
13/07/2025
মানুষটাকে দেখতাম... সারাক্ষণ ব্যস্ত। খাওয়া নেই, ঘুম নেই, সার্বক্ষণিক ছোটাছুটি। রাতে বাসায় ফিরছে দেরি করে, সকাল হতেই বেরিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমাঝে জিজ্ঞেস করলে বলতো, আল্লাহই তো রিযিকের জন্য পরিশ্রম করতে বলেছেন।
এরপর কয়েক বছর পর...
তার সেই ব্যস্ততা আর নেই। ব্যবসা করছে ঠিকই, কিন্তু সেই চঞ্চলতা, অস্থিরতাটুকু নেই। নামাজের সময় হলে আযান দিলেই মসজিদে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন দ্বীনি মাজলিসে শরিক হচ্ছে। ফ্যামিলি নিয়ে ছুটির দিনগুলোতে ঘুরতে যাচ্ছে।
ভাবলাম ব্যবসা মেবি ওয়েল স্ট্যাবলিশড হয়ে গিয়েছে। এখন আর তেমন সময় না দিলেও চলে। কিন্তু জিজ্ঞেস করাতে বললো ভিন্ন কথা।
ব্যবসা আগের চেয়ে কম। আগে ১০টাকা ইনকাম হলে এখন হয় ৮ টাকা। তবে এখন আমি রিযিক তালাশ করি, প্রতিযোগিতা করি না। আমার এখন অমুকের মত হওয়ার চাহিদা নেই। নির্দিষ্ট কোন টার্গেট নেই।
আমি দিনের ফিক্সড টাইমে রিযিক খুঁজি আর রাসূলের শেখানো দুআটা পড়ি - “আল্লাহ হারাম থেকে বাঁচিয়ে হালালকে আমার জন্য যথেষ্ট করে দিন। আপনি ছাড়া অন্য সবার থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিন।”
আমি রিযিকের সাথে নতুন করে আল্লাহর কাছে থেকে সুকুন (প্রশান্তি) চেয়ে নিয়েছি।
ওয়া লিল্লাহিল হামদ।…
-রিজওয়ানুল কবির হাফি.
সংগৃহীত