শুভবিবাহ

শুভবিবাহ শহর ও গ্রামের বিবাহযোগ্য সব ধরনের পাত্র-পাত্রীর নির্ভরযোগ্য চার্জ বা ফি-মুক্ত মিডিয়া।

তুমি কি কখনও খেয়াল করেছ—যখন তুমি খুশি থাকো, তোমার স্ত্রী আরও বেশি খুশি হয়ে ওঠে? আর যখন তুমি রাগান্বিত, তখন সে যেন আরও বে...
16/07/2025

তুমি কি কখনও খেয়াল করেছ—যখন তুমি খুশি থাকো, তোমার স্ত্রী আরও বেশি খুশি হয়ে ওঠে? আর যখন তুমি রাগান্বিত, তখন সে যেন আরও বেশি কষ্ট পায়?

এটাই নারীর স্বভাব—তারা প্রতিফলন ঘটায়।
তুমি যদি তার জীবনকে কষ্টের করে তুলো, তাহলে নিজের জীবনটাও আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

কিন্তু যদি তুমি তাকে সম্মান দাও, ভালোবাসো ঠিকভাবে, ছোট ছোট খুশিতে ভরিয়ে দাও—তাহলে সে তোমাকে সেই ভালোবাসা দ্বিগুণ করে ফিরিয়ে দেবে।

তাই সংসারে শান্তি আর সুখ চাইলে শুরু করো নিজেকে দিয়ে।
ভালো স্বামী হও, একজন ভালো জীবনসঙ্গী হও।

কারণ, শেষ পর্যন্ত তুমি যে ভালোবাসা দেবে, সেটাই তোমার কাছে ফিরবে—
আরও মিষ্টি হয়ে, আরও গভীর হয়ে, আরও সুখভরে ফিরে আসবে। 🕊️❤️

যারা বেরসিক স্বভাবের সঙ্গী পায়, তারা কখনো দাম্পত্য জীবনের সুখ উপভোগ করতে পারে না! একজন রসিক স্বভাবের মানুষ কখনোই তার সঙ্...
14/07/2025

যারা বেরসিক স্বভাবের সঙ্গী পায়, তারা কখনো দাম্পত্য জীবনের সুখ উপভোগ করতে পারে না! একজন রসিক স্বভাবের মানুষ কখনোই তার সঙ্গীকে অকারণে কষ্ট দিতে পারে না। তারা আর যাই হোক, সঙ্গীর মূল্য বোঝে, গুরুত্ব বোঝে, সঙ্গীকে ভালোবাসে, সম্মান দেয়।

আত্মকেন্দ্রিক এবং বেরসিক স্বভাবের মানুষগুলো সঙ্গীর প্রতি নিতান্তই উদাসীন হয়! তারা সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে না, সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়ার কোনো মূল্য দেয় না। তার কাছে কেবল গুরুত্ব পায় নিজের ভালো লাগা।

পক্ষান্তরে একজন রসিক স্বভাবের মানুষ তার সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হয়। সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে। একজন রসিক স্বভাবের মানুষ সঙ্গী হিসাবে যে পায়, সে কখনোই দাম্পত্য জীবনে অসুখী হয় না।

বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষ শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় সঙ্গীকে চায়। দিনের পর দিন সঙ্গীকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়া, সঙ্গীর সাথে দুর্ব্যবহার, সঙ্গীকে অবহেলা করাই তাদের স্বভাব!

দাম্পত্য জীবন মানেই শুধু নিজে সুখী হওয়া নয়। নয় কেবল নিজের চাহিদা মিটানো। দাম্পত্য জীবন কিংবা সংসার হলো সেই চুক্তি, যেখানে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের ভালো থাকার দায়িত্ব নেয়, পরস্পরের চাহিদা পূরণ করার দায়িত্ব নেয়।

সঙ্গীকে ভালোবাসতে কিংবা সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে যারা কৃপণতা করে, তাদের চাইতে স্বার্থপর মানুষ পৃথিবীতে আর হয় না। দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে সবার আগে সঙ্গীর সাথে আচরণ থাকতে হয় বন্ধুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে হয়, সঙ্গীকে ভালোবাসতে হয়। যারা দাম্পত্য জীবনকে শুধুমাত্র দায়বদ্ধতা কিংবা দায়িত্ববোধ হিসাবে দেখে, তাদের সাথে অন্তত সুখে–শান্তিতে সংসার করা যায় না! বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষদের খুশি রাখতে হয়, নিজের সব আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে!

লেখায়:- মোঃ ফাহাদ মিয়া🌼

বিয়ে কঠিন হবার পেছনে শুধু বেকারত্ব দায়ী নয়। দায়ী হলো যায়ুনিস্ট প্রটোকল। যেই প্রটোকলে আমাদের সাথে কালচারাল ওয়ার ( বুদ্ধিব...
07/07/2025

বিয়ে কঠিন হবার পেছনে শুধু বেকারত্ব দায়ী নয়।
দায়ী হলো যায়ুনিস্ট প্রটোকল। যেই প্রটোকলে আমাদের সাথে কালচারাল ওয়ার ( বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধ) হচ্ছে।

এই যুদ্ধে এরা নারীদের সম্পূর্ণ ব্রেন ওয়াশড করতে সফল। যার কারণে নারীরা এখন অবাধ্য পাগলা ঘোড়া।

সে এখন অধীনস্থ পিতা ও স্বামীর কাছে বিদ্রোহী হলেও পুঁজিবাদী কর্পোরেট এডুকেশন ও ক্যারিয়ারে সে অনুগত।

তার যৌবনের ও মাতৃত্বের পারফরম্যান্স যেখানে সংসার কে কেন্দ্র করে হবার কথা। সেখানে আজ সে যৌবন, আবেগ,অনুভূতি, নারীত্ব,কোমলত্ব সব বিসর্জন দিয়ে পুঁজিবাদী আলোকে স্মার্ট হবার নেশায় বিভোর।

সে এখন স্বামীর আদরের স্ত্রী ও আদর্শ সন্তানের জন্মদায়িনী "মা" এই পরিচয়ে পরিচিত হওয়াকে দাসত্ব ও পরাধীনতা ভাবে।

আর খুব সস্তায় পুঁজিবাদীর জালে নিজেকে বিক্রি করে সে ভাবে নারীর প্রগতি।

আবারো বলি বিয়ে কঠিন হবার জন্য শুধু বেকারত্ব ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর হলো কালচারাল ওয়ার। যেখানে চোখের সামনে আমাদের নারীদের ওরা দখল নিয়েছে। আর জায়ো প্রটোকলে ফাঁদে পড়ে ২৮/৩০+ এ এসে ইনকাম শুরু করতেছে

দিন যত যাচ্ছে। এই বিয়ে কঠিন হবেই। কারণ যায়ুনিস্ট প্রটোকল আমাদের পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে, বেকারত্ব, ইনকাম কঠিন করেছে। অবস্থা দিনদিন জাপানের দিকেই যাচ্ছে। জাপানের ছেলেরা প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও বউ পাচ্ছে না।
তাদের অধিকাংশ ই রাতের চা'হিদা মেটায় সে'ক্স ডলে।

তাই যারা বিয়ে ফ্যান্টাসি বলে টিটকারি করেন। তারা নিকৃষ্ট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। এরা সমাজের ক্যান্সার৷

✍️WaraQah WQ(*ঈষৎ পরিমার্জিত)

28/05/2025

বিয়ের পাত্র হিসেবে কোরানের হাফেজরা সেরা।

ছবি তে যে ভদ্রলোককে দেখতে পাচ্ছেন, খেয়াল করলে দেখবেন, রুমাল দিয়ে কিছু চেপে ধরে আছেন।আসলে তিনি তার ওয়াইফের মাথায় রুমাল দি...
27/05/2025

ছবি তে যে ভদ্রলোককে দেখতে পাচ্ছেন, খেয়াল করলে দেখবেন, রুমাল দিয়ে কিছু চেপে ধরে আছেন।আসলে তিনি তার ওয়াইফের মাথায় রুমাল দিয়ে একটু পর পর চেপে দিচ্ছেন।অবাক করা বিষয় হচ্ছে তিন চার ঘন্টা একটানা এভাবেই তার নিজের সিট ছেড়ে দিয়ে, সহধর্মিণীর সেবা করে গিয়েছেন মা শা আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।এমন লাইফ পার্টনারই তো সব মেয়ে রা চায়। যাকে অসুস্থতার সময় তিরস্কার না করে বরং ভালোবেসে সেবা করবে।লোকটি চাইলেই নিজের সিটে বসে দিব্যি ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারতো।কিন্তু তিনি তা করেননি।সহধর্মিণী যেন আরাম করে পুরো শরীর এলিয়ে দিতে পারে সেজন্য নিজের সিট টা সেক্রিফাইস করেছেন।বিষয় টা কার কাছে কেমন জানি না কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল!এতো নেয়ামত পূর্ণ দৃশ্য টার ছবি টা না তুলে পারিনি।অনুমতি না দিয়ে তোলার জন্য দুঃখিত।
বর্তমানের অনেক যুবকই স্ত্রীর একটু অসুস্থতায় বিরক্ত হয়,আরেকটা বিয়ে করার চিন্তা করে ফেলে।একটু ঝগড়ায় অন্য নারীর সাথে কথা বলা শুরু করে দেয়,নতুন অপশন খুঁজে নেয়।
অথচ কত পুরুষ বিছানায় থাকা স্ত্রীর সেবা করে কাটিয়ে দেয়,তবুও আরেকটা বিয়ের চিন্তা করে না।স্ত্রীর সাথে হাজার মান-অভিমান হলেও পরনারীর সাথে কথা বলার চিন্তা করে না।

ছবির ভদ্রলোকের মত স্বামী হওয়া কঠিন কিছু নয়,তবে এটা সব পুরুষ হতে পারে না। যাদের স্বামী এমন তারা নিশ্চয়ই অনেক ভাগ্যবতী আলহামদুলিল্লাহ।

©সাদিয়া আফরিন মার্জান

একজন বন্ধুও তার বন্ধুর খেয়াল রাখে, ভালো মন্দ সবরকম পরিস্থিতিতেই পাশে থাকে। দূর সম্পর্কের আত্নীয়-স্বজনও খোঁজ খবর নেয়। অথচ...
26/05/2025

একজন বন্ধুও তার বন্ধুর খেয়াল রাখে, ভালো মন্দ সবরকম পরিস্থিতিতেই পাশে থাকে।
দূর সম্পর্কের আত্নীয়-স্বজনও খোঁজ খবর নেয়।
অথচ আমাদের সমাজে এমনও কিছু স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আছে যেখানে স্বামী জানেইনা স্ত্রী কেমন আছে। একবার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলা হয়না কোন মনের কথা জানতে চাওয়া হয়না তার ইচ্ছে অনিচ্ছার কথা।শুধু থাকতে হবে বলে একসাথে থেকে যায় বছরের পর বছর।দিনশেষে যখন বাসায় ফিরে একবার জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করেনা তার মন ভালো না খারাপ?
অথচ তার জন্যই মেয়েটার সব ছেড়ে আসা একটু ভালো থাকার আশায়। আচ্ছা মানুষ কি এমন ব্যস্ত যে সপ্তাহে একটা দিন সময় বের করে একটু স্ত্রীকে সময় দিতে পারেনা। অহহহহ বউকে সময় দেয়া মানেই তো ম্যা...জামাই।
বিয়ে করার জন্য করা তারপর ঘরের শোপিস বানিয়ে বসিয়ে রাখা দেখার সৌন্দর্যে।
আর এই অবহেলা মেনে নিতে নিতে যখন মেয়েটা বিরক্ত হয়ে যায় তখন সব দোষ গিয়ে পরে মেয়েটার কাধেই। সমাজে পুরুষের কখনো কোন দোষ হয়নি আশারাখি আর কখনো হবেও না।কথাগুলো শুনতে তিক্ত হলেও সত্য।

লেখাটা একজন পুরুষের অথচ প্রতিটা লাইন, প্রতিটা শব্দ মেয়েদের উৎসর্গ করে লেখা।একটা ঘর ভর্তি কিছু মার্বেল ছড়িয়ে দিন আর একটা ...
24/05/2025

লেখাটা একজন পুরুষের অথচ প্রতিটা লাইন, প্রতিটা শব্দ মেয়েদের উৎসর্গ করে লেখা।

একটা ঘর ভর্তি কিছু মার্বেল ছড়িয়ে দিন আর একটা কোনায় রাখুন কয়েকটা ভারী কার্টন।

এবার একজন একজন করে কয়েক জন পুরুষ এনে বলেন তুমি যে কোন একটা কাজ করবা।

হয় একটা একটা করে মার্বেল কুড়াও না হয় পড়ে থাকা তিনটা ভারী কার্টন সরাও।

আমি একজন পুরুষ হিসাবে বলছি। একটা একটা মার্বেল কুড়ানোর চেয়ে ভারী কার্টন সরানো আমার জন্য সহজ কাজ।

না আমরা শুধু সহানুভুতি থেকে মেয়েদের জন্য ঘর ঠিক করে দেইনি l বরং আমরা জানি আমাদের ধৈর্য কম শক্তি বেশি।

আমার না পারা কাজটা যে মেয়েটা করে দেয় তার কাজের গুরুত্ব আমার কাছে কতটুকু?

পুরুষ শাষিত এ সমাজে মেয়েটা নিজেও মাথা নিচু করে বলে সে নাকি কিছুই করে না। রাত ১২টার পরেও মশারি গুজতে গুজতে মেয়েটা ভাবে সে একটা গৃহিনী।

ঘুম থেকে উঠে সাজানো ডাইনিং দেখে চোখ দুটো চক চক করলেও দৃশ্যের আড়ালে থেকে যায় তার গরম চুলার ভাপ।

লবন কম অথবা ঝাল বেশি আমাদের দৃষ্টি না এড়ালেও গরম তেলে ফোস্কাটা পড়াটা ঠিকই থাকে দৃষ্টির আড়ালে।

যে নারী কিছুই করেনা সে নারীর সন্তানের দায়িত্বটা শুধু আপনাকে দেওয়া হোক। আপনি তখন কার্টনও সরাবেন মার্বেলও কুড়াবেন তবু বাচ্চার চিৎকার শুনতে ঘরে বসে থাকবেন না।

আমরা পুরুষ বেছে নিয়েছি আমাদের কাজ। আর দিন ভর যে নারী মার্বেল কুড়ায় সে নারীকে বলি অকর্মা !

যে নারীর স্বামী নাই আমি দেখেছি সে নারীকে মাটি কাটতে কিন্তু যে স্বামীর বউ নাই তাকে দেখি নাই ঘর বাড়ি সামলাতে।

ঘর বাচ্চা সামলানোর চেয়ে আরেকটা বিয়ে করা যে সহজ।

কারো এটো বাসন ধুতে শুধু শক্তি না, মমতাও লাগে। আপনি খাটলে বেতন পান সে খাটলে ভালবাসা পায় তো?

(সংগৃহিত)

#নপ্স 😓

সক্রেটিস করেছিলেন দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রী জ্যানথিপি সুন্দরী ছিলেন বটে, কিন্তু মুখে ছিলো বিষ, আর চোখে আগুন। সক্রেটিসের ঘরে...
04/05/2025

সক্রেটিস করেছিলেন দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রী জ্যানথিপি সুন্দরী ছিলেন বটে, কিন্তু মুখে ছিলো বিষ, আর চোখে আগুন। সক্রেটিসের ঘরে ঝগড়া লেগেই থাকতো।

সারাদিন জ্ঞান বিলোয় লোকটা। বিনিময়ে একটি কড়িও নেন না। কোনো আয় উপার্জন নেই।
ঘরে তিন সন্তান, এক স্ত্রী। এর উপর করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে, মির্টো নামের এক মেয়েকে! বাপের কিছু সম্পদ আছে তার। একে বাড়াবে দূরে থাক, গরীবদের বিলিয়েই শেষ করে চলছেন।

কতো আর সহ্য করবেন জ্যানথিপি?
একরাতে ঘরে নেই খাবার, ছেলে-মেয়ে কেঁদেকেটে ঘুমিয়েছে। সক্রেটিস ঘরে বসে ধ্যান করছেন। জ্যানথিপির সহ্য হলো না। শুরু করলেন বকাঝকা।
যেই সেই বকা নয়, ভয়াবহ কিছু! সক্রেটিস নীরবে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। বাইরে এসে চাঁদের আলোয় শুরু করলেন বইপড়া!

জ্যানথিপি এটা দেখে তো আরো আগুন! করলেন কী? ঘরে সারা দিনের জমানো ময়লা পানি ছিলো এক গামলায়। সেই গামলার পানি ঢেলে দিলেন সক্রেটিসের উপর!

সক্রেটিস রাগ করলেন না। বরং হেসে বললেন- এতো গুরুগম্ভীর মেঘের গর্জনের পরে এক পশলা বৃষ্টি না হলে কি আর শোভা পায় ?!

গ্রীষ্ম হোক আর শীত হোক, সক্রেটিসের গায়ে থাকতো একটাই কোট। সব ঋতুতে এটাই পরতেন। অন্য কোনো জামা ছিলো না তার। পায়ে ছিলো না কোনো জুতা। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, সুখের সুযোগ ত্যাগ করে এতো কষ্টের জীবন কেন বেছে নিলেন?

সক্রেটিস বললেন, এটা বেছে নিলাম, যাতে লোভের কুকুরগুলো বুঝে- সত্য, জ্ঞান ও স্বাধীনতা এমন এমন এক সুখ, যাকে ক্রয় করতে হয় কষ্ট ও কৃচ্ছ্রতার বিনিময়ে!

সেখান থেকেই আমরা পাই তাঁর বিখ্যাত উক্তি -
"যদি তুমি ভালো বউ পাও, তাহলে তুমি সুখি হবে, আর না পেলে তুমি দার্শনিক হবে"
সংগৃহীত

এর আগে দিয়েছিলাম স্বামীর প্রকারভেদ। অনেকেই বলেছিলেন, বউয়েরটা কোথায়? তাই এবারে খুঁজে বের করেছি বউয়ের প্রকারভেদ:১. লক্...
26/04/2025

এর আগে দিয়েছিলাম স্বামীর প্রকারভেদ। অনেকেই বলেছিলেন, বউয়েরটা কোথায়? তাই এবারে খুঁজে বের করেছি বউয়ের প্রকারভেদ:

১. লক্ষ্মী বউ: আবহমান বাংলার চিরায়ত আদর্শ ব‌উ আমাদের লক্ষ্মী বউ। এই বউ সুকুমার রায়ের ছড়ার সাপের মতোই: “করে নাকো ফোঁস ফাঁস, মারে নাকো ঢুঁশ ঢাঁশ, নেই কোনো উৎপাত, খায় শুধু দুধ ভাত!” লক্ষ্মী বউ অল্পতেই খুশি। জামাইয়ের কাছ থেকে তার কোনো বাড়তি ডিমান্ড নেই। সারাদিন বাসার টুকটাক কাজ করবে, ড্রয়িংরুম বেডরুম বারবার গোছাবে, গেস্ট আসলে হাসিমুখে তাদের আপ্যায়ন করবে, কাজের লোককে দিয়ে না করিয়ে অনেক কাজ নিজেই করে ফেলবে, রান্নাঘরে তার দক্ষতার ছাপ রাখবে এবং পরিশেষে স্বামীকে ব্যাপক ভালোবাসবে। লক্ষ্মী বউ দুর্লভ প্রজাতির, এদের দেখা আজকাল শুধু পুরনো বাংলা ছবি বা নাটকেই পাওয়া যায়।

২. রাগী বা মেজাজী বউ: খ্যাঁচখ্যাঁচ, খিটপিট, কটমট শব্দগুলো এই বউয়ের জন্যই তৈরি হয়েছিল। সকালে উঠেই কাজের মহিলার সাথে খ্যাঁচখ্যাঁচ, এরপর বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যেতে যেতে রিকশাওয়ালার সাথে এক প্রস্থ, স্কুল থেকে ফিরে আসার সময় হালকা বাজার সদাই করতে গিয়ে দোকানদারকেও একচোট। বাসায় ঢুকে বাচ্চাদের পড়াতে বসে তাদের ওপর দিয়েও সিডর বওয়াবেন রাগী বউ। দিনের শেষ ডোজটা বরাদ্দ জামাইয়ের জন্য, বাসায় ঢোকামাত্রই:

“কারেন্টের বিল দেয়া হয় না কয় মাস হুঁশ আছে?”

“সারাদিনতো বাসায় থাক না, আমার ওপর দিয়ে কি যায় বোঝো?”

“তোমার মা! উফফ্! অসহ্য একটা মহিলা!!”

“তাহলে আগে বলে দিলেই পারতে! ১৪ বছর সংসার করতে গেলে কেন?”

"তোমার ১৪ গুষ্টির ভাগ্য, আমার মতো বউ পেয়েছ!"

এদের স্বামীদের বউয়ের গঞ্জনা শুনতে শুনতে তাকে কিছু বলার ক্ষমতা কমতে কমতে একটা সময় চলেই যায়। খুবই অসহায় এদের জীবন।

৩. হস্তিনী বউ: হস্তিনী বউয়ের হাতি হয়ে ওঠার পেছনে তার স্বাস্থ্যের কোনো সম্পর্ক নেই। এই বউ ঘরে রাখা অনেকটা হাতি পালার মতো। মাসের শুরুতেই সে জামাইয়ের মানিব্যাগটিতে অধিকার স্থাপন করে তা অধিগ্রহণ করবে। খরচের ব্যাপারে সে হিসেবের ধার ধারবে না। মাসের মধ্যে ১৪ বার শপিংয়ে গিয়ে তার ক্ষান্তি নেই। হাতি যেমন গ্রামে হানা দিয়ে বনের ভেতরে শস্য নিয়ে যায়, তেমনি হস্তিনী বউ স্বামীর সংসারের টাকা সুন্দরভাবে বাবার সংসারে মানি লন্ডারিং করে দেবে।

৪. সুন্দরী বউ: এই বউ সুন্দরী এবং এটাই তার সমস্যা। সুন্দরী বউ যদি বিনয়ী হয় তবেও সমস্যা, আর দেমাগী হলে তো কথাই নেই। সুন্দরী বউয়ের রূপের দেমাগ থাকলে পুরো শ্বশুরবাড়ি, বিশেষত ননদ ও জাকুলের সাথে ঠান্ডা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। আর যদি রূপ নিয়ে কোন গর্ব না-ও থাকে, তবুও অকারণে অনেক কথাই শুনতে হয়। পান থেকে চুন খসলেই রূপের কথা তুলে খোঁটা দেয়া হয়:

“হুঁ, সুন্দর বউ ঘরে নিয়ে আসছে। তাকে তো আবার কিছু বলা যাবে না!"

“বউ সুন্দর হলেই হয় না শুধু, সাথে সংসারের কাজকামও কিছু করতে হয়।"

“সারাজীবন কি রূপচর্চা করেই কাটবে?”

“রূপ ধুয়ে কি জল খাবে?” (স্বামীর উদ্দেশ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজন)

৫. চিরযৌবনা বউ: তার বয়স হয়েছে, কিন্তু সৌন্দর্য্যে লেশমাত্র ছাপ পড়েনি। অন্যান্য মহিলারা যেখানে ফুলেফেঁপে উঠছেন, চামড়ায় ভাঁজ পড়ছে, সেখানে চিরযৌবনা বউ দিন দিন শুকাচ্ছেন, আরও সুন্দর হচ্ছেন! জামাইকে নিয়ে কোনো পার্টিতে গেলে লোকে তাদের দেখে বাবা মেয়ে ভাবছে – এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। চিরযৌবনা বউয়ের পরকীয়ার ব্যাপারে জামাইরা সাধু সাবধান!

৬. সন্দেহবাজ বউ: এই বউ শুধু জামাইকে সন্দেহ করে। সে কোথায় যায়, কি করে, কি খায়, কাদের সাথে ওঠাবসা করে সব খবর তার চাই। ৫ মিনিটের জন্য ফোন বিজি পেলেই তার কড়া জিজ্ঞাসা, “কার সাথে কথা বলছিলে?” ফোন দিয়ে সর্বদা স্বামীর খোঁজ খবর নিতে ভালোবাসেন। শার্টের কলারে চুল আর লিপস্টিকের দাগ খোঁজা তার রোজকার অভ্যাস। নিষ্পাপ স্বামীদের এমন বউরা প্রতিবাদী করে তোলেন। স্বামীরা ভাবেন – কিছু না করেই যখন এত কিছু শুনছি, তার চেয়ে ভালো কিছু করে তবে শুনি।

৭. বৌ-মা: এই বউ 'বউ' কম, মা বেশি। সব সময় স্বামীর ওপর একটা গার্জিয়ানগিরি ফলানোর চেষ্ট‍া সে করবে। সারাক্ষণ এটা খাবে না, ওটা ধরবে না, বেশি বুঝো না তো – এসব বলবে এবং স্বামীকে সার্বক্ষণিক শাসনের ভেতরে রাখবে।

৮. নিঃসঙ্গ বউ: এই বউয়ের স্বামী বিয়ে করে তাকে গ্রামের বাড়ি রেখে গেছে বা দেশের বাইরে গেছেন। নিঃসঙ্গ বউয়ের জীবন খুব কষ্টের। স্বামী কবে ফিরবেন – দিন গোনা যেন শেষ হয় না তার! দিনের মধ্যে অসংখ্যবার ক্যালেন্ডার দেখে! জামাইয়ের সাথে কথা বলতে যোগাযোগের কোনো মাধ্যমই বাদ দেন না। অনেক ক্ষেত্রে এমন বউরা প্রতারণার শিকার হন, যখন জামাই শহরে ও বিদেশে আরেকটি বিয়ে করে। অনেকে আবার স্বামীর অপেক্ষা সহ্য করতে না পেরে নিজেই পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে যান।

৯. আত্মকেন্দ্রিক বউ: নিজেকে নিয়েই পুরোটা সময় ব্যস্ত থাকেন আত্মকেন্দ্রিক বউ। বাসার রান্নাবান্নার পুরো দায়িত্বটা কাজের মেয়েকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আর ছেলেমেয়ের পড়াশোনা কোচিং সেন্টারকে। অবসর সময়টা কাজে লাগান টিভিতে সিরিয়াল দেখে আর রূপচর্চা করে। যৌথ পরিবারের ক্ষেত্রে বাড়ির অন্য বউদের মতো সংসারের কোনো কাজে কর্মে তার কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। এর জন্য যে লোকে তাকে খারাপ ভাবছে তাতেও তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন বউরা খুব বেশিমাত্রায় বহির্মুখী হন।

১০. হাই স্ট্যাটাস বউ: এই বউ জামাইকে পদে পদে ও হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেবে সে কোন ফ্যামিলির মেয়ে, সেখানে কি কি হতো, যা তার (স্বামীর) সংসারে হয় না। এই বউ সব সময় জামাইকে বলবে, বাটার ছাড়া কোনো দিন সে সকালে নাস্তা করে নাই, বিয়ের পর সে (স্বামী) যে চাকরিটা পেয়েছেন সেটাও তার বাবার কল্যাণে, ঘরের আসবাবপত্র সবই তার বাপের বাড়ি থেকে আসা ইত্যাদি ইত্যাদি।

১১. হতাশাগ্রস্থ বউ: এই বউয়ের আফসোস আর দুঃখের সীমা নেই। স্বামীর সংসারে এসে সে কিছুই পায়নি। কত শখ ছিলো বিয়ের পর সুইজারল্যান্ড যাবে, প্রতি মাসে একট নতুন শাড়ি হবে, নিজের একটা ফ্ল্যাট হবে, ছেলেমেয়েরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়বে, আরো কত কি! উঠতে বসতে স্বামী বেচারাকে সেইসব হতাশামাখা বাণী শুনতে হয়।

১২. হিংসুটে বউ: হিংসুটে বউয়ের সবকিছুতেই হিংসে, সবার সাথেই হিংসে। এই বউকে তার জামাই আর্থিক বা মানসিকভাবে কোনকালেও সুখী করতে পারবে না। আর বউয়ের নজর শুধু কার বউ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে শাড়ি কিনলো, জা ননদরা কে কি করল! সারাদিন শুধু এইসব নিয়েই আলোচনা আর ফিসফাস।

১৩. প্যাঁচালো বউ: এই বউ সংসারে অশান্তি বয়ে আনেন – তার কথাবার্তা, আচার আচরণ, কূটচাল আর কুটনামির স্বভাব দিয়ে। স্বামীর কানে শ্বাশুড়ির নামে বদনাম করেন আর শ্বাশুড়ির সামনে ছেলের। ‘এর কথা ওকে’ আর ‘ওর কথা একে’ বলে বেড়ানো তার স্বভাব। কথা ছড়ানোর সময় দু চার পরত রং মাখাতেও ছাড়েন না প্যাঁচালো বউ।

১৪. পানসে বউ: কোনো কিছুর প্রতিই এই বউয়ের বিশেষ কোন আগ্রহ দেখা যায় না। স্বামী অনেক শখ করে তার জন্য কিছু একটা করলে বা উপহার দিলেও “হ্যাঁ, সুন্দর” ব্যাস এটুকু বলেই শেষ। এই সামগ্রিক আগ্রহের ‍অভাবে শুধু স্বামী নয়, সন্তানদের সাথেও পানসে বউয়ের একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তাকে কেউ ঘাঁটায় না, সেও কাউকে ঘাঁটায় না।

১৫. বাপের বাড়ি প্রিয় বউ: বছরের মধ্যে ১০ মাসই এই বউ বাপের বাড়ি থাকেন! কদাচিৎ শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে তাদের কুশলাদি জেনে আসেন। বউয়ের কারণে জামাইকেও অনেকটা সময় শ্বশুরবাড়িতে কাটাতে হয়। সাধারণত নিজের মা বাবার পরামর্শেই তিনি এমনটা করেন।

১৬. ঘরজামাইয়ের বউ: ঘরজামাই যেমন দুর্বলচিত্তের, তার স্ত্রী ঠিক ততোটাই শক্ত ও কড়া মানসিকতার। ঘরের বাজার সদাই থেকে শুরু করে বাচ্চাকে স্কুলে আনা নেওয়া সবই তিনি ঘরজামাইকে দিয়ে করান। আর মুহূর্তে মুহূর্তে মনে করিয়ে দিতে ভোলেন না – এই বাড়িটা কার বাবার!

১৭. সেলিব্রিটির বউ: সেলিব্রিটিদের বউ দু ধরনের হন। যদি বউ নিজেও সেলিব্রিটি হন, তবে স্বামীর সার্বক্ষণিক নারীসঙ্গ তাকে তেমন একটা প্রভাবিত করে না। কারণ তিনি নিজেও পুরুষসঙ্গে আসক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু বউ যদি সাধারণ হন, তবে এগুলো সহ্য করা খুব কষ্টের হয়ে যায়। স্বামীর বেপরোয়া জীবন নিয়ে কিছু বলার ক্ষমতা কমতে কমতে একটা সময় চলেই যায়।

১৮. কর্মজীবী বউ: কর্মসূত্রে অনেকটা সময়ই বাসার বাইরে থাকতে হয় কর্মজীবী বউকে। আর তাই বাচ্চার দেখভাল সহ সাংসারিক নানা কাজে খুব কমই সময় দিতে পারেন। অধিকাংশ পরিবারেই বিষয়টিকে অত্যন্ত নেগেটিভভাবে নেয়া হয়। স্বামীর সমস্যা না থাকলেও সমস্যা থাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে। সেই চাপে অনেক সময় কর্মজীবী বউদের চাকরী ছেড়ে সংসারমুখী হতে হয়। আর শক্ত মানসিকতার অনেকে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে হয় জয়ী হন, নতুবা শেষ পন্থা হিসেবে সেপারেশনে চলে যান।

১৯. তিড়িং বিড়িং বউ: এই বউ সবকিছুতেই খুব উৎফুল্ল গোছের। বিয়ের পরে সমাজ যে ধরনের গাম্ভীর্য আশা করে তার অনেক কিছুই এর মধ্যে অনুপস্থিত। সাধারণত কমবয়সী মেয়েরা বউ হয়ে ঘরে এসে তাদের বয়সী কোনো দেবর/ননদ পেলে এমনটা হয়ে থাকে। সাংসারিক রীতি রেওয়াজ বজায় রেখেই চলে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক। এমন বউরা বেশ খোলা মন এবং বিস্তৃত চিন্তার অধিকারী হয়ে থাকেন।

২০. ভাবী বউ: এই বউ প্রচলিত ‘ভাবী কালচার’ এর মধ্যে বসবাস করেন। বাচ্চার স্কুল বা কোচিং হোক, ‍পাশের বাসার গৃহিণী হোক কিংবা হোক না কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান – ভাবী কালচার চলছে চলবে! কোন ভাবীর জামাই কত হাজার টাকার শাড়ি কিনে দিল, কোন ভাবীর বাচ্চা কয়টা কোচিং করে, কোন সিরিয়ালে কোন নায়ক নায়িকা হাত ধরে কি বলেছে, কার শ্বাশুড়ির আচরণে কি সমস্যা, কার বুয়া কার হাত ধরে ভেগেছে – আলোচনার কি আর শেষ আছে?

২১. কাঁঠালের আঠা/এঁটেল বউ: স্বামী তাকে নির্যাতন করে, মারধর করে, শারীরিক/মানসিক হেন কোনো যন্ত্রণা নেই যা শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেয়নি – তবু সন্তানের জন্য বা লোকলজ্জার ভয়ে সংসার ধরে রেখেছেন বা রাখছেন এই বউ। অত্যাচার সইতে না পেরে শতবার বাপের বাড়ি গিয়েছেন, আবার ফিরেছেন। লক্ষ্মী বউয়ের মতই ইনিও এক অর্থে আবহমান বাংলার চিরাচরিত বউ।

21/04/2025

স্বামীকে খুশি করার জন্য রূপের প্রয়োজন নেই স্বামীর কথা শুনুন পর্দা করুন একটু ধৈর্য ধরুন আর ভালো ব্যবহার করুন

Address

NO 2 GATE
Chittagong
4000

Telephone

+8801866015603

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শুভবিবাহ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to শুভবিবাহ:

Share