04/04/2025
আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের কিছু বিষয় শুরু থেকে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আজকে ১০ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
১.বাজেট তৈরি করুন
প্রতি মাসে আপনার আয় ও ব্যয়ের হিসাব রাখুন। ৬০/২০/২০ নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন—
৬০% প্রয়োজনীয় খরচ (বাসা ভাড়া, খাবার, বিদ্যুৎ বিল)
২০% ইচ্ছামতো খরচ (ভ্রমণ, কেনাকাটা, বিনোদন)
২০% সঞ্চয় ও বিনিয়োগ।
ধরুন আপনি মাস শেষে ৪০০০০ টাকা বেতন পান।
তার মধ্যে ২৪০০০ টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে হবে। ৮০০০ টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ মেটাতে হবে ( গাড়ী-ভাড়া + কেনাকাটা + বিনোদন)। অবশিষ্ট ৮০০০ টাকা আমরা সর্বোচ্চ রিটার্ন পাওয়ার জন্য প্রতি মাসে সেইফ শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারি।
২. অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান
চিন্তা করুন—আপনার কোন খরচগুলো কমানো যায়? অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন বা বিলাসী কেনাকাটা এড়িয়ে চলুন।
৩. সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন
প্রতি মাসে অন্তত ১০-২০% আয় আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। এটি ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষা দেবে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্য করবে।
৪. বিনিয়োগ করুন
শুধু সঞ্চয় করলেই হবে না, অর্থ বাড়াতে বিনিয়োগও করতে হবে। কিছু বিনিয়োগের ভালো অপশন হতে পারে—
মিউচুয়াল ফান্ড (নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদী)
শেয়ার বাজার (ঝুঁকি বেশি, কিন্তু লাভের সুযোগ বেশি)
স্বর্ণ বা রিয়েল এস্টেট (দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য ভালো)
৫. ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসুন
ক্রেডিট কার্ড বা উচ্চ সুদের ঋণ নেয়ার আগে দু'বার ভাবুন। যদি ঋণ নিতেই হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব শোধ করার চেষ্টা করুন।
৬. দ্বিতীয় আয়ের উৎস তৈরি করুন
শুধু চাকরির ওপর নির্ভর না করে ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউব, অনলাইন ব্যবসা বা অন্যান্য উপার্জনের পথ খুঁজুন।
৭. জরুরি তহবিল (Emergency Fund) রাখুন
হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়া বা অসুস্থতার মতো পরিস্থিতির জন্য অন্তত ৩-৬ মাসের খরচের সমপরিমাণ টাকা আলাদা রাখুন।
৮. অবসরের জন্য প্রস্তুতি নিন
এখন থেকেই অবসরকালীন সঞ্চয়ের কথা ভাবুন। পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে নজর দিন।
৯. আর্থিক শিক্ষা গ্রহণ করুন
প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন—বই পড়ুন, ইউটিউব ভিডিও দেখুন, সফল বিনিয়োগকারীদের অভিজ্ঞতা জানুন।
১০. ধৈর্য ধরুন ও পরিকল্পনা মেনে চলুন
অর্থনীতি রাতারাতি বদলায় না, তাই লম্বা মেয়াদে পরিকল্পনা করুন এবং ধৈর্য ধরে বিনিয়োগ চালিয়ে যান।
আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো আর্থিক পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন থাকে, জানাতে পারেন!