
31/05/2025
আমরা যারা গ্রামে থাকি। তারা ঈদেরদিন তাহাজ্জুদের সময়ও যদি ঈদগাহে যাই, তবুও সামনের কাতারে জায়গা পাবো না। কারন, সামনের লাইনটা বরাদ্দ থাকে ঢাকা থেকে আসা চৌধুরী সাহেবদের জন্য।
এই চৌধুরী সাহেবদের চেনার কয়েকটি আলামত আছে। তারা হাসিমুখে হাত উচু করে রাজনৈতিক নেতাদের মতো সবাইকে সালাম দিতেদিতে প্রবেশ করবে।
তাদের জামায় পকেট থাকা সত্বেও লম্বা মানিব্যাগ আর দামি ফোনটা হাতে রাখবে।
ভাবখানা এমন যেন , উনার ঐ মানিব্যাগের টাকা দিয়েই ঈদগাহটা সাজানো হয়েছে।
তাদের গায়ে মাড় দেয়া ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী থাকবে। যেটার দিকে তাকালে তাদের সেন্ডো গেঞ্জি দেখা যায়।
খতিব সাহেব বয়ান করার সময়ে তারা বয়ান না শুনে আমেরিকায় থাকা তার আত্মীয়রে ভিডিও কল দিয়ে তারে বয়ান শোনাবে।
তাদের কাছে সালামির টাকাগুলো চকচকে নোটের বান্ডিল থাকবে।
যেগুলো থেকে নামাজ শেষ করে ঈদগাহের গেটে লাইন ধরা ফকিরদের হাতে একটা একটা করে বিশ টাকার নোট দিবে।
নোটগুলো এতোই চকচকে যে , ফকির বেচারা দ্বিতীয়বার আর চাওয়ার সাহস পাবে না।
চৌধুরী সাহেবরা বয়সে ছোট হলেও গ্রামে থাকা তার কৃষক বড়ভাই তাদের জায়নামাজ বহন করবে।
নামাজ শেষে ঈমাম সাবের উপর কড়া নির্দেশ - আগে চৌধুরী সাহেবদের গরু কুরবানী করতে হবে, পরে অন্যদেরটা।