
17/05/2025
অনেক দিন আগের কথা। একটি গরু জঙ্গলের পাশের একটি মাঠে ঘাস খাচ্ছিলো। হঠাৎ জঙ্গল থেকে একটি বাঘ এসে তাকে আক্রমণ করলো। গরুটি বাঘকে দেখেই দৌড় শুরু করলো। অনেক্ষণ দৌড়ানোর পর গরুটি হাপিয়ে উঠলো। বাঘের সাথে দৌড়ে তো গরুর পেরে উঠার কথাও না। তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে পুকুরে ঝাপ দিলো। কিন্তু পুকরটি ছিলো শুকনা। যার ফলে সেখানে কাঁদা ছাড়া কোন পানি ছিলো না।
গরুর পেছন পেছন বাঘটিও ঝাপ দিলো। বাঘ ও গরু কাঁদায় গলা পর্যন্ত আটকে গেলো। বাঘ রেগে মেগে বললো- "কিরে হারামী, তুই আর লাফ দেয়ার জায়গা পেলি না? ডাঙায় থাকলে তোকে না হয় একটু কুড়মুড় করে খেতাম। এখন তো দুজনেই মরবরে।"
গরু হেসে বলে- "তোমার কি মালিক আছে’? বাঘ রেগে বলে- ‘বেটা আমি হলাম বনের রাজা। আমার আবার মালিক কিরে! আমি নিজেইতো বনের মালিক’।
গরু তখন মৃদু হেসে বলে- ‘তুমি এখানেই দুর্বল। একটু পর আমার মালিক আসবে। এসে আমাকে এখান থেকে তুলে নিয়ে যাবে। আর তোমাকে পিটিয়ে মারবে’।
বাঘ বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইলো। সন্ধ্যা বেলায় গরুটির মালিক গরুটিকে খুজতে বের হলো। এদিক সেদিক খুঁজতে খুঁজতে এসে দেখলো গরুটি কাঁদার মধ্যে ডুবে আছে। পাশে একটি বাঘ দেখে সে একটি বাঁশ নিয়ে আসলো। বাঘটার মাথায় বাঁশ দিয়ে কয়েকটা বাড়ি মারলো। মারতে মারতে বাঘটিকে আধমরা করে রাখলো। এরপর গরুটিকে টেনে তুললো।
গরু উপড়ে উঠে বাঘটির দিকে তাকালো। বাঘটির তখন যায় যায় অবস্থা। একটু আগেও যে গরুটির পেছনে পাগলের মতো দৌড়েছে, নিজেকে বনের মালিক বলে বড়াই করছে, এখন তার কি করুণ দশা। কাঁদায় পড়ে মাখামাখি করছে। কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেনা। গরুটি বাঘের এই অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে বাড়ি চলে গেলো। আর বাঘটি যন্ত্রণা ভোগতে ভোগতে একটা সময় মরে একা একা পড়ে রইলো।
আমরা যারা মালিকের উপর ভরসা করি, যারা মনে করি আমাদের রব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের মাথার উপরে আছেন। তিনি আমাদের ভরসার প্রথম এবং শেষ আশ্রয়স্থল।
আমাদের উপর যত অত্যাচার হোক, যত নির্যাতনই হোক না কেনো, আমাদের দিনগুলো যত দুঃখ কষ্টে অতবাহিত করি না কেনো, আমাদের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঠিকই একটা সময় আমাদের রক্ষা করবেন। হয়তো আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু দিনশেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার রহমতের ছায়া তলে আমাদের ডেকে নিবেন।
কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে বলেছেন- ‘আমার বান্দা যখন আমাকে অনুনয় বিনয় করে ডাকে, আমার কাছে তার দুঃখ কষ