The News Of Cox's

The News Of Cox's Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from The News Of Cox's, Newspaper, cox's bazar, Cox's Bazar.

কক্সবাজারে থাকি বলে যে শুধু দেহ ব্যবসায়াই করি এই চিন্তা বাদ দেন🙈
14/01/2025

কক্সবাজারে থাকি বলে যে শুধু দেহ ব্যবসায়াই করি এই চিন্তা বাদ দেন🙈

 ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা দুই লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনসহ সকল ...
14/05/2023


ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা দুই লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনসহ সকল সংস্থা একযোগে কাজ করায় স্বস্তিতেও রয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষ। আর আশ্রয়কেন্দ্রে জোরদার করা হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।
ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে যাচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। মহাবিপদ সংকতের কারণে দিনব্যাপী চলে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার তোড়জোর। জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে এসেছেন উপকূলের বাসিন্দারা। একই সঙ্গে আশ্রয় হয়েছে গবাদিপশুরও। আশ্রয়কেন্দ্রে নারী-পুরুষদের রাখা হয়েছে আলাদা কক্ষে। ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ নানা সুযোগ-সুবিধার। আশ্রিত মানুষরা বলছেন, নিরাপদে রয়েছেন আর সবধরনের সহযোগিতাও পাচ্ছেন তারা।
এদিকে আশ্রিতদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা। নানা ধরণের অভিযোগ শুনে দিচ্ছেন তাৎক্ষনিক সমাধানও। আর আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে জোরদার করা হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।

অতি প্রবল রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) রাত ১২টা পর্যন্ত এই দুই লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ।
তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মোখা মোকাবিলায় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। যারা সঙ্গে গবাদি পশুসহ অন্যান্য মালামালও নিয়ে এসেছে। শনিবার রাত ৮ টা পর্যন্ত এর সংখ্যা দুই লাখের কাছাকাছি। একই সঙ্গে এখনও মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসা অব্যাহত রেখেছে। জেলায় ৫৭৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও অর্ধ শত আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবন আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ উপকূলীয় এলাকা জুড়ে মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আনা অব্যাহত রেখেছে।
বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইতোমধ্যে প্রায় সকল মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে চার হাজার ৩০৩ জন মানুষ রয়েছে। দ্বীপের ৩৭ টি আশ্রয় কেন্দ্রে তারা অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষকে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছে জরুরি মেডিকেল টিম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানও অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, দ্বীপের দুটি সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল, আবাসিক প্রতিষ্ঠানসহ ২২ টি দ্বিতল ভবন, ১৩ টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ভবন মিলে মোট ৩৭ টি আশ্রয় কেন্দ্রে দ্বীপবাসী অবস্থান নিয়েছেন। তার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে উপকূলে পুলিশ
ঘূর্ণিঝড় মোখার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের উপকূলে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। শনিবার (১২ মে) দুপুর ২ টার পর থেকে উপকূলে বসবাসকারী মানুষদের মাইকিং করে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষে বলা হচ্ছে, কক্সবাজারের পুরো উপকূলে প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে। দুপুর ৩টার দিকে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, ফদনারটেক উপকূলীয় এলাকা প্রচারণা চালাতে যান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের মূল কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে প্রাণহানি রোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ মাঠে রয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না তাদের বুঝিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো নিশ্চিত করবে পুলিশ।
কক্সবাজারের ৬৮টি হোটেল মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। উপকূলজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এই ঝড়ে অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষায় এগিয়ে এসেছে কক্সবাজারের হোটেল মালিকরা। কক্সবাজারের কলাতলী রোডে অবস্থিত ‘হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির’ পক্ষ থেকে ৬৮টি হোটেলকে উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন সময় হোটেল মালিকরা এগিয়ে এসেছে। তাদের এই হোটেলে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবেন উপকূলের বাসিন্দারা।
আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হোটেল মোটেলগুলো হলো: সাফিয়া রিসোর্ট, ডায়মন্ড প্যালেস গেস্ট হাউস, অ্যালবার্ট্রস রিসোর্ট, সী-সান রিসোর্ট, গ্যালাক্সি রিসোর্ট, হোটেল সী পার্ক, মোহাম্মদিয়া গেস্ট হাউস, সী-পয়েন্ট রিসেটি, সী আরাফাত রিসেটি, মাসকট হলিডে রিসোর্ট, আমারি রিসোর্ট, কোয়ালিটি হোম, ওয়েল পার্ক রিসোর্ট, লেমিচ রিসোর্ট, জিয়া গেস্ট ইন, জিয়া গেস্ট হাউস, কক্স ইন, সী ল্যান্ড গেস্ট হাউস, লাইট হাউস ফ্যামেরী রিট্রিট, হক গেস্ট ইন, হানিমুন রিসোর্ট, হোটেল কোস্টাল পিস, শামীম গেস্ট হাউস, সী-কক্স রিসেটি, হোটেল সী আলিফ, বীজ হলিডে গেস্ট হাউস, কক্স হিটলন লি: এ আর গেস্ট হাউস, ব্লু-ওশান গেস্ট হাউস, সিলিকন শাকিরা বে রিসোর্ট, হোটেল এবি গার্ডেন, সোহাগ গেস্ট হাউস, পারসেম ইন সাইট, হোটেল কোরাল রীফ, আলম গেস্ট হাউস, কক্স ভিউ রিসোর্ট, ক্যাসেল বেটাস, হোটেল বে মেরিনা, হোটেল অস্টার ইকো,উর্মি গেস্ট হাউস, ইউনি রিসোর্ট, হোটেল ওশান ভ্যালি, রিসোর্ট বীচ ভিউ, সী-নাইট রিসোর্ট, বে-ভিউ গেস্ট হাউস, হোটেল প্রাইম পার্ক, রিগ্যাল প্যালেস, ডায়নামিক এস এইচ রিসোর্ট, আর এম গেস্ট হাউস, গ্রান্ড বীচ রিসোর্ট, ওলেপিয়া বীচ রিসোর্ট, সী-কিং, গোল্ডেনহীল, স্বপ্নালয় অ্যাপার্টমেন্ট, সী ওয়েলকামসহ আরো কয়েকটি রিসোর্ট।
বন্ধ কক্সবাজার-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতাও বেড়ে। একই সঙ্গে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি বাতাসের গতিবেগও বাড়ছে। তাই শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সকাল সাতটা থেকে কক্সবাজার থেকে সব রুটে সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ আছে। কাল রোববার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই রুটে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোর্তজা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। রোববার বিকেলের আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজারে আঘাত হানার কথা বলা হচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার সকাল সাতটা থেকে কাল রবিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দরের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কক্সবাজার-ঢাকা রুটে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান, ইউএস–বাংলা, নভোএয়ারসহ চারটি সংস্থার অন্তত ১০টি উড়োজাহাজ চলাচল করছে। দৈনিক অন্তত ৪০টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তা ছাড়া কক্সবাজার উপকূলের হ্যাচারিগুলোয় উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির পোনা খুলনায় পরিবহন করা হয় কক্সবাজার বিমানবন্দর দিয়ে একাধিক কার্গো উড়োজাহাজে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আজ সকাল থেকে কক্সবাজার-যশোর রুটেও কার্গো উড়োজাহাজের চলাচল বন্ধ আছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচল রোববার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূণিঝড় ‘মোখা’। সম্ভাব্য বিপদ সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে ...
13/05/2023

কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূণিঝড় ‘মোখা’। সম্ভাব্য বিপদ সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতেও চলছে প্রস্তুতি। কিন্তু উপকূলের ৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় প্লাবনের আশঙ্কা করছেন জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।
বিভিন্ন গ্লোবাল মডেল বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ বলছেন ‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র অগ্রভাগ ১৪মে সকাল ৬টার পর থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা রয়েছে। এটি স্থলভাগে ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত করবে। এসময় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’
এদিকে আবহাওয়ার এমন পুর্বাভাসের পর উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা ও জনপ্রতিধিরা জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে অরক্ষিত বাঁধ দিয়ে লোনা পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, কক্সবাজারে ৫৯৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩২ কিলোমিটার অরক্ষিত। এর মধ্যে মহেশখালী ১৫ কিলোমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১৫ কিলোমিটার। তবে জনপ্রতিধিদের মতে, কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল, দক্ষিণ ধুরুং, মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা এবং পাশের মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পুরোটাই ঝুঁকিতে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় কুতুবদিয়ায় ২০০টি, টেকনাফে ৪০টি এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জন্য ১০০টি জিওটিউব এবং ৭ হাজার জিওব্যাগ মজুদ আছে। কোনো এলাকায় ভাঙন অথবা পানি প্রবেশের উপক্রম হলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
মহেশখালীর ধলঘাটার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘ধলঘাটার পশ্চিমে আমতলী থেকে সরাইতলার ৩ কিলোমিটার, পূর্বে বটতলী ঘোনা ও বিএনপি ঘোনা সাইট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার মাটির বাঁধ ঝুকিতে। এছাড়া দক্ষিণে ভারত ঘোনায় বেজার অধিগ্রহণকৃত এলাকা আরো তিন কিলোমিটারে কোন বাঁধ নেই।’
কামরুল হাসান বলেন, ‘এখানে ২০-২৫ হাজার মানুষের বাস। বাঁধ সংস্কারের জন্য চার মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু তারা আশ্বস্ত করে প্লাবিত হবে না। এই বাঁধের কারণে আরেকটি ৯১ সালের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’
মাতারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যক্রম শুরু করলেও পশ্চিমের বাঁধ খুব নড়বড়ে। বিশেষ করে; জেলেপাড়া, ষাইটপাড়া, খন্দারবিল, রাজঘাট এই এলাকাগুলো খুবই ঝুঁকিতে। যদিও বাঁধের নিচে সাগরে ব্লক ফেলেছে পাউবো।’
এই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল বলেন, ‘ কোনো কোনো অংশে জিওব্যাগ দিয়ে ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করা হলেও ৯, ৭ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধ লাগোয়া এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই লোকালয়ে প্রবেশ করবে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’
কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সিকদার বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র ঠিকঠাক রাখলেও কাজিরপাড়া থেকে তাবলাচর বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নেই। একটু বাতাস বইতেই পানি পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে পূর্বে দিকে বের হবে। এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বাস। চাষীরা ধান ঘরে তুলেছে, কিন্তু সবজি ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্য মতে, উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের হায়দারপাড়া, কাজিরপাড়া, কাহারপাড়া, সাইটপাড়া, কিরণপাড়া, পশ্চিম তাবালরচর, বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর বড়ঘোপ, কৈয়ারবিল সাইটপাড়া, উত্তর ধুরুং মিয়ারাকাটা, জুম্মাপাড়া এলাকা বেড়িবাঁধ ভাঙা। এসব এলাকায় সাগরের লোনাপানি ঢুকে তলিয়ে যাবে। বসতিসহ ফসল বিনষ্ট হবে।
পরিবেশ আন্দোলন বাপা কুতুবদিয়া উপজেলার সভাপতি এম. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বীপের চারপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বাঁধ ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু এলাকা বেড়িবাঁধ সাগরে বিলীন। পাশাপাশি অরক্ষিত বাঁধ লাগোয়া যারা বাস করে তাদের দ্রুত সরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড গোমাতলীতে পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করেছে। তবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে পানি বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’
অপরদিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের জালিয়াপাড়ার ১ কিলোমিটার বাঁধও ঝুঁকিতে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, ‘ঘূণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর পরে যে সমস্ত বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সবগুলোই সংস্কার করা হয়েছে। ধলঘাটার কোহেলিয়া নদী সংলগ্ন ১৭শ মিটার নতুন বাঁধ নির্মিত হয়েছে। মাতারবাড়ির পশ্চিমে ৪০ হাজার ব্লক সাগরে ফেলা হয়েছে। এখন কোনো অংশ খোলা নেই। আমাদের বাজেট অনুযায়ী সবগুলো সংস্কার করেছি।’

শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির বাঁকখালী এলাকায় লতাবনিয়া পাহাড়ের ভেতরের দূর্গম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার ...
19/03/2023

শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির বাঁকখালী এলাকায় লতাবনিয়া পাহাড়ের ভেতরের দূর্গম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যা্ব ১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, গত ৩ মার্চ রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা লামার পাড়া এলাকা থেকে হাবিব উল্লাহ প্রকাশ ফজর আলীর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ফজর আলীর মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে গত ৪ মার্চ ৮ জন আসামীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে বিবাদী করে রামু থানায় মামলা দায়ের করে। র্যাজবের গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এ মামলার প্রধান আসামি আসামী সিরাজ উল্লাহ লতাবনিয়া পাহাড়ি এলাকায় নিজেকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বসবাস করছেন। এর প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা সক্ষম হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজ উল্লাহ জানিয়েছে ফজর আলী সম্পর্কে পরস্পর মামাতো-ফুফাতো ভাই। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে সিরাজ উল্লাহর কাছ থেকে ফজর আলী ১১ হাজার টাকা দিয়ে ধান ক্রয় করেছিলেন। সিরাজ উল্লাহ ধান সঠিকভাবে ফজরকে না দিয়ে তা অন্যত্র বিক্রি করে ফেলেন। এর জের ধরে বিরোধের জের ধরে এ হত্যা সংগঠিত হয়েছে। এ মামলার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে র্যাজবের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতার সিরাজকে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহন করেন।এসময় বক্তারা বল...
14/03/2023

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহন করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, একটি প্রকাশ্য সমাবেশে বিচারকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আইনের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং আদালত অবমাননার শামিল। একজন সংসদ সদস্যের মুখে এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই বক্তব্য প্রতাহার করা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গত ১১ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া একটি ভিডিও বক্তব্যে সাইমুম সরওয়ার কমলকে বলতে দেখা যায়, রামুর একজন শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মাামলা হলো। আমি জজ সাহেবের সাথে কথা বলেছি। ঘটনা মিথ্যা, কোন ঘটনা নাই। জমি-জমা নিয়ে গন্ডগোল, সেখানে কোন মারামরি ঘটে নাই, কোন ভিডিও ফুটেজ নাই, স্বাক্ষী নাই। কিন্তু একজন পেশকার জজ সাহেবকে ম্যানেজ করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়েছে। আমি বেঁচে থাকতে তাকে জেলে যেতে দেব না। তাকে যদি জেলে যেতে হয়, আমি বেঁচে থাকতে যে জজ সাহেব সেই মিথ্যা মামলা করেছে তাকে আমি জীবনে ভাত খেতে দেব না। তাকে আমি চাকরি করতে আর দেবো না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামুতে শিক্ষকদের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এসব কথা বলেন।
এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন করেন আইনজীবীরা। মানবন্ধনে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আমির হোসেন বলেন, সংসদ সদস্য কমলের এমন বক্তব্য কোনভাবে বরাদাস্ত করার মত নয়। মানুষের আশা-ভরসার আশ্রয়স্থল হলো আদালত। মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়। স্বাভাবিকভাবে একটি মামলা করায় আদালতের বিরুদ্ধে যদি হুমকি প্রদর্শন করে তা নিন্দনীয়। যারা আইন আদালতে অপদস্থ করতে চায়, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখা চায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থাকবো। তাদের যেকোন ধরনের অপতৎপরতাকে নস্যাৎ করে দেবো।
দুদকের আইনজীবী আব্দুর রহিম বলেন, আমরা সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। একজন সংসদ সদস্য প্রকাশ্য সমাবেশে অশ্লিল ভাষায় আদালতের বিচারককে হুমকি প্রদর্শন করা চরম ‍ধৃষ্টতা। আমরাও আইনের মানুষ। তিনিও আইন প্রনেতা হিসেবে সংসদে প্রতনিধিত্ব করেন। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে, আমরা মগের মুল্লুকে বসবাস করছি। বিচারককে ভাত খেতে দেবেন না, চাকরি করতে দেবেন না এ অধিকার আপনাকে সংবিধান বা সরকার আপনাকে দেয়নি। তাই অচিরে ক্ষমা চেয়ে এ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আমরা আইনজীবীরা আপনার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
আইনজীবী রিদুয়ান আলী বলেন, আমরা আজকে এজলাসে না থেকে রাজপথে নেমে এসেছি। একজন সংসদ সদস্য কিভাবে বলতে পারেন বিচারককে তিনি ভাত খেতে দেবেন না। একটি সভ্য দেশে, সভ্য সমাজে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সভ্য সমাজ কখনো আশা করতে পারে না। আজকে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় সেই জায়গায় বিচারকদের বিরুদ্ধে, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ন্যাক্কারজনক বক্তব্য মেনে নেওয়া যায়না। এ বিষয়ে আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হোক।
মানববন্ধনে অন্যানের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবু তাহের, সিনিয়র আইনজীবী নুরুল ইসলাম নুরু, আইনজীবী নুর মোহাম্মদ মামুন, খোরদেশ আলম গুনু বক্তব্য রাখেন।


প্রত্যক্ষদর্শী নয়াকাটার স্থানীয় ব্যবসায়ি মামুনুর রশিদ জানান, রবিবার সকাল ৭ টার দিকে ওই গ্রামের রফিক উদ্দিনের রান্নাঘর থে...
14/03/2023

প্রত্যক্ষদর্শী নয়াকাটার স্থানীয় ব্যবসায়ি মামুনুর রশিদ জানান, রবিবার সকাল ৭ টার দিকে ওই গ্রামের রফিক উদ্দিনের রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাড়িতে। প্রতিবেশিরা আসার আগেই বসতভিটায় একটি থাকার ঘর পুরোটা ও আরেকটি ঘর আংশিক ছাই হয়ে যায়।
বাড়ির মালিক রফিক উদ্দিন বলেন, সকালে রান্না শেষে ঘর বন্ধ ছিল। চুলার আগুনেই পুরো বাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কোন কিছুই বের করার সুযোগ মেলেনি। নগদ টাকা সহ আসবাব পত্র, কিছু স্বর্ণালঙ্কার, কাপড়চোপর সহ প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে এখন নি:স্ব বলে তিনি জানান।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী ওই বাড়িতে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেন বলে জানা গেছে।

Address

Cox's Bazar
Cox's Bazar
COX'SBAZAR

Telephone

+8809638920884

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The News Of Cox's posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The News Of Cox's:

Share

Category