27/07/2021
কক্সবাজার জেলা আবারো একটা দুর্যোগের মুখোমুখি। রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প, সাগর তীরবর্তী এবং নিচু এলাকা ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি, বসতভিটা ডুবে গিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ মন্ত্রণালয় আশা করি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমে।
এ দুর্যোগে যা করবেন:
১। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় সম্ভাব্য কী কী রিস্ক আছে তা চিহ্নিত করুন। রিস্কগুলো এড়িয়ে চলবার চেষ্টা করুন। অনেকরকম রিস্ক থাকতে পারে। যেমন-
#পানিতে ডুবে যাওয়া
# পাহাড়ধস
# বিষাক্ত পোকামাকড়, সাপ বা অন্যান্য প্রাণীর উৎপাত
#ইলেক্টিক শক
# গাছ পড়ে যাওয়া
২। পাহাড়ি টিলা বা নরম বালুময় পাহাড়ের পাশে বা কিনারায় ঘর হলে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হোন।
৩। পাহাড়ি ঢলপ্রবণ এলাকা পরিহার করে নিকটস্থ আশ্রয়ের খোঁজ করুন।
৪। পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকা পরিহার করুন।
৫। বিশুদ্ধ খাবার পানি সাথে রাখুন। সাথে কিছু শুকনো খাবারও।
৬। পরিবারে সকল সদস্য একসাথে থাকুন। নিশ্চিত করুন আপনার পরিবারের অসুস্থ, বৃদ্ধ কিংবা শিশুটি আপনার সাথেই আছে। বন্যায় শিশু বা বিশেষ পারসোনাল যারা অক্ষম তারা ২ মিনিটের কম সময়ে ডুবে মারা যেতে পারেন।
৭। আপনার নিকটস্থ প্রতিবেশী বা সাগর তীরবর্তী, কিংবা নিম্নভূমিতে বসবাস করা আত্মীয় স্বজনের খোঁজ রাখুন।
৮। লাইট কিংবা চলাচলের জন্যে স্টোরেজ সম্পন্ন আলো সাথে রাখুন।
৯। সঠিক সংবাদ তথ্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রদান করুন।
১০। সহায়তা কাজে সাহায্য করুন।
১১। আপনার বিছানাপত্র, আশপাশ দেখে চলাফেরা করবেন। বিষাক্ত পোকামাকড় কিংবা সাপ আপনার ঘরে আশ্রয় নিয়েছে কিনা নিশ্চিত করুন।
যা যা করবেন না।
১। প্যানিক তৈরি করবেন না।
২। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন ভুল /অর্ধ সংবাদ বা তথ্য প্রদান করবেন না
৩। দুর্যোগ দেখতে ঝুঁকি চিহ্নিত এলাকায় যাতায়াত করবেন না।
৪। অপরিষ্কার পানি পান করবেন না।
৫। আশ্রয়ের নামে যে কেউ প্রতারণা করতে পারে তাই আপনার শিশু, কিশোরী কিংবা মহিলারদের একা কারো কাছে রেখে দিবেন না।
৬। সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিজের পরিবারের বা অন্যকারো জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলবেন না।
যে কোন জরুরি সহায়তার যথাযথ কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং এলাকার বিশ্বস্ত মানুষের কাছে যান।
আসুন, দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াই।
সহায়তা কাজে এবং সবসময় স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনে চলুন।
বি:দ্র: রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে আমাদের মাথা না ঘামালেও চলবে। তাদের জন্যে প্রতি ২০ হাজার মানুষের জন্যে একজন সিআইসি, একজন এসিস্ট্যান্ট সিআইসি এবং ২০টা এনজিও কার্যক্রম চালাবে।
সুতরাং আমাদের নিজেদিকে নজর ফেরানো বেশি জরুরি।