A . Arafat

A . Arafat Believe in yourself and your abilities.

20/07/2025
This world is considered nothing more than an illusion—a fleeting reality. It is described as a prison for the believers...
23/10/2024

This world is considered nothing more than an illusion—a fleeting reality. It is described as a prison for the believers and a paradise for the disbelievers.

The sooner we discipline ourselves, detach from the temporary attractions of this dunya, and focus on what truly matters, the better we align with our purpose and prepare for the eternal life that awaits.

A.Arafat

12/10/2024

মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই

দরজা খুলে নিজের জন্মদাতা পিতাকে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো! মলিন মুখে বললাম,
- বাবা, ভিতরে আসো!
বাবা ভিতরে এসে একটা বক্স বাড়িয়ে দিয়ে বললো
- “এই নে, তোর পছন্দের গুড়ের পায়েস এনেছি!”
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম
- তুমি এই সামান্য পায়েস দেওয়ার জন্য ৬০ কিলোমিটার পথ জার্নি করে এসেছো?
বাবা হেসে বললো,
- “তোর মা রান্না করেছে। তোকে না দিয়ে কিভাবে খাই মা? তাই নিয়ে চলে আসলাম!”

রুমের ভেতর থেকে ড্রয়িংরুমের দিকে আসতে আসতে আমার শ্বাশুড়ি বললো,
- “বউ মা, কে এসেছে?”
বাবা আমার শ্বাশুড়িকে দেখে বললো
- “কেমন আছেন বেয়ান সাব?”

শ্বাশুড়ি বাবার কথার কোন উত্তর না দিয়ে আবার রুমের ভেতর চলে গেলো! বাবা আসলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুশি হওয়ার চেয়ে বিরক্তই হয় বেশি!
হুটহাট করে যদি মেয়ের বাড়ি চলে আসে তাহলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বিরক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক! অথচ আমার অবুঝ বাবা সেটা বুঝে না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই কিছু না কিছু একটা নিয়ে বাসায় হাজির হবেই!
বাবাকে বললাম,
- যাও বাবা, ভেতরের রুমে আপাতত বিশ্রাম নাও, তারপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে চলে যেও।
বাবা কিছুটা অবাক হয়ে বললো
- “মা, আজকেই কি চলে যেতে হবে? তোদের বাসায় একটা দিন থাকি?”
কোনরকম কান্না চেপে রেখে চোখ-মুখ শক্ত করে বললাম,
- না বাবা, তোমার থাকতে হবে না! দুপুরের খাওয়ার পরই চলে যাবে!

কথাটা বলে আমি রান্নাঘরে এসে কাঁদতে লাগলাম। কতোটা অসহায় হলে একটা মেয়ে তার বাবাকে বাসায় একটা দিন রাখতে চায় না, সেটা কেউ বুঝবে না!
শ্বাশুড়ির রুমে এসে মাথা নিচু করে বললাম
- মা, ফ্রীজ থেকে খাসির মাংসটা বের করে রান্না করি? বাবা দুপুরে খেয়েই চলে যাবে।
শ্বাশুড়ি রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
- “এতো মেহমানদারি করতে হবে না! তোমার বাপ তো প্রতি কয়েকদিন পর পরেই আসে! তার জন্য খাসির মাংস রান্না করতে হবে নাকি? যা আছে তা দিয়েই খাইয়ে বিদায় করো! লোকটার লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই মেয়ের বাড়ি এসে পড়ে ভালো-মন্দ খাওয়ার জন্য!”
শ্বাশুড়ির কাছে হাত জোর করে মিনতি করে বললাম,
- মা, আল্লাহর দোহাই লাগে, এভাবে বলবেন না! পাশের রুমে আমার বাবা আছে, শুনলে কষ্ট পাবে। কথাটা বলে আমি চলে আসলাম…

শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি বাবাকে অপমান করে তা না। আমার স্বামীও করে। একবার আমার স্বামী বাবাকে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বলেছিল,
- “বাসায় তো বসেই আছেন। যান বাজারটা করে নিয়ে আসুন!”
মেয়ের জামাই শ্বশুরকে বলেছে বাজার করে নিয়ে আসুন! এটা যে কতোটা অপমানজনক আমার বাবা সেটা বুঝতে পারেনি! উনি ব্যাগ নিয়ে হাসিমুখে বাজার করতে চলে গিয়েছিল!

রুমে এসে দেখি বাবা খবরের কাগজ পড়ছে। আমাকে দেখে হাসিমুখে বললো,
- “দেখলি সাকিব আবার সেঞ্চুরি করেছে। ছেলেটার ভেতর দম আছে! দেখিস সামনে আরো ভালো কিছু করবে।”
আমি বাবার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, আমার বাবা তো এমন ছিল না। নিজের বিন্দু পরিমাণ অপমান সহ্য করতো না। সেই বাবা আমাকে বিয়ে দেওয়ার পর এমন হয়ে গেলো কেন!

দুপুরে বাবাকে খাওয়ানোর সময় মাছের মাথাটা যখন বাবার প্লেটের দিকে বাড়িয়ে দিবো, তখন শ্বাশুড়ি এসে বললো
- “তুমি জানো না, মাছের মাথা ছাড়া আমার ছেলে খেতে পারে না। কোন হিসাবে নিজের বাবাকে মাছের মাথা দিচ্ছো?”
বাবা তখন শুধু তারকারীর ঝোল মেখে খেতে খেতে বললো
- “তুই এতো ভালো রান্না করিস কিভাবে? বাড়ি গেলে তোর মাকে একদিন শেখাবি। ২৫ বছর ধরে সংসার করছে, অথচ রান্নাটা ভালো করে শিখতে পারেনি!”
আমি তখন কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে বললাম
- আল্লাহ কি তোমাকে একটু লাজ লজ্জা দেয়নি। এতো অপমানের পরেও কয়দিন পর পর মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি এসে হাজির হও। তুমি যদি আমার ভালো চাও, তাহলে এই বাড়িতে আর এসো না!

বাবা সেদিন আমাকে আর কিছুই বলেনি। শুধু যাবার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসিমুখে চলে গিয়েছিল…

সেদিনের পর বাবা আর কখনো আমার শ্বশুরবাড়ি আসেনি। মাঝখানে আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ হলো, স্বামীর ব্যবসার অবস্থা খারাপ হলো, বাবাই সব টাকা দিয়েছে কিন্তু বাসায় আসেনি!
একদিন শ্বাশুড়ি আমাকে বললো,
- “বেয়ান মশাই তো আর আসে না!”
আমি হেসে বললাম
- “মেয়ের বাসায় এসে কি করবে? মেয়ে তো তাকে একবেলা মাছের মাথা দিয়ে খাওয়াতে পারতো না। তরকারির ঝোল দিয়েই ভাত খেতে হতো। তাই হয়তো আর আসে না!”
স্বামী একবার বললো,
- “বাবাকে বলো একবার বাসায় আসতে!”
একথা শুনে স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,
- “কেন! বাজার করার লোক আছে তো! শুধু শুধু আরেকজন লোক বাসায় আনার দরকার কি? শ্বাশুড়ি কিংবা স্বামী সেদিন কিছু বলতে পারেনি। শুধু মাথা নিচু করে ছিল…

২ বছর পর…
আমি মেয়ের মা হয়েছি। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার চেয়ে আমার স্বামীর দরদ বেশি! মেয়ে রাতে যতোক্ষণ সজাগ থাকে, ততোক্ষণ মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটে!।মেয়ে ঘুমালে মেয়ের মুখের কাছে মুখ নিয়ে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে! মেয়ে যেদিন আধো আধো গলায় বাবা বলে ডেকেছিল, সেদিন আমার স্বামী খুশিতে বাচ্চাদের মতো কান্না করে দিয়েছিল!

একদিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমাকে আমার স্বামী বললো,
- “আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না! সারাজীবন আমার কাছে রাখবো। মেয়েকে ছাড়া আমি থাকতেই পারবো না”!

আমি তখন স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম
- “আমার বাবাও হয়তো ঠিক এভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল আমাকে বিয়ে দিবে না। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। কিন্তু মেয়ে মানুষ বলে কথা। বিয়ে তো দিতেই হবে। মেয়েকে বিয়ে দিলো। মেয়ের বাসায় এসে প্রতিবার অপমানিত হয়ে যেতো, তবুও আবার আসতো!”

কথাগুলো শুনে আমার স্বামী যখন নিরব হয়ে রইলো তাখন আমি চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললাম,
- তোমারা আমার বাবাকে যতোটা বেশরম ভেবেছিলে, বিশ্বাস করো আমার বাবা এমন বেশরম না! উনি সবই বুঝতো, তবুও না বুঝার অভিনয় করতো। একমাত্র মেয়ে ছিলাম তো, তাই মেয়েকে দেখার জন্য বাবার হৃদয়টা কাঁদতো। তাই কয়েকদিন পর পর এসে পড়তো।

রাতে কান্নাকাটি করে কখন ঘুমিয়েছি জানি না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্বামী ল্যাগেজ গুছিয়ে তৈরি হয়ে বসে আছে!
অবাক হয়ে বললাম,
- কোথাও যাবে নাকি?
স্বামী মেয়ের দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা চোখেও মুখে হাসি নিয়ে বললো,
- “মেয়ের বাবা যেহেতু হয়েছি, সেহেতু শ্বুশুরের কাছে গিয়ে নির্লজ্জ হবার ট্রেনিং নিতে হবে! কারণ একদিন আমাকেও হয়তো অনেক অপমান সহ্য করতে হবে, যেমনটা আমি আমার শ্বশুরকে করেছি। মেয়ের বাবাদের তো আবার লজ্জা থাকতে নেই!”

আমি আমার স্বামীকে কিছু বলতে পারছিলাম না। শুধু দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, মেয়ের বাবা হবার পর নিজের করা ভুলের জন্য কতোটা অনুতপ্ত হলে একটা ত্রিশোর্ধ মানুষ বাচ্চার মতো কান্নাকাটি করে!
আজকের পর থেকে স্বামীর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই…

বিন্দু বিন্দু জলরাশি একত্রিত হয়ে এক বিরাট সাগরের সৃষ্টি করে।সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের জলরাশি আমাদের জানান দেয়  তার অস্তি...
10/10/2024

বিন্দু বিন্দু জলরাশি একত্রিত হয়ে এক বিরাট সাগরের সৃষ্টি করে।সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের জলরাশি আমাদের জানান দেয় তার অস্তিত্ব ; সাগরের বিশালতা আমাদের বুঝতে শেখায় যে কোন কিছুই তুচ্ছ নয়। বর্তমানে যাকে আপনি ক্ষুদ্র কিংবা ছোট ভেবে তুচ্ছ মনে করছেন কোন না কোন একসময় তা বিশাল সাগরে পরিণত হয়ে নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য প্রস্তুত হবে

সমুদ্র আমাদের শিক্ষা দেয় উদার হতে আর বুঝিয়ে দেয় যে জীবনে সময় কতটা মূল্যবান।তাই হয়তো প্রবাদে উল্লেখিত আছে যে, “সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না”।

স্বাধীনতা, মুক্ত বাতাস এবং দু: সাহসিক হওয়ার অদম্য প্রেরণা…. এগুলো আমি সমুদ্রের মাঝেই পেয়েছি; সাগরের থেকেই শিখেছি

সমুদ্র যেমন কখনোই তার নিজের জল পান করে না; গাছ যেমন কখনোই তার নিজের ফল খায় না ঠিক সেইভাবেই জীবনে অন্যদের জন্যেও বাঁচতে শেখা উচিত প্রত্যেক মানুষের। সমুদ্রের ঢেউ যেমন যাওয়া আসা করে , তেমনি কখনও কখনও পরিবর্তনের ঢেউয়ের মধ্যে আমরা আমাদের আসল দিশা কে খুঁজে পাই।

মানবতা সমুদ্রের মতো; সমুদ্রের কয়েক ফোঁটা যদি নোংরা হয়ে যায় তবে সমগ্র মহাসাগর টি ময়লা হয়ে যায় না। আপনার চিন্তা, অনুভূতি এবং সংবেদনগুলি হ’ল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো যা অনবরত আসা যাওয়া করে। সাগরের মধ্যে যেমন আছে বিশাল সুকঠিন তরঙ্গ তেমনি নরম কোমল তরঙ্গরাশি ও সেখানে নিয়মিত আসা যাওয়া করে ; এর সবকিছুই জল এবং সমুদ্রের অংশবিশেষ

আমাদের জীবন হলো এমন এক বৈচিত্র্যময় যাত্রা যা একদিকে যেমন আনন্দ, হাসি, খুশি ও ভালো কিছু মুহূর্তের সাথে ভরপুর থাকে তেমনি অন্যদিকে দুঃখ, দুশ্চিন্তা, ব্যর্থতাও সমানভাবে লেগে থাকে। চলার পথে পাওয়া বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আমাদেরকে জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়ে থাকে।

“বাবা, তুমি তো বলেছিলে যে পিতার ঋণ কোনোদিন শোধ করা যায় না। জানো, আমি আগামী তিন বছরে তোমার আমার ওপর করা খরচের টাকা ফেরত দ...
08/10/2024

“বাবা, তুমি তো বলেছিলে যে পিতার ঋণ কোনোদিন শোধ করা যায় না। জানো, আমি আগামী তিন বছরে তোমার আমার ওপর করা খরচের টাকা ফেরত দিতে পারবো।"
বাবা একটু হাসলেন, তারপর বললেন, “একটা গল্প বলবো?”
ছেলেটি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বললো, “শুনবো বাবা…”

"তোর যখন চার বছর বয়স, তখন আমার মাসিক আয় মাত্র দু’হাজার টাকা ছিল। সেই অল্প আয় দিয়েই সংসার চালাতে হতো। অনেক কষ্ট করেছি কিন্তু কাউকে বুঝতে দিইনি। তোর মা'কে সুখে রাখার জন্য আমি যা পেরেছি সব করেছি। যখন তোকে স্কুলে ভর্তি করলাম, তখন প্রথমবার আমরা দুজন ভেবেছিলাম কীভাবে তোর পড়াশোনার খরচ চালাবো। সেবার তোর মা'কে কিছুই দিতে পারিনি।

তুই যখন কলেজে উঠলি, তখন অবস্থার একটু উন্নতি হয়েছিল, কিন্তু তোর মা'র অসুস্থতার কারণে আবার কষ্ট বাড়লো। ওষুধ কেনার টাকার জন্য আমি রোজ ওভারটাইম করতাম, বাসে ঠাসাঠাসি করে পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরতাম। অনেক কষ্ট হলেও কারো কাছে বুঝতে দিতাম না। এমনকি তোর মা’কেও না।

একবার খুব ইচ্ছে হলো একটা বাইক কিনি। শো রুমে গিয়ে দেখেও এলাম। সেদিন রাতে স্বপ্নেও দেখলাম আমি বাইক চালিয়ে কাজে যাচ্ছি। কিন্তু তুই পরের দিনই ল্যাপটপের জন্য বায়না ধরলি। তোর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারলাম না, তোকে ল্যাপটপ কিনে দিলাম।

আমার এক টাকা তখন তোর কাছে এক পয়সার সমান হবে। কিন্তু ভেবে দেখ, সেই টাকাতেই তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস, নতুন ফোন কিনে সারা রাত গান শুনেছিস, পিকনিক করেছিস, ট্যুরে গেছিস, কনসার্ট উপভোগ করেছিস। তোর দিনগুলো ছিল আনন্দে ভরা।

আর এখন আমার বয়সে তোর টাকায় আমি ডাক্তার দেখাই, সুগারের পরীক্ষা করি। মাছ-মাংস সবই আমার নিষেধ। তোর টাকায় আমি কল্পনায় এক হাট বসাই। সেই হাটে বাইক চালিয়ে শহর ঘুরি, বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখি, তোর মায়ের হাত ধরে মেলায় ঘুরি।

বাবাদেরকে সবাই কঠোর মনে করে। আমিও আমার বাবাকে তেমন ভাবতাম। কিন্তু বাবা হওয়াটা কঠিন ছিল না, বরং পিতা হিসেবে দায়িত্বশীল হওয়াটা অনেক কঠিন। যুগ যুগ ধরে মায়েদের বন্দনা হয়েছে, কিন্তু বাবাদের কোথাও তেমন দেখা যায় না। তবে বাবারা সন্তানের জন্য সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।

তুই হয়তো আমার দেওয়া টাকা শোধ করতে পারবি, কিন্তু আমি যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম, তা কি আর ফিরে পাব? যেসব স্বপ্নের ভিত্তিতে তুই আজ দাঁড়িয়ে আছিস, সেসব কি আর পূর্ণ হবে কোনোদিন? যদি বলিস যে তুই আমাকে টাকা না, ভালোবাসা ফেরত দিবি, তাহলে বলবো বাবার ভালোবাসা ফেরত দেওয়া যায় না।

একটা প্রশ্ন করি তোকে, ধর নৌকায় আমরা তিনজন- তুই, আমি আর তোর খোকা বসে আছি। নৌকা ডুবতে শুরু করলো, তুই শুধু একজনকেই বাঁচাতে পারবি। কাকে বাঁচাবি? (ছেলেটা কোনোভাবেই উত্তর দিতে পারছে না)

উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হতে পারে, কিন্তু বাবা কোনোদিন ছেলের জায়গায় যেতে পারে না। পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী জিনিস কী জানিস? বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। আমি আল্লাহর কাছে শুধু একটা জিনিস চাই, যেন আমার মৃত্যুর দিনে আমি তোর কাঁধে ভর দিয়ে যেতে পারি। তাহলেই তুই আমার কোলে নেওয়ার ঋণ শোধ করতে পারবি।

বাবা ❤️

আমরা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কবরবাসীদের সালাম দিয়ে যাই। এই সালামের ফজিলত যে কত ব্যাপক তা আমাদের কারো কারো জানা...
27/09/2024

আমরা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কবরবাসীদের সালাম দিয়ে যাই। এই সালামের ফজিলত যে কত ব্যাপক তা আমাদের কারো কারো জানা থাকলেও সবার হয়ত জানা নেই। আসুন একটু জেনে নেই।
আপনি রাস্তা দিয়ে একা বা কারো সাথে কথা বলতে বলতে হাটছেন বা গাড়িতে চড়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছেন। হঠাৎ আপনার দৃষ্টি থেমে গেলো রাস্তার পাশের কোন কবর দেখে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল_
''আসসালামু আ'লাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর''
অর্থঃ হে কবরবাসী! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
ঠিক সেই সময়ে হয়ত সেই কবরবাসী ছিলো আযাবের ফেরেশতাদের অধীনে, আল্লাহর নির্দেশে যারা মারাত্মক আঘাতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছিলো সেই কবরবাসীর দেহকে।
কি আশ্চর্য !!!
আপনার কয়েক সেকেন্ডর এই দুয়াতে আল্লাহর আরশ থেকে নির্দেশ এলো তার শাস্তি থামিয়ে দিয়ে তার উপর শান্তি বর্ষণ করার। সাথে সাথেই তার কবর আযাব বন্ধ হয়ে কিছু সময়ের জন্য তার ওপর শান্তি বর্ষিত হল।
প্রতিটি জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তাই অনেক বছর পর আজ আপনিও এখন অন্ধকার কবরের বাসিন্দা। হয়ত আপনার উপরেও চলছে এখন আযাবের ফেরেশতাদের মারাত্মক আঘাত। হঠাৎ করেই তারা আঘাত করা বন্ধ করে দিলো। কিছু সময়ের জন্য আপনি সুকুন পেলেন।
আপনার মনে পড়ে গেলো ওই যে সেই দিনগুলোর কথা যেদিন আপনি রাস্তার পাশের কবর দেখে এই ছোট্ট দুয়াটি করে যেতেন। আজ সেভাবেই কোনো এক পথিকের ও আপনার কবর দেখে মায়া হলো, আপনার মতো তিনিও সেই ছোট্ট দুয়াটি পড়ে আপনাকে কিছুক্ষণ এর জন্য আযাব থেকে মুক্তি দিলেন।
আপনি যে দুয়া করবেন তা আপনার জন্যও আল্লাহ ফিরিয়ে দিবেন। কেননা, আল্লাহ প্রতিটি ভালো কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার দান করেন।
প্রতিদিন আমরা এভাবে কত কবর পার করি। অথচ ভুলেই যাই এরাও একদিন আমাদের মতো দুনিয়ায় বিচরণ করতো। দৈনিক রাস্তা পার হতে ততক্ষন কবর দেখে দুয়া করুন, যতক্ষন আপনি আপনার কবরের আযাব থেকে মুক্তি পেতে চান।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ছোট্ট আমলের তৌফিক দিন।
আমিন...

১৯ সেপ্টেম্বর,  ২০২৪লোকেশন : স্ট্রেইটস অফ জীবড়ালটার টপিক : Blame Culture/ ব্লেম কালচার বাই A.Arafat২০২৪ সালে এসে জীবন সং...
20/09/2024

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লোকেশন : স্ট্রেইটস অফ জীবড়ালটার

টপিক : Blame Culture/ ব্লেম কালচার বাই A.Arafat

২০২৪ সালে এসে জীবন সংগ্রামেবেঁচে থাকা অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে, মানুষ এই জীবন সংগ্রামে নিজের অস্থিত্ত টিকিয়ে রাখতে “হোয়াটেভার ইট টেকস ” পলিসিতে চলে গেছে, আর তাতে করে কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক, কোনটা অন্য মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে বা অন্যের ক্ষতি হচ্ছে, কোনটা সত্য বা মিথ্যা, সেটা দেখার আমাদের সময় নেই বা ইচ্ছা নেই। তার একান্তই কারণ জীবন সংগ্রামে আমার মিথ্যা বলে হোক, অন্যকে আমাদের নিজের দোষে ফাঁসিয়ে দিয়ে হোক বা অন্যের ক্ষতি করে হলেও আমাদের জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকতে হবে।

আমাদের একটা বাজে অভ্যাস আছে, আমরা সবচেয়ে বেশি দোষ দেই আমাদের আপনজন দের।জীবনের কোনো শমীকরণ না মিললে বা ব্যর্থতায় ভারাক্রান্ত হয়ে আমরা নিজেদের দোষ না দিয়ে আমরা অন্যদের দোষ দেই, এতে করে হয়তোবা আমাদের মনের কিছুটা কষ্ট কমে যায়, হয়তোবা হৃদয়ের কোনো একটি জায়গায় শান্তি মেলে এই ভেবে যে আজ আমি ব্যার্থ আমার নিজের দোষে নয় বরং অন্য কারো জন্য।আমার কাছে মনে হয় মানুষ মিথ্যাকে ভালোবাসে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজের ব্যর্থতাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চায়, নিজেকে বার বার বলতে বলতে মিথ্যাটাকে আমাদের ব্রেইন সত্য বলেই রায় দেয়, আর এতে করে আমরা চিন্তা করার শক্তি আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলি।

ছেলে মেয়েরা ছোট থাকতেই আদরের থাকে, কেনো এই কথাটা মানুষ বলে?

আমাদের বাবা মায়েরা আমাদের জন্য যা করেছে এর ১০% আমাদের দাদা দাদীরা ওনাদের জন্য করেন নাই, কিন্তু দেখি না কোনোদিন আক্ষেপ নিয়ে ওনাদের নিয়ে কিছু বলতে, বা ওনাদের কোনো দোষ দিতে।অথচো আজকাল আমরা সংসার জীবনে অশান্তির জন্য, অথবা ভালো চাকরি না পাওয়ার পিছনে, অথবা দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যর্থতার জন্য আমরা আমাদের বাবা মা দের দায়ী করি, কারণ আমরা ওই যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বা নিজের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য ব্লেম কালচার এর আশ্রয় নেই।

আমার বাসায় পার্ট টাইম কাজ করে একটা মেয়ে, হাসব্যান্ড ওয়াইফ মিলে হয়তোবা ইনকাম ২০ হাজারের মতো, সেই মেয়ে তার ছেলে কে ভালো স্কুলে পড়ায়, বেতন প্রাই ২৫০০ টাকা, বাচ্চাকে ভালো স্যারের কাছে কোচিং এ পাঠায় ২০০০ টাকা দিয়ে, যখন যা চায় কিনে দেয়, স্কুল থেকে আসার সময় চিপস চকলেট ইত্যাদি আরো আবদার তো থাকেই। চিন্তা করে দেখলাম হাসব্যান্ড ওয়াইফের ২০ হাজার টাকার উপার্জনের অর্ধেকটাই চলে যায় বাচ্চার পিছনে, বাচ্চাকে একটা ভালো ফিউচার দেয়ার আশায়, সর্ব চেষ্টা করে যাচ্ছে নিজেদের সুখ শান্তি বা আরেকটু ভালো থাকার বা খাওয়ার ইচ্ছা কে বিসর্জন দিয়ে, এরি নাম বাবা মা। আর আমরা কি না একটু বড়ো হয়ে মুখে মুখে তর্ক করি, অর্ডার দেয়া শুরু করি বাবা মা দেরকে, বুড়ো হয়ে গেলে তো বোঝাই মনে করি, আর কিছু একটা হলে তো এটা বলতে একটুও দ্বিধা বোধ করি না যে “ছোট বেলায় কি শিখাইসো, অথবা এই ভাবে বাচ্চা কাচ্চা বড়ো করে নাকি, অথবা আজকে তোমাদের জন্যই আমার এই অবস্থা” , ইত্যাদি.

উপরে জাস্ট একটা ব্লেম কালচার এর উদাহরণ দিলাম, এ ছাড়াও আমাদের জীবনে প্রতি টা সেক্টরেই সিরিয়াস ব্লেম কালচার আছে, এগুলা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, নিজের উপরে ব্লেম দেয়া বা নেয়া শিখতে হবে.

আজ হয়তোবা অন্য কাউকে নিজের দোষ চাপিয়ে দিয়ে বেঁচে যাবেন কিন্তু কাল যে আপনার সাথে ঐটার ১০ গুন বেশি হবে না এটার গ্যারান্টি দিতে পারবেন তো?

A.Arafat

How to become a     #:If you truly want to connect with the creator, you must turn yourself into a superior being at fir...
16/09/2024

How to become a #:

If you truly want to connect with the creator, you must turn yourself into a superior being at first.

This superiority does not come from money,power or fame.This superiority is created as soon as you get rid of the two most dangerous traits of all.The first one is false pride.The one that Allah hates most. It creates pathways to many other dangerous qualities.This was the first characteristic of Satan.

And the second one is Envy/Jealousy.
Envy is the declaration of Inferiority. It is the tribute that Inferiors pay to the Geniuses.
This is the second characteristic of Satan. Satan was filled with Envy as soon as Adam was created. It is the Jealousy of Satan that truly established Adam as the one that is superior.

So as long as you have false pride and jealousy in your heart it is very difficult to connect with The Almighty ,the Most merciful.Existence of these two traits proves the existence of Satan in your heart .Because Satan/devil is the originator of these two traits.

So,Let us purify our hearts and souls.Surely such acts will establish our connection with Allah and guide us in achieving glory in the life hereafter.

Ameen
What about this life?

It will give us mental tranquility and barakah Inshallah.

(Collected)

০৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৪লোকেশন : নিউ ইংল্যান্ড সিমাউন্টস টপিক : “ব্যাটারী লাইফ “ বাই A.Arafatবাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাবেন?  নি...
03/09/2024

০৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৪

লোকেশন : নিউ ইংল্যান্ড সিমাউন্টস

টপিক : “ব্যাটারী লাইফ “ বাই A.Arafat

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাবেন? নিশ্চয়ই ফোন টা কে বাসা থেকে বের হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত চার্জে দিয়ে রাখেন, ১০০% হওয়ার পরেও,আর সাথে তো পাওয়ারবাঙ্ক থাকবেই. একটা ফোনের চার্জ শেষ হতে কতক্ষন লাগে? হয়তোবা খুব হেভি উজ হলে ১৫-২০ ঘন্টা।

আমাদের ফোনে যখন ১০০% চার্জ থাকে তখন আমরা নির্দ্বিধায় ফোন এর ব্রাইটনেস বেশি দিয়ে চালাতে থাকি, অথবা ফেসবুকে রীল বা ইউটুবে ভিডিও টেনশন বিনা দেখতে থাকি, ফোন এর চার্জ ৫০% এ আসলে হয়তোবা একটু হুশ আসে, না পারতে খুব একটা অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করি না।এখন ধরে নিন আপনার কাছে চার্জ করার জন্য চার্জার নাই বা পাওয়ারবাঙ্ক নাই আর ফোনে চার্জ আছে ২০%,কি করবেন? নিশ্চই ভিডিও দেখা দূরে থাক, ফোনে টা না পারতে ব্যবহার করবেন না, কারণ আপনি জানেন ফোনে এর ব্যাটারী এর চার্জ খুব একটা বেশিক্ষন থাকবে না, আর আপনার বাসার বাইরে থাকতে হবে আরো অনেক্ষন।

আমরা যদি নিজেদের জীবনের সময় টাকে একটা ফোনের ব্যাটারির সাথে তুলনা করি, যৌবন এর ৩০-৩৫ বছর কে যদি আমি ৫০% ধরি, বুড়ো বয়স এর ১৫-২০ বছরকে যদি আমরা ২০% ধরি আর এর মাঝের ২০-২৫ বছর কে যদি আমরা ৩০% ধরি, দেখবেন যে ঠিক মোবাইলের চার্জ যখন ১০০% থাকে আর আমরা চিন্তা ছাড়াই ফুল উদ্যোমে মোবাইল উজ করি, ঠিক তেমনি ভাবে আমরা আমাদের যৌবন পার করে দেই পার্টি করে, দোস্ত একটা টান দে কিছু হয় না এক টান এ- এই টাইপ এর এক্সপেরিমেন্ট করে, অথবা দোস্ত এই যুগে কয়েকটা প্রেম না করলে মানুষে আমাদের পোলা কইবো নাকি, অথবা শোঅফ করে, ইত্যাদি।

যখন ব্যাটারির ৫০% এর মতো চার্জ শেষ হয়ে যায় তখন একটু হুশ আসে আমাদের, চিন্তা করি জীবনের অর্ধেক টা তো শেষ,এবার একটু ঠিক হওয়ার দরকার।আর শেষ ২০% বাকি থাকতে আমরা তখন দিশেহারা হয়ে পড়ি, চিন্তা করতে থাকি যে ইশ যদি ব্যাটারির ১০০% চার্জ থাকতে জীবনের মর্ম টা বুঝতে পারতাম, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওখান থেকে আর ফিরে আসার সময় বা চার্জ লেভেল থাকে না।

আমাদের জীবন এর ব্যাটারী লাইফ একটি ফোনে এর ব্যাটারী লাইফ থেকে খুব একটা ভিন্ন না, তাই যদি আমরা নিজেদের জীবনকে একটা ফোনের ব্যাটারী লাইফ এর সাথে কমপেয়ার করতে পারি তাহলেই হয়তোবা আমরা উপলব্ধি করতে পারবো যে জীবনটা আসলেই কতো ছোট।সময় কিন্তু ফুরিয়ে যাচ্ছে, পরে কেঁদেও হয়তোবা আর কুল কিনারা পাওয়া যাবে না।

A.Arafat

০১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪লোকেশন : নর্থ আটলান্টিক ঔসেন “সিলেবাস ” বাই  A.Arafatমানুষর জীবনে আসলে মূল চাহিদা টা কি?  আমার কাছে ...
02/09/2024

০১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪

লোকেশন : নর্থ আটলান্টিক ঔসেন

“সিলেবাস ” বাই A.Arafat

মানুষর জীবনে আসলে মূল চাহিদা টা কি? আমার কাছে মনে হয় যে মানুষের কয়েকটি মৌলিক চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে টাকা।আর কি? সুন্দর বউ বা ধনী জামাই, স্টেটাস, বাড়ি, গাড়ি অর্নামেন্টস ইত্যাদি।

আমরা আমাদের জীবনের প্রাই ২৫ টা বছর পার করে দেই নিজেদের প্রতিষ্টিত করতে, সেই ৩-৩.৫ বছর থেকে স্কুল এর টুইংকেল টুইংকেল লিটল ষ্টার থেকে ইউনিভার্সিটি লাইফ এর ভালো সিজিপিএ এর জন্য।তারপরে ম্যাক্সিমাম মানুষ জব খুঁজে ভালো একটা লাইফ এর আশায়, হাতে গুনা কয়েকজন ব্যবসা করে।সেই ২৫ বছর বয়স থেকে এইযে আমরা জীবনের রেইস এ ভালো থাকার দৌড়ে আটকে যাই, সেই রেইস শেষ হয় ৬০-৬৫ বছর এ গিয়ে, যা কিনা মৃত্যু থেকে ১০-১৫ বছর দূরে মাত্র।চিন্তা করে দেখলে খুব অবাক লাগে যে শুধু মাত্র বুড়ো বয়সে একটু ভালো থাকার আশায় বা মেডিকেল ট্রিটমেন্ট বা একটু যেন শেষ বয়স এ আরাম এ মরতে পারি এই চিন্তা করে আমরা জীবনের ৬০-৬৫ বছর রেইস করতে করতে কাটিয়ে দেই।এই হচ্ছে আমাদের ম্যাক্সিমাম মানুষের জীবনের সিলেবাস।

সিলবাস যেটা যুগ এর পর যুগ ধরে চলে আসছে, এখন কি আমাদের একটু সিলবাস টাকে আপডেট করা উচিত নয়? আমি যদি আপনাদের জিগ্যেস করি জীবনের আসল সিলেবাস টা কি? টাকা কামানো? ভালো জীবন যাপন করা? নাকি ব্যাংক এ কয়েক কোটি টাকা ছেলে মেয়েদের জন্য রেখে মরতে পারলেই আপনি নিজেকে সার্থক মনে করবেন?

আমার কাছে মনে হয় আ মুসলিম হিসেবে আমরা মূল সিলেবাস থেকে শুধু দূরেই না, বরং মূল সিলেবাস এর অলমোস্ট বিপরীত টাই করছি।

আমাদের সিলেবাবাস এ ছোট বেলা থেকে থাকা উচিত ছিলো কি ভাবে ভালো একজন মানুষ হওয়া যায়, কি ভাবে সৎ পথে উপার্জন করা যায়,কি ভাবে বাবা মা বা সিনিয়র দের রেস্পেক্ট করতে হয়, কি করলে আল্লাহ খুশি হবেন, আমাদের কোন নবী কে আল্লাহ কি পরীক্ষায় ফেলেছিলেন , ছেলে মেয়ে কে হালাল আর হারামের সম্পর্কে ছোট বয়স থেকেই ধারনা দেয়া, ইত্যাদি.

কিন্তু আমরা কি করছি? বাচ্চাদেরকে বড়ো করছি জীবনের ফেইক রেইস এ টিকে থাকার জন্য, যা কিনা পরকালে দুই পয়সার কাজেও আসবে না।পরীক্ষার আগের দিন রাতে পরে যেমন পাশের আশা করা যায় না ঠিক তেমনি ভাবে ৬০-৬৫ বছরে পৌঁছে শেষ ১০-১৫ বছর চেষ্টা করে আল্লাহ কে খুশি করাও খুব একটা সহজ বেপার না, হয়তোবা হাতে গুনা কয়েকজন পারবে, আমি নিজেকে ওই হাতে গুনা কয়েকজনের ক্যাটাগরি তে ফেলতে চাই না, আমি নিজেকে অর্ডিনারি ধরেই আগাতে চাই, তাই বলছি সময় এসেছে জীবনের সিলেবাস নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করার।

এখনো অনেক সময় আছে বা পরে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবো বা বুড়ো বয়স এ ঠিক হয়ে যাবো চিন্তা করে আগালে আমরা জীবনের রেইস এ হয়তোবা জিতে যাবো কিন্তু এই রেইস এ হেরে গেলেও খুব একটা ক্ষতি নেই।জীবনের মূল সিলেবাস টা কি সেটা আমাদের বুঝতে হবে এবং সেই অনুযাই নিজেদেরকে সময় থাকতে তৈরি করতে হবে।

A.Arafat

22/08/2024

বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাড়াতে বিকাশে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ফান্ডে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে যত বেশি দান করতে পারেন!

12/08/2024

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when A . Arafat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category