International Radd-e Qadiani BD

International Radd-e Qadiani BD রদ্দে কাদিয়ানী App Click : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mominul.radd_e_qadyyani

এগুলো পড়ার সময় মাইণ্ডটা একটু নিউটল করে নিলেই যথেষ্ট, মির্যা কাদিয়ানীর দাবী হচ্ছে হযরত ঈসা (আ.) মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তাঁর...
25/11/2023

এগুলো পড়ার সময় মাইণ্ডটা একটু নিউটল করে নিলেই যথেষ্ট,

মির্যা কাদিয়ানীর দাবী হচ্ছে হযরত ঈসা (আ.) মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তাঁর কবর কাশ্মীরের শ্রীনগরে! এখন প্রশ্ন আসে, তাহলে শ্রীনগরের কোন্ কবরটি ঈসা (আ.)-এর কবর? মির্যা কাদিয়ানীর ভাষ্যমতে, সেখানকার খানইয়ার মহল্লায় সমাহিত ‘ইউজে আসেফ’ নামীয় ব্যক্তিটাই মূলত ঈসা (আ.); তার কবরটাই হযরত ঈসা (আ.)-এর কবর! কিন্তু কাদিয়ানী সাহেব পরবর্তীতে নিজের ঐ সমস্ত কথাবার্তার কারণে পাকড়াও হতে শুরু করেন। তিনি যে সমস্ত প্রাচীনযুগীয় কিতাবপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে গেছেন সেসব কিতাবপত্রই কাদিয়ানী সাহেবকে মিথ্যাবাদী ও ধোকাবাজ প্রমাণ করেছে। তার দেয়া তথ্যমতে ‘কামালুদ্দীন’ এবং আ’ইনুল হায়াত কিতাব দুটি পরিষ্কার সাক্ষ্য দিয়েছে যে, ইউজ আসেফ নামীয় ব্যক্তি একজন রাজপুত্র, তার পিতা ছিলেন হিন্দুস্তানের একজন মূর্তিপূজারী শাসক ও রাজা। (প্রমাণের জন্য দেখুন কামালুদ্দিন পৃ-৫২৭, আরবী সংস্করণ)।

চলবে

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

(কেউ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে নগদ ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কৃত করা হবে)

#ইউজ
#আসেফ

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দাবীগুলোর মধ্যে  ইমাম মাহদী এবং রূপক ঈসা এ দুটি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবী। তিনি দাবী দু'টিক...
24/11/2023

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দাবীগুলোর মধ্যে ইমাম মাহদী এবং রূপক ঈসা এ দুটি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবী। তিনি দাবী দু'টিকে নিজের সাথে একজাস্ট করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাও করে গেছেন। (এ সম্পর্কে পরবর্তীতে আবার লিখা হবে, ইনশাআল্লাহ)।

মির্যা সাহেবের আরেকটি দাবী 'উম্মতিনবী' সম্পর্কে তো আগেই বললাম। তারা দাবীটির উৎস হিসেবে পবিত্র কুরআন থেকে বলে থাকে যে নবী (সা.)-এর আনুগত্য দ্বারাও নবী-এর মোকাম লাভ করা যায়? আর এধরণের নবীকে কুরআন শরীফে উম্মতিনবী বলে নাম রাখা হয়েছে?

যেমন সূরা নিসা, আয়াত নং ৬৯-তে এসেছে,

"আর যারা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে তারা সঙ্গী হবে তাদের (শামিল হবে তাদের মধ্যে-কাদিয়ানী অনুবাদ), যাদের উপর আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন। তারা ছিলেন নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহীদগণ এবং সালেহগণ। আর এরা সঙ্গী হিসেবে কতইনা উত্তম সঙ্গী।"

এর উত্তরে বলা হয় যে, আয়াতটির শানে নুযূল (প্রেক্ষাপট) সংক্রান্ত বর্ণনায় হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.)-এর জনৈক সাহাবীর হৃদয় নিংড়ানো একখানা আকূতির পরিপ্রেক্ষিতেই আল্লাহতালা উক্ত আয়াত নাযিল করেছেন। ঐ সাহাবী নবীজীর নিকট জানতে চেয়েছিলেন যে, পরপারে (জান্নাতে) নবীজীর সঙ্গ লাভ করতে তিনি পারবেন কিনা? (সূরা নিসা-৬৯, তাফসীরে ইবনে কাসীর)।

অতএব পবিষ্কার বুঝা গেল যে, আয়াতের প্রেক্ষাপট হতে পরপারে উক্ত চার শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত (নবী, সিদ্দিক, শহীদ ও সালেহ)-দের সঙ্গ লাভ করার শর্ত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের বিষয়টি যেমন বুঝা যাচ্ছে, তেমনি একই আয়াতের শেষাংশ হতেও সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, উক্ত সঙ্গ লাভ করার ঘটনা পরপারেই (জান্নাতে) ঘটবে। অন্যথা আয়াতটির শেষাংশে উল্লিখিত "এবং এরাই সঙ্গী হিসেবে উত্তম" (و حسن اولئك رفيقا)- আল্লাহ'র একথার কোনো অর্থই থাকেনা।

বলাবাহুল্য, ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) বর্ণনাটি উল্লেখ করার পর এর সনদ (সূত্র) সম্পর্কে লিখেছেন, হাফেযুল হাদীস আবু আব্দিল্লাহ আল মাকদিসি আল হাম্বলী (মৃত. ৬৪৩ হিজরী) বিরচিত সিফাতুল জান্নাহ গ্রন্থে ইমাম তাবারানী (রহ.)-এর সূত্রে এটি বর্ণনা করে বলেছেন ((لَا أَرَى بِاِسْنَادِهِ بَأْسًا)) অর্থাৎ আমি বর্ণনাটির সূত্রে কোনো সমস্যা দেখিনা।

এখন আয়াতটির প্রেক্ষাপট যেখানে অন্য কথা বলছে সেখানে কাদিয়ানীরা আয়াতটির ((مَعَ النَّبِيِّيْنَ)) হতে কথিত উম্মতিনবীর কনসেপশন দাঁড় করতে পারে কিভাবে? এটি তো কুরআনের শিক্ষায় সুস্পষ্ট বিকৃতির শামিল!

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

#মির্যার
#দাবীসমূহ

হযরত ঈসা (আ.)-এর রাফা (بل رفعه الله اليه) কোথায় হয়েছিল.......? (বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে সংক্ষিপ্ত উত্তর নিম্নরূপ)।উত্তর : ...
24/11/2023

হযরত ঈসা (আ.)-এর রাফা (بل رفعه الله اليه) কোথায় হয়েছিল.......? (বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে সংক্ষিপ্ত উত্তর নিম্নরূপ)।

উত্তর : আল্লাহ ঈসা (আ.)-কে সশরীরে আকাশে উঠিয়ে নিয়েছিলেন অত:পর.....! রেফারেন্স দেখুন-

1 আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে সা’আদ (মৃত. ২৩০ হিজরী)-এর ১১ খণ্ডে সংকলিত প্রাচীনতম হাদীসগ্রন্থ ‘আত-তবকাতুল কোবরা’ খ-১ পৃ-৩৫-৩৬ (رَفَعَهُ بِبَدَنِهِ); অর্থ- তিনি তাঁকে সশরীরে উঠিয়ে নেন। - সহীহ।

2 শায়খ আহমদ আব্দুর রহমান আলবান্না (১৮৮২-১৯৫৮)-এর ২৪ খণ্ডে সংকলিত ‘আল ফাতহুর রব্বানী লি তারতীবে মুসনাদে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আশ-শায়বানী’ খ-২০ পৃ-১৪১ দ্রষ্টব্য (لَمَّا اَرَادَ اللهُ اَنْ يَّرْفَعَ عِيْسَي اِلَى السَّمَاءِ); অর্থ-আল্লাহ ঈসাকে যখন আকাশে উঠিয়ে নিতে চাইলেন...। - সহীহ মুসলিম এর শর্তে সহীহ।

3 ইমাম আবুবকর আহমদ আল-বাজ্জারের ১৮ খণ্ডে সংকলিত ‘মুসনাদে বাজ্জার’ হাদীস নং ৯৬৪২ (يَنْزِلُ عِيْسَى بْنُ مَرْيَمَ مِنَ السَّمَاءِ); অর্থ-ঈসা ইবনে মরিয়ম আকাশ থেকে নাযিল হবেন। - সহীহ।

4 ইমাম নূরুদ্দীন আল-হাইসামীর ১২ খণ্ডে সংকলিত ‘মাজমাউয যাওয়ায়েদ’ খ-৭ পৃ-৩৪৯ (يَنْزِلُ عِيْسَى بْنُ مَرْيَمَ مِنَ السَّمَاءِ); অর্থ-ঈসা ইবনে মরিয়ম আকাশ থেকে নাযিল হবেন। - সহীহ।

5 ইমাম বায়হাক্বীর ২ খণ্ডে সংকলিত ‘আল আসমা ওয়াস সিফাত’ খ-১ পৃ-৩৩১, হাদীস নং ৮৯৫ (مِنَ السَّمَاءِ); অর্থ- আকাশ থেকে....। - সহীহ

উল্লেখ্য, এ বর্ণনায় من السماء অংশটুকু সিকাহ রাবীর নিজেস্ব বৃদ্ধি, যা গ্রহণযোগ্য। সনদে বুখারীর রাবীগণ ছাড়াও ইমাম বায়হাক্বীর সনদে অতিরিক্ত ৩ জন রাবী রয়েছেন, যারা প্রত্যেকে সিকাহ।

6 সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২৮৯৬ ঈসা ইবনে মরিয়ম এসে হজ্জ করবেন (وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِهِ لَيُهِلَّنَّ اِبْنُ مَرْيَمَ بِفَجِّ الرَّوْحَاءِ حَاجًّا اَوْ مُعْتَمِرًا اَوْ لَيَثْنِيَنَّهُمَا); অর্থ- সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ, ইবনে মরিয়ম রাওহা উপত্যকা হতে হজ্জ অথবা উমরা কিংবা উভয়টির জন্য তালবিয়াহ পাঠ করবেন। - সহীহ।

7 ইমাম আলী আল মুত্তাকি আলহিন্দী-এর ১৮ খণ্ডে সংকলিত ‘কাঞ্জুল উম্মাল’ খ-১৪ পৃ-৬১৯ (مِنَ السَّمَاءِ); অর্থ- আকাশ থেকে....। - সহীহ।

8 সহীহ মুসলিমের সূত্রে মির্যায়ী রচনাসমগ্র ‘রূহানী খাযায়েন’ খ-৩ পৃ-১৪২ (صحیح مسلم کی حدیث میں جو یہ لفظ موجود ہے کہ حضرت مسیح جب آسمان سے اتریں گے)؛ অর্থ- মুসলিম শরীফের হাদীসে এমন শব্দ বিদ্যমান আছে যে, হযরত মসীহ যখন আকাশ থেকে নাযিল হবেন....! মালফুযাত খ-৫ পৃ-৩৩ (آپ نے فرمایا تھا کہ مسیح آسمان پر سے جب اترےگا)। অর্থ- রাসূল (সা.) ফরমায়ে ছিলেন যে, মসীহ আকাশ থেকে যখন নাযিল হবে...! সংক্ষেপে।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি সহ দেখতে এখানে ক্লিক করুন। www.markajomar.org/?p=2102

লিখক - অ্যাডমিন

#ঈসা
#আকাশে

24/11/2023

কি চমৎকার কথা! কাদিয়ানীরা তাদের ধর্মমতের তাবলীগ করতে চাইলে করুকগে, তাতে বাধা দেয়ার যৌক্তিকতা কী? দেশের সংবিধান কি যার যার ধর্মমত প্রচারে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়নি? দিয়েছে তো!

উত্তর - কাদিয়ানীরা মির্যা কাদিয়ানীকে 'নবী' মেনে নেয়ার প্রকাশ্য ঘোষণার মধ্য দিয়ে ও ইহুদী খ্রিস্টান বা অপরাপর ধর্মাবলম্বীদের মত কোনো 'স্বতন্ত্র' ধর্মমতের দাওয়াতি কাজ করলে আমাদের কোনো অসুবিধা ছিলনা। কিন্তু ওরা তো ওদের ধর্মকে ইসলামের নামে চালাচ্ছে এবং প্রতারণার মধ্য দিয়ে তাবলীগ করছে। যা সংবিধান বিরোধী তো বটে, বরং সংবিধানের ৪২০ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন-ও। কেননা সংবিধান কাউকে কখনো প্রতারিত করার অনুমতি দেয় না। যার জন্য সংবিধানে যার যার ধর্মমত প্রচারে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকার ধারাটি আর যাইহোক, অন্তত ওদের কার্যকলাপের সাথে যায় না।

তাছাড়া আরও প্রচ্ছন্ন কিছু অসুবিধা তো আছেই, যেমন-

১ একজন মুসলিম হিসেবে আপনার-আমার চোখের সামনেই ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা বিকৃতিকারীদের সহ্য করার দায়ে কেয়ামতে আল্লাহর নিকট অপরাধীর কাঠগড়ায় আমাদের দাঁড়াতে হবে।

২ অমুসলিমরা ইসলাম ভেবে ‘কাদিয়ানী ধর্মমত’ গ্রহণ করে প্রতারিত হতে থাকবে। কাদিয়ানীরাও নিজেদেরকে ‘মুসলিম’ ভাবার কারণে তওবাহ করে ইসলামে ফেরার প্রয়োজনবোধ করবেনা। সব চেয়ে বড় কথা, অজ্ঞতাবশতঃ মুসলিম পরিবারগুলো কাদিয়ানীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কেও জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এভাবে বলতে গেলে সমস্যা শেষ হবেনা...। সংক্ষেপে...।

লিখক অ্যাডমিন

রদ্দে কাদিয়ানী App Click :
21/11/2023

রদ্দে কাদিয়ানী App Click :

সুখবর! ❝রদ্দে কাদিয়ানী❞ অ্যাপস (Apps) এখন থেকে সবাই ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড লিংক:- https://play.google.com/store/ap...
16/11/2023

সুখবর! ❝রদ্দে কাদিয়ানী❞ অ্যাপস (Apps) এখন থেকে সবাই ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড লিংক:- https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mominul.radd_e_qadyyani

বিনীত অনুরোধ, পোস্টটি লাইক, কমেন্ট, কপি কিংবা শেয়ার দিয়ে প্রচার করবেন

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
Principal NurunNabi

#রদ্দে
#কাদিয়ানী

মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নাকি ভিন্ন অর্থের "নবী" হবার দাবী করে গেছেন! তার অধিকাংশ অনুসারী এই ভেবে আজও অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ...
08/11/2023

মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নাকি ভিন্ন অর্থের "নবী" হবার দাবী করে গেছেন! তার অধিকাংশ অনুসারী এই ভেবে আজও অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছেন! আল্লাহ তাদের সুমতি দিন। অথচ মির্যাপুত্র মির্যা বশির সাহেব কতই না সুস্পষ্ট করে বলে গেছেন যে, মির্যা সাহেব প্রথমদিকে যে সমস্ত অর্থে (জিল্লি, বুরুজি, উম্মতি, নাকেছ) "নবী" দাবী করেছিলেন সেসব এখন মানসুখ বা রহিত, বরং তাঁর নবী দাবী হতে "হাকিকি নবী" ই উদ্দেশ্য।

প্রমাণ :- https://fb.watch/nxKJqAMh9k/?mibextid=Nif5oz

কাদিয়ানী কারা? তারা কেন অমুসলিম??
প্রমাণ সহ পড়ুন :- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1412825959452747&id=100021760693828&mibextid=Nif5oz

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
Principal NurunNabi

কাদিয়ানী সম্প্রদায় সত্যিই কি হাদীস মান্য করে?অপ্রিয় হলেও সত্য যে, কাদিয়ানীরা মূলত হাদীসের উপর কোনো আস্থা রাখেনা। আপনি এর...
07/11/2023

কাদিয়ানী সম্প্রদায় সত্যিই কি হাদীস মান্য করে?

অপ্রিয় হলেও সত্য যে, কাদিয়ানীরা মূলত হাদীসের উপর কোনো আস্থা রাখেনা। আপনি এর প্রমাণ তখনি পাবেন যখন মির্যা কাদিয়ানীর ইমাম মাহদী এবং মসীহ দাবীকে হাদীসগুলো দিয়ে রদ করতে থাকবেন। তারা প্রথমাবস্থায় হাদীসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠাবেনা, কিন্তু যখন দেখবে যে, মির্যাকে কোনোভাবইে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা, তখনি তাদের মুখোশ খুলে যাবে আর হাদীসের উপর আপত্তি উঠানো শুরু করে দিবে। তা্দের একটা ডায়লগ হচ্ছে, হাদীস আনুমানিক, এটি প্রকৃত দলীল নয়। অথচ হাদীস হচ্ছে পবিত্র কুরআনের সঠিক মর্মার্থ সংরক্ষণের প্রধান মাধ্যম। হাদীসের অস্তিত্ব অস্বীকার করার অর্থ দু্টি,

(ক) পবিত্র কুরআনের সঠিক মর্মার্থ আল্লাহ সংরক্ষণ করেননি মনে করা। নাউযুবিল্লাহ।

(খ) কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহকে “শিক্ষক” অমান্য করা।

আসলে কুরআনকে ইচ্ছেমত অপব্যাখ্যার নিশানা বানানোর পথে হাদীসই একমাত্র বাধা, তাই দুনিয়ার সকল বাতিল গোষ্ঠীর নিকট হাদীস দুশমনতুল্য। যুগে যুগে যারাই হাদীসের বিরোধীতা করেছে ইতিহাসের পাতায় তারা ইসলামের দুশমন হিসেবে চিহ্নিত। এদের আরো একটি ডায়লগ রয়েছে। এরা “হাদীস” এর উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলে যে, হাদীস প্রায় ৪০০ বছর পরে লিখা হয়েছে। এগুলো বাজে কথা, তাদের এ সব কথাবার্তার পক্ষে কোনো দলীল নেই। সত্য ও প্রমাণিত কথা হচ্ছে, প্রথম দিকে বিশেষকারণে রাসূল (সা.) হাদীস না লিখে শুধু মৌখিকভাবে বর্ণনা করতে বলেছিলেন (মুসলিম)। কিন্তু নবুওয়তের ১৩-১৪তম বর্ষের মধ্যেই মুসলমানরা যখন কুরআন আর হাদীসের পার্থক্য স্পষ্টভাবে বুঝার যোগ্যতা অর্জন করে ফেললেন তখন তিনি (সা.) হাদীস লিখার সাধারণ অনুমতি দিয়ে দেন। তবে প্রথম থেকেই রাসূল (সা.) বিশেষ কয়েকজন সাহাবীর জন্য হাদীস লিখে রাখতে অনুমতি দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.)ও ছিলেন। যেমন হাদীসে বর্ণিত আছে (অর্থ) “.....রাসূল (সা.) এ কথা শুনার সাথে সাথে নিজের দুই ঠোঁটের দিকে ইশারা করে বললেন, তুমি লিখতে থাক। যে আল্লাহর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ, আমার এ মুখ হতে প্রকৃত সত্য কথা ছাড়া কিছুই বের হয় না। {এ কথা শুনে সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন} ((يَا رَسُوْلَ اللهِ أَكْتُبُ كُلَّ مَا أَسْمَعُ مِنْكَ؟)) “হে আল্লাহ’র রাসূল আপনার নিকট থেকে যা কিছু শুনতে পাই সবই কি লিখে রাখব? রাসূল (সা.) বললেন ((نَعَمْ فَاِنِّىْ لَا اَقُوْلُ فِىْ ذَالِكَ كُلُّهُ اِلَّا حَقًّا)) “হ্যাঁ, এ সকল অবস্থায়ও আমি প্রকৃত সত্য ছাড়া কিছুই বলিনা।” (আবূ দাউদ হা/৩৬৪৬ সনদ সহীহ, দারেমী, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাক হাকিম, জামে বায়ানুল ইলম-ইমাম ইবনে আব্দিল বার মালেকী)। সুতরাং হাদীস মূলত সাহাবীদের যুগ থেকেই লিখে রাখার প্রচলন ছিল, এটাই বাস্তবতা।

লিখক,

শিক্ষাবিদ ও গবেষক

#কাদিয়ানী
#হাদীস

Address

Chittagong

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when International Radd-e Qadiani BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share