26/01/2025
রাজনীতির সবচে অপ্রিয় মানুষটিকে ভালবাসি। মির্জা ফখরুল, দ্যা পাওয়ারফুল।
বিএনপির রাজনীতির সবচে পরিচ্ছন্ন পুরুষ ভারতীয় সহানুভূতিশীল বা ভারতপন্থি হিসেবে চিত্রায়নের কোন চেষ্টা হলে আমি একাই লড়ে যাব, কারণ আমি মির্জাকে চিনি ২০০৮ সাল থেকে। আমি বিএনপি করি না, তবে বাংলাদেশের একমাত্র মধ্যপন্থার লেজেটিমেট দল, বিএনপি কে যিনি মাঠে থেকে ধরে রেখেছেন স্বৈরাচারকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে গত ১৭ বছর , তার/তাদের পাশে থাকাটাই বড় নৈতিক অবস্থান মনে করি।আমি নিরপেক্ষ নোই কোনও কালেই ছিলাম না। নিরপেক্ষ থাকলে হাসিনার বিপক্ষে দেড় দশক ধরে কথা বলতাম না। আমি গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের পক্ষে।
এক সময় আওয়ামীলীগে ভাঁড় বুদ্ধিজীবীরা বলত , বিএনপি মুসলিম লিগ হয়ে বিলীন হয়ে যাবে। মির্জা ফকরুলদের কারণে বিএনপি এখনও সদর্পে রাজত্ব করছে মানুষের মনজগতে। দলের মহাসচিব আসবে যাবে এটা নতুন বিষয় নয়, কিন্তু আপদ্মস্তক বাংলাদেশি একজন কে ভারত প্রেমী হিসেবে চিত্রায়িত করার যে কোন হীন চেষ্টা করার আগে মির্জা সাহেব সম্পর্কে উপাত্ত গুলো মাথায় রাখবেন দয়া করে।
- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একমাত্র নেতা যিনি ২০১৮ সালে জনগণের ভোটে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরেও পাতানো সংসদে যাননি
- উনি সেই রাজনিতিক যিনি বাবার জমি বিক্রি করে রাজনীতি করেন। যার বিরুদ্ধে ১/১১ সরকার তন্নতন্ন করে খুঁজেও এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি অথচ তিনি বিএনপি সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন।
- উনি সেই রাজনিতিক যিনি দলের ক্রান্তিলগ্নে দলের হাল ধরে দলকে ভাঙ্গনের মুখে পড়তে দেননি, অথচ মান্নান ভূইয়ারা অল্প দিনের মধ্যে নেত্রীকে মাইনাস করে আরেকটা বিএনপি সৃষ্টি করেতে চেয়েছিলেন।
- উনি সেই রাজনিতিক যার বিরুদ্ধে একটা কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ আনতে পারবেন না।
- উনি সেই রাজনিতিক যিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় ১১ বার জেলে গিয়েছেন। উনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দেয়া হয়েছিলো, শত প্রলোভনে সরকার সর্বশেষ আমি-ডামির নির্বাচনে উনাকে রাজি করাতে পারেনি,
নতুন বিপ্লবীরা /ইমপ্ল্যান্ট বিএনপি ভেগ ধরে থাকা জামাতিরা , উনাকে কথায় কথায় ক্ষমতা লোভী বলে, উনি নির্বাচনের কথা বললে সহ্য হয় না, খুব সহজে দালাল তকমা দিয়ে দেয়া হয়, একবার ভাবুন তো এসব কথা যে বলেন বিগত ১৭-১৮ বছরে কি এমন ত্যাগ করেছেন আপনি? কয়টা মামলার আসামি হয়েছেন? কত বার জেলে গিয়েছেন? এতগুলো মামলা এতবার জেল জুলুমের শিকার হলে কোন দেশে পাড়ি দিতেন জানা আছে কি? অথচ উনি উনার পড়ন্ত বয়সে এসেও জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করে অবিচল দাঁড়িয়ে আছেন।
অপ্রিয় মির্জা ফকরুলের পাশে থাকাই , বাংলাদেশের পক্ষে থাকা।
হিসাব পরিষ্কার। আমরা আগামী দিনে বাংলাদেশে মধ্যপন্থার সরকার চাই , মির্জা ফকরুলরা আমাদের হয়েই মাঠে যুদ্ধ করছেন, প্রতিনিয়ত অপ্রিয় কথা গুলি বলে যাচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল, দ্যা পাওয়ারফুল।