16/10/2025
মিন্নী আর মরিয়ম মান্নানের ঘটনা তো সবারই জানা সেটা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই।
চলতি বছরের একটা ঘটনা বলি :
জুলাইয়ে গণমাধ্যমে একটা খবর চাউর হয় " স্ত্রীর দেওয়া কিডনিতে প্রাণে বেঁচে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী"
মুহুর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। আহা পুরুষ কত খারাপ যে বউ তাকে কিডনি দিয়ে বাঁচালেন সেই বউকে ছেড়ে পরকীয়ায় জড়ালেন। গালাগাল শুরু হয়, পুরুষবিদ্বেষী মন্তব্যে ভরে যায় টাইমলাইন।
কিন্তু পরে জানা যায় স্ত্রী তার কাছ থেকে এক শতাংশ জমিসহ তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার মালিকানা লিখে নিয়েই কিডনি দিয়েছেন।
কেবল তাই নয়, পরকীয়া সম্পর্ক ধরে ফেলায় স্ত্রী টুনির রোষানলে পড়ে শাস্তির শিকার হন তিনি। এরপর টুনি টিকটক জগতে জড়িয়ে পড়ে। তার চরিত্রগত পরিবর্তন আমি খেয়াল করি, যদিও দুই-তিন মাস সহ্য করি, বলেন তারেক। তিনি অভিযোগ করেন, একদিন আমার ভাড়াটিয়ার সঙ্গে একই ঘরে হাতে-নাতে ধরার পর আর সহ্য করতে পারিনি। তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসি। সবাই দেখেছে।
ঘটনার পর থেকেই তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় বলে দাবি করেন তিনি। নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় জেল খাটেন, এরপর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে জানতে পারেন, টুনি উল্টো তার বিরুদ্ধে পরকীয়া ও অনলাইন জুয়ার মিথ্যা গল্প সাজিয়েছে।
———
নিচের ব্যাক্তির নাম কদরুদ্দিন শিশির যিনি নিজেকে একজন অনুসন্ধানী ফ্যাক্টচেকার হিসেবে পরিচয় দেন কিন্তু
উনার সেয়ার করা পোস্টে দেখা যায় ফ্যাক্টের চেয়ে ফ্যাসাদই বেশি।
সেয়ার করা পোস্টে দেখা যায় একজন নারী যিনি নিজেকে ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বউ দাবী করে
একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন
তার স্বামী (আদনান) তাকে সারারাত মারধর করতো।
উনি এখানে শুধু অভিযোগ করছেন না কোনো প্রমাণ দেখিয়েছেন না এখানে অভিযুক্তের কোন বক্তব্য আছে।
তথ্য যাচাইয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, একজন ফ্যাক্টচেকারের প্রথম দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ থাকা,
দ্বিতীয়ত দুই পক্ষের বক্তব্য শোনা, এবং
তৃতীয়ত প্রমাণ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্তে না যাওয়া।
কোনো অভিযোগের একপক্ষের বক্তব্য ধরে ব্যঙ্গ করা সাংবাদিকতারও পরিপন্থী, ফ্যাক্টচেকিংয়ের তো বটেই।
কোন প্রমাণ, বা দ্বিতীয় পক্ষের বক্তব্য না শুনেই এভাবে ব্যাক্তি আক্রমণ করে ব্যাঙ্গাত্বক ভাষায় ক্যাপশন ফ্যাক্টচেকারের আদর্শের সাথে যায়?