25/09/2025
কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি রক্ষায় কঠোর অবস্থান: IWBC-এর প্রেস রিলিজ!
জনস্বার্থ কণ্ঠ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, কক্সবাজার
ইন্টেলিজেন্ট হুইসেলব্লোয়ার কোয়ালিশন (IWBC) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ECA) রক্ষায় কঠোর অবস্থান জানিয়েছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয়–আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হুইসেলব্লোয়ার এম কে জিসাদুল হক তানিম এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছেন।
১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজার–টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ECA) ঘোষণা করে।
২০১৬ সালের ECA ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুযায়ী সৈকতের বালিয়াড়িতে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পরে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট ৩০০ মিটার এলাকা পর্যন্ত “No Development Zone” ঘোষণা করে।
সর্বশেষ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও লাইসেন্স বাতিলের সরকারি আদেশ জারি করেছে।
IWBC-এর আনুষ্ঠানিক অবস্থান
প্রেস রিলিজে IWBC জানায়—
সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকান বা হোটেল স্থাপন সরাসরি আইন ও আদালতের রায়ের পরিপন্থী।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মতামত ছাড়াই লাইসেন্স প্রদান প্রশাসনিক দুর্নীতির শামিল।
প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস জনগণের মৌলিক অধিকার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি অন্যায়।
সংগঠনটির দাবি, “দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি, অন্যথায় পরিবেশ ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
IWBC তিনটি মূল পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়েছে—
সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ।
দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো স্থাপনা বা লাইসেন্স প্রদান সম্পূর্ণ বন্ধ।
সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবাদী সংগঠন ও গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা ও আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থা (UNEP, UNCACC, Human Rights Council) এ পাঠানো হবে যাতে বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি হয়।
প্রতিষ্ঠাতা এম কে জিসাদুল হক তানিম বলেন—
“কক্সবাজার সৈকত রক্ষা শুধু পরিবেশগত দায়িত্ব নয়, এটি মানবাধিকার ও দুর্নীতি প্রতিরোধের সংগ্রাম।”
IWBC জানিয়েছে, তারা এই ইস্যুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে জনস্বার্থ মামলা, গণমাধ্যম প্রচারণা, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং এবং হুইসেলব্লোয়ার সুরক্ষা কাঠামোর মাধ্যমে।