ABRAR Assalamualaikum
Everyone.
(2)

পুরুষদের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা: মুড সুইংসের অজুহাতে নারীদের খারাপ আচরণ মেনে নেওয়া বন্ধ করুন। অনেক সময় সমাজ থেকে...
17/09/2025

পুরুষদের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা: মুড সুইংসের অজুহাতে নারীদের খারাপ আচরণ মেনে নেওয়া বন্ধ করুন। অনেক সময় সমাজ থেকে এমন বার্তা আসে যে, নারীদের রাগ, রুক্ষতা, বা অসম্মানজনক আচরণ সহ্য করা উচিত, কারণ এটি তাদের "মুড খারাপ" বা "খারাপ সময়" কাটানোর ফল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি শৃঙ্খলার অভাব এবং অপরিপক্কতার প্রতিফলন।

একজন পরিণত এবং সুশৃঙ্খল মানুষ তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে। জীবনের চাপ, হতাশা, বা আবেগের ভার নারী-পুরুষ সবার জীবনেই আসে, কিন্তু তা অন্যের প্রতি রুক্ষ আচরণের অজুহাত হতে পারে না। যদি কেউ বারবার "মুড খারাপ" বলে রাগ ঝাড়ে, অসম্মান করে, কিংবা আপনাকে তার হতাশার শিকার বানায়, তবে বুঝতে হবে এটি তার গভীর সমস্যা।

এ ধরনের আচরণ শুধু সাময়িক বিষয় নয়, বরং অপরিপক্কতার লক্ষণ। এটি বোঝায় যে, সেই ব্যক্তি তার দায়িত্ব অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয় এবং নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম।

আপনার দায়িত্ব হলো নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করা। খারাপ আচরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান ও সমঝোতার জায়গা, যেখানে রাগ বা হতাশার ভার চাপিয়ে দেওয়া যায় না।

সমাধান কী হতে পারে?
১. পরিষ্কার করে সীমা নির্ধারণ করুন এবং তাকে জানান যে, এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
২. তাকে সময় দিন নিজেকে শুধরানোর। তবে যদি সে পরিবর্তন করতে না চায়, আপনাকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।

মনে রাখবেন, বারবার খারাপ আচরণ শুধু সম্পর্ক নয়, পুরো পরিবারকেও ধ্বংস করে। আজকের "মুড খারাপ" ভবিষ্যতের অন্তহীন ঝগড়া এবং মানসিক অশান্তি ডেকে আনতে পারে।

নিজের মানসিক শান্তি এবং জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। জীবন খুব ছোট, এটি এমন কারও সঙ্গে কাটান, যিনি আপনার সম্মান ও মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দেন। একজন দায়িত্বশীল নারী জানেন সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো পারস্পরিক সম্মান। খারাপ আচরণ মেনে নেওয়া মানে নিজের প্রতি অবিচার করা। তাই সচেতন হন, নিজের জন্য সেরা জীবন বেছে নিন।

ভাবুন তো, কেউ একটা চাকরি পেলো, বেতন আগের থেকে দ্বিগুণ হলো। প্রথমে মনে হবে জীবন পাল্টে গেছে—নতুন ফোন, নতুন ফ্ল্যাট, হয়তো ...
09/09/2025

ভাবুন তো, কেউ একটা চাকরি পেলো, বেতন আগের থেকে দ্বিগুণ হলো।
প্রথমে মনে হবে জীবন পাল্টে গেছে—নতুন ফোন, নতুন ফ্ল্যাট, হয়তো গাড়িও। কয়েক মাস পরেই এগুলো নরমাল হয়ে যায়।
তখন আবার নতুন শখ জাগে—আরও দামি গাড়ি, আরও বড় ফ্ল্যাট। ফলে আয় যতই বাড়ে, খরচও তার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ে। আর সুখ আবার আগের জায়গাতেই ফিরে আসে।
অর্থনীতির ভাষায় এটাকে বলা হয়" Hedonic treadmill"
এক ভদ্রলোকের যে স্যালারি পায় তা দিয়ে চলতে পারে না, হিমশিম খাচ্ছে; এখন তিনি যুক্তি পেশ করছেন কেন উনার স্ত্রী কে কাজে আনা প্রয়োজন। দুইজন মিলেমিশে ইনকাম করলে অভাব-অনটন ঘুচে যাবে এই ধারণা উনার৷
কিন্তু আদতে সেরকম হয়ে ওঠে না৷Daniel Kahneman দেখিয়েছেন, আয় বছরে একটা সীমা পর্যন্ত সুখ বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু তার পরের আয় সুখে তেমন প্রভাব ফেলে না, বরং খরচ, তুলনা আর চাপ বাড়ায়।
অনেকটা নতুন জিনিস হাতে পেলে সাময়িক আনন্দ থাকে কিন্তু দ্রুত তা বেসলাইন-এ নেমে যায়।
মানুষের স্বভাব হলো “resource accumulation”—অর্থাৎ বেশি রিসোর্স সংগ্রহ করে বেঁচে থাকা। এজন্য মানুষ সবসময় আরও চায়।
কিন্তু এই প্রবণতা সীমাহীন—যত পাওয়া যায়, ততই আরও চাই। ফলে সমাজে অশান্তি, প্রতিযোগিতা, ভোগবাদ বাড়তে থাকে।
স্বামী-স্ত্রীর জব সেক্টর ভিন্ন, দুইজনের মনস্তত্ত্ব ও ভিন্ন; কিন্তু দুইজনের একজন যদি অপরজনের জব সেক্টরে ঢুকার চেষ্টা করে এতে করে সৃষ্টি হয় এন্ট্রপির।
মানুষের পরিবার গঠন আসলে ইভালুশনারি স্ট্রেটেজি যাতে নারী-পুরুষ নির্দিষ্ট ভূমিকা নিয়ে কাজ করে।
নারী সন্তান ধারণ ও প্রতিপালনে বেশি সক্ষম, আর পুরুষ রিসোর্স গ্যাদারিং এ বেশি প্রবণ। সমাজ যখন এই প্রাকৃতিক ভারসাম্য ভেঙে দেয়, তখন পরিবারের ভাঙন, ডিভোর্স, সন্তানহীনতা বাড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যখন নারী দ্বিগুণ চাপ (বাহিরের কাজ + ঘরের কাজ) বহন করে, তখন স্ট্রেস,ইনফার্টেলিটি,ডিপ্রেশন মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।
অতিব্যস্ততার কারণে নারীর দেহই ক্ষতি হচ্ছে৷ পুরুষের চেয়ে স্ট্রেসে থাকা একজন নারীর শারীরিক ক্ষতি বেশি হয়, মানসিক অসুখও বেশি হয়।
আবার, দ্বিগুণ ইনকামের পরিবারে অনেক সময় প্যারাডক্স দেখা যায়—অর্থ বেশি, কিন্তু সেটিস্ফেকশন কম। কারণ দুজনই ব্যস্ত, সন্তান অবহেলিত, সম্পর্ক দুর্বল।
যেসব দেশে ব্যাপকভাবে নারী কর্মশক্তি কাজে নামিয়েছে, সেখানে আজ পরিবারভিত্তিক সংকট সবচেয়ে তীব্র যেমন সিংগেল প্যারেন্ট ফ্যামিলি, অবিবাহিত জীবন, ডিভোর্স রেইট, সন্তান জন্মের হার কমে যাওয়া।

বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে, যেসব মধ্যবিত্ত পরিবারে স্ত্রী বাইরে কাজ করে, সেখানে কনফ্লিক্ট ও ভ্যালুস ক্রাইসিস অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
অনেকে প্রশ্ন করে বা অবাক হয় হুজুরদের বেতন এতো কম, তাও উনারা দিব্বি চলে যাচ্ছেন। অনেকের অনেক গুলো বাচ্চা তাও সুখে-শান্তিতে চলছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশাল বড় রকমের ঝামেলা হয় না, ডিভোর্স রেইট তুলনামূলক ভাবে অনেক কম কিন্তু কিভাবে?
সোজা উত্তর হচ্ছে, " বরকত"৷ উনাদের আয়ে, জীবনে বরকত আছে৷
বরকত হলো এমন এক গুণ, যা সংখ্যাগত কম হলেও স্থায়ী তৃপ্তি ও পরিতৃপ্তি দেয়।
“যদি তোমরা আল্লাহভীরু হও তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য এমন রাস্তা খুলে দেবেন যেখান থেকে তোমরা ধারণাও করতে পারবে না।” (সূরা তালাক ৬৫:২-৩)।
ইসলামী কালচার দেখলে দেখা যায়—স্ত্রী ঘরে থাকলে, পর্দা রক্ষা করলে, স্বামী যদি কষ্ট করেও হালাল উপার্জন করে, সেই উপার্জনে বরকত নেমে আসে। ফলে অল্প টাকায়ও কাজ চলে যায়।
আর হারাম উপার্জন করলে, স্বামী দাইয়্যুস হলে স্বামী-স্ত্রী মিলে কোটি টাকা উপার্জন করলেও সুকুন আসে না, মনে প্রশান্তি আসে না, বারেবারে মনে হবে কি যেন নেই জীবনে। এইটা দরকার, ওইটা দরকার। আর এই করতে করতে, আফসোসে, গ্লানিতে জীবন চলে যায়৷
স্বামী যদি অভাব দূর করার অজুহাতে স্ত্রীকে এই পরিবেশে ঠেলে দেয়, তবে সে মূলত নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।
“স্ত্রীকেও ইনকাম করতে দিলে সংসারের অভাব-অনটন ঘুচে যাবে, সুখ-সমৃদ্ধি আসবে”—এটা আসলে আধুনিক ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি।
ইসলাম বলে, বরকতই হলো প্রকৃত সমাধান। স্ত্রীকে রক্ষা করা, তাকে ঘরে সম্মান দেওয়া, নিজের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া এটাই স্বামীসুলভ মহত্ত্ব।
বিজ্ঞানও প্রমাণ করে নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক ভূমিকা অস্বীকার করলে পরিবার ও সমাজে অশান্তি বাড়ে।
(সংগৃহীত)

এটা আমার জিবনের সত্য কথা তাই পরের লিখাটা দিলাম 👇ভরা রোদ দুপুরে গোসল করে চুল শুখাচছিলাম ছাদের সিরিতে হঠাৎ অনেক ঠান্ডা বাত...
09/09/2025

এটা আমার জিবনের সত্য কথা তাই পরের লিখাটা দিলাম 👇

ভরা রোদ দুপুরে গোসল করে চুল শুখাচছিলাম ছাদের সিরিতে হঠাৎ অনেক ঠান্ডা বাতাস আসছে কেমন যেনো অদ্ভুত লাগলো সিঁড়ি থেকে নেমে ঘরে গেলাম। ওইদিনের পর থেকে আমার অনেক জর এমন জর নাকি কখনো আমার হয়নি আম্মু বলছে এলাকার ফার্মেসি ডা: চৌধুরী আনকেল উনাকে আমরা অসুখ বিসুখ হলে দেখাই আমার কিছুতেই জর ভালো হচ্ছিলো না আনকেল বললো আজিমপুরে একজন ডা:আছে ঢাকামেডিকেলর ডা: বসেন বিকেলে উনাকে নিয়ে দেখান। আব্বু নিয়ে গেলো আজিমপুরে একটা ছোট্ট ক্লিনিকে বিকেল ৫টায় ওইদিন ডা: একটু লেট করে আসবে ৬টার পর আসবে আব্বু সিরিয়াল আমার নাম দিলো। আজিমপুরে আব্বুর বন্ধু বান্ধব আছে ইসটানে কবরস্থান সাথে তখন কবরস্থান এতো গার্ড ছিলো না খোলামেলা ছিলো আব্বু তার বন্ধুর সাথে কথা বলছিলো। আমি আবার কবরস্থান থেকে না বুঝে একটা জবা ফুল ছিরছি এটা আবার একজন ওইখানের লোক দেখে বলছেন ওই মাইয়া ফুল ছিরো না ওখান থেকে কিন্তু আমি ঘুরে দেখি কেউ নাই আমি একটু ভয় পাইসি। আজিমপুরে কবরস্থান অনেক ঘটনা আছে অনেকে জানে। তো আমি ফুল আর ছিরি নাই আব্বু দেখে বলতেছে ফুল কই থেকে নিলি আমি আর ভয়ে কিছু বলি নাই যদি আববু বকা দেয় আমি যখন ফুল ছিড়লাম ঠিক তখন মাগরিব আজান দিচ্ছে। পরে আব্বু ওই ডা: কাছে নিয়ে গেলো বললো কিছু ওষুধ দিচ্ছি ওকে খাওয়ান কমে যাবে। তখন থেকে আমার জর আরো বারছে মাথা নিয়ে দারাতে পারছি না আব্বু কোলে করে নিয়ে বাসায় আসলো। আম্মু রাতে বসে বসে জর পট্টি দিচ্ছে ঔষধ খেলে একটু কমে কিন্তু আবার বারে একসময় আমার মুখ বাকা হয়ে যাচ্ছেলো কথা বললে মুখ বাকা হয়ে যায় কথা তেমন বলতে পারছি না পরের দিন আব্বু ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল ভর্তি করালো আমার চিকিৎসা শুরু জর কমছে কিন্তু মুখ বাকা ভালো হচ্ছিলো না ডা: থেরাপি দিচ্ছে প্রতিদিন সকালে বিকালে। অনেক বিল উটছিলো আব্বু আর বিল দাওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না ডা: সাথে পরামর্শ করে আমাকে রিলিজ দিলো কিন্তু থেরাপি বন্ধ দাওয়া যাবে না। এদিকে তেমন উন্নতি হচ্ছিলো না আমাদের এলাকা একজন আনটি ছিলো উনি আবার আসনে বসতো। উনার সাথে কয়েকটি জিন আছে উনার উপর ভর করে প্রতি সপ্তাহে সন্ধা উনি আসোনে বসতো। আমাকে দেখালো উনাকে উনার জিন বললো ও একদিন দুপুরে ছাদে চুল খুলে দারিয়ে ছিলো তখন ওর বাতাস লাগছে এমন কি কোথাও কবরস্থান কিছু করছে আমাকে জিজ্ঞেস করার পর আমি বলছি হে আমি ফুল ছিরছি কবর থেকে মাগরিবের সময়। তখন উনার জিন বললো ওকে সাবধানে রাখবেন ওর সমস্যা আরো বারবে আর প্রতি সন্ধা ৭দিন আগরবাতি ছাই সাথে কবরস্থান মাটি দিয়ে ওর মুখে মালিশ করাবে এখানে এসে। আর খিচুড়ি রান্না করে সবাই কে দিবে সাথে একদামে ফল ৬পদের আনবে। কবরস্থান এক দমে নিসশাস দিয়ে মাটি আনতে হবে আমার জিবনে এতো ভয়ংকর কিছু হবে আমার মা কল্পনা ও করে নাই লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে তাই পরের আবার লিখবো......... আর এটা কোনো গুজব না আমার জীবনে বাস্তব কথা আমার আর আমার ফেমেলি সাথে হয়েছে

09/09/2025
09/09/2025

অপরূপ সুন্দর 🥰🥰🥰🤘
ঘুরে আসলাম লাল এবং সাদা শাপলা বিল

ফুল ভিডিও ইউটিউবে লিংক : https://youtu.be/d2M-e4u7x0s?si=gkiuCJo98O1zWHwd



#শাপলা #শাপলারসৌন্দর্য #শাপলাভ্রমণ #নৌকাভ্রমণ #শাপলাযাত্রা #গ্রামেরসৌন্দর্য #বাংলারশাপলা #শাপলাপ্রেম

একজন পুরুষের জীবনে সবচেয়ে গভীর মানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টি করে তখনই, যখন তার স্ত্রী তার প্রতি অবাধ্য হয়ে যায়। কারণ স্ত্রী হলো...
08/09/2025

একজন পুরুষের জীবনে সবচেয়ে গভীর মানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টি করে তখনই, যখন তার স্ত্রী তার প্রতি অবাধ্য হয়ে যায়। কারণ স্ত্রী হলো স্বামীর শান্তির আধার, সুখের আশ্রয়। কিন্তু যদি সে অবাধ্য হয়ে যায়, তাহলে সেই আশ্রয়ই পরিণত হয় অশান্তির ঝড়ে। সংসারের সবচেয়ে বড় দুঃখ–দুর্দশা আর মানসিক কষ্ট শুরু হয় ঠিক সেখান থেকেই।

”বিয়ের পর প্রথম কয়েকটা দিন যেন স্বপ্নের মতো কেটেছিল। স্ত্রীর হাসিমুখটা দেখার জন্য আমি সব কিছু করতে প্রস্তুত ছিলাম। আমা...
05/09/2025

”বিয়ের পর প্রথম কয়েকটা দিন যেন স্বপ্নের মতো কেটেছিল। স্ত্রীর হাসিমুখটা দেখার জন্য আমি সব কিছু করতে প্রস্তুত ছিলাম। আমার দেনমোহর ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা, যার মধ্যে ৫০,০০০ টাকা বিয়ের সময় গহনাবাবদ পরিশোধ করেছিলাম। বাকি টাকাটা বছর খানেকের মধ্যেই নগদে পরিশোধ করে দিয়েছিলাম এবং বলেও ছিলাম, প্রতিমাসের বেতন থেকেই আমি তা পরিশোধ করছি।

তখন আমি ভাবিনি যে, নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে এসবের প্রমাণ রাখতে হয়। কারণ নিজের ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে হিসাব কষে চলাটা আমার কাছে খুবই দৃষ্টিকটু মনে হয়েছিল। সম্পর্ক তো বিশ্বাস আর ভালোবাসার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। কিন্তু একদিন আমার সেই ধারণা ভেঙে গেল, সংসারটা ভেঙ্গে যাবার আগেই!

আমাকে অবাক করে দিয়ে, আমার স্ত্রী দেনমোহরের বাকি টাকা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করল। আমি কিছুতেই প্রমাণ করতে পারছিলাম না যে আমি তাকে সব টাকা পরিশোধ করেছি।” কয়েকদিন আগে আমার এক পরিচিত মক্কেলের কাছ থেকে শোনা গল্প। গল্পটা হয়তো অনেকেরই।

আমাদের সমাজে এটি একটি সাধারণ ভুল। স্বামীরা দেনমোহর পরিশোধ করেন কিন্তু কোনো প্রমাণ রাখেন না। তারা মনে করেন, নিজের স্ত্রীর সঙ্গে এসবের লেনদেন রাখাটা ভালোবাসার প্রতি অমর্যাদা। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

যদি কোনো কারণে আপনার দাম্পত্য জীবনে জটিলতা দেখা দেয় এবং মামলা-মোকদ্দমা হয়, তখন আপনার এই ভালোমানুষীই আপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। একজন অ্যাডভোকেট হিসেবে আমি দেখেছি, প্রমাণের অভাবে অসংখ্য স্বামী দেনমোহরের টাকা দুবার পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

দেনমোহর পরিশোধের আইনগত দিক-
আইন অনুযায়ী, দেনমোহর স্ত্রীর একটি আইনি অধিকার এবং এটি অবশ্যই স্বামীকে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু যদি স্বামী তা পরিশোধ করার পরও কোনো প্রমাণ না রাখেন, তাহলে তিনি বিপদে পড়তে পারেন।

দাবির প্রমাণ: দেনমোহর পরিশোধের দায়িত্ব স্বামীর। যদি স্ত্রী দাবি করেন যে দেনমোহর পরিশোধ করা হয়নি, তবে স্বামীকে তা প্রমাণ করতে হবে যে তিনি দেনমোহর পরিশোধ করেছেন।

প্রমাণের গুরুত্ব: দেনমোহর পরিশোধের যেকোনো ধরনের প্রমাণ, যেমন - লিখিত রসিদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চেক বা একাধিক সাক্ষীর উপস্থিতি আদালতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মৌখিক দাবি বা স্রেফ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।

দৃষ্টিকটু নয়, দায়িত্ব: দেনমোহর একটি চুক্তিভিত্তিক বিষয়। এটিকে শুধুমাত্র আবেগের দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে, এর আইনি দিক সম্পর্কে সচেতন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।

মনে রাখবেন, দাম্পত্য জীবনের মধুরতা যেন আপনার আইনি অধিকারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে না দেয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ যদি যথাযথভাবে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, তাহলে অনেকের পক্ষেই বিয়ের সময়ই সেটা পরিশোধ করা সম্ভবপর হয়। এবং সেটাই করা উচিত।

আপনার করণীয়-
দেনমোহর সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করুন। চেষ্টা করুন, দেনমোহর বা এর কোনো অংশ পরিশোধ করার সময় অবশ্যই লিখিত রসিদ বা যেকোনো ধরনের প্রমাণ সংগ্রহে রাখতে।

আরও আইনি পরামর্শ পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন। সম্ভব হলে শেয়ার করে আপনার বন্ধু-স্বজনদেরও এ বিষয়ে সচেতন করুন। প্রয়োজনে আমাদের সাথে সরাসরি মেসেজ করে যোগাযোগ করুন।

আজ আপনার জন্য একটা প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি, স্বামী কর্তৃত দেনমোহর পরিশোধ করার প্রমাণ সবচেয়ে নিখুঁত উপায়ে চাওয়ার পদ্ধতি কী? জানা থাকলে বা আপনার মাথায় এলে আমাদের জানান।

#দেনমোহর #আইনি_সচেতনতা

🧿 স্বামী–স্ত্রীর মাঝে কালো জাদু ও বদ নজরের প্রভাব 🧿💔 কালো জাদুর সাধারণ লক্ষণ🔹 স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে হঠাৎ অকারণে ঝগড়া ও ম...
03/09/2025

🧿 স্বামী–স্ত্রীর মাঝে কালো জাদু ও বদ নজরের প্রভাব 🧿

💔 কালো জাদুর সাধারণ লক্ষণ
🔹 স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে হঠাৎ অকারণে ঝগড়া ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়া।
🔹 একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ ধীরে ধীরে কমে যাওয়া।
🔹 বিনা কারণে দূরত্ব তৈরি হওয়া, আলাদা থাকার ইচ্ছা জাগা।
🔹 সংসারে অশান্তি ও অস্থিরতা লেগেই থাকা।
🔹 নামাজ, ইবাদত বা সৎ কাজে মন না বসা।
🔹 শরীরে দুর্বলতা, মাথাব্যথা বা হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করা।

👁️ বদ নজরের লক্ষণ
🔸 দাম্পত্য সম্পর্কে হঠাৎ শীতলতা নেমে আসা।
🔸 সামান্য বিষয়ে বড় সমস্যা তৈরি হওয়া।
🔸 সংসারে শান্তি নষ্ট হয়ে অকারণে দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া।
🔸 অল্পতেই ভয়–ভীতি কাজ করা বা মানসিক অশান্তি অনুভব করা।
🔸 সুস্থ থেকেও বারবার অসুস্থ হয়ে পড়া।
🔸 সংসারে সুখ–শান্তি ও আনন্দ কমে যাওয়া।

🌿 সমাধান কী?
এ ধরনের সমস্যায় কুরআনের আয়াত ও হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়া, নামাজে অটল থাকা এবং নিয়মিত রুকইয়া শরীয়াহ করা সবচেয়ে উত্তম উপায়।
পরামর্শের জন্য কমেন্ট করতে পারেন‌ 🤲📢

যে স্ত্রীর গায়ে কখনও নখের আঁচড় দেয় নি।যাকে কখনও কথার দ্বারাও আঘাত করে নি।যাকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালোবেসেছে। যার কথাতে বে...
02/09/2025

যে স্ত্রীর গায়ে কখনও নখের আঁচড় দেয় নি।

যাকে কখনও কথার দ্বারাও আঘাত করে নি।

যাকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালোবেসেছে।

যার কথাতে বেকুবের মত সরকারি চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে।

সেই মনের মধ্যে ভালোবেসে যত্নে রাখা স্ত্রী বিশ্বাসঘাতকতা করে,তার মনেই ক্ষত করে তাকে ছেড়ে চলে গেল😭😭!!

হায় রে বিশ্বাসঘাতক!!

এই ভণ্ডামির যুগে,ছাড়াছাড়ি সম্পর্কের যুগে,স্বার্থের যুগে এমন ভালো, ভোলাভালা বেকুব প্রেমিক স্বামীও আছে??

আশ্চর্য!!

৯ মাস ট্রেনিং এর পর ১ তারিখ তার চাকরিতে জয়েন করার কথা।

তার এক বন্ধুর মাধ্যমে এক মেয়ে তার ফোন নম্বর জোগাড় করে। তারপর রেগুলার তাকে ফোন করে।

দুইবছরের মধ্যে তাদের মধ্যে মনের বেশ টানটান সম্পর্ক তৈরি হয়।
(অবশ্য ছলনাময়ী ঐ মেয়ের মনে এমন টানের সম্পর্ক হয় কি না আল্লাহ জানে!)

ছেলেটা অবাক হয়ে যায়, মেয়েটা তার পরিবারের সব খবর হুবহু জানে!

যায় হোক,সরল সোজা প্রেমিক ছেলেটা সত্যিই গভীর ভাবে ভালোবেসে ফেলে মেয়েটিকে।

যেদিন সে চাকরিতে জয়েন করবে তার কিছু সময় আগে মেয়েটা এমন পাগলের মত কাঁদতে থাকে, যে ছেলেটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়!
প্রিয়ার চোখের পানি তাকে পাগল করে দেয়।কষ্ট দেয়!

মেয়েটার কথা,তোমাকে ছেড়ে আমি কিছুতেই থাকতে পারব না।
আর তাছাড়া তুমি ভালো চাকরি করলে তখন তুমি আমাকে আর পছন্দ করবে না।অন্য কোন সুন্দরী মেয়ে পছন্দ করবে।

তুমি এখনই আমাকে বিয়ে কর।

ছেলেটা বলে,বিয়ে করার কথা জানাজানি হলে তো আমার চাকরির সমস্যা হবে।

তখন মেয়েটি বিরামহীন কাঁদতে থাকে আর আবেগি ভাষায় বলতে থাকে,তুমি দরকার হয় রিক্সা চালিয়ে আয় করবে।তাও আমি সুখে থাকব।কিন্তু তুমি ওখানে অত দূরে চাকরি করতে পারবা না।তাহলে আমাকে হারাবা।

ব্যাস!!

পাগল প্রেমিক তার মনের মানুষের এমন ক্রন্দন আর আবেগি ভাষণে আপ্লুত হয়ে পড়ে!

সে চাকরিতে জয়েন না করেই চলে আসে মেয়েটির কাছে।
আর তাকে বিয়ে করে।

একটা সময় সে ছোটখাটো একটা বেসরকারি চাকরি জোগাড় করে নেয়।

কিছুদিন পর তার আহ্লাদী স্ত্রী বায়না ধরে চাকরি করবে সে নিজে।

স্বামীও তার প্রিয়তমার মনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে একটা ভালো চাকরি পাইয়ে দয়।

এখান থেকেই জীবনের গল্পটা অন্যদিকে মোড় নেয়!!

স্ত্রী চাকরি পাওয়ার প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে স্বামীকে আর তার ভালো লাগে না!

স্বামীর কোনকিছুই তার ভালো লাগে না।

একটা সময় সে বাপের বাড়ি যেয়ে থাকতে শুরু করে।

হতভাগা প্রেমিক স্বামী তখন হতবিহ্বল!

কোনভাবেই স্ত্রীর মনের আবহাওয়া চেঞ্জ হওয়ার রহস্য খুঁজে পায় না।

এক সময় স্ত্রী তার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কয়েকটা ভাড়া করা ছেলে দিয়ে তাকে প্রচণ্ড মাইর খাওয়ায়!

স্ত্রীর সামনেই মেরে তাকে রক্তাক্ত করে ফেলে তারা😥!

সামনে নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকে মীরজাফর স্ত্রী!

হাত,পা দিয়ে রক্ত বের হয় তার😭।
মাথায় জখম হয়😥😥!
কিন্তু তাতে তার যন্ত্রণা তেমন অনুভূত হয় না।

তার ভয়ংকর জখম হয় কলিজায়😭😭!!
রক্তাক্ত হয় প্রেমিক মনটা😭!
সে জানতে পারে না,তার কি দোষ!

কেন,কোন অপরাধে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে দিতে চায়😥!

যার জন্য সরকারি চাকরি,সুন্দর ভবিষ্যত সব ছেড়ে দিল,সেই কিনা আজ তাকেই ছেড়ে দিতে চায়!!
😭😭!!

ডুকরে কেঁদে ওঠে তার মন😥
সে খুঁজতে থাকে তার ভুলটা কোথায়?

সে তো কোনদিন তার মনের মানুষকে আঘাত পর্যন্ত করে নি!
তাহলে....??

চোখের পানি ফেলে এই উত্তর খুঁজে ফেরে সে😢😢😢😢।

👉এই ধরনের মীরজাফর মার্কা স্ত্রীদের কি ক্ষমা করা উচিত?
দুনিয়াতে কি মন ভাঙ্গার,বিশ্বাসঘাতকতা করার কোন শাস্তি নেই?

নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ পরপুরুষের জিভের ডগায় লেগে থাকা প্রশংসার স্বাদ কেমন, জানেন?জানেন, সেই স্...
02/09/2025

নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ

পরপুরুষের জিভের ডগায় লেগে থাকা প্রশংসার স্বাদ কেমন, জানেন?

জানেন, সেই স্বাদ যখন শিরা-উপশিরা বেয়ে আপনার মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কেমন নেশা হয়? এটা এমন এক নেশা, যার কাছে পৃথিবীর দামী ব্র্যান্ডের অ্যালকোহলও ফিকে হয়ে যায়। এই নেশা আপনাকে মুহূর্তে মেঘের উপরে ভাসাতে পারে, আবার পরমুহূর্তেই টেনেহিঁচড়ে নামাতে পারে বাস্তবতার কঠিন মাটিতে, যেখানে আপনার সাজানো সংসার, বিশ্বাস আর ভালোবাসা টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে থাকে।

কি? চমকে গেলেন? ভাবছেন, আমি ফারহানা, এসব কী বলছি! ভাবছেন, একটা নির্দোষ প্রশংসা নিয়ে এত নোংরা কথা বলার কী আছে?

আসুন, আজ সেই নোংরামির গভীরতাটাই একটু মেপে দেখি। আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেই, আপাতদৃষ্টিতে "জাস্ট প্রশংসাবাক্য" মনে হওয়া কথাগুলোর আড়ালে কতটা ভয়ংকর লাম্পট্য আর calculado শিকারের ছক লুকিয়ে থাকে।

প্রশংসার মিষ্টি টোপ

নিচের কথাগুলো আপনার জীবনে কি কখনো শুনেছেন? বা আপনার আশেপাশের কেউ কি প্রায়ই শোনে?

১. "ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!"

বিশ্লেষণ: এটা শুধু আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা নয়। এটা একটা সূক্ষ্ম চাল। এই কথার মাধ্যমে আপনাকে আপনার বর্তমান পরিচয়—একজন স্ত্রী এবং মা—থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আপনি এখনো একজন কাঙ্ক্ষিত নারী, যাকে দেখলে সদ্য তরুণী বলে ভ্রম হয়। আপনার স্বামী হয়তো আপনাকে "বাচ্চার মা" হিসেবেই দেখে, কিন্তু এই 'অন্য' পুরুষটি আপনার ভেতরের সেই হারিয়ে যাওয়া 'আমি'-কে খুঁজে বের করেছে। কী অসাধারণ অনুভূতি, তাই না? ফাঁদটা এখানেই।

২. "ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? ... নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!"

বিশ্লেষণ: আপনার স্বামী হয়তো আপনার পুরো মুখটাকেই ভালোবাসে। কিন্তু এই পুরুষটি আপনার সৌন্দর্যের এমন এক ক্ষুদ্র ও ব্যক্তিগত অংশকে বিশেষভাবে প্রশংসা করছে, যা হয়তো আপনার স্বামী গত পাঁচ বছরেও খেয়াল করেনি। এই নির্দিষ্ট প্রশংসা আপনার মনে স্বামীর বিরুদ্ধে একটা চাপা অভিমান তৈরি করবে। মনে হবে, "এই মানুষটা আমাকে কতটা গভীরভাবে দেখে! আর আমার নিজের মানুষটা তো..."। এই 'গভীরভাবে দেখা'র বিভ্রমই হলো ধ্বংসের প্রথম ধাপ।

৩. "মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!"

বিশ্লেষণ: নিখুঁত চাল! আপনার এবং আপনার স্বামীর মধ্যকার সামান্য মনোমালিন্যের মুহূর্তে তৃতীয় কেউ এসে যখন আপনাকে 'নির্দোষ' এবং 'ফেরেস্তা'র সার্টিফিকেট দেয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর প্রতি আপনার ক্ষোভ বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনি ভাবতে শুরু করেন, "আমি তো আসলেই ভালো, সমস্যাটা তাহলে ওরই"। এই পুরুষটি তখন আপনার কাছে সহানুভূতিশীল বন্ধু বা 'soulmate' হয়ে ওঠে, যে আপনাকে 'বোঝে'। অথচ এর আড়ালে সে আপনার দাম্পত্যের ফাটলটাকে আরও বড় করার কাজেই ব্যস্ত।

৪. "একটা কথা বলি আপু! ... আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! ... টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!"

বিশ্লেষণ: শারীরিক সৌন্দর্যের বাইরে গিয়ে যখন কেউ আপনার কণ্ঠ বা ব্যক্তিত্বের এমন প্রশংসা করে, তখন সেটা আরও গভীরে গিয়ে আঘাত করে। আপনার মনে হতে পারে, এই মানুষটা কেবল আমার শরীর নয়, আমার আত্মাকেও সম্মান করছে। কিন্তু সত্য হলো, এটাও ফাঁদে ফেলার একটি অত্যাধুনিক কৌশল। সে আপনাকে বোঝাতে চাইছে, সে আপনার সবকিছুরই পূজারী। এই পূজা পাওয়ার লোভ সামলানো খুব কঠিন, তাই না? আমি ফারহানা, একজন নারী হিসেবে জানি, এই শব্দগুলোর টান কতটা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।

৫. "আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না... দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!"

বিশ্লেষণ: মারাত্মক অস্ত্র! আপনাকে 'আন্টি' বা বয়স্কের খোলস থেকে বের করে এনে সরাসরি 'বিয়ের যোগ্য' তরুণীর আসনে বসিয়ে দেওয়া হলো। আপনার অবচেতন মন মুহূর্তেই দশ বছর পেছনে চলে যাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি নিজেকে নতুন করে দেখবেন। আর যে পুরুষটি এই भ्रम তৈরি করলো, তাকে আপনার জীবনের 'মূল্যায়নকারী' বলে মনে হবে।

এই তালিকা আরও লম্বা হতে পারতো। "নীল শাড়ীতে আপনাকে কোয়েল মল্লিকের মতো লাগছে", "আমি আপনার মতো বউ পেলে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম" – এ সবই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

এবার আসল কথায় আসি। যে পুরুষেরা বিবাহিত নারীদের এভাবে প্রশংসার জালে জড়াতে চায়, তাদের ৯৯.৯৯% এর উদ্দেশ্য কী? আপনাকে বিয়ে করে সুখে সংসার করা?

না। একদমই না।

তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো, আপনার শরীর ও সঙ্গ ভোগ করা। তারা কুকুরের মতোই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা জানে, একজন বিবাহিত নারী মানসিক বা শারীরিকভাবে অতৃপ্ত থাকলে, কিংবা স্বামীর কাছে সামান্য অবহেলিত বোধ করলেই প্রশংসার কাঙাল হয়ে ওঠে। আর এই দুর্বলতার সুযোগ নেওয়াটা তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ।

তারা আপনাকে বিয়ে করবে না, কারণ তারা কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। তাদের লক্ষ্য হলো 'রেডিমেড' ফল খাওয়া। আপনার সাজানো সংসার আছে, আপনার সামাজিক পরিচয় আছে। আপনার সাথে একটা গোপন সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে কোনো দায়বদ্ধতা ছাড়াই সবটুকু নিংড়ে নেওয়া যায়। যতদিন ভালো লাগবে, ততদিন চলবে। তারপর? তারপর আপনি আপনার ভাঙা সংসার আর কলঙ্ক নিয়ে পড়ে থাকবেন, আর সে নতুন কোনো 'ভাবী' বা 'ম্যাডাম'-এর নাকের তিলের প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সোজা কথায়, যতদিন 'খাওয়া' যায়, ততদিনই আপনার কদর।

যে নারী তার স্বামীকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো, যার জীবনে স্বামীর বিকল্প কেউ ছিলো না, সেই নারীও যখন দিনের পর দিন বাইরের কোনো পুরুষের মুখে নিজের এমন খুঁটিনাটি প্রশংসা শোনে, তখন তার ভাবনার জগতে ঝড় ওঠে।

সে ভাবতে শুরু করে:
"আমার স্বামী তো আমাকে এত্ত ভালোবাসে, কিন্তু ও তো কোনোদিন আমার কপালের টিপটা নিয়ে এমন করে কিছু বলেনি!"
"আমি সংসারে সবার জন্য খেটে মরছি, আর ও আমাকে শুধু 'দরকার' হিসেবেই দেখে। অথচ বাইরের ওই লোকটি আমার ভেতরের সৌন্দর্যকে সম্মান করে।"
"আমার স্বামী হয়তো আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু সে আমাকে 'desire' করে না। এই লোকটি আমাকে বুঝিয়ে দিলো, আমি এখনো কতটা আকর্ষণীয়।"

এই ভাবনাগুলোই হলো বিষ। এই বিষাক্ত ভাবনা থেকে জন্ম নেয় দাম্পত্য কলহ। স্বামীর ছোটখাটো ভুলও তখন অসহ্য মনে হয়। আপনি অকারণে খিটখিট করবেন, সামান্য কথায় ঝগড়া করবেন। কারণ আপনার মনে তখন একটা তুলনামূলক বিচার চলছে, যেখানে আপনার স্বামী প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে সেই 'প্রশংসাকারী' পুরুষের কাছে।

সুখের সংসারে থাকা একজন নারীও তখন নিজের মধ্যে 'অভাব' খুঁজে পায়। যে অভাবটা আসলে ছিলোই না, সেটা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বাইরে থেকে। এরপর শুরু হয় গোপন চ্যাটিং, লুকিয়ে দেখা করা, এবং অবশেষে পরকীয়া—যা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা" আপনার আত্মসম্মানকে এমনভাবে বাড়িয়ে দেবে যে আপনি আপনার বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে শুরু করবেন। আর এভাবেই একটা জলজ্যান্ত মানুষকে মানসিক এবং সামাজিকভাবে খুন করে ফেলা হয়।

আমি জানি, প্রশংসা শুনতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে কোনটা নির্দোষ প্রশংসা আর কোনটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত 'টোপ'। যে পুরুষ আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়, আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সহানুভূতি দেখানোর নামে নাক গলায়, আপনার দাম্পত্যের খুঁটিনাটি জানতে চায়—সে কখনোই আপনার বন্ধু হতে পারে না। সে একজন শিকারি।

এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে! নাহ, এরা অবশ্যই, অবশ্যই, এবং অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!!

একই কথা পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিছু নারীও সুদর্শন পুরুষ বা অফিসের বসকে ফ্লার্ট করে নিজের কার্যসিদ্ধি করতে চায়। ফাঁদ দুই দিক থেকেই হতে পারে।

তাই, যদি জীবনে সুখী হতে চান, নিজের পরিবারকে ভালোবাসেন, তাহলে এই ধরনের মানুষের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারো মিষ্টি কথায় গলে যাবেন না। যে আপনার রূপের বা গুণের প্রশংসা করে আপনাকে আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিতে চায়, তাকে সরাসরি ব্লক করুন। কারণ, এই প্রশংসার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত সাপটি ছোবল দেওয়ার আগেই তাকে চিনে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

মনে রাখবেন, আপনার স্বামী হয়তো কবি নয়, সে হয়তো প্রতিদিন আপনার নাকের তিলের প্রশংসা করে না। কিন্তু দিনশেষে অসুস্থ হলে মানুষটা সেই-ই আপনার পাশে নির্ঘুম রাত কাটায়। আপনার সন্তানের দায়িত্ব নেয়। আপনার সংসারের ভার বয়। ক্ষণিকের নেশার জন্য এই চিরস্থায়ী আশ্রয়টাকে নষ্ট করবেন না।

কুকুর হইতে সাবধান।

ফারহানা

, , , , , , , , ,

Address

Cottogram
Cox's Bazar
7851

Telephone

+8801963918927

Website

https://www.youtube.com/@BEAhmed-ri5gh

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ABRAR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ABRAR:

Share