Basurhat press club Noakhali.

Basurhat press club Noakhali. news and media
/ # crime

29/11/2025

A proposal to NCP:

বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দিগন্ত: শিক্ষিত–সম্ভ্রান্ত ও সফল নাগরিক নেতৃত্বের মডেল (NCP এর সম্ভাব্য নীতিমালা)

— একটি গভীর গবেষণাধর্মী ও প্রভাবশালী বিশ্লেষণ

বাংলাদেশ আজ এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলছে। দলীয় সংঘর্ষ, আঞ্চলিক গোষ্ঠীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব, অযোগ্যতার রাজনীতি—এই সবকিছুর কারণে সাধারণ মানুষ নতুন একটি দিক নির্দেশনার অপেক্ষায়।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি নতুন রাজনৈতিক দর্শন,
যেখানে নেতৃত্বে থাকবে—
শিক্ষিত, ভদ্র, সফল, অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন, দায়িত্ববান নাগরিক।

এই দর্শনের উপর ভিত্তি করে NCP (National Civic Party) যদি তাদের রাজনৈতিক আদর্শ নির্মাণ করে, তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিপ্লব ঘটতে পারে।

এই বিশ্লেষণে তুলে ধরা হচ্ছে—
কেন শিক্ষিত–সম্ভ্রান্ত–মধ্যবিত্ত–উচ্চবিত্ত ভিত্তিক পেশাজীবী নেতৃত্বই ভবিষ্যতের রাজনীতির সঠিক পথ,
এবং NCP কীভাবে এই দর্শনকে তাদের নীতিমালায় পরিণত করতে পারে।

🔵 ১) মানুষের মনোবিজ্ঞান বলছে—জনগণ যোগ্য ও সফল নেতৃত্বকে অনুসরণ করে

মানুষ স্বভাবগতভাবে তিন ধরণের নেতৃত্বকে বিশ্বাস করে:

(১) যে নেতৃত্ব অর্থনৈতিকভাবে সফল

ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, শিল্পপতি—
এরা জানে কীভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করতে হয়।
তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাদেরকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখে।

(২) যে নেতৃত্ব পেশাগতভাবে দক্ষ

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, প্রযুক্তিবিদ—
এরা বৈজ্ঞানিক মানসিকতা দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
সংকট মোকাবিলা করতে পারে।

(৩) যে নেতৃত্ব সামাজিক মর্যাদা ও ভদ্রতার প্রতীক

সম্ভ্রান্ত পরিবার, মধ্যবিত্ত–উচ্চবিত্ত ঘরানার শিক্ষিত মানুষ—
তারা সমাজে দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলার মানদণ্ড তৈরি করেন।

NCP এই তিন শ্রেণিকে কেন্দ্র করে দল গঠন করলে স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মনস্তাত্ত্বিক আস্থা তৈরি হবে।

কারণ মানুষ মনে করে—
“যারা নিজের জীবনে সফল, তারাই দেশের ভবিষ্যৎ সফল করতে পারবে।”

🔵 ২) বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত–উচ্চবিত্তের উত্থান: নতুন নেতৃত্বের চাহিদা

আজকের বাংলাদেশে নতুন এক শ্রেণির উত্থান ঘটেছে:

শিক্ষিত তরুণ

কর্পোরেট কর্মী

স্টার্টআপ উদ্যোক্তা

ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ার

প্রবাসফেরত পেশাজীবী

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী

উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবার

এই শ্রেণি চায়—
সুশাসন, আধুনিক অর্থনীতি, প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন।

কিন্তু প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোতে এই শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব খুবই সীমিত।

NCP যদি ঘোষণা করে:
“দেশ চালাবে শিক্ষিত ও সফল নাগরিকরা”
তাহলে এই শ্রেণির মানুষ দলটির সঙ্গে আবেগগতভাবে যুক্ত হবে।

🔵 ৩) বিশ্বের সফল দেশগুলোতে এ ধরনের নেতৃত্বই আধুনিক রাজনীতির মেরুদণ্ড

সিঙ্গাপুর – PAP মডেল

নেতৃত্ব এসেছে টেক, অর্থনীতি, আইন ও প্রকৌশল পেশাজীবী থেকে।

দেশের উন্নয়নে গণমানুষ ঐ নেতৃত্বকে মেনে নিয়েছে।

সমাজে স্থিতিশীলতা এসেছে শিক্ষিত নেতৃত্বের কারণে।

ফ্রান্স – En Marche (ম্যাক্রোঁ)

নতুন পার্টির নেতৃত্ব এসেছে ব্যাংকার, উদ্যোক্তা ও শিক্ষিত ক্লাস থেকে।

মধ্যবিত্ত–তরুণরা দেশ গঠনে যুক্ত হয়েছে।

ভারত – AAP এর টেক–প্রফেশনাল নেতৃত্ব

ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে।

চিলি ও লাতিন আমেরিকার রিফর্মিস্ট দলগুলো

শিক্ষিত–নাগরিক শ্রেণির ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক আন্দোলন।

অর্থাৎ শিক্ষিত পেশাজীবী নেতৃত্ব একটি বৈজ্ঞানিক ও বিশ্বস্বীকৃত রাজনৈতিক মডেল।

🔵 ৪) NCP কীভাবে এই দর্শনের ভিত্তিতে তাদের নীতিমালা তৈরি করতে পারে?

নিচে এমন কিছু নীতিমালা দেয়া হলো যা সরাসরি আপনার ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি:

(১) “Educated Leadership Policy (ELP)”

দলের নেতৃত্বে অবশ্যই থাকতে হবে—

পেশাগতভাবে সফল মানুষ

উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবী

নৈতিক মানসম্পন্ন নাগরিক

প্রগতিশীল ব্যবসায়ী

তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

এটি হবে দলের রাজনৈতিক পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দু।

(২) “Civil Competence Principle”

রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে এমন লোককে—
যারা বাস্তব জীবনে নিজের ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রমাণ করেছে।

যেমন:

স্বাস্থ্যনীতি ডাক্তাররা

প্রযুক্তি নীতি ইঞ্জিনিয়ার ও টেক বিশেষজ্ঞরা

ব্যবসায়নীতি উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিরা

শিক্ষা নীতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

এটি দেশকে যুক্তিসম্মত, বাস্তবসম্মত, বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে।

(৩) “Clean Money, Clean Politics” প্রোগ্রাম

যেসব সদস্য অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন—
তারা স্বভাবতই দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করে।
NCP এটিকে মূল নীতিতে পরিণত করতে পারে।

(৪) “Middle & Upper-Middle Class Inclusion Strategy (MUMIS)”

এই শ্রেণিই দেশে স্থিতিশীলতা, আধুনিকতা ও উন্নয়নের চালিকা শক্তি।
তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে NCP রাখবে—

স্কলারশিপ পলিটিক্স

পলিসি ইনোভেশন ল্যাব

প্রফেশনাল কাউন্সিল

টেক ও গবেষণা কমিটি

(৫) “Youth–Tech Leadership Platform”

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণদের নেতৃত্বে আনার জন্য:

স্টার্টআপ ফান্ড

নবীন রাজনৈতিক ইকোসিস্টেম

ছাত্র–রাজনীতির পুনর্গঠন

Merit-based leadership pipeline

🔵 ৫) কেন NCP-র এই মডেল জনগণের সব শ্রেণিকে একত্র করবে?

1. শিক্ষিত নেতৃত্ব গ্রাম–শহর সকলকে আস্থা দেয়
গ্রামের মানুষও বলে:
“পড়ালেখা করা ছেলে মানুষ হলে ভালো হবে।”
এটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক সত্য।

2. সফল নেতৃত্ব মানুষের মাঝে নিরাপত্তা তৈরি করে
“যার নিজস্ব সফলতা আছে, সে দেশকে ধ্বংস করবে না।”

3. সম্ভ্রান্ত ও মার্জিত নেতৃত্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে পরিবর্তন করবে
সংঘর্ষ, গালি, বিশৃঙ্খলা কমে যাবে।

4. ব্যবসায়ী–ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ারদের নেতৃত্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে
দলটি হবে অর্থনীতি-কেন্দ্রিক।

🔵 ৬) NCP বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির নতুন মডেল হতে পারে

আপনার ধারণা বাস্তবসম্মত কারণ—
বাংলাদেশের জনগণ এখন একটি “Merit-Based Political Party” দেখতে চায়।

যেখানে—

নেতৃত্বে থাকবে যোগ্যতা

নীতিতে থাকবে বিজ্ঞান

লক্ষ্য হবে উন্নয়ন

চেহারা হবে ভদ্র, শিক্ষিত, প্রগতিশীল

রাজনীতি হবে সংঘর্ষমুক্ত

NCP এই দর্শন নিয়ে সামনে এলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত—সবাই তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে।
কারণ এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে মানানসই একটি আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পথ।

🔵 সমাপ্তি: NCP বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক রেনেসাঁ শুরু করতে পারে

এই দেশ পরিবর্তন করতে হলে দরকার—
যোগ্য, শিক্ষিত, সফল, পরিশীলিত, ভদ্র ও দায়বদ্ধ নেতৃত্ব।

আপনার প্রস্তাবিত দর্শন সেই নতুন রাজনীতির ভিত্তি হতে পারে।
NCP যদি এটি গ্রহণ করে—
তাহলে তারা শুধু একটি দল নয়,
একটি নতুন রাজনৈতিক সভ্যতার সূচনা করবে।

আগামী সংসদ জাতীয় সরকারের কনসেপ্ট এর মাধ্যমে কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা কিভাবে সম্ভব! .............................
28/11/2025

আগামী সংসদ জাতীয় সরকারের কনসেপ্ট এর মাধ্যমে কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা কিভাবে সম্ভব! .............................................................................

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংসদ-গঠনের কৌশল

বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতার পর ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা ও উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে একটি কার্যকর, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র গড়ে তুলতে সকল মতাদর্শের রাজনৈতিক শক্তিকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য রাজনৈতিক বাস্তবতা—বিশেষ করে বিএনপির আসন-অগ্রাধিকার পাওয়ার সম্ভাবনা—ধরে নিয়ে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংসদ গঠনের কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে। এর মূল লক্ষ্য হবে:

1. গণতন্ত্রকে অক্ষুণ্ণ রাখা,

2. জাতীয় সরকারের মতো একতার পরিবেশ সৃষ্টি করা, তবে

3. অফিশিয়ালি ‘ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট’ ঘোষণা না করে গণতান্ত্রিক কাঠামো বজায় রাখা।

এই কৌশলের মূল ভাবনা হলো—

বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও,

বিভিন্ন আদর্শের রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ, ইসলামী দলসমূহ (পীরভিত্তিক, হেফাজতধারা, তাবলীগী ধারা), বামপন্থী দল, এবং নতুন রাজনৈতিক দল (যেমন NCP)—প্রতিটির কিছু নির্বাচিত প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।

নির্বাচনের পূর্বে অঘোষিত রাজনৈতিক বোঝাপড়া বা ট্যাকটিক্যাল সিট-অ্যারেঞ্জমেন্ট এর মাধ্যমে ছোট দলগুলোর জন্য ন্যূনতম বিজয়ের পথ তৈরি করা হলে সংসদ আরও ভারসাম্যপূর্ণ হবে।

ভবিষ্যৎ সংসদের কাঠামো তখন দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা দেবে—

1. সরকার ও বিরোধী দলে মতাদর্শভেদে ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব থাকবে,

2. এতে করে অঘোষিতভাবে একটি “ন্যাশনাল-গভর্নমেন্ট-সদৃশ” পরিবেশ তৈরি হবে, যা রাজনৈতিক ধাক্কা কমাবে, সংলাপ বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তির পথ সুগম করবে।

সার্বিকভাবে, এই কৌশলটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি সমন্বিত, বহুমতবাদী ও স্থিতিশীল সংসদীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে, যেখানে বিবাদ নয়, বরং সহযোগিতা ও প্রতিনিধিত্ব প্রধান শক্তি হিসেবে উঠে আসবে।

28/11/2025

বিদ্রোহীর প্রতিজ্ঞা:

আমি সংসার করব না—
হে দুঃসাহসী পথ! আজ থেকে তোরই সন্তান আমি।
যে সংসারের দুয়ার রুদ্ধ করতে চায়
শৃঙ্খলের ঠাণ্ডা লোহার হাতে—
সেই সংসারকে আজ করি আমি চিরবিদায়।

আমি আজীবন সংসারবিহীনই থাকব—
যদি লাগে, থাকব ঝড়ের মতন একা,
প্রান্তরের ধুলোয় ভাসমান পথের সঙ্গী হয়ে।
তবু কারো দাসত্বের কালো পিঞ্জিরা—
না! হাজার মরণ আসুক—
আমি সে পিঞ্জিরা পরব না কভু মাথায়!

আসুক অনাহার, আসুক অভাব
বজ্রাঘাতের মতন নিশি-কালো অন্ধকারে;
আমি তবু নত হব না—
ভিক্ষুকের দণ্ডে বাঁধা দুর্বল প্রাণ হয়ে নয়,
হৃদয়ের সিংহগর্জনে তর্জন করব—
“স্বাধীনতা আমার! আমার! আমার!”

যে শক্তি বিবাহের পথ রুদ্ধ করে,
যে শক্তি রুজির দুয়ার বন্ধ রাখে
দাসত্বের প্রলোভনে—
তাদের উদ্দেশে আমার তপ্ত ঘোষণা—
আমার স্বাধীন আত্মা কারো পদতলে বিক্রি নয়!

হে পৃথিবী!
আমার ঘর না থাকুক,
আমার ভাত না থাকুক,
তবু আমার মৌলিক অধিকার—
আমার মাথার রাজমুকুট
অন্যের দাসত্বের শেকল হতে পারে না!

আমি বিদ্রোহী—
আমি আজও ঝড় তুলতে পারি
অন্তরের অগ্নিকুণ্ডে।
সংসারবিহীন জীবন আমার ত্যাগ—
কিন্তু দাসত্বহীন জীবনই
আমার বিজয়!

27/11/2025

ইসলাম, জ্ঞান ও মানবিকতার পুনর্জাগরণ: এক উদার মুসলিমের দৃষ্টিভঙ্গি

আমি একজন মুসলিম এবং ইসলামের প্রতি গভীর বিশ্বাস রাখি। কিন্তু আমি উদ্বিগ্ন—কারণ আমাদের সমাজে অনেক উগ্রপন্থী ও অতিরক্ষণশীল গোষ্ঠী ইসলামকে ভয়, বিভাজন ও জবরদস্তির মাধ্যমে প্রচার করছে। তারা ইসলামের মূল চেতনা বিকৃত করছে। আমার কাছে ইসলাম হলো জ্ঞানচর্চার, যুক্তির, বিজ্ঞান ও মানবিকতার ধর্ম।

১. ইসলাম জোরাজুরি বা ভয়ভীতি তৈরি করার ধর্ম নয়

কুরআনে বলা আছে:
“ধর্মে কোনো জবরদস্তি নেই।”

অর্থাৎ কেউ ইসলাম মানুক বা মানুক না, এটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। কোনো মানুষের ওপর ইসলামের নামে আক্রমণ, হুমকি বা দমন বৈধ নয়। উগ্রপন্থী দলগুলো ইসলামের এই নীতি উপেক্ষা করে ভয় ও বিভাজন সৃষ্টি করছে—যা ইসলামের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়।

২. প্রকৃত আলেম: বিজ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবকেরাই

আমি বিশ্বাস করি—আজকের যুগে প্রকৃত আলেমরা শুধু মোল্লা বা পুরাতন থিওরির মধ্যেই নেই। প্রকৃত আলেমরা হলো:

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর

গবেষক

উদ্ভাবক ও ইনোভেটর

তারা বিজ্ঞান, জ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাজকে আলোকিত করে। তারা নতুন ধারণা, সমাধান ও উন্নতি সৃষ্টি করে—এটাই ইসলামের প্রকৃত চেতনার সেবা।

তবে এই সম্প্রদায়েরও কিছু ঘাটতি আছে। কিন্তু এটা তাদের দোষ নয়। এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতিমালা, শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজের ভুল কারণে ঘটে। যথাযথ সহায়তা, শিক্ষা ও সুযোগ দিলে তারা আরও শক্তিশালী আলেম হতে পারে।

৩. উগ্র মোল্লা ও আলেম-ওলামা

বাংলাদেশে অনেক মোল্লা বা আলেম-ওলামা আছে, যারা প্রকৃত ইসলাম জানে না। তারা ইসলামের ছোট একটি অংশের উপর দৃষ্টি কেন্দ্র করে—ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রথা বা নীতিমালা—আর সেগুলো দিয়ে প্রচার করে।

আমি মনে করি, তাদের ইসলাম শুধু ১০% জানা; বাকি ৯০% ইসলামের জ্ঞান তারা জানে না। তারা ইসলামের পুরো পরিপ্রেক্ষিত, জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞান, মানবিকতা ও নৈতিকতার সঙ্গে পরিচিত নয়। ফলে তাদের প্রচারও অসম্পূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর।

৪. ইসলাম জ্ঞান, বিজ্ঞান ও মানবিকতার ধর্ম

ইসলাম কখনো অজ্ঞতার ধর্ম নয়। মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগে—

আল-খাওয়ারিজমি অ্যালগরিদম আবিষ্কার করেছিলেন,

ইবনে সিনা চিকিৎসাবিজ্ঞান ও দর্শনকে সমৃদ্ধ করেছিলেন,

আল-বিরুনী জ্যোতির্বিদ্যা ও পদার্থবিদ্যায় অবদান রেখেছিলেন।

এরা প্রকৃত আলেম। তারা সমাজকে আলোকিত করেছে। আজকের যুগেও, সফটওয়্যার, AI, গবেষণা, উদ্ভাবন—এসব ইসলামের সেবা।

উগ্রপন্থীরা যারা শুধুই ভীতি, জোরাজুরি ও সংকীর্ণ ধর্ম প্রচার করে—তাদের দ্বারা ইসলাম কখনো উন্নত হবে না।

৫. ইসলাম ও রাজনৈতিক দলভিত্তিক বিভাজন

বাংলাদেশে কেউ বিএনপি, কেউ আওয়ামীলীগ করে, কেউ জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল। ইসলাম এসব দলভিত্তিক বিভাজনকে সমর্থন করে না। কোনো রাজনৈতিক দল ইসলামের একচেটিয়া মালিক নয়।

যদি কেউ বলে “যারা আমার ব্যাখ্যা অনুসরণ করবে, তারাই ইসলামের পুনর্জাগরণ ঘটাবে”—এটি বিভাজন তৈরি করে। প্রকৃত ইসলামের জাগরণ হবে সমগ্র মুসলিম সমাজের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতির মাধ্যমে, কোনো ব্যক্তিগত তত্ত্ব বা দলীয় প্রভাবের মাধ্যমে নয়।

৬. দুনিয়া ও আখিরাত—ইসলামের ভারসাম্য

কিছু মোল্লা কেবল আখিরাতের কথা বলে, আবার কেউ কেবল দুনিয়ার দিকে মনোযোগ দেয়।
কুরআনে বলা আছে:
“হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও।”

ইসলাম ভারসাম্যের ধর্ম। দুনিয়ার জ্ঞান ছাড়া আখিরাতের প্রস্তুতি অসম্পূর্ণ।
শুধু আখিরাতের চিন্তাই মানুষের সমাজ ও প্রযুক্তিকে পিছিয়ে দেয়।

৭. উপসংহার: আমার উদার ইসলামের ধারণা

আমি এমন একটি ইসলামে বিশ্বাস করি—

যা উদার

যা মানবিক

যা স্বাধীন চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে মর্যাদা দেয়

যা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে সমর্থন করে

যা রাজনৈতিক বা দলীয় বিভাজনকে অগ্রাহ্য করে

যা ভয় ও জোরাজুরি নয়, বরং জ্ঞানের আলোয় সমাজকে আলোকিত করে

প্রকৃত ইসলামের জাগরণ হবে অজ্ঞতা, উগ্রবাদ ও সংকীর্ণ ব্যাখ্যা নয়।
প্রকৃত ইসলামের জাগরণ হবে জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞান, মানবিকতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে, যেখানে আলেমের সংজ্ঞা শুধু মোল্লা নয়—প্রতিটি চিন্তাশীল, জ্ঞানী ও উদ্ভাবক মানুষই আলেম।

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কিভাবে সম্ভব?

সর্বশেষ আমি মনে করি একটি পৃথক ইসলামিক দল নয় বরং বর্তমানে বাংলাদেশের নানা মতে নানা আদর্শের ইসলামিক দলগুলো এবং সেকুলার ও গণতান্ত্রিক সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি ইসলামিক দলই হতে পারে ইসলামের পুনর্জাগরণের সহজ রাস্তা.

এটাকে আমি মনে করি ছায়া ইসলামিক দল ( জাতীয় সরকার কনসেপ্টের মত)যে দলের ভিতর বাম রাজনীতি , গণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং তথাকথিত ইসলামিক রাজনীতিক দলগুলো সবকিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে

(গোপনীয়তার স্বার্থে অনেক কিছু লেখা সম্ভব হয়নি)

26/11/2025

বাম রাজনীতির ফসল : মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

কবিতা: উদার পথের পথিক (সম্পূর্ণ ও আবেগঘন সংস্করণ)

ছাত্রজীবনের উঠোনে, লাল মাটির ঘ্রাণে,
এক তরুণ দাঁড়িয়েছিল বাম রাজনীতির স্বপ্নে—
সমতার কথা, মানুষের অধিকারের গান,
সেই দিন থেকেই তার মনে জাগে ন্যায়ের আহ্বান।

সংস্কৃতি ছিল তার রক্তের স্রোত,
কবিতা আবৃত্তির সুরে বয়ে যেতো আলো—
শব্দের ভেতর ছড়িয়ে দিতেন উদারতা,
চেতনার ভেতর গড়তেন মননের নরম ভালোলাগা।

ভাঙা সমাজ গড়ার আহ্বান ছিল তার,
সত্যের প্রতি অনুগত, স্পষ্ট উচ্চারণধার;
যেখানে অন্যেরা ভয়ে সরে দাঁড়ায়,
তিনি সেখানে ন্যায়ের আলো তুলতেন সোজা হাতে।

রাজনীতির ঝড় যতই উঠুক পথের শেষে,
তার ভেতরের মানুষটি থাকত শান্ত, কোমল, দৃঢ়—
কারণ সে জানে:
বই, কবিতা, গান
এইগুলোই বদলে দেয় মানুষের গভীরতম হৃদয়।

কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে কোমল অধ্যায়—
তার ছোট্ট মেয়ে।
মেয়ের চোখে তিনি নাকি
এক নিরাপদ আশ্রয়, এক নরম পাহাড়;
মেয়ের হাসিতে তার ভিতরের কাব্য ঝরে পড়ে,
মেয়ের এক ডাকেই
দিনের সব ক্লান্তি হয়ে যায় বাতাসে উড়ে যাওয়া ধুলো।

বাবা তাকে উজাড় করে ভালোবাসেন—
মেয়ের হাত ধরলে তার হৃদয় নরম হয়ে যায়,
রাজনীতির কঠিনতার ভেতরেও
মেয়ের একটি শব্দ তার জীবনে এনে দেয়
সমস্ত মানবতার পুনর্জন্ম।

মেয়ে জানে—
তার বাবা শুধু রাজনীতিবিদ নয়,
তিনি একজন মানুষ, একজন কবিমন,
একজন উদার হৃদয়ের পথিক,
যিনি পৃথিবীর সকল কঠোরতা সত্ত্বেও
ভালোবাসা দিয়ে ধরেন পরিবারের হাত
আর আলোর পথ দেখান সমাজকে।

এভাবেই তিনি বয়ে চলেন—
সংস্কৃতিমন, সৎ, উদার,
মানুষ আর মূল্যবোধের বাতি হাতে নিয়ে।
আর তার সাথে জড়িয়ে থাকে
এক কন্যার স্নেহমাখা চোখের দীপ্তি—
যা তাকে প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয়:
মানুষ হওয়া,
ভালোবাসতে জানা,
তার সবচেয়ে বড় অর্জন

25/11/2025

আমি কাফের আমি ইসলাম বিরোধী?

আমি ইসলামবিরোধী নই।
বরং আমি সেই সব প্রবণতার বিরোধী, যা ইসলামের উদার, জ্ঞানভিত্তিক এবং মানবিক আত্মাকে সংকুচিত করে সংকীর্ণ ব্যাখ্যায় আবদ্ধ করে।
ইবন রুশদ বলেছিলেন—
“সত্য কখনোই যুক্তির সঙ্গে সংঘর্ষ করে না; কারণ উভয়ের উৎস এক।”
আমি এই নীতিতেই আস্থাশীল।

ইসলাম আমার কাছে কেবল আচার-অনুষ্ঠান নয়;
এটি একটি জ্ঞানতাত্ত্বিক, নৈতিক ও মানবিক সভ্যতা—
যা মানুষের মস্তিষ্ককে জাগিয়ে তোলে, হৃদয়কে প্রসারিত করে এবং তাকে দুনিয়া ও পরকালের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে শেখায়।

🌿 ইসলাম: মানবিকতা, মুক্তচিন্তা ও ন্যায়ের ধর্ম

আমি সেই ব্যাখ্যার বিরোধী—
যেখানে প্রশ্নকে নিষিদ্ধ করা হয়,
ভিন্নমতকে শত্রু ভাবা হয়,
ধর্মকে চাপিয়ে দেওয়া হয়,
এবং জবরদস্তি দিয়ে ঈমান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়।

ইবন খালদুন সতর্ক করেছিলেন—
“জুলুম সভ্যতার ভিত্তিকে নরম করে; আর অজ্ঞতা জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যায়।”
আমার বিরোধিতা সেই অজ্ঞতা ও জুলুমের বিরুদ্ধেই—ইসলামের বিরুদ্ধে নয়।

ইসলাম নৈতিকতার ধর্ম;
আর নৈতিকতা কখনোই জোরজবরদস্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় না।
কুরআনের প্রথম শব্দ—“ইকরা”—
যা নির্দেশ করে যে ইসলাম একটি জ্ঞান-প্রধান ধর্ম।

🌙 ইসলামে দুনিয়া ও পরকালের সমন্বয়

আমি বিশ্বাস করি—
ইসলামে দুনিয়ার ভূমিকা অবহেলার নয়;
বরং দুনিয়াই সেই বিশাল পরীক্ষাগার,
যেখানে মানুষ তার নৈতিকতা, জ্ঞান ও মানবিকতাকে বাস্তবে প্রকাশ করে।

পরকাল লক্ষ্য হতে পারে,
কিন্তু দুনিয়া সেই লক্ষ্য অর্জনের দায়িত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

🟫 জ্ঞানতত্ত্ব ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ইসলামের পুনর্জাগরণ: “আলেম” নয়, প্রকৃত আলোকিত চিন্তাবিদ ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারই ইসলামের ধারক

আমি বিশ্বাস করি—
আজকের যুগে ইসলামের প্রকৃত শক্তি নিহিত আছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অ্যালগরিদম, গণিত, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার মধ্যে।

আমাদের ইতিহাস বলে—
ইসলামের স্বর্ণযুগ সৃষ্টি করেছিলেন:

আল-খোয়ারিজমি → অ্যালগরিদমের জনক

ইবন সিনা → চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক

ইবন আল-হাইথাম → পদার্থবিজ্ঞানের আলো-তত্ত্বের জনক

আল-বিরুনি → পৃথিবীর পরিমাপকারী

ইবন রুশদ → যুক্তিবাদ ও দর্শনের আলোকস্তম্ভ

তারা কেউই “মোল্লা” ছিলেন না—
তারা ছিলেন বিজ্ঞানী, দার্শনিক, গণিতবিদ, প্রযুক্তিবিদ—আজকের ভাষায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক ও ইনোভেটর।

আজ কিছু উগ্র প্রবণতা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংকে ইসলামবিরোধী মনে করে।
এটি ইসলামের নয়—
এটি অজ্ঞতার ব্যাখ্যা।

আমার মতে—
একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, যিনি অ্যালগরিদম তৈরি করেন, সমস্যার সমাধান করেন, প্রযুক্তি নির্মাণ করেন—তিনি আধুনিক আলেম।
কারণ তার জ্ঞান মানবতার সেবা করে,
এবং সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

উগ্রপন্থীরা ইসলামকে সংকুচিত করে;
কিন্তু প্রযুক্তিবিদ, চিন্তাবিদ ও বিজ্ঞানীরা ইসলামকে প্রসারিত করেন।
ইসলামের প্রকৃত পুনর্জাগরণ ঘটবে তখনই,
যখন তরুণরা বুঝবে—
কোড লেখা, প্রযুক্তি তৈরি করা, অ্যালগরিদম ডিজাইন করা—এগুলোই আধুনিক যুগে ইবাদতের রূপ, যদি তা মানবকল্যাণে ব্যবহৃত হয়।

🕊️ সংক্ষেপে আমার অবস্থান

আমি ইসলামবিরোধী নই।
আমি সেই ইসলামকেই ধারণ করি—
যেটি জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল,
যেটি মানবমর্যাদাকে স্বীকৃতি দেয়,
যেটি দুনিয়া ও পরকালের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে,
যেটি অতীতের বিজ্ঞান-সভ্যতার ধারা বহন করে,
এবং যেটি উগ্রতা, জবরদস্তি ও অজ্ঞতার বিরোধিতা করে।

আমার ইসলাম—
লিবারেল, যুক্তিনিষ্ঠ, মানবিক, প্রযুক্তিবান্ধব এবং বৌদ্ধিক স্বাধীনতার ওপর নির্মিত।
আমি সেই ইসলামেই বিশ্বাসী।

24/11/2025

বিশ কোটি জনগণের মালিক কে?

বাংলাদেশের জনগণের মালিক বাংলাদেশের সরকার কোন রাজনৈতিক দল জনগণের মালিক নয়

সাধারণ একটি সূত্রের মাধ্যমে এই বিশ কোটি জনগণকে সরকারপন্থী বানানো সম্ভব
সারমর্ম :
উগ্রপন্থীরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে

21/11/2025

ভরসার স্থল কি?
ফখরুল ইসলাম বাংলাবাজার থেকে এসে বসুরহাট বাজারে বাসা তৈরি করছে
একইভাবে বসুরহাট বাজারের বিএনপি নেতা কর্মীদের ভরসা জায়গা হয়ে উঠতে হলে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকেও বসুরহাট বাজারে একটা বাসা তৈরি করা উচিত

21/11/2025

বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ কি যোগ্য প্রার্থী:

ফখরুল ইসলামের পরিবর্তে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে দেওয়াই উত্তম হবে আর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য ফখরুলের গ্রুপের বিএনপির বড় বড় নেতাদের বিশেষ প্রণোদনমূলক প্যাকেজ প্রস্তাব দিতে পারেন
এতে করে উগ্রবাদীদের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ধুলাই মিশে যাবে এবং এবং উগ্রবাদীদের যুগের পর যুগ বসুরহাট বাজার দখলের অবসান ঘটবে

এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের অর্থনৈতিকভাবে পারিবারিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পঙ্গু করে দিয়ে শ্রমিক বানিয়ে রাখার উগ্রবাদীদের যুগের পর যুগ যে ন্যাক্করজনক প্রকল্প সেটারও সমাপ্তি হবে

আর বসুরহাট বাজারে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার আগেই গর্ভের ভিতরে মেরে ফেলার উগ্রবাদীদের অন্ধকার যুগের ষড়যন্ত্রের ও সমাপ্তি হবে

21/11/2025

বিকল্প পরিকল্পনা: পর্তুগাল চলে যাব তারপরেও গোলামীর জিঞ্জিরা গলায় পড়বো না

একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গত আট বছর ধরে আমি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে থাকাকালীন আমার বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারা গোপনে পুরো কোম্পানীগঞ্জ জুড়ে এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে যে আমি নাকি কোনো জঙ্গি সংগঠনের বড় নেতা। একই সঙ্গে একই ধর্মভিত্তিক দলের কিছু ব্যক্তি আবার অন্য মহলে আমাকে শিবিরের বড় নেতা হিসেবে প্রচার করেছে, যাতে করে আমার সামাজিক অবস্থান, নিরাপত্তা এবং মানসিক স্থিতি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা যায়। শুধু বাইরেই নয়—কৌশলে আমার পরিবারের সদস্যদের প্রভাবিত করে তারা বাসার ভিতরেও এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে আমি মানসিক নির্যাতনের মধ্যেই জীবনযাপন করছি। আগামী মাস থেকে আমি ঢাকায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে যদি ঢাকাতেও তাদের এই ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার এবং মানসিক নির্যাতন অব্যাহত থাকে, তাহলে আমি বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে পর্তুগাল চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, যেন নিজেকে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশে পুনর্গঠন করতে পারি।

20/11/2025
স্থিতিশীল রাষ্ট্রই সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি: ..............................বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য তিনটি মৌলিক সমস্যার স...
20/11/2025

স্থিতিশীল রাষ্ট্রই সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি: ..............................
বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য তিনটি মৌলিক সমস্যার সমাধান জরুরি

স্বাধীনতার আগেও এই ভূখণ্ডে কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না। স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল—একটি শান্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও উন্নত রাষ্ট্র। কিন্তু আজ ৫০–৬০ বছর পরেও সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
তবে ইতিবাচক দিক হলো—২৪ শের জুলাই আন্দোলনের পর বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উত্তরণের পথে হাঁটছে।
এই পথে স্থায়ী অগ্রগতি নিশ্চিত করতে এখনই প্রয়োজন দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।

আমি মনে করি, বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য তিনটি মূল সমস্যার সমাধান অপরিহার্য:

১️⃣ রাজনৈতিক দলগুলোর অস্থিতিশীলতা ও দুর্বল সংগঠন কাঠামো

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো দলের ভেতরের গণতন্ত্র, নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা, নীতি নির্ধারণ—এসব বিষয়ে স্থিতিশীলতা নেই।
একটি দেশ তখনই শক্তিশালী হয় যখন তার রাজনৈতিক দলগুলো সু-সংগঠিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নীতি-ভিত্তিক হয়।
এটি জাতীয় স্থিতিশীলতার প্রথম শর্ত।

২️⃣ ইসলামের অভ্যন্তরীণ বিভাজন—বিভিন্ন আদর্শ, গ্রুপ ও উপগ্রুপের সংঘাত

বাংলাদেশে ইসলামের ভেতর নানা আদর্শ, মত ও দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে:
– কাদিয়ানী
– জামা’আত
– মওদুদীবাদী ধারা
– চরমোনাই ভিত্তিক মুরিদী অনুসারী গ্রুপ
– বিভিন্ন পীর-মুরিদ কেন্দ্রিক সেকশন
– অসংখ্য ছোট-বড় উপগ্রুপ

এই বিভিন্ন মতভেদের ভুল ব্যবস্থাপনা কখনো কখনো সামাজিক-রাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দেয়।
এই অংশটিকে কৌশলগতভাবে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়ের জন্য একটি বিশেষ ফর্মুলা প্রয়োজন, যার ব্যাখ্যা আমি এখানে দিচ্ছি না—কারণ বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গোপনীয়তা আবশ্যক।

৩️⃣ শিক্ষাব্যবস্থায় জাতীয় মানবসম্পদ তৈরি না হওয়া

শিশুশিক্ষা (কিন্ডারগার্টেন) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
একটি জাতি তখনই স্থিতিশীল হয় যখন তার তরুণরা জ্ঞান, চরিত্র, দক্ষতা ও বৈশ্বিক সক্ষমতায় এগিয়ে থাকে।

আমার কাছে একটি গোপন মডেল রয়েছে যার মাধ্যমে দেশের ছাত্রছাত্রীদের—দেশে এবং বিদেশে—অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব, এবং এর জন্য ট্রিলিয়ন টাকার মতো বিশাল অর্থের প্রয়োজন নেই।
আমি এই অংশের কার্যপ্রণালী এখানে প্রকাশ করছি না, কারণ এর জন্য উচ্চস্তরের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন।

আমি কেন এই বিষয়ে কথা বলছি

আমি প্রায় ২৫ বছর একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্রমূলক কেন্দ্রীয় অপারেশনের ভেতর আটকে ছিলাম।
নিজ অভিজ্ঞতা থেকে আমি খুব ভালোভাবে জানি—
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূল কোথায়, এবং তা কীভাবে সমাধান করা যায়।

আমি চাই—যারা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী, সে টিমে আমি একজন সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাই
আমার লক্ষ্য একটাই—
একটি শান্তিময়, স্থিতিশীল এবং বৈশ্বিক মানের বাংলাদেশ।

Address

Step Footwear Ltd , Basurhat Bongabandu Chattar
Companiganj
3850

Telephone

+8801731674571

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Basurhat press club Noakhali. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Basurhat press club Noakhali.:

Share