24/09/2022
সম্প্রতি কিছু মানুষরূপী শয়তান পর্দা ইস্যুকে সামনে এনে আলেমসমাজ ও সাধারণ মানুষকে মুখামুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে; তারা চলে, বলে, কৌশলে সাধারণ মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করতেছে পর্দা হলো আলেম বা মোল্লাদের তৈরি বিধান এবং তাদের স্ত্রী, কন্যারাই পর্দা করবে বাকিদের করতে হবে না।
তারা কি জানে না? পর্দা হলো আল্লাহর দেওয়া ফরজ বিধানের একটি। কারো সাধ্য নাই এখানে নতুন কিছু এড করার কিংবা কোনোকিছু বাদ দেওয়ার। আলেমরা জমিনে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহর দেওয়া একটা ফরজ বিধান ধরে রাখার (পালন করার) চেষ্টা করতেই পারে তাতে আপনাদের গাত্রদাহের কোনো যৌক্তিক কারণ আপাতত দেখছি না।
ইসলাম নারীদের জীবন্ত কবর থেকে তুলে এনে বানিয়েছেন ঘরের রাণী করে। নারীদের সুরক্ষায় আল্লাহ তায়ালা দায়িত্ব দিয়েছেন কখনো বাবাকে, কখনো ভাইকে, কখনো স্বামী অথবা সন্তানদের উপর। নারীরা যেনো পরপুরুষের লালসার শিকার না হয়, সেই জন্যই পর্দার বিধান।
কিছু মানুষের কাছে নারীর স্বাধীনতা মানে নারীদের উন্মুক্ত বক্ষে, হাফ প্যান্ট পরে চলাফেরা করা। বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হয় নারীদের দেহ প্রদর্শনীর মাধ্যমে। টিভিতে, নাটক-সিনেমায়, বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনে নারীদের এমনভাবেই উপস্থাপন করা হয় যেন যৌনতা প্রকাশ পায়। যা দর্শকদের কাছে টানার উপলক্ষ্য। নারী যেনো ভোগের সামগ্রী এমনভাবেই উপস্থাপন করা হয়।
মূলকথা হলো নারীদের দেহ প্রদর্শনী বন্ধ হলে তাদের ব্যবসায় লালবাতি জ্বলবে, তাই তারা চায় নারীরা উন্মুক্ত বক্ষে হাফ প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াক।
পরিশেষে বলবো, আমাদের কাছে যা অশ্লীল তাদের কাছে তা শিল্প। সুতরাং সকল মুসলিমদের আরো সতর্ক হতে হবে সাংস্কৃতিক এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। সংস্কৃতির সাথে সংস্কৃতির এই লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আমাদের সবাইকেই লড়তে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুক। আমিন।