ATM News TV

ATM News TV Welcome to "ATM News Tv", an online based news portal. send your story/news to our inbox or email us at : [email protected]

দুই জেনারেলের রক্তক্ষয়ী সংঘাত: সুদানের গৃহযুদ্ধ ও এল-ফাশেরে মানবতা লুণ্ঠন     |     ৩১ অক্টোবর. ২০২৫     |     আন্তর্জা...
31/10/2025

দুই জেনারেলের রক্তক্ষয়ী সংঘাত: সুদানের গৃহযুদ্ধ ও এল-ফাশেরে মানবতা লুণ্ঠন | ৩১ অক্টোবর. ২০২৫ | আন্তর্জাতিক সংবাদ

আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদান বর্তমানে এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের শিকার। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া এই সংঘাত মূলত দেশের সামরিক শাসক ও ক্ষমতাশীল দুটি প্রধান সামরিক গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই থেকে জন্ম নেয়। এই যুদ্ধ এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার মতো নৃশংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

এই গৃহযুদ্ধের মূল কারণ হলো সুদানের সার্বভৌমত্ব পরিষদ (Sovereign Council)-এর প্রধান এবং দেশের কার্যত শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান-এর নেতৃত্বাধীন সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস (SAF) এবং তার সহকারী মোহামেদ হামদান দাগালো (যিনি হেমেডটি নামে পরিচিত)-এর নেতৃত্বাধীন র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)-এর মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব।

যুদ্ধ শুরু হয় রাজধানী খার্তুমে, যখন RSF গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা এবং সামরিক ঘাঁটি দখল করতে শুরু করে। প্রথম দিকে খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিমান হামলা চলে, যা শহরটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। যদিও SAF পরবর্তীতে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের মতো কিছু প্রতীকী স্থান পুনরুদ্ধার করে, RSF খার্তুমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এখনও শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।

সংঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহতা দেখা যায় পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে। জাতিগত সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস থাকায়, RSF এবং তাদের সহযোগী আরব মিলিশিয়ারা অ-আরব জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধন ও গণহত্যা শুরু করে। ২০২৩ সালে পশ্চিম দারফুরের রাজধানী জেনিনাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে অভিযোগ ওঠে।

২০২৪ সালের শেষ দিকে সংঘাত তার চরম বিন্দুতে পৌঁছায়। দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ বড় ঘাঁটি ছিল এল-ফাশের শহর। প্রায় ১৮ মাস অবরোধের পর সম্প্রতি (অক্টোবর ২০২৫-এর শেষ নাগাদ) RSF এই শহরটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই পতন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মোড়।

এল-ফাশের দখলের পর সেখানে ঘটে যাওয়া নৃশংসতা বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করেছে: সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১৫০০ থেকে ২০০০-এরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। RSF একটি হাসপাতালে ঢুকে শত শত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। গণহত্যার অভিযোগের পাশাপাশি, অ-আরব জনগোষ্ঠীর উপর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।

সংঘর্ষের জেরে সুদান বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দু। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। এর মধ্যে ২.১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলিতে শরণার্থী হয়েছে। প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ (দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা) তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিছু বাস্তুচ্যুত শিবিরে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি হয় ধ্বংস হয়েছে, না হয় আক্রমণের শিকার হয়েছে। বহু স্বাস্থ্যকর্মী পালিয়ে গেছেন। |

জাতিসংঘ (UN) এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষকেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে। বিশেষ করে দারফুরে RSF-এর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচিত।

সৌদি আরব, মিশর, কাতার সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলি অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ এল-ফাশেরের পরিস্থিতিকে "ভয়াবহ বৃদ্ধি" হিসেবে চিহ্নিত করে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার পথ দ্রুত খোলার দাবি জানিয়েছে।

24/10/2025

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনজুর কাদেরের কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদের উপরে অভাবনিয় ছাদ বাগানের সাফল্য। প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন লায়ন আলহাজ্ব এ,টি,এম আমিরুল গণি খোকন সম্পাদক এটিএম নিউজ টিভি। পুরো ভিডিও দেখতে পাবেন এটিএম নিউজ টিভিতে।।

ইতালিতে অর্ধ মিলিয়ন কর্মী নিয়োগ: বাংলাদেশিদের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ, আজ থেকে আবেদন শুরু। ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে বৈ...
23/10/2025

ইতালিতে অর্ধ মিলিয়ন কর্মী নিয়োগ: বাংলাদেশিদের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ, আজ থেকে আবেদন শুরু। ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে বৈধ শ্রমের দুয়ার উন্মুক্ত; দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে কঠোর হচ্ছে রোম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২৩ অক্টোবর. ২০২৫ ইংরেজি

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ – ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ইতালি সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বৈধভাবে কাজ করার এক ঐতিহাসিক শ্রম নিয়োগ কর্মসূচি উন্মোচন করেছে। দেশটির শ্রম ঘাটতি মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে, ২০২৬ সালের মধ্যে বিভিন্ন খাত থেকে পাঁচ লক্ষ (৫০০,০০০) বিদেশী কর্মী নিয়োগের এক মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত ৩৮টি নন-ইইউ (EU) অনুমোদিত দেশের মধ্যে অন্যতম।

এই সরকারের-পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শ্রম ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আজ, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে এবং যা ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। আগ্রহী বাংলাদেশি কর্মপ্রার্থীদের ইতালির অফিসিয়াল অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে তাদের ফর্ম জমা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের ১২ তারিখ এবং ফেব্রুয়ারী মাসের ৯, ১৬, ও ১৮ তারিখ নির্ধারিত “ক্লিক ডে”-গুলিতে চূড়ান্তভাবে আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে।
সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া: দালাল-মুক্ত পরিবেশের অঙ্গীকার

এই নতুন ভিসা পদ্ধতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো স্বচ্ছতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ। ইতালীয় কর্তৃপক্ষ দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণ থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে কঠোর যাচাইকরণ প্রক্রিয়া এবং স্বয়ংক্রিয় নথি স্ক্রিনিং প্রবর্তন করেছে।
রোমের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে জানানো হয়েছে যে, শুধুমাত্র সম্পূর্ণ বৈধ ও যাচাইকৃত শংসাপত্রধারী নিয়োগকর্তারা (Employers) বিদেশী কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং আইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যার ফলে শ্রমিকরা প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবেন।
কৃষি, নির্মাণ এবং আতিথেয়তায় বিশাল চাহিদা

বর্তমানে ইতালি কৃষি, নির্মাণ এবং আতিথেয়তা (Hospitality) সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতে তীব্র শ্রম ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই নতুন উদ্যোগটি বাংলাদেশি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত কাঠামোর অধীনে উল্লেখযোগ্য বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই কর্মসূচি শুধু ইতালির শ্রম বাজারের চাহিদা মেটাবে না, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যেও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। এটি অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশের ঝুঁকি কমিয়ে কর্মীদের বৈধ ও সম্মানজনক উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।

এই কর্মসূচির সফলতা নির্ভর করছে কর্মপ্রার্থীদের সময়মতো, সঠিক তথ্য দিয়ে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত নিয়মাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করে আবেদন করার ওপর।

পেকুয়া, চকরিয়া তথা কক্সবাজার জেলার উন্নয়নের কান্ডারি " জনাব সালাহুদ্দিন আহমদ "🌾🇧🇩 চকরিয়া-পেকুয়ার অনন্য নেতা — সালাহউদ্...
23/10/2025

পেকুয়া, চকরিয়া তথা কক্সবাজার জেলার উন্নয়নের কান্ডারি
" জনাব সালাহুদ্দিন আহমদ "

🌾🇧🇩 চকরিয়া-পেকুয়ার অনন্য নেতা — সালাহউদ্দিন আহমদ

যখন সারাদেশে বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সময় কঠিন ছিল, তখবও চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণ সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে ছিলেন।
🌾 ১৯৯৬: যদিও বিএনপি সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়, সালাহউদ্দিন চকরিয়া-পেকুয়ায় জয়ী হন।
🌾 ২০০১: বিপুল ভোটে জয়ী হন, পুরো চকরিয়া-পেকুয়া তাঁর নেতৃত্বে একজোট হয়।
🌾 ২০০৮: ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হয় তাঁর নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার জন্য,
তবুও মানুষ তাঁর আস্থা রাখে এবং তাঁর পত্নী হাসিনা আহমেদকে জয়যুক্ত করে।
🌾 ২০১৮: রাতের ভোটে জয় ছিনিয়ে নেওয়া হলেও, চকরিয়া-পেকুয়া জানে — সালাহউদ্দিন আহমদই তাঁদের প্রকৃত নেতা।

🌾 কক্সবাজার-১ আসনে জনাব Salahuddin Ahmed বা হাসিনা আহমেদ বিএনপির দলীয় প্রার্থী।
বিভিন্ন নিউজ সোর্স মতে, সালাহউদ্দিন আহমদ তাঁর প্রিয় চকরিয়া-পেকুয়া আসনে ধানের শীষের প্রার্থী।

🌾সালাহউদ্দিন ভাইয়ের সালাম নিন,
ধানের শীষে ভোট দিন।🌾

🌾 কক্সবাজার-১ আসনে ধানের শীষে ভোট দিন।

ঐতিহাসিক পরিবর্তন: সৌদিতে ৫০ বছরের 'কাফালা' পদ্ধতি বাতিল, ১.৩ কোটি শ্রমিকের জন্য মুক্তির বার্তা২২ সেপ্টেম্বর. ২০২৫      ...
22/10/2025

ঐতিহাসিক পরিবর্তন: সৌদিতে ৫০ বছরের 'কাফালা' পদ্ধতি বাতিল, ১.৩ কোটি শ্রমিকের জন্য মুক্তির বার্তা

২২ সেপ্টেম্বর. ২০২৫ | আন্তর্জাতিক সংবাদ

রিয়াদ: মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম শ্রমবাজার সৌদি আরব অবশেষে তার বহুল সমালোচিত ও প্রায় সাত দশক ধরে প্রচলিত কাফালা (Kafala) বা স্পন্সরশিপ পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে। এর পরিবর্তে একটি নতুন চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান মডেল চালু করা হয়েছে, যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বিদেশি শ্রমিকের জীবনে মৌলিক স্বাধীনতা ও অধিকার ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত এই যুগান্তকারী শ্রম সংস্কার দেশটির ভিশন ২০৩০ অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির একটি প্রধান অংশ। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে নিজেদের শ্রমবাজারকে আরও বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল।

নতুন চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান মডেলে বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নিয়োগকর্তার (কাফিল) নিয়ন্ত্রণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে। নতুন নিয়মের ফলে শ্রমিকেরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাবেন:

- নিয়োগকর্তার সম্মতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন: বিদেশি শ্রমিকেরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগকর্তার অনুমোদনের প্রয়োজন ছাড়াই অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি বদল করতে পারবেন। চুক্তির মেয়াদ চলাকালীনও কিছু নির্দিষ্ট শর্ত (যেমন: পর্যাপ্ত নোটিশ প্রদান) সাপেক্ষে চাকরি পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।

- স্বাধীনভাবে দেশত্যাগ: শ্রমিকেরা এখন নিয়োগকর্তার 'এক্সিট পারমিট' বা অনুমতির অপেক্ষা না করে নিজেরাই ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার জন্য এন্ট্রি-এক্সিট এবং রি-এন্ট্রি ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

- ভিসা নবায়ন ও আইনি স্বাধীনতা: নিয়োগকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকেই ভিসার নবায়নের আবেদন করা যাবে। এছাড়া শ্রমিকেরা এখন শ্রম আদালতে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ বা নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা চাওয়ার ক্ষেত্রেও অধিকতর স্বাধীনতা পাবেন।

'কাফালা' পদ্ধতিটি ১৯৫০-এর দশকে চালু হয়েছিল এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি লক্ষ লক্ষ অভিবাসী কর্মীর শোষণ ও নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল। এই পদ্ধতিতে একজন শ্রমিকের আইনি অবস্থান তাঁর নিয়োগকর্তার সঙ্গে এমনভাবে বাঁধা থাকত যে, নিয়োগকর্তা প্রায়শই শ্রমিকের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করতেন, মজুরি দিতে দেরি করতেন এবং শ্রমিককে কার্যত দাসত্বের মতো অবস্থায় আটকে রাখতে পারতেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে আসছিল। নতুন এই সংস্কারের লক্ষ্য হলো শ্রমবাজারে দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং একই সঙ্গে বিদেশি কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উন্নত করা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিবর্তন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ইত্যাদি) কোটি কোটি শ্রমিকের জন্য এক বিশাল স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে, যাঁরা দীর্ঘকাল ধরে শোষণের শিকার হচ্ছিলেন। তবে সংস্কারের সম্পূর্ণ সুবিধা নিশ্চিত করতে হলে এর প্রয়োগ ও নজরদারির ওপর সরকারের কঠোর মনোযোগ প্রয়োজন।

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ: নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার শঙ্কা, ৪ বন্দরে সতর্ক সংকেত জারিবিশেষ প্রতিনিধি     |      আবহাওয়া ডে...
22/10/2025

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ: নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার শঙ্কা, ৪ বন্দরে সতর্ক সংকেত জারি

বিশেষ প্রতিনিধি | আবহাওয়া ডেস্ক | ২২ অক্টোবর, ২০২৫, সন্ধ্যা ৬টা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্য দেখা দেওয়ায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর/দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া, এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হলে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গেছেন, তাদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পরবর্তী আপডেট তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হবে।

চকরিয়ায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা, একই পরিবারের ৫ জন গুরুতর আহত১৮ অক্টোবর. ২০২৫     |     নিজস্ব প্রতিবেদনচক...
18/10/2025

চকরিয়ায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা, একই পরিবারের ৫ জন গুরুতর আহত

১৮ অক্টোবর. ২০২৫ | নিজস্ব প্রতিবেদন

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ব্লকের কবির মেম্বারের ঘাটায় শুক্রবার বিকেলে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরখালীর আলোচিত ‘দিদার বাহিনী’র প্রধান দিদারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দিদার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বদরখালী এলাকায় সন্ত্রাস, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে চক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

আহত পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আইনি সহায়তা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

17/10/2025

পেইজটি ফলো করার অনুরোধ রইল।
Kindly Follow this page : Two Myths​

পাহাড়ে ‘সেনা হটাও’ স্লোগান: ভারতের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার আড়ালে চাপা পড়ছে কি পার্বত্য চট্টগ্রামের জটিলতা? — প্রতিবেশী রাষ...
15/10/2025

পাহাড়ে ‘সেনা হটাও’ স্লোগান: ভারতের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার আড়ালে চাপা পড়ছে কি পার্বত্য চট্টগ্রামের জটিলতা? — প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর বিপুল সামরিক উপস্থিতির পরও কেন প্রশ্ন শুধু বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে?

১৫.অক্টোবর.২০২৫ | চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদন:
দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য সামরিক উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এক শ্রেণির পাহাড়ি নেতা, কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং দেশের তথাকথিত বামপন্থি ও সুশীল সমাজের একটি অংশের লাগাতার ‘সেনা হটাও’ স্লোগান এখন বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাদের এই দাবির বিপরীতে প্রশ্ন উঠছে: যেখানে ভারতসহ অন্য প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের পাহাড়ি অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন রেখেছে, সেখানে কেন শুধু বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা উপস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?
কাশ্মীরের সাত লাখ, অথচ প্রশ্ন শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে
জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, নাগাল্যান্ড, আসাম কিংবা মণিপুরের মতো ভারতের সংঘাতপ্রবণ পাহাড়ি অঞ্চলে বিশাল সামরিক উপস্থিতি একটি স্বীকৃত ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু কাশ্মীরেই প্রায় সাত লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক সমাবেশ। চীন, পাকিস্তান এবং নেপালের মতো দেশগুলোও তাদের সীমান্তসংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক সামরিক অবকাঠামো ও চেকপোস্ট বজায় রেখেছে।

সচেতন মহলের প্রশ্ন, যদি এই সকল দেশে সীমান্ত সুরক্ষা, বিদ্রোহ দমন এবং ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত মোকাবিলার জন্য সামরিক উপস্থিতি আবশ্যক হয়, তবে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে কেন ভিন্ন মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে?

বিশ্লেষকদের মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘সেনা হটাও’ আন্দোলনের প্রধান ইন্ধন যোগাচ্ছে মূলত কয়েকটি আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠী, যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ, নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রমতে, এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য এসব গোষ্ঠী দায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, “ভারতের কাশ্মীর বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি মূলত বহিঃশত্রু ও দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন মোকাবিলার জন্য। অন্যদিকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক উপস্থিতি ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির পরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা চুক্তিবিরোধী সশস্ত্র দলগুলোর সন্ত্রাস দমন এবং সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন। এই সন্ত্রাসীদের মদদেই একটি পক্ষ সুযোগ নিচ্ছে সামরিক উপস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।”

১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির পর সরকার ইতোমধ্যে ২৩২টি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রত্যাহার করেছে। তবে চুক্তির কিছু মৌলিক ধারা (যেমন ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি) পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার সুযোগ নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলো তাদের আন্দোলনকে জিইয়ে রেখেছে।
সরকার পক্ষ বলছে, চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া, কিন্তু তার আগেই সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তারা যুক্তি দেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই অঞ্চলে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বন্ধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সামরিক উপস্থিতি অপরিহার্য। অন্যদিকে, সুশীল সমাজের একাংশ চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং সামরিকীকরণ কমানোর পক্ষে সওয়াল করছে।

ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের অখণ্ডতা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখতে সামরিক উপস্থিতি আবশ্যক। তবে একই সঙ্গে ১৯৯৭ সালের চুক্তির পূর্ণাঙ্গ ও দ্রুত বাস্তবায়নই এই বিতর্ক এবং আঞ্চলিক অস্থিরতা নিরসনের একমাত্র স্থায়ী পথ।

ভৌতিক সজ্জার আড়ালে তান্ত্রিকের কৌশল! সীমান্ত পেরিয়ে আসা ‘কাটা অঙ্গ’ ও মাকড়সার উপকরণ ঘিরে চাঞ্চল্যবিশেষ প্রতিবেদক: ঢাকা/ক...
14/10/2025

ভৌতিক সজ্জার আড়ালে তান্ত্রিকের কৌশল! সীমান্ত পেরিয়ে আসা ‘কাটা অঙ্গ’ ও মাকড়সার উপকরণ ঘিরে চাঞ্চল্য

বিশেষ প্রতিবেদক: ঢাকা/কলকাতা

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর. ২০২৫ – উচ্চশিক্ষা বা প্রাচীন জ্ঞান, কোনো বিশেষ বিষয়ের সন্ধানে দূর দূরান্তে যাওয়ার রেওয়াজ নতুন নয়। কিন্তু, সেই অনুসন্ধানের পথ ধরে যদি আধুনিক বাণিজ্যিক পণ্য এসে মেশে শতাব্দী প্রাচীন তন্ত্রসাধনায়? ঠিক এমন এক রহস্যময় উপকরণ নিয়ে সম্প্রতি ভারত ও নেপাল সংলগ্ন অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন চাঞ্চল্য।

একটি অনুসন্ধানী সূত্র মারফত প্রাপ্ত কিছু ছবি দেখায়, সেখানে কালো লোমশ মাকড়সা এবং কৃত্রিম রক্তমাখা ব্যান্ডেজ জড়ানো কাটা হাত ও পা'র মতো বীভৎস সজ্জা উপকরণ দেখা যাচ্ছে। যদিও এই উপাদানগুলো বিশ্বজুড়ে হ্যালোইন বা ভয়ের থিমযুক্ত পার্টির জন্য ব্যবহৃত সাধারণ 'প্রপস', তবে এগুলিকে 'পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আসা যাদুবিদ্যার উপকরণ' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা।

ঐতিহ্যগতভাবে, যাদুবিদ্যা এবং তন্ত্রের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে সাধকরা মিশর, নেপাল, এবং ভারতে পাড়ি জমান। বিশেষত, হিমালয় সংলগ্ন এই অঞ্চলগুলি তান্ত্রিক সাধনা এবং লোকজ যাদুবিদ্যার প্রাচীন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। পশ্চিমা গবেষক এবং আধ্যাত্মিক অনুসন্ধিৎসুরা আজও নিয়মিত এখানে আসেন জ্ঞানের সন্ধানে।

কিন্তু, আধুনিক যুগে এসে প্রথাগত উপাদান (যেমন বিশেষ গাছের মূল বা প্রাণীজ অংশ) -এর অপ্রতুলতার কারণে কি এই বাণিজ্যিক সজ্জাগুলি প্রতীকী উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কৃত্রিম কাটা অঙ্গ এবং মাকড়সা, যা বিশ্বজুড়ে ভয় ও মৃত্যুর প্রতীক, তা এখন পুরনো রীতির 'অশুভ প্রতীক' হিসেবে স্থান করে নিচ্ছে। এর সাথে যদি তেলুগু ভাষার মতো কোনো সংযোগ থাকে, তবে তা দক্ষিণ ভারতের কোনো বাণিজ্যিক রুট বা স্থানীয় যাদুচর্চার একটি আধুনিকীকরণের ইঙ্গিত দেয়।

এই 'যাদু উপকরণ' ব্যবহারের কারণ অজানা হলেও, ধারণা করা হচ্ছে এগুলো কোনো প্রতীকী তান্ত্রিক বা লোকজ যাদুক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রধান ধর্মীয় অনুশাসনগুলি কালো যাদু বা ক্ষতিকারক চর্চা সম্পর্কে কঠোর অবস্থান নেয়:
-ইসলাম: ইসলামে যাদুবিদ্যাকে 'শিরক' এবং গুরু পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
- খ্রিস্ট ধর্ম: বাইবেলে যাদু, মন্ত্র ও ডাইনিবিদ্যাকে শয়তানের কাজ এবং ঈশ্বরের আদেশের লঙ্ঘন হিসেবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
-হিন্দু ধর্ম: কল্যাণমূলক যাদু বৈধ হলেও, অন্যের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কালো যাদু চর্চাকে ধর্মীয় অনুশাসন ও সমাজ নিন্দনীয় চোখে দেখে।

আধুনিক বাণিজ্যিক সজ্জার মোড়কে প্রাচীন প্রতীকের এই ব্যবহার স্থানীয় সংস্কৃতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে—এটি কি নিছকই কৌতুক, নাকি প্রাচীন রীতির এক আধুনিক এবং সাশ্রয়ী সংস্করণ? উত্তর খুঁজছেন স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজবিজ্ঞানীরা। এই ঘটনা পুনরায় প্রমাণ করে, জ্ঞান এবং বিশ্বাসের জগতে আধুনিকতার অনুপ্রবেশ কীভাবে প্রথাগত চর্চাকে প্রভাবিত করতে পারে।

ইসলামী ব্যাংকে ‘ঝিমুনি’ আতঙ্ক! গণহারে ছাঁটাইয়ের পর নিয়োগপ্রাপ্ত ‘বয়স্ক’ কর্মীদের নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা!১৪.অক্টোবর.২০২৫ ইংরে...
14/10/2025

ইসলামী ব্যাংকে ‘ঝিমুনি’ আতঙ্ক! গণহারে ছাঁটাইয়ের পর নিয়োগপ্রাপ্ত ‘বয়স্ক’ কর্মীদের নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা!

১৪.অক্টোবর.২০২৫ ইংরেজি | ঢাকা

বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-তে গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মতৎপরতা নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছাঁটাইয়ের পর তাড়াহুড়ো করে নিয়োগ দেওয়া নতুন, বিশেষত 'বয়স্ক' কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। তাদের অনেকেই নাকি অফিসে 'ঘুমিয়ে ও ঝিমিয়ে' দিন কাটাচ্ছেন, এমনকি সাধারণ ব্যাংকিং কাজ (Basic Banking Activity) সম্পর্কেও তাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই! দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ব্যাংকের এমন পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাংকপাড়া ও গ্রাহকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ ও উদ্বেগ।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীন সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি যে সকল নতুন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই প্রথাগত ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের অভাব নিয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি বয়স্ক কর্মকর্তাদের সংখ্যাধিক্য দেখা যাচ্ছে। তাদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিয়ে একাধিক শাখা থেকে আসা অভিযোগ রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, "সারা দিনে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমানো বা ঝিমিয়ে থাকা এদের নিত্যদিনের ঘটনা। সাধারণ লেনদেন বা গ্রাহক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাদের জ্ঞান খুবই নড়বড়ে। বেসিক ব্যাংকিংয়ের 'এবিসিডি'ও অনেকে জানেন না।" এর ফলে ব্যাংকের দৈনন্দিন কাজকর্মে গতি কমে এসেছে এবং গ্রাহক সেবার মান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে যখন শত শত কর্মীকে ছাঁটাই বা ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে, ঠিক তখনই তড়িঘড়ি করে বিপুল সংখ্যক নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার চেয়ে অন্যান্য বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। বিশেষ করে, অভিজ্ঞ কর্মীদের শূন্যস্থান পূরণের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও যাচাই-বাছাই ছাড়া লোক নিয়োগ দেওয়ায় এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, যদি অভিজ্ঞতার অভাব থাকেও, তবে ব্যাংকের উচিত ছিল তাদের জন্য পর্যাপ্ত ও কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেই পদক্ষেপের অভাবই আজকের এই 'ঝিমুনি' পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক জানান, "নতুন কর্মীদের কাছে গেলেই তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং ছোটখাটো কাজের জন্যেও সিনিয়রদের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে এবং হয়রানি বাড়ছে।"

ব্যাংকের কর্মপরিবেশ ও দক্ষতা নিয়ে এমন গুরুতর অভিযোগ সামনে আসায়, দেশের বৃহত্তম ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ পরিচালনা এবং গ্রাহক সেবার মান নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কীভাবে সামাল দেন, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

11/10/2025

চট্টগ্রামে রাতভর অতিভারি বর্ষণে নগরজীবন বিপর্যস্ত, জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরমে

চট্টগ্রাম, ১১ অক্টোবর ২০২৫ — | আবাহাওয়া বার্তা

গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতভর চট্টগ্রামে অতিভারি বর্ষণের ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, যা জনজীবনে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায়। রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত নগরীর প্রধান সড়ক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পানির নিচে ডুবিয়ে দেয়। আগ্রাবাদ, চকবাজার, বায়েজিদ, হালিশহর, ট্যানারি বটতলা, এবং খাতুনগঞ্জসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে কোমরসমান পানি জমে যায়, যার ফলে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। চট্টগ্রামসহ ৯টি নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়। অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড়ঘেরা এলাকায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে মোহরা, লালখান বাজার ও শুলকবহর এলাকায়। প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নজরদারি জোরদার করেছে এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

জলাবদ্ধতার কারণে রাতের শিফটে কর্মরত শ্রমিক, জরুরি সেবার কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক অটোরিকশা ও বাস পানিতে আটকে পড়ে, চালকরা গাড়ি ঠেলে এগোতে বাধ্য হন। নিচতলার দোকানপাটে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েছে, ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

নগরবাসীর অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে ধীরগতি ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, টেকসই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছাড়া চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। নাগরিকদের নিরাপদে থাকার এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Address

Dhaka
4700

Telephone

+8801670349102

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ATM News TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ATM News TV:

Share