Rasedur Jaman Sohag

Rasedur Jaman Sohag Actor

আজ আমার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের ফাইনাল কথা হবে। কনে পক্ষের অনেকে  আসবে । রাতে ডিনার করে যাবে। সবাই কাজে লেগে গেছে বংশের বড়...
18/06/2025

আজ আমার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের ফাইনাল কথা হবে। কনে পক্ষের অনেকে আসবে । রাতে ডিনার করে যাবে। সবাই কাজে লেগে গেছে বংশের বড় ছেলের বিয়ে বলে কথা। ধুমধাম না করলে কি চলে হোক না দ্বিতীয় বিয়ে তাতে কি!! মেয়ে পক্ষের আবদার বলে কথা।

মেয়ের নাকি বিয়েতে খুব সেজেগুজে ছবি তোলার ইচ্ছে। প্রতিটা মেয়ের এমন স্বপ্ন থাকে। তার উপর শুনেছি মেয়ের দিক থেকে প্রথম বিয়ে। আমার শাশুড়ী মা জোর গলায় বলেছে নতুন বউ এর কোন শখ অপূর্ণ রাখবে না।

নিজের বিয়ের কথা মনে করে মুনতাহার চোখের জল গাল গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে। এক নজরে দেয়াল বেয়ে উঠে যাওয়া টিক*টিকির দিকে তাকিয়ে আছে।

আচ্ছা টিক*টিকিদের কি সংসার হয়। ওদের ও কি কষ্ট হয় মানুষের মত!! ওরা ও কি কষ্ট পেলে কাঁদে। সব কষ্টের মলম থাকলেও নিজের স্বামীর ভাগ অন্য কাউকে দেয়া কষ্টের মলম বোধয় এ দুনিয়াতে তৈরি হয়নি।
হঠাৎ করে মুনতাহা চিৎকার করে উঠলো,,

-- উহুহু....

গরম তেলের চি*টকায় মুনতাহার সকল ভাবনার অবসান ঘটলো । শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছে আবার রান্নার কাজে মন দিলো।

কিছুক্ষণ পর মুনতাহার শাশুড়ী মা রান্নাঘরে এসে উঁকি দিয়ে বলছে,,

---- মুনতাহা সব রান্না যেন ঠিকমত হয়। নতুন আত্মীয় হতে যাচ্ছে ভালো মন্দ না খাওয়ালে চলে!! পরে যেন বলতে না পারে ঠিকমতো আপ্যায়ন করতে পারিনি।

আগে মুনতাহার শাশুড়ী বউমা বলে ডাকতে৷ যখন থেকে সাইমুন এর বিয়ের কথা বার্তা চলছে বউমা বলে ডাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। করবে কিভাবে নতুন বউয়ের আগমন ঘটছে বলে কথা।

মুনতাহা আঁচল দিয়ে কপালের ঘাম মুছে কান্নাভরা কন্ঠে বলছে,,

---- মা আপনি চিন্তা করবেন না আমি খেয়াল রাখবো।

--- তোমার খেয়াল থাকলে কি আমার চিন্তা করা লাগতো?? আজকাল তো কোন কাজ ভালো ভাবে করতে পারো না। না পারলে বল এখনো রান্না করার মত শক্তি আছে আমার। এত বুড়ি হই নাই যে রান্না করতে পারব না।

-- না... না.. মা আমি পারব।

-- দয়াকরে সারাক্ষণ নে*কি কান্না কর না। তুমি কি চাও আমার ছেলেটা বিয়ে করে সুখে না থাকুক?? নতুন মেহমান এসে দেখলে হাজার কথা হবে। আমি চাই না কোন ঝামেলা হোক। তোমাকে তো আমি কম ভালোবাসা দি নাই। ভাগ্য তোমার সহায় হচ্ছে না সেটাতে আমাদের কারো হাত নেই। শেষ সময়ে আমি কোন মায়া বাড়াতে চাই না।

-- ঠিক আছে মা। আমি কান্না করব না। আপনারা সুখে থাকলে আমি সুখী।

-- আর হ্যাঁ আমার ছেলেটার আগে পিছে ঘুরিও না। ওকে বিয়েতে মন দিতে দাও। আমার ছেলেটার উপর কম ঝ*ড় তু*ফান যাচ্ছে না। বিয়েতে মত দিয়েছে এটাই আমার শান্তি।

কথা গুলো বলে মুনতাহার শাশুড়ী হন হন করে চলে গেলো। ..
রান্না শেষ করে খাবার টেবিলে রেখে দিয়ে মুনতাহা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। লাইট নিভিয়ে জানালার পাশে গিয়ে বসছে। আজকাল মুনতাহার আলো একদম ভালো লাগে না। অন্ধকারে বরং কষ্ট গুলোকে কবর দেয়া যায়।

আকাশে কত তারা ঝলমল করছে। মানুষ চাইলে যেমন আকাশের তারা গুণতে পারে না তেমনি মাঝেমধ্যে বু*ক ভরা ভালোবাসা দিয়ে ও কারো মন বুঝা যায় না।

মুনতাহা শুধু ভাবছে কি হতে যাচ্ছে। কেন হলো আমার সাথে!! এত কষ্ট কি আমার কপালে লিখা ছিলো । ভাবনার কোন কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না...

চারদিকে কত আলো ঝলমল করছে শুধু আমার মন টাই অন্ধকারে ঢেকে গেছে।সবার মনে কত উল্লাস বিয়ে নিয়ে। আচ্ছা সাইমুনের মনে ও কি আনন্দ হচ্ছে নতুন বউ এর জন্য। ওর মনেও কি ভালোবাসার ঢেউ বয়ে যাচ্ছে যেমন টা হয়েছিলো আমাদের বিয়ের সময়। খুব জানতে ইচ্ছে করে এত নতুনত্বের মাঝে আমার কোন অস্তিত্ব আছে কিনা! আজকাল খুব প্রয়োজন না হলে আমার কাছে আসে না।

আর হ্যাঁ আমরা কিন্তু ভালোবেসে ২ পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেছিলাম। স্বপ্ন গুলো চোখের আলোয় সাজিয়েছি । কি অদ্ভুত তাই না চোখের সামনে নিজের স্বামীর ২ য় বিয়ের সব আয়োজন চলবে আর আমি অ*সহায়ের মত এক কোণে পড়ে থাকব।

অবশ্য আমার থাকা না থাকাতে ওদের কিছু এসে যায় না। না থাকলে বরং সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচত। ওরা আমাকে রাখতে চায়নি বরং আমি জোর করে থেকে গেলাম। দু-চোখ ভরে দেখতে চাই কিভাবে সাইমুন অন্য একজন কে ভালোবাসে।

আমার মা বলত ৩০ বছর সংসার করে ও নাকি অনেক সময় স্বামী কে আপন করা যায় না। সত্যি কি আসলে তাই!! হয়ত তাই।

অবশ্য কিন্তু এখানে ওদের কোন দোষ নেই৷ যত দোষ আমার ভাগ্যের!!

ঠিক ২ বছর আগে মুনতাহা কাজী বাড়ির বউ হয়ে আসে। শুশুর বাড়ির সবাই মুনতাহাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে। কখনো মনে হয় নি এটা ওর বাড়ি না। কত স্বপ্ন ছিলো এ ঘর সম্পর্ক সংসার নিয়ে। একটু একটু করে ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাচ্ছিলো। নিজের হাতে পুরা ঘর নতুন করে সাজিয়েছে। ছোটবেলা থেকে মুনতাহার ঘর সাজানোর শখ বেশি।

মুনতাহা আকাশের তারাদের বলছে,,

জানিস এখনও মনে পড়ে যখন ঘরের সব জিনিস সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতাম কাউকে ধরতে দিতাম না।

কিন্তু আজ কত সহজে আমার সাজানো স্বপ্নের বাগান শেষ হতে যাচ্ছে।

সেই বাড়িতে থেকে স্বামীর ২য় বিয়ের সকল কাজ এক হাতে করতে হচ্ছে। না না এখন আর কান্না আসে না । কান্নার ও একটা সীমা আছে কতক্ষন কাঁদা যায়.....

বললে কি আর কান্না হার মানে ঠিকি চোখের জল পড়তেই থাকে। কাঁদতে কাঁদতে মুনতাহার চোখ লেগে এসেছে।

দরজা ধাক্কার আওয়াজ শুনে মুনতাহা আঁতকে উঠল।

মুনতাহা মুনতাহা... এত ঘুম কোথা থেকে আসে উফফ। মেহমান রা চলে এসেছে তাড়াতাড়ি আসো....
.....
চলবে Amader Adda Gor/আমাদের আড্ডা ঘড়

#পরিণয়ে_পরিণতি
পর্ব- ১

লেখক Aliya Chowdhury

ভালো লাগলে ফলো করতে ভুলবেন না কিন্তু ধন্যবাদ আপনাকে 🙂

কাস্টমার ফোন দিয়ে বলে এসি নাকি ঠান্ডা কম হয় গিয়ে দেখি এই অবস্থা 😁😁😁
18/06/2025

কাস্টমার ফোন দিয়ে বলে এসি নাকি ঠান্ডা কম হয় গিয়ে দেখি এই অবস্থা 😁😁😁

সকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি, এমন সময় আমার স্ত্রী বলে উঠল,আজ তুমি তিয়াশার স্কুলে যাবে। অংকের ম্যাডাম নাকি ডেকেছেন।আম...
18/06/2025

সকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি, এমন সময় আমার স্ত্রী বলে উঠল,
আজ তুমি তিয়াশার স্কুলে যাবে। অংকের ম্যাডাম নাকি ডেকেছেন।

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক। আর আমার স্ত্রী একটা সরকারি হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। স্বভাবতই,দুজনেই বেশ কড়া ধাঁচের মানুষ, বিশেষত সকালে।

তিয়াশা ক্লাস ফাইভে পড়ে। এমন কিছু ভয় পাওয়ার ছিল না, তবুও মনে হল ম্যাডাম যখন আলাদা করে ডেকেছেন, নিশ্চয়ই কোনও গুরুতর বিষয়।

স্কুলে গিয়ে দেখি বিশাল একটা ঘর। এক কোণে বসে আছেন গম্ভীর মুখে চশমা পরা অংকের ম্যাডাম। ঠিক যেন কোনও জজ সাহেব। পেছনে অভিভাবকদের সারি। এক এক করে নাম ডাকা হচ্ছে, বিচার চলছে।

প্রথমেই উঠল ঈশানীর মা। ঈশানীর তিনটা অংক ভুল হয়েছে শুনেই বলে উঠলেন, বাড়ি গিয়ে দেখিস!এবার তোর সব টিউশন বন্ধ করে দেবো।

তারপর রিয়া। ম্যাডাম বললেন, ভুলভাল অঙ্ক কষছে। তখনই রিয়ার বাবা গর্জে উঠলেন,আজ থেকে মোবাইলটা খেলার বদলে বই পড়বি, না হলে!

বাচ্চারা একে একে ডেকে নিয়ে অপমানিত হচ্ছে, আর অভিভাবকেরা যেন সেই অপমানকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কারও কাঁধে হাত রেখে বোঝানোর ভাষা নেই।

অবশেষে ডাক এল তিয়াশার।

আমি শান্তভাবে এগিয়ে গেলাম।

ম্যাডাম বললেন,আপনার মেয়ে বেশ কিছু অংক পারেনি। ওর মনোযোগ ঠিক নেই মনে হচ্ছে।

আমি হাসলাম। বললাম, ম্যাডাম, অর্ধেক অংক তো শিখেছে!বাকিটা সময়ের সঙ্গে শিখে নেবে। আমরা তাকে শেখার আনন্দটা নষ্ট হতে দিতে চাই না।

তিনি বিস্মিত মুখে তাকালেন, আপনি নিশ্চিন্ত এতটা?

আমি নিজে মাধ্যমিকে অংকে পঁচিশ পেয়েছিলাম। আমার স্ত্রী পেয়েছিল সাতাশ। অথচ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই, আর ও বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। তাই না ম্যাডাম, জীবনের রেজাল্ট সব সময় নম্বরে মাপা যায় না!

তিয়াশা আমার হাত চেপে ধরল। মুখে ছোট্ট একটা হাসি। আর আমার হৃদয়টা ভরে উঠল।

ফিরে আসার সময় তিয়াশা বলল,বাবা, আজ চিকেন খেতে পারি?

আমি বললাম,শুধু তুই না, রিয়াকেও ডাক। ওর বাবার কথা শুনে মনে হল আজ খেতে পাবে না ও।

বাচ্চারা বইয়ের পাতার চেয়ে বড়ো কিছু তাদের মন, তাদের প্রশ্ন, তাদের আবেগ।অঙ্ক ভুল করলে ভয়ের নয়,ভুল শুধরে নিতে শেখাটাই বড়ো।

চাপ দিয়ে নয়, পাশে থেকে শেখালে ওরাই একদিন আমাদের থেকেও বড়ো হয়ে উঠবে
Aliya Chowdhury

আমার বাচ্চা লাগবে আমায় বা*চ্চা দাও। আমার সব বান্ধবীদের বা*চ্চা আছে শুধু আমার নাই। আমার কী ইচ্ছে করে না মা হতে।আরিফ পিচ্...
18/06/2025

আমার বাচ্চা লাগবে আমায় বা*চ্চা দাও। আমার সব বান্ধবীদের বা*চ্চা আছে শুধু আমার নাই। আমার কী ইচ্ছে করে না মা হতে।

আরিফ পিচ্চি মেয়ের কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলো না। আরিফ বলতে লাগল।

দেখো আঁখি তাঁদের বাচ্চা নেওয়ার বয়স হয়েছে তাই তাঁরা বাচ্চা নিয়েছে। তুমি এখন ও ছোট বাচ্চা নিলে ব্যাথা পাবে আর অনেক সমস্যা হবে বুঝলে।

আঁখি কিছু না বলে চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

যদিও আঁখি এতো ছোট বয়সে বিয়ে করতে চায়নি। তাঁর বাবা-মা বিয়ে,বিয়ে করে মেয়েটার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে একেবারে। মেয়ের বয়সেই বা কতো? কিন্তু উনারা দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ষোল বছরের মেয়েটি কে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়েটার মাথা নষ্ট করে দিচ্ছেন।

আঁখির বাবা-মা আঁখির মাথায় হাত রেখে বার বার বলছে...

মা : দেখ ছেলে টা খুব ভালো আর তোকে তো খুব ভালোবাসে। মানা করিস না মা। আচ্ছা তোর কী কাউকে পছন্দ?

আঁখি : না আম্মু আমার কাউকে পছন্দ না। কিন্তু আমি এখন ও দশম শ্রেণী ভালো করে পার হয়ন। কিছুদিন আগে পরিক্ষা দিলাম। আমার কী বিয়ের বয়স হয়েছে ?

আঁখির বাবা একটু কঠোর হয়ে মেয়েকে বললেন....

বাবা : দেখ মা ওর জন্য আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি।সেদিন ও না থাকলে তুই এতিম হয়ে যেতি। আরিফ তোকে খুব ভালোবাসে। আমার কাছে প্রতিদান হিসেবে তোকে চেয়েছে,কী করে মানা করি বল তো?
একটু থেমে আবার ও বললেন... তোর কোন কথা আমি শুনবো না,তোকে তানভির কেই বিয়ে করতে হবে।

আঁখি জানে তাঁর বাবা কে বলে আর লাভ হবে না।তাই তাঁকে রাজি হতেই হবে তাই তাঁর বাবা কে শর্ত দিয়ে দিলো। আঁখি বলল...

আঁখি : আমি বিয়ে করবো কিন্তু এখন আমি ঐ বাড়িতে যেতে পারবো না।

আঁখির বাবা কিছু একটা চিন্তা করে আরিফ কে ফোন দিলেন। আরিফ হেসে,হেসে বলল..

আরিফ : আরে আঙ্কেল ঠিক আছে আমার কোন সমস্যা নেই।

আরিফ ফোন টা রেখে দিল আর বলল....

আরিফ : পিচ্চি পাখি তুমি আমাকে কেনো বুঝো না। তোমাকে যে বড্ড ভালোবাসি। তিনটে বছর ধরে ভালোবাসি।

বলেই নিজের মনে হেসে উঠলো আরিফ।
আঁখির ছবিতে হাত বুলিয়ে আবার বলল..

পিচ্চি পাখি তুমিও জ্বলবে আমি না থাকলে । এইবার তোমাকে আমি একটা শিক্ষা দিয়েই দিবো।

আরিফ আবার হাসতে হাসতে নিজের পথে চলে গেলো। অবশেষে আঁখির সাথে বেশ জমকালো ভাবে আরিফের বিয়েটা হয়েই যায়।

আঁখির শর্ত ছিলো সে এখন শশুর বাড়ি যাবে না। তাই আঁখির বাসাতেই বাসর সাজানো হয়েছে।

আপাদমস্তক ঘুমটা দিয়ে চারিদিকে নানান রকমের ফুল দিয়ে সাজানো বেডে বসে আছে আঁখি। সে আরিফ কে কয়েকবার দেখেছে লোক টা আসলেই বেশ সুন্দর। বেশ লম্বা, উজ্জ্বল তাঁর গায়ের রং,ব*ডি ও একদম পারফেক্ট। কিন্তু আরিফের সাথে তাঁর বেশ অভিমান আছে তাঁর কারণ হচ্ছে তাঁকে এখনেই কেনো বিয়ে করতে হলো। পরে কী করা যেতো না,এসব ভাবতে,ভাবতে হঠাৎ দেখতে পেলো আরিফ কে ঘড়ে প্রবেশ করতে।শ্যালক শ্যালিকা দের জ্বালায় একবারে এক ঘন্টা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো ছেলেটা।

অবশেষে ছাড়া পেল আরিফ যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। আরিফ ঘড়ে প্রবেশ করে দেখলো তাঁর পিচ্চি পাখি কাচু মাচু দিয়ে বসে আছে। আঁখির অবস্থা দেখে সে আলতো হাসলো। আঁখির পাশে গিয়ে বসলো, আঁখি উঠে দাঁড়িয়ে সালাম করতে গেল কিন্তু আরিফ আঁখির বাহু ধরে উঠিয়ে তাঁর কাছে নিয়ে আসল।

আরিফ আঁখির মুখের ঘুমটা খু*লে দিলো। আঁখি নিচু হয়ে তাকিয়ে আছে।সে আঁখির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল...

আরিফ : পিচ্চি পাখি ভালোবাসি খুব ভালোবাসি। তুমি কী ভালোবাসবে আমায়?

আঁখি মুখ ঘুরিয়ে নিলো। এতে আরিফ কষ্ট পেলো না বরং ঠোঁট ঠোঁট চেপে হাসতে লাগলো।

আঁখি বসতে যাবে তখন আরিফ পেছন থেকে হ্যাঁচকা টান দিলো। নিজে কে সামলাতে না পেরে সোজা আরিফের বুকে এসে পড়লো।

আরিফ বুক পকেট থেকে একটা ছোট মিষ্টি ডায়মন্ডের পেনডেন্ট বের করলো। পেনডেন্ট টা হাতের মাঝে রেখে পেনডেন্ট টাতে আলতো কি*স খেলো। তারপর পেনডেন্ট টার দিকে তাকিয়ে বলল...

আরিফ : আমার পিচ্চি পাখির কালো টিকা হিসেবে তোকে ওর গলায় স্থান দিচ্ছি। তাই বলে ওর গলায় কি*স খেতে যাবি না। ওর গলায় শুধু আমি কি*স খাবো।

আরিফের এমন কথায় আঁখি কিছু টা শিউরে উঠলো। আঁখি কে পেছনে ঘুড়িয়ে পেনডেন্ট টা আঁখির গলায় পড়িয়ে দিয়ে লকেট টা কে উদ্দেশ্য করে বলল...

আরিফ : আমি থাকি আর না থাকি আমার পিচ্চি পাখি কে দেখে রাখবি। আমি ওকে কষ্ট দিলে ও তুই ওকে সবসময় হাসি খুশি রাখবি ।

আরিফের এমন কথায় আঁখির বুকের ভেতর ছ্যাত করে উঠলো। লকেট টা গলায় পড়িয়ে দিয়ে আরিফ আঁখির ঘাড়ে গলায় গভীর ভাবে কি*স করতে লাগল ঠিক এই সময়ে আঁখি...

চলবে....

পর্ব ০১

#পর্ব_২+

আরিফের এমন কথায় আঁখির বুকের ভেতর ছ্যাত করে উঠলো। লকেট টা গলায় পড়িয়ে দিয়ে আরিফ আঁখির ঘাড়ে গলায় গভীর ভাবে কিস করতে লাগল।

আঁখির জীবনের প্রথম কোনো ছেলের গভীর স্পর্শে আঁখি শিউরে উঠলো। আঁখিকে ঘুড়িয়ে এবার কপালে চু*মু খেলো। আরিফের এই সব কান্ডে আঁখি যেন ফ্রিজ হয়ে গেলো। আঁখির হাত ধরে আঁখি কে বেডে বসালো। তারপর বলল...

" আমার কিন্তু একটা শর্ত আছে "

আঁখি সন্দিহান চোখে তাকালো। আরিফ দুষ্টু হেসে আঁখির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল... তুমি যা ভাবছো তেমন টা নয় পিচ্চি পাখি। তবে,বলে আরিফ আবারো দুষ্টু হাসি তে হেসে উঠলো। আঁখি এবার শুকনো ঢোক গিলে মিনমিনিয়ে বলল,

আঁখি : তবে কী ?

আরিফ : কিছু তবে ভালোবাসার স্পর্শ তো তোমাকে পেতেই হবে পিচ্চি পাখি।

আঁখির ভিতরে শিহরণ জেগে উঠে। আরিফ তাঁকে খু*ন করেই ফেলবে। আরিফ কে কিছু একটা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু অভিমানে আর বলল না। আরিফ বলল...

তুমি যেমন বিয়ের আগে শর্ত রেখেছিলে আমি এখন শর্ত রাখবো। তুমি কি রাজি আমার শর্তে?

আঁখি নিচু স্বরে বলল....

" জি বলুন কী শর্ত ? "

আরিফ আঁখির ঘাড়ের কাছে মুখ নিয়ে আঁখির হাতের পাঁচ আঙুল কে নিজের পাঁচ আঙুল দিয়ে আবদ্ধ করে বলল..

"রোজ আমার বুকে মাথা রাখতে হবে"

আঁখি চমকে উঠলো চোখ দুটো কেমন বিচলিত হয়ে গেছে। নিচু স্বরে বলল..

" না এটা সম্ভব না "

আরিফ মৃদু হেসে বলল..

তাঁর মানে তুমি আজ থেকেই আমার স্পর্শ পেতে চাচ্ছো। ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই।

আমি তোমায় আজকের দিনটা নিজেকে প্রস্তত করার জন্য এই শর্ত দিয়েছিলাম কিন্তু চমৎকার তুমি তো আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আছো।

এই টুকু বলেই আরিফ আঁখির কাছে আসছিলো। আঁখির গলা শুকিয়ে যাচ্ছে আঁখি তাড়াতাড়ি বলল....

নাহ নাহ আমি শর্তে রাজি। প্লিজ আজকে অন্তত....

আরিফ আলতো হেসে আঁখির মুখ টা হাতের মাঝে আবদ্ধ করে আঁখির ঠোঁটে আলতো ভাবে নিজের ঠোট ছুঁয়ে দেয়।

আরিফের ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে আঁখি ফ্রিজ হয়ে গেছে সাছে সাথে চোখ বন্ধ করে নিলো। আরিফ এবার আঁখির দুই চোখের পাতাতে চুমু খেলো।

আঁখি আরিফের পাঞ্জাবি আকরে ধরলো। আরিফ আঁখির কানের কাছে মুখ নিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে কানে নিচের অংশ তে হালকা করে কা*ম*র দিয়ে তারপর বলল..

আমার এই টুকু ছোঁয়াতেই কাতর তুমি পাখি। আমাকে ভালো না বেসে পারবে তুমি?

আঁখি চুপ করে রইলো‌। তানভির আঁখি কে বুকের মাঝে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আঁখি ও কিছু বলল না,সে ও গরম আবেশে আরিফের বুকে ঘুমিয়ে পড়ল। এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েকটি দিন।

আরিফ সেই যে বিয়ের পরের দিন নিজের বাসায় গেছে,আর আসেনি। আজ পঁচিশ দিন হয়ে গেল। আর এইদিকে...

আঁখি নিজের ব্যালকনিতে বসে বসে ফুল গুলো কে দেখছিলো,মন টা ভালো নেই। মিনমিনিয়ে বলল, কী সুন্দর ওরা ইসসস ওদের মতো যদি হতে পারতাম।

আচমকা পেছন থেকে কেউ একজন জড়িয়ে ধরে বলল, পিচ্চি পাখি ফুলের থেকেও তুমি অনেক বেশি পবিত্র। ফুল কে তো নানান রকমের মানুষের হাতের স্পর্শ পেতে হয় বিশেষ করে মেয়ে ছেলে দু'জনের এই । কিন্তু তুমি তো শুধু আমার হাতের স্পর্শে পাবা। আর পিচ্চি পাখি ফুল তো ঝরে যায়। যারা ওকে স্পর্শ করে তাঁরা ও ওকে ভুলে যায় আর ও যাদের স্পর্শ পায় তাঁদের কে ও ভুলে যায়। মাঝখানে কৃতিত্ব কিছুই নেই,যা আছে তা হলো ক*ল*ঙ্ক । আর তুমি তো পবিত্র হ্যাঁ অনেক বেশি পবিত্র। তোমার সর্বাঙ্গে শুধু থাকবে আমার স্পর্শ।

আরিফ কে দেখে চমকে গেল আঁখি। ওর ভাবনায় আসে না কখন এলো ছেলে টা। আঁখি নিচু হয়ে গেছে। আরিফ বলল,,

" আমি ফোন করেনি বলে তুমিও ফোন করবেনা নাকী ? "

আঁখি কিছু বলতে পারলো না। ওর মনে যে বড্ড অভিমান। আরিফ আঁখি কে একটা ছোট্ট পুতুল হাতে দিলো। আরিফ মিটিমিটি হাসছে এই দেখে আখি বলল...

পুতুল এনেছেন যে। পুতুল দিয়ে আমি কী করবো ?

আরিফ উত্তরে কিছু বলল না শুধুই হাসলো। আঁখি যেন কিছুই বুঝলো না। আরিফ রুমে ঢুকে সোজা শাওয়ারে গেলো।

শাওয়ার শেষে ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে ঠিক এই সময়ে আঁখির আম্মু এসে বললেন..

" আখি আরিফ কে নিয়ে খেতে আয়। ছেলেটা সেই কখন এসেছে।"

আঁখি উত্তরে শুধু হুম বলল। আঁখির আম্মু চলে যেতেই বিছানার কাছে আরিফ কে বলল...

" আম্মু ডাকছেন। "

পাঁচ মিনিট বসো কাজ টা শেষ করে নেই।

আঁখি বসলো আরিফ কাজ শেষে বলল..

চলো ( আরিফ )

আঁখি আগে যাওয়ার জন্য পা বারালো তখনই আরিফ হ্যাঁচকা টান দিয়ে আঁখি কে বুকে নিয়ে আসল। নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে আঁখি বলল...

আহ্ ছাড়ুন বলছি দরজা বন্ধ করা নেই আম্মু আসতে পারে।

আরিফ আঁখির চোখে চোখ রেখে বলল...
তাঁর মানে বলছো, দরজা বন্ধ থাকলে তোমাকে কাছে নিয়ে আসতে কোন সমস্যা হতো না তাই তো।

" নিজের কথায় নিজেই বোকা বনে গেলো মেয়েটা। আঁখি তুতলিয়ে বলল.. মানে ? "

আরিফ আঁখি কে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে কাঁধে নিজের থুতনি রেখে বলল...মানে আজকে রেডি থেকো।

" তানভিরের সাথে আঁখির আয়নাতে চোখ রাখা রাখি হওয়ায় আখি বেশ লজ্জা পেল। সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিলো।"

আঁখির আম্মু আঁখি কে আবার ডাক দিলেন। আঁখি আরিফ কে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। অখত্যা আরিফের বাহুতে আবদ্ধ হয়েই আঁখি বলল..

" আসছি আম্মু " ( আঁখি )

আরিফ বলল...
ভুলো না কিন্তু !

এই বলে দুষ্টু হাসি দিলো। আঁখি আরিফ কে বলল..

আম্মু ডাকছে তাড়াতাড়ি চলুন।

বিকেল বেলায় আরিফ আঁখির হাতে লাল টুকটুকে সিল্কের শাড়ি দিয়ে বলল... তৈরি থেকো।

" না পারব না " ( আঁখি )

সমস্যা নেই আমি বুঝতে পারছি তুমি আমার থেকে ও হাজার গুণ রোমান্টিক।

আঁখি অবাক ও চোখে তাকিয়ে বলল..

মানে ? ( আঁখি )

"মানে টা হলো কেমন কায়দা করে আমার হাতে শাড়ি পরার জন্য রেডি হবে না বললে।"

আঁখি সম্পূর্ন বোকা বনে গেলো..

আরিফ আবার বলল..

রেডি থেকো আর না হলে আমি এসে রেডি করিয়ে দিবো।

সবশেষে রাতে আঁখি রেডি হয়ে বসে আছে। মুখে হালকা মেকআপে আঁখি কে অপ্সরীর থেকে কম লাগছে না।

আরিফ নিচে গাড়ি নিয়ে বসে আছে। আঁখি কে ফোন করে বলল নিচে আসতে আঁখির আব্বু আম্মু কে তানভির আগে থেকেই সব বলে রেখেছিলো।

তাই আঁখি রুম থেকে বের হতেই আঁখির আব্বু আম্মু বললো...

"সাবধানে যাস মা ।"

আখির আম্মু আঁখির কপালে চু*মু খেয়ে বললেন, দেখিস মা তুই খুব সুখি হবি।

আঁখি কিছু বলল না শুধু বিদায় জানিয়ে নিচে চলে আসলো। গাড়ি চলছে তাঁর আপন গতিতে। আরিফের পাশে বসে আছে তাঁর লাল টুকটুকে পিচ্চি পাখি।

" একটু পর পর আরিফ আঁখি কে দেখছে। আঁখি বুঝতে পারছে কিন্তু কিছুই বলছে না । আঁখি আরিফের দিকে হালকা তাকালো।"

ছেলেটার মুখে স্নিগ্ধ হাসি মনে হচ্ছে সে বিশ্ব জয় কেরে ফেলেছে। অসম্ভব মায়ায় ভরা যে কেউ প্রেমে পরতে বাধ্য।

" আরিফ আঁখির দিকে তাকানো মাত্রই ওদের দুজনের চোখে চোখ আটকে যায় আঁখি লজ্জা পেয়ে বাইরে দিকটায় তাকায়। আরিফ মৃদু হেসে বলল.. লুকিয়ে দেখার কী আছে। সরাসরিই দেখো আমি তো অন্য কেউ না তোমারেই খুব কাছের একজন।"

আঁখি আরিফের কথায় লজ্জা পেল কারণ সে ধরা খেয়ে গেছে। কিন্তু কি করবে বে*হা*য়া চোখ তো মানুষটির স্নিগ্ধ হাসি দেখার লোভ সামলাতে পারে নি।

আঁখি পুরো রাস্তা চুপ করেই ছিলো। আরিফ ও কিছু বলেনি আর। হঠাৎ গাড়ি থামলো এক ডুপ্লেক্স বাংলোর সামনে। আরিফ বেরিয়ে এসে দরজা খুলে। আঁখির দিকে হাত বাড়ালো আঁখি.....

চলবে.....

#পর্বঃ৩

আরিফ বেরিয়ে এসে দরজা খুলে।আঁখির দিকে হাত বাড়ালো,আঁখি কিছু না ভেবে আরিফের হাতে হাত রেখে বেরিয়ে আসল। আখি বোঝার চেষ্টা চেষ্টা করছে কিন্তু বুঝতে পারছে না। অসম্ভব সুন্দর এই বাড়ি আধুনিকতার কোন অপূর্ণতা নেই। আরিফ আখির হাত ধরে বাড়ির ভেতর নিয়ে গেল। বাসায় প্রবেশ করার জন্য পা বাড়ালো যখন তখনই ওপর থেকে সাদা গোলাপের পাপড়ি পড়া শুরু হলো ওদের ওপর।আঁখি বাসায় পা রাখা মাত্রই সাথে,সাথে চারপাশ থেকে বা-জি ফুটার শব্দ শুনতে পেলো ও। কিছু টা ভয় পেয়ে আরিফের কাপড় আকরে ধরলো। আরিফের মুখে সেই ভুবন ভোলানো হাসি রেখেই আখি কে এক হাতে জড়িয়ে ধরে বলল...
আরিফ : ওয়েলকাম টু ইউর হোম পিচ্চি পাখি।

ইউর হোম বলাতে আখি আরিফের দিকে তাকালো। আরিফ ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি রেখে বলল...

আরিফ : আজ থেকে এটা তোমার বাড়ি আখি। অনেক যত্ন করে আমি বানিয়েছি শুধু তোমার জন্য।

আখি কিছুটা চমকে গেল সাথে,সাথে চোখের কোণে পানির ঝলমল দেখা গেল। আরিফ বুঝতে পেরে আখির চোখে ফু দিল। আখি পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো। আখির হাত ধরে আরিফ ভেতরে নিয়ে গেল। ভেতরে রাখা ছিল একটি সুন্দর কেক। যেটার মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল দুই টা সুন্দর পুতুল। যাদের গায়ের কাপড় অবিকল আখি আর আরিফের মতো। পুতুল দুইটি একে অপরকে জড়িয়ে আছে। আখির কাছে মনে হলো পুতুল দুই টা যেন খি*ল খি*ল করে হাসছে ওদের দুইজন কে দেখে। আর যেই হাসিতে যেন রয়েছে অনেক অনেক পবিত্র তা। আরিফ বলল...

আরিফ : আমি নিজে তৈরি করেছি পিচ্চি পাখি।

আখি আরিফের কথায় চমকে গেল। মনে মনে বলল...
আখি : উনি কেক ও বানাতে পারেন,বাববা এতো গুণ আর আমি কিছুই পারি না। ( কথা টা মনে মনে বলল )

আমি সব শিখিয়ে দিবো তোমায়।

আখি তো পুরো অবাক এই মানুষ টা কী মনের কথাও বুঝতে পারেন না কী ? আরিফ আখি কে বলল...

আরিফ : কী ভাবছো আমি কীভাবে বুঝি তাই তো ? আমি শুধু আমার পিচ্চি পাখির জন্য আমি সব করতে পারি।

আখি যেন চমকের চূড়ান্ত শীর্ষে। আরিফ আখির হাত ধরে কেক টা কেটে নিল। তারপর আখি কে খাইয়ে দিল।

আখির ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা ক্রিম টা আরিফ হাত দিয়ে নিয়ে খুব যত্নে খেয়ে নিল। আখি এই মানুষটি কে যত দেখছে ততটাই অবাক হচ্ছে। বার বার মানুষটির প্রেমে পরে যাচ্ছে কিন্তু ঐ যে অভিমান তাকে তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করতে বাঁধা দিচ্ছে‌। আরিফ একটি পেপার দিয়ে আখি কে বলল...

আরিফ : সাইন করো।

আখি : না

প্লিজ পিচ্চি পাখি আমি তোমাকে তাজমহল দিতে পারছি না। কিন্তু আমার ভালোবাসার তাজমহল হিসেবে এই বাড়ি টি তো দিতেই পারি।

আখি আর মানা করলো না। আখি সাইন করে নিল। আরিফ আখিকে কোলে নিল আখি আরিফের গলা জড়িয়ে ধরলো।আরিফ আখি কে তার রুমে নিয়ে শুইয়ে
দিল।পুরো ঘর টা সাদা গোলাপ দিয়ে সাজানো। আরিফ বলল...

আরিফ : পিচ্চি পাখি তুমি আমার দুনিয়ার সব থেকে পবিত্র। এই সাদার মাঝে একমাত্র তুমিই আমার জীবনের রং। সারা বিশ্বের ভালোবাসার রং লাল। আর তুমি আমার জীবনের লাল রং। সবাই লাল কে ভালোবাসার প্রতিক ভাবে লাল কে ভালোবাসার প্রতিক ভাবে আর তুমি নিজেই এক সমুদ্র ভালোবাসা। এই সাদা যতটা স্বচ্ছ তুমি। সাদা কে পবিত্র বলা হয় কিন্তু তুমি আমার দুনিয়ার সব থেকে পবিত্র। এই সাদা কে দেখিয়ে তোমায় ভালোবাসতে চাই। সাদা সবাই কে হি*ঙ*সে তে জ্বালায়। আর আজ আমি সাদা কে দেখিয়ে দেখিয়ে, তোমাকে ভালোবেসে ওকে জ্বালাতে চাই। আমাকে দিবে কী সেই সুযোগ। তোমাকে নিয়ে ভালোবাসার সাগরে ডুব দিতে চাই প্রিয়। আমার হাতে হাত রাখবে কি তুমি। আমার ভালোবাসা কে গ্ৰহণ করবে কী তুমি?

ভালোবাসা কে কতো টা স্বচ্ছ ভাবে আরিফ আখি কে বর্ননা করলো। এই মানুষটি কে কী না ভালোবেসে থাকা যায় ? যায় না বোধহয়।

তাই তো আজ আখি নিজকে আরিফের কাছে সু*পে দিয়েছে।সে ও আরিফ কে ভালোবাসাতে ডুবে গেল। আজ এ ঘরে পবিত্র ভালোবাসা বিরাজ করছে।

হয়ত জান্নাতের আলো ঘিরে নিয়েছে ওদের। এভাবেই যেন জান্নাতে দুটি ভালোবাসা এক হয়ে যায়। আখি আর আরিফের জীবন পায় পূর্ণতা। আরিফ বলে উঠল....

আরিফ : ভালোবাসি খুব ভালোবাসি পিচ্চি পাখি।

অভিমান আর ভালোবাসার খেলায় অভিমান কে হারিয়ে আখি ও বলে উঠে...

আখি : আমিও ভালোবাসি, খুব বেশি ভালোবাসি। অভিমানেও ভালোবাসি।
#পিচ্চির ভালোবাসা

লেখক Sohag Hossain Rased
#সমাপ্ত ❤️

সাবিলা নূর যদি অভিনয় ছেড়ে-দিয়ে ৪ বছরে গ্র্যাজুয়েশন করতো তাহলে হয়তো তার...আজকে একটা ২০-৩০ হাজার টাকার চাকরি থাকতো কিন্তু....
18/06/2025

সাবিলা নূর যদি অভিনয় ছেড়ে-দিয়ে ৪ বছরে গ্র্যাজুয়েশন করতো তাহলে হয়তো তার...আজকে একটা ২০-৩০ হাজার টাকার চাকরি থাকতো কিন্তু............আজকের এই অবস্থান (সেলিব্রেটি) ইনকাম হয়তো তার থাকতো...না!!👩‍ সাকিব আল হাসান যদি ক্রিকেট....ছেড়ে দিয়ে ৪ বছরে গ্র‍্যাজুয়েশন করতো তাহলে..আজকে সেও হয়তো ২০-৩০ হাজার টাকার চাকরি করতো কিন্তু ১৪ বছরে গ্র‍্যাজুয়েশন......শেষ করে সে আজ প্রায় ৪০০ কোটি টাকারও বেশি মালিক 👨‍🎓..
টাকা কামানোর জন্য পড়ালেখা করা আসলে সবচেয়ে..খারাপ ইনভেস্টমেন্ট প্রমাণিত...পড়াশোনা অবশ্যই প্রয়োজন তারাও গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে!!কিন্তু তারা যদি শুধু পড়াশোনার..পেছনে পড়ে থাকতো....আজকে তাদের কেউই চিনতো না!! তারা তাদের ক্যারিয়ারের জন্য চিন্তা করে শুধু পড়াশোনায়.....পড়ে থাকে নাই পড়াশোনার পাশাপাশিই.....ক্যারিয়ার গড়েছে তাই পড়া শোনার পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রীদের কিছু একটা করা খুববেশি প্রয়োজন!!
সংগৃহীত- Amader Adda Gor/আমাদের আড্ডা ঘড়

আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী আমি। একটা দূর্ঘটনার  কবলে পরে আমার স্বামী আমাকে বিয়ে করে। আমার স্বামী একজন বড়ো ব্যবসায়ী। ব্য...
18/06/2025

আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী আমি। একটা দূর্ঘটনার কবলে পরে আমার স্বামী আমাকে বিয়ে করে। আমার স্বামী একজন বড়ো ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ের কাজেই গিয়েছিল আমাদের গ্রামে। আমার ছোটোখাটো পরিবার। আমার বাবা একজন ইমানদার মানুষ। মসজিদের ইমাম। মা মারা যায় ছোটোবেলায়। এরপর আর বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বিয়ে করেনি৷ আমি পড়াশোনায় ভালো ছিলাম। নিজের পুরো সময়টা পড়ায় মন দেওয়ার চেষ্টা করতাম। আমার জীবনটাও বেশ রঙিন কাটছিল। টাকা ছিল না তবে সুখের কমতি ছিল না। শান্তির কমতি ছিল। বড়ো কোনো আশা ছিল না। তবে বাবার জন্য কিছু একটা করার ইচ্ছা সবসময় ছিল৷

আমার স্বামীর নাম আরাব চৌধুরি বয়স ৪৩ বছর। তিনি যখন আমাদের গ্রামে আসেন তখন আমার বয়স ছিল সতেরো বছর। আমাদের গ্রামে বিশাল বড়ো বাঙলো উনার। উনি যতবারেই গ্রামে আসতেন আমার বাবা খাবার দিয়ে আসতেন। এতে অবশ্য তিনি আমার বাবাকে টাকা দিতেন। যে কয়বার উনি গ্রামে এসেছেন সে কয়বার আমি উনাকে কখনও মুখোমুখি দেখিনি।যেদিন আমার সাথে তার মুখোমুখি দেখা হয় সেদিনেই উনার সাথে আমার বিয়ে হয়।

ঘটনা আরও তিনমাস আগের। উনি গ্রামে এসেছিলেন ব্যবসায়ের কাজে। বরাবরেই গ্রামে আসলে রান্নার ভারটা আমার উপরেই পড়ে। যেদিন দেখি বাড়িতে অনেক ভালোমন্দ রান্না হচ্ছে সেদিন বুঝতে পারি উনি এসেছেন। শেষবার যখন উনি এসেছিলেন সেদিন রান্না করে বাবাকে ডাকতে গিয়ে দেখি তিনি শুয়ে আছেন। অবেলায় শুয়ে থাকতে দেখে বাবার কাছে গিয়ে লক্ষ্য করলাম বাবা ভীষণ জ্বরে কাঁতরাচ্ছে। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে বাবা আমাকে বললেন

"আয়েশা মা, তুমি খাবারটা চৌধুরি সাহেবের জন্য নিয়ে যাও। আজকে আমার শরীর ভীষণ খারাপ লাগছে। বাইরেও বৃষ্টি। গতরে একদম শক্তি নেই যে উঠে খাবার নিয়ে যাব।"

বাবার শারিরীক কষ্ট বুঝতে পেরে আমিই এ বাদল বৃষ্টি ভেদ করে কচু পাতা মাথায় দিয়ে উনার বাড়িতে যাই। বেলা তখন দুপুর দুটো। আমি যেতেই আরাব চৌধুরি আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন

"কী চাই? এখানে কেন এসেছো?"

আমি কিছুটা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে উত্তর দিলাম

"আপনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি। বাবা ভীষণ অসুস্থ । তাই আসতে পারে নি।"

সেদিন এতটাই ভয়ার্ত ছিলাম যে উনার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছিলাম না। শরীরটাও থরোথরো করে কাঁপছিল। আমাকে কাঁপতে দেখে তিনি হালকায় গলায় জিজ্ঞেস করলেন

"কাঁপছো কেন? সামনে তো বাঘ ভাল্লুক বসে নেই। খাবার কী সবসময় তুমি রান্না করো?"

আমার ভয়ার্ত গলায় উত্তর আসলো

"জ্বি স্যার আমিই রান্না করি।"

তিনি বেশ স্বাভাবিক গলায় আমাকে বললেন

"খাবারটা টেবিলের উপর রেখে চলে যাও। আর রাতে রান্নার প্যারা নিতে হবে না। রাতে আমি খাব না।"

"জ্বি স্যার"

আমি খাবারটা রেখে বাড়ি থেকে বের হলাম। কথোপকথনের সময় একটাবারও আমার উনার চোখের দিকে তাকনোর সাহস হলো না। এমনকি দেখতে কেমন সেটাও আমি বলতে পারব না। আমি বাড়ির গেইটের সামনে আসতেই চারপাশ অন্ধকারে মেঘের গর্জন দিয়ে ছেয়ে যাচ্ছিল। ভয়ে আমি জড়োসড়ো হয়ে গেইটের কোণে দাঁড়িয়ে আছি। আকাশের দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করলাম চারপাশে মেঘেরা খেলা করছে। যখনই বাড়ি যাবার জন্য পা বাড়ালাম তখনই বৃষ্টির ঢল আকাশ থেকে নামতে শুরু করলো।

আমি তাড়াহুড়ো করে গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসলাম। পুরো শরীর বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে। আমি বের হতেই পাড়ার মহসীনের সাথে আমার দেখা। মহসীন এ পাড়ার সবচেয়ে ইতর লোক। বাবার কাছ থেকে কয়েকটা টাকা ধার পায় সে।।সে ধারের টাকা বাবার পরিশোধ করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় বাবাকে। বাবা অবশ্য এতে একদম নারাজ। কারণ একজন বাবা তো জেনে শুনে একটা লম্পটের সাথে নিজের মেয়েকে তুলে দিতে পারে না। তাই সবসময় সুযোগ খুঁজে আমার ক্ষতি করার।

আমাকে ভেজা অবস্থায় দেখে তার লালসার চোখ আমার উপর পড়ল। আমার হাতটা ধরে নোংরা ভাষায় বলতে লাগল

"কী রে মা**গি আমারে বিয়ে করতে পারিস না। অথচ ভেজা শরীর নিয়ে বুইড়া বেডার সাথে শুইতে আসছিস। চরিত্রহীন মেয়ে। খালি বাড়ি থেকে এমনে বের হইছস। বুঝি না কী করে আইছস। তোরে আজকে হয় আমার সাথে বিয়ে দিবে নাহয় তোর নামে কলঙ্ক রটাব।"

মহসীন এ কথাগুলো বলেই আমাকে টানতে টানতে বাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে আর লোক জড়ো করছিল।।সব লোক সমাগম আমার বাড়ির সামনে। সবার হৈ হুল্লোরে বাবা জ্বর শরীর নিয়ে বের হলো। মহসীন বাবাকে দেখেই বলে উঠল

"মাইয়া বিয়ে দিতে সমস্যা। ভাড়া খাটাইতে সমস্যা নাই? তাই না? বুইড়া বেডার কাছে মাইয়া পাঠায়ছেন খুশি করে টাকা আনার জন্য। "

এরপর গ্রামের কিছু মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলল

"এই আয়েশার বাপ একটা ভন্ড হুজুর। নিজে ইমামতি করে মাইয়ারে ভাড়া খাটায়। এ বাদলা দিনে এ মাইয়া বাঙলো থেকে বের হয়ছে। বাঙলোতে একা শুধু আরাব চৌধুরি থাকে এটা সবার জানা। ভেজা শরীর নিয়ে লুকিয়ে বের হতে গিয়েই আমার হাতে ধরা পড়ছে।।এটা তো সমাজের জন্য ক্ষতি। এই নষ্টা মেয়ের জন্য আর ভন্ড হুজুরের জন্য তো সমাজ নষ্ট হইব। যদিও মাইয়া খারাপ। তবুও এতদিন আয়েশার বাপ আমাদের নামাজ পড়ায়ছে সে সুবাদে একটা সুযোগ দেওয়া যায়। আমি চাই আয়েশারে বিয়ে করতে। এত দূর্নাম জেনেও বিয়ে করতে চাই কারণ মাইয়ার মা নাই। অসহায় মাইয়া বিয়ে করলে সওয়াব আছে। আর বিয়ের পর ঠিকমতো টাইট দিলে চরিত্রও ঠিক হয়ে যাইব। এহন আপনারা যা সিদ্ধান্ত নেন।"

গ্রামবাসী সবাই মহসীনের কথায় তাল মিলিয়ে বাবাকে ছিঃ ছিঃ করতে লাগল। বাবার চোখ বেয়ে কান্না জড়ছে। ছোটো একটা বিষয় এত বড়ো হয়ে যাবে কে জানত। কান্না গলায় বাবা বলল

"দরকার হয় সমাজ ছাইড়া চইলা যামু। তবুও আমার মেয়েরে এ লম্পটের হাতে তুলে দিমু না। চৌধুরি সাহেব অনেক ভালো মানুষ। আমি উনাকে কাছ থেকে চিনি। সে ভরসায় নিজের শরীর খারাপ ছিল তাই আয়েশাকে দিয়ে খাবার পাঠায়ছি।।আমার মেয়ে নষ্টা না। একটা লম্পট ছেলের কথায় আমার মেয়েকে দয়াকরে এ অপবাদ দিবেন না। "

মহসীনকে লম্পট বলায় মহসীন রেগে আমার বাবার কাছে তেড়ে গিয়ে বাবার গালে থাপ্পড় কষিয়ে দিয়ে বলল

"নষ্টা মেয়ে জন্ম দিয়ে নষ্টামি করে আমাকে লম্পট বলা।"

গ্রামবাসীও বাবাকে মারার জন্য তেড়ে আসতে লাগল।।সত্যি বলতে সেখানে যারা উপস্থিত ছিল সবাই মহসীনের কথায় উঠছিল বসছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম তাদের মহসীন আগেই টাকা দিয়ে কিনে এ নাটক সাজিয়ে ফেলেছে। সুযোগের অপেক্ষায় থাকা মহসীন হুট করে সুযোগ পেয়ে আজকে ঝোপ বুঝে কোপ মারল। গ্রামবাসীকে এভাবে তেড়ে আসতে দেখে বাবা ভীষণ ভেঙে পড়ে। দাঁড়ানো থেকে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে।

আমি গ্রামবাসীকে চিৎকার করে বুঝানোর চেষ্টা করেও পারছিলাম না। পাশের বাড়ির মালতি চাচী আমার চুল ধরে বলতে লাগল

"নষ্টা একটা। তোর জন্য তো আমাদের মেয়েরা নষ্ট হবে। মহসীন যে তোকে বিয়ে করতে চায়ছে শুকরিয়া করে বিয়ে কর। নাহয় বাপ বেটিকে চুল ন্যাড়া করে গ্রাম ছাড়া করব।"

পরিস্থিতি খারাপের দিকে মোড় নিল। বাবা বসে আর কোনো কথা বলতে পারছিল না। আমি নিজেও মাটিতে বসে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম।

হুট করেই একটা কণ্ঠ সব কিছু নিস্তব করে দিল। পেছন থেকে আরাব চৌধুরি বজ্র কণ্ঠে বলে উঠলেন

"সমস্যা আমাকে নিয়ে। মেয়েটা আমার বিছানায় গিয়েছে তাহলে মহসীন কেন বিয়ে করবে? এত উদার মানুষ হলে তো সমস্যা। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে এ মেয়েকে বিয়ে আমিই করব। মেয়ের বাবা একজন সম্মানিত লোক। তার পেছনে আপনারা নামাজ পড়েন। সে মানুষটাকেই আপনারা অসম্মান করছেন। বিবেক কী বিকিয়ে দিয়েছেন? আয়েশার বাবাকে সবাই চিনেন কতটা সৎ তিনি। তারপরও আপনারা যা নয় তা বলছেন। আর মেয়ের দোষের শাস্তি বাবাকে কেন দিচ্ছেন? দোষ যেহেতু মেয়ে করেছে আর আমি এতে জড়িত৷ আয়েশাকে বিয়ে আমিই করব। "

আরাব চৌধুরির কথা শুনে সবার মুখ বন্ধ হয়ে গেলেও মহসীন বলে উঠল

"এসব মুখে বলায় সম্ভব। বিয়ে করলে এখন এ মুহুর্তে করেন। আমি কাজী ডাকি। বড়োলোকের মুখের কথার দাম নাই।"

আরাব চৌধুরী মহসীনের কলার ধরে বলে উঠল

"যাকে ডাকার ডাক। আমি এ মুহুর্তে আয়েশাকে বিয়ে করব৷ আমি এক কথার মানুষ। আমার জবান শক্ত।"

এরপর গ্রামবাসীর তোপে পড়ে আমার বিয়েটা হলো। কীভাবে সবটা পাল্টে গেল নিজেও বুঝলাম না। বাবা সেই যে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসেছিল আর কথা বলেনি। বিয়ের পরদিন বাবা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হার্ট এটাক করে মারা যায়। সবার অপমান এতসব কথা, নিজের মেয়ের এমন করে বিয়ে এসব বাবা সইতে পারেনি। বাবার মৃত্যুটা আমাকে একদম হতাশ করে দেয়। এ গ্রাম গ্রামের মানুষ আমার কাছে বিষের মতো লাগতে শুরু করে। আমি বাবার কবরের মাটি হাতে নিয়ে শুধু বলেছিলাম তোমার এ অপমানের প্রতিদান যেন প্রতিটা মানুষকে আল্লাহ দেয়। বাবা আমি চেষ্টা করব মাথা উঁচু হয়ে বাঁচতে। যত কষ্ট হোক যত সমস্যা হোক, আমার মাথা নোয়াব না। সবসময় নিজের আত্মসম্মান বাজায় রেখে উঁচু হয়ে বাঁচব।

বাবাকে করব দেওয়ার পরদিন আমি ঢাকায় আসি। এর মধ্যে আমার স্বামীর সাথে আমার কোনো কথায় হয়নি। ঢাকায় আসার পর জানতে পারি আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী আর সেখান থেকে আমার জীবনের গল্পের নতুন মোড় নিল।

#গল্প_বেহালার_সুর
#পর্ব- ১
লেখিকা: Aliya Chowdhury

পারিবারিক বিয়ের প্রথম রাতে যা ঘটেদেখুন ভাইয়া, আজকের রাতে শা-রী-রি-ক মেলামেশা না করলে হয়না, আমার এসব ভীষণ ভয় লাগে!”মানিব্...
18/06/2025

পারিবারিক বিয়ের প্রথম রাতে যা ঘটে

দেখুন ভাইয়া, আজকের রাতে শা-রী-রি-ক মেলামেশা না করলে হয়না, আমার এসব ভীষণ ভয় লাগে!”

মানিব্যাগ থেকে জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতির উপকরণ বের করে টেবিলের ওপর রাখার সময় নববধূর মুখে এমন কথা শুনে হেসে ফেললো অভি, কেমন বাচ্চাদের মতো কথাবার্তা।

অভি ঘুরে দাড়িয়ে হাসিমুখে বললো,– কি বলছো এসব দৃষ্টি! আর স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রে তো এসব বৈধ।

“তবুও আমি ওসব কাজ করতে পারবো না” আমতা আমতা করে দৃষ্টি বললো।

“আচ্ছা ওসব করতে হবেনা,” বলে অভি চেয়ার টেনে দৃষ্টির মুখোমুখি বসলো।

“ তাহলে ঐ যে মানিব্যাগ থেকে ঐ প্যাকেটগুলা বের করে রাখলেন, ওগুলো কেন? ওগুলো দিয়ে কি হয় ভাবি কিন্তু আমাকে বলেছে,” বলে দৃষ্টি মাথা নিচু করে রইলো।

অভি বললো,– তোমাকে যেমন ভাবী এটার সম্পর্কে বলেছে, আমাকেও তেমন বন্ধুরা এটা ফাজলামো করে দিয়েছে।

লাল শাড়ীতে দৃষ্টিতে লাজুক মুখটা ভীষণ মায়াবী লাগছে, এ যেন স্বর্গের অপ্সরী বসে আছে অভির সামনে। দৃষ্টির বয়স বেশী হলে ষোলো কি সতেরো হবে। অভির আম্মুর বান্ধবীর একমাত্র মেয়ে দৃষ্টি, গতবছর দৃষ্টির মা-বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাবার পরে অভির আব্বু আম্মু দৃষ্টিকে অভিদের এখানে নিয়ে আসে। এবং আব্বু আম্মুর ইচ্ছে দৃষ্টিকে অভির বউ করা। এবছর তাদের ইচ্ছেটা পূর্নতা পেলো।

দৃষ্টিকে অভিরও ভীষণ পছন্দ, যেমন দেখতে দুধে আলতা গায়ের বরণ, তেমনি নম্র ভদ্র স্বভাবের মেয়ে ও। অভী কিছুদিন হলো বসুন্ধরা গ্রুপে একটা সেকশনের প্রডাকশন সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি পেয়েছে। দেখতেও সুদর্শন এবং স্মার্ট, তবুও দৃষ্টির কেমন যেন লাগছে, এত কাছাকাছি কেউ আসবে ভাবতেই শরীরের লোম কাটা দিয়ে ওঠে!

ঘোমটা দিয়ে রাখায় সম্ভবত গরমে এবং ভয়ে লাজে ঘামছে দৃষ্টি, তাই দেখে অভি বললো,– এবার তো খোলো দৃষ্টি।

অভির মুখে এই কথা শুনে দৃষ্টি ভয়ে গুটিশুটি মেরে বললো,– আপনাকে না বললাম ওসব আমার ভয় লাগে!

অভি হা হা করে হেসে ফেলে বললো,– আরে ভয়ে কীসব উল্টাপাল্টা ভাবছো দৃষ্টি! আমি ঘোমটা খুলতে বলেছি, গরম লাগছে তো তোমার। শাড়ী খুলে নরমাল ড্রেস পরো, ভালো লাগবে।

দৃষ্টি একটু দূরে সরে গিয়ে বললো,– আমি শাড়ী খুলে ফেলি আর আপনি সেই সুযোগে আমাকে ধরবেন, তাই তো? আমি সব বুঝি!

: হা হা হা, তুমি আমার সামনে বদলাতে যাবে কেন।

: সামনে তো আপনি বসে আছেন, বদলালে তো আপনার সামনেই বদলাতে হবে!

: কীসব বলছেন! লজ্জা করেনা আপনার?

: স্বামী স্ত্রীর মাঝে আবার লজ্জা কিসের দৃষ্টি? আচ্ছা তোমার লজ্জা পেতে হবে

চলবে SHR24.Tv

গল্পঃ দৃষ্টির সীমায়
( ১ম পর্ব )

নেক্সট পার্ট সবার আগে আইডিতে পোস্ট করা হবে, নীল লেখার চাপ দিয়ে সবাই আইডি ফলো করুন Nazia Afrin

আগামীকাল র্গালফ্রেন্ডের জম্মদিন।  কিন্তু পকেটে একটা দুই টাকার ছিড়া নোটও নেই।  ভাবি রান্না করছিলো, ভাবলাম ভাবির কাছে কিছু...
18/06/2025

আগামীকাল র্গালফ্রেন্ডের জম্মদিন। কিন্তু পকেটে একটা দুই টাকার ছিড়া নোটও নেই। ভাবি রান্না করছিলো, ভাবলাম ভাবির কাছে কিছু টাকা চাইতে হবে। যদিও ধার হিসেবে নিবো, কিন্তু কখনো শোধ করতে পারবো বলে মনে হয় না। কিচেন এসে ভাবির দিকে তাকিয়েই বুঝলাম, তার চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। নিশ্চয় ভাইয়ার সাথে ঝগড়া হয়েছে নাহলে মেজাজ এত গরম কেনো? আমি যে পাশে দাড়িয়ে আছি ভাবি সেটা ইচ্ছে করেই খেয়াল করছে না। একটু পর ভাবি আমার দিকে বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

--- হ্যবলার মত হা করে দাড়িয়ে আছিস কেনো? সমস্যা কি? কি বলবি, বলে বিদায় হ।

--- না মানে আসলে,তোমার মেজাজ বোধহয় গরম হয়ে আছে। থাক পড়ে বলবো।

ভাবি একবার আমার দিকে চেয়ে আবার রান্নায় মনোযোগ দিলো। আমি ঠ্যায় দাড়িয়ে রইলাম। ভাবির যে মেজাজ তাতে টাকার কথা বললে আগুনে ঘি ঢালা হবে আবার না বলেও উপায় নেই টাকা লাগবেই।শেষে বলেই ফেললাম,
--- ভাবি কিছু টাকা লাগবে?

--- কি করবি টাকা দিয়ে?

--- তেমন কিছু না। কিন্তু লাগবে।

--- তো আমাকে বলছিস কেনো? আমি কি টাকার গাছ, যে চাইলি আর টুপ করে পেরে দিয়ে দিলাম। আর বাসায় কি আমি একা আছি? বাবা,মা,ভাইকে চোখে পড়ে না? তাদের কাছে যেয়ে টাকা চাইতে পারিস না? তাদের কাছে টাকা চাইলে কি মুখে ফুসকা পড়ে? আমার কাছে কোনো টাকা পয়সা নাই, আমি কোনো টাকা দিতে পারবো না। আমাকে বিরাক্ত না করে বিদায় হ এখান থেকে।

কিচেন থেকে বেরিয়ে এলাম। আগেই অনুমান করা উচিৎ ছিলো। ভাবির মেজাজ গরম, এখন কিছু বলা যাবে না। এই বাসায় এক মাত্র ভাবিই আমার আশা ভরসা। আব্বুর সাথে তো কথা বলতেই পারি না ভয়ে। আম্মুর কাছে গেলে দিবে একটা ধমক আর ভাইয়া এমন ভাবে তাকাবে যেনো আমি ক্লাস টু তে পড়া একটা বাচ্চা। তার চাওনি দেখেই আমি শেষ।

বিকালে মন খারাপ করে ছাদে বসে গান শুনছিলাম। তখন ভাবি এসে পাশে বসে বললো
--- কফি খাবি?

আমি ভাবির দিকে চাইলাম। দুই হাতে দুটো কফির কাপ। একটা আমাকে দিয়ে ভাবি কফিতে চুমুক দিয়ে বললো,
--- ছোট বরের কি মন খারাপ?

আমি কিছু বললাম না৷ নিঃশব্দে কফির কাপে চুমুক দিলাম। ভাবি আমার হাতে টাকা গুজে দিয়ে বললো,
--- পাচ হাজার টাকা আছে। এতে হবে তো?

আমি ভাবির দিকে চাইলাম। আমি কিছু বলার আগেই ভাবি বললো,
--- সকালে মেজাজটা একদম খারাপ ছিলো। তোর বজ্জাত ভাইয়ের সাথে ঝগড়া হয়েছিলো। তাকে তো কিছু বলতে পারি নি। তাই তোকে বলে শোধ দিছি। তোকে ঝাড়ি দেওয়ার জন্য জরিমানা হিসেবে পাচ হাজার টাকা দিলাম। এবার তো একটু হাঁসবি নাকি?

আমি ভাবির দিকে তাকিয়ে হেঁসে ফেললাম।মূহুর্তেই মনটা ভালো হয়ে গেলো।

বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত ১২ টা বেজে গেছে খেয়াল করি নি । যখন বাসায় ফিরলাম তখন প্রায় একটা বাজে। এর আগে কখনো এত রাত পযান্ত বাইরে থাকি নি। আব্বুর হাতে বোধহয় পিটুনি খেতে হবে আজ। দরজার সামনে দাড়িয়ে বুকে ফু দিয়ে কলিংবেল চাপলাম। ২ য় বার কলিংবেল দেওয়ার আগেই দরজা খুলে গেলো। দরজার ওপারে ভাবি দাড়িয়ে আছে। আমি কিছু বলার আগেই ভাবি বললো,

--- কোনো রকম শব্দ করবি না। সোজা পা টিপে টিপে রুমে চলে যাবি। তোর টেবিলে খাবার রেখে এসেছি খেয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়বি। সকালে কেউ জিঙ্গেস করলে বলবি ১১ টার আগেই বাসায় এসেছিস।

-- কিন্তু তুমি না ঘুমিয়ে আমার জন্য বসে আছো কেনো।

--- আমি ঘুমালে আপনার পিঠে কাল সকালে একটা মাইরও মাটিতে পড়তো না। সব আপনার পিঠে পড়তো। কথা না বলে রুমে যা।

আমি নিঃশব্দে রুমের দিকে পা বাড়ালাম। বুঝতে পারলাম ভাবি ডয়িংরুমেই বসে ছিলো আমার জন্য। কলিংবেলের শব্দে কারো ঘুম ভেঙে যাবে এই জন্য ২য় বার বেল দেওয়ার আগেই দরজা খুলে দিয়েছে।

বন্ধুদের সাথে বাইক নিয়ে লং ড্রাইভে যাবো। কিন্তু ভাইয়ার কাছে কিছুতেই বাইকের চাবি চাওয়ার সাহস হচ্ছে না। ভাবিকে বলেছি। ভাবি বলেছে কোনো একটা ব্যবস্থা করে দিবে। সকালে ভাইয়া অফিসে যাবার জন্য রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে আসলো। আমি আগে থেকেই বসে ছিলাম। ভাইয়া আসতেই ভাবিকে চোখের ঐশারা করতেই ভাবি ভাইয়াকে বললো,

--- আজ তুমি বাসে করে অফিসে যেও।বাইকটা রেখে যাও, আমি অভ্রকে নিয়েএকটু মার্কেটে যাবো কিছু কেনাকাটা করতে হবে।

ভাবির কথা শুনে ভাইয়া আমার দিকে চাইলো। আমার মুখ দেখে কি যেনো বোঝার চেষ্টা করলো। আমি একই ভাবে খেয়ে যাচ্ছি। ভাইয়া যাবার সময় ভাবির হাতে বাইকের চাবি দিয়ে আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো,

--- বাইকে যদি একটা চুল পরিমান ক্ষতি হয়। তাহলে তোমার আদরের দেবরের খবর করে ছাড়বো।

ভাইয়া বেরিয়ে যেতেই আমি ভাবিকে জরিয়ে ধরে আনন্দে চিৎকার করে উঠলাম।

রাতে খাবার সময় আব্বু আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
--- পড়াশোনা তো শেষ। কতদিন আর টইটই করে ঘুরে বেরাবে? এবার একটা চাকরী বাকরি কিছু করো৷ ভাইয়ের ঘাড়ে বসে বসে তো কম খেলে না।

আমি কিছু বললাম না। মাথা নিচু করে বসে রইলাম। আমার পাশ থেকে ভাবি বললো,

--- কি যে বলেন বাবা। অভ্র তো মাত্রই পড়াশোনা শেষ করেছে। একটু ঘুরাঘুরি করুক। তারপর নাহয় কিছু একটা করবে। এমন তো নয় যে কিছু করবে না। অব্যশই কিছু করবে। অনেক ভালো চাকরি করবে। আর কত বড়ই না হয়েছে? এতটুকু একটা ছেলে।

সেদিন আমি কিছু বলি নি। শুধু ভাবির দিকে চেয়ে ছিলাম।

আজ চাকরি জিবনের একমাস হলো। মাস শেষে বেতন ও পেলাম। অনেক টাকা। আমার জিবনের প্রথম রোজগার। টাকা গুলো হাতে নিয়ে ভাবছি এত টাকা দিয়ে আমি কি করবো। মাসে ৫ হাজার টাকা হলেই আমার হয়ে যায়। অফিস থেকে বেরিয়ে মার্কেটে চলে এলাম। অনেক খুজে একটা লাল রঙের শাড়ি পছন্দ হলো। সেটাই কিনে রওনা হলাম বাড়ির দিকে। বাসায় এসে ভাবির হাতে শাড়ির প্যকেটটা ধরিয়ে দিয়ে বললাম,

--- এটা তোমার জন্য। দেখো তো পছন্দ হয় কি না।

ভাবি প্যকেটটা নিয়ে নেড়েচেরে দেখে বললো,
-- কি আছে এতে?

--- খুলে দেখো কি আছে।

ভাবি প্যকেট খুলে শাড়ি দেখে হা করে চেয়ে রইলো আমার দিকে। ভাবি বললো,
--- এত দামি শাড়ি দিয়ে আমি কি করবো?
-- কি করবে আবার পড়বে।

আমি ভাবির হাতে বেতনের বাকি টাকা গুলো ধরিয়ে দিয়ে বললাম।
--- এগুলো রেখে দাও। আমার জিবনের প্রথম ইনকাম।

--- তো আমাকে দিচ্ছিস কেনো? তুই রেখে দে।বিয়ের পর কাজে লাগবে।

--- বিয়ের পর তোমার থেকে চেয়ে নিবো।তুমি রেখে দাও। শাড়িটা পছন্দ হয়েছে কি না বললে না তো।

--- অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। বিশ্বাস কর,আমার জিবনে কোনো জিনিস এতটা পছন্দ হয় নি। আমার তো বিশ্বাসী হচ্ছে না যে আমার ছোট্ট বরটা এত বড় হয়ে গেছে। কাল যাকে হাফ প্যন্ট পরে ঘুরতে দেখলাম, কাল যে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য আমার কাছে বায়না করতো। আজ সেই ছোট্ট আভ্রটা কত বড় হয়ে গেছে।

কথা গুলো বলেই ভাবি আমাকে জরিয়ে ধরলো। আমি অনুভব করলাম ভাবি কাদছে। বুঝলাম না এখানে কান্না করার মত কি হলো। এটাও বুঝলাম না, যে আমার চোখ দুটো কেনো ঝাপসা হয়ে আসছে।
.......সমাপ্ত.........

বড়_ভাবি

মন ছুয়ে যাওয়া গল্প পেতে পেজটা ফলো করুন Nazia Afrin

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rasedur Jaman Sohag posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rasedur Jaman Sohag:

Share