23/09/2025
জুলাই আন্দোলনে অবদান: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও কওমি আলেম-শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কোথায়?
-----------------------------------
নিজস্ব প্রতিনিধি।
------------
জুলাই আন্দোলনে দেশের জন্য আত্মত্যাগ ও অবদান রাখা রাজনৈতিক দল ও আলেম-শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রশ্ন। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আন্দোলনের অন্যতম বড় শক্তি হয়ে মাঠে থাকলেও, ড. ইউনূস সরকারের আমলে দলটি প্রত্যাশিত মর্যাদা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বীকৃতির বাইরে চরমোনাই পীরের দল
রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ১মাত্র সক্রিয় ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবুও সরকারের স্বীকৃতি ও সম্মান তাদের কাছে পৌঁছায়নি। এমনকি নিউইয়র্ক সফরে প্রায় সব দলকে সম্মান জানানো হলেও চরমোনাই পীরের দলকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি—যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
আলেম-শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ
জুলাই আন্দোলনে কওমি আলেম ও ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ ছাড়াই তারা রাজপথে নেমেছেন এবং অনেকেই জীবন দিয়েছেন। কিন্তু দেশের জন্য দেওয়া সেই আত্মত্যাগ আজও সঠিকভাবে স্মরণ বা মূল্যায়িত হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
আলোচনায় কয়েকটি প্রশ্ন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কওমি আলেম ও ছাত্ররা—যারা আন্দোলনে সর্বাধিক সক্রিয় ছিলেন—তাদের প্রতি সরকারের প্রদত্ত মূল্য কোথায়?
শহীদের রক্ত ও আন্দোলনের ত্যাগ কি কেবল অন্যদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের উপকরণ হয়ে দাঁড়াল?
এত আত্মত্যাগের পরও ইসলাম ও সাধারণ জনগণের কল্যাণে কি কোনো স্থায়ী পরিবর্তন এসেছে?
বিশ্লেষকদের মত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনীতির ভিত দাঁড়িয়ে আছে শহীদের রক্ত ও আন্দোলনকারীদের ত্যাগের উপর। তাই এই ত্যাগকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, জাতীয় প্রয়োজনও বটে। অন্যথায়, ভবিষ্যতের আন্দোলনগুলোতে ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ নিরর্থক হয়ে যাবে।