিলাম তাই আমি একটি উপহার কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি ইয়ামামোতাকে একথা বলেছিলাম, তিনি বললেন যে একটু এগিয়ে শিক্ষকদের জন্য একটি দোকান রয়েছে, যেখানে কেউ কম দামে জিনিসপত্র কিনতে পারে। আবারও, আমি আমার আবেগ ধরে রাখতে পারিনি:
- সুযোগ-সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষকদের দেওয়া হয়? আমি জিজ্ঞাসা করলাম .
ইয়ামামোতা বললেন:
- জাপানে শিক্ষকতা সবচেয়ে সম্মানিত পেশা এবং শিক্ষক সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। জাপানি উদ্যোক্তারা খুব খুশি হয় যখন শিক্ষকরা তাদের দোকানে আসেন, তারা এটাকে সম্মানজনক বলে মনে করেন।
***
⭕জাপানে থাকার সময়, আমি একাধিকবার শিক্ষকদের প্রতি জাপানিদের পরম শ্রদ্ধা লক্ষ্য করেছি। মেট্রোতে তাঁদের জন্য বিশেষ আসন বরাদ্দ রয়েছে, তাঁদের জন্য বিশেষ দোকান রয়েছে, সেখানে শিক্ষকরা যে কোনও ধরণের পরিবহনের জন্য টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ান না। এই কারণেই জাপানি শিক্ষকদের শিক্ষক দিবস বলে একটি বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না, যখন তাঁদের জীবনের প্রতিটি দিন সম্মান প্রদর্শন করে উদযাপন করা হয়।

এই গল্পটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।বিশ্বের সবাই আমার শিক্ষক, আমি আপনার নামে প্রণাম করি।
*রুস্তম বিসেনভ*...

"৫০ বছর ধরে কাগজ বিক্রি করছি, এখন ১০ ভাগের ১ ভাগ বিক্রি হয়। এই বয়সে আর তো অন্য কোনো উপায় নেই। তবে কি জানেন, কাগজ বিক্রি ...
10/09/2025

"৫০ বছর ধরে কাগজ বিক্রি করছি, এখন ১০ ভাগের ১ ভাগ বিক্রি হয়। এই বয়সে আর তো অন্য কোনো উপায় নেই। তবে কি জানেন, কাগজ বিক্রি করার আলাদা একটা মজা আছে। বেলুড়ে বাড়ি, সকাল হলেই চলে আসি। অনেকটা সময় কেটে যায়।"
হাওড়া স্টেশন থেকে কিছুটা এগিয়ে সাবওয়ে তে নেমে বাঁ দিক ঘেঁষে কাগজ নিয়ে বসে থাকেন কিছুটা বিক্রি হলে হাতের মধ্যে কাগজ গুলি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। মাঝে মাঝে আমিও কাগজ নিই। কথা বলি। "জানেন কাগজ আর কেউ পড়তে চায় না, সবাই মোবাইল ঘাঁটে কি যে আছে, কে জানে। পড়ার একটা মজা আছে, এটা কি বুঝতে পারছে।"
বাস ধরবো, একটু তাড়া। নাম জানা হলো না। বললাম একটা ছবি তুলবো। হাসি মুখে সম্মতি জানালেন। ভাবি, এনারা যখন থাকবেন না তখন এনাদের মতো ভালোবেসে আনন্দ করে পাঠকের হাতে খবরের কাগজ তুলে দেবার কেউ কি থাকবে? খবরের কাগজের দিনও বোধ হয় শেষ হয়ে এলো!..

আরশ খানের কথা শুনে আমার সেইদিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল:----------------আমাকেও একদিন আমার বন্ধুরা সি'গারেট খাওয়ার অফার কর...
10/09/2025

আরশ খানের কথা শুনে আমার সেইদিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল:
----------------
আমাকেও একদিন আমার বন্ধুরা সি'গারেট খাওয়ার অফার করে, আমি রাজি হয়নি। যদি মা বাবা জানতে পারে আমাকে শেষ করে দিবে। একদিন ওরা জোর করেই আমাকে খাইয়ে দেয়, মুখের মধ্যে দিয়ে বলে একটা টান দে স্লা, কিছু হবে না। দিলাম একটা টান। কি বলবো, টান দেয়ার পর কাশি দিতে দিতে আমি শেষ। চোখ মুখ লাল হয়ে গেছিলো একদম। অবস্থা খারাপ। পরে ওদের সাথে চ্যাইত্তা যাই, বললাম আমি খাবো না, তাও জোর করে দিলি। ওরা তো হাসতে হাসতে শেষ, মজা নিচ্ছে। এরপর যখনই ওদের সাথে আড্ডা দিতে যেতাম, সি'গারেট খাওয়ার অফার করতো। আমি না করতাম। ওরা খেলে আমি দূরে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। একটা পর্যায়ে আস্তে আস্তে ওদের সঙ্গ ত্যাগ করলাম- দেখলাম ওদের সাথে থাকলে একদিন এসবে জড়িয়ে যাবো। আমি আমার মা বাবাকে অনেক ভয় পেতাম। অনেক কড়া শাসনে বড় হয়েছি।

এরপর আর কখনো সি'গারেট খাওয়া হলো না। একা একা থাকতাম, মাঝে মাঝে আড্ডা দিতাম। এতো টুকুই।

সি'গারেট না খাওয়ার আরো একটা রিজন আছে: আমি ভাবতাম, আমি যদি সিগারেট খাই, ভবিষ্যতে যাকে বিয়া করবো- সে যদি সিগা'রেটের গন্ধ সহ্য করতে না পারে। বউ এর কথা ভেবেও খাইনি। আলহামদুলিল্লাহ, একমাত্র বউ আর ফোন ছাড়া কোন নে'শা নেই! 😁..

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rasedur Jaman Sohag posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rasedur Jaman Sohag:

Share