18/03/2025
ফেনী জেলার সংক্ষিপ্ত পরিচয় :
১৮৭২ থেকে ১৮৭৪ সালের মধ্যে মোগল আমলের আমীরগাঁও থানা নদী ভাঙ্গনের ফলে ফেনী নদীর ঘাটের কাছাকাছি খাইয়ারাতে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে এটি ফেনী থানা নামে পরিচিত হয়। অতঃপর ১৮৭৬ সালে নতুন মহকুমায় পতিত হলে খাইয়ারা থেকে থানা দপ্তরটি মহকুমা সদরে স্থানান্তরিত হয় ও নতুন মহকুমাটি ফেনী নামে পরিচিত হয়।[৩] ফেনী নদীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী।
ফেনী জেলার সাক্ষরতার হার ৮০.৭৯%। এ জেলায় রয়েছে:বিশ্ববিদ্যালয়: ১টি - ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়,ডিগ্রী কলেজ: ১১টি,উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ: ১০টি,ক্যাডেট কলেজ: ১টি - ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ,কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ৭টি,পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: ১টি - ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,
কম্পিউটার ইনস্টিটিউট: ১টি - ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট,
মাদ্রাসা: ৯৭টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ১৫৫টি,শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: ১টি,নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ১৯টি,পিটিআই: ১টি
প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৫২৮টি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। 'বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২' অনুযায়ী, ফেনী জেলা বর্তমানে দেশের ধনী জেলাগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।ফেনী জেলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পেছনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে[১০]
ফেনী জেলায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ১টি আধুনিক হাসপাতাল, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স,১০ শয্যা বিশিষ্ট ১টি হাসপাতাল(মঙ্গলকান্দি), ১টি হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ১টি ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ১টি বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিক, ১টি ট্রমা সেন্টার, ১টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ১টি নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ১৯টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩৩টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১১৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।
দর্শনীয় স্থান:ফেনী নদী,বিজয় সিংহ দীঘি,
রাজাঝির দীঘি,চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদ,মুহুরী প্রজেক্ট,
কাজিরবাগ ইকো পার্ক,শমসের গাজীর কেল্লা,শর্শাদী শাহী মসজিদ,মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ,প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি,বাঁশপাড়া জমিদার বাড়ি,কালীদহ বরদা বাবু জমিদার বাড়ি,সেনেরখিল জমিদার বাড়ি,শিলুয়া মন্দির,ভারত-বাংলাদেশ প্রীতি রাধানগর-কৃষ্ণনগর সীমান্ত হাট,কৈয়ারা দীঘি,জগন্নাথ মন্দির ও জয় কালী মন্দির[১৩],ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।
Wikipedia