14/10/2025
“মেয়েদের গ্যাসলাইটিংয়ের মিথ্যা গল্পগুলো”
আজকের অনেক মেয়ে শুধু মিথ্যা বলতে শেখেনি,
তারা সেটাকে একধরনের আর্ট বানিয়ে ফেলেছে।
নাম দিয়েছে “সেলফ-লাভ”, “হিলিং”, “মেন্টাল হেলথ”
কিন্তু আসলে সবই একটাই জিনিস: পুরুষকে দোষী বানানোর কৌশল।
আর খারাপ দিকটা কী জানো?
এখন অনেক পুরুষ সত্য বুঝলেও মেয়েদের সামনে অপরাধী বোধ করে।
চলো দেখি, তারা কীভাবে মগজ ধোলাই করে—
১️⃣ “মেয়ে তার পুরুষের প্রতিফলন”
এই কথাটা শুনে ভালো লাগে, কিন্তু মিথ্যা।
যদি মেয়ে ভালো হয় — সবাই বলে পুরুষটা ভালো।
যদি মেয়ে খারাপ হয় — বলে পুরুষটা খারাপ ছিল।
মানে, দোষ কখনো তার নয়, সব সময় ছেলেটার।
কিন্তু সত্যি হলো —
একটা সাপ মাটির জন্য নয়, নিজের স্বভাবের জন্য হেঁটে চলে।
একজন খারাপ মেয়ে তার চরিত্রের জন্য খারাপ, তোমার জন্য নয়।
২️⃣ “আমার আগের এক্স আমাকে নষ্ট করেছে”
এই ডায়লগ প্রায়ই শোনা যায়।
প্রথম প্রেমিক নাকি তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে,
দ্বিতীয়টা ছেড়ে গেছে,
তৃতীয়টা বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে,
চতুর্থটা নাকি অন্যরকম ছিল, কিন্তু সেটাও ভেঙে গেছে।
সবাই খারাপ, শুধু সে-ই ভালো!
তারপর আসো তুমি—
ভাবো তুমি তাকে “বাঁচাবে”, ভালোবাসা শেখাবে।
কিন্তু না ভাই, তুমি উদ্ধারকারী নও।
তুমি যদি সাবধান না থাকো, তুমিও তার গল্পের “দোষী পুরুষ” হয়ে যাবে।
৩️⃣ “আমার প্রাইভেসি আর বাউন্ডারি দরকার”
মানে কী জানো?
তার ইনবক্সে থাকবে পুরুষ বন্ধু, আগের প্রেমিক, ব্যাকআপ ছেলেরা—
আর তুমি কিছু বললেই সেটা “তুমি কন্ট্রোলিং” বা “ইনসিকিউর” বলবে।
কিন্তু আসল ভালোবাসা লুকানো নয়,
যেখানে ভালোবাসা আছে, সেখানে স্বচ্ছতা থাকে।
“প্রাইভেসি” নাম দিয়ে প্রতারণা ঢেকে রাখা মানে কেবল কষ্টের শুরু।
৪️⃣ “তুমি ইনসিকিউর হচ্ছ”
তুমি যদি প্রশ্ন করো—
রাত ১২টার পরও কেন সহকর্মী মেসেজ করে,
বা কেন সে অন্য পুরুষের পোস্টে লাইক দেয়,
তাহলে বলবে, “তুমি ইনসিকিউর!”
কিন্তু ভাই, এটা ইনসিকিউরিটি নয়, এটা সচেতনতা।
নৌকায় ছিদ্র দেখলে সেটা বলা মানে ভয় নয় — বুদ্ধি।
৫️⃣ “আমি নির্যাতনের শিকার”
অনেক সত্যিকারের নির্যাতিত নারী আছে — সম্মান করি।
কিন্তু কিছু মেয়ে এখন এটা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
তুমি যদি কথা বলো, স্ট্যাটাস দাও, বা প্রশ্ন করো —
তবুও সেটা “অ্যাবিউজ” বলে চিৎকার করবে।
তুমি মনে করবে ওর ব্যথা বোঝা দরকার,
কিন্তু শেষমেশ তোমাকেই ওর গল্পের “ভিলেন” বানিয়ে দেবে।
৬️⃣ “মেয়েরা আবেগপ্রবণ, যুক্তিশীল নয়”
যখন টাকা খরচ করতে হবে, তখন আবেগী;
কিন্তু যখন ধনী ছেলেকে বেছে নেবে, তখন একদম যুক্তিশীল।
যখন ভুল করবে, তখন বলবে “আমি ইমোশনাল”,
কিন্তু যখন তোমার সাথে হিসাব করবে, তখন পুরো লজিক্যাল!
মানে, যখন সুবিধা পায় তখন লজিক,
আর যখন দায় এড়াতে চায় তখন ইমোশন।
৭️⃣ “আমি এখন কমিটমেন্টের জন্য রেডি নই”
সত্যি বলি —
যদি তুমি সত্যিই তার পছন্দের হও,
তাহলে সে কালই কমিট করবে।
“আমি হিলিং করছি”, “আমি নিজেকে খুঁজছি” —
সবই অজুহাত, যতক্ষণ না সে ভালো অপশন পায়।
তুমি ভাবছো তুমি সম্পর্ক গড়ছো,
আসলে তুমি তাকে অন্য কারো জন্য তৈরি করছো।
শেষ কথা:
আজকাল সম্পর্ক মানেই একধরনের খেলা —
যেখানে অনেক নারী দায় এড়াতে পুরুষকে দোষী বানায়।
তাই ভাই, এখন সময় এসেছে বুদ্ধি দিয়ে ভালোবাসার।
প্রেমে চোখ বন্ধ করলে সেটা বিশ্বস্ততা নয় — সেটা আত্মধ্বংস।
ভালোবাসো, কিন্তু চোখ খোলা রেখে।
কারণ এখনকার সময়ে, ভালোবাসা নয় — সচেতনতাই বাঁচায়।