08/09/2025
দুর্গা পূজায় মাতলামি মানে
অসুরকে আমন্ত্রণ,দেবীকে নয়!!!
সনাতন ধর্মে মানুষের শরীরকে বলা হয়েছে “দেবালয়”
গীতা, বেদ, উপনিষদ সর্বত্রই দেহকে আত্মার আসন রূপে বর্ণনা করা হয়েছে।
যখন দেহ মদ ও নেশায় কলুষিত হয়, তখন মন ও আত্মাও অন্ধকারে ডুবে যায়।
🌺 দুর্গাপূজা ও কালীপূজা শুধুমাত্র আনন্দ নয়,
এটি আধ্যাত্মিক শুদ্ধি ও ভক্তির মহোৎসব।
দেবীর আরাধনা মানে অসুরশক্তির দমন ও সত্ত্বশক্তির জাগরণ। মদ ও নেশা সেই অসুরশক্তিরই প্রতীক, যা পূজার পবিত্রতাকে ধ্বংস করে।দেবীর প্রসাদ, ভোগ ও আরতি আমাদের মনে শুদ্ধি আনে; সেখানে নেশার মতো কলুষ বস্তু একেবারেই অশাস্ত্রীয়।
তাহলে প্রশ্ন হলো—
যেখানে মা দুর্গাকে আহ্বান করা হয় শক্তি, জ্ঞান ও কল্যাণের প্রতীক হিসেবে,
যেখানে মা কালীকে আহ্বান করা হয় অজ্ঞতার অন্ধকার নাশকারিণী শক্তি হিসেবে,
সেই পূজার সময় মদ্যপান করলে পূজার মূল উদ্দেশ্যই কি ধ্বংস হবে না?
📜 শাস্ত্রের স্পষ্ট বাণী
🔴 অথর্ব বেদ (৬.৭০.১): “মদ্যপান অজ্ঞতা, হিংসা ও পাপের পথ খুলে দেয়।”
🔴 মনুস্মৃতি (৯.২২৫): “মদ্যপান গুরুতর অপরাধ।”
🔴 মহাভারত (সভার পর্ব): দ্রৌপদী বলেছেন— “মদ মানুষের বিবেক নষ্ট করে, আর বিবেকহীন মানুষ পশুর চেয়েও অধম।”
🔴 নিরুক্ত (৬/২৭/১০): “সুবর্ণচুরি, গুরুপত্নীগমন, ব্রাহ্মণবধ, গর্ভনাশ, মদ্যপান, বারবার পাপকর্ম ও পাপকথন—এই সাতটি মহাপাপ।”
🔴ঋগ্বেদ (৮/২/১২)
“যে সুরা পান করে, সে নিজের শক্তি ও বুদ্ধি হারায়।”
👉 শুধু মদ্যপান নয়, বরং মদ্যপায়ীর সঙ্গে মেলামেশাকেও শাস্ত্রে নিষিদ্ধ বলা হয়েছে (ছান্দোগ্য উপনিষদ ৫/১০/৯; ঋগ্বেদ ৮/২১/১৪)।
এই থেকে বোঝা যায় যে—
“হিন্দু ধর্মে তো পূজায় মদ্যপান বৈধ”
এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।
এবং পূজার নামে মাতলামি একেবারেই অশাস্ত্রীয়।
সনাতন ধর্ম মানুষকে মুক্তি, আনন্দ ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে।মদ ও নেশা সেই পথে অন্তরায়, অন্ধকারের গহ্বর।
দুর্গাপূজায় মাতলামি, অশ্লীলতা কিংবা কালীপূজায় নেশার নামে উল্লাস —
এগুলো ভক্তি নয়, মহাপাপ।নেশা মানুষের শক্তি নষ্ট করে, আত্মাকে কলুষিত করে, সমাজকে বিপথে ঠেলে দেয়।আর ভক্তির নামে নেশা মানে দেবীর অবমাননা।
✨ স্মরণ রাখুন—
আত্মসংযমই প্রকৃত শক্তি,আর নেশা সেই শক্তিকে ধ্বংস করে।
তাই আসুন, প্রতিজ্ঞা করি—
🔴 নেশা নয়, ভক্তির আনন্দ আস্বাদন করব।
🔴 মদ নয়, মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করব।
🔴 অসুর নয়, সত্ত্বশক্তির জাগরণ ঘটাব।