18/06/2025
আমার বাচ্চা লাগবে আমায় বা*চ্চা দাও। আমার সব বান্ধবীদের বা*চ্চা আছে শুধু আমার নাই। আমার কী ইচ্ছে করে না মা হতে।
আরিফ পিচ্চি মেয়ের কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলো না। আরিফ বলতে লাগল।
দেখো আঁখি তাঁদের বাচ্চা নেওয়ার বয়স হয়েছে তাই তাঁরা বাচ্চা নিয়েছে। তুমি এখন ও ছোট বাচ্চা নিলে ব্যাথা পাবে আর অনেক সমস্যা হবে বুঝলে।
আঁখি কিছু না বলে চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যদিও আঁখি এতো ছোট বয়সে বিয়ে করতে চায়নি। তাঁর বাবা-মা বিয়ে,বিয়ে করে মেয়েটার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে একেবারে। মেয়ের বয়সেই বা কতো? কিন্তু উনারা দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ষোল বছরের মেয়েটি কে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়েটার মাথা নষ্ট করে দিচ্ছেন।
আঁখির বাবা-মা আঁখির মাথায় হাত রেখে বার বার বলছে...
মা : দেখ ছেলে টা খুব ভালো আর তোকে তো খুব ভালোবাসে। মানা করিস না মা। আচ্ছা তোর কী কাউকে পছন্দ?
আঁখি : না আম্মু আমার কাউকে পছন্দ না। কিন্তু আমি এখন ও দশম শ্রেণী ভালো করে পার হয়ন। কিছুদিন আগে পরিক্ষা দিলাম। আমার কী বিয়ের বয়স হয়েছে ?
আঁখির বাবা একটু কঠোর হয়ে মেয়েকে বললেন....
বাবা : দেখ মা ওর জন্য আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি।সেদিন ও না থাকলে তুই এতিম হয়ে যেতি। আরিফ তোকে খুব ভালোবাসে। আমার কাছে প্রতিদান হিসেবে তোকে চেয়েছে,কী করে মানা করি বল তো?
একটু থেমে আবার ও বললেন... তোর কোন কথা আমি শুনবো না,তোকে তানভির কেই বিয়ে করতে হবে।
আঁখি জানে তাঁর বাবা কে বলে আর লাভ হবে না।তাই তাঁকে রাজি হতেই হবে তাই তাঁর বাবা কে শর্ত দিয়ে দিলো। আঁখি বলল...
আঁখি : আমি বিয়ে করবো কিন্তু এখন আমি ঐ বাড়িতে যেতে পারবো না।
আঁখির বাবা কিছু একটা চিন্তা করে আরিফ কে ফোন দিলেন। আরিফ হেসে,হেসে বলল..
আরিফ : আরে আঙ্কেল ঠিক আছে আমার কোন সমস্যা নেই।
আরিফ ফোন টা রেখে দিল আর বলল....
আরিফ : পিচ্চি পাখি তুমি আমাকে কেনো বুঝো না। তোমাকে যে বড্ড ভালোবাসি। তিনটে বছর ধরে ভালোবাসি।
বলেই নিজের মনে হেসে উঠলো আরিফ।
আঁখির ছবিতে হাত বুলিয়ে আবার বলল..
পিচ্চি পাখি তুমিও জ্বলবে আমি না থাকলে । এইবার তোমাকে আমি একটা শিক্ষা দিয়েই দিবো।
আরিফ আবার হাসতে হাসতে নিজের পথে চলে গেলো। অবশেষে আঁখির সাথে বেশ জমকালো ভাবে আরিফের বিয়েটা হয়েই যায়।
আঁখির শর্ত ছিলো সে এখন শশুর বাড়ি যাবে না। তাই আঁখির বাসাতেই বাসর সাজানো হয়েছে।
আপাদমস্তক ঘুমটা দিয়ে চারিদিকে নানান রকমের ফুল দিয়ে সাজানো বেডে বসে আছে আঁখি। সে আরিফ কে কয়েকবার দেখেছে লোক টা আসলেই বেশ সুন্দর। বেশ লম্বা, উজ্জ্বল তাঁর গায়ের রং,ব*ডি ও একদম পারফেক্ট। কিন্তু আরিফের সাথে তাঁর বেশ অভিমান আছে তাঁর কারণ হচ্ছে তাঁকে এখনেই কেনো বিয়ে করতে হলো। পরে কী করা যেতো না,এসব ভাবতে,ভাবতে হঠাৎ দেখতে পেলো আরিফ কে ঘড়ে প্রবেশ করতে।শ্যালক শ্যালিকা দের জ্বালায় একবারে এক ঘন্টা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো ছেলেটা।
অবশেষে ছাড়া পেল আরিফ যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। আরিফ ঘড়ে প্রবেশ করে দেখলো তাঁর পিচ্চি পাখি কাচু মাচু দিয়ে বসে আছে। আঁখির অবস্থা দেখে সে আলতো হাসলো। আঁখির পাশে গিয়ে বসলো, আঁখি উঠে দাঁড়িয়ে সালাম করতে গেল কিন্তু আরিফ আঁখির বাহু ধরে উঠিয়ে তাঁর কাছে নিয়ে আসল।
আরিফ আঁখির মুখের ঘুমটা খু*লে দিলো। আঁখি নিচু হয়ে তাকিয়ে আছে।সে আঁখির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল...
আরিফ : পিচ্চি পাখি ভালোবাসি খুব ভালোবাসি। তুমি কী ভালোবাসবে আমায়?
আঁখি মুখ ঘুরিয়ে নিলো। এতে আরিফ কষ্ট পেলো না বরং ঠোঁট ঠোঁট চেপে হাসতে লাগলো।
আঁখি বসতে যাবে তখন আরিফ পেছন থেকে হ্যাঁচকা টান দিলো। নিজে কে সামলাতে না পেরে সোজা আরিফের বুকে এসে পড়লো।
আরিফ বুক পকেট থেকে একটা ছোট মিষ্টি ডায়মন্ডের পেনডেন্ট বের করলো। পেনডেন্ট টা হাতের মাঝে রেখে পেনডেন্ট টাতে আলতো কি*স খেলো। তারপর পেনডেন্ট টার দিকে তাকিয়ে বলল...
আরিফ : আমার পিচ্চি পাখির কালো টিকা হিসেবে তোকে ওর গলায় স্থান দিচ্ছি। তাই বলে ওর গলায় কি*স খেতে যাবি না। ওর গলায় শুধু আমি কি*স খাবো।
আরিফের এমন কথায় আঁখি কিছু টা শিউরে উঠলো। আঁখি কে পেছনে ঘুড়িয়ে পেনডেন্ট টা আঁখির গলায় পড়িয়ে দিয়ে লকেট টা কে উদ্দেশ্য করে বলল...
আরিফ : আমি থাকি আর না থাকি আমার পিচ্চি পাখি কে দেখে রাখবি। আমি ওকে কষ্ট দিলে ও তুই ওকে সবসময় হাসি খুশি রাখবি ।
আরিফের এমন কথায় আঁখির বুকের ভেতর ছ্যাত করে উঠলো। লকেট টা গলায় পড়িয়ে দিয়ে আরিফ আঁখির ঘাড়ে গলায় গভীর ভাবে কি*স করতে লাগল ঠিক এই সময়ে আঁখি...
চলবে....
পর্ব ০১
#পর্ব_২+
আরিফের এমন কথায় আঁখির বুকের ভেতর ছ্যাত করে উঠলো। লকেট টা গলায় পড়িয়ে দিয়ে আরিফ আঁখির ঘাড়ে গলায় গভীর ভাবে কিস করতে লাগল।
আঁখির জীবনের প্রথম কোনো ছেলের গভীর স্পর্শে আঁখি শিউরে উঠলো। আঁখিকে ঘুড়িয়ে এবার কপালে চু*মু খেলো। আরিফের এই সব কান্ডে আঁখি যেন ফ্রিজ হয়ে গেলো। আঁখির হাত ধরে আঁখি কে বেডে বসালো। তারপর বলল...
" আমার কিন্তু একটা শর্ত আছে "
আঁখি সন্দিহান চোখে তাকালো। আরিফ দুষ্টু হেসে আঁখির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল... তুমি যা ভাবছো তেমন টা নয় পিচ্চি পাখি। তবে,বলে আরিফ আবারো দুষ্টু হাসি তে হেসে উঠলো। আঁখি এবার শুকনো ঢোক গিলে মিনমিনিয়ে বলল,
আঁখি : তবে কী ?
আরিফ : কিছু তবে ভালোবাসার স্পর্শ তো তোমাকে পেতেই হবে পিচ্চি পাখি।
আঁখির ভিতরে শিহরণ জেগে উঠে। আরিফ তাঁকে খু*ন করেই ফেলবে। আরিফ কে কিছু একটা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু অভিমানে আর বলল না। আরিফ বলল...
তুমি যেমন বিয়ের আগে শর্ত রেখেছিলে আমি এখন শর্ত রাখবো। তুমি কি রাজি আমার শর্তে?
আঁখি নিচু স্বরে বলল....
" জি বলুন কী শর্ত ? "
আরিফ আঁখির ঘাড়ের কাছে মুখ নিয়ে আঁখির হাতের পাঁচ আঙুল কে নিজের পাঁচ আঙুল দিয়ে আবদ্ধ করে বলল..
"রোজ আমার বুকে মাথা রাখতে হবে"
আঁখি চমকে উঠলো চোখ দুটো কেমন বিচলিত হয়ে গেছে। নিচু স্বরে বলল..
" না এটা সম্ভব না "
আরিফ মৃদু হেসে বলল..
তাঁর মানে তুমি আজ থেকেই আমার স্পর্শ পেতে চাচ্ছো। ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই।
আমি তোমায় আজকের দিনটা নিজেকে প্রস্তত করার জন্য এই শর্ত দিয়েছিলাম কিন্তু চমৎকার তুমি তো আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আছো।
এই টুকু বলেই আরিফ আঁখির কাছে আসছিলো। আঁখির গলা শুকিয়ে যাচ্ছে আঁখি তাড়াতাড়ি বলল....
নাহ নাহ আমি শর্তে রাজি। প্লিজ আজকে অন্তত....
আরিফ আলতো হেসে আঁখির মুখ টা হাতের মাঝে আবদ্ধ করে আঁখির ঠোঁটে আলতো ভাবে নিজের ঠোট ছুঁয়ে দেয়।
আরিফের ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে আঁখি ফ্রিজ হয়ে গেছে সাছে সাথে চোখ বন্ধ করে নিলো। আরিফ এবার আঁখির দুই চোখের পাতাতে চুমু খেলো।
আঁখি আরিফের পাঞ্জাবি আকরে ধরলো। আরিফ আঁখির কানের কাছে মুখ নিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে কানে নিচের অংশ তে হালকা করে কা*ম*র দিয়ে তারপর বলল..
আমার এই টুকু ছোঁয়াতেই কাতর তুমি পাখি। আমাকে ভালো না বেসে পারবে তুমি?
আঁখি চুপ করে রইলো। তানভির আঁখি কে বুকের মাঝে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আঁখি ও কিছু বলল না,সে ও গরম আবেশে আরিফের বুকে ঘুমিয়ে পড়ল। এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েকটি দিন।
আরিফ সেই যে বিয়ের পরের দিন নিজের বাসায় গেছে,আর আসেনি। আজ পঁচিশ দিন হয়ে গেল। আর এইদিকে...
আঁখি নিজের ব্যালকনিতে বসে বসে ফুল গুলো কে দেখছিলো,মন টা ভালো নেই। মিনমিনিয়ে বলল, কী সুন্দর ওরা ইসসস ওদের মতো যদি হতে পারতাম।
আচমকা পেছন থেকে কেউ একজন জড়িয়ে ধরে বলল, পিচ্চি পাখি ফুলের থেকেও তুমি অনেক বেশি পবিত্র। ফুল কে তো নানান রকমের মানুষের হাতের স্পর্শ পেতে হয় বিশেষ করে মেয়ে ছেলে দু'জনের এই । কিন্তু তুমি তো শুধু আমার হাতের স্পর্শে পাবা। আর পিচ্চি পাখি ফুল তো ঝরে যায়। যারা ওকে স্পর্শ করে তাঁরা ও ওকে ভুলে যায় আর ও যাদের স্পর্শ পায় তাঁদের কে ও ভুলে যায়। মাঝখানে কৃতিত্ব কিছুই নেই,যা আছে তা হলো ক*ল*ঙ্ক । আর তুমি তো পবিত্র হ্যাঁ অনেক বেশি পবিত্র। তোমার সর্বাঙ্গে শুধু থাকবে আমার স্পর্শ।
আরিফ কে দেখে চমকে গেল আঁখি। ওর ভাবনায় আসে না কখন এলো ছেলে টা। আঁখি নিচু হয়ে গেছে। আরিফ বলল,,
" আমি ফোন করেনি বলে তুমিও ফোন করবেনা নাকী ? "
আঁখি কিছু বলতে পারলো না। ওর মনে যে বড্ড অভিমান। আরিফ আঁখি কে একটা ছোট্ট পুতুল হাতে দিলো। আরিফ মিটিমিটি হাসছে এই দেখে আখি বলল...
পুতুল এনেছেন যে। পুতুল দিয়ে আমি কী করবো ?
আরিফ উত্তরে কিছু বলল না শুধুই হাসলো। আঁখি যেন কিছুই বুঝলো না। আরিফ রুমে ঢুকে সোজা শাওয়ারে গেলো।
শাওয়ার শেষে ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে ঠিক এই সময়ে আঁখির আম্মু এসে বললেন..
" আখি আরিফ কে নিয়ে খেতে আয়। ছেলেটা সেই কখন এসেছে।"
আঁখি উত্তরে শুধু হুম বলল। আঁখির আম্মু চলে যেতেই বিছানার কাছে আরিফ কে বলল...
" আম্মু ডাকছেন। "
পাঁচ মিনিট বসো কাজ টা শেষ করে নেই।
আঁখি বসলো আরিফ কাজ শেষে বলল..
চলো ( আরিফ )
আঁখি আগে যাওয়ার জন্য পা বারালো তখনই আরিফ হ্যাঁচকা টান দিয়ে আঁখি কে বুকে নিয়ে আসল। নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে আঁখি বলল...
আহ্ ছাড়ুন বলছি দরজা বন্ধ করা নেই আম্মু আসতে পারে।
আরিফ আঁখির চোখে চোখ রেখে বলল...
তাঁর মানে বলছো, দরজা বন্ধ থাকলে তোমাকে কাছে নিয়ে আসতে কোন সমস্যা হতো না তাই তো।
" নিজের কথায় নিজেই বোকা বনে গেলো মেয়েটা। আঁখি তুতলিয়ে বলল.. মানে ? "
আরিফ আঁখি কে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে কাঁধে নিজের থুতনি রেখে বলল...মানে আজকে রেডি থেকো।
" তানভিরের সাথে আঁখির আয়নাতে চোখ রাখা রাখি হওয়ায় আখি বেশ লজ্জা পেল। সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিলো।"
আঁখির আম্মু আঁখি কে আবার ডাক দিলেন। আঁখি আরিফ কে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। অখত্যা আরিফের বাহুতে আবদ্ধ হয়েই আঁখি বলল..
" আসছি আম্মু " ( আঁখি )
আরিফ বলল...
ভুলো না কিন্তু !
এই বলে দুষ্টু হাসি দিলো। আঁখি আরিফ কে বলল..
আম্মু ডাকছে তাড়াতাড়ি চলুন।
বিকেল বেলায় আরিফ আঁখির হাতে লাল টুকটুকে সিল্কের শাড়ি দিয়ে বলল... তৈরি থেকো।
" না পারব না " ( আঁখি )
সমস্যা নেই আমি বুঝতে পারছি তুমি আমার থেকে ও হাজার গুণ রোমান্টিক।
আঁখি অবাক ও চোখে তাকিয়ে বলল..
মানে ? ( আঁখি )
"মানে টা হলো কেমন কায়দা করে আমার হাতে শাড়ি পরার জন্য রেডি হবে না বললে।"
আঁখি সম্পূর্ন বোকা বনে গেলো..
আরিফ আবার বলল..
রেডি থেকো আর না হলে আমি এসে রেডি করিয়ে দিবো।
সবশেষে রাতে আঁখি রেডি হয়ে বসে আছে। মুখে হালকা মেকআপে আঁখি কে অপ্সরীর থেকে কম লাগছে না।
আরিফ নিচে গাড়ি নিয়ে বসে আছে। আঁখি কে ফোন করে বলল নিচে আসতে আঁখির আব্বু আম্মু কে তানভির আগে থেকেই সব বলে রেখেছিলো।
তাই আঁখি রুম থেকে বের হতেই আঁখির আব্বু আম্মু বললো...
"সাবধানে যাস মা ।"
আখির আম্মু আঁখির কপালে চু*মু খেয়ে বললেন, দেখিস মা তুই খুব সুখি হবি।
আঁখি কিছু বলল না শুধু বিদায় জানিয়ে নিচে চলে আসলো। গাড়ি চলছে তাঁর আপন গতিতে। আরিফের পাশে বসে আছে তাঁর লাল টুকটুকে পিচ্চি পাখি।
" একটু পর পর আরিফ আঁখি কে দেখছে। আঁখি বুঝতে পারছে কিন্তু কিছুই বলছে না । আঁখি আরিফের দিকে হালকা তাকালো।"
ছেলেটার মুখে স্নিগ্ধ হাসি মনে হচ্ছে সে বিশ্ব জয় কেরে ফেলেছে। অসম্ভব মায়ায় ভরা যে কেউ প্রেমে পরতে বাধ্য।
" আরিফ আঁখির দিকে তাকানো মাত্রই ওদের দুজনের চোখে চোখ আটকে যায় আঁখি লজ্জা পেয়ে বাইরে দিকটায় তাকায়। আরিফ মৃদু হেসে বলল.. লুকিয়ে দেখার কী আছে। সরাসরিই দেখো আমি তো অন্য কেউ না তোমারেই খুব কাছের একজন।"
আঁখি আরিফের কথায় লজ্জা পেল কারণ সে ধরা খেয়ে গেছে। কিন্তু কি করবে বে*হা*য়া চোখ তো মানুষটির স্নিগ্ধ হাসি দেখার লোভ সামলাতে পারে নি।
আঁখি পুরো রাস্তা চুপ করেই ছিলো। আরিফ ও কিছু বলেনি আর। হঠাৎ গাড়ি থামলো এক ডুপ্লেক্স বাংলোর সামনে। আরিফ বেরিয়ে এসে দরজা খুলে। আঁখির দিকে হাত বাড়ালো আঁখি.....
চলবে.....
#পর্বঃ৩
আরিফ বেরিয়ে এসে দরজা খুলে।আঁখির দিকে হাত বাড়ালো,আঁখি কিছু না ভেবে আরিফের হাতে হাত রেখে বেরিয়ে আসল। আখি বোঝার চেষ্টা চেষ্টা করছে কিন্তু বুঝতে পারছে না। অসম্ভব সুন্দর এই বাড়ি আধুনিকতার কোন অপূর্ণতা নেই। আরিফ আখির হাত ধরে বাড়ির ভেতর নিয়ে গেল। বাসায় প্রবেশ করার জন্য পা বাড়ালো যখন তখনই ওপর থেকে সাদা গোলাপের পাপড়ি পড়া শুরু হলো ওদের ওপর।আঁখি বাসায় পা রাখা মাত্রই সাথে,সাথে চারপাশ থেকে বা-জি ফুটার শব্দ শুনতে পেলো ও। কিছু টা ভয় পেয়ে আরিফের কাপড় আকরে ধরলো। আরিফের মুখে সেই ভুবন ভোলানো হাসি রেখেই আখি কে এক হাতে জড়িয়ে ধরে বলল...
আরিফ : ওয়েলকাম টু ইউর হোম পিচ্চি পাখি।
ইউর হোম বলাতে আখি আরিফের দিকে তাকালো। আরিফ ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি রেখে বলল...
আরিফ : আজ থেকে এটা তোমার বাড়ি আখি। অনেক যত্ন করে আমি বানিয়েছি শুধু তোমার জন্য।
আখি কিছুটা চমকে গেল সাথে,সাথে চোখের কোণে পানির ঝলমল দেখা গেল। আরিফ বুঝতে পেরে আখির চোখে ফু দিল। আখি পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো। আখির হাত ধরে আরিফ ভেতরে নিয়ে গেল। ভেতরে রাখা ছিল একটি সুন্দর কেক। যেটার মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল দুই টা সুন্দর পুতুল। যাদের গায়ের কাপড় অবিকল আখি আর আরিফের মতো। পুতুল দুইটি একে অপরকে জড়িয়ে আছে। আখির কাছে মনে হলো পুতুল দুই টা যেন খি*ল খি*ল করে হাসছে ওদের দুইজন কে দেখে। আর যেই হাসিতে যেন রয়েছে অনেক অনেক পবিত্র তা। আরিফ বলল...
আরিফ : আমি নিজে তৈরি করেছি পিচ্চি পাখি।
আখি আরিফের কথায় চমকে গেল। মনে মনে বলল...
আখি : উনি কেক ও বানাতে পারেন,বাববা এতো গুণ আর আমি কিছুই পারি না। ( কথা টা মনে মনে বলল )
আমি সব শিখিয়ে দিবো তোমায়।
আখি তো পুরো অবাক এই মানুষ টা কী মনের কথাও বুঝতে পারেন না কী ? আরিফ আখি কে বলল...
আরিফ : কী ভাবছো আমি কীভাবে বুঝি তাই তো ? আমি শুধু আমার পিচ্চি পাখির জন্য আমি সব করতে পারি।
আখি যেন চমকের চূড়ান্ত শীর্ষে। আরিফ আখির হাত ধরে কেক টা কেটে নিল। তারপর আখি কে খাইয়ে দিল।
আখির ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা ক্রিম টা আরিফ হাত দিয়ে নিয়ে খুব যত্নে খেয়ে নিল। আখি এই মানুষটি কে যত দেখছে ততটাই অবাক হচ্ছে। বার বার মানুষটির প্রেমে পরে যাচ্ছে কিন্তু ঐ যে অভিমান তাকে তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করতে বাঁধা দিচ্ছে। আরিফ একটি পেপার দিয়ে আখি কে বলল...
আরিফ : সাইন করো।
আখি : না
প্লিজ পিচ্চি পাখি আমি তোমাকে তাজমহল দিতে পারছি না। কিন্তু আমার ভালোবাসার তাজমহল হিসেবে এই বাড়ি টি তো দিতেই পারি।
আখি আর মানা করলো না। আখি সাইন করে নিল। আরিফ আখিকে কোলে নিল আখি আরিফের গলা জড়িয়ে ধরলো।আরিফ আখি কে তার রুমে নিয়ে শুইয়ে
দিল।পুরো ঘর টা সাদা গোলাপ দিয়ে সাজানো। আরিফ বলল...
আরিফ : পিচ্চি পাখি তুমি আমার দুনিয়ার সব থেকে পবিত্র। এই সাদার মাঝে একমাত্র তুমিই আমার জীবনের রং। সারা বিশ্বের ভালোবাসার রং লাল। আর তুমি আমার জীবনের লাল রং। সবাই লাল কে ভালোবাসার প্রতিক ভাবে লাল কে ভালোবাসার প্রতিক ভাবে আর তুমি নিজেই এক সমুদ্র ভালোবাসা। এই সাদা যতটা স্বচ্ছ তুমি। সাদা কে পবিত্র বলা হয় কিন্তু তুমি আমার দুনিয়ার সব থেকে পবিত্র। এই সাদা কে দেখিয়ে তোমায় ভালোবাসতে চাই। সাদা সবাই কে হি*ঙ*সে তে জ্বালায়। আর আজ আমি সাদা কে দেখিয়ে দেখিয়ে, তোমাকে ভালোবেসে ওকে জ্বালাতে চাই। আমাকে দিবে কী সেই সুযোগ। তোমাকে নিয়ে ভালোবাসার সাগরে ডুব দিতে চাই প্রিয়। আমার হাতে হাত রাখবে কি তুমি। আমার ভালোবাসা কে গ্ৰহণ করবে কী তুমি?
ভালোবাসা কে কতো টা স্বচ্ছ ভাবে আরিফ আখি কে বর্ননা করলো। এই মানুষটি কে কী না ভালোবেসে থাকা যায় ? যায় না বোধহয়।
তাই তো আজ আখি নিজকে আরিফের কাছে সু*পে দিয়েছে।সে ও আরিফ কে ভালোবাসাতে ডুবে গেল। আজ এ ঘরে পবিত্র ভালোবাসা বিরাজ করছে।
হয়ত জান্নাতের আলো ঘিরে নিয়েছে ওদের। এভাবেই যেন জান্নাতে দুটি ভালোবাসা এক হয়ে যায়। আখি আর আরিফের জীবন পায় পূর্ণতা। আরিফ বলে উঠল....
আরিফ : ভালোবাসি খুব ভালোবাসি পিচ্চি পাখি।
অভিমান আর ভালোবাসার খেলায় অভিমান কে হারিয়ে আখি ও বলে উঠে...
আখি : আমিও ভালোবাসি, খুব বেশি ভালোবাসি। অভিমানেও ভালোবাসি।
#পিচ্চির ভালোবাসা
লেখক Sohag Hossain Rased
#সমাপ্ত ❤️