Md.Rokkan Uddin

28/07/2025

হিন্দু আইন সম্পর্কে সমাজে প্রায়ই ২ টি ভুল কথা শোনা যায়-
১। “অনেককেই বলতে শুনি যে মৃত ব্যক্তির ছেলে সন্তান থাকলে হিন্দু বিধবা স্ত্রী কোন সম্পত্তি পায় না। মৃতের স্ত্রী কে ছাড়াই অন্যান্য ওয়ারিশ গণ সম্পত্তির বন্টন করে ফেলেন।” এটা ভুল ।আইন হল - হিন্দু বিধবা স্ত্রী, এক পুত্রের সমান অংশ পায়। উক্ত সম্পত্তি হিন্দু নারী জীবনস্বত্বে ভোগদখলের মালিক। কেবলমাত্র আইনসঙ্গত কয়েকটি কারনে সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন। পুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্র এদের কেহ না থাকলে সমস্ত সম্পত্তি মালিক মৃতের বিধবা স্ত্রী।

২। “হিন্দু আইনে মৃত ব্যক্তির ছেলে,নাতি, পতি অর্থ্যাৎ পুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্র এবং বিধবা স্ত্রী না থাকলে - মেয়ে ও মেয়ের ঘরে ছেলে সন্তান (মৃত ব্যক্তির কন্যার ছেলে ) থাকলে মেয়েরা সম্পত্তি পায় না।উক্ত সম্পত্তির মালিক হন মৃত ব্যক্তির কন্যার ছেলে। ”এটা ভুল। আইন হল- মৃত ব্যক্তি কন্যার ছেলে সন্তান থাকলে সম্পত্তির মালিক হবেন মৃতের মেয়ে। মেয়ে মারা যাওয়ার পর ঐ সম্পত্তির মালিক হবেন তার ছেলে।উল্লেখ্য বন্ধ্যা ও পুত্রহীনা কন্যা কোন সম্পত্তি পাবেন না। মেয়েও কেবলমাত্র আইনসঙ্গত কয়েকটি কারনে সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন।
আইনসঙ্গত প্রয়োজনগুলো হল-যেমন মৃতের শ্রাদ্ধ,ঋণ পরিশোধ, তীর্থ যেয়ে মৃতের আত্মার মঙ্গলের জন্য পিন্ড দান, মেয়ে বিবাহ দান,নাবালকের ভরনপোষণ ও মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকলে যেসকল দায়িত্ব - কর্তব্য তার উপর বাধ্যকর ছিল সে-সকল কাজ ইত্যাদি ।

28/07/2025

যাদের নাম খতিয়ানে বাদ পড়েছে বা যাদের নামে ভুল রেকর্ড সৃজিত হয়েছে তারা সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সহকারী জজ/ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়েরপূর্বক প্রতিকারের সময়সীমা আগামী ৬ মাসের জন্য বর্ধিত করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ, বিচার শাখা-০৪ থেকে প্রজ্ঞাপন জারী।

14/07/2025

১৭৮১ সালের বেঙ্গল স্ট্যাটিউট।

১৭৯৩ সালের বেঙ্গল রেগুলেশন ৩৬।

১৮০২ সালের বোম্বে রেগুলেশন ৪ এবং মাদ্রাজ রেগুলেশন ১৭।

এসমস্ত আইনের খসড়া ইংল্যান্ডের ‘ইয়র্কশায়ার রেজিস্ট্রি এ্যাক্টে’র মডেলে করা হয়েছিল। সময়ের প্রয়োজনে সাধারন মানুষের কাছে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হওয়ায় এ সমস্ত প্রাদেশিক আইনের পরিবর্তে সমস্ত ব্রিটিশ ভারতের জন্য রেজিস্ট্রেশন আইন জারি করা হয়। এ সমস্ত আইনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

১৮৬৪ সালের ১৬ নং আইন।

১৮৬৬ সালের ২০ নং আইন।

১৮৭১ সালের ৮ নং আইন।

১৮৭৭ সালেরর ৩ নং আইন এবং

সর্বশেষ ১৯০৮ সালের ১৬ নং আইন যার ভিত্তিতে বর্তমান বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

১৯৪৭ সারে ইংরেজগণ এ উপমহাদেশের শাসনভার ত্যাগ করে এবং ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যান্য আইনের মত ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন ও উভয় দেশে বহাল থাকে। পরবর্তীতে উভয় দেশেই উক্ত আইন প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় সংশোধন ও পরিবর্তন করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর রেজিস্ট্রেশন আইনটি সংবিধানের ১৪৯ নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে বহাল থাকে।

জমির চূড়ান্ত মালিকানা দলিলে নাকি রেকর্ড খতিয়ান
জমির চূড়ান্ত মালিকানা দলিলে না রেকর্ডে? আইন কী
বলে দেখুন:

রেফারেন্স: কার্টেসী Jubayer Hossain ভাই

বিচারিক নজির ১) 36 DLR (AD) 121 – Md. Abdul Khaleque vs. Md. Abdur Rashid

> রায়:
“Mutation is not a document of title. It does not create or extinguish title.”

👉ব্যাখ্যা: নামজারি কোনো মালিকানা সৃষ্টি বা বাতিল করে না। এটি শুধু একটি প্রশাসনিক কার্যক্রম।

---

বিচারিক নজির ২) 51 DLR (AD) 86 – Abu Bakar vs. Lokman Hossain

> রায়:
“Title flows from a registered deed and not from mutation.”

👉ব্যাখ্যা: মালিকানার উৎস হলো নিবন্ধিত দলিল। নামজারি না থাকলেও, বৈধ দলিল থাকলে মালিকানার দাবি টিকে থাকে।

---

বিচারিক নজির ৩) 41 DLR (AD) 254 – Bangladesh vs. Mrinal Kanti Roy

> রায়:
“Mutation does not confer any title; it is only for realization of rent and for administrative convenience.”

👉ব্যাখ্যা: নামজারির মূল উদ্দেশ্য হলো ভূমি উন্নয়ন কর আদায় এবং প্রশাসনিক সুবিধা। দলিল না থাকলে নামজারি কোনো ভিত্তি নয়।

---

বিচারিক নজির ৪) 56 DLR 359 – Jinnat Ara vs. Afsaruddin

> রায়:
“A person can be the owner even without mutation, if he has a valid deed.”

👉ব্যাখ্যা: নামজারি না হলেও যদি কারো কাছে বৈধ দলিল থাকে, তিনি মালিক হিসেবে গণ্য হবেন।

---

বিচারিক নজির ৫) 9 ADC (2012) 177 – Kazi Nazrul Islam vs. Government of Bangladesh

> রায়:
“Entry in the record-of-rights (mutation) is not conclusive proof of ownership.”

👉ব্যাখ্যা: খতিয়ান বা নামজারির রেকর্ড মালিকানার চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।

09/07/2025

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পাশাপাশি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ছয় জেলায় বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ২০২৫) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

30/06/2025

▪️ধলা জমিদার বাড়ি
ধলা বাজার, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ।

একজন অত্যাচারী বর্ণবাদী জমিদার হিসেবে তিনি এলাকায় পরিচিত ছিলেন।আমি বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির। মূল বাড়িতে ঢুকার পথ বন্ধ চারদিকে দেয়াল করে আটকে দেওয়া হয়েছে, বাড়ির মূল ভবনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হতো পরবর্তীতে আরেকটি নতুন ভবন জমিদার বাড়ির মাঠে করা হলে এখানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।এখানে মোট তিনটি ভবন টিকে আছে একটি মন্দির এবং বাকিদুটি বাসভবন।

আবর্জনা মলমূত্রে আচ্ছাদিত এখানকার ভবনগুলো এর কারণ হলো পাশেই গুচ্ছগ্রাম। এই জমিদার বাড়িটির সামনে বিশাল দিঘি আছে এবং পিছনে একটি শানবাঁধানো পুকুর সেই পুকুরের পাশেই বিশাল এক মাঠ। দুটো ভবনের মাঝখান দিয়ে পিছনের মাঠ পেরিয়ে পুকুরে যাওয়ার রাস্তা। এই দুভবনের রাস্তায় চোখে পরবে বিশাল সিংহদুয়ার।

এই বাড়িরর জমিদার গিরিশ চন্দ্র পাল ছিলেন এলাকার সুদখোর মহাজন এবং তারাইল বাজারের কেরোসিনের ডিলার। বাংলা ১৩৩১ সালে মদনের কাটল বাড়ি জমিদারদের কাছ থেকে তিন আনি জমিদারি ক্রয় করেন গিরিশ চন্দ্র পাল। ৫ টি ভবন এবং দুটি শানবাঁধানো পুকুরের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছিলো এই জমিদার বাড়ি।এই জমিদার বাড়ি উদ্বোধনের সময় নাকি ৪০ মন মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিলো।এই জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে নাকি নিম্ন বর্ণের মানুষজন জুতা পায় এবং মাথায় ছাতা নিয়ে যেতে পারতো না।জমিদারদের স্কুলে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের নাকি ভর্তি করা হতো না। এই জমিদার বাড়িতে বর্তমানে তিনটি ভবন টিকে আছে জীর্নশীর্ন অবস্থায়।

দেশভাগের আগ মুহুর্তে ধর্মীয় দাঙ্গা ছড়িয়ে পরলে,তৎকালীন জমিদার প্রফুল্ল চন্দ্র পালের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আশেপাশের মুসলিম প্রজারা। এলাকার ফকির বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় এই জমিদার বাড়িতে আক্রমণ করে সাধারণ জনতা, এরপরই প্রফুল্ল চন্দ্র পাল উক্ত এলাকা ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমান।

26/06/2025

মুরাদনগর উপজেলার, বাবুটিপাড়া ইউনিয়ন এর শাহিনা বেগম নামীয় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র /National ID Card পাওয়া গিয়াছে...........
যোগাযোগের ঠিকানা-উপজেলা ভূমি অফিস,মুরাদনগর,কুমিল্লা।

02/05/2025

একজন আইনজীবী একজন শিক্ষকের কাছে একটি কূয়ো বিক্রি করলেন। দুই দিন পর, আইনজীবী সেই শিক্ষকের কাছে এসে বললেন,
“আমি তো আপনাকে কূয়ো বিক্রি করেছি, কিন্তু কূয়োর ভিতরের জল তো বিক্রি করিনি! আপনি যদি জল ব্যবহার করতে চান, তবে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।”
শিক্ষক হেসে উত্তর দিলেন,
“হ্যাঁ, আমিও আপনাকে বলতে যাচ্ছিলাম—আপনার জল আমার কূয়ো থেকে নিয়ে যান, না হলে আগামীকাল থেকে আপনাকেই আমার কুয়োয় জল রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে।”
এটা শুনে আইনজীবী ঘাবড়ে গেলেন এবং বললেন,
“আরে না না, আমি তো মজা করছিলাম!”
শিক্ষক হেসে বললেন,“আমরাই আইনজীবী ও বিচারপতি তৈরি করি! শিক্ষকের সাথে একদম চালাকি নয়।

#সংগৃহীত

26/04/2025

03/12/2024

নিউ সার্ভার আপডেট.........

নতুন সাইটে নামজারি খতিয়ানে ডিজাইনে পরিবর্তন আসছে............

★খতিয়ানের মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবে।
★ খতিয়ানে উপজেলা ভূমি অফিসের নাম থাকবে।
★ ডিসিআরেও মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবে।

খতিয়ান ডাউনলোড এর সময় সীমা নির্ধারণ করা হইছে। আবেদন মঞ্জুরের পর ৩ মাস পর্যন্ত খতিয়ান ডাউনলোড দেয়া যাবে। তারপর থেকে DLRMS সিস্টেম থেকে অন্যান্য পর্চার মতো পেমেন্ট করে ডাউনলোড দিতে হবে।

23/10/2024

✅ পৃথিবীতে নবী-রাসূলদের আগমনের ধারা। আমরা আখেরি নবীর উম্মত সেজন্য বলি আলহামদুলিল্লাহ।🌺❤️