03/06/2024
শিশুর খেলা শুধুই খেলা নয়। খেলার ছলেই শিশুকে শেখানো যায় অনেককিছু। প্রতিদিন শিশুর খেলার পেছনে সময় দিন। কারণ এটা ওর খাওয়ার মতই গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর ছোট্ট কাঁথা দিয়ে এমন সব খেলার আইডিয়া এখানে শেয়ার করব যেগুলো শুধু মজার নয়, শিশুর শারীরিক মানসিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১. কাঁথা দিয়ে লুকোচুরি খেলা
কোনো জিনিস চোখের নাগালে চলে যাওয়া মানে এই না যে জিনিসটা আর নেই। আমি দেখতে না পেলেও কোনো জিনিসের অস্তিত্ব থাকে। এই বোঝাপড়াকে ইংরেজিতে বলে অবজেক্ট পার্মানেন্স।
শিশুর সাথে খেলার সময় ওর কোনো খেলনা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। মুড়িয়ে রাখুন। ওকে সেটা খুঁজে বের করতে বলুন।
কাপড় দিয়ে নিজের মাথা ও মুখ আলতোভাবে ঢেকে দিন। তারপরে ওকে বলুন আপনাকে খুঁজে করতে। বলুন, আমি কোথায়?
দেখুন তো ও পারে কিনা!
এবার আলতোভাবে ওর মাথায় দিয়ে ওকে খুঁজুন।
ওয়াসিফ কোথায়?
এই তো এখানে!
২. কাঁথা দিয়ে আকৃতি খেলা
নরম জিনিস যেভাবে আকৃতি বদলায় সেটা শিশুকে বেশ আনন্দ দেয়। একটা বালতি বা ঝুড়ি নিয়ে সেখানে কাঁথা রাখুন। তারপর সেটার এক কোণা ধরে ধীরে ধীরে টানুন।
আপনি শিশুকেও সেটা টেনে বের করতে দিন। এটা ওর হাতের পেশীর জন্য যেমন ভালো, তেমনি বুদ্ধিরও খোরাক।
৩. কাঁথা টেনে কাছে আনা
কাঁথার ওপরে শিশুর প্রিয় খেলনা বসান। তারপর কাঁথাটি টেনে টেনে কাছে আনুন। ৮ থেকে ১০ মাস বয়েসের বেশিরভাগ শিশু এভাবে খেলতে পারে।
৪. কাঁথার ওপরে চড়া
কাঁথা বা কম্বল ভাঁজ করে শিশুকে এটার উপরে উঠতে/বাইতে সাহায্য করুন। বসার সময় ব্যালেন্স রক্ষা শেখার জন্য এটা একটা দারুণ খেলা।
৫. কাঁথা দিয়ে টানাটানি খেলা
দড়ি টানাটানি খেলার মতই কাঁথার এক প্রান্ত আপনি, আরেকপ্রান্ত পরিবারের আরেকজনকে টেনে ধরতে বলুন। আপনারা দুজনে এ টানাটানি খেলা শিশুকে দেখিয়ে এবার এক প্রান্ত শিশুকে ধরতে বলুন। দেখুন ও টেনে ধরতে পারে কিনা। প্রথমে আপনি খুব আস্তে টানাটানি করবেন। এ খেলাটা শিশুর শক্তি ও ব্যালান্স দুটোতেই সাহায্য করে।
#খেলা