09/02/2025
" চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না নিলেও বাংলাদেশকে খরচ দিতে হবে " | ( রবিবার | ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০২৫ )
২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগ্রহে আদানি গ্রুপের সাথে ১৪৯৮ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ চুক্তি করে বাংলাদেশ। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত গোপনীয় বজায় রেখে এই চুক্তিটি সই করে।
চুক্তিতে বলা হয়, ন্যূনতম চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না নিলেও বাংলাদেশকে খরচ দিতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে মানের কয়লাই ব্যবহার করা হোক না কেন, আন্তর্জাতিক দর অনুযায়ী ভালো মানের দাম পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া ভারত অংশের সঞ্চালন লাইনের পুরো খরচও বাংলাদেশ বহন করবে বলে উল্লেখ করা হয়।
চুক্তিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে দেশের স্বার্থবিরোধী অসংখ্য ধারা রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত পর্যালোচনা কমিটি চুক্তিটির বৈধতা নিয়ে তদন্ত করছে। চলতি মাসের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।
পর্যালোচনা কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন জানান, চুক্তিটির পুরো সুবিধা আদানি গ্রুপ ভোগ করছে। সরকার একতরফাভাবে এটি বাতিল করতে পারে, তবে এটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।
সাধারণ জনগণ অসম এই চুক্তিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চুক্তিটি আর্থিক বা রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে হয়ে থাকতে পারে।
জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, প্রথম সালিশে হয়তো হারার সম্ভাবনা আছে, তবে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া যেতে পারে। সেখানে চুক্তির অনিয়মের প্রমাণ দিলে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে।
ড. জাহিদ হোসেন জানান, যদি চুক্তির পেছনে দুর্নীতি প্রমাণ করা যায়, তবে পরিস্থিতি বদলে যাবে। তবে প্রমাণগুলো আদালতের গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
অন্য চুক্তিগুলোতে বিল পরিশোধে বিলম্ব হলে ১৫ শতাংশ সুদ দেয়ার শর্ত না থাকলেও আদানির চুক্তিতে তা রয়েছে। সেই শর্ত কাজে লাগিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দাবি করছে গ্রুপটি।