14/07/2025
চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা নিজেদের অস্ত্র, চাষাদের নিযুক্ত শ্রমিকদের হাতে দিয়ে ভিডিও ধারন ও পৈশাচিক নির্যাতন
*****************
হোয়ানক অমাবস্যাখালী মৌজার ওয়ারিশী মালিকানাধীন তপশীলভুক্ত লবন ও চিংড়ীঘেরর জমি দখলের চেষ্টা
**************
বার্তা পরিবেশকঃ ১৪/০৭/২০২৫ ইং
**************
হোয়ানক ইউনিয়নস্হ অমাবস্যাখালী মৌজার এনামুল করিমের ওয়ারিশী মালিকানাধীন তপশীলভুক্ত লবন মাঠ ও চিংড়ীঘেরের জমি দখলের অপ-চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৩/০৭/২০২৫ ইং তারিখ দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার সময় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা লবন মাঠ ও চিংড়ীঘেরের ওয়ারিশদারদের নিযুক্ত শ্রমিক মোঃ খলিল, মোঃ সাইফুল, মোঃ আলম ও সুগত বড়ুয়াকে খামারবাড়িস্হ ঘুম থেকে ডেকে তুলে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করার পর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের নিজেদের অস্ত্র শ্রমিক (মোঃ খলিল, মোঃ সাইফুল, মোঃ আলম ও সুগত বড়ুয়াকে হাতে দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ইসমাঈলের অস্ত্র স্বীকার করিয়ে ভিডিও ধারন করেছে। সেই ঘটনায় অমাবস্যাখালী মৌজার ওয়ারিশী মালিক এনামুল করিম বাদী হয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, রফিকুল আলম ভুট্টু, আবু বক্কর প্রকাশ চোখকাটাঁ, মোজাম্মেল, আমজাদ হোসেন, রহিম, নুরুল হুদা, আহসান উল্লাহ, ইমাম হোসেন মিন্টু, জালাল, শাহজাহান, আইয়ুব খাঁন, মোঃ হুমায়ুন আহমেদ, দিদারুল ইসলাম, নেজাম উদ্দিন, এরশাদ উল্লাহ, নুরুল হুদা, প্রবির বড়ুয়া ও নাছির উদ্দিন সহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত রেখে মহেশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা ২০/০৫/২০২৫ ইং তারিখ অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে অমাবস্যাখালী ঘোনার অনাধিকার প্রবেশ করে কর্মরত শ্রমিকদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবি করেছে। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় খামারবাড়ি ভাংচুর ও শ্রমিকদের কে অস্ত্রের বাটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছে। উক্ত বিষয় নিয়া ২৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখ মহেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা সেই থেকে অদ্যাবদি পযর্ন্ত দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও চাদাঁ দাবি করেই আসছে। তারই ধারা বাহিকতায় ১৩/০৭/২০২৫ ইং তারিখ দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার সময় উপরোক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা লবন মাঠ ও চিংড়ীঘেরের ওয়ারিশদারদের নিযুক্ত শ্রমিক মোঃ খলিল, মোঃ সাইফুল, মোঃ আলম ও সুগত বড়ুয়াকে খামারবাড়ি থেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করার পর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের নিজেদের অস্ত্র শ্রমিক (মোঃ খলিল, মোঃ সাইফুল, মোঃ আলম ও সুগত বড়ুয়াকে হাতে দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ইসমাঈল অস্ত্র স্বীকার করিয়ে ভিডিও ধারন করেছে। সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুট করেছে। চিংড়ীঘের কেটেঁ দিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মত মাছের পোনা ছেড়ে দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে এলাকাবাসিঁ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় ভোক্তভোগী পরিবারের লোকজন মহেশখালীতে দায়িত্বরত নৌ-বাহিনী, ইউএনও, এসপি সার্কেল ও মহেশখালী থানার ওসি সহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন। কেননা উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা ভোক্তভোগীদেরকে খুন, গুম, অপহরণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করতে পারে।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মন্জুরুল হক জানান, অপরাধী যেই হউক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না শিঘ্রিই গ্রেপ্তার করা হবে।