26/10/2023
নিজ চক্ষু দেখা
মনে হচ্ছে সবকিছুতে অবরুদ্ধ আছি। এত বাজে অবস্থা মহেশখালী সেটা জানাতেও আমার প্রায় ৫০ ঘণ্টা সময় লেগে গেল। বিদ্যুৎ কন্ডাক্টিভিটি কবে স্বাভাবিক হবে নিশ্চয়তা নেই, নেটওয়ার্কও সেইম।
জীবদ্দশায় এরকম ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় কখনো দেখিনি, বড়দের কাছ থেকে ১৯৯১ এবং ১৯৯৭ এর ধ্বংসলীলান কথা বড়দের মুখে মুখে শোনেই আসছি। বিগত ২৪ তারিখের প্রলয়কারী ঘূর্নিঝড় হয়তো সেসবের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। মাত্র ৩০ মিনিটেই কতকিছু হয়ে যায় সেটার বাস্তব প্রমান স্বচক্ষে দেখলাম।
মুহুর্তের মধ্যেই গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুটি, ঘরবাড়ি, দোকানপাট এরকম বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে সেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো না। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ঠিক করে বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ আসতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। আপাদত মোবাইল নেটওয়ার্কটা স্বাভাবিক হলেও হয়।
এটুকুতেই আমাদের এ অবস্থা না জানি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত নিপিড়ীত ভাইরা কি পরিমান কষ্ট ভোগ করেই দিনাতিপাত করছে। নেটওয়ার্কের এ বাজে অবস্থায় যখন কারো সাথে কন্টাক্ট করার কোন স্কোপ পাচ্ছিলাম না তখন নিজেদেরকে খুবই অবরুদ্ধ এবং অসহায় মনে হচ্ছে। ঠিক বারবার ফিলিস্তিনি ভাইদের আহাজারি ও আর্তনাদের কথা মনে হচ্ছে।