Beraj Devotional Vlogs-বিরাজ ভক্তিমূলক ব্লগ

Beraj Devotional Vlogs-বিরাজ ভক্তিমূলক ব্লগ 🙏🏻হরে কৃষ্ণ🙏🏻
আমাদের ধর্মীয় পোস্ট ভালো লাগলে লাইক বাটনে ক্লিক করেন এবং পোস্টে লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকবেন🙏🏻

👉 আসুন আমরা জানি মৃত্যুর পর মানুষের কি হয়?  #হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মানুষের মৃত্যুর পর শরীর ও আত্মার পথ আলাদা হয়ে যা...
13/08/2025

👉 আসুন আমরা জানি মৃত্যুর পর মানুষের কি হয়?
#হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মানুষের মৃত্যুর পর শরীর ও আত্মার পথ আলাদা হয়ে যায়।

১. শরীরেররা্থারাধ সঙ্গে সঙ্গে দেহ জড় পদার্থে পরিণত হয়—পঞ্চভূতে (মাটি, জল, আগুন, বায়ু, আকাশ) মিলিয়ে যায়। গীতায় (২.২২) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন—
> যেমন মানুষ পুরোনো কাপড় ত্যাগ করে নতুন কাপড় পরে, তেমনি আত্মা পুরোনো দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ গ্রহণ করে।
২. আত্মার যাত্রা
আত্মা কখনো মরে না, কেবল দেহ ত্যাগ করে। মৃত্যুর পরে আত্মা তার কর্মফল ও সংস্কার অনুযায়ী পরবর্তী গন্তব্যে যায়।
সৎকর্ম বেশি থাকলে — দেবলোক বা উচ্চতর জন্মলাভ। পাপকর্ম বেশি থাকলে — নরক বা দুঃখজনক জন্মলাভ। ভক্তি ও ঈশ্বরস্মরণে মৃত্যু হলে — মুক্তি পেয়ে ভগবানের ধামে প্রবেশ।

৩. যমদূত ও যাত্রা
গারুড় পুরাণে বর্ণিত আছে— মৃত্যুর পরে যমদূত আত্মাকে নিয়ে যমপুরীতে যান, সেখানে কর্মফল নির্ধারণ হয়। তবে ভগবান নামস্মরণে মৃত্যুবরণ করলে বিষ্ণুদূত এসে ভক্তকে নিয়ে যান, যমদূতের কোনো অধিকার থাকে না।
৪. নতুন জন্ম বা মুক্তি
যদি কর্মফল শেষ না হয়, আত্মা আবার জন্ম নিয়ে জীবনের চক্রে প্রবেশ করে (পুনর্জন্ম)। যদি ঈশ্বরচরণে আত্মা সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে, তবে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পেয়ে মোক্ষ লাভ হয়। মৃত্যু-পরবর্তী আত্মার যাত্রা গারুড় পুরাণ ও ভাগবত অনুসারে দিনভিত্তিক সম্পূর্ণ বি— মৃত্যুর পর প্রথম দিন থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত কী কী ঘটে।
গারুড় পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবতের ভিত্তিতে মানুষের মৃত্যুর পর আত্মার প্রথম ১৩ দিনের যাত্রা বিস্তারিত ।
এটি মূলত হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা।
_____________________
#মৃত্যুর পর ১৩ দিনের আত্মার যাত্রা

১ম দিন: (মৃত্যুর মুহূর্ত)

মৃত্যুর সাথে সাথে আত্মা দেহ ত্যাগ করে। যারা ভক্ত, তারা নামস্মরণে থাকলে বিষ্ণুদূত এসে নিয়ে যান সাধারণ মানুষ বা যারা ভগবানের চেতনায় নেই, তাদের আত্মা প্রায়শই বিভ্রান্ত ও হতবাক অবস্থায় থাকে।যমদূত আত্মাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন (যদি পাপকর্ম থাকে)।

২য়–৩য় দিন :
আত্মা তার চারপাশ দেখে, প্রিয়জনদের কান্না শুনতে পায় কিন্তু কিছুই বলতে বা স্পর্শ করতে পারে না।
আত্মা তখনও বুঝতে চেষ্টা করে যে সে শরীর ছেড়ে গেছে। বাড়িতে শাস্ত্র অনুযায়ী শৌচ পালন হয়।

৪র্থ দিন :

গারুড় পুরাণে বলা হয়েছে—এই সময় আত্মাকে এক বিশেষ সূক্ষ্ম দেহ (যাত্রাদেহ) দেওয়া হয়।
সে যমপুরীর পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়। যাত্রা শুরুর আগে আত্মা তার আগের জীবনের কাজগুলো স্মরণ করে।
৫ম–৯ম দিন :

আত্মার সামনে যমপুরীর পথে নদী, অরণ্য, পাহাড়, কণ্টকাকীর্ণ পথ আসে। ভালো কর্ম করলে পথ সহজ হয়, পাপ করলে পথ কষ্টকর হয়। আত্মার জন্য বাড়িতে প্রতিদিন পিণ্ডদান ও জলদান করলে পথের কষ্ট কমে।

১০ম দিন

আত্মা যমপুরীর নিকটে পৌঁছায়।
বাড়িতে এই দিনে দশক্রিয়া হয় — শাস্ত্র মতে, দেহের অবশিষ্ট সূক্ষ্ম সম্পর্ক ছিন্ন হয়।

১১তম–১২তম দিন :

আত্মাকে যমরাজের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিত্রগুপ্ত তার কর্মফল লিপি পাঠ করেন।
সৎকর্ম, পাপকর্ম ও ভক্তি অনুসারে পরবর্তী গন্তব্য নির্ধারণ হয় —দেবলোক নরক পুনর্জন্ম বা মুক্তি।

১৩তম দিন :
গৃহে শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদান হয়।
এটি আত্মার জন্য শেষ বিদায় ও পথের আশীর্বাদ।

এর পর আত্মা নির্ধারিত স্থানে চলে যায়।
ভক্ত আত্মা সরাসরি ভগবানের ধামে পৌঁছে যায়।
💡 বিশেষ কথা:
গরুড় পুরাণ বলছে, মৃত্যুর পর প্রথম ১৩ দিন আত্মার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ — কারণ তখন পরিবার যদি নামকীর্তন, ভগবৎ স্মরণ, গীতা পাঠ, ও পিণ্ডদান করে, আত্মার যাত্রা শান্ত ও কল্যাণময় হয়।

👉 আসুন আজকে জানবো বিশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য   👇❌মনসার পূজায় কি পশুবলি বৈধ⁉️❌ইন্দ্র কি মনসা পূজায় পশুবলি দিয়েছিলেন⁉️ 💠...
13/08/2025

👉 আসুন আজকে জানবো বিশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
👇
❌মনসার পূজায় কি পশুবলি বৈধ⁉️
❌ইন্দ্র কি মনসা পূজায় পশুবলি দিয়েছিলেন⁉️
💠অপযুক্তি খন্ডন - ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ ও দেবীভাগবতম সমীক্ষা💠

❇️ মনসা দেবী সম্পর্কে সনাতন ধর্মের তিনটি প্রধান শাস্ত্র, যথা- মহাভারতের আদিপর্ব, শ্রীব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের প্রকৃতিখন্ড ও দেবীভাগবত পুরাণের ৯ম স্কন্ধে আলোকপাত করা হলেও এই তিন শাস্ত্রের কোথাও মনসা পূজায় পশুবলি ন্যূনতম উল্লেখ পাওয়া যায় না। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কিছু অপপ্রচারক নিজেদের অন্ধবুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে হঠকারিতা করার নিমিত্তে এই সমস্ত শাস্ত্র হতে দাবি করেন মনসা পূজা নাকি পশুবলির বিধান আছে!!

❇️ আসুন এ সমস্ত অপপ্রচারকগণের অপযুক্তিসমূহের খন্ডন দেখে নিই!!

---------🥱অপপ্রচারকগণের দাবিঃ🥱--------
শাস্ত্রের পূর্বাপর বাক্য গোপণ করে অপপ্রচারকগণ মূল শাস্ত্রের মাঝখান থেকে হুট করে যে সমস্ত শ্লোক তুলে এনে দাবী করে মনসা পূজায় পশুবলি প্রযোজ্য সে সমস্ত শ্লোক হলো-

নত্বা ষোড়শোপচারং বলিঞ্চ তৎপ্রিয়ং তদা।
প্রদদৌ পরিতুষ্টশ্চ ব্রহ্মাবিষ্ণুশিবাজ্ঞয়া।।
[শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ,প্রকৃতিখন্ড, ৪৬।১১৭; দেবীভাগবত ৯।৪৮।১১৪]
অনুবাদঃ
ব্রহ্মা বিষ্ণু ও শিবের আজ্ঞায় দেবেন্দ্র কর্তৃক মনসাদেবী ষোড়শোপচারে পূজিতা হইলে দেবরাজ তাহার প্রিয় বলি প্রদান করিলেন।

পঞ্চম্যাং মনসাখ্যায়াং দেব্যৈ দদ্যাচ্চ যো বলিম্।
ধনবান্ পুত্রবাংশ্চৈব কীর্তিমান্ স ভবেদ্ ধ্রুবম্।।
[ শ্রীব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,প্রকৃতি খণ্ড,৪৬।৯ ; দেবীভাগবত ৯।৪৮।৯ ]
অনুবাদঃ
পঞ্চমী তিথিতে দেবী মনসাকে যে ব্যক্তি বলি প্রদান করে, সে ধনবান, কীর্তিমান এবং পুত্রবান হয়।


------------❤️অপযুক্তির খন্ডনঃ❤️-----------

প্রথমত অপপ্রচারকগণের দাবীকৃত শ্লোক দুটিতে কেবল 'বলি' শব্দের উল্লেখ আছে, কিন্তু কোথাও 'পশুবলি' শব্দের উল্লেখ নেই। এ সমস্ত অন্ধবুদ্ধি সম্পন্ন অপপ্রচারকগণ 'বলি' শব্দটি দেখলেই ভেবে বসেন সেখানে 'পশুবলি'-র কথা বলা হচ্ছে! কি হাস্যকর!!

দাবীকৃত শ্লোক দুটিতে 'বলি' শব্দ দ্বারা আসলে পশুবলিকে নির্দেশ করা হয়েছে নাকি সাত্ত্বিকী বলি তথা বিষ্ণুপ্রসাদ নিবেদন করার কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে নিম্নে ক্রমান্বয়ে আলোচনা করা হলো-

🔰 বিশ্লেষণের সুবিধার্থে শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ ও দেবীভাগবত থেকে মনসা দেবী কি পরিচয় তা দেখে নেওয়া যাক-

🔴আত্মারামাচ সা দেবী বৈষ্ণবী সিদ্ধ যোগিনী।
ত্রিযুগঞ্চ তপস্তপ্ত্বা কৃষ্ণস্য পরমাত্মনঃ ॥
[শ্রীব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,প্রকৃতি খণ্ড, ৪৫/৪ ও দেবীভাগবত ৯/৪৭/৪]

➡️অনুবাদঃ
মনসা দেবী আত্মারামা ও 'বৈষ্ণবী' নামে বিখ্যাত আছেন। তিনি যুগত্রয় পরমাত্মা কৃষ্ণের প্রীতিকামনায় তপস্যা করিয়া সিদ্ধযোগিনী হন।

🔴শুদ্ধসত্ত্বস্বরূপা ত্বং কোপহিংসাবিবর্জিতা।
ন চ শপ্তো মুনিস্তেন ত্যক্তয়া চ ত্বয়া যতঃ ।।
ত্বং ময়া পূজিতা সাধ্বি জননী চ যথাদিতিঃ ।
[ শ্রীব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,প্রকৃতি খণ্ড,৪৬।৩০ এবং দেবীভাগবত ৯।৪৮।৩০ ]

➡️অনুবাদঃ
দেবরাজ ইন্দ্র স্তুতি করলেন, " মনসা! তুমি শুদ্ধসত্ত্ব স্বরূপা ও হিংসা ক্রোধ বিবর্জিতা। যখন তুমি স্বীয় পতি জরৎকারু কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়াও সেই মুনিবকে শাপ প্রদান কর নাই, তখন তোমার ন্যায় শমগুণ সম্পন্না সাধ্বী আর কে আছে? হে দেবি ! আমার জননী অদিতির ন্যায় তুমি যে আমার পূজ্য হইয়াছ তাহার কিছুমাত্র সন্দেহ নাই।"

🔰এখানে স্পষ্টত মনসা দেবী একজন বৈষ্ণবী দেবী এবং তিনি শুদ্ধসত্ত্বস্বভাব এবং হিংসাবর্জিতা দেবী। একইভাবে শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের প্রকৃতিখন্ডের ১।৬৯, ৪৫।৯, ৪৫।১৫ ইত্যাদি শ্লোকে এবং দেবীভাগবতমের ৯।১।৭৪, ৯।৪৭।৯, ৯।৪৭।১৫ আদি শ্লোকেও মনসাদেবীকে বারংবার বৈষ্ণবীদেবী, বিষ্ণুভক্তা, বিষ্ণুপূজাপরায়না ইত্যাদি নামে স্তুতি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একজন শুদ্ধসত্ত্বস্বভাব হিংসাবর্জিতা বৈষ্ণবীদেবীর পূজায় রক্তরঞ্জিত পশুবলির কোন প্রকরণই থাকতে পারেনা। তাই আলোচিত শাস্ত্রে অর্থাৎ শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে স্পষ্টভাবে বৈষ্ণবীদেবীর পূজা যে পশুবলি ব্যতীত হবে তা বলা আছে –

🔴উৎসর্গকৰ্ত্তা দাতা চ ছেত্তা পোষ্টা চ রক্ষকঃ।
অগ্রপশ্চান্নিবদ্ধা চ সপ্তৈ তে বধভাগিনঃ ॥
যো যং হন্তি সতং হন্তি চেতি বেদোক্ত মেবচ।
কুৰ্ব্বস্তি বৈষ্ণবী পূজাং বৈষ্ণবাস্তেন হেতুনা ॥
[ শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, প্রকৃতিখন্ড, ৬৫।১১,১২ ]

➡️অনুবাদঃ
"উৎসর্গকর্তা, দাতা, ছেত্তা, পোষক, রক্ষক ও অগ্রপশ্চাৎ নিবন্ধা এই সপ্তজন পশুবলির বধভাগী বলিয়া নির্দিষ্ট আছে। বেদে নির্দিষ্ট আছে, যে যাহাকে বিনাশ করে সে তাহার হন্তা(হত্যাকারী) হয়। এইজন্য বৈষ্ণব মহাত্মারা বৈষ্ণবী দেবীর সাত্ত্বিকী পূজা করিয়া থাকেন।"

🔰এখন কেউ যদি এ শাস্ত্রবিধি পরিত্যাগ করে বৈষ্ণবীদেবীর পূজায় পশু বলি দেয় তবে অবশ্যই ভীষণ পাপের ভাগী হতে হবে -একথাও উক্ত শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে -

🔴"বলিদানেন.. হিংসাজন্যঞ্চ পাপঞ্চ লভতে নাত্রসংশয়ঃ॥"
[ শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, প্রকৃতিখন্ড, ৬৫।১০ ]
➡️অনুবাদঃ
পশুবলিতে হিংসার জন্য মানবগণের যে পাপসঞ্চার হয় তাহাতে আর সন্দেহ নাই ॥

উক্ত শাস্ত্রে তাই বৈষ্ণবীদেবীগণকে শুদ্ধসাত্ত্বিক রীতিতে পূজা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে-

🔴"জীবহত্যা বিহীনায়া বরা পূজাচ বৈষ্ণবী ॥"
[ শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, প্রকৃতিখন্ড, ৬৪।৪৭]
➡️অনুবাদঃ
বৈষ্ণবীদেবীর পূজায় জীবহত্যা হয় না- তাই এটি শ্রেষ্ঠ পূজা ॥

😡কিন্তু অপপ্রচারকগণ এ সমস্ত শ্লোক গোপন রাখে নিজেদের হীন স্বার্থসিদ্ধি তথা পশুবলির মৌসুমী ব্যবসা ও জিহ্বা লালসা মিটানোর লোভে মন্দিরের পবিত্র স্থানকে কসাইখানাতে পরিনত করেন😡

❇️তাহলে এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়, মনসা পূজায় ইন্দ্র কর্তৃক পূজা উপাচার সমেত যে ‘বলি’ দেওয়ার কথা শাস্ত্রে বলা হচ্ছে তা যদি 'পশুবলি' না হয়, তবে এখানে 'বলি' দ্বারা কি বুঝাচ্ছে?

🌹নারায়ণাবতার শ্রীকৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস প্রণীত পদ্মপুরাণ এর উত্তরখণ্ডের ২৫৩ নং অধ্যায়ে মনসা দেবীর গুরু ভগবান শ্রীশিব দেবতাদের উদ্দেশ্যে বিষ্ণুপ্রসাদ বা কৃষ্ণপ্রসাদকেই বলিরূপে নিবেদনের বিধান দিয়েছেন স্পষ্টভাবে এবং এও বলেছেন যারা উক্ত স্থানে পশুহিংসা করেন তারা নিশ্চিতরূপে নরকভাগী হয়-

🔴শ্রী শিব উবাচঃ
হরের্ভুক্তাবশেষেণ বলিস্তেভ্যো বিনিক্ষিপেৎ।
হোমঞ্চৈব প্ৰকুব্বীত তচ্ছেষেণৈব বৈষ্ণবঃ ।
হরের্নিবেদিতং সম্যগদেবেভ্যো জুহুয়াদ্ধবিঃ॥
পিতৃভ্যশ্চাপি তদ্দদ্যাৎ সর্ব্বমান্নত্যমাপ্নুয়াৎ।
প্রাণিনাং পীড়নং যত্তদ্বিদুষাং নিরয়ায় বৈ ॥
অদত্তঞ্চৈব যৎকিঞ্চিৎ পরস্বং গৃহ্যতে নরৈঃ ।
স্তেয়ং তদ্বিদ্ধি গিরিজে নরকসৈব কারণম্ ॥
[ পদ্মপুরাণ, উত্তরখন্ড, ২৫৩। ১০৭-১০৯ ]

➡️অনুবাদঃ
ভগবান শিব বললেন, "হরির ভুক্তাবশেষ (কৃষ্ণপ্রসাদ) দ্বারা দেবতাদের বলিপ্রদান করবে, ভুক্তাবশিষ্ট(কৃষ্ণপ্রসাদ) হবি দ্বারা দেবতাদের হোম করবে । হরিকে সম্যক্‌রূপে নিবেদন করে পরে দেবগণকে হবি হোম করবে। পিতৃগণকেও তা-ই প্রদান করবে। এইরূপে কৃতকাৰ্য্য সমস্তই অনন্ত ফলপ্রদ হয়ে থাকে। প্রাণিগণের পীড়নকে বিজ্ঞগণ নরকভোগের কারণ হিসেবে ব্যাখা করে থাকেন। মনুষ্য নিজের জীবনে অন্যজীব কর্তৃক যে নিষ্ঠুর ব্যবহার আশা করে না, সে নিষ্ঠুর আচরণ যদি সে অন্য জীবের উপর করে,তবে হে গিরিজে! সে মনুষ্য অবশ্যই নরকভোগী হবে।"

❇️শুধু মনসাদেবীর গুরু ভগবান শিবই নয়, মনসাদেবীর আরাধ্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণও যজ্ঞে পশুবলির নিন্দা করেছেন-

🔴শ্রীকৃষ্ণ উবাচ-
তে মে মতমবিজ্ঞায় পরোক্ষং বিষয়াত্মকাঃ।
হিংসায়াং যদি রাগঃ স্যাদ্‌যজ্ঞ এব ন চোদনা।
হিংসাবিহারা হ্যালব্ধৈঃ পশুভিঃ স্বসুখেচ্ছয়া।
যজন্তে দেবতা যজ্ঞৈঃ পিতৃভূতপতীন্‌খলাঃ৷৷
[শ্রীমদ্ভাগবতম, স্কন্ধ-১১ অধ্যায়-২১, শ্লোক ২৯-৩০]

➡️অনুবাদঃ
"পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ বললেন- যদি পশু হিংসা এবং মাংসভক্ষণ কার্যে অনুরাগ হেতু তার ত্যাগ সম্ভব না হয় তাহলে যজ্ঞ সম্পাদনের মাধ্যমে সেটি গ্রহণ করো—এই বিধান কখনই উত্তম বলে স্বীকৃত হতে পারে না; তাকে কেবল স্বাভাবিক প্রবৃত্তির ভিন্ন রূপে স্বীকৃতি মাত্র বলা চলে। সন্ধ্যা বন্দনাদিসম অপূর্ব সুন্দর বিধি ওই সকল বিধির তুলনায় বহুলাংশে প্রকৃষ্ট। এইভাবে আমার অভিপ্রায় না জেনে বিষয়লোলুপ ব্যক্তিগণ পশুহিংসায় মত্ত হয়ে পড়ে। তারা কপটতা হেতু ইন্দ্রিয়তৃপ্তির অভিলাষে পশুহিংসা দ্বারা প্রাপ্ত মাংস দ্বারা যজ্ঞ সম্পাদন করে দেবতা, পিতৃপুরুষ ও ভূতপতি আদি যজনের অভিনয়-ক্রিয়া করে থাকে৷৷"

❇️এমনকি বেদও যজ্ঞে ছাগবলি,পশুবলিকে প্রশ্রয় দেয় না, বেদে বীজ দ্বারা যজ্ঞ করার নির্দেশ। মহাভারতের আদিপর্বে মনসাদেবীর উপাখ্যান পাওয়া যায়। সে মহাভারতের শান্তিমহাপর্বে যজ্ঞে ছাগবলি,পশুবলি যে বেদবিরুদ্ধ তার স্পষ্টত উল্লেখ আছে-

🔴ঋষয় উচুঃ
বীজৈর্যজ্ঞেষু ষষ্টব্যমিতি বৈ বৈদিকী শ্ৰুতিঃ।
অজসংজ্ঞানি বীজানি ছাগং নো হন্তমর্হথ।।
নৈষ ধৰ্ম্মঃ সতাং দেবা যত্ৰ বধ্যেত বৈ পশুঃ ।
ইদং কৃতযুগং শ্রেষ্ঠং কথং বধ্যেত বৈ পশুঃ ॥
[ মহাভারত, শান্তিপর্ব, ৩২৩।৭-৮ ]

➡️অনুবাদঃ
ঋষিগণ বলিলেন—'বীজ দ্বারা যজ্ঞ করিবে' ইহাই বেদে শুনা যায়। অতএব 'অজ' শব্দের অর্থ বীজ; সুতরাং আপনারা ছাগবধ করিতে পারেন না।। হে দেব! যজ্ঞে পশুবধ সজ্জনের ধর্ম্ম নহে। এটা শ্রেষ্ঠ কৃতযুগ। কি প্রকারে পশুবধ করা হইবে? (অতএব যজ্ঞে পশুবলি হতে পারে না)

❇️এখানে পুনরায় স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়, মনসাদেবীর আরাধ্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ এবং গুরু ভগবান শিব যজ্ঞে পশুবলির নিন্দা করেছেন এবং ভগবান শিব কৃষ্ণপ্রসাদকেই দেবতাদের উদ্দেশ্যে বলিরূপে নিবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই অপপ্রচারকগণের দাবীকৃত শ্লোকে বিষ্ণু-শিবাদি দেবতা কর্তৃক নির্দেশপ্রাপ্ত দেবরাজ ইন্দ্রের মনসাপূজায় যে বলি তা পশুবলি নয়। উক্ত দাবীকৃত শ্লোকে 'বলিঞ্চ তৎপ্রিয়ং' শব্দ দ্বারা মনসাদেবীর প্রিয় ভোজ্য কৃষ্ণপ্রসাদকেই বুঝানো হয়েছে।

❇️উপযুক্ত শাস্ত্রযুক্তির আলোকে অপপ্রচারকারীগণের দাবীকৃত শ্লোক দুটির ব্যাখাপূর্ণ সঠিক ভাবানুবাদ দাঁড়ায়-

🔴নত্বা ষোড়শোপচারং বলিঞ্চ তৎপ্রিয়ং তদা।
প্রদদৌ পরিতুষ্টশ্চ ব্রহ্মাবিষ্ণুশিবাজ্ঞয়া।।
[শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ,প্রকৃতিখন্ড, ৪৬।১১৭ এবং দেবীভাগবত ৯।৪৮।১১৪]

➡️অনুবাদঃ
ব্রহ্মা বিষ্ণু ও শিবের আজ্ঞায় দেবেন্দ্র কর্তৃক মনসাদেবী ষোড়শোপচারে পূজিতা হইলে দেবরাজ মনসাদেবীকে তাহার প্রিয় বস্তু তথা কৃষ্ণপ্রসাদ বলিরূপে প্রদান করিলেন।

🔴পঞ্চম্যাং মনসাখ্যায়াং দেব্যৈ দদ্যাচ্চ যো বলিম্।
ধনবান্ পুত্রবাংশ্চৈব কীর্তিমান্ স ভবেদ্ ধ্রুবম্।।
[ শ্রীব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,প্রকৃতি খণ্ড,৪৬/৯ এবং দেবীভাগবত ৯।৪৮।৯ ]

➡️অনুবাদঃ
পঞ্চমী তিথিতে দেবী মনসাকে যে ব্যক্তি 'কৃষ্ণপ্রসাদ' বলিরূপে প্রদান করে, সে ধনবান, কীর্তিমান এবং পুত্রবান হয়।

❇️ভক্ত গনকে সর্প দংশন হতে সর্বদা রক্ষা করেন মাতা মনসা। তিনি জগন্মাতা। মাতা কখনো তার কোন সন্তানের রক্ত চান না। সমস্ত ভারতবর্ষজুড়ে মাতা মনসার শুদ্ধসাত্ত্বিকী পূজা হয়ে থাকে। কিন্তু যবন সান্নিধ্যে পীর সমাজ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট সহ বেশ কয়েক অঞ্চলে ধর্মকে পুঁজি করে অহেতুক পশুবলি নামক কুপ্রথা চলে আসছে, যা কোন মতেই শাস্ত্রীয় নয়। এরূপ ধর্মের নামে রক্তরঞ্জিত অসাত্ত্বিকী পূজা ইহলৌকিক ও পরলৌকিক অমঙ্গল-ই ডেকে আনে।

❇️ তাই পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবদগীতায় স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন -
🔴ঊর্ধ্বং গচ্ছন্তি সত্ত্বস্থা মধ্যে তিষ্ঠন্তি রাজসাঃ।
জঘন্যগুণবৃত্তিস্থা অধো গচ্ছন্তি তামসাঃ।।
[ শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১৪/১৮ ]

➡️অনুবাদঃ
সত্ত্বগুণ-সম্পন্ন ব্যক্তিগণ ঊর্ধ্বলোকে গমন করে, রজোগুণ-সম্পন্ন ব্যক্তিগণ মধ্যে নরলোকে অবস্থান করে এবং জঘন্য গুণসম্পন্ন তামসিক ব্যক্তিগণ অধঃগতি প্রাপ্ত হন।।


- ব্রজ সখা
গৌরধাম নন্দনকানন
( ২০শে শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ )

🙏‼️জয় জয় কৃষ্ণভক্তা, শিবশিষ্যা, সর্পভীতি নাশিনী বৈষ্ণবী মাতা মনসা‼️🙏

👇এই পোস্টটির শাস্ত্র হতে সরাসরি ছবিসহ রেফারেন্সে পাবেন এই ব্লগে-👇
https://vasudevastra.blogspot.com/2021/08/blog-post.html

👇পোস্টটি পিডিএফ আকারে সংগ্রহ করতে চাইলে নিম্নের লিংকে ক্লিক করুন👇
https://drive.google.com/file/d/1VK1YX1Thh8Q6c_d2SWVLvN_UpE7HdQId/view

-আমিষভোজী ব্যক্তিকে বিগ্রহ অর্চনে নিষেধ করা হয় কেন⁉️-কেন ভগবানের ভক্তেরা আমিষভোজীদের নিবেদিত প্রসাদ গ্রহণ করেন না ⁉️উত্ত...
02/08/2025

-আমিষভোজী ব্যক্তিকে বিগ্রহ অর্চনে নিষেধ করা হয় কেন⁉️
-কেন ভগবানের ভক্তেরা আমিষভোজীদের নিবেদিত প্রসাদ গ্রহণ করেন না ⁉️

উত্তরঃ
শ্রীমদ্ভাগবতমে শ্রীকৃষ্ণের অবতার কপিলদেব তার মাতা দেবাহুতিকে বর্ণনা করেছেন-

দ্বিষতঃ পরকায়ে মাং মানিনো ভিন্নদর্শিনঃ ।
ভূতেষু বদ্ধবৈরস্য ন মনঃ শান্তিচ্ছতি ৷৷ ২৩ ৷৷
অহমুচ্চাবচৈর্দ্রব্যৈঃ ক্রিয়য়োৎপন্নয়ানঘে।
নৈব তুষ্যেঽৰ্চিতোঽৰ্চায়াং ভূতগ্ৰামাবমানিনঃ ৷৷ ২৪ ৷৷
[ #শ্রীমদ্ভাগবতম ৩।২৯।২৩-২৪ ]
বঙ্গানুবাদঃ
ভগবান কপিলদেব তার মাতা দেবাহুতিকে বললেন, "যে ব্যক্তি আমাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিন্তু অন্য জীবেদের প্রতিহিংসাপরায়ণ, সেই ভেদদর্শী ব্যক্তি অন্য জীবেদের প্রতি শত্রুতামূলক আচরণ করার ফলে, কখনও মনে শান্তি লাভ করতে পারে না। হে মাতঃ! যারা সমস্ত জীবের অন্তরে আমার উপস্থিতি সম্বন্ধে অজ্ঞ, তারা যদি যথাযথ অনুষ্ঠানের দ্বারা মন্দিরে আমার বিগ্রহের পূজাও করে, সেই পূজায় আমি প্রসন্ন হই না। "

“সেই মূর্তি করি যেবা ভজে নারায়ণ,
জীব হিংসা করে যদি নাহি প্রয়োজন"
[গ্রন্থ- #কৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী ]
অর্থাৎ,
কেউ যদি জীব হিংসা করে আবার বিগ্রহ সেবাও করে, তবে সে রকম পূজায় ভগবান সন্তুষ্ট হন না এবং তা গ্রহণও করেন না।

#বরাহপুরাণে শ্রী বরাহদেব বসুন্ধরা দেবীকে সেবা অপরাধ সম্পর্কে বলেছেন-

"মংস্য মাংস ভক্ষণ করিয়া আমার অর্চ্চনা করা কোন ক্রমেই কৰ্ত্তব্য নহে। তাহা করিলে আমি অষ্টাদশ অপরাধ গণ্য করিয়া থাকি ।"
[ #বরাহপুরাণ, অধ্যায় ১১৭, শ্লোক ২১ ]

"জাল- পাদ, অর্থাৎ হাঁস, বক প্রভৃতি জলজ প্রাণি ভক্ষণ করিয়া আমার অর্চ্চনা করা ঊনবিংশ অপরাধ ।"
[ #বরাহপুরাণ, অধ্যায় ১১৭, শ্লোক ২২ ]

"বরাহমাংস ভক্ষণ করা, ত্রয়োবিংশ অপরাধ । যদি কেহ সুরাপান করিয়া আমার অর্চ্চনা করে, আমি তাহা চতুর্ব্বিংশ অপরাধ বলিয়া গণনা করিয়া থাকি।"
[ #বরাহপুরাণ, অধ্যায় ১১৭, শ্লোক ২৬,২৭ ]

ভক্তদত্তঞ্চ যদদ্রব্যং ভক্ত্যাশ্নামি সুরেশ্বরাঃ ।
অভক্তদত্তং নাশ্নামি ধ্রুবং ভুঙেক্ত বলিঃ স্বয়ম্ ॥
[শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, কৃষ্ণজন্মখন্ড, অধ্যায় ৬, শ্লোক ৫৯]
বঙ্গানুবাদ:
হে দেবগণ! আমি ভক্তপ্রদত্ত দ্রব্য ভক্তিপূর্বক ভোজন করিয়া থাকি ; কিন্তু অভক্তদত্ত বস্তু আমি ভোজন করি না ; তাহা পাতালস্থিত বলিরাজ ভোজন করে।

তাই আমিষভোজী কিংবা জীবহিংসকদের বিগ্রহ অর্চন করতে দেওয়া হয় না। তারা চিত্রপটে কিংবা ঘট পূজা করতে পারেন। এভাবে ব্যবহারিক ভক্তি করতে করতে একসময় যখন তাদের ভক্তিতে নিষ্ঠা আসবে, তখন তারা তাদের জিহবার লালসা বর্জন করে শুদ্ধ প্রসাদভোজীতে পরিণত হবেন। ভগবানই তাদের সে যোগ্যতা প্রদান করেন। শুদ্ধ ভক্তই কেবল বিগ্রহ অর্চনের অধিকার রাখেন।
শ্রীমদ্ভগবদগীতার ৯।২৬ নং শ্লোকে ভাষ্যে শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর ব্যাখা করেছেন, এমনকি ভক্তও যদি অশুদ্ধ অবস্থায় বিগ্রহ সেবা করেন, ভগবান তা গ্রহণ করেন না। তাই শুদ্ধতা একান্ত কাম্য।

ভগবদ্ভক্তগণ কেবল শ্রীহরির উচ্ছিষ্ট প্রসাদ গ্রহণ করেন। সর্বভূতে দয়ালু বৈষ্ণবভক্ত কর্তৃক নিবেদিত ভোগে যদি কুকুর মুখ লাগায়, তবুও শুদ্ধভক্তগণ সে প্রসাদকে শ্রদ্ধা সহকারে গ্রহণ করেন; কিন্তু কোন জীবহিংসাকারী, আমিষভোজী ব্যক্তি যদি ভগবানকে রুচিপূর্ণ খাদ্যও নিবেদন করে ভগবদ্ভক্তদের নিকট তা বিষ্টাতুল্য পরিত্যাজ্য, কারণ জীবহিংসকের নিবেদিত অন্ন ভগবান গ্রহণ করেন না।

🙏 হরে কৃষ্ণ 🙏

গিরিরাজ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ❤️👏🙏সর্বাকর্ষক পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এবং আনন্দ প্রদানকারী শ্রীমতি রাধারাণী❤️🌺👏🙏            ...
21/07/2025

গিরিরাজ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ❤️👏🙏
সর্বাকর্ষক পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এবং আনন্দ প্রদানকারী শ্রীমতি রাধারাণী❤️🌺👏🙏

20/07/2025

জগন্নাথপুর জগন্নাথ মন্দির কুমিল্লা 🌺🌼❤️
জগন্নাথকে দর্শন করুন সকল প্রকার পাপ দূরীভূত হয়ে যাবে👏🌺🌼

18/07/2025

মায়ার দ্বারা আসক্ত ভক্তরা সবসময় ভক্ত সংঘ,ভগবদ সেবা,মন্দির, সেন্টার,ইত্যাদি সেবা থেকে দূরে থাকবে

কেউ মারা গেলে শ্রাদ্ধে আমিষ বাদ দিয়ে নিরামিষ কেন খাবেন...?🤔 ⭕❗🅾️❗⭕👉একজন সনাতন ধর্মের লোক মারা গেলে বলতে হয়,"দিব্যান লোক...
11/07/2025

কেউ মারা গেলে শ্রাদ্ধে আমিষ বাদ দিয়ে নিরামিষ কেন খাবেন...?🤔 ⭕❗🅾️❗⭕

👉একজন সনাতন ধর্মের লোক মারা গেলে বলতে হয়,"দিব্যান লোকান্ স্ব গচ্ছতু" অর্থাৎ তিনি দিব্যধাম প্রাপ্ত হোক।

দিব্য মানে দেবতার স্থান যেখানে দেবতারা ভগবানের আরাধনায় মগ্ন থাকেন । অপরদিকে, মাছ মাংস মদ ইত্যাদি রাক্ষসদের খাবার ।
আমরা দেখি অধিকাংশ হিন্দু পরিবারে মানুষ মারাগেলে মৃত দেহের আত্মার শান্তির লক্ষ্যে এবং ভগবান কিংবা দেবধামে যাওয়ার লক্ষ্যে আত্মীয় স্বজনকে শ্রাদ্ধে মাছ খাওয়ান তাহলে কি বুঝলেন?

শাস্ত্রের নিয়মে আমরা একদিকে দিব্যধামে যাওয়ার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি, অন্যদিকে ভূত পেতনীর খাবার মানুষকে খাইয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যে তিনি দিব্যধামে প্রবেশ করুক । রাক্ষসদের খাবার যদি মানুষকে খাইয়ে শ্রাদ্ধে বিষ্ণুর নিয়ম অমান্য করে রাক্ষসদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ করি তাহলে মৃত ব্যক্তি কি স্বর্গে যাবে নাকি নরক লোকে যাবে সেটা নিশ্চয় সকলে বুঝতে পারছেন।

ন দদ্যাদামিষং শ্রাদ্ধে ন চাদ্যাদ ধর্মতত্ত্ববিৎ।
মনান্নৈ মৎপরা প্রীতির্যথা ন পশুহিংসয়া।।
নৈতাদৃশঃ পরো ধর্ম নৃণাৎ সদ্ধর্মমিচ্ছতাম্।
ন্যাসো দন্ডস্য ভূতেষু মনো বাক্কায়জস্য।।
(ভাগবত ৭।১৫।৭-৮)
--- ধর্মতত্বজ্ঞ ব্যক্তি পুরুষ শ্রাদ্ধকর্মে আমিষ(মাছ-মাংস) অর্পন করবেন না। এবং নিজেও ভোজন করবেন না। কারন পিতৃগণ মুনি ঋষিদের যোগ্য হবিষান্ন দ্বারা যেরুপ প্রসন্ন লাভ করেন, সেরূপ পশু হত্যার দ্বারা নয়। সৎ ধর্মপালনে অভিলাষী ব্যক্তির কাছে কোন জীবকে কায়মনোবাক্যে কোনরূপ কষ্ট না দেওয়ার মতো ধর্ম আর নেই।

শ্রীমদ্ভাগবতে (৫/২৬/৫-৩৬) বর্ণনা আছে ২৮টি নরক কুণ্ডের কথা তারমধ্যে ৩ নাম্বার নরক রৌরব, ৫নাম্বার নরক কুম্ভীপাক, ৯নাম্বার নরক অন্ধকূপ, ১৬নাম্বার নরক প্রাণরোধ, ১৭ নাম্বার নরক বিশসন, ২৩ নাম্বার নরক রক্ষোভোজন, ২৪নাম্বার নরক শূলপ্রোত । সবগুলো নরককুন্ড পশু হত্যাও, খাওয়া কিংবা অন্যকে খাওয়ানোর অপরাধে তৈরি অর্থাৎ ভাগবতের ২৮টি নরককুন্ডের মধ্যে এই কুণ্ডগুলোতে পাঠানো হবে যারা পশুকে বিভিন্নভাবে হত্যা করে, নিজে আহার করে কিংবা অন্যকে আহার করায় ।

সুতরাং শ্রাদ্ধ মানে বিষ্ণুর_প্রীতির_উদ্দেশ্যে যা কিছু দান করা হবে তাই শ্রাদ্ধ আর,গীতা ও ভাগবতে যেহেতু নিরামিষ আহারের পরোক্ষ নির্দেশ দেওয়া আছে, তাই শ্রাদ্ধ হবে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিয়ম অনুসারে।
------------------------------------------------------------------------------
পোস্টটি ভাল লাগে অবশ্যই সকলকে শেয়ার করবেন।
প্রনিপাত

সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ....

ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিণ্ময় আনন্দ অনুভব করবেন:

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ...(১০৮ বার)

হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হন ...

জয় শ্রীল প্রভুপাদ🙏👏🙌
জয় শ্রীল গুরুদেব🙏👏

দয়া করে পোস্টটির নিজস্ব মতামত জানান, এবং আপনার নিকটতম এবং প্রিয় ব্যক্তিদের সাথে লাইক ও শেয়ার করুন যাতে তারা ও কৃষ্ণভাবনাময় হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়... 🙏
Beraj Devotional Vlogs-বিরাজ ভক্তিমূলক ব্লগ

🧠 ব্রেন ধ্বংস হচ্ছে… কিন্তু টেরও পাচ্ছি না!⭕❗⭕🅾️একটা কথা বলি —আমাদের ব্রেন, মানে এই মস্তিষ্কটা আজকাল নিজের হাতে আমরা নিজ...
08/07/2025

🧠 ব্রেন ধ্বংস হচ্ছে… কিন্তু টেরও পাচ্ছি না!⭕❗⭕🅾️

একটা কথা বলি —
আমাদের ব্রেন, মানে এই মস্তিষ্কটা আজকাল নিজের হাতে আমরা নিজেরাই ধ্বংস করছি।
আর সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হলো —
আমরা জানিও না, কিভাবে ধীরে ধীরে আমাদের চিন্তাভাবনা, স্মৃতিশক্তি, মনসংযোগ… সব শেষ হয়ে যাচ্ছে!

👇 জানো কী কী জিনিস আমাদের ব্রেন শেষ করে দিচ্ছে?

1️⃣ অতিরিক্ত মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া –
ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করে করে আমরা মস্তিষ্কের ফোকাস পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি।
বুকের ভেতর মরে যাচ্ছে স্বপ্ন…

2️⃣ ঘুম না হওয়া –
রাত জেগে ফোন, গেম, সিরিজ…
এইসবই ব্রেনকে বিষ খাওয়ানোর মতো।
ঘুম ছাড়া ব্রেন "সফটওয়্যার ক্র্যাশ" হয়ে যায়!

3️⃣ একসাথে অনেক কিছু করার চেষ্টা (Multitasking) –
আমরা ভাবি আমরা স্মার্ট…
আসলে আমরা আমাদের ব্রেনকে গাধার মতো ব্যবহার করছি।
ব্রেন একসাথে সব হ্যান্ডেল করতে পারে না, ধীরে ধীরে বিপর্যস্ত হয়।

4️⃣ নেগেটিভ চিন্তা আর স্ট্রেস –
"আমি কিছুই পারি না",
"আমার কিছু হবে না" —
এই কথাগুলো ব্রেনকে ধ্বংস করে, ভেতর থেকে।

5️⃣ অস্বাস্থ্যকর খাবার আর জলের অভাব –
হ্যাঁ, খেয়াল করো —
মগজটা তৈরি হয়েছে ৭০% জল দিয়ে।
জল না খেলে ও ভুল খাবার খেলে ব্রেন শুকিয়ে যেতে থাকে… সত্যি!

---

🙇‍♂️ আর শেষে একটা কথা…
ব্রেন যদি শেষ হয়ে যায়, জীবন আর কিছুই না!
তাই এখনই সাবধান হও।
নিজের মস্তিষ্কটাকে বাঁচাও, না হলে জীবনে কিছুই থাকবে না — শুধু একটা ফাঁকা খোলস… 😔

মহাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করতে গেলে আমাদের সংকীর্তনে নৃত্য করতে হবে। যেখানে সংকীর্তনে ভক্তরা নৃত্য করে সেখানে মহাপ্রভু চলে আসে...
05/07/2025

মহাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করতে গেলে আমাদের সংকীর্তনে নৃত্য করতে হবে। যেখানে সংকীর্তনে ভক্তরা নৃত্য করে সেখানে মহাপ্রভু চলে আসেন।

# মহাপ্রভু হচ্ছেন ডেন্সিং গড। তাই তাকে সন্তুষ্ট করতে হলে আমাদের নৃত্য করতে হবে।

# জগন্নাথকে সন্তুষ্ট করতে হলে তাঁর প্রসাদ আস্বাদন করতে হবে।

# রথযাত্রার সময় তিন ভাবে জগন্নাথ কৃপা বিতরণ করেন :
১.রথের চাকার সৃষ্ট ধূলি দিয়ে জগন্নাথ ব্রজের রজ জগতবাসীকে বিতরণ করেন।

২. ভগবানের শরীর স্পর্শ কারী বায়ু, যা ব্রজপ্রেমবায়ু বলা হয় তা বিতরণ করতেন।

৩. স্বয়ং ভগবানের কৃপাদৃষ্টি

# যাদের হৃদয়ে কাম আছে তাদের কান দিয়ে ভগবানকে দর্শন করতে হবে। আর যাদের প্রেম আছে তারা চোখ দিয়ে ভগবানকে দর্শন করতে পারে।

# তাই আমাদের কান দিয়ে শুনতে হবে।
# তমো চোখ, কান ও হৃদয় বন্ধ হয়ে যাবে
# রজো গুনে চোখ খোলা থাকলেও, মন ও কান বন্ধ থাকে।
# সত্ত্ব গুনে ভালভাবে শ্রবণ করা যায়।

# জগন্নাথ তার হাত সামনের দিকে প্রসারিত করার মাধ্যমে জগৎবাসীকে প্রেমালিঙ্গণ প্রদান করতে চান।

🗣️ HH Bhakti Prachar Praribrajak Swami

আগামীকাল শুভ রথযাত্রা।লক্ষ লক্ষ হিন্দু রথের দড়ি টানবেন,খিচুড়ির প্রসাদে ভাগীদার হবেন,পূণ্য লাভের আশায় ভিড় জমাবেন মন্দিরে।...
04/07/2025

আগামীকাল শুভ রথযাত্রা।
লক্ষ লক্ষ হিন্দু রথের দড়ি টানবেন,
খিচুড়ির প্রসাদে ভাগীদার হবেন,
পূণ্য লাভের আশায় ভিড় জমাবেন মন্দিরে।

কিন্তু...
যখন মন্দির ভাঙা হয়,
যখন ঠাকুরের মূর্তি পড়ে থাকে মাটিতে,
তখন সেই লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীর ভিড় আর দেখা যায় না!

রথ টানাই পূণ্য নয়,
ভগবানের সম্মান রক্ষা করাই প্রকৃত পূণ্য।😭😭🙏🙏

#হরেকৃষ্ণ

কলি যুগের মানুষদের কৃপা করার জন্য স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান শ্রী জগন্নাথদেব নিজে রাস্তায় চলে আসেন।আসেন আপনি আমি সবাই জগন্নাথদ...
26/06/2025

কলি যুগের মানুষদের কৃপা করার জন্য স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান শ্রী জগন্নাথদেব নিজে রাস্তায় চলে আসেন।
আসেন আপনি আমি সবাই জগন্নাথদেবের কৃপা আর্শীবাদ গ্রহণ করি রথে অংশগ্রহণ করে 👏🙏🌺

Address

Cox's Bazar

Telephone

+8801849470308

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Beraj Devotional Vlogs-বিরাজ ভক্তিমূলক ব্লগ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Beraj Devotional Vlogs-বিরাজ ভক্তিমূলক ব্লগ:

Share

Category